
জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা (Gyanvapi mosque case) নিয়ে আগামিকাল শুনানি হবে। জানিয়ে দিলেন বারাণসী আদালতের (Varanasi Court) বিচারক। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে থাকা জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে চাপানউতোর চরমে।
জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা(Case) নিয়ে এত বিতর্ক কেন?
জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার জটিল দিকটি হল, হিন্দু পক্ষ দাবি করছে যে ১৬ শতাব্দীতে মন্দির (Temple) ভেঙে সেই স্থানে এই মসজিদ তৈরি করা হয়। অন্যদিকে মুসলিম পক্ষ প্লেস অফ ওয়ারশিপ (বিশেষ বিধান) আইনের কথা উল্লেখ করেছে, যা ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট থেকে চালু হওয়া যে কোনও উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্রের রূপান্তরকে বাধা দেয়। সোমবার এই মামলা নিয়ে তিনটি পিটিশনের শুনানি করা হবে, যার মধ্যে দু'টি পিটিশন (Petition) হিন্দু পক্ষের এবং একটি হল মসজিদ কমিটির।
পিটিশনে কী কী দাবি করা হয়েছে দেখে নিন
১) জ্ঞানবাপী চত্বরে শৃঙ্গার গৌরীর নিয়মিত পুজো করার জন্য অনুমতি।
২) মসজিদের ওজুখানায় পাওয়া 'শিবলিঙ্গ'-এর পুজোর অনুমতি।
৩) 'শিবলিঙ্গ'-এর ঘরের দিকে যাওয়ার রাস্তায় পড়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করে দেওয়া।
৪) 'শিবলিঙ্গ'-এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ জানার জন্য জরিপ।
৫) বিকল্প ওজুখানার ব্যবস্থা করা।
মসজিদ কমিটির পিটিশনে যে দাবি করা হয়েছে
১) ওজুখানা সিল করা যাবে না।
২) জ্ঞানবাপীর জরিপ বিবেচনা করে, প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ আইন ১৯৯১-এর রেফারেন্স-সহ মামলা।
এই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই মামলায় আট সপ্তাহের ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে। জেলা আদালতকে আট সপ্তাহের মধ্যে রায় দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।
জ্ঞানবাপী মসজিদের (gyanvapi mosque) মামলায় দায়িত্ব নেবেন বারাণসীর (varanasi) 'অভিজ্ঞ' বিচারপতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট(supreme court)। এই নির্দেশ দিতে গিয়ে সর্বোচ্চ আদালত জানাল, একজন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কেউ এই শুনানি শুনলে বেশি ভাল হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে ভিডিওগ্রাফিতে(videography) আপত্তি জানিয়ে পালটা আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার(case) শুনানিতে সার্ভের একাধিক ছবি-ভিডিও লিক হয়ে যাওয়ার নিন্দা করে আদালত। বলা হয়, এটা বন্ধ হওয়া দরকার। বারাণসী আদালতে সার্ভের রেকর্ডগুলো সিল করা অবস্থায় জমা পড়ার ঘণ্টাচারেকের মধ্যেই তা চাউর করে দেয় হিন্দুপক্ষের আবেদনকারীরা। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ শীর্ষ আদালত। এরপরেই একজন ‘অভিজ্ঞতাসম্পন্ন’ বিচারপতির হাতে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়।
তবে এর মানে এই নয়, যে বিচারপতি এতদিন এই মামলায় নির্দেশাবলী(order) দিয়ে এসেছেন, তাঁকে কোনওভাবে খাটো করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যে জায়গায় শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে বলে হিন্দুপক্ষের দাবি, সেখানে মুসলিমদের প্রার্থনা চলবে বলে জানিয়েছে আদালত। জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় হিন্দু আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী অজয় মিশ্র(ajay mishra) জানিয়েছিলেন, এই সপ্তাহের শুরুতে আদালতের নির্দেশিত সার্ভের সময় হিন্দু দেব-দেবীর(hindu idols) বেশ কয়েকটি মূর্তির ভাঙা টুকরো পাওয়া গিয়েছে।
জ্ঞানবাপী মসজিদের সার্ভে এবং ভিডিও সমীক্ষার দলে ছিলেন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী অজয় মিশ্র। তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন সার্ভের কাজে সহায়তা করেনি এবং দায়িত্ব এড়িয়ে চলেছে।
মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি গম্বুজ আকৃতির কাঠামোর উপস্থিতির কথা বলেছেন মিশ্র। তবে এও জানিয়েছেন যে, তিনি তাঁর প্রতিবেদনে এটির উল্লেখ করেননি। এই কাঠামোটিকে হিন্দুরা শিবলিঙ্গ বলে দাবি করছে। মসজিদ কমিটি অবশ্য এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে এটি একটি ফোয়ারা।
বিশেষ আদালতের কমিশনার বিশাল সিংও আদালতে একটি প্রতিবেদনে কাঠামোর উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ''মসজিদের ভেতরে সনাতন সংস্কৃতির অনেক নিদর্শন রয়েছে। সনাতন ধর্মের চিহ্ন, যেমন পদ্ম, ডমরু ত্রিশূল পাওয়া গেছে বেসমেন্টের দেয়ালে। সার্ভের ভিডিওর মেমরি চিপও কমিশনার আদালতে জমা দিয়েছেন।''
সুপ্রিম কোর্টের(supreme court) নির্দেশ মেনে আজ শুক্রবার পাতিয়ালা আদালতে (patiyala court) হাজির হলেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের (punjab congress) প্রাক্তন প্রধান নভজোৎ সিং সিধু (navjot singh sidhu)। ১৯৮৮ সালে 'ঘুষি কাণ্ডে খুন' মামলায় সিধুকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে আজই আদালতে আত্মসমর্পণের (surrender) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সকাল সকাল আইনজীবী এ এম সিঙ্ঘভির (lawyer abhishek manu singhvi) মাধ্যমে অসুস্থতার দোহাই দিয়ে আরও কিছুদিন সময় চান সিধু। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত।
আদালতের তরফে বলা হয়, ''৩৪ বছর পেরিয়ে গেছে মানে এই নয় যে অপরাধ (crime) মরে গেছে। এখন সাজা শোনানো হয়েছে, ওরা আবার তিন-চার সপ্তাহ সময় চাইছে।''
জবাবে সিধুর তরফে বলা হয়, ''আত্মসমর্পণ করব তো বটেই। আপনি যদি বিবেচনা করে সময় দেন।'' তাতে বিচারপতি খানউইলকর জানান, এর জন্য লিখিত আবেদন জমা দিতে হবে ভারতের মুখ্য বিচারপতির সামনে। সিধু তা করবেন কি না তা সময়ই বলবে, এখন আপাতত শ্রীঘরে ঠাঁই হতে চলেছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর পাটিয়ালায় গাড়ি পার্কিং নিয়ে গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন সিধু। দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সেই সময়ই সিধু গুরনাম সিংকে ঘুষি মারেন। সেই ঘটনায় ৬৫ বছরের ওই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছিল। এদিন সেই মামলরাই রায় শোনাল সর্বোচ্চ আদালত।
পুলিসের তরফে সে সময় সিধু এবং তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা (case) করেছিল। পরে প্রমাণের অভাবে ১৯৯৯ সালে তিনি সেশন কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যান। এরপর মৃতের পরিবার সেশন কোর্টের এই রায়ের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলা করে। ২০০৬-এ হাইকোর্টে এই মামলায় সিধুকে ৩ বছরের সাজা দিলেও পরে তাঁর তরফে সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় খারিজ করে দিয়েছিল। তার ২ বছর বাদে মৃতের আত্মীয়রা রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন। গতকাল সেই মামলার রায় পুনর্বিচার করে সিধুকে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৯-এর নভেম্বরে হায়দরাবাদের এক পশু চিকিৎসককে (Veterinary Doctor Rape and Murder) অপরহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। পরে নির্যাতিতার দগ্ধ দেহ উদ্ধারে চার জনকে গ্রেফতার করেছিল হায়দরাবাদ পুলিস (Hyderabad Police)। ধৃতদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণে গেলে পুলিসি এনকাউন্টারে (Encounter) মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের। তেলেঙ্গানা পুলিসের দাবি ছিল, পুলিসের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল চার জনের। কিন্তু এই এনকাউন্টার ভুয়ো দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। দেশের শীর্ষ আদালত সত্য অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করেছিল। সেই শিরপুরকর কমিটি সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা রিপোর্টে জানিয়েছে সেই এনকাউন্টার ভুয়ো ছিল। পাশাপাশি দোষী পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ আছে রিপোর্টে।
প্রশাসনের কাছে পুলিসের বক্তব্য ছিল, অভিযুক্তরা পালাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁদের। এ বার সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত শিরপুরকর কমিশন তার রিপোর্টে স্পষ্ট বলল, সে দিনের সংঘর্ষ ছিল সম্পূর্ণ ভুয়ো। খুনের উদ্দেশেই পুলিস তাঁদের উপর গুলি চালিয়েছিল। এই ঘটনায় চার জনের মধ্যে তিন জনই ছিল নাবালক।
সেই ঘটনার পর নিগৃহীতার দেহ হায়দরাবাদের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি নির্জন জায়গায় দগ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তদন্তে মহম্মদ আরিফ, চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশভালু, জলু শিবা এবং জলু নবীনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। তারপরই অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে অকুস্থলে যায় পুলিস।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরই একটি অংশ পুলিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে নাগরিক সমাজের একটি অংশ। আবার অন্য একটি অংশ পুলিসের এই 'অতিসক্রিয়তা'কে তোপ দেগে সোচ্চার হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিশন গড়ে দিয়েছিল। শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শিরপুরকরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত করে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
৩৪ বছর আগের 'ঘুষিতে খুন' কাণ্ডের রায়ে বৃহস্পতিবার প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধুকে এক বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে তাঁকে দ্রুত আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল শীর্ষ আদালতের তরফে। নির্দেশ মেনে শুক্রবার পটিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণের বার্তাও দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিং সিধু। কিন্তু তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এদিন সুপ্রিম কোর্টের কাছে সিধুর আত্মসমর্পণের জন্য সপ্তাহখানেক সময় দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
সকাল থেকেই সিধুর বাড়ির সামনে তৎপরতা তুঙ্গে ছিল। কংগ্রেসর বহু নেতাকেই এদিন সিধুর বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। এর মধ্যেই খবর সামনে আসে যে, সিধুর আইনজীবী আত্মসমর্পণের জন্য সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আর্জি জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শীর্ষ আদালতের কাছে আত্মসমর্পণের এই আবেদন জানিয়েছেন এই কংগ্রেস নেতা।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর পাটিয়ালায় গাড়ি পার্কিং নিয়ে তাঁর গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন সিধু। দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সেই সময়ই ওই ব্যক্তি গুরনাম সিংকে ঘুষি মারেন। সেই ঘটনায় ৬৫ বছরের ওই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছিল। এদিন সেই মামলরাই রায় শোনাল সর্বোচ্চ আদালত।
পুলিসের তরফে সে সময় সিধু এবং তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। পরে প্রমাণের অভাবে ১৯৯৯ সালে তিনি সেশন কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যান। এরপর মৃতের পরিবার সেশন কোর্টের এই রায়ের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলা করে। ২০০৬-এ হাইকোর্টে এই মামলায় সিধুকে ৩ বছরের সাজা দিলেও পরে তাঁর তরফে সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় খারিজ করে দিয়েছিল। তার ২ বছর বাদে মৃতের আত্মীয়রা রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন। গতকাল সেই মামলার রায় পুনর্বিচার করে সিধুকে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
পণ্য এবং পরিষেবা কর বা জিএসটি নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, জিএসটি কাউন্সিলের সুপারিশ মানতে বাধ্য নয় কেন্দ্র-রাজ্য। এই সংক্রান্ত আইন তৈরি করার সমান অধিকার রয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্যর। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, জিএসটি কাউন্সিলের সুপারিশ সহযোগিতামূলক আলোচনারই ফল। এর আগে গুজরাট হাইকোর্টও কেন্দ্রের এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। সেই আদালত জানিয়েছিল, সমুদ্রপথে আমদানিকৃত পণ্য পরিবহনের উপর চাপানো কর অসাংবিধানিক। এদিন চন্দ্রচূড়ও জানালেন, জিএসটি কাউন্সিলকে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমাধান বের করতে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, ২৪৬-এ অনুযায়ী কেন্দ্র ও রাজ্যকে সমান ধরা হয়।
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ভরসা না রেখে এসএসসি নিয়োগ (SSC Recruitment) দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শীর্ষ আদালতকে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। সিবিআই (CBI) যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ না নেয়, সেই আবেদন করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার তাঁর আবেদন শুনতে চেয়েছে। কিন্তু শুক্রবার সেই মামলার শুনানির আগেই তড়িঘড়ি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন পার্থবাবুর। জানা গিয়েছে, বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী।
এদিকে, এদিন এসএসসি ভবন বা আচার্য সদনে সিআরপিএফ মোতায়েন নিয়ে নতুন নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত এসএসসি ভবনে সিআরপিএফ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসএসসির সচিব, সহ-সচিব, দু'জন স্টেনোগ্রাফার এবং চেয়ারম্যান ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবেন না।
দু'জন সিআরপিএফ থাকবে ওই ডেটা রুমের বাইরে। এর মধ্যে সিবিআই ওই ডেটা রুমের হেফাজত নিলে এই অর্ডার আর বহাল থাকবে না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ডেটা রুমের নিয়ন্ত্রণ নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার দুপুর ২টোয়।
বড় সমস্যার সম্মুখীন হলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু। ৩৪ বছর আগের এক মামলায় সিধুকে এক বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল সুপ্রিম কোর্ট। ৩৪ বছরের পুরনো এই মামলা নিয়ে একটা সময় তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বরের ঘটনা নিয়ে 'পথ দুর্ঘটনা' মামলা দায়ের হয়েছিল। ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?
পাতিয়ালায় গাড়ি পার্কিং নিয়ে তাঁর গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন সিধু। দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সেই সময়ই ওই ব্যক্তি গুরনাম সিংকে ঘুষি মারেন। সেই ঘটনায় ৬৫ বছরের ওই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছিল। এদিন সেই মামলরাই রায় শোনাল সর্বোচ্চ আদালত।
পুলিসের তরফে সে সময় সিধু এবং তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। পরে প্রমাণের অভাবে ১৯৯৯ সালে তিনি সেশন কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যান। এরপর মৃতের পরিবার সেশন কোর্টের এই রায়ের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলা করে। ২০০৬-এ হাইকোর্টে এই মামলায় সিধুকে ৩ বছরের সাজা দিলেও পরে তাঁর তরফে সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় খারিজ করে দিয়েছিল।
তার ২ বছর বাদে মৃতের আত্মীয়রা রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন। এ দিন সেই মামলার রায় পুনর্বিচার করে সিধুকে ১ বছরের কারাদণ্ড দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে হাইভোল্টেজ মামলা একদিন পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, শুক্রবার জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষার বিষয়ে শুনানি হবে। হিন্দুপক্ষ শীর্ষ আদালতে সময় চেয়েছিল, যার ভিত্তিতে আদালত আগামিকাল বিকেল ৩ টেয় শুনানির দিন ধার্য করেছে। এই সময়ের মধ্যে সব পক্ষকে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসীমার ডিভিশন বেঞ্চে জ্ঞানবাপী মসজিদের মামলাটি চলছে।
এই আবহে বৃহস্পতিবার যখন মামলার শুনানি শুরু হয়, তখন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন আদালতকে বলেছিলেন যে তাঁর সহকর্মী সিনিয়র অ্যাডভোকেট হরিশঙ্কর জৈনের শরীর ভালো নেই। তাই আগামিকাল আদালতে এ বিষয়ে শুনানি করতে হবে। এরপর শুক্রবার বিকেল ৩ টেয় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে সুপ্রিম কোর্ট।
পাশাপাশি বারাণসী আদালতের শুনানিও স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত ট্রায়াল কোর্টকে শুক্রবার পর্যন্ত এই বিষয়ে শুনানি মুলতবি রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে বারাণসী আদালতে জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তবে সেই রিপোর্টে কী আছে, তা জনসমক্ষে এখনও আসেনি। এর আগে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, বারাণসীর আদালত নিযুক্ত কমিশনারের সমীক্ষার সময় মসজিদ চত্বরের যেখান থেকে ‘শিবলিঙ্গ’ পাওয়া গিয়েছে, বারাণসীর জেলাশাসককে সেই এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে নমাজের জন্য মুসলিমদের মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, পাঁচজন মহিলা জ্ঞানবাপী মসজিদকে হিন্দু মন্দির দাবি করে পুজো করার অনুমতি চেযে আবেদন করেছিলেন বারাণসীর আদালতে। এরপর আদালত সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। বিতর্ক সত্ত্বেও সেই সমীক্ষা সম্পন্ন হয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনে (AIFF) পদ খোয়ালেন প্রফুল প্যাটেল (Praful Patel)। দেশের ফুটবল বোর্ডের প্রশাসনিক কমিটির সদস্য ছিলেন ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি। তারপর ২০১৭ সাল থেকে ভারতীয় ফুটবল পরিচালনার তদারকি কমিটি হিসেবে কাজ করছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) গঠিত প্রশাসনিক কমিটি (COA)। সেই তিন কমিটির সদস্য ছিলেন প্রফুল প্যাটেল। কিন্তু বুধবার সেই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, নতুন কমিটিতে থাকবেন প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অনিল দাভে।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, নতুন কমিটি ভারতীয় ফুটবলের যাবতীয় বিষয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। ফেডারেশন কাজ নিয়ে তাঁদের কোনও বক্তব্য থাকলে, তা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের কাছে তুলে ধরতে হবে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সচিব কুশল দাসের সঙ্গেও প্রশাসনিক আলোচনা করতে পারবে কমিটি। শোনা যাচ্ছে, চলতি বছর জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন করে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠিত হবে।
২০১৬ সালে ফেডারেশনের নির্বাচন সঠিক পথে হয়নি। এই অভিযোগ তুলে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন আইনজীবী রাহুল মেহেরা। ফেডারেশনের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার অভিযোগ আনেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে দিল্লি হাইকোর্ট প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশিকে ফেডারেশনের প্রশাসক নিয়োগ করে। এতেই সমস্যায় পড়ে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন।
কারণ, ফিফা কোনও সংস্থায় প্রশাসক নিয়োগের ঘোর বিরোধী। ফিফার অনুমোদন হারাতে পারে এআইএফএফ। এরপরেই তড়িঘড়ি ফেডারেশন কর্তারা সুপ্রিম কোর্টে ফিফার নিয়ম দেখিয়ে আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট এসওয়াই কুরেশি এবং প্রাক্তন জাতীয় গোলকিপার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়কে ওম্বাডসম্যান নিয়োগ করে।
শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, যতক্ষণ না নতুন করে নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে কোনও নির্দেশ আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পুরনো কমিটিই সব দেখভাল করবে। আর এই সময়ের মধ্যে ফেডারেশনের তরফে কোনও বড় আর্থিক চুক্তিও করা যাবে না। সেই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি তৈরি করল সুপ্রিম কোর্ট। সেই কমিটিতে নেই এআইএফএফ-র দীর্ঘদিনের প্রশাসক প্রফুল প্যাটেল।
শিনা বোরা হত্যা মামলায় জামিনে মুক্ত হলেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। ৬ বছর জেল খাটার পর অবশেষে জামিন পেলেন মৃত শিনার মা।
ইন্দ্রাণীর দ্বিতীয়পক্ষের স্বামী পিটারের ছেলে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কন্যা শিনার লিভ-ইন সম্পর্কের জেরে তাঁকে তাঁর মা ইন্দ্রাণী খুন করেন বলে অভিযোগ ছিল। সেই কারণে আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে ২০১৫ সালের অগাস্টে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল খার পুলিস। তারপর থেকেই মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলেই ছিলেন ইন্দ্রাণী। এই মামলায় আরেক অভিযুক্ত ইন্দ্রাণীর স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়কে গত বছরই আদালত জামিন দিয়েছিল। এবার জামিন পেলেন ইন্দ্রাণীও। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে কন্যাকে হত্যা করার মামলাটি চলবে।
এর আগেও বহুবার জামিনের আবেদন করেছেন ইন্দ্রাণী। কিন্তু আদালত বার বার সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। এদিন শীর্ষ আদালতে বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহাতগি ইন্দ্রাণীর হয়ে সওয়াল করেন। ২০১২ সালে শিনা বোরাকে খুন করা হয়। বিষয়টি সামনে আসে ২০১৫ সালে, যখন অন্য একটি ঘটনায় ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক গ্রেফতার হয়। সেই পুলিসকে জানায়, ইন্দ্রাণী আর সঞ্জীবকে শিনার দেহ লোপাট করতে সাহায্য করেছিল সে। এরপর ২০১৫ সালেই শিনা বোরা খুনে মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্নাকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
ওই বছরই নভেম্বরে ইন্দ্রাণীর তৎকালীন স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়কেও সিবিআই গ্রেফতার করে। অভিযোগ, তিনিও এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত। পরে ২০২০ সালের মার্চে বোম্বে হাইকোর্ট পিটারের জামিন মঞ্জুর করে।
মুক্তি পেল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী এজি পেরারিভালন। তামিলনাড়ু সরকার তাঁর মুক্তির জন্য আগেই আবেদন জানিয়েছিল। বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করে সেই আবেদনই মঞ্জুর করল দেশের শীর্ষ আদালত। ৩১ বছর জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি।
বুধবার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ছিল শুনানি। সেখানেই শীর্ষ আদালতের তরফে তাকে মুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জানানো হয়েছে, এই মামলায় অনুচ্ছেদ ১৪২ প্রয়োগ করে দোষীকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য বলছে, রাজীব গান্ধীকে হত্যার সময় ১৯ বছর বয়স ছিল পেরারিভালনের। জঙ্গি সংগঠন লিবারেশন টাইগারস অফ তামিল ইলামের সদস্য তথা রাজীব হত্যার অন্যতম চক্রী শ্রীবাসনের জন্য দু’টি ৯ ভোল্টের ব্যাটারি কেনার অভিযোগ উঠেছিল পেরারিভালনের বিরুদ্ধে। সেই ব্যাটারিই বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। পেরারিভালনের গ্রেফতারির পর ১৯৯৮ সালে সন্ত্রাস দমন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়েছিল। ১৯৯৯ সালে সেই সাজাই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। তবে ২০১৪ সালে তা বদলে যাবজ্জীবন করা হয়। চলতি বছর মার্চে এই দোষীর জামিন মঞ্জুর করা হয়। এরপরই নির্ধারিত সময়ের আগে মুক্তির আবেদন জানায় পেরারিভালন। যে আবেদনের বিরোধিতা করে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, বিষয়টি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের উপর ছাড়েন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল। কিন্তু এ ব্যাপারে অনেকটা সময় কেটে গেলেও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি রাষ্ট্রপতি। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। জানানো হয়, তামিলনাড়ু সরকার চায় রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষীসাব্যস্ত সাত জনকেই ১৬১ ধারায় ক্ষমা করা হোক। তাই রাজ্যপাল রাজ্যের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য। ফলে রাষ্ট্রপতির মতামতের জন্য অপেক্ষা করা অপ্রয়োজনীয়। এরপরই এদিন পেরারিভালনকে জেলমুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের এই রায়ই রাজীব হত্যা মাললার আরও ছয় অপরাধীর মুক্তির পথ প্রশস্ত করে দিল। যাদের মধ্যে রয়েছে নলিনী শ্রীধরন এবং তার স্বামী মুরুগনও।
বারাণসীর ওজুখানার কুয়োর মধ্যে একটি শিবলিঙ্গের (মতান্তরে ফোয়ারা) অস্তিত্ব মিলেছে বলে দাবি। সেই এলাকার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বারাণসী আদালত। তবে কোনওভাবেই এই মসজিদে নমাজ বন্ধ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত বারাণসীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নতুন নির্দেশ দিয়েছে।
বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের বিষয়গুলি পরিচালনাকারী আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির আবেদনের শুনানি করার সময় বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং পিএস নরসিমার বেঞ্চ আরও বলে, মুসলিমারা সেখানে কোনও বাধা ছাড়াই 'নমাজ' পড়া চালিয়ে যেতে পারবেন।
Gyanvapi mosque survey | Advocate-Commissioner Ajay Kumar Mishra removed from his post appointed by the court.#UttarPradesh
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) May 17, 2022
বারাণসীর সিভিল বিচারকের সামনে পরবর্তী শুনানিতে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে শীর্ষ আদালত। জ্ঞানবাপী মসজিদ সম্পর্কিত মামলার শুনানি চলছে এই কোর্টে।
অন্যদিকে, জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করার আগেই এদিন জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক দলের অ্যাডভোকেট অজয়কুমার মিশ্রকে জ্ঞানবাপী-শ্রিংগার গৌরী কমপ্লেক্সের সমীক্ষার জন্য নিযুক্ত কোর্ট কমিশনার হিসাবে অপসারণ করেছে। হঠাৎই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অজয়কুমারকে। বাকি দুই কমিশনারকে সমীক্ষা রিপোর্ট দাখিলের জন্য দুই দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
কয়লা-কাণ্ডে (Coal Scam) ইডির জিজ্ঞাসাবাদে বড়সড় স্বস্তি সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। আপাতত তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতায় জিজ্ঞসাবাদ করবে ইডি (ED)। আর্থিক তছরূপ-রোধী (PMLA) আইনে আবেদনকারী তৃণমূল সাংসদ এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই রক্ষাকবচ দিল বিচারপতি ইউইউ ললিতের বেঞ্চ। দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ।
সেই রায়েই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি আদালত বলেছে, এই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৪ ঘণ্টা আগে নোটিস পাঠাতে হবে। সেই নোটিসে জুড়তে হবে কলকাতার পুলিস কমিশনার এবং মুখ্যসচিবকে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কেন্দ্রীয় সংস্থা যাতে নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে, তাই পর্যাপ্ত পুলিসি ব্যবস্থা রাখবে প্রশাসন। কোর্টের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, তদন্তে ইডিকে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত রাজ্য। তবে তদন্তে বাধার যে অভিযোগ উঠছে, সেটা সঠিক নয়।
তাও কলকাতায় তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদে ইডি কোনও বাধার মুখে পড়লে মহামান্য শীর্ষ আদালতকে জানাতে পারে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ জুলাই। এমনটাই শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর।
বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলে গণ্য করার যে মামলা ২০১৫ সাল থেকে দিল্লি হাইকোর্টে চলছিল, তার সর্বসম্মতিক্রমে কোনও রায়দান হল না। মামলা গড়াল সুপ্রিম কোর্টে।
এই মামলায় রায়দানের সময় বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের তালিকার আওতাধীন করার পক্ষে ছিলেন বিচারপতি রাজীব শঙ্খধর। তবে তাঁর সঙ্গে সহমত হননি বিচারপতি সি হরিশঙ্কর। একদিকে যখন বিচারপতি শঙ্খধর জানান, স্ত্রীর বিনাসম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক করলে স্বামীর বিরুদ্ধে আইনত দণ্ডনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, তখন হরিশঙ্কর এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেননি। আর এর জেরেই জল গড়াল সর্বোচ্চ আদালতে।
এই মুহূর্তে দেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে যে আইন আছে, তাতে বলা হয়েছে, স্ত্রী যদি ১৮ বছরের বেশি বয়সি হন, তা হলে স্বামী তাঁর বিনা অনুমতিতে যৌন সঙ্গম করলেও অপরাধী হবেন না। হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল, বৈবাহিক ধর্ষণকেও (Marital Rape) অপরাধ বলে গণ্য করা হোক। আর এই মামলা নিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত হন দুই বিচারক।
মামলা চলাকালীন রাজীব শঙ্খধর বলেন,''বৈবাহিক ধর্ষণকে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা সংবিধানের ১৪, ১৯ এবং ২১ নম্বর ধারার বিরোধী।'' অর্থাৎ বিচারপতির বক্তব্য, ওই ছাড় দেওয়ার ফলে সমতার অধিকার, বাক্স্বাধীনতা, জীবনের অধিকার ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিচারপতি সি হরিশঙ্কর বলেন,''একজন যৌনকর্মী বা স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া মহিলা তাঁর অসম্মতিতে শারীরিক সম্পর্কে না করতে পারেন, কিন্তু একজন বিবাহিত মহিলা পারেন না!''
বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি দ্বিধাবিভক্ত রায় নিয়ে কার্যত হতাশ মামলাকারী এবং তাঁর আইনজীবী। তাঁদের মতে, এমন একটি বিষয় নিয়ে এমন মতের ফারাক আশাতীত। বৈবাহিক ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনাকে এক কথায় অপরাধ বলে চিহ্নিত করারই কথা ছিল আদালতের। তা না করে সাত বছর ধরে মামলা গড়াল, তারপরেও স্পষ্ট রায় এল না।