সাংসদ বা বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ উঠলে সেই মামলার শুনানিতে কোনওরকম ঢিলেমি নয়। প্রয়োজনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করতে হবে রাজ্যের হাইকোর্টগুলিকে। 'অপরাধী' জনপ্রতিনিধিদের আজীবন নির্বাচন লড়ায় নিষেধাজ্ঞার দাবিতে দায়ের হওয়া মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ফৌজদারি মামলায় দোষী রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে লড়ার অধিকার বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
অপরাধী সাংসদ, বিধায়করা যাতে পাকাপাকিভাবে ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার হারায়, এই দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতে ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করেছিলেন অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। গত ৭ বছর ধরে মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু অপরাধী জনপ্রতিনিধিদের জন্য তেমন কোনও নির্দিষ্ট রায় না দিলেও সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলি আছে, তার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রত্যেক রাজ্যের হাইকোর্টকে বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, যে সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলাগুলি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়, সেগুলিকে অন্যান্য মামলার চেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ও পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ততদিন পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় গৌতম এবং পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও বলেছিলেন বিচারপতি। তার প্রেক্ষিতেই গত ১৯ অক্টোবর টানা ৫ ঘণ্টা গৌতম পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পর্ষদ-সভাপতি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মত শুধু তদন্ত করতে পারবে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। আপাতত রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। হাইকোর্টের নির্দেশ মত তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে পার্থ কর্মকার ও গৌতম পালকেও।
গৌতম পালের আইনজীবী আদালতে বলেন, এই দুর্নীতির প্রসঙ্গে তাঁর মক্কেল কিছুই জানেন না। গত বছর ২৪ অগাস্ট তিনি পর্ষদের দায়িত্ব নিয়েছেন।আইনজীবীর ওই বক্তব্য শোনার পরেই গৌতমকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
সিঙ্গুর নিয়ে টাটা গোষ্ঠীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। সেই নির্দেশ দিয়েছে আর্বিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। সূত্রের খবর, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে রাজ্য সরকার। এবং তারজন্য ইতিমধ্যে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের একাধিক শীর্ষ আমলা একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে এবিষয়ে কথাও বলেছেন।
উল্লেখ্য টাটা মোটরসকে ৭৫৬.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আর্বিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট না সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হবে সেনিয়েও আইনজীবী সঙ্গে রাজ্যের আলোচনা চলছে বলে সূত্রের খবর।
অর্বিট্রাল ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী,টাটা মোটরসকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ শোধ না হওয়া পর্যন্ত ১১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে রক্ষাকবচ দিল না দেশের শীর্ষ আদালত। এছাড়াও ডেপুটি সেক্রেটারিকেও কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী-র বেঞ্চ সোমবার ওই আবেদন খারিজ করে দেয়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গৌতম ও পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন পর্ষদ সভাপতি। সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে। সেকারণে সিবিআইকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, অতি দ্রুত পর্ষদ সভাপতি এবং ডেপুটি সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। যদিও তারপরেই রক্ষাকবচ পেতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে আগামী শুক্রবার ফের মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্ত হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি সিনহার একাধিক নির্দেশে তাঁর অধিকার ও স্বার্থে প্রভাব পড়ছে, এই আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক। তৃণমূল নেতার বক্তব্য, সিঙ্গল বেঞ্চ তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ করছে। অভিষেক, তাঁর পরিবার ও লিপ অ্যান্ড বাউন্ডস কম্পানির বিরুদ্ধে ইডিকে নির্দিষ্ট করে নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেন, তদন্তের স্বার্থে ওই নথি কোনও ভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। এবার সেই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন অভিষেকের।
কামদুনি কাণ্ডে (Kamduni Case) কলকাতা হাইকোর্টর (Calcutta High Court) রায়ে যারা মুক্তি পেয়েছে, তাদের মুক্তির উপরে শর্ত আরোপ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্টু নয় নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনির প্রতিবাদীরা। ফলে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য এবং কামদুনির প্রতিবাদীরা। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন স্থগিতাদেশ না দিয়ে যারা মুক্তি পেয়েছে তাদের উপর শর্ত আরোপ করল শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট যে যে শর্ত দিয়েছে, সেগুলি হল-
১) প্রতিমাসের প্রথম ও তৃতীয় সোমবার হাজিরা দিতে হবে রাজারহাট পুলিস স্টেশনে।
২) মোবাইল ফোন নম্বর এবং বাকি ডিটেলস জমা দিতে হবে।
৩) রাজারহাট পুলিস স্টেশনের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলের বাইরে তারা যেতে পারবে না। আর থানা এলাকার বাইরে যেতে হলে ওসির পারমিশন নিতে হবে।
৪) কবে যাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, কবে ফিরবে তার তারিখ ও ঠিকানা পুলিস স্টেশনে লিখিত জানাতে হবে।
৫) পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে।
৬) ঠিকানা বদল করলে তা সবিস্তারে জানাতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের জামিন পেলেন না অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, এবারও পুজো কাটবে জেলেই। গরু পাচার কাণ্ডে বর্তমানে অনুব্রতর ঠিকানা তিহাড় জেল। উল্লেখ্য, 'প্রভাবশালী তত্ত্বে'ই অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই (CBI)। মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পর।
গত বছরের অগাস্ট মাসে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তিহাড় জেলে আপাতত বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর করা মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদন করেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী এস ভি রাজু অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করেন। তাঁর যুক্তি ছিল, "অনুব্রত প্রভাবশালী, জেল থেকে বাইরে বেরোলে যা ইচ্ছে তাই করবে, ক্ষতি হবে তদন্তে। বিচারপতিদেরও হুমকি দিচ্ছে।"
শুনানি শেষে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বেলা এম ত্রিবেদী সিবিআইকে কাউন্টার হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পরে। ফলে এবারও অনুব্রতর পুজোও কাটবে তিহাড় জেলেই।
বৈধতা পেল না সমলিঙ্গ বিবাহ (Same Sex Marriage)! ১৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এক ঐতিহাসিক রায়ের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন সমকামী যুগলরা। অবশেষে সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে রায় দিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। আজ সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতি সংক্রান্ত রায় ঘোষণা করতে গিয়ে এই সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সমলিঙ্গ বিয়ের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়নি। এ বিষয়ে কেন্দ্রের কমিটিকে পদক্ষেপ করতে বলেছে শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ। তবে সমকামীদের প্রতি সব রকমের বৈষম্য শেষ করতে এদিন একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন শুনানিতে বলেন, "সমলিঙ্গ বিবাহ আইনে বদল আনতে হলে সেটা সংসদ করতে পারবে। আদালতে কোনও ধারা যুক্ত করলে তা হস্তক্ষেপ করা হবে।" অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্টে বৈধতা পেল না সমলিঙ্গ বিবাহ। এদিন বিচারপতিদের মধ্যে ২ জন পক্ষে থাকলেও, ৩ জনের মত ছিল বিপক্ষে। এই ক্ষেত্রে আইন প্রনয়নের যাবতীয় দায় সংসদকে দিল আদালত। সমলিঙ্গ বিয়ের বিষয়ে কেন্দ্রের কমিটিকে পদক্ষেপ করতে বলল শীর্ষ আদালত। আবার একসঙ্গে থাকলেও সমকামী জুটিকে সন্তান দত্তকের অধিকার দিল না শীর্ষ আদালত। সমকামী জুটির কথা ভেবে কমিটি গঠন করতে পারে কেন্দ্র, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। তবে, সমকামী দম্পতিদের লিভ ইন সম্পর্কে স্বীকৃতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, টানা ১০ দিনের শুনানি পর্বের শেষে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গত ১১ মে রায় সংরক্ষিত রেখেছিল। সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্য সদস্যেরা হলেন, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি এস নরসিং।
১৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার গোটা দেশের নজর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দিকে। আজ এক ঐতিহাসিক রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে অসংখ্য সমপ্রেমী যুগলরা। সবার মনেই এক প্রশ্ন, আদৌ কি ভারতে বৈধতা পাবে সমলিঙ্গ বিবাহ (Same Sex Marriage)? মঙ্গলবারই এই নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেবে দেশের শীর্ষ আদালত।
চলতি বছরের মে মাস থেকে শুরু হয়েছিল আইনি লড়াই। তবে সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আইনি লড়াই এবছর থেকে শুরু হলেও সমকামীদের জন্য এ লড়াই চিরকালীন। মে মাসে একটানা শুনানির পর দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ১১ মে রায় স্থগিত রেখেছিলেন। অবশেষে সেই রায় ঘোষণা হবে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার।
এর আগে এই সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, সমলিঙ্গ বিবাহ 'শহুরে অভিজাত সমাজের ভাবনা।' এছাড়াও দেশের সাতটি রাজ্য সরকার অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজস্থান সরকার সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি বৈধতার দাবির বিরোধিতা করেছে। এমনকি কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, 'সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের কোনও রায় সঠিক পদক্ষেপ হবে না।' তবে কেন্দ্রের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ও জানান, সমকামিতা যে শহুরে বিষয়, তার কোনও পরিসংখ্যান নেই কেন্দ্রে কাছে। ফলে এই বিষয়ে কেন্দ্র ও শীর্ষ আদালতের মত ভিন্ন, ফলে আজ কী রায় দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট, সেদিকে তাকিয়ে দেশের সমকামী যুগলরা।
হাইকোর্টে কামদুনি কাণ্ডের রায় নিয়ে অসন্তুষ্ট রাজ্য। এবার হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে গেল রাজ্য। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ সোমবার শীর্ষ আদালতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণ দর্শিয়ে একটি এসএলপি আবেদন করে রাজ্য। সূত্রের খবর, কামদুনি কাণ্ডে নগর দায়রা আদালত ৬ জনের সাজা মঞ্জুর করেছিলেন। সেখানে তিনজনকে ফাঁসি ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় আসামিরা। দীর্ঘ তালবাহানার পর ওই ঘটনায় গত সপ্তাহে হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ পুনরায় রায় দেয়। সেখানে চারজনকে খালাস করে দেওয়া হয় এবং মূল অভিযুক্ত সহ মোট দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরেই রীতিমত মুষড়ে পড়ে কামদুনি কান্ডের প্রতিবাদীরা।
সূত্রের খবর, যেদিন এ মামলার রায় ঘোষণা হয় ঐদিন রাতেই ডিআইজি সিআইডি নেতৃত্বে একটি দল কামদুনিতে মৌসুমী ও টুম্পা কলের সঙ্গে দেখা করতে যায়। এছাড়া নির্যাতিতা দাদার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সেখানে তাদের দেখা না পেলেও সেখানেই তাদের একটি আলোচনা হয়। এরপর রাজ্য সিআইডিটি টিম হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। পাশাপাশি সাত বছর পর মঙ্গলবার বেলা তিনটার সময় রাজপথে নামবেন বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে কামদুনি কাণ্ডের প্রতিবাদীরা। ওই মিছিলে আসতে বলা হয়েছে সমগ্র সাধারণ, প্রতিবাদী, ও মহানাগরিকদের।
শুক্রবার কামদুনি গণধর্ষণের রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দোষীদের ফাঁসির সাজা রদ করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। ওই রায় শুনে একেবারে হতবাক মৌসুমী কয়াল এবং টুম্পা কয়াল। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। প্রশ্ন তোলেন দোষীদের কেন ছেড়ে দেওয়া হল।
হাইকোর্টের রায় শুনতে শুক্রবার সকালেই কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে যান টুম্পা ও মৌসুমী কয়াল। সঙ্গে ছিলেন অনেক গ্রামবাসী। তাঁরা জানিয়েদেন, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন।
২০১৩ সালে ৭ জুন পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কামদুনির ওই ছাত্রী। রাজারহাট ডিরোজিও কলেজের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেসময় তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
কামদুনি মামলার (Kamduni Case) জল গড়াল এবারে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)! শুক্রবার কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডের রায়দান ছিল। সেই রায় নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার পরিবার, পরিজনরা। এবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিআইডি (CID)। শুধু তাই নয়, ডিআইজির নেতৃত্বে গঠন করা হচ্ছে টিম। খুব তাড়াতাড়ি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন সেই টিমের সদস্যরা।
কামদুনি গণধর্ষণ কাণ্ডের দীর্ঘ ১০ বছর পার। শুক্রবার এই মামলায় রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তাতে জানানো হয়, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা লঘু করা হচ্ছে। আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করা হচ্ছে তাদের। এমনকি নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল হক, আমিনুল ইসলাম, আমিন আলি এবং ভোলানাথ নস্করকেও খালাস করে দেওয়া হচ্ছে। এর পরই শুরু হয় প্রতিবাদ।
এর পরই জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধেই রাজ্য স্পেশাল লিভ পিটিশন ফাইল করতে চলেছে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার তদন্তভার ছিল সিআইডির হাতে। ফলে সিআইডির হয়ে রাজ্য সরকার এই পিটিশন ফাইল করবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম ধাক্কা খেল রাজ্যপাল। আজ অর্থাৎ শুক্রবার উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যপাল আর কোনোভাবেই উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবে না। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের ওই বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্যপাল যাঁদের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন, তাঁরা কোনও সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। তাঁরা নিতে পারবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও।
বিচারপতিরা আরও জানান, অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের যা যা আপত্তি রয়েছে, তা পরের শুনানিতে আদালতে জানাতে হবে। পাশাপাশি, সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি রাখা নিয়ে রাজ্য যে আবেদন করেছিল, তাতে এখনই সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্ট।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও বোসের মধ্যে সংঘাতের ফলে রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও কোনও স্থায়ী উপাচার্য নেই। গত ২১ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পর গত ১৫ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিজেই সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের মামলায় সিবিআই-কে নোটিস দিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদির বেঞ্চ সিবিআইকে ওই নোটিস জারি করে।
গরুপাচার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই আবেদন খারিজ করে হাই কোর্ট। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের।
বিচারপতি বসু জানান, আদালত সিবিআই-কে নোটিস জারি করার নির্দেশ দেন। তদন্ত কোন পর্যায় আছে, তা জানা দরকার বলেও মনে করেন বিচারপতি। তারপরই জামিনের আবেদন বিবেচনাও করা হবে। এমনই জানিয়েছেন তিনি।
'শিক্ষা ব্যাবস্থা ব্যক্তিগত অহংয়ের জায়গা নয়,' রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সার্চ কমিটি গঠনের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। বাংলার উপাচার্য নিয়োগ বিতর্কে এবার নয়া মোড়। এবার নিয়োগ জট মেটাতে সার্চ কমিটি গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকার, রাজ্যপাল, ইউজিসি-কে নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই নামের প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের শুনানিতে বিচারপতিরা রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, যদি আদালত একটি সার্চ কমিটি গঠন করতে চায়, তাহলে তাঁদের কী বক্তব্য। রাজ্য সরকারের তরফে একটি আবেদন করা হয়, তাহলে কমিটিতে কে কে থাকবেন, সেই দায়িত্বও আদালত যেন নেয়। আদালতই দায়িত্ব নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করে দিক।
রাজ্যপাল ও UGC-র তরফ থেকেও আইনজীবীরা জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট তিন পক্ষকেই বলে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটি তৈরির জন্য তিন থেকে পাঁচ জন বিশেষজ্ঞের প্রস্তাবিত নামের তালিকা তৈরি করতে। সেই প্যানেল থেকেই বিশেষজ্ঞদের কমিটি তৈরি করবে শীর্ষ আদালত। তার ভিত্তিতে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে। একটি সার্চ কমিটি গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট।
মূলত রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এই সার্চ কমিটি। অর্থাৎ উপাচার্য নিয়োগে পুরো রাশ নিজের হাতে নিল শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, এর আগের শুনানিতে আদালত স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিল, রাজ্যপাল অর্থাৎ চ্যান্সেলর, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শিক্ষামন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে হবে। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানসূত্র খুঁজে বার করতে হবে। শুক্রবারের শুনানিতে সেই বিষয়টি আবার উত্থাপিত হয়। আদালত এদিনও জানতে চায়, আদৌ রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল এই ধরনের কোনও আলোচনায় বসেছিল কিনা।