পুলিসের ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে গাড়ি থেকে ঠেলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পুলিসের বিরুদ্ধে। জ্ঞান হারিয়েছেন সুকান্ত। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁকে।
জানা গিয়েছে, টাকিতে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। যার জেরে পুলিসের সঙ্গে শুরু হয় তুমুল বচসা। গাড়ির উপরে উঠে প্রতিবাদ শুরু করে সুকান্তর। সেই সময় পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধাস্তিতে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান তিনি। এরপর জ্ঞান হারিয়ে পুলিসের গাড়ির বনেটেই শুয়ে পড়ে সুকান্ত মজুমদার। গেস্টহাউসের সামনেই শুরু হয় পুলিসের লাঠিচার্জ।
কলকাতায় শুটিং চলাকালীন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছিল। বর্তমানে ভালো আছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আগের তুলানায় স্থিতিশীত রয়েছে তাঁর শারীরিক অবস্থা, এমনটাই পরিবার সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, কলকাতায় শুটিং এর সময় আচমকাই শরীর খারাপ হতে শুরু করে মিঠুন চক্রবর্তীর। তারপর অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর সহায়তায় বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মিঠুন। কিন্তু হাসপাতালে মিঠুনকে দেখার পর পরিচালক রাজ চক্রবর্তী জানান, একদম সুস্থ রয়েছেন অভিনেতা। ব্রেন স্ট্রোক এসব ভুয়ো খবর। সুগারের মাত্রা বেড়ে সামান্য় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে আপাতত মিঠুন চক্রবর্তীর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। এই মুহূর্তে তিনি কথা বলছেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেছেন।
সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর এমারজেন্সি মেডিসিন এবং একজন নিউরোলজিস্ট-এর পরামর্শ নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা একাধিক টেস্টের পর জানতে পারেন ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেতা। এমারজেন্সি ওয়ার্ডের ৪৮ নম্বর বেডে ভর্তি হন তিনি। নিউরোলজিস্ট ডক্টর সঞ্জয় ভৌমিক এর তত্ত্বাবধানে ভর্তি রয়েছেন তিনি। এমারজেন্সি থেকে স্থানান্তর করা হয় মিঠুন চক্রবর্তীকে। শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ায় আইসিউতে ১২৮ নম্বর বেডে ভর্তি হন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। এমআরআই করানো হয়েছে তাঁর। এমআরআই রিপোর্ট একিউট স্ট্রোক ধরা পড়েছে। একাধিক ডাক্তারদের নিয়ে তৈরি হয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
মিঠুনের অসুস্থার খবর শুনে দুশ্চিন্তায় পড়েছিল ভক্ত থেকে শুরু বাংলা সিনে দুনিয়ার সকলে। এমনকি হাসপাতালেও তাঁকে দেখতে উপস্থিত হয়েছিল দেবশ্রী রায় এর মত আরও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এহেন কিংবদন্তি অভিনেতার স্থিতিশীলতার খবর শুনে স্বস্তি পেয়েছেন তাঁর অনুগামীরা।
গুরুতর অসুস্থ মিঠুন চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, আজ, শনিবার সকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার পর, অভিনেতার ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, নিউরোলজিস্ট ডক্টর সঞ্জয় ভৌমিক এর তত্ত্বাবধানে ভর্তি রয়েছেন তিনি। প্রথমে বেশ কয়েকটি চেকআপ করা হয়েছে তাঁর। তবে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। যদিও এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তির খবর পাওয়া যায়চনি।
বাড়ির জল রাস্তায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ। তার জেরে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পেটে লাথি মারার অভিযোগ প্রতিবেশী পরিবারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ পল্লীতে। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূ।
অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগ, এদিন সকালে তিনি কাজে বেরোনোর পর ফোনে খবর পেতেই বাড়িতে ফিরে দেখে তাঁর স্ত্রী যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। জিজ্ঞাসা করতেই তাঁর স্ত্রী বলেন বাড়ির জল যাওয়া নিয়ে প্রতিবেশী উত্তম অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর আচমকায় উত্তম অধিকারীর পরিবার বাড়িতে ঢুকে চড়াও হয় তাঁর উপর। এবং বেধড়ক মারধর করে। অভিযোগ এরপর ওই গৃহবধূর পেটে লাথি মারে। ঘটনাস্থলেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ।
যদিও তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই গৃহবধূর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চিকিৎসার জন্য আবার অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহবধূর স্বামী শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত পরিবারও শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দাবি করে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। দুই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
লক্ষ্মীপুজোর দিন রান্না করা বাসি খিচুড়ি খেয়ে মৃত্যু হল এক শিশু ও বৃদ্ধর। অসুস্থ প্রায় ১৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রাজনগরের মালিপাড়ায়। একই পারিবারে নাতনি ও দাদুর মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার। মৃতদেহ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য় সিঊরি হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা গ্রামজুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার লক্ষীপুজো উপলক্ষে গ্রামে খিচুরি প্রসাদ দেওয়া হয়। সেখানে গ্রামের অনেক মানুষ গিয়ে খেয়ে এসেছিল। আর বাড়তি খিচুরি রেখে দেওয়া হয়েছিল। পরের দিন অর্থাৎ সোমবার সেই বাসি খিচুরি খেতেই অসুস্থ হয়ে পরে গ্রামের অধিকাংশ লোকজন। অসুস্থদের প্রথমে রাজনগর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থার অবনতির কারণে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, লক্ষ্মীপুজোর দিন যারা যারা ওই খিচুড়ি খেয়েছিল তাঁদের কিছু হয়নি। কিন্তু পুজোর পরের দিন বাসি খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সবাই।
হাসপাতালের সুপার নিলাঞ্জন মণ্ডল জানিয়েছেন, ওই রোগীদের চিকিৎসার যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তারজন্য দুজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই বাসি খাবারে কোনও বিষক্রিয়া ছিল না।
অন্নপ্রাশন বাড়িতে খাবার খেয়ে অসুস্থ (Sick) প্রায় ৮০ জন। ইতিমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২ জন। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের ঘনশ্যাম বাটি গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে গ্রামে পৌঁছয় ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস সহ মহাকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পানীয় জল বা ফুচকা থেকেই কোনও বিষক্রিয়ার হতে পারে। যার কারণেই এমন ঘটনা। যার ফলে আতঙ্কে গ্রামবাসী।
জানা গিয়েছে, ঘনশ্যাম বাটি গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথ ঘোড়ই-এর নাতির অন্নপ্রাশন ছিল শুক্রবার। তাই শুক্রবার দুপুর ও রাতে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল সেই অনুষ্ঠান বাড়িতে। আমন্ত্রিত ছিল প্রায় শতাধিক। সেই অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়ার পরেই শুক্রবার রাত থেকে বমি পায়খানা নিয়ে একে একে অসুস্থ হতে থাকে। ইতিমধ্যেই যার সংখ্যা প্রায় ১০০ ছুঁই ছুঁই। শনিবারও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। শনিবার রাত পর্যন্ত সোনাখালী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় প্রায় ১২ জনকে। গ্রামেও চিকিৎসারত রয়েছে প্রায় ৮০ জন।
বিয়ে বাড়ির ভোজ খেয়ে অসুস্থ (Sick) প্রায় ৫০ জন। গ্রামীণ হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসা করাতে এসে ঠিক মতো পরিষেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের (Hooghly) লোকনাথ এলাকার। মূলত বমি, জ্বর এবং পেট খারাপ নিয়েই চিকিৎসা করাতে আসেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, সোমবার তারকেশ্বরের লোকনাথ থেকে পুরশুরা এলাকায় একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রায় দেড়শো জন। সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া করে আসার পর মঙ্গলবার থেকে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন অনেকেই। মঙ্গলবার রাতে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতলে চিকিৎসা করাতে আসেন প্রায় কুড়ি জন। বুধবার সকালে আরও ৫০ জন চিকিৎসা করাতে আসেন তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ঠিক মতো পরিষেবা পাচ্ছেন না তাঁরা। এমনকি পর্যাপ্ত পরিমাণে সেলাইনও পাওয়া যাচ্ছে না হাসপাতাল থেকে, এমনটাই দাবি করেন রোগীর পরিবার।
এই বিষয়ে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ ডাঃ সৌভিক দাস বলেন, 'মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালে পেট খারাপ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। তার মধ্যে প্রায় ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিত্সা করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সব রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।' খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে, অনুমান চিকিসকদের।
তবে সঠিক পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগে তিনি বলেন, হাসপাতালের বেড ক্যাপাসিটি যা আছে তার থেকে বেশি রোগী হলে যে সমস্যা হয় সেটা খুব তাড়াতাড়ি ওভারকাম করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আইসক্রিম খেয়ে অসুস্থ ২৫ জন শিশু-সহ আরও ৫৫ জন। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের খরগোন জেলায়। খরগোনের ছাতাল গ্রামের এক মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানেই আইসক্রিমের গাড়ি নিয়ে বসেছিলেন দীনেশ কুশওয়াহা নামে এক ব্যক্তি। এই গরম থেকে একটু শান্তি পেতেই মানুষ আইসক্রিম খায়। অনেক মানুষ দীনেশের কাছ থেকে আইসক্রিম কিনে খেয়েছিলেন। সেদিন গভীর রাত থেকেই লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন। অসুস্থ সকলকে বমি-পেট খারাপের মতো নানা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
খরগোনের হেল্থ অফিসার দৌলত সিংহ চহ্বান জানান, রাতে দু’টি শিশুর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। কিন্তু এখন তারা ঠিক আছে। বাকিদের মধ্যে ২০টি শিশু এবং ১০ জনকে চিকিৎসা করে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আইসক্রিমের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আইসক্রিমে এমন কী ছিল, যার কারণে এতগুলো মানুষ একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ল?
মাঝ আকাশে বিমান চালক(Pilot) হঠাত্ অসুস্থ! এক বিমান যাত্রী তথা পেশায় পাইলটের সাহায্যে এক যাত্রীবাহী বিমানকে নিরাপদে নামানো হয় এয়ারপোর্টে(Airport)। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার(America)লাস ভেগাসে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের ৬৩০১ যাত্রিবাহী বিমানটি লাস ভেগাস থেকে ওহায়োর কলম্বাসে যাচ্ছিল। বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ বাদেই পাইলট অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বিমান চালানোর মতো কোনও অবস্থাতে ছিলেন না পাইলট। তাঁর অসুস্থতার খবর বিমানের যাত্রীদের মধ্যে পৌঁছতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই বিমানেই যাত্রীদের আসনে ছিলেন অন্য বিমানের এক পাইলট। তিনি সেই মুহূর্তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিমানটিকে নিরাপদে নামিয়ে আনতে সাহায্য করেন। লাস ভেগাস বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ওই পাইলটের পেটে যন্ত্রণা হচ্ছিল। তারপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
দিল্লি-দোহাগামী (Delhi to Doha) বিমানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক যাত্রী। ইন্ডিগোর এক বিমানের এই ঘটনায় বিমানটিকে জরুরিভিত্তিতে পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরে (Karachi Airport) অবতরণ করানো হয়। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি, ওই যাত্রীকে বিমান থেকে নামাতেই চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলাটি নাইজেরিয়ার এক নাগরিক। সোমবার দিল্লি থেকে দোহাগামী ইন্ডিগো বিমানে যাওয়ার হঠাৎ মাঝ আকাশে অসুস্থ (Mid Air Sickness) হয়ে পড়েন। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তড়িঘড়ি বিমানটিকে করাচি বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়। চিকিৎসকদের দাবি, বিমানের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ওই যাত্রীর। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
নাইজেরিয়ান ওই যাত্রীর মৃত্যুতে বিমানসংস্থার তরফে শোকবার্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তাঁর মৃত্যুতে সংস্থার সকলে গভীরভাবে শোকাহত। এমনকি তাঁর বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনদের সমবেদনাও জানানো হয়েছে। তবে বিমানে আটকে থাকা অন্য যাত্রীদের দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া যে তাদের দায়িত্ব, তাও জানিয়েছে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠান বাড়িতে খাবার খেয়ে অসুস্থ (sick) একইসঙ্গে ৩৫ জন। ঘটনাটি রবিবার উলুবেড়িয়া (Uluberia) ২ ব্লকের জোয়ারগোড়ী নয়াচক মাখালপাড়ায়। ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা। বর্তমানে সকলেই চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন মাখালপাড়ার একটি অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে সন্ধ্যা থেকে বমি (vomiting) পায়খানা উপসর্গ দেখা দেয় কমবেশী প্রায় ৩৫ জনের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে উলুবেড়িয়া ২ বিডিও অতনু দাস। তিনি খবর দেন স্থানীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। তারা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। জানা যায়, অসুস্থদের মধ্যে ৭ জন শিশু ও ১৫ জন মহিলা সহ মোট ৩৫ জন অসুস্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে উলবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে।
চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা, খাবারের বিষক্রিয়া হয়ে অসুস্থ হয়েছে এত মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিষয়টি।