Breaking News
ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...      NIA: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ NIA     

Sujan

DumDum: নজরে দমদম...

প্রসূন গুপ্তঃ লোকসভা বটে দমদম। স্বাধীনতা উত্তর যুগে এই দমদম যে কত ঘটনার সাক্ষী তা আর বলে দিতে হয় না। ড.বিধান রায়ের আমলে দমদম ছিল একেবারে কংগ্রেসের নিজের জমি। দমদম লোকসভায় যারা তখন ভোটার ছিল তাদের সিংহভাগই ছিল ওপার বাংলা থেকে আসা উদ্বাস্তু। ড.রায় তাদের পুনর্বাসন দিয়েছিলেন। নামমাত্র টাকায় জমি দিয়েছিলেন বসবাসের জন্য এবং চাকরি ও কন্ট্রাক্টারি করার সুযোগ করেও দিয়েছিলেন। কিন্তু ড.রায়ের মৃত্যুর পরে ধীরে ধীরে এই দমদম হয়ে উঠলো কমিউনিস্টদের চারণ ভূমি। ৭০ দশকের মধ্যভাগ থেকে সিপিএম একেবারে দখলদারি নিয়ে নিলো দমদমের। এই লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভাগুলি ও পুরসভা দখলে এলো মার্কসবাদীদের। বলা হতো লালদুর্গ। ১৯৮৫-তে ইন্দিরা নিধনের পরে একবার দমদমে যেতে কংগ্রেসের আশুতোষ লাহা। ব্যাস ফের দমদম হাতছাড়া হয় সেই ১৯৯৯ তে, যে বার বিজেপির তপন শিকদার এখন থেকে জেতেন। তারপর ২০০৯-এ পরিবর্তনের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সৌগত রায় পরপর তিন বার জিতেছেন এই আসন থেকে। অর্থাৎ লালদুর্গের পতন হয়।

এবারে লোকসভা নির্বাচন এসে গিয়েছে। প্রার্থী ওই প্রবীণ সৌগতবাবুই। ২০১৪ এবং ২০১৯ এর মোদী হাওয়াতে পরিবর্তিত হয় নি দমদমের মুড। প্রশ্ন এবারে কি হবে?

বৃদ্ধ হলেও সৌগতবাবু এখনও দৌড়ে বেড়ান এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। বিভিন্ন এলাকার মানুষকে তিনি যেমন সময় দেন তেমনই মানুষও তাঁকে কাছে পায়। কাজেই প্রাথমিক ভাবে জয় নিয়ে যে খুব একটা টেনশনে তিনি এমনটি বলা যাবে না কিন্তু ১৩ বছর ক্ষমতায় আছে তৃণমূল অতএব বিপরীত হাওয়া যে বইবে না এমন গ্যারান্টি কোথায়? এবারে এখানে সিপিএমের জাঁদরেল প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী এবং বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন তৃণমূলের শীলভদ্র দত্ত। শীলভদ্র এলাকার বাসিন্দা। প্রথম রাজনীতি কংগ্রেসের হাত ধরে পরে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে। পরে মুকুল দল ছাড়লে শীলভদ্রও দল ছাড়েন। বিজেপির হয়ে ২০২১ এর ভোটে পরাজিত হন।

অন্যদিকে সুজন চক্রবর্তীর দল আজ শূন্যে পরিণত হলেও ওজনদার প্রার্থী তিনি। তিনি যে এই ভোটের অন্যতম ফ্যাক্টর তা আর বলে দিতে হয় না। কাজেই সুজনের প্রাপ্তি ভোট, হয় বিজেপিকে অথবা তৃণমূলকে জেতাবে তা বলাই বাহুল্য। সুজন ভোট নিদারুন কম পেলে শীলভদ্রের লাভ এবং বেশি পেলে ফের সৌগত।

3 weeks ago
Election: প্রচারের নানান রূপ

প্রসূন গুপ্তঃ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের কিংবা লোকসভা ভোটে প্রচারের নানান রূপ দেখা যায়। পন্ডিত নেহেরু অবিশ্যি এসবে বিশ্বাস করতেন না, কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী ভোট প্রচারে গেলে সারা দেশ জুড়ে তাঁকে ঘুরতে হত এবং একেকটি রাজ্যে গেলে পারদপক্ষে সেখানকার পোশাক (অবশ্যই শাড়ি) পড়তে দেখা যেত। রাজীব গান্ধীর প্রচারের সময়ে দেখা যেত নিজেই গাড়ি চালিয়ে এক স্থান থেকে অন্য কেন্দ্রে যেতেন। বাংলাতেও তাই দেখা যেত। জ্যোতি বসু অবিশ্যি কটাক্ষ করে বলতেন যে, পাইলট ছিলেন তাই অভ্যাসটি যায়নি, এখনও দেশটিকে এরোপ্লেন বলে মনে করেন। যাই হোক না কেন রাজীব কিন্তু ওসব পরোয়া করেননি। একই অভ্যাস অবশ্যই নরেন্দ্র মোদীরও রয়েছে। আসলে এঁরা যথেষ্ট সুদর্শন, কাজেই সেগুলো তাঁদের ইউএসপি বলেই ধরে নেওয়া হতো বা হয়।

তবে এই রাজ্যে বিভিন্ন পোশাকের বহর প্রথম দেখা গিয়েছিলো সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মধ্যে। এরপর কমিউনিস্ট সরকারে পোশাক আশাক ইত্যাদি নেতাদের মধ্যে একেবারেই দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিশ্যি জেলা ভিত্তিক নানান ব্যবহার করেছেন। জঙ্গলমহলে তাঁর সাঁওতালদের সঙ্গে নাচ বা গানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। যদিও ভোটের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই ভিন্ন মুডে থাকেন। রাজ্য বিজেপিতে ভিন্ন রূপে নেতাদের দেখা গিয়েছে বিস্তর।

এবারের নির্বাচনে দেখা গেল, দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচারে সবকটি দলই রং খেলায় মেতেছেন। দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর থেকে হুগলি বা বীরভূম সহ প্রায় প্রতিটি জায়গায় প্রার্থীরা মেতেছিলেন আনন্দ উৎসবে। বাদ নয় সিপিএম প্রার্থীরাও। আজকের প্রচারে কাঠখোট্টা ভাষণে মানুষ বোধহয় আনন্দ পায় না। এখন জমজমাট ভাষণ দিতে পারে হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র। সোশ্যাল নেটের যুগে নতুনত্ব আনতেই আজকের রাজনৈতিক দলে সেলিব্রেটিদের আনাগোনা। তাঁরা কোথাও খাবার পরিবেশন করছেন, কোথাও নিজেরাই খেতে বসেছেন। কোথাও পুজোতে খঞ্জনি বাজাচ্ছেন আবার আসন্ন ঈদ উপলক্ষে হাজিরা দিচ্ছেন ইফতারে। করতেই হবে, ভোট যে বড়োই বালাই।

3 weeks ago
CPM: কেন্দ্র বদল সুজনের, যাদবপুরে সৃজন, একনজরে বামেদের প্রার্থী তালিকা

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি এখনও। তৃণমূল, বিজেপির পর এবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামফ্রন্ট। প্রার্থী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেইন শরিকদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বৃহস্পতিবার বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠক করে ১৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন। তাঁদের মধ্যে সিপিএমের ১৩ জন এবং বাকি ৩ প্রার্থী শরিকদের। একনজরে দেখে নিন প্রার্থীতালিকা।

কোচবিহার: নীতীশচন্দ্র রায় (ফরওয়ার্ড ব্লক)

জলপাইগুড়ি: দেবরাজ বর্মন (সিপিএম)

বালুরঘাট: জয়দেব সিদ্ধান্ত (আরএসপি)

কৃষ্ণনগর: এস এম শাদি (সিপিএম) 

দমদম: সুজন চক্রবর্তী (সিপিএম)

যাদবপুর: সৃজন ভট্টাচার্য (সিপিএম)

কলকাতা দক্ষিণ: সায়েরা শাহ হালিম (সিপিএম)

হাওড়া: সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় (সিপিএম)

শ্রীরামপুর: দীপ্সিতা ধর (সিপিএম)

হুগলি: মনোজিৎ ঘোষ (সিপিএম)

তমলুক: সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় (সিপিএম)

মেদিনীপুর: বিপ্লব ভট্ট (সিপিআই)

বাঁকুড়া: নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত (সিপিএম)

বিষ্ণুপুর: শীতল কৈবর্ত (সিপিএম)

বর্ধমান পূর্ব: নীরব খান (সিপিএম)

আসানসোল: জাহানারা খান (সিপিএম)

তবে এদিন যে ১৬ টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানের ১৪ জনই ওনতুন মুখ। ভোট বৈতরণী পার হতেই তরুণ মুখেদের উপরেই ভরসা রেখেছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ম্যানেজাররা। তবে কয়েকটি আসন নিয়ে রীতিমত চাপের মুখে পড়তে হয়েছে বামফ্রন্টকে।

তবে এদিন ডায়মণ্ডহারবার কেন্দ্রের জন্য কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। ওই কেন্দ্র থেকে নওশাদ দাঁড়াতে পারে বলে জোর জল্পনা চলছে। তবে এই বিষয়ে আলোচনা চলতেই পারে বলে দাবি বিমান বসুর। তবে জোট নয়, আসন সমঝোতার উল্লেখ করেন তিনি।  বলেন, “বামফ্রন্টের শরিকদলগুলি ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে কোনওদিনই জোট ছিল না। ভোটে লড়ার জন্য আসন সমঝোতা হয়েছিল। এবারেও হতে পারে।”

a month ago


Sujan: অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি সিপিআইএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। তাঁকে বাইপাসের ধরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সুজন চক্রবর্তীর পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আচমকাই শ্বাসকষ্ট ও পেটে ব্যথা ওঠে সুজন বাবুর। তারপরে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালকে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওখানে উপস্থিত হয়েছেন বামফ্রন্টের কিছু যুব নেতৃত্বরা।

one year ago
Kunal: পার্থর দাবির ঠিক আগেই কুণালের ট্যুইটে সেই তিন জনের নাম, নিছক কাকতালীয়?

মনি ভট্টাচার্য: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না, কুণাল (Kunal ghosh) ঘোষের টুইটে যাদের নাম, আদালতে ঢোকার সময়ে পার্থর (Partha chattopadhyay) মুখেও শোনা গেল তাদের নাম। বিতর্কের শুরু বৃহস্পতিবার। আলিপুর বিশেষ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পেশ করে পুলিস  (Central agency)। আদালতে ঢোকার মুখে পার্থ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন,  'এখন দিলীপ বাবু, সুজন বাবু, অধীরবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন, তারা নিজের দিকে দেখুন, উত্তরবঙ্গে তারা কী করেছেন? তারা ২০০৯-২০১০-এ সিএজি রিপোর্ট পড়ুন, সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছে, যেহেতু আমি তাদেরকে বলেছি আমি সাহায্য করতে পারবো না, আমি নিয়োগ কর্তা নই, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারব না।'

এই নামগুলি উল্লেখ করে একই বিষয়ে পার্থ বাবুর বক্তব্যর, মিনিট ১৮ আগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক একটি টুইট করেন, সেখানে তিনি বলেন, 'দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য আরও কয়েকজন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? কুণালবাবু বৃহস্পতিবার তার টুইটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের খোঁচা দিয়ে বলেন, 'তদন্ত হোক, কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।' যারপরেই কিন্তু শুরু হয়েছে বিতর্ক।

বিতর্ক ঠিক কোন জায়গায় ? বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা ৪২ মিনিটে কুণালের টুইট। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় সাংবাদিকদের পার্থ ওই নামগুলোই বলেন, যেগুলো তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক টুইটে উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনা কি নিছকই কাকতালীয়? নাকি সমাপতন। প্রশ্ন উঠছে, কুণালবাবুর সঙ্গে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও যোগাযোগ আছে? পার্থবাবু কি কুণাল ঘোষকে আগাম কিছু বলেছিলেন, যার ভিত্তিতে এই টুইট করেন তিনি? যদিও তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, পার্থর সঙ্গে কুণালের সম্পর্ক একেবারেই সুমিষ্ট নয়। যদিও এই বিতর্কে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা।

এ বিষয়ে বাম নেতা, সুজন চক্রবর্তী সিএন-কে বলেন, 'যারা বলছে তাঁদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ২০০৯ সালে উনি তো বিরোধীদের লোক ছিলেন, সেই সময় পার্থ কোথায় ছিলেন? এগুলো মাথা খারাপের লক্ষণ।'

একই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'পার্থ যে সময়ের (২০০৯-২০১০) কথা বলছে সেই সময়ে আমি রাজনীতিতেই আসিনি, ওর অভিযোগ প্রমাণ হলে পার্থর বদলে আমি জেলে যাবো ।' যদিও এ বিষয়ে কুণাল ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

one year ago


TET: ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ 'সুজন চক্রবর্তী,শুভেন্দু অধিকারী দিলীপ ঘোষ', তালিকা প্রকাশ পর্ষদের

২০১৪-র টেট পরীক্ষা (TET 2014) দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) এবং শুভেন্দু অধিকারী! শুনতে বিস্ময়কর হলেও এটাই সত্যি। ১১ নভেম্বর ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board)। পাশ প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন "দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারীর" নাম। জেনারেলে ক্যাটাগরিতে নাম আছে শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তীর আর ওবিসি ক্যাটাগরিতে নাম দিলীপ ঘোষ।


সফল প্রার্থীতালিকার সঙ্গে রাজ্যের রাজনীতিবিদদের নাম এভাবে মিলে যাওয়া কি কাকতালীয়? এই নামে অন্য প্রার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁরাই কি ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলার রাজনীতিতে। যদিও এবিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন একদল আইনজীবী।


তবে আইনজীবী তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির মত, 'পুরোটাই অনুপ্রেরণা এবং জালিয়াতি। মানুষ যখন নকল বা জালিয়াতি করে তখন এভাবেই ভুল করে। কতটা জালিয়াতি আবার প্রমাণিত।' সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'আমার নামে আর কারও নাম থাকতেই পারে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, এঁরা সবাই নাকি ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের নামটা বাদ গেল কেন। উদোর পিন্ডির ভুঁদোর ঘাড়ে দেওয়া, দুর্নীতিকে স্পষ্ট করা। পথে বসে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ঠিক। এই তালিকার কোনও মূল্য নেই।' 

one year ago
Reaction: 'দেবযানীর মায়ের চিঠি ভিত্তিহীন', বিবৃতি সিআইডির, প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়া সুজন-শুভেন্দুর

দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের (Debjani Mukherjee) করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর মায়ের লেখা চিঠি ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিল সিআইডি। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ, সিআইডি (CID) একটি তদন্তকারী সংস্থা, আইনের মধ্যে থেকেই কাজ করে এবং আগামি দিনের করবে। জয়নগর থানায় দায়ের হওয়া একটা মামলার প্রেক্ষিতে বয়ান রেকর্ড করতে ২৩ অগাস্ট দমদম জেলে (Dumdum Jail) গিয়েছিলেন সিআইডির একজন তদন্তকারী অফিসার। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলের মহিলা পুলিস এবং সংশোধনাগারের অন্য কর্মীরা। আদালতের নির্দেশে দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের বয়ান রেকর্ড করেন সিআইডির আইও বা তদন্তকারী অফিসার।

তাই দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মায়ের আনা অভিযোগ খণ্ডন করছে সিআইডি এবং সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ ধরনের মিথ্যা প্রচারে কান না দিতে। তবে দেবযানীর এবং তাঁর মায়ের লেখা চিঠিতে দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে সুদীপ্ত সেনের থেকে টাকা নেওয়ার বয়ান লিখতে চাপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই দু'জনের মধ্যে অন্যতম সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'কাজ করবে না, সিআইডিকে দিয়ে আকাজ করাবে রাজ্য প্রশাসন।' সিপিএম নেতা জানান, যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে আমরা প্রস্তুত। ৮ বছর ধরে একজন জেলবন্দি, তাঁকে দিয়ে এখন বয়ান লেখাতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। একুশের ভোটের আগেও একটা চিঠি লেখানো হয়েছিল, সেখানে আমার নাম, বিমান বসুর নাম ছিল এই কাণ্ডের তদন্ত হোক। কোন অফিসার, কোন তৃণমূল নেতার অঙ্গুলিহহেলনে এই কাজ করেছে সেটাও তদন্তের আওতায় আনা হোক। এভাবেই দেবযানী মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য প্রশাসন এবং শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সুজন চক্রবর্তী।

পাশাপাশি রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, যার নামও উল্লেখ মা-মেয়ের চিঠিতে। শুভেন্দুর ট্যুইট, 'অপমান, সম্পূর্ণ অপমান। একসময়ের মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা সিআইডি এখন বাংলার পিসি-ভাইপোর বেতনভুক দ্বাররক্ষী হয়ে উঠছে। বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার জন্য বিচারাধীন বন্দিকে ভয় দেখিয়ে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের স্বার্থরক্ষায় অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে সিআইডি।'

2 years ago
CID: 'শুভেন্দু-সুজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান লিখতে চাপ সিআইডির', বিস্ফোরক চিঠি দেবযানীর মায়ের

সারদা-কাণ্ডে এবার রাজ্যের সিআইডির (Bengal CID) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায় (Debjani Mukherjee)। রীতিমতো হাইকোর্টকে চিঠি লিখে তিনি বিহিত চেয়েছেন। সিআইডি ২৩ অগাস্ট দমদম জেলে এসে তাঁকে চাপ দিয়েছে। এবং বয়ানে লিখতে বলেছে শুভেন্দু অধিকারী এবং সুজন চক্রবর্তী(Suvendu-Sujan) সারদার (Sharada Case) থেকে ৬ কোটি টাকা করে নিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টকে ৪ সেপ্টেম্বর পাঠানো দেবযানীর চিঠিতে উল্লেখ, '২৩ অগাস্ট সিআইডি জেরার নামে দমদমে জেলে এসে কিছু প্রশ্ন করেছে। শেষে তাঁরা জানতে চেয়েছে আমি কি জানতাম রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সুদীপ্ত সেনের ছয় কোটি টাকা নিয়েছেন। কিন্তু আমি তাঁদের বলি এই তথ্য আমার জানা নেই। আপনারা বরং ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। এরপরেই ওরা আমাকে বলে যেহেতু আমি অপরাধ প্রমাণের আগে ৮ বছর জেল খেটে নিয়েছি, তাই আমাকে সারদা-কাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী করে দিতে পারেন।'


তিনি হাইকোর্টের উদ্দেশে চিঠিতে আরও লিখেছেন, 'আমি ওদের আমার কেস ডিটেইলস সম্বন্ধে জানতে চাইলে ওরা জানিয়েছিল এডিজি সিআইডির সঙ্গে কথা বলে আমার আইনজীবীর কাছে পাঠাবে। আমার বিরুদ্ধে শারদা সংক্রান্ত মোট ১১টি মামলা রয়েছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেনি। তবে ওরা আবার সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে জেলে আসবেন।' 

হাইকোর্টের উদ্দেশে দেবযানীর আবেদন, 'পুরো বিষয়টা মহামান্য আদালতের কাছে রাখলাম। আশা করব কোর্ট যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। যাতে আমি জেলের বাইরে বেরোতে পারি।'

দেবযানীর এই চিঠির মধ্যেই তাঁর মা শর্বাণী মুখোপাধ্যায় পৃথক একটি চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআইকে। সেই চিঠিতে তিনি বিশেষ করে সিআইডি অফিসার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে মেয়ের উপর মানসিক চাপ তৈরি করার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন। শর্বাণী মুখোপাধ্যায় লেখেন, '২৩ অগাস্ট দমদম জেলে এসে ওসি সিট ভবানী ভবন ইনস্পেক্টর অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় আমার মেয়েকে মিথ্যা বয়ান লেখাতে চাপ দিয়েছেন। রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের সামনেই সুদীপ্ত সেনের থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। এই বয়ান না লিখলে আমার মেয়েকে আরও ৯টি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে এই হুমকিও দেওয়া হয়েছে।' 


সিবিআইকে লেখা চিঠিতে দেবযানীর মা জানান, আমার মেয়ে শঙ্কিত। ৫ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলার সময় তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে মেয়ে আমায় একটি চিঠি পাঠায়। সেই চিঠির প্রতিলিপি আমার এই চিঠির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল। আমার মেয়ের বক্তব্য তিনি শুভেন্দু অধিকারী বা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে কোনওদিন সাক্ষাৎ করেনি। তাও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান না লিখলে আমার মেয়েকে আরও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।' 

2 years ago