সলমন খানের বাড়ির সামনে চলল গুলি। রবিবার সকালে এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় রয়েছে অভিনেতার বিলাসবহুল বাড়ি। তারই সামনে গুলির শব্দ শোনা যায়। ভোর তখন ৪টে ৫১ মিনিট। ঘটনার পর অভিনেতার বাড়ির সামনে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বাইক নিয়ে দুই ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন সলমন খানের বাড়ির সামনে। তারা প্রথমে ৩ রাউন্ড গুলি চালান বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে। পরে এলাকা ছেড়ে পালানোর সময় পরপর ৪ রাউন্ড গুলি চালাতে দেখা যায় তাদের। রবিবারের ঘটনার পর সলমন খানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।
পাশাপাশি মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় পুলিস ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। ফরেনসিক বিভাগের টিম সলমনের বাড়ির বাইরে থেকে বুলেটের খোল উদ্ধার করেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডেপুটি পুলিস কমিশনার ও অ্যাডিশনাল ডিএসপির নেতৃত্বে এগোচ্ছে তদন্ত।
ঘটনার পরেই বাদ্রা পুলিসের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে মুম্বই পুলিস জানাচ্ছে, যখন গুলি চলে সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন সলমন খান। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ধরতে একাধিক টিম গঠন করেছে মুম্বই পুলিস।
জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা আরও এক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার একাধিকবার সলমন খানকে খুন করার হুমকি দিয়েছে। তারপরই এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে পুলিস প্রশাসনের। ওই দুই গ্যাংস্টারের লোকজন অভিনেতার বাড়িতে বন্দুকবাজদের পাঠিয়েছিল বলে অনুমান পুলিসের।
কলকাতা পুলিসের কনস্টেবলের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী ওই পুলিসকর্মী। এবার ঘটনাস্থল খাস কলকাতার পর্ণশ্রী থানা এলাকা। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা।
জানা গিয়েছে, ওই পুলিস কর্মীর নাম পুলক ব্যাপারী। কলকাতা পুলিসের ওয়ারলেস ব্রাঞ্চে কর্মরত। পর্ণশ্রী এলাকায় পুলক ব্যাপারী তাঁর স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, গত তিন মাস আগে এই এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এসেছিলেন তিনি। ওই প্রতিবেশীর মতে পুলক ব্যপারীর পরিবারে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটতে দেখেননি তাঁরা।
ঘটনাস্থলে আসে পর্ণশ্রী থানার পুলিস। তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানার চেষ্টা করছে পারিবারিক অশান্তি নাকি মানসিক অবসাদের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পুলিস কনস্টেবল।
শুটিংয়ে ফের সোনা ভারতের। ৫০ মিটার ট্র্যাপে দলগত ইভেন্টে সোনা জিতলেন পৃথ্বীরাজ তোন্ডাইমান, কাইনান চেনাই ও জোরাভার সিং। তাঁদের স্কোর ছিল ৩৬১। ছেলেদের টিম সোনা জয়ের পাশাপাশি মেয়েদের টিমও ট্র্যাপ ইভেন্টে রুপো জিতেছে। রাজেশ্বরী কুমারী, মণীশা কির ও প্রীতি রাজকের স্কোর ছিল ৩৩৭। এই ম্যাচেও সোনার পদকের জন্য প্রত্যাশা করেছিল ভারত।
রবিবার সকালে অল্পের জন্য সোনার পদক মিস করেছেন গলফার অদিতি অশোক। এবার ৫০ মিটার ট্র্যাপে দলগত ইভেন্টে সোনা ও রুপো পুরুষ ও মহিলা টিমের। রবিবার ইতিমধ্যেই তিনটি পদক এল দেশে। দিনের শেষে কতগুলি পদক আসে, তার দিকে তাকিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীরা।
দলগত ইভেন্ট ছাড়াও ব্যক্তিগত ইভেন্টেও শুটিংয়ে পদক। কাইনান দারিউস চেনাই ছেলেদের ৫০ মিটার ট্র্যাপ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতলেন।
এদিন ৫০ মিটার ট্র্যাপে ছেলেদের ফাইনালে প্রথম ৬ জনের মধ্যে ছিলেন দুই ভারতীয়। চেনাই ছাড়াও লড়াইয়ে ছিলেন জোরাভার সিং। প্রথম পাঁচ রাউন্ডের পরই তিনে উঠে আসেন চেনাই দারিউস। শীর্ষে ছিলেন কুয়েতের তালাই আল রশিদি। দুই নম্বরে ছিলেন চিনের কুই ইয়িং। এরপরই ব্রোঞ্জ জিতে নেন চেনাই।
এশিয়ান গেমস শুটিংয়ে ভারতের সোনার দৌড় অব্যাহত। শুক্রবার প্রথম সোনা এল ছেলেদের ৫০ মিটার রাইফেলের ট্রিপিল পজিশনের দলগত ইভেন্টে। এদিন দেশের হয়ে সোনা জিতলেন স্বপনীল খুসলে, ঐশ্বর্য প্রতাপ সিং তোমার এবং অখিল শেওরান। ১৭৬৯ পয়েন্ট পেয়ে সোনা জয় ভারতীয় দলের।
দিনের প্রথম মেডেল। আবারও শুটিংয়ে। এশিয়ান গেমসের মঞ্চে আবারও মেয়েদের জয়জয়কার। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের দলগত ইভেন্টে রুপো জিতলেন ভারতীয় মেয়েরা। ভারতকে গর্বিত করেছেন এষা সিং, পলক ও দিব্যা থাড়িগোল। এষা ও পলক দু'জনেই ব্যক্তিগত ইভেন্টের ফাইনালের জন্য খেলবেন।
এশিয়াডে চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই ভারতীয় মহিলা শুটারদের জয়জয়কার। টিম ইভেন্টের পর ব্যক্তিগত ইভেন্টেও সোনা এল ভারতের ঝুলিতে। ৫০ মিটার রাইফেল ৩ পজিশন ইভেন্টে সেরার শিরোপা পেলেন শিফট কউর সামরা। আর সেই সঙ্গেই ভারতের পঞ্চম স্বর্ণপদক জয়। একই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন আশি চোক্সী।
বুধবার সকালেই মহিলাদের দলগত ২৫ মিটার পিস্তল ইভেন্টে মনু ভাকর, এষা সিং এবং রিদম সাংওয়ান সোনার পদক জিতলেন। আর মহিলাদের দলগত ৫০ মিটার রাইফেল ৩ পজিশনসে ভারতকে রুপোর পদক এনে দিলেন আশি চোক্সী, মানিনী কৌশিক ও শিফট কৌর সামরা।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ভারত মোট ১৮ টি মেডেল জিতেছে। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি সোনা, পাঁচটি রুপো ও আটটি ব্রোঞ্জ। বুধবার এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে ভারতীয়দের।
এশিয়াডে চতুর্থ দিনের শুরুতেই শুটিংয়ে জোড়া সাফল্য ভারতের। বুধবার শুটিংয়ের দুই বিভাগে সোনা ও রুপো জিতলেন ভারতীয মহিলা শুটাররা। মহিলাদের দলগত ৫০ মিটার রাইফেলে প্রথমে রুপো জেতে ভারত। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ২৫ মিটার পিস্তল টিম ইভেন্টে সোনার পদক জিতলেন।
মনু ভাকর, এষা সিং এবং রিদম সাংওয়ানের ত্রয়ী যোগ্যতার শীর্ষে শেষ করে মহিলাদের ২৫ মিটার পিস্তল দলগত ইভেন্টে সোনার পদক জিতলেন। এটা এশিয়ান গেমসে ভারতের চতুর্থ স্বর্ণপদক জয়। সেইসঙ্গে দেশের নামও আরও একবার উজ্জ্বল করলেন তাঁরা।
২৫ মিটার পিস্তল ইভেন্টে চিন এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে সোনা জিতল ভারত। ফাইনালে দলগতভাবে ভারত স্কোর করে ১৭৫৯, রুপো জয়ী চিনের স্কোর ছিল ১৭৫৬। অন্যদিকে ১৭৪২ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ জয় করে দক্ষিণ কোরিয়া। ফাইনালে ভারতের হয়ে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেন মনু ভাকর। তিনি একাই স্কোর করেন ৫৯০। এষা এবং রিদম স্কোর করেন ৫৮৬, ৫৮৩। রুপো আসে শুটিংয়ে। মহিলাদের দলগত ৫০ মিটার রাইফেল ৩ পজিশনসে ভারতকে পদক এনে দিলেন আশি চোক্সী, মানিনী কৌশিক ও শিফট কউর সামরা। ১৭৫৪ পয়েন্ট পদক জিতেছেন তাঁরা। এই প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছে চিন। তাদের পয়েন্ট ১৭৭৩। ভারতীয় দলকে সমাজ মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ভারত মোট ১৬টি মেডেল জিতেছে। যার মধ্যে রয়েছে চারটি সোনা, পাঁচটি রুপো ও সাতটি ব্রোঞ্জ। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল, পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল এবং ইকুয়েস্ট্রিয়ান টিমের হাত ধরে এসেছে তিনটি সোনা। ৪১ বছর পর এই বিভাগে পদক জিতে ইতিহাস গড়েছে ইকুয়েস্ট্রিয়ান টিম।
সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি ছবিতে অভিনয় করার কথা ঘোষণা করেছিলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শুটিংয়ের মাঝপথে কলকাতা ফিরলেন তিনি। অভিযোগ, শুটিংয়ের মধ্যে তাঁকে হেনস্থা করার। সায়ন্তিকার অভিযোগ, প্রযোজকের অব্যবস্থার জন্য শুরু থেকেই তাঁকে হয়রান হতে হয়েছে।
সায়ন্তিকার শুটিং ছেড়ে কলকাতায় ফেরার কথা প্রথম প্রকাশ করে বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম। তবে শুটিংয়ের মাঝপথে তিনি ফিরে এসেছেন এই খবর উড়িয়ে দিয়েছেন টলিউডের এই অভিনেত্রী। সায়ন্তিকার জানান, মূল সমস্যার পিছনে রয়েছেন প্রয়োজক মণিরুল। কারণ, তাঁর কোনও ব্যবস্থা নেই। এমনকী পরিকল্পনার অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ সায়ন্তিকার।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবর, এই সিনেমার কোরিওগ্রাফার মাইকেলের আচরণ ঠিক লাগেনি সায়ন্তিকার। তার জেরেই কলকাতা ফিরে গিয়েছেন তিনি। এই খবর ঠিক বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে, পুরো অব্যবস্থার দায় তিনি ঠেলেছেন প্রয়োজকের দিকে।
রাজ্যে ফের শ্যুটআউট (Shoot Out)। পাওনা টাকা নিয়ে বচসার জেরে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার খন্ডঘোষের আড়িন গ্রামে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ ১ যুবক। জানা হিয়েছে, গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম অভিজিৎ রায় ওরফে দুষ্টু (২৬)। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খন্ডঘোষ থানার পুলিস।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, যুবকের বাঁদিকে কাঁধে গুলি লেগেছে। অভিজিৎ পুরোনো গাড়ি কেনাবেচা করতেন। সেই সূত্রে আজ, বুধবার বাড়িতে টাকা আদায়ের জন্য আস এক যুবক। এরপর অভিজিৎ-এর সঙ্গে দশ হাজার টাকা নিয়ে বেশকিছুক্ষণ কথাও হয় ওই যুবকের।
এরপর বাথরুমে ঢুকে যায় অভিজিৎ এবং বাথরুম থেকে বের হতেই অভিজিৎকে গুলি চালায় ওই যুবক বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে বাইক নিয়ে চলে যায় অভিযুক্ত।
ঘটনার পর প্রতিবেশী ও পুলিস জখম যুবকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল অর্থাৎ গুলিবিদ্ধ যুককের বাড়িতে আগে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকেলেও গত সপ্তাহ দুয়েক আগে সেই দুটি ক্যামেরা খুলে এনে নিজের দোকানে লাগান। তারপরেই এই ঘটনা।
বাংলা সিনেমা জগতের পরিচালকেরা ইদানিং পিরিয়ড ড্রামা নিয়ে কাজ করতে চাইছেন। এরকম বেশ কিছু প্রজেক্টের ঘোষণা করেছেন নানা পরিচালকেরা। এই তালিকায় রয়েছে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর ছবি দেবী চৌধুরানী (Devi Chowdhurani)। বেশ কিছুমাস আগেই এই ছবির ঘোষণা করেছিলেন পরিচালক। ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী সহ অন্যান্য অভিনেতারা।
কিন্তু ঘোষণা হয়ে গেলেও ছবির শ্যুটিং শুরু হয়নি এখনও। তাহলে কী কোনও কারণে পিছিয়ে গেল সিনেমার শ্যুটিং। পরিচালক এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। শ্যুটিংয়ের জন্য জায়গা নির্বাচন করা এখন সবচেয়ে কঠিন কাজ। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস 'দেবী চৌধুরানী' অবলম্বনে তৈরী হবে সিনেমার চিত্রনাট্য। কিন্তু তখনকার সময় আর এখনকার সময় এক নয়, তাই লোকেসান খুঁজতেই বেগ পেতে হচ্ছে পরিচালককে।
বর্তমানে পুরুলিয়া, বীরভূম ও ঝাড়খণ্ড ঘুরে ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজছেন পরিচালক। গভীর জঙ্গলেই ২৫০ বছর আগের আবহ তুলে ধরতে চাইছেন পরিচালক। কিন্তু ঝুঁকিও আছে অনেক। গহীন জঙ্গলের অধিকাংশ জায়গায় কেউটে-গোখরোর বাস। জঙ্গলের মধ্যে দিয়া যাওয়ার রাস্তা নেই। ফলে শ্যুটিংয়ের অত জিনিসপত্র ও টিম নিয়ে যাওয়া সহজ কাজ হবে না। তাই পরিকল্পনা করেই পা ফেলতে চাইছেন পরিচালক।
প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবী এবং প্রযোজক বনি কাপুরের কন্যা জাহ্নবী (Janhvi Kapoor)। ২০১৮ সালে 'ধড়ক' সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক করেছিলেন। এরপর ৫ বছরে তাঁর সিনেমার তালিকা বেশ ভালো। তবে তাঁর আসন্ন দেশাত্ববোধক থ্রিলার 'উলঝ' নিয়েই দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে। এই সিনেমার সিংহভাগ অংশ শ্যুট করার কথা ছিল রাজধানী শহর দিল্লিতে। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতিতে সেখানের অবস্থা দুর্বিষহ। ফলে সময়ে শুরু হতেই পারল না জাহ্নবীর সিনেমার শ্যুটিং।
জানা গিয়েছে, জুলাইয়ের ১০ তারিখ সিনেমার পুরো টিমের দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। ঠিক ছিল, নয়া দিল্লি, পুরোনো দিল্লি, লাল কেল্লা, কুতুব মিনার, লাজপতনগর মার্কেট সহ বেশ কিছু জায়গায় এই সিনেমার শ্যুটিং হবে। কিন্তু ১৬ তারিখ পেরিয়ে গেলেও দিল্লি পৌঁছাতে পারলেন না জাহ্নবীসহ গোটা টিম। তাই প্রশ্ন উঠছে দিল্লির বদলে কী অন্য কোনও জায়গায় হবে সিনেমার শ্যুটিং?
উলঝ ছবির নির্মাতারা অবশ্য অন্য কোনও জায়গার কথা ভাবছেন না। তাঁদের পরিকল্পনা, দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি ঠিক হলেই শুরু হবে সিনেমার শ্যুটিং। আগস্টের মাঝামাঝি সময়েই আবারও শ্যুটিং শুরু করবেন তাঁরা। তাই একটু দেরি হলেও জাহ্নবীর সিনেমা আসবে পর্দায়।
অন্যদিকে জুলাইয়ের ২১ তারিখ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে 'বাওয়াল'। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন জাহ্নবী কাপুর এবং বরুণ ধাওয়ান। সিনেমার ট্রেলার ইতিমধ্যেই দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছে। সিনেমা কতটা জমেছে, তা জানা যাবে ছবি মুক্তি পেলে।
প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly) পশ্চিম-বঙ্গবাসীর পছন্দের। তাঁকে আজকাল খেলার ময়দানে দেখা যায় না। তবে মাঝেমধ্যেই খেলাতে দেখা যায় টেলিভিশনের পর্দায়। জনপ্রিয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ততোধিক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান 'দাদাগিরি' (Dadagiri)। বাংলার দাদা সৌরভ গাঙ্গুলি সেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বিগত বেশ কিছু বছর ধরে। যদিও একটি সিজনে সেই জায়গায় দেখা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীকে। কিন্তু তারপর থেকে দাদাগিরির সঞ্চালনার ব্যাটন সৌরভ গাঙ্গুলির হাতেই থেকেছে।
আবার কবে নতুন সিজন শুরু হবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শকেরা। এবার তাঁদের জন্য সুখবর। টলি পাড়ায় গুঞ্জন, আর কয়েক মাস বাদেই শুরু হতে চলেছে দাদাগিরি। বর্তমানে রাত সাড়ে নটায় সম্প্রচারিত হচ্ছে, 'ডান্স বাংলা ডান্স'। এই সিজনটি শেষ হলেই নাকি শুরু হবে দাদাগিরির শ্যুটিং। সব ঠিক থাকলে অক্টোবর মাস থেকেই টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যেতে চলেছে জনপ্রিয় এই রিয়েলিটি শো।
তবে সৌরভ গাঙ্গুলি বর্তমানে কলকাতায় নেই। মহারাজ বর্তমানে রয়েছেন লন্ডনে। তাঁর ভালো সময় আরও ভালো হতে চলেছে দাদাগিরি শুরু হওয়ার খবরে। অন্যদিকে সৌরভ গাঙ্গুলির বায়োপিক নিয়েও তোড়জোড় তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই নাকি সিনেমার স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনানো হয়েছে দাদাকে। দক্ষিণী তারকা রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বর্য দাদার বায়োপিকের পরিচালনা করতে চলেছেন। যদিও এই নিয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।
আগ্নেয়াস্ত্র (Firearms) নিয়ে শূন্যে গুলি (Shooting) চালানোর অভিযোগ কিছু দুষ্কৃ্তীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতেই মহেশতলায় (Mahashtala) পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে রবীন্দ্রনগর থানার অন্তর্গত মহেশতলা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশতলা বুড়ির মাঠ এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রবীন্দ্রনগর থানার পুলিস (Police)। পুলিসকে ঘিরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তায় পাইপ ও ইট ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাস্তায় স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে দুষ্কৃতীদের ধাক্কা লাগে। তারপরেই দুষ্কৃতীরা বচসা শুরু করে। এরপরেই বেশকিছু দুষ্কৃতী বুড়ির মাঠ এলাকায় এসে আগ্নেয়াস্ত্র বার করে শূন্যে একাধিকবার গুলি ছোড়ে। প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ টি গুলি শূন্যে চালায় দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়দের দাবি, দুষ্কৃতীদের যেন অতিশীঘ্রই গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।
সারা দুনিয়ার কাছে যিনি 'শাহরুখ খান-দা সুপারষ্টার', আরিয়ান খানের কাছে তিনি বাবা। ছোটবেলা থেকে তাঁর কোলেই হেসে খেলে, স্নেহে ভালোবাসায় বড় হয়েছেন আরিয়ান (Aryan Khan)। তবে ছোট্ট ছেলেটি এখন অনেক পরিণত। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইছেন নিজের মতো করে। অল্প বয়সেই নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। তাই নিয়ে এসেছেন নিজস্ব পোশাকের ব্র্যান্ড। ডিইয়াভল (DYAVOL) কেবলমাত্র আরিয়ানের ব্যবসা নয়। গত ৪-৫ বছরের স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন পূরণে আরিয়ান পাশে পেয়েছেন তাঁর বাবাকে। শাহরুখের (Shahrukh Khan) সঙ্গে তাঁর প্রথম বিজ্ঞাপনে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন? জানালেন তারকা পুত্র।
এক সাক্ষাৎকারে আরিয়ান জানিয়েছেন, 'বাবার সঙ্গে কাজ করা কোনও দিনই চ্যালেঞ্জিং নয়, কারণ তাঁর অভিজ্ঞতা এবং ডেডিকেশন দিয়ে, তিনি বাকি সকলের কাজ সহজ করে দেন। তিনি সবসময় পুরো টিমকে আন্তরিক অনুভূতি দেন এবং সকলকে খুবই সম্মান করেন। বাবা যখন সেটে থাকেন আমি অতিরিক্ত মনোযোগ দিই, যাতে কোথাও কোনও কিছু শেখার সুযোগ না হারিয়ে ফেলি।'
শ্যুটিংয়ের সেটে শাহরুখ কী নিজস্ব ভাবনা যোগ করেন? এর উত্তরে আরিয়ান বলেন, 'অবশ্যই দিয়েছেন, এবং সেটে উপস্থিত বাকিরাও এই প্রজেক্টে নিজেদের ভাবনা যোগ করেছেন একইভাবে। আমার বাবার ভাবনা অবশ্যই আমার থেকে আলাদা। সেটে সকলের কথা শোনা প্রয়োজন, কারণ সিনেমা তৈরী করা যৌথ প্রক্রিয়া।'
'গর ফিরদৌস বার-রুয়ে জমিন অস্ত, হামিন আস্ত, হামিন আস্ত, হামিন আস্ত।' কাশ্মীরের সৌন্দর্য নিয়ে এই কথাগুলি লিখেছিলেন, আমির খুসরু। এর বাংলা তর্জমা, 'স্বর্গ বলে যদি কিছু থাকে, তাহলে তা এখানেই, এখানেই, এখানেই।' এবার সেই ভূস্বর্গেই পা পড়ল রাজার অর্থাৎ কিং খানের (Shahrukh Khan)। আসন্ন সিনেমা 'ডানকি'র শ্যুটিংয়ের জন্য কাশ্মীরে (kashmir) গিয়েছেন তিনি। হোটেলে ঢোকার মুখে নিজেকে যথেষ্ট লুকোনোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শাহরুখ যেখানে ভক্তদের চোখও সেখানে।
ডানকির গোটা টিম-সহ কাশ্মীরের শোনমার্গে একটি হোটেলে উঠেছেন তিনি। হোটেলের উপরের তলা থেকে শাহরুখের হোটেলে ঢোকার মুহূর্ত বন্দী করেছেন তাঁরই এক ভক্ত। শাহরুখের সামনে পিছনে নিরাপত্তারক্ষীদের নিরাপত্তা বলয়। শাহরুখের পাশে দেখা গিয়েছে তাঁর ম্যানেজার পূজাকে। তাঁর সঙ্গেই কোনও একটি বিষয় নিয়ে বেশ হাসাহাসি করতে করতেই হোটেলে প্রবেশ করেছেন শাহরুখ খান। কাশ্মীরে গিয়েই ডানকির শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, কিং খান। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন শাহরুখ ভক্ত।
Shah Rukh Khan spotted entering the hotel in Sonamarg 👑 pic.twitter.com/CL7CBwsv9d
— Aryan (@tumhidekhonaa) April 24, 2023
ডানকি সিনেমা পরিচালনা করছেন, পরিচালক রাজকুমার হিরানি। শাহরুখের পাশাপাশি সিনেমায় দেখা যাবে তাপসী পান্নুকে। এর আগে ডানকি প্রসঙ্গে শাহরুখ বলেছিলেন, 'সিনেমাটি পরিচালনা করছেন আমাদের দেশের অন্যতম উজ্জ্বল পরিচালক রাজু হিরানি। অসাধারণ লেখক অভিজিৎ যোশী এই গল্প লিখেছেন। এই তাঁদের গল্প যারা বাড়ি ফিরতে চায়।'
টেক্সাসের স্কুলে (School) ফের বন্দুকবাজের (Shooting) হামলা। অভিযোগ, পড়ুয়াদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে ৯ জন পড়ুয়া। পুলিস সূত্রে খবর, টেক্সাসের ওই স্কুলটিতে একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে পার্টি (Party) করছিল পড়ুয়ারা (Students)। সেই পার্টি চলাকালীন গুলি চালানো হয়।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে টেক্সাসের জ্যাসপার এলাকার একটি হাইস্কুলে আচমকাই গুলির শব্দ শোনা যায়। পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। যার ফলে ৯ জন পড়ুয়া গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে গুলির আঘাত প্রাণঘাতী নয় বলে জানিয়েছে পুলিস। বর্তমানে আহত পড়ুয়ারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমেরিকায় নাগরিকদের কাছে পিস্তল রাখা আইনত বৈধ। তাই অনেকেই সঙ্গে পিস্তল রাখেন। সেই জন্যে কোনও না কোনও জায়গায় বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। টেক্সাসের স্কুলের পড়ুয়ারা তেমনই হামলার শিকার হল। ওই স্কুলে তো বটেই, শহরের বাকি স্কুলগুলিতেও নিরাপত্তা দ্বিগুণ করে দিয়েছে প্রশাসন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, টেক্সাসের স্কুলে এই বন্দুকবাজের হামলায় যারা আহত হয়েছে, তাদের বয়স ১৫ বছর থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত আছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। একজন বন্দুকবাজ নাকি একাধিক বন্দুকবাজ স্কুলে গুলি চালিয়ে আক্রমণ করেছেন, তা স্পষ্ট করেনি পুলিস। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি টেক্সাসের পুলিস।