স্বাস্থ্য দফতরে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে এক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। প্রতারণার শিকার খোদ তৃণমূলের যুব নেতা। অভিযোগ, ভুয়ো তৃণমূল কর্মীর পরিচয়ে প্রতারণা করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ওই ভুয়ো তৃণমূল কর্মী। অভিযুক্তের সঙ্গে বিধায়ক এবং মন্ত্রীর ছবি ঘিরে শুরু বিতর্ক। প্রতারিত যুব নেতা প্রতারক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার পাকুড়তলার বাসিন্দা পৃথ্বীরাজ তাঁতি প্রতারণার শিকার হন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন তিনি। বর্তমানে কৌতলা অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি। গত সেপ্টেম্বর মাসে দলের কর্মসূচিতে গিয়ে আলাপ হয় পাথরপ্রতিমা বিধানসভার লক্ষ্মীজনার্দনপুর পঞ্চায়েতের মহেশপুরের বাসিন্দা প্রীতম কলার সঙ্গে।
অভিযোগকারী যুব তৃণমূল নেতার দাবি, প্রীতম তৃণমূলের অঞ্চল সম্পাদকের পদে ছিলেন। এরপর তাঁকে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরির টোপ দেন প্রীতম। এমনকি চার লক্ষ টাকায় গ্রুপ-ডি পদে চাকরি দেওয়ার জন্য স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি হয়। অগ্রিম ১ লক্ষ টাকা নেয় প্রীতম। এরপর কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে গ্রুপ-ডি পদে চাকরির একটি নিয়োগপত্র হাতে পান পৃথ্বীরাজ। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে নীলরতন সরকার হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে গেলে সুপার জানিয়ে দেন এটি ভুয়ো নিয়োগপত্র। তারপরেই ফাঁস হয়ে যায় প্রতারণার জাল।
এরপর ওই প্রতারিত নেতা কলকাতা পুলিস ও সুন্দরবন পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত প্রীতমের পরিবার তৃণমূল সমর্থক বলে জানান তাঁর মা রীণা কলা। তবে প্রতারণার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত।
দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে অপহরণ এক যুবককে। ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে থানায় দ্বারস্থ হন বাবা ও মা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিহি এলাকায়। অপহৃত ওই যুবকের নাম স্বর্ণদীপ মণ্ডল (২৪)।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন স্বর্ণদীপ। তারপর প্রায় ১০ ঘণ্টা কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেননি সে। এরপর শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। ছেলে বাড়ি না ফেরায় নরেন্দ্রপুর থানায় গিয়ে হাজির হন বাবা প্রদীপ মণ্ডল ও মা তপতি মণ্ডল। তাঁদের অভিযোগ, অচেনা একটি ফোন নম্বর থেকে ফোন আসে। ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে অপহরণকারী। মোট তিনবার তাঁদের কাছে ফোন আসে টাকার জন্য।
এত কম সময়ে এতগুলো টাকা কোথায় পাবে এবং কিভাবে জোগাড় হবে এসব ভেবে রবিবার রাতেই নরেন্দ্রপুর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই তদন্তে নামে পুলিস। সোমবার ভোরে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। তারপর সেই অভিযুক্তের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় স্বর্ণদীপকে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
আবারও ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের কোম্পানিছাড় এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম সঞ্জয় মাইতি।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বাড়ি থেকে অসমের করিমগঞ্জে বোরিং-এর কাজে গিয়েছিলেন সঞ্জয় মাইতি। বৃহস্পতিবার কাজ শেষ করে তার পাশেই বিকেলে তাবু টাঙিয়ে রাতে ছিলেন তিনি। তারপর রাস্তার পাশ দিয়ে একটি সিমেন্টভর্তি ট্রাক যাওয়ার পথে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই তাবুর ওপরে গিয়ে পড়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রবিবার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের পরিবারে একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন ওই শ্রমিক। এই মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মাস চারেক আগে বাড়ি থেকে দিল্লীতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান সফিকুল নামের ওই শ্রমিক। সেখানে কাজ করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে।
মন্দির বাজারের পর এবার মথুরাপুরে নাবালিকা নিগ্রহের অভিযোগ। এক স্কুল ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুর থানা এলাকায়। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বাসুদেব জাতুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহ সহ পকসো আইনে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। বৃহস্পতিবার ধৃতকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে, এদিন নির্যাতিত ওই ছাত্রীর মেডিকেল করানো হয়েছে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যৌন নিগ্রহের সময় অভিযুক্তের এক সঙ্গী পাহারা দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিস তাকেও কেন গ্রেফতার করল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। যেহেতু অভিযুক্ত বাসুদেব জাতুয়া তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ। তাই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য নির্যাতিতার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত রয়েছে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা ও মা।
নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশেই খেলা করছিল পঞ্চম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। অভিযোগ, অন্ধকার নামার ঠিক আগেই বছর এগারোর ওই ছাত্রীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে গ্রামের নির্জন জায়গায় একটি খড়ের স্তুপের পিছনে যৌন নির্যাতন করে বাসুদেব। ঘটনার পর ছাত্রী বাড়িতে ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে ছাত্রীকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় তাঁর পরিবারের লোকজনেরা। এরপর ছাত্রীর মুখ থেকে সমস্ত ঘটনার কথা শুনে রাতেই পুলিসের দ্বারস্থ হন তার বাবা ও মা।
টেবিলে পর পর সাজানো ওয়ান শাটার গান, লং মেশিন গান থেকে শুরু করে বন্দুকের বাঁট, ড্রিল মেশিন, ডাইস, ফাইল, করাত সহ অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। দেখে মনে হতে পারে অস্ত্র তৈরির কোনও কর্মশালা। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কোথায় ছিল জানেন? দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর কাশিপুরের কামারিয়ায় একটি নুঁইয়ে পড়া মাটির বাড়িতে। এই বাড়ির ঘরেই লোকচক্ষুর আড়ালে এতদিন ধরে গড়ে উঠেছিল আস্ত অস্ত্রাগার, অবৈধ অস্ত্রের কারখানা। অভিযান চালিয়ে এই বিপুল অস্ত্র সহ অস্ত্রাগারের মালিক রহমাতুল্লা শেখকে পাকড়াও করে বারুইপুর পুলিস জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও জয়নগর থানার পুলিস।
বহুদিন তক্কে তক্কে ছিল বারুইপুর পুলিস। মঙ্গলবার অভিযান চালাতে গিয়ে ওই মাটির বাড়ির অন্দরমহল দেখে পুলিসের চক্ষু কপালে ওঠে। গোপন অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামের পাশাপাশি উদ্ধার ৮ টি ওয়ান সাটার গান এবং ২ টি লং মেশিন গান।
সূত্রের খবর, ধৃতের বাড়ির পাশের পুকুরেও নাকি অস্ত্র ডুবিয়ে রাখা ছিল। ধৃতের স্ত্রীর কথায়, মুজিবর, সাইফুল, সাজমল নামে কয়েকজন ব্যক্তি বাড়িতে অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম রেখে গিয়েছিল। তবে কি এই বাড়ি থেকেই অস্ত্র, সরঞ্জাম আমদানি-রপ্তানিও চলত?
থামানো যাচ্ছে না অস্ত্রের আস্ফালন। প্রশ্ন উঠছে বারবার দক্ষিণ ২৪ পরগনাই কেন বন্দুকের নলে? এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ভয়ঙ্করতার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। বোমা, বন্দুকের দাপটে রক্তক্ষয়ী ভোটে শিউরে উঠেছে গণতন্ত্র।
স্কুলের তালা ভেঙে দুঃসাহসিক চুরি (Theft)। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির মির্জাপুর গণেশচন্দ্র শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলে। বিদ্যালয়ের বেশ কিছু জিনিস চুরি করার পাশাপাশি ভাঙচুরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কুলপি ব্লক প্রশাসন এবং কুলপি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কে বা কারা এই চুরির ঘটনাটি ঘটিয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে কুলপি থানার পুলিস (Police)।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই এই দুঃসাহসিক ঘটনাটি ঘটেছে। বিদ্যালয়ের ১৬ টি তালা ভেঙে কম্পিউটার, সিসিটিভির হার্ডডিস্ক এবং ল্যাবরেটরির অণুবীক্ষণ যন্ত্র ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু জিনিস চুরিও করা হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দাবি, আনুমানিক লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ল্যাবের বিভিন্ন রকম সরঞ্জাম, ৮ টি আলমারির তালা ভেঙে স্কুলের ঘন্টা এবং পিতলের জিনিসপত্রও চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
স্কুলের এক ক্লার্ক জানান, সকাল ১০ টায় স্কুল খুলতে এসেই তিনি স্কুলের গেটের তালাটি ভাঙা দেখতে পান। স্কুলের বেশ কিছু শ্রেণীকক্ষের দরজাও ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাঁর দাবি, এই ঘটনা আগেও ঘটেছে চারবার। তখনও অভিযোগ জানানো হয়েছিল থানায়। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও সাহায্য় পাওয়া যায়নি।
ভারত-চিন সীমান্তে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু (Accident Death) হল এক সেনা জওয়ানের। গত ৮ অগাস্ট ডিউটিতে যাওয়ার পথে সিকিমের নাতুলাতে ঘটে এই দুর্ঘটনাটি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই জওয়ানের মৃতদেহটি কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) বাড়িতে আনা হয়। তারপর শুক্রবার সকালে গান স্যালুটের মাধ্যমে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
সূত্রের খবর, মৃত ওই জওয়ানের নাম সমিত মাইতি (৩৫)। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের রাজনগর-শ্রীনাথ গ্রামে। জানা গিয়েছে, গত ৮ অগাস্ট ডিউটিতে যাওয়ার পথে সিকিমের নাতুলাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি সেনা জিপ। তার মধ্যেই ছিলেন সমিত মাইতি। শুধুমাত্র সমিত মাইতিই নয়, এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আরও এক জওয়ানের।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে কাকদ্বীপের বাড়িতে ফেরে সমিতের দেহ। এদিন তাঁর মরদেহটিকে গ্রামের স্কুলে আনা হয়। শিক্ষক থেকে পড়ুয়া তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। তারপরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। বাড়িতেও তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে অসংখ্য মানুষ উপস্থিত হয়।
বিষধর কালাচ সাপের (Snake Bitten) কামড়ে মৃত্যু (Death Couple) হল এক দম্পতির। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড় থানার অন্তর্গত প্রতাপনগর গ্রামে। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ক্যানিং (Canning) থানার পুলিস (Police)। পুলিস দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে ওই এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদের নাম গণেশ মণ্ডল (৪২) ও বিজলী মণ্ডল (৩৬)।
মৃতদের পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে একসাথেই ঘুমোতে গিয়েছিলেন গণেশ ও বিজলী। তবে ভোরের দিকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থাতেই তাঁদের বিছানার মধ্যে একটি কালাচ সাপ ঢুকে পড়ে। তারপরেই সাপটি তাঁদের দুজনকেই কামড় দেয়।
মৃতার ছেলের দাবি, 'বাবা ভোরে আমার ঘরে গিয়ে আমাকে ডেকে ঘুম থেকে তোলে। তারপরেই বাবা সাপ কামড়ানোর দাগটি দেখায়। আর সেই দাগ দেখে আমি বাবা-মায়ের ঘরে গিয়ে মাকে মেঝেতে পড়ে ছটপট করতে দেখি। তখনই আমি আর পরিবারের অন্য সদস্যরা বাব-মাকে গাড়ি করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। তবে সেখানে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার সকালেই তাঁদেরকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তারপর ক্যানিং হাসপাতালের চিকিৎসকেরা মৃত্যুর খবরটি জানান।
নাবালক ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন (Death) করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নামখানা থানার অন্তর্গত উত্তর চন্দনপিঁড়িতে। পুলিস (Police) ঘটনাস্থল থেকে দেহটি উদ্ধার করে কাকদ্বীপ মর্গে নিয়ে যায় ময়না তদন্তের জন্য। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নাবালকের মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। তারপর পুলিসের জিজ্ঞাসবাদের চাপে ছেলেকে খুন করার কথা স্বীকার করে নেয় ওই অভিযুক্ত মা। ধৃতকে আজ কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলকায়।
প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার তদন্ত করেছে পুলিস, মৃত ওই নাবালকের নাম মইদুলতুল্লা এবং অভিযুক্ত ওই মায়ের নাম মনিরা। মনিরার স্বামী এজাহারতুল্লা একজন পরিযায়ী শ্রমিক। তাই ঘটনার চারদিন আগে কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে গিয়েছেন। স্বামী চলে যাওয়ার পর মনিরা তার দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকত। তবে স্বামী ভিনরাজ্যে থাকায় প্রতিবেশী যুবক হানিফের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই মহিলা।
পুলিস আরও জানায়, মঙ্গলবার রাতে প্রতিবেশী ওই যুবকের সঙ্গে নিজের মাকে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে ফেলে মইদুলতুল্লা। তারপর থেকেই ছেলেকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য রীতিমতো চাপ দিতে থাকে মনিরা ও তার প্রেমিক হানিফ। তবে ছেলে সেই কথা না শোনায় বুধবার মইদুলতুল্লা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর তাকে মারধর করে মনিরা এবং শ্বাসরোধ করে খুনের পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়, এমনটাই জানাচ্ছে পুলিস।
ট্রেন (Train) থেকে উদ্ধার হলো তিন ব্যাগ ভর্তি গোসাপ (Snake)। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে (South 24 Parganas) শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নামখানা লাইনের ডাউন ট্রেনে। এই ঘটনার খবর পেয়ে রবিবারই ট্রেন থেকে সাপগুলি উদ্ধার করে কাকদ্বীপ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেই ওই গোসাপ গুলিকে নামখানা রেঞ্জের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনে আরপিএফ-এর নজরদারির সময় ট্রেনের ভিতরে এই সাপগুলি পাওয়া যায়। তারপরেই সেগুলিকে উদ্ধার করা হয়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ওই তিনটি ব্যাগ থেকে মোট ১৪ টি গোসাপ উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে দুটি মৃত। তবে কে বা কারা এই গোসাপগুলি পাচার করছিল তার তদন্ত শুরু করেছে লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনের আরপিএফ ও কাকদ্বীপ থানার পুলিস।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat election) আগে থেকেই প্রায়ই উদ্ধার (Rescue) হয়ে চলেছে বোমা (Bomb) এবং আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়াও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়েও এই ঘটনাটিগুলি ঘটে চলেছিল। যার কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। আবারও উদ্ধার এক ব্যাগ ভর্তি বোমা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা
(South 24 Parganas) জেলার বাসন্তী ব্লকে কাঁঠালবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে কলতলা গ্রামে রাতে বোমাবাজির মতো ঘটনা ঘটে এবং সকালে উদ্ধার হয় বোমা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাসন্তী থানার পুলিস। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত কাঁঠালবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিস সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর রবিবার সকালে এলাকার একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির ঝোপ থেকে উদ্ধার হয়েছে এক ব্যাগ তাজা বোমা। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান ব্যাগে ৬ থেকে ৭ টি বোমা রয়েছে। আপাতত ঘটনাস্থলসহ ব্যাগটিকে ঘিরে রেখেছে পুলিস।
কে বা কারা এই বোমার ভর্তি ব্য়াগ এখানে রেখে গিয়েছে এবং রাতে কারা এলাকায় বোমাবাজি করল সে বিষয়ে জানতে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিস। তবে এই ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ খুবই আতঙ্কিত। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না।
গোসাবার মন্মথনগরে পুকুরে ঢুকে পড়ল কুমির (Crocodile)। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গোসাবা থানার অন্তর্গত বিপ্রদাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্মথনগরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্তোষ বর্মন নামে এক ব্যক্তির পুকুরে ঢুকে পড়ে কুমিরটি। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় পুরো গ্রামে।
জানা গিয়েছে, হঠাৎ গ্রামবাসীদেরই কয়েকজন লক্ষ্য করেন, সন্তোষের বাড়ি লাগোয়া, তাঁর পুকুরের পাড়ে, একটি বিশাল কুমির শুয়ে রয়েছে। আতঙ্কে শিউরে উঠলে সম্বিৎ হারাননি তাঁরা। দ্রুত খবর পাঠান গোসাবা রেঞ্জে। কিন্তু গ্রামবাসীদের আওয়াজে কুমিরটি পুকুরের জলে নেমে নেমে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, মন্মথনগর গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদী। সেই নদী থেকে উঠেই সম্ভবত মন্মথনগর গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল কুমিরটি। খবর পেয়ে গোসাবা রেঞ্জের কর্মীরা পৌঁছন সেখানে। কুমিরটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। যতক্ষণ পর্যন্ত তার হদিশ না মিলছে, আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামের মানুষ।
ফাঁকা জমি থেকে উদ্ধার হল অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির (Dead Body) দেহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুরের বিদ্যাধরপুর এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে পুলিস (Police) এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে গরু বাঁধতে এসে ওই ব্যক্তির দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। তারপরেই স্থানীয়রা খবর দেন পুলিসকে।
পুলিস সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এমনকি ওই ব্যক্তিকে গর্ত থেকে তুলতেই দেখা যায়, তাঁর গলার নলিকাটা ও মাথার পিছনের দিকে থেতলানো অবস্থায় রয়েছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। খুন করার পরে বাইরে থেকে দেহ এনে এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
চলন্ত ট্রেন থেকে এক নার্সের মোবাইল (Phone) ছিনতাই। ছিনতাইবাজদের (Snatching) বাধা দিলে গলা টিপে মারধরও করে তরুণীকে। এমনকি মোবাইল উদ্ধার করতে চলন্ত ট্রেন থেকেই ঝাঁপ তরুনীর। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে ক্যানিং (South 24 Parganas) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী। ঘটনার তদন্তে রেল পুলিস।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণী পেশায় একজন নার্স। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্যানিং হাসপাতাল থেকে কাজ সেরে আপ ক্যানিং শিয়ালদহ লোকালে চেপে সোনারপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তিনি। ট্রেন মাতলা হল্ট স্টেশনে ঢুকতেই তরুণীর ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালায় এক দুষ্কৃতী। কিন্তু পালানোর সময় ছিনতাইবাজের হাত ধরে ফেলেন তিনি। বেগতিক বুঝে ছিনতাইবাজ আরেক হাত দিয়ে ওই তরুণীর গলা চেপে ধরে। ফলে দুষ্কৃতীর হাত ছেড়ে দেন তিনি। হাত ছাড়তেই চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে পালায় অভিযুক্ত। কিন্তু হাল ছাড়েননি তরুণী। মোবাইল উদ্ধার করতে তিনিও চোরের পিছনে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেন। কিন্তু উদ্ধার করেতে পারেননি ফোন।
রেল পুলিস সূত্রে খবর, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর জখম হন ওই তরুণী। শেষ পর্যন্ত সহযাত্রীদের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
স্ত্রীকে খুনের (Death) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করার কারণেই এই খুন। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর (South 24 Parganas) থানা এলাকার মানিকপুরে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে সোনারপুর থানার (Sonarpur Police) পুলিস। ধৃতকে শনিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত স্ত্রীর নাম মীনা দেবনাথ (৫৫)। ৩৫ বছর আগে প্রেম করে অশোক দেবনাথকে বিয়ে করেছিল মীনা। অভিযুক্ত অশোক দেবনাথ মানিকপুরের বাসিন্দা। তাঁদের এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে এবং ছেলে কর্মসুত্রে নিউটাউনে থাকেন।
প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে, মীনা দেবনাথকে বুধবার তাঁরা দেখেছেন। তারপরে আর তাঁর সঙ্গে কারও দেখা হয়নি। তবে বুধবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়েছিল। প্রতিবেশীদের দাবি, প্রতিবেশী এক গৃহবধুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অশোক দেবনাথ। মূলত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয় বুধবার। তারপরে আর মীনার কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। শনিবার ভোররাতে বাড়ির পিছনের জঙ্গলের মধ্যে মীনা দেবীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এক ব্যক্তি। পরে ওই ব্যক্তি প্রতিবেশী একজনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহটি দেখান। এরপরই খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়।
ঘটনায় মীনা দেবীর দাদা নিত্যগোপাল দেবনাথ সোনারপুর থানায় অশোক দেবনাথের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান, 'প্রায়ই মারধর করা হত বোনকে। এমনকি তাঁদের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখতে দিত না।' এই ঘটনায় সোনারপুর থানার পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে অশোকের বয়ানে কিছু অসঙ্গতি পায়। শেষ পর্যন্ত পুলিসের কাছে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত।