Breaking News
Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...     

TMCMLA

Idrish Ali: প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি, ক্যানসারের কাছে পরাজয়

প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। শুক্রবার মাঝরাতে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন সাংসদ তথা ভগবানগোলার বিধায়ক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। জানা গিয়েছে, ক্যানসারে ভুগছিলেন ইদ্রিশ আলি। বিধানসভায় নিয়ে আসা হয় তাঁর মৃতদেহ। সেখানেই শোক জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী-বিধায়করা। ইদ্রিশ আলির মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব হয়ে শেষ হল বিধানসভার শুক্রবারের অধিবেশন। শোক প্রস্তাব করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রদ্ধা জানালেন অধ্যক্ষ।

সূত্রের খবর, ক্যানসারের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু রোগ তাঁর শরীরে বাসা বেধেছিল। অনেকদিন ধরেই বিধায়কের শরীর অসুস্থ ছিল। ইদানিং রাজনীতির জগতেও সক্রিয়তা কমে গিয়েছিল। সম্প্রতি অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। এদিনই পার্ক স্ট্রিটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রয়াত বিধায়কের।

ইদ্রিশ আলির রাজনৈতিক জীবন শুরু কংগ্রেসে। তাঁর রাজনীতিতে আসা কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর হাত ধরে। ২০১১ সালে তিনি ভোটে লড়েন তৃণমূলের হয়ে। সেবার জয় পাননি।  ২০১৪ সালে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি জয়ী হয়ে সাংসদ হন।  ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তিনি ভগবানগোলা আসনে জিতে বিধায়ক হন।

2 months ago
IT Raid: এবারে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে আয়কর দফতরের হানা! ভোর থেকে চলছে তল্লাশি

এবারে আসানসোলে তল্লাশি অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকে পুরো অ্যাকশনে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এদিন ফের এক তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলীর বাড়িতে হানা দিল আয়কর দফতর। সূত্রের খবর, তাঁর কলকাতার বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলীর স্ত্রী বর্তমানে তৃণমূলের কাউন্সিলর। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আসালসোলে শুধুমাত্র এই প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতেই নয়, আরও কয়েকজনের বাড়িতে ত্ল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর।

জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর থেকে তল্লাশি চলছে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলীর বাড়িতে। ৫টি গাড়ি নিয়ে আসেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। আসানসোলের বার্নপুর এলাকায় প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি ছাড়াও আসানসোল দক্ষিণ থানা অন্তর্গত পায়েল এন্টারপ্রাইজ-এর অফিস ও বার্নপুরের পুরানো হাট এলাকাতেও পঙ্কজ আগারওয়াল নামে একজনের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশি চলছে বলে খবর। পায়েল এন্টারপ্রাইজ এর মালিকের নাম ইমতিয়াজ বলে জানা গিয়েছে এবং পঙ্কজ পায়েল এর সঙ্গে যুক্ত বলে সূত্রের খবর। আসানসোলের হিরাপুরে পুরানো হাট এলাকায় অরুণ আগারওয়াল-এর বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানা। সূত্রের খবর, রেশনের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। সেই বিষয়ে হানা হতে পারে। তাঁর ভাই পঙ্কজ আগারওয়াল চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্ট বলে খবর। পায়েল এন্টারপ্রাইজ এর সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। আবার, আসানসোলের নুরুদ্দিন রোড এলাকায় মহেন্দ্র শর্মার অফিসেও হানা দিয়েছে আয়কর দফতর। জানা গিয়েছে, নুন, বালি সহ আরও বেশ কিছু ব্যবসা বাংলা-ঝাড়খণ্ডে রয়েছে তাঁর।

4 months ago
Tapas: তাপস ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে সিবিআই, বেঙ্গালুরুতে জিজ্ঞাসাবাদ তাপসের ছেলেকেও

নিয়োগ দুর্নীতি (Scam) কাণ্ডে তৎপর সিবিআই (CBI)। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের জন্য তেহট্টের (Tehatta) তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস সাহার বাড়ি তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের একটি দল। পাশাপাশি ওই দিন রাতেই সিবিআইয়ের একটি দল তল্লাশি চালায়, তাপস সাহার প্রাক্তন আত্ম সহায়কের বাড়িতে। এরপর শনিবার সকাল থেকে তল্লাশি শুরু হয়েছে তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারের বাড়িতে। শনিবার তাপসের পুত্র সাগ্নিককে বেঙ্গালুরুতে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই-এর একটি দল। 

গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার তাপস সাহাকে  জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়, তার দুটি ফোনই বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। এরপর আজ অর্থাৎ শনিবার সকালে তিনি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল কিনেছেন বলে খবর। সিবিআই সূত্রে খবর তাপস সাহার থেকে বাজেয়াপ্ত করা দুটি মোবাইল থেকে তৃণমূল নেত্রীর খোঁজ পাওয়া গেছে যার নাম ইতি সরকার। তাঁর বাড়িতে বর্তমানে তল্লাশি চালিশ চালাচ্ছে সিবিআই

এছাড়া তাপস সাহার আত্ম সহায়ক প্রবীর কয়ালের বাড়িতে, গতকাল রাতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকে কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। পাশাপাশি এ প্রসঙ্গে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। তিনি এদিন বলেন, 'আমায় চক্রান্তের শিকার। আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।'

12 months ago


Burn: বিধায়ক তাপসের বাড়ির পিছনে পুকুরপাড়ে পোড়া দাগ! নিয়োগ নথি পুড়েছে কি

পুকুরে মোবাইল-কাণ্ডের পর এবার পুকুরপারে পোড়া দাগ কাণ্ড। বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার পর ফের খবরের শিরোনামে পুকুর। নেপথ্যে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। শুক্রবার তেহট্টের বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানার আগেই তাপস সাহাকে দেখা গিয়েছে বাড়ির পিছনে পুকুরপাড়ে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। স্থানীয় যুবকরা সেই ভিডিও সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছে বলে খবর। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল। সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, তেহট্টের বাড়িতে সিবিআই আসার ঘণ্টাখানেক আগে বাড়ি লাগোয়া পুকুরপাড়ে বসে কিছু পোড়াচ্ছিলেন বিধায়ক তাপস সাহা। সেই পুকুরপাড়ে গিয়ে কিছু পোড়ানোর দাগও পাওয়া গিয়েছে। এমনকি সেই পুকুর সংলগ্ন একটি গাছের নিচেও কিছু পোড়ানোর দাগ রয়েছে।

পুকুরপাড় ঘুরে দেখা গিয়েছে পোড়া কাঠ-কয়লা এবং পোড়া গাছের ডাল পড়ে রয়েছে। তবে ঠিক কী পোড়ানো হয়েছে? যা পোড়ানো হয়েছে তার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্তে কতটা কার্যকরী খুঁজে দেখবে সিবিআই।

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে হাইকোর্ট সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে শুক্রের দুপুরে বিধায়কের নদীয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। একইভাবে বিধায়কের আপ্ত সহায়কের বাড়িতেও অভিযান চালায় সিবিআই।

12 months ago
Manik: 'আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, লন্ডনে বাড়িও নেই! যদি থাকে ফাঁসি হোক', সরব মানিক

আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, লন্ডনে বাড়িও নেই। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ফাঁকা এজলাসে এই দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তাঁর মন্তব্য, 'যারা এসব বলছেন, তাঁরা আমায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিক।' এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Court) মানিক জানান, 'আমার ৬৬০ বর্গফুটের একটা ফ্ল্যাট আছে যাদবপুরে। পরে ১১০০ বর্গফুটের একটা ফ্ল্যাট কিনেছি। আর নদীয়ায় বাড়ি আছে। এসব তথ্য আমি ইডিকে (ED) দিয়েছি।' নাম না করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, 'একজন সিঙ্গল বেঞ্চের জজ এসব বলছে। ডিভিশন বেঞ্চে আগে মামলা হয়নি। আজ হবে, তার আগে মিডিয়া ভুল খবর দিচ্ছে।'

এদিন কোর্ট থেকে জেলে যাওয়ার পথে এবিষয়ে সরব ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'আমার লন্ডনে বাড়ি নেই, বাড়ি নেই, বাড়ি নেই। আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, নেই, নেই। যদি থাকে আমার ফাঁসি হোক। আপনাদের একটা অনুরোধ একটু জেনে নিয়ে খবর করবেন।' 

দুটি পাসপোর্ট প্রসঙ্গে পর্ষদের অপসারিত সভাপতি বলেন, 'আমার দুটো পাসপোর্ট নেই।একটার সময়সীমা শেষ হওয়ায় অন্যটি পেয়েছি। দুটোর নম্বর এক, এটা কেউ দেখলো না। আমার দুটো পাসপোর্ট থাকলে ভারত সরকার আমাকে ছেড়ে দিতো।' মিডিয়ার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করে মানিক বলেছেন, 'সোমবার সিবিআই আমার কাছে গিয়েছিল। পাসপোর্ট নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছে মিডিয়া। আমি জেলে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি। আমার মান সম্মান সব জলাঞ্জলি।'

এদিকে জানা গিয়েছে, জেলে যাওয়ার সময় পুলিসের গাড়ি আচমকা ব্রেক কষায় আহত হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। গাড়ির মধ্যেই পড়ে গিয়ে বুকে, পায়ে আঘাত লেগেছে তাঁর। তিনি এই মুহূর্তে জেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


one year ago


Tax: এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি-অফিসে টাকার পাহাড়! আয়কর অভিযানে বাজেয়াপ্ত ১১ কোটি

এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস এবং কারখানায় টাকার পাহাড়! জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের (Zakir Hossain) বাড়ি-অফিসে বুধবার দিনভর তল্লাশি (IT Raid) চালিয়ে নগদ ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। এই অর্থের মধ্যে শুধুমাত্র ৯ কোটি টাকা প্রাক্তন মন্ত্রীর মুর্শিদাবাদের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, দেশের মোট ২৮ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। তল্লাশি চলেছে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।

রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি-অফিসে মিলিয়ে বুধবার রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য জায়গাগুলোয় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বাকি অর্থ। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, শ্রম দপ্তরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে গরু পাচার-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের যোগসূত্র পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

জাকিরের বাড়ি-অফিসে তল্লাশি চালিয়ে আয়কর দফতরের উদ্ধার হওয়া অর্থ আদতে কোন পথে এসেছে, সেটা জানতে জাকিরকে তলব করতে পারে সিবিআই। সূত্র অনুযায়ী, এই অর্থ জাকিরের বিড়ি কারখানায় ব্যবহার হয়েছে কিনা, তা জানতে চায় ইডি। এত পরিমাণ নগদ কী কাজে বাড়ি-অফিসে রাখা ছিল, সেটা জানতে তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

one year ago
Madan Mitra: ও লাভলি! ৬৮-তে মদন মিত্র, দুই অভিনেত্রীকে সঙ্গে রেখে বিধায়ক কেক কাটলেন

‘ও লাভলি’- শনিবার ৬৮-তে পা দিলেন। বয়সের দিক থেকে বৃদ্ধ হলেও মন কিন্তু একেবারে ‘কালারফুল বয়'। এতক্ষণে হয়তো বুঝতে পেরে গিয়েছেন, কার কথা আলোচনা করা হচ্ছে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan MItra) জন্মদিনের (Birthday) কথা বলা হচ্ছে। সেদিন গোটা কামারহাটি মেতে উঠেছিল তাদের প্রিয় দাদার জন্মদিন পালনে। এত কেক কেটেছেন যে তার হিসেব রাখা সত্যি অসম্ভব। আর এদিন মদন মিত্রের জন্মদিনে চার চাঁদ লাগালেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (Madhumita Srakar)।

View this post on Instagram

A post shared by Madan Mitra (@madanmitraofficial)

বিশেষ দিনটিতে দাদাকে শুভেচ্ছে জানাতে চলে এলেন কামারহাটি। দাদাকে পাশে দাঁড় করিয়ে মোমবাতি লাগিয়ে কেক কাটলেন। এরপর নিজের হাতে সেই কেক খাইয়েও দিলেন মধুমিতা। জন্মদিন উদযাপনের ভিডিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী নিজেই। 

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মধুমিতা ছাড়াও সেদিন উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য। এছাড়া মদন মিত্রের ছেলের বউ মেঘনা। ধুতি-পাঞ্জাবিতে একেবারে 'ও লাভলি' লাগছিল প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রীকে। চোখে সেই পরিচিত চশমা, গলায় রজনীগন্ধার মালা।  মধুমিতাকে দেখা গিয়েছে ব্ল্যাক ক্রপ টপ ও ডেনিম জ্যাকেটে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই শোরগোল পড়ে যায়।

নেট নাগরিকরা কেউ কেউ কালারফুল বয়ের রঙিন জীবন উপভোগ করার প্রশংসা করেছেন।  তবে বিদ্রুপ মন্তব্যের ঝড় তুলেছেন অনুরাগীরা। কেউ মজার ছলে লিখেছেন, ‘সবাইকে নিয়ে কাতার গেছেন নাকি?’; আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “আরে বাহ! এই বয়সেও ঠাকুরদা পাখি ধরছেন!”

মদন মিত্র তাঁর নারীসঙ্গ এবং তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সমালোচনায় থাকেন। নানারকম বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়। তবে এসবে বেশি কান দেন না তিনি। তাই আজও মদন মিত্র রাজ্য রাজনীতির এক ‘কালারফুল বয়’।

one year ago
TMC: দুর্নীতির গুচ্ছ অভিযোগ, জেলা প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ খোয়ালেন টিএমসি বিধায়ক

দলীয় এক কর্মীকে টাকার বিনিময়ে দলে পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অভিযোগে পদ খোয়ালেন করিমপুরের তৃণমুল বিধায়ক (Trinamool MLA) বিমেলেন্দু সিংহ রায়। ইতিমধ্যেই তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, তাঁর পরিবর্তে চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব সামলাবেন নদিয়ার (Nadia) জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি।

জানা যায়, বিমলেন্দু সিংহ রায় (Bimalendu Singh Roy) একদিকে যেমন বিধায়কের দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন, ঠিক তেমনই অন্যদিকে নদিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদেও ছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন আগে ৭ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে এক দলীয় কর্মীর তরফ থেকে। এরপর করা হয় মামলা। সেই মামলা বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীনে রয়েছে। এছাড়াও বিমলেন্দু সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে বদলির নামে ঘুষ নেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। যার কারণে দিনে দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে অস্বস্তি বাড়ছিল। অবশেষে পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে।

প্রসঙ্গত, এই বিধায়কের বিরুদ্ধে এর আগে অভিযোগ উঠেছিল তিনি তৃণমূল ব্লক সভাপতি করার জন্য টাকা নিয়েছিলেন এক স্থানীয় তৃণমুল নেতা হাসান আলি মণ্ডলের কাছে। পরবর্তীতে সেই কথা জানাজানি হতেই ওই হাসান আলি মণ্ডলের বাড়ির সামনে বোমাবাজি করারও অভিযোগ ওঠে। এই প্রসঙ্গে বিমলেন্দু সিংহ রায় জানান, এটা তো সরকারি সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে আলোচনার কোনও মানে নেই।

one year ago


BJP: 'তৃণমূল বিধায়করা যোগাযোগ করছেন', ফের সরব মিঠুন-সুকান্ত, 'দিওয়ার ছবি দেখুন' খোঁচা কুণালের

তিন দিন আগে দাবি করেছিলেন অন্তত ২১ জন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তাঁর সঙ্গে যোগাযোগে আছে। মঙ্গলবার মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) দাবি, ৩৮ জন বুড়ি ছুঁয়ে আছে। তার চেয়ে বেশি দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যেকোনও সময় যা কিছু হয়ে যেতে পারে বঙ্গ বিজেপির (Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) পাশে বসিয়ে এই দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী।

তাঁর দাবির সমর্থন শোনা গিয়েছে সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে। তিনি বলেন, 'আমাদের সঙ্গে অন্তত ৪১ জন যোগাযোগ করেছে। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আরও বেশি তৃণমূল বিধায়ক যোগাযোগ রাখছে।' টলিউডের মহাগুরুর মন্তব্য, 'অনেকে আমাকে অনুরোধ করেছে পচা আলু নেবেন না। কিন্তু সবাই সমান নয়। অনেকে আছে তৃণমূলে শ্বাসরুদ্ধ মনে করছেন। কিন্তু আমি কথা দিয়েছি যাঁদের নাম আমার কাছে আছে, তাঁরা এরকম নয়।'

বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মহালয়ার আগে পুজো উদ্বোধনের সমালোচনা করে বলেন, 'সরকার ভুয়ো হয়ে গিয়েছে। মাতৃপক্ষের আগে পুজো উদ্বোধন করছেন, ভুয়ো চাকরি দিচ্ছেন।'

এদিকে, দুই বিজেপি নেতার এই দাবির প্রেক্ষিতে তৃণমূল কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'মিঠুন দা যদি হার হজম না হয়, হজমিগুলি পাঠিয়ে দিচ্ছি।  দেড় বছর ঘুরে ঘুরে হেরেছেন। সম্মান কেন বিজেপির পাল্লায় পড়ে নষ্ট করছেন। কেউ বলছে ৪১ জন আছে, কেউ বলছে ২১ জন। বলছি মিঠুন দা, সুকান্ত দিওয়ার দেখেছেন? অমিতাভ বচ্চন বলছে হামারে পাস গাড়ি, বাড়ি দুনিয়ার বাতেলা হে। তুমাহারে পাস কেয়া হে? আমরা বলছি আমাদের কাছে দিদি হে।'

2 years ago
MLA: 'আমার যাওয়ার সময় হল, দাও বিদায়', ফেসবুকে বেসুরো উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক

ফেসবুকে বেসুরো উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) সমীর পাঁজা। 'আমার যাওয়ার সময় হল, দাও বিদায়' এই লাইনের সঙ্গে তিনি একটি নাতিদীর্ঘ পোস্ট (Facebook Post) করেছেন। সেই পোস্টে তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিত সমীর পাঁজার গলায়। মমতা ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, 'হ্যাঁ আমার এই মহান নেত্রীটা (Mamata Banerjee) আছে বলেই, আমি আজও তৃণমূল দল ছেড়ে যাইনি। কারণ কত ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে, নানা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ৩৮টা বছর মহান নেত্রীর সঙ্গে একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করতে করতে, এখন বড়ই বেমানান লাগছে নিজেকে। কারণ আজ অবধি মিথ্যা নাটক করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে ভালো সেজে, একটা মেকি লিডার হতে চাইনা আমি। না হলে কবেই টা টা-বাই বাই করে দল ছেড়ে চলে যেতাম আমি। আমার মতো অবিভক্ত যুব কংগ্রেসের আমল থেকে যারা আছে, তারা আদৌ কোনও গুরুত্ব পাচ্ছে কি বর্তমানে.....?? তাই আর কি, আমার যাবার সময় হল, দাও বিদায়!'

যদিও এই বিষয়ে সিএন-কে ফোনে এই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'যেটা ফেসবুকে লিখেছি, সেটাই আমার বক্তব্য। ছাত্রনেতা থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দলে আসা। তিনি যখন চলে যাবেন সেদিন আমিও চলে যাব।'  

 

2 years ago


Manik: হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্য

হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (TMC MLA)। শীর্ষ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেন তিনি (Manik Bhattacharya)। ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রায়ের বিরোধিতা করেই এই বিশেষ লিভ পিটিশন (SLP)। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Recruitment) দুর্নীতির মামলায় প্রথম বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তৎকালীন বোর্ড চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন। সেই রায় বহাল রেখেছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।

সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। জানা গিয়েছে, আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। পাশাপাশি মামলায় সবপক্ষকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।

ইতিমধ্যে স্কুলশিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে মানিকের। তাঁকে জেরা করেছে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল লুকআউট নোটিস। তাঁর পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত হলফনামাও চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাঁকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

2 years ago
Tapas: দু'দশকের বেশি সময় তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী! মন্ত্রিত্ব না পেয়ে সেই তাপস রায় কি বিষণ্ণ?

বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথস্তরের সভা। দলনেত্রীর আহ্বানেই এই জমায়েত। উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোনা যাচ্ছে, দলের কাছে বিশেষ বার্তা থাকবে মমতা এবং অভিষেকের তরফে। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই সভা বলে খবর হলেও ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের ভাবনাও থাকছে এই সভায়। ২১ জুলাই বা ছাত্র সমাবেশের পরে ফের এই সভা। দলের বুথস্তরেরকর্মীদের জন্য খোলা এবং প্রকাশ্যে। উপস্থিত থাকার কথা সর্বস্তরের নেত-মন্ত্রীদের। কাজেই বলে ফেলা যায় হয়তো বা উপস্থিত থাকতে পারেন জহর সরকার কিংবা ইদানিং খানিক বেসুরো হওয়া তাপস রায়। হিসাব মতো জেলার নানা দায়িত্বে থাকা নেতাদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন তাপস রায় কি কোনও বিষয়ে হতাশ দলের উপর। তাপস দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী। প্রথমে ছাত্র পরিষদের সভাপতি হয়েছিলেন। ঘোরতর সিপিএম বিরোধী চরিত্র। তাপস প্রথমে সোমেন মিত্রের ঘনিষ্ঠ ছিলেন পরে তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হওয়ার পরে যোগ দেন ২০০০-এ। মমতা পরের বছর তাঁকে তৎকালীন বড়বাজার কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেন, তাপস জিতেও আসেন। এই ছিল আদি ইতিহাস। ২০১১-তে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময়ে থেকে তিনি বরানগরের বিধায়ক। 

তাপস সেবার মন্ত্রী হননি। ১৬-র ভোট জিতে আসার অনেকদিন বাদে প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু এবার ২১-এর ভোটের পর ফের দায়িত্ব নেই তাপসের। গত বছর থেকে একবার উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি হয়েছিলেন বটে কিন্তু সম্প্রতি সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাপস আপাতত বিধানসভার ডেপুটি চিফ হুইপ (এর আগে এমন কোনও পদ ছিল না)। কাজেই তাপস হয়তো ভেবেছিলেন সাম্প্রতিক মন্ত্রিসভার পরিবর্তনে তাঁর দায়িত্ব আসতে পারে, আসেনি। এরপর থেকে লক্ষ্য করা গিয়েছে, তাপস নাকি খানিক বিষন্ন। হয়তো বা সে কারণেই অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছেন। দেখার বিষয় বৃহস্পতিবার দলের বৈঠকে তাঁর ভূমিকা।

2 years ago
MLA: ফের সিবিআই হাজিরা এড়ালেন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক, সিজিওয় এসে সময় চাইলেন আইনজীবী

চিটফান্ড-কাণ্ডে (Chit Fund Case) সিবিআই (CBI) তলব এড়ালেন বীজপুরের বিধায়ক (TMC MLA) সুবোধ অধিকারী। বুধবারও তাঁর হয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন আইনজীবী। বিধায়কের আইনজীবী প্রসেনজিৎ নাগ সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে এসে তাঁর মক্কেলের হাজিরার জন্য সময় চান। এই নিয়ে চিটফান্ড মামলায় সুবোধ অধিকারীকে দ্বিতীয়বার নোটিশ সিবিআইয়ের।

এদিকে, চিটফান্ড-কাণ্ডে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে এবার ডেকে পাঠাল সিবিআই। মঙ্গলবারই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও তাঁর আইনজীবী এদিন বীজপুরের বিধায়ককে প্রতিনিধিত্ব করেন। সিবিআইয়ের চাওয়া বেশ কিছু নথি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছিলেন বিধায়কের আইনজীবী।

ইতিমধ্যে বীজপুরের বিধায়কের পৈতৃক বাড়ি-সহ কাঁচরাপাড়ার একাধিক জায়গায় গত সপ্তাহে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেই তালিকায় ছিল সুবোধ অধিকারীর অফিস, ফ্ল্যাট এবং তাঁর ভাই তথা কাঁচরাপাড়ার পুরপ্রধানের ফ্ল্যাটেও। বীজপুর, কাঁচরাপাড়ার পাশাপাশি সুবোধ অধিকারীর কলকাতার কাশীপুর, টালা পার্ক এবং দক্ষিণদাঁড়ির ফ্ল্যাটেও অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই এদিকে নথি-সহ ডেকে পাঠানো হয় সুবোধ অধিকারীকে।

অপরদিকে রাজু সাহানির বাড়ি এবং রিসোর্টে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা নগদ এবং প্রচুর সম্পত্তি নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। সেই সূত্রে রাজুকে জেরা করে পাওয়া তথ্যসূত্র ধরেই সুবোধ এবং কমল অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই অভিযান হয়েছে। সুবোধের পৈতৃক বাড়ি-সহ তাঁদের মঙ্গলদ্বীপ আবাসন ফ্ল্যাট এবং কমল অধিকারীর নিজস্ব ফ্ল্যাটেও চলেছে অভিযান। পাশাপাশি হালিশহরের জেঠিয়ার সুবোধ এবং কমল অধিকারীর এক আত্মীয়র বাড়ি-সহ কনস্ট্রাকশন ব্যবসায়ী গৌতম বিশ্বাসের বাড়িতেও সিবিআই দল গিয়েছিল। জানা যাচ্ছে, এই রাজু সাহানির সঙ্গে তাইল্যান্ডে ব্যবসা রয়েছে সুবোধ অধিকারীর।

সেই সূত্র ধরে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি। জানা গিয়েছে, সুবোধের পৈতৃক বাড়িতে দুই ভাই থাকেন না। একমাত্র ছোট ভাই থাকেন।

2 years ago


Paresh: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তিন ঘণ্টা সিবিআই হাজিরা পরেশের, তুললেন 'রাজনৈতিক হেনস্থার' অভিযোগ

ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় ফের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) হাজিরা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। প্রায় আড়াই-তিন ঘণ্টা তিনি ছিলেন সিজিও কমপ্লেক্স। বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের ঘটনায় তাঁকে (TMC MLA Paresh Pal) দ্বিতীয়বার তলব করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই তলবে সাড়া দিতেই বেলেঘাটার বিধায়কের এই হাজিরা। মূলত অভিজিৎ খুনে উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। বিজেপি (BJP) কর্মীর পরিবার সেই অভিযোগ করেছে। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার সবকটি মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।

এদিন সিজিও থেকে বেড়িয়ে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য, 'রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে। তবে সিবিআই যতবার ডাকবে, ততবার আসব। বেলেঘাটায় কাউন্সিলর বলুন বা বিধায়ক সব আমাদের। তাই ওরা কাউকে তো অভিযুক্ত করবেই।' মঙ্গলবার পরেশ পালকে অভিজিতের মৃত্যুকালীন জবানবন্দী প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।'

যদিও পরেশ পালের গ্রেফতারির দাবিতে সরব অভিজিৎ সরকারের দাদা। তাঁর দাবি, 'এই খুনি-আসামি ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এরপর তো আমি খুন হয়ে যাব। ভবিষ্যতে আরও মানুষ খুন হবে।' তিনি জানান তদন্তে সিবিআই নিশ্চয় আরও তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়েছে তাই আবার ডেকেছে। ভাইয়ের মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে পরেশ পালের নাম রয়েছে। 

2 years ago
Dinajpur: ইসলামপুরে তৃণমূলের কলহ প্রকাশ্যে, ব্লক সভাপতিকে 'সন্ত্রাসবাদী' তকমা বিধায়ক আব্দুল করিমের

উত্তর দিনাজপুরে (North DinajPur) প্রকাশ্যে  তৃণমূল (TMC) বিধায়কের সঙ্গে ব্লক সভাপতির সংঘাত। মঙ্গলবার রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক (TMC MLA) আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, 'আমি মমতা দি-কে বারবার বলে আসছি এই সন্ত্রাসবাদীকে নেতা না করতে। একটা সন্ত্রাসবাদীকে এখানে রাখবেন না। আমি মোট ১১ বার বিধায়ক হয়েছিল। কিন্তু কোনও বার সন্ত্রাস করে ভোট করিনি। সংগঠন এবং মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভোটে লড়েছি।' 

তিনি জানান, বুথ ক্যাপচার, হিংসার আশ্রয় নিয়ে ভোট করিনি। কিন্তু এখন এই সন্ত্রাসবাদী হুমকি নিয়ে ভোট করাচ্ছে। অভিষেক নিজেই বলেছে ওর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে কথা দিয়েছিল, করিম দা আমি আপনাকে মর্যাদা দেব। আপনি সম্মানীয় ব্যক্তি, আপনার সম্মান ফিরিয়ে দেব। কিন্তু এখন সেই সম্মান দিচ্ছেন না কেন? আগেরবার আমাকে হারানোর চেষ্টা করেছে, আগামি দিনে দাঁড়ালে আমাকে হারানোর চেষ্টা করবে। এই লোককে কেন দায়িত্ব দিচ্ছেন।

রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষভ উগড়ে দিয়ে ইসলামপুরের বিধায়ক বলেন, 'যে ব্যবহার আমাকে দিচ্ছে নেতৃত্ব, সেই ব্যবহার আমার প্রাপ্য নয়।'

এদিকে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই জাকির হোসেন জানান, বাংলায় কারও ব্যক্তিগত এলাকা নেই। বাংলা একটাই, আর সেই একটা বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠন করছে। আমার নিজের কিছু নেই যা আছে দলের। আমার পিছন থেকে তৃণমূলের প্রতীক সরলে সাম্নের দিকে ফাঁকা হয়ে যাবে। দলের শক্তি সর্বশক্তি, আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মানুষের সঙ্গে থেকে দলের কাজ করা। আগামি দিনেও নিষ্ঠা ভরে সেই কাজ করব। তিনি বলেন, 'দলের একজন বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও সমালোচনা করব না। উনি কী বলেছেন সেটা দল দেখে বিচার করবে।' 

এই সংঘাতকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি।  দলের নেতা তাপস বিশ্বাস বলেন, 'তৃণমূলের এক বিধায়ক, তাঁর দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বলছে। তৃণমূলের ব্লক, অঞ্চল বা জেলা সভাপতি হতে গেলে তাঁকে বুথ দখল, কাট্মানি আদায়ে পটু হতে হবে। বিরোধী কণ্ঠরোধে পটু হতে হবে। তৃণমূলের ইসলামপুর ব্লক সভাপতির এসব যোগ্যতা আছে। কিন্তু ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক, মানুষের ভোটে জিতে এসেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বুথ দখল বা সন্ত্রাসের অভিযোগ নেই। উনি ভালো লোক, চাইছেন এখানে দলটা ভালো ভাবে ভালো পথে চলুক।'

2 years ago