
প্রেমের (Love) প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন 'প্রেমিকা', আর এই দেখেই হাইকোর্টের মধ্যেই নিজেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করলেন এক যুবক। ঘটনাটি কেরলের (Kerala) ত্রিশূর জেলার। সূত্রের খবর, প্রেমিকাকে বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হলে তাকে কেরল হাইকোর্টে (Kerala High Court) হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে প্রেমিকার সামনে তার প্রেমের কথা বললেও তরুণী তা অস্বীকার করে নেন। আর প্রেমিকার এমন ব্যবহার দেখেই আদালতের মধ্য়েই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেন যুবক। পকেট থেকে ছুরি বের করে নিজের হাতের শিরা কেটে ফেলেন তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্রের খবর, ৩১ বছর বয়সী যুবক বিষ্ণু কেরলের ত্রিশূর জেলার বাসিন্দা। ২৩ বছরের তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি এক মাস তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু তরুণীর বাবা 'হেবিয়াস কর্পাস' মামলায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ তাঁর মেয়েকে জোর করে বন্দি করে রাখা হয়। এরপরই বিষ্ণুকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে বিষ্ণু তাঁদের প্রেমের কথা বললেও তরুণী তা অস্বীকার করে নেন। এমনকি তিনি জানান, তাঁদের মধ্য়ে কোনও প্রেমের সম্পর্কই নেই। তাঁকে ভাইয়ের মতো দেখেন। এছাড়াও তাঁকে সেখানে আটকে রাখার জন্য হুমকি দিতেন বলে দাবি করেন তরুণী। পরে তিনি এও জানান, তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গেই থাকতে চান।
এসব শুনেই 'প্রেমিক' বিষ্ণু পকেট থেকে ছুরি বের করে নেন ও আদালতে বিচারক অনু শিবারমনের সামনেই হাতের শিরা কেটে ফেলেন। অবিলম্বে পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে ও তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। এবার আবাসিকদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করল নিহত স্বপ্ননীল কুণ্ডুর বাবা রমাপ্রসাদ কুণ্ডু। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিস। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রমাপদ কুণ্ডু জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তাঁকে ফোন করে সমবেদনা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনে মমতা তাঁকে জানিয়েছেন, ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না, কিন্তু দোষীদের কড়া সাজার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। সূত্রের দাবি, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট উপর থেকে পড়েই মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, ওই পড়ুয়ার মাথার বাঁ-দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই একইদিকে পাঁজর এবং পেলভিস ভেঙে গিয়েছে বলেও ময়নাদতন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোনও উচু জায়গা থেকে পড়ে গেলে যে ধরণের ক্ষতের চিহ্ন থাকে সেই ধরণের ক্ষতই স্বপ্নদীপের ময়নাতদন্তে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়া স্বপ্নদীপের মামা অরূপ কুন্ডু। তিনি বলেন, "হ্যাঁ, ব়্যাগিং হয়েছে। না হলে ওর মতো, ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। ক্লাস অ্যাটেন্ড করেছে। কালকেও ক্লাস করে বাবার সঙ্গে কথা বলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও কোনও সমস্যা নেই।'
রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের। পুলিস জানিয়েছে, ফ্লাট থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ (Death) উদ্ধার হয়েছে। দেহের পাশেই আবার পড়ে রয়েছে সুইসাইড নোট (Suicide Note)। সেই সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে- 'যে প্রহারের দাগ নিয়ে চলে গেলাম, এর শোধ কেউ নেবে। আমার মৃত্যুর জন্য কৌশিক দায়ী।' চলতি সপ্তাহের সোমবার চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের দেহ উদ্ধার হয় ব্যারাকপুর সেনা ছাউনির অফিসার্স কোয়ার্টার্স ‘ম্যান্ডেলা হাউস'-এর ২০ নম্বর ফ্ল্যাটের একটি ঘর থেকে। ঘরের সিলিং ফ্যানে শাড়ির ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দেহটি। প্রজ্ঞাদীপার মায়ের দাবি, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না, তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর জন্য তিনি দায়ী করছেন মেয়ের লিভইন পার্টনার কৌশিক সর্বাধিকারীকেই। আর এই বিষয়েই মা ঝর্ণা দেবী ব্যারাকপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও সমস্ত বিষয়টির তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে মৃতের মা ঝর্ণা দেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সেনা ডাক্তার তথা কৌশিক সর্বাধিকারীকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে ব্যারাকপুর (Barrackpur) থানার পুলিস (Police)।
এই বিষয়ে মৃতের মা ঝর্ণা দেবী জানান, মেয়ের শরীরে এবং মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। মেয়ে যেখানে থাকতো। সেই বাড়ি ব্রিটিশ আমলের বাড়ি। বাড়ির ছাদটি প্রায় ১১ ফুটের। সেখানেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।
মা ঝর্ণা হালদার আরও জানান, মেয়ে প্রজ্ঞাদীপা হালদারের প্রথম ২০১৩ সালে বিয়ে হয়। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকে না, ফলে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মেয়ে প্রজ্ঞাদীপা পেশায় একজন চিকিৎসক। বারাসত ব্লক ১ নম্বরের অন্তর্গত ছোট জাগুলিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করত। বিবাহ বিচ্ছেদের পরই ব্যারাকপুরে সেনা হাসপাতালে কর্মরত কৌশিক সর্বাধিকারীর সাথে সম্পর্ক হয় মেয়ের। কৌশিক বাবুর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর ২০২০ সাল থেকে ব্যারাকপুরে কৌশিকের সঙ্গেই থাকতো মেয়ে। তিনি আরও জানান, মেয়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিলো রবিবার। সোমবার সারাদিন ফোন করলেও মেয়েকে ফোনে পাওয়া যায়নি। অবশেষে মাঝরাতে ফোন আসে মেয়ে সেনা হাসপাতালে রয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই পরিবার প্রতিবেশীদের নিয়ে ছুটে যায় ব্যারাকপুরে। ততক্ষণে সব শেষ।
মৃতের মা ঝর্ণা হালদারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রজ্ঞাদীপার ওই লিভইন পার্টনারকে। বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে আটক করা হয় ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে। কৌশিকের বিরুদ্ধে মৃতের মা ঝর্ণা দেবীর অভিযোগ, তিনি প্রজ্ঞাদীপার উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন এবং তাঁকে আত্মহননে প্ররোচিত করেছিলেন। প্রজ্ঞাদীপা তাঁর সুইসাইড নোটেও কৌশিককে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গিয়েছেন বলে জানা যায়।
পুলিস সূত্রে খবর, ময়না তদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ, প্রজ্ঞাদীপার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যে ঘর থেকে ওই ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে অনেক জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। বিছানার পাশেই টেবিলের উপরে রাখা হুইস্কির বোতল, কাচের গ্লাসে সেটির পড়ে থাকা অবশিষ্টাংশ, লন্ডভন্ড বিছানা-বালিশ। এমন অনেক অসঙ্গতি তদন্তকারীদের মনে একাধিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটেরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার সেন্ট্রাল আশিস মৌর্য জানান, গত ২০ তারিখ এই ঘটনা কেস রেজিস্ট্রার করা হয়। যেখানে আত্মহননের প্ররোচনার অভিযোগ রয়েছে। সুইসাইড নোটেও অভিযুক্ত কৌশিকের নাম উল্লেখ করা আছে। বৃহস্পতিবার অভিযোগের ভিত্তিতে কৌশিক সর্বাধিকারীকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার অভিযুক্তকে ব্যারাকপুর আদালতে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পেশ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সুইসাইড নোটে যেহেতু উল্লেখ আছে কৌশিক সর্বাধিকারীর নাম, তাই পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে তার এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অনুমান করা হচ্ছে। এরপর পুলিসি হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে গোটা ঘটনার সঠিক তথ্য পাওয়া যেতে পারে, জানান বলে পুলিস কমিশনার।
মাধ্যমিকে অকৃতকার্য (Failed) হওয়ার অভিমানে আত্মঘাতী (Suicide) হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Secondary students)। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার টামনা থানার অন্তর্গত (Purulia) ডুরকু গ্রামে। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ওই পরীক্ষার্থীর নাম দীপিকা মাহাতো। দীপিকা পুরুলিয়া শান্তময়ী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ছিল।
মৃত ওই পরীক্ষার্থীর পরিবারের সূত্রে খবর, শুক্রবার দীপিকা অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পারে সে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি বাড়িতে জানা জানি হতেই পরিবারের সদস্যরা দীপিকা কে সামান্য বকাবাকি করে। তার পরেই কার্যত মানসিকভাবে অবসাদে ভেঙে পরে দীপিকা। এদিন বিকেলের পর থেকে দীপিকার কোনো খোঁজ না মেলায় তাঁর খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। তার পর বাড়ির একটি ঘর বন্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়েই পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। তড়িঘড়ি দরজা ভাঙতেই দেখা য়ায় সিলিং পাখায় ঝুলছে দীপিকার নিথর দেহ। দ্রুত তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। পাঠানো হয় পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর পরেই ময়না তদন্ত জন্য দেহ মর্গে পাঠানো হয়।
একটি বহুতল আবাসনের থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) এক তরুণী৷ মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর (Narendrapur) থানা এলাকার কামালগাজি মোড়ের একটি বহুতলে। খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিসকে (Police)৷ পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Death) বলে ঘোষণা করেন৷ ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম শ্রীময়ী মিশ্র (২৯)। তাঁর বাবা কর্মসূত্রে জঙ্গিপুর এলাকায় থাকেন। তবে মা অসুস্থ হওয়ায় কসবা এলাকায় মায়ের সঙ্গেই থাকতেন শ্রীময়ী। ওই বহুতল আবাসনের ১৮ তলায় সম্প্রতি তাঁরা একটি ফ্ল্যাট নিয়েছেন৷ যদিও এখনও সেখানে বসবাস শুরু করেননি তাঁরা। তবে মঙ্গলবার ফ্ল্যাটে আসেন ওই তরুণী। বাড়ির গাড়ির চালককে সঙ্গে নিয়েই এসেছিলেন তিনি৷ এমনকি ওই বহুতলের ১৮ তলাতেও যান তিনি। তারপরেই হঠাৎ আবাসনের নীচে অদ্ভূত শব্দ পেয়ে দৌড়ে আসেন বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা৷ তারপরেই তাঁরা এই ঘটানটি দেখতে পান।
পুলিস জানিয়েছে, কেন কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত তরুণীর বাবাকে ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে। এমনকি তিনি জঙ্গিপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনাও দিয়েছেন, এমনটাই জানায় পুলিস৷ তবে এই ঘটনার তদন্তে নেমে শ্রীময়ীর গাড়ির চালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিস৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদেরকেও৷ ইতিমধ্যেই শ্রীময়ীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে এবং তা খতিয়ে দেখছে পুলিস৷
দাদার সঙ্গে বচসার জেরে আত্মঘাতী (Suicide) নাবালক ভাই। মহানন্দা নদী থেকে ওই নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) মহাকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর রামকৃষ্ণ পল্লী এলাকায়। তবে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সোমাবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিধাননগর থানার পুলিস (Police)। মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এমনকি ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম রূপম রায় (১৭)। এই বছরেই রুপম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়।
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাতে রূপম দেরি করে বাড়িতে ঢোকার জন্যে তাঁর দাদা খুব বকাবকি করেন। কথা কাটাকাটির মাঝেই রূপম বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এরপরেই বন্ধুদের ফোন করে সে জানায়, মাকে দেখে রাখিস আমি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি। এই কথা শুনে তার বন্ধুরা বাড়িতে খবর দেয় এবং তারা সবাই খোঁজাখুঁজিও শুরু করে। পরিবারের দাবি, রাতে খোঁজাখুঁজির সময় মহানন্দা নদীর সামনে আসতেই রূপমের মোবাইল ও পায়ের জুতো পড়ে থাকতে দেখেন। তখনই সঙ্গে সঙ্গে মহানন্দা নদীর জলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাওয়া না গেলে খবর দেওয়া হয় বিধাননগর থানার পুলিসকে।
সূত্রের খবর, পুলিস ও পরিবারের লোকেরা নদীতে যৌথভাবে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তবে রাত হওয়ার ফলে রূপমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সোমবার সকালে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। তাঁরা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রূপময়ের দেহ নদী থেকে উদ্ধার করা যায়।
গাছে ফাঁস দিয়ে ঝুলছে এক যুবক (Suicide)। পাশেই মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক গৃহবধূ। পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এই ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। নবদ্বীপের (Nadia) খরের মাঠ নতুন পাড়া এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নবদ্বীপ থানার পুলিস (Police)। পুলিস এসে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ওই যুবক ও গৃহবধূকে উদ্ধার করে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। দু'জনের অবস্থাই এখন আশঙ্কাজনক।
জানা গিয়েছে, আহত ওই দুজনের নাম অনিল মাহাতো ও অনামিকা মাহাতো। বুধবার সকাল প্রায় ১০ টা নাগাদ এলাকার বাসিন্দারাই এই ঘটনাটি দেখতে পান। স্থানীয়দের দাবি, প্রথমে অনামিকা মাহাতোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পরে অনিল নামের ওই ব্যক্তি নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁদের দাবি, অবৈধ্য সম্পর্কের জেরেই এমন ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা।
বাবার কাছে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় বিষপান করে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে গঙ্গারামপুর (Gangarampur) থানার পূর্ব হালদারপাড়া এলাকায়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে মৃতের পরিবার সহ গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত (Death) যুবকের নাম বিষ্ণু সরকার। বয়স ২৭ বছর। বাড়ি গঙ্গারামপুর শহরের রাজীবপুর পূর্ব হালদারপাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার ওই যুবক তাঁর বাবার কাছে কিছু টাকা চেয়েছিলেন। বাবার থেকে টাকা না পেয়ে অভিমানে বিষপান করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন যুবক। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা জানতে পারলে যুবককে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় যুবকের। ঘটনার পর আজ অর্থাৎ সোমবার যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বালুরঘাট সদর হাসপাতাল পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিস।
চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) ভৈরবস্থান এলাকায় অবস্থিত রেলস্টেশনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস (Police) ও জিআরপিএস (GRPS)। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিস। মর্মান্তিক এই খবরে গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সন্তোষ দে (৪৫)। তিনি বাঁকুড়া শহরের চক বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, সন্তোষ দে অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই কারণে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। পরিবারের অনুমান, ঋণের জেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
বাঁকুড়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীব দে ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। মৃতের পরিবারে মা, বাবা, স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা তিনিও বুঝে উঠতে পারছেন না, বলে জানান।
এদিন পুলিস ও জিআরপিএস ওই এলাকা থেকে মৃত সন্তোষের বাইকটি উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বাগুইআটিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছে এক মহিলা। বাগুইআটি (Baguiati) অশ্বিনীনগরের হাতিয়াড়া রোডের মিলনদ্বীপ নামক বহুতল আবাসনে ঘটেছে এই ঘটনাটি। তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বাকি আবাসিকরা উদ্ধার করে প্রথমে ভিআইপি রোডের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে চিনারপার্কের নিকট অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানেই তাঁকে মৃত (Death) বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এই গোটা ঘটনা নিয়ে বাগুইআটি থানার পুলিস (Police) অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ঘটে এই ঘটনাটি। মৃত ওই মহিলার নাম নিলম কোঠারি (৬২)। তিনি বাগুইআটি অশ্বিনীনগরের হাতিয়াড়া রোডের মিলনদ্বীপ বহুতল আবাসনের বাসিন্দ। ওই মহিলা মিলনদ্বীপ আবাসন থেকে পাশের বাড়িতে ঝাঁপ দেন। তারপরেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্স ও প্রশাসনকে।
জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অভিযুক্ত থাকার পর অবশেষে বেকসুর খালাস হয়েছেন প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলি। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পরই তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, 'তাঁর অতীতের ১০ বছর কেউ কি ফিরিয়ে দিতে পারবে?' এরপরই সম্প্রতি তাঁকে দেখা গেল গুরুদ্বারে। তিনি হঠাৎ গুরুদ্বারে কী করছেন, সব কিছু ছেড়ে ধর্মে মন দিলেন নাকি তিনি, এই নিয়ে বেশ কৌতুহলী হয়ে পড়েছেন নেটাগরিকরা।
সুরজ নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে দুটো ছবি শেয়ার করেছেন। দেখা গিয়েছে, দিল্লির বাংলা সাহিব গুরুদ্বারের সামনে দাঁড়িয়ে প্রণাম করছেন তিনি। তাঁর পরনে ছিল নীল জিন্স ও টি-শার্ট। আবার গুরুদ্বারের রীতি মতো মাথায় রুমালও বেঁধেছেন। ছবিতে দেখা গিয়েছে, গুরুদ্বারের দিকে তাকিয়ে প্রণাম করছেন তিনি। তবে শুধু গুরুদ্বার নয়, আদালতের বেকসুর খালাস রায়ের পর তাঁকে পরদিনই সিদ্ধি ভিনায়ক মন্দিরেও দেখা গিয়েছিল। সেখানেও তিনি আশীর্বাদ নিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে ধর্মীয়স্থান যাওয়ার নেপথ্যে কী কারণ, তা স্পষ্ট নয়। তবে তাঁর অনুরাগীদের বক্তব্য, ভগবানের থেকে আশীর্বাদ নিতেই পৌঁছে গিয়েছে তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের জুন মাসে সুরজের প্রেমিকা জিয়া খানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। এরপর জামিন পেলেও গত ১০ বছর ধরে এই দোষের বোঝা নিয়েছিলেন। ফলে আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ না পাওয়ায় নির্দোষ প্রমাণিত হতেই বর্তমানে স্বস্তিতে সুরজ পাঞ্চোলি।
রেলের সামনে মরণঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ (Bangaon) শিয়ালদহ শাখার হাবরা দুই নম্বর রেলগেট এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় হাবরা জিআরপি। দেহ (Death) উদ্ধার করে বনগাঁতে নিয়ে যান জিআরপি (GRP) কর্মীরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম শ্যামলী কুণ্ডু। অশোকনগর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উঁচু কয়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা তিনি। বুধবার সকালে মর্নিং ওয়াকের নামে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই মহিলা। তারপরেই তাঁর এই আত্মঘাতীর খবর পৌঁছয় বাড়িতে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, সুগার ও প্রেসারের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন ওই মহিলা।
মৃতের দাদা মহাদেব দত্ত জানান, বুধবার সকালে চা খাওয়ার জন্য রেলগেটের সামনের একটি দোকানে যান তিনি। সেই সময়ই বোন শ্যামলী কুণ্ডুকে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে দেখেন তিনি। কিছুক্ষণ তিনি তাঁর বোনের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন। তারপরেই এমন ঘটনার খবর পান তিনি। তাঁর দাবি, পরিবারে কোনও অশান্তি ছিল না। শুধুমাত্র প্রেসার ও সুগারের সমস্যা ছিল তাঁর বোনের।
নিউটাউনের (New town) এক বহুতলের চোদ্দ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। জানা গিয়েছে আত্মঘাতী ওই কর্মীর নাম রাজর্ষি দত্ত, বয়স ৩৪ বছর। নিউটনের টাটা ইডেন কোর্টের ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্তে রয়েছেন নিউটাউন টেকনো সিটি (Techno city) থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, নিউটাউনের ইডেন কোর্ট বিল্ডিংয়ের চোদ্দ তলায় ফ্ল্যাট নিয়ে ভাড়া থাকতেন রাজর্ষি। শিলিগুড়ির বাসিন্দা তিনি, টিসিএস-এ কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে একটি আওয়াজ পেয়ে ছুটে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবক পড়ে আছেন। তড়িঘড়ি টেকনো সিটি থানায় ফোন করলে পুলিস এসে যুবককে বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিসের অনুমান ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। প্রায় ছয় মাস আগে ওই যুবকের বাবাও মারা যান। সেই নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান। তবে এর পিছনে আরও কোনও কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে টেকনোসিটি থানার পুলিস। কী কারণে এই আত্মহত্য়া তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
তেহট্টে মহকুমা হাসপাতালের তিন তলা থেকে এক রোগী (Patient) ঝাঁপ (Suicide) দেয়। ওই রোগীকে উদ্ধার করে হাসপাতালের বেডে নিয়ে আসা হয়। তবে রোগীর শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে রেফার করা হয় শক্তিনগর হাসপাতালে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য গোটা হাসপাতাল চত্বরে। জানা গিয়েছে, ওই রোগীর নাম সুপ্রিয়া প্রামাণিক। তিনি নদীয়ার (Nadia) পলাশীপাড়া থানার সাহেবনগরের বাসিন্দা। তিনি সোমবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করানো হয়।
সূত্রে খবর, তবে শারীরিক অবস্থা একটু ভালো হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালবেলা তাঁকে মহিলা ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়। তারপরেই সকালবেলা সকলের অজান্তেই হাসপাতালের তিন তলায় উঠে গিয়ে ঝাঁপ মারে। পরিবার সূত্রে খবর, কোনও দিনই ওই মহিলার মানসিক সমস্যা ছিল না। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানেন না পরিবারের সদস্যরা। তবে পরিবারের দাবি, রোগী এখন আগের থেকে সুস্থ আছেন।