বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রা। এখনই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হচ্ছে জনসাধারণের। বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সপ্তাহান্তে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বাংলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়, এমনটাই জানাল হাওয়া অফিস। আজ, বুধবারও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। তবে বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকতে চলেছে। আপাতত কোথাও বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের আগামী দিন দুয়েকে তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়তে চলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর, বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃহস্পতিবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়া হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময় বাকি জেলাগুলি যেমন পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার আবহাওয়া শুকনো থাকার সম্ভাবনা। শুক্রবার নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ এবং ৩৭ শতাংশ।
গ্রীষ্মকাল (Summer) বলতেই আম-কাঁঠাল, তবে এই আম-কাঁঠাল ছাড়াও আরও একটি ফল রয়েছে যা খেতে সুস্বাদু তো বটেই, স্বাস্থ্যকরও। একাধিক গুণাগুণে সমৃদ্ধ সেই ফলটির নাম কালোজাম (Jamun)। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মকালে রোগ প্রতিরোধ করতে কালোজাম খাওয়ার থেকে ভালো কিছু হতে পারে না। ফলে চুটিয়ে জাম খাওয়া শুরু করুন আজ থেকেই। আর্থ্রাইটিস থেকে শুরু করে কার্ডিওভাসকুলার ও হাঁপানির মতো সমস্যার জন্য চিকিৎসকরাও কালো জাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। জেনে নিন, জামের আর কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফল আসলে পেটের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও হৃদরোগ, হাঁপানি এবং আর্থ্রাইটিসের মতো প্রদাহজনিত রোগের জন্যও ভালো এই ফল। ভিটামিন সি এবং আয়রন সমৃদ্ধ জাম রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বাড়াতে সাহায্য করে। আবার জাম গাছের পাতা এবং এর ছাল মাড়ির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। জামে রয়েছে অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্টের মতো বৈশিষ্ট্য যা ত্বকের সমস্যাও দূর করতে সক্ষম। কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রেও উপকারী এই ফল। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ফল পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, ফলে কিডনির রোগীদের জন্য এই ফল একেবারেই উপযুক্ত নয়।
মণি ভট্টাচার্য: একেই গ্রীষ্মে (Summer) রক্তের আকাল থাকে গোটা রাজ্য জুড়ে। এবার শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হবার পরই গোটা রাজ্য জুড়ে পুলিস ও রাজনৈতিক নেতাদের রক্তদান শিবিরের (Blood Donation) সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে, এবং তাও ভোটের পরে। যার ফলে গোটা রাজ্যের বহু মেডিকেল কলেজ সহ হাসপাতাল গুলিতে রক্তের আকাল দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, গোটা রাজ্যের বহু হাসপাতাল, বিশেষত জেলার ও শহরতলীর মেডিকেল কলেজ-হাসপাতালগুলি রক্তশূন্যতায় ভুগছে। যার ফলে থ্যালাসেমেলিয়া, ডায়ালিসিস রোগীরা বিপদে পড়তে পারেন বলে সূত্রের খবর।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের খবর অনুযায়ী, গোটা রাজ্যের জেলাভিত্তিক মেডিকেল কলেজ গুলি প্রায় রক্ত শূন্য। এছাড়া দু'একটি মেডিকেল কলেজে বর্তমানে কোনও রক্তই নেই, এমনকি জরুরি পরিষেবা সামাল দেওয়ার মত রক্ত বহু হাসপাতালে নেই। হাসপাতাল সূত্রেই খবর, মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক একেবারে রক্তশূন্য। ওই হাসপাতালের এক আধিকারিক জানান পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ায় পুলিস ও রাজনৈতিক রক্তদান শিবির গুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, যার ফলে হাসপাতাল রক্তশূন্য। জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ডোনার নিয়ে এসে রক্তের ব্যবস্থা করছে পরিবারের লোক। পাশাপাশি একপ্রকার রক্তের অভাবে ভুগছে বারাসত মেডিকেল কলেজ। ওই হাসপাতাল কতৃপক্ষ সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ রবিবার একটি ক্যাম্প আছে সেখান থেকে রক্ত এলে হাসপাতালে দুই-একদিন রক্তের চাহিদা সামাল দেওয়া যাবে। ওদিকে রক্তের আকাল পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার হাসপাতালগুলিতেও।
এমনিই গ্রীষ্মে রক্তের চাহিদা থাকলেও রক্তের আকাল থাকত হাসপাতাল গুলিতে। তখন গোটা রাজ্যের হাসপাতাল গুলিতে বিভিন্ন রক্তদান শিবিরের মাধ্যমেই রক্তের যোগান দেওয়া হত। কিন্তু রাজ্যে হঠাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায়, নিয়ম অনুযায়ী জেলাগুলিতে লাগু হয়েছে নির্বাচন বিধি। ফলে যেমন রাজনৈতিক নেতাদের রক্তদান শিবিরের সময় পরিবর্তন হয়েছে, তেমনিই বদল হয়েছে রাজ্য পুলিসের রক্তদান শিবিরের সময়সূচি। ফলে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ও মেডিকেল কলেজ গুলিতে রক্তের যোগান প্রায় শুন্য বললেই চলে। ফলে বিপদে পড়তে পারেন রোগী ও রোগীর পরিবার এমনটাই মনে করছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
পাশাপাশি রক্তশূন্যতার খবর পেয়ে থ্যালাসেমিয়া ও ডায়ালিসিস রোগীদের জন্য এগিয়ে আসছেন কিছু এনজিও সংস্থা, সেরকমই মুর্শিদাবাদের একটি এনজিও সংস্থা 'হেল্প ফর ব্রিথ' রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে। এ সংস্থার পক্ষে চয়ন মজুমদার বলেন, 'মেডিকেল কলেজের রক্তশূন্যতার খবর পেয়ে এই রক্তদান শিবির আয়োজন করেছি, যাতে আংশিক ভাবে মুমুর্ষ রোগী ও থ্যালাসেমিয়া রোগিরা রক্তের সমস্যায় না পড়ে।'
গরমে (Summer) তীব্র দাবদাহে নাজেহাল প্রত্যেকেই। আর গরম মানেই ঘাম, ধুলো-বালি। রোদে যেমন ত্বকের ক্ষতি হয়, তেমনি চুলেরও ক্ষতি হয়ে থাকে। কারণ ঘামের ফলে চুল (Hair), স্ক্যাল্প ভিজে যায়। ফলে স্ক্যাল্পে নোংরা জমে খুশকি হয় ও চুল শুষ্ক হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এইসব কারণের জন্যই গ্রীষ্মকালে চুল ঝড়ে বেশি। তবে তাঁরা কিছু টিপস দিয়েছেন, যেগুলো মেনে চললে চুল থাকবে সিল্কি, উজ্জ্বল, আবার চুল পড়ার সমস্যাও কমবে।
চুল কম ধোওয়া: গরমে চুল এমনিতেই রোদের তাপে শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই চুল একাধিকবার ধোওয়া ঠিক নয়। তবে প্রচন্ড গরমে স্ক্যাল্পে ঘাম হলে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নেওয়া উচিত।
প্রখর রোদ থেকে দূরে থাকা: যতটা সম্ভব প্রখর রোদ থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ সূর্যের তাপ চুলে সরাসরি পড়লে তা খুবই ক্ষতিকর। তাই চুলে হিট প্রোটেক্টেন্ট স্প্রে ব্যবহার করা উচিত।
টুপি বা স্কার্ফ পরা উচিত: ত্বকের মত চুলকেও সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে বাঁচাতে মাথায় টুপি বা স্কার্ফ পরা উচিত। এতে চুল শুষ্ক হয় না ও নষ্ট হওয়ার থেকেও রক্ষা পায়।
কন্ডিশনার ব্যবহার করা: এই মরসুমে চুলের আর্দ্রতা দরকার। তাই শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার দিতে না ভোলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া: হাইড্রেটেড থাকা শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ শরীর হাইড্রেটেড থাকলেই তা চুলের জন্যও উপকারী।
এখনই শেষ হচ্ছে না গরমের ছুটি। রাজ্যের স্কুলগুলির (School) গরমের ছুটির (Summer Vacation) মেয়াদ বাড়ল আরও ১০ দিন। ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের তরফে মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়েছিল, আগামী ৫ জুন থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলি। ৭ জুন থেকে প্রাথমিক স্কুলগুলিও খোলার ঘোষণা করা হয়। তবে বুধবার রাজ্যের তরফে গরমের ছুটির মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়িয়ে তা ১৫ জুন পর্যন্ত করে দেওয়া হল।
গত ২ মে থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়েছিল। পর্ষদের বার্ষিক ছুটির তালিকা অনুযায়ী, গরমের ছুটি শেষ হওয়ার কথা আগামী ৪ জুন। তার পর ৫ তারিখ থেকে স্কুল খোলা হবে কি না, সে বিষয়ে শিক্ষা দফতরের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। এর পরেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৫ জুন থেকে স্কুল খোলার কথা জানানো হয়। কিন্তু বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, এখনই গরমের ছুটি শেষ হচ্ছে না। পাশাপাশি গরমের ছুটির মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রথমে ২৪ মে থেকে সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি পড়ার কথা থাকলেও তীব্র গরমের কারণে ২ মে ছুটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সেই ছুটির কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্কুল বন্ধই থাকবে।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোকা (Moka)। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গল উত্তর আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সোমবারই ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই নিম্নচাপ থেকেই সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড় মোকা এমনটাই জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর।
পাশাপাশি আগামী ১০ ই মে পর্যন্ত গরম বাড়বে বঙ্গে। এছাড়াও পশ্চিমের জেলাগুলিতে প্রায় ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা পেরিয়ে যাবে। তবে ঝড়-বৃষ্টির প্রায় কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মাঝখানে কিছুদিন তীব্র গরমের হাত থেকে স্বস্তি মিললেও, আবারও সেই তীব্র দাবদাহের অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন রাজ্যবাসী।
সেই মতোই সপ্তাহের প্রথম দিনে অর্থাৎ সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯° সেলসিয়াস পর্যন্ত যেতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ অনেকটা। যার ফলে মানুষের মুখে যে স্বস্তির হাসি ফুটেছিল তা কিন্তু ফের গরমে হাঁসফাঁসে পরিণত হবে। কারণ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে গরমে যে ঘাম ঘাম ব্য়াপারটা সেটা কিন্তু থাকবে।
প্রতিদিন কর্মব্যস্ততার দিনে ছেলে-মেয়েদের সবচেয়ে আরামদায়ক পোশাক হল জিন্স ও শার্ট বা টি-শার্ট। আবার শীত থেকে গরম (Summer) প্রায় প্রত্যেকেই জিন্সেই ভরসা পায়। কারণ এটা পরতে তেমন কোনও ঝামেলা নেই। কিন্তু শীতকালে তো ঠিক আছে, তবে গরমে জিন্স (Jeans) পরলে ডেকে আনতে পারেন ত্বকের অনেক সমস্যা। ত্বক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জিন্স শীতকালের জন্য আদর্শ পোশাক। কিন্তু গরমে জিন্স এড়িয়ে চলাই ভালো। নতুন সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, গরমে জিন্স পরলে তা ত্বকের (Skin) অনেক ক্ষতি করতে পারে।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গরমে জিন্স পরলে তা শরীরে উত্তাপ ধরে রাখে, হাওয়া চলাচল করতে পারে না। ফলে ত্বকে অ্যালার্জি, জ্বালা, র্যাশ, ডার্মাটাইটিস ও ছত্রাকজনিত সংক্রমণ হতে পারে। এছাড়াও গরমে জিন্স পরলে ঘাম সহজে শুকোয় না, জিন্স ভিজে থাকে, ফলে ঘামের জন্য সর্দি-কাশি লেগে যেতে পারে। এছাড়াও জিন্সে ঘাম মানেই তা ব্যাকটেরিয়া, জীবাণুর জন্য ভালো। এমনকি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জিন্স একবার ধোঁয়ার পরও পরিস্কার হয় না, তাতে ব্যাকটেরিয়া থেকেই যায়। যার থেকে ত্বকের অনেক রোগ দেখা দিতে পারে।
অন্যদিকে গরমে সুতির কাপড় পরলে এমন কোনও সমস্যাই দেখা যায় না। ঘাম হলে তা সহজেই শুকিয়ে যায়। এছাড়াও পোশাকের মধ্যে দিয়ে হাওয়া চলাচল করতে পারে। আবার সুতির কাপড়ে কোনরকমের ব্যাকটেরিয়া,জীবাণু থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, গরমে জিন্সকে বাদ দিয়ে সুতির পোশাক পরতে শুরু করুন।
টলিউডের প্রথম সারির নায়িকা নুসরাত জাহান (Nusrat Jahan)। বসিরহাটের সাংসদ পদও সামলাচ্ছেন তিনিই। সাধারণত কালো কাঁচের গাড়ি ছাড়া দেখা যায় না তাঁকে। কিন্তু ছেলেবেলা, তাঁকে সেই বিলাসবহুল গাড়ি থেকেই নামিয়ে আনল রাস্তায়। পথের ধারের এক প্লেট আলুকাবলিতে ছোটবেলায় ফিরে গেলেন অভিনেত্রী। কোথায় তাঁর অভিনেত্রীসুলভ আচরণ? নুসরাত যেন স্কুল ফেরত বছর ১২'র ছাত্রী।
নিজের ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি একটি ভিডিও আপলোড করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কোনওরকম মেকআপহীন অবস্থায় অতি সাধারণ বেশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন নুসরাত। পাশে আলুকাবলির ঠেলা গাড়ি। সেই গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে জমিয়ে আলুকাবলি খাচ্ছেন নুসরাত। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, 'স্মৃতির সরণিতে এসে পড়েছি যেন। গরমের দুপুর, আলু কাবলি, তেঁতুলের আচার এবং দাদুর উষ্ণতা। এর থেকে ভালো কি হতে পারে!'
এই ভিডিও যেন উসকে দিয়েছে অভিনেত্রী মিমি এবং কৌশানীদের। নুসরাতের পোস্টের নিচে মিমি লিখেছেন, 'সমস্ত হৃদয় নস্টালজিক'। অন্যদিকে কৌশানী লিখেছেন, 'সত্যিই এটা এক্ষুনি চাই।' টলিউডের নবাগতা অভিনেত্রী লহমা ভট্টাচার্য লিখেছেন, 'উফ লোভ লাগছে'।
জেলা পুলিসের উদ্যোগে তীব্র গরমের কথা মাথায় রেখে মানবিক উদ্যোগ। মহেশতলা ট্রাফিক গার্ডের পুলিসকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হল ছাতা, জলের বোতল এবং ওআরএস-এর প্যাকেট সহ অন্য সামগ্রী। অতি গরমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করে চলেছেন ট্রাফিক গার্ডের পুলিস। এবার ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিসের উদ্যোগে মহেশতলায় ট্রাফিক গার্ডের পুলিস আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হল একটি ছাতা জলের বোতল এবং ওআরএস-এর প্যাকেট। তীব্র গরমের কথা মাথায় রেখেই জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা সবসময়ই রাস্তায় অনবরত দাঁড়িয়ে তাঁদের কাজ করতে হয়। আজ মহেশতলার বাটা মোড়ে একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ট্রাফিক গার্ডের পুলিস আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই সামগ্রী। উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার হেডকোয়ার্টার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ডিএসপি ট্রাফিক বিমান হালদার, ডিএসপি ইন্ডাস্ট্রিয়াল নিরুপম ঘোষ-সহ মহেশতলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শুবিন্দু সরকার এবং মহেশতলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অশোক ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে এক পুলিস কর্তা বলেন, 'গরমে যাঁরা ট্রাফিক সামলান, তাঁদের উৎসাহ বাড়াতে এবং শরীর সুষ্ঠ রাখতে সামার কিট তুলে দিচ্ছি। আমাদের পুলিস সুপারের নির্দেশে এবং উদ্যোগে এই কাজ। গরমকাল জুড়ে এই কর্মসূচি চলবে।'
রবিবার গরমের থেকে কিছুটা স্বস্তি পেলেও গত কয়েকদিন তীব্র দাবদাহে নাজেহাল পরিস্থিতি ছিল বঙ্গবাসীর। আর এই গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া। কিন্তু চুল ও ত্বকের যত্ন নিতে নিতে আমরা এই সময় আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখের কথাই ভুলে যাই। গরমে সূর্যের তাপ ত্বক ও চুলের পাশাপাশি চোখের উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সূর্যের ইউভি রশ্মি যেমন ত্বকের ক্ষতি করে তেমনই চোখের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে। গরমে সাধারণত ঝাপসা দৃষ্টি, শুষ্ক চোখ, ক্লান্তি, ব্যথা এবং অ্যালার্জি দেখা যায়। বিশেষ করে কাজের জন্য যাঁদের বাইরে বেরোতে হয়, তাঁদের চোখে বড় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। তাই গ্রীষ্মকালে চোখের যত্নে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। সূর্যের তাপ ও ক্ষতিকর রশ্মি থেকে কীভাবে চোখ রক্ষা করবেন, তার কিছু টিপস জেনে নিন।
সানগ্লাস পরা: প্রচণ্ড রোদে সানস্ক্রিন যেমন ত্বকের জন্য অপরিহার্য তেমনই চোখের জন্য প্রয়োজন সানগ্লাস। তাই প্রচন্ড রোদে বাইরে বেরোলেই সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।
টুপি পরা: রোদে বেরোনোর সময়ে সানগ্লাসের পাশাপাশি টুপি জাতীয় কিছুও ব্যবহার করতে পারেন। এতে তাপ থেকে মাথা এবং চোখ- দু’টিই রক্ষা পাবে। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি আপনার চোখ পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না।
দুপুরের রোদে না বেরোনো: যেসময়ে সূর্য মাথার উপর থাকে, প্রচন্ড তাপপ্রবাহ থাকে, সেসময় না বেরোনোই ভালো। দুপুরের রোদ আর তাপ চোখের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। তাই তখন বাড়িতে থাকাই ভালো।
সূর্যের দিকে সরাসরি তাকাবেন না: প্রচন্ড রোদে বেরিয়ে কখনওই সূর্যের দিকে সরাসরি তাকানো যাবে না। এতে সূর্যের রশ্মি চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে।
গরমে হাঁসফাঁস করছে বঙ্গবাসী। তীব্র দাবদাহে নাজেহাল পরিস্থিতি মানুষের। এই অবস্থায় গরম থেকে রেহাই পেতে ও কর্মজীবন থেকে কিছুটা ছুটি নিতে কারই না মন চায়। ফলে আর দেরি কিসের, উইকেন্ডে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আজই প্ল্যান করে বেড়িয়ে পড়ুন। কলকাতার আশেপাশেই এমন এমন সুন্দর জায়গা আছে, যা আপানাকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে, খরচও হবে খুব সামান্য।
দীঘা: পশ্চিম মেদিনীপুরের দীঘায় যেমন- মনোরম আবহাওয়া, তেমনই সমুদ্রের অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য। ফলে দুদিনের ছুটিতে সেখান থেকেই ঘুরে আসুন।
মন্দারমণি: সমুদ্রের আরও ভালো দৃশ্য দেখতে হলে সঙ্গীকে নিয়ে আজই চলে যান মন্দারমণি। মন্দারমণি একটি সুন্দর সমুদ্র সৈকত যা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অবস্থান করেছে। মন্দারমনি সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল সমুদ্র সৈকতের জলরাশি। এই সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য সকল পর্যটকদের মুগ্ধ করে দেয়।
দার্জিলিং: অনেক তো হলো সমুদ্র, এবার এই গরম থেকে বাঁচতে ঘুরতে যেতে পারেন দার্জিলিং। চা পাতার সুগন্ধ, পাহাড়ের মনোরম আবহাওয়া ও অতুলনীয় সৌন্দর্য দেখতে ঘুরে আসুন দার্জিলিং।
শান্তিনিকেতন: লাল ও সবুজ মাটির জায়গা বীরভূম, সেখানকারই ছোট্ট জায়গা শান্তিনিকেতন। শিক্ষা, সংস্কৃতি ঐতিহ্যে ভরা এই জায়গা আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
বোধগয়া: বিহারের ছোট্ট শহর বোধগয়া। তীর্থস্থান হিসেবেই পরিচিত এই জায়গা। এখানেই বুদ্ধদেব জ্ঞানলাভ করেছিলেন। ফলে এই জায়গা দেখতে বহুদূর থেকেও পর্যটক আসেন।
কোনার্ক: ওড়িশার শহর কোনার্ক, যা বিশেষ করে সূর্য মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। যাঁরা ইতিহাস ও স্থাপত্যকলায় বেশ আগ্রহী, তাঁদের জন্য এই জায়গা উপযুক্ত।
কলকাতার গরম (Summer) দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে। ট্রেনে-বাসে সাধারণ মানুষের মুখে একটাই কথা 'সাহারা মরুভূমির থেকেও কলকাতায় গরম বেশি মশাই'। খুব একটা ভুল কথা নয়। গরমের তেজ ভালোই টের পাচ্ছে রাজ্যবাসী। এর জন্য দায়ী কে? নেটিজেনরা বলছেন, চারিদিকে যেভাবে গাছ কেটে ফ্ল্যাট উঠে যাচ্ছে, তাতে পরিবেশের উপর অত্যাচার করছে আসলে মানুষ। এই গরম সেই সব কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া। একই কথা বলছেন গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র (Lopamudra Mitra)। গা না বাঁচিয়ে এবার সরাসরি মন্ত্রীর উদ্দেশেই মন্তব্য করলেন তিনি।
সম্প্রতি তাঁর ফেসবুক পোস্টে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ট্যাগ করে লোপামুদ্রা লিখেছেন, 'সচরাচর ট্যাগ করি না, কিন্তু করলাম।' এরপর একেবারে সরাসরি তিনি জিজ্ঞেস করেছেন, 'গরমটা কী সহ্য হচ্ছে? হবে?' দক্ষিণ কলকাতায় থাকেন গায়িকা। সেখানে গাছের পরিস্থিতি নিয়ে লোপামুদ্রা লিখেছেন,'আমাদের পাড়ায় ফুটপাথের ধরে যে বড় গাছগুলো আছে, বড় বা ছোট ঝড় এলে কেউ বাঁচবে না, কারণ শেকড় মেলার জায়গা নেই, ঘাড়ের কাছে বড় বড় বাড়ি, ডালপালার ব্যালেন্স কমে যাচ্ছে।'
গরম থেকে রক্ষা পেতে, এই গাছের ক্রমাগত ধ্বংস থেকে বাঁচতে লোপামুদ্রা লিখেছেন, 'দক্ষিণ কলকাতার লেকে কী জঙ্গল বানাতে পারি না আমরা ?' তিনি আরও কড়া সুরে বলেন, 'গা বাঁচানোর আরেক নাম সহ্য, আর সহ্য হচ্ছে কী?
গ্রীষ্ম (Summer) হোক বা বর্ষা, যেকোনও পরিস্থিতিতেই ছেদ নেই বিনোদনে (Entertainment)। কিন্তু পর্দায় গা ভর্তি গয়না, বেনারসি শাড়ি পরিহিতা যে বিলাসী চরিত্রদের দেখা যায়, বাস্তবে শ্যুটিংয়ের (Shooting) অভিজ্ঞতা কিন্তু অন্যরকম। প্রত্যেক মাসের দ্বিতীয় রবিবার ছাড়া বাকি প্রত্যেকটি দিন ১৪ ঘন্টা শ্যুটিং করতে হয়। এই গরমের মধ্যে ফ্লোরে শক্তিশালী আলোর সামনে কাজ করতে হয় অভিনেতাদের। আবার প্রয়োজনে আউটডোর শ্যুটিংয়েও যেতে হয়। এই পরিস্থিতিতে অভিনেতাদের নিয়ে চিন্তিত 'ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান্স এন্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া'র সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। শ্যুটিং নিয়ে একাধিক নতুন নিয়ম তৈরী করতে চাইছেন তিনি।
স্বরূপ রায় জানিয়েছেন, এই গরমে শ্যুটিং করা, আউটডোর শ্যুট করা সত্যিই কষ্টের। তাই তিনি ইতিমধ্যেই প্রযোজক গিল্ড (ডব্লুএটিপি) এবং ইম্পা অর্থাৎ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স এসোসিয়েশকে আলোচনায় বসার জন্য মেইল করেছেন। তিনি আবেদন জানিয়েছেন, এই গরমে যেন আউটডোর শ্যুটিং বন্ধ রাখা যায়। একইসঙ্গে দুপুরবেলা শ্যুটিং বন্ধ রাখা হোক, এই আবেদনও জানিয়েছেন।
অন্যদিকে গরমে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন অভিনেতারা। শরীর ডিহাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমানে জল, ফল এবং ওআরএস জাতীয় পানীয় খাচ্ছেন তাঁরা। প্রত্যেকদিনের শ্যুটিংয়ে এই পরিবর্তন এলে, তাঁরা এই গরমে খানিকটা রেহাই পাবেন।
গরমে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহে (Heat) যখন-তখন শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে। যার জন্য মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। এই প্রখর রোদের তেজে সাধারণত মানুষদের হিট স্ট্রোকের (Heat Stroke) মত সমস্যা দেখা যায়। প্রচন্ড গরমের ফলে শরীর যখন খুব গরম হয়ে যায়, সেই অবস্থাকেই হিট স্ট্রোক বলা হয়। এই অবস্থায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি সঙ্গে সঙ্গে দেহের তাপমাত্রা না কমানো হলে বা তাঁর চিকিৎসা না করানো হলে তাঁর প্রাণ পর্যন্ত যেতে পারে। সূত্রের খবর, গ্রীষ্মকাল (Summer) পড়তেই দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন হিট স্ট্রোকে।
তীব্র সূর্যালোকে থাকার ফলে মানুষের হিট স্ট্রোকের সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় দেহের তাপমাত্রা প্রচন্ড বেড়ে যায়, বমি-বমি ভাব হয়, হার্ট রেট বেড়ে যায়, প্রচন্ড ঘাম হয়, এমনকি অজ্ঞানও হয়ে পড়েন মানুষ। এই সময় সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না করা হলে মৃত্যুও হয়ে যায়।
ফলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কীভাবে হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। সবসময় হাইড্রেটেড থাকতে হবে। সানস্ত্রিন ব্যবহার করতে হবে। তীব্র সূর্যালোকে হালকা রংয়ের ও ঢিলে ধরনের পোশাক পরতে হবে, সবসময় ছাতা ব্যবহার করতে হবে। সূর্যের প্রখর তেজ থেকে দূরে থাকাই ভালো, তবে যাদের বাইরে বেরোতেই হয়, তাঁদের এসব নিয়ম মেনে চলা উচিত।
গরমে হিমশিম খাচ্ছেন কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। নবাব কন্যা হয়েও সারা আলি খান (Sara Ali Khan) বাদ যাননি গরমের তাপ থেকে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আবহে থাকেন ঠিকই। তবু এই গরমে জলে গা এলাতে চাইলেন সারা। ঝাঁপ দিলেন জলে। অন্য কিছু নয়, এই গরম থেকে রেহাই পেতে নামলেন সুইমিং পুলের জলে। সবুজ সুইমিং পুলের জলে, হালকা বেগুনি রঙের বিকিনি পরে সাঁতার কাটছেন অভিনেত্রী। দেখে মনে হবে যেন মৎস-কন্যা।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সেই ভিডিও আপলোড করে সারা লিখেছেন, 'সাঁতার কাটা রৌদ্রজ্জ্বল ব্যাপার। বেঁচে থাকা খুব সুন্দর।' এদিকে সারা আলির সাঁতার সেশন দেখে নেটিজেনরা খুব খুশি। কেউ কেউ কমেন্ট করেছেন 'কিউটি'।