বাঙালি দর্শকদের ভীষণ পছন্দের অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। অভিনয় জগতে তাঁর উত্তরণ ছোট পর্দা দিয়ে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে দর্শকদের মনে রাখার মতো নানা চরিত্র উপহার দিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে ইদানিং তাঁকে সিনেমা-ওয়েব সিরিজে বেশি দেখা গেলেও ধারাবাহিকে একটু কমই দেখা যায়। শেষবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল, 'লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার' ধারাবাহিকে। সেই ধারাবাহিক শেষ হয়েছে গত বছর ডিসেম্বরে। এরপর আর ছোট পর্দায় দেখা যায়নি অপরাজিতাকে। অভিনেত্রী কবে ধারাবাহিকে (Serial) ফিরবেন? জানালেন।
এক সংবাদমাধ্যমকে অপরাজিতা জানিয়েছেন, 'আলাদা আলাদা ধারাবাহিকে সেই একই গল্প এখন ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। যদি এক ধরণের গল্প দর্শকদের পছন্দ হয়ে যায়, তাহলে অন্য ধারাবাহিকগুলিও সেই পথেই হাঁটে। আমি এখন আর কিছুই করার কথা ভাবছি না, যতক্ষণ না কেউ অন্যভাবে ভাবছেন। আমি নিশ্চয়ই কাজ করব, কিন্তু আমার চরিত্রটি পছন্দ হতে হবে এবং যে ধরণের চরিত্রের কথা আমাকে মুখে বলা হবে, সেই পথেই চরিত্রটিকে এগোতে হবে। মাঝরাস্তায় চরিত্রটিতে বদল আনা যাবে না।'
কেন তাঁকে ধারাবাহিকে কম দেখা যায়, সেই বিষয়ে অপরাজিতা আরও বলেছেন, 'আমাকে ধারাবাহিকে নেওয়া প্রযোজকদের জন্য খরচবহুল হয়। আমাকে কোনও ধারাবাহিকে নেওয়ার আগে তাই অর্থনৈতিক বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হয়।'
বাংলা টেলিভিশনে এখন ধারাবাহিকের (Serial) ছড়াছড়ি। তবে ঘুরে ফিরে সব ধারাবাহিকই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়। যদিও নেটিজেনদের মতে, সব ধৈর্যের সীমা সম্প্রতি পার করল 'কার কাছে কই মনের কথা' (Kar Kache Koi Moner Kotha) ধারাবাহিক। সামাজিক মাধ্যমে আজকাল সিরিয়ালের টুকরো টুকরো ভিডিও আপলোড করা হয়। তেমনই আপলোড করা হয়েছে, ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র শিমূলের ফুলসজ্জার কিছু দৃশ্য।
ধারাবাহিকে স্বামী পরাগের সঙ্গে তাঁর ফুলসজ্জার রাতেই বুক ব্যথা নিয়ে ঘরে উপস্থিত হয় শাশুড়ি। বড় ছেলে পরাগকে কিছুতেই কোলছাড়া করতে চান না তিনি। এদিকে ছেলের বউ শিমূলের সঙ্গেও কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন শাশুড়ি। যদিও ছেলে পরাগ মায়ের অসুস্থতাকে সত্যি বলে মেনে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, ফুলসজ্জার রাতে মা ছেলের পাশেই শুয়ে পড়েছে। আর বউমা শিমূল বসে রয়েছে পাশের সোফায়।
এই দৃশ্য দেখে একেবারে টেলি বেগুনে জ্বলে উঠেছেন দর্শকেরা। তাঁদের মতে, '২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখতে হবে!' এক নেটিজেন লিখেছেন, 'এত বড় তারকারা কেন যে এমন গল্পে কাজ করেন কে জানে! তাঁদের কি মতিভ্রম হয়েছে!' আরও এক নেটিজেন লিখেছেন, 'এরকম ধারাবাহিক বন্ধ হোক। এই দৃশ্যগুলি সমাজের উপর, সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলে।'
কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিক নিয়ে প্রত্যাশী ছিলেন দর্শকেরা। মানালি দে (শিমূল), বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায় (সুচরিতা), স্নেহা চট্টোপাধ্যায় (বিপাশা), শ্রীতমা ভট্টাচার্য (পুতুল), রীতা দত্তর অভিনয়ে একেবারে জমে উঠেছিল ধারাবাহিকের প্রেক্ষাপট। তবে ফুলসজ্জার টুকরো টুকরো এই দৃশ্য দর্শকদের মনে ভালো প্রভাব ফেলেনি। এর প্রতিফলন হতে পারে ধারাবাহিকের টিআরপিতেও।
বাংলা ধারাবাহিকের (Serial) জনপ্রিয় মুখ মানালি দে (Manali Dey)। বেশ কিছু বছর ধরে অবশ্য বড় পর্দাতেও তাঁর দেখা মিলছে মাঝেমধ্যে। ব্যক্তিগত জীবনেও থিতু হয়েছেন অভিনেত্রী। অভিমন্যুর সঙ্গে চুটিয়ে সংসার করছেন। তাঁর ভক্তদের জন্য সুখবর। মানালি বহু বছর পর আবারও ছোট পর্দায় ফিরছেন। 'কার কাছে কই মনের কথা' ধারাবাহিকে এবার নিয়মিত মুখ হতে চলেছেন মানালি। সেই ধারাবাহিকের প্রচারে এসেই মাতৃত্ব নিয়ে নিজের ভয়ের কথা জানালেন অভিনেত্রী।
মানালির পাশাপাশি ধারাবাহিকে দেখা যাবে অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায় ও স্নেহা চট্টোপাধ্যায়কে। এই দুই অভিনেত্রীর বাড়িতেই দুটি ছানা রয়েছে। স্নেহা মা হয়েছেন ২০২১ সালে, অন্যদিকে বাসবদত্তা মা হয়েছেন ২০২২ সালে। তাই ধারাবাহিকের সেটে দুই মা বেশিরভাগ নিজের সন্তানকে নিয়েই আলোচনা করেন বেশি। সেই আলোচনা শুনেই নাকি মা হতে ভয় পাচ্ছেন মানালি।
সম্প্রতি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান দিদি নম্বর ওয়ানে এসেছিলেন ধারাবাহিকের মুখ্য অভিনেত্রীরা। সেখানেই অভিনেত্রী স্নেহা বলেছেন, 'এখন ছানা হয়ে গিয়ে আমি আর বাসবদত্তা কেবল ছানার গল্প করি। জীবনের গল্পটা টোটাল পাল্টে গেল।' এমন সময় বাসবদত্তা বলেন, 'সেই গল্প শুনে মানালি ভয় পেয়ে যায়।' সেই বক্তব্যে সম্মতি দিয়ে মানালি বলেন, 'আমি তো একবার এদিকে তাকাই, একবার ওদিকে তাকাই। আর বলি তোমরা বাবা আর বোলো না।'
অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar) এবং অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর (Yash Dasgupta) উত্তরণ প্রায় একই সময়। দুজনেই বিনোদন জগতে আগে টুকটাক কাজ করলেও একটি ধারাবাহিক থেকেই তাঁদের জনপ্রিয়তা। একটি চ্যানেলের হয়ে 'বোঝে না সে বোঝে না' ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছিল এই তারকাকে। ধারাবাহিকে যশ হয়েছিলেন 'এংগ্রি ইয়ানংম্যান', চরিত্রের নাম ছিল অরণ্য। অন্যদিকে মধুমিতার চরিত্রের নাম ছিল পাখি। অরণ্য যতটাই রাশভারি, পাখি ততটাই ছেলেমানুষ। এই জুটি খুব পছন্দ করেছিলেন দর্শকেরা।
২০১৩ সালে শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটি। শেষ হয়েছিল ২০১৬ সালে। তবে দর্শকেরা আজও ধারাবাহিকটি মিস করেন। এবার দর্শকদের মনের কথা বুঝতে পেরে আবারও পর্দায় দেখা দেবেন অরণ্য ও পাখি। তাহলে কী ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্ব আসতে চলেছে? আজ্ঞে না। নতুন ধারাবাহিক নয়, পুরোনো ধারাবাহিকটিই আবার পর্দায় দেখা যেতে চলেছে। সোমবার থেকেই ষ্টার জলসা চ্যানেলে, সকাল ১১তা থেকে দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিকটি। আপনিও যদি এই জুটির ভক্ত হন, তাহলে ছুটে যান ধারাবাহিকটি দেখতে।
২০২১ সালের জুলাই মাসে প্রথম সম্প্রচার হয়েছিল মিঠাই (Mithai) ধারাবাহিক (Serial)। তারপর থেকে বাঙালি সিরিয়াল-প্রেমীদের কাছে 'মিঠাই' আদতেই শেষ পাতের মিষ্টির মতো হয়ে গিয়েছিল। প্রত্যেকদিন নিয়ম করে ধারাবাহিক না দেখলে মন ভরতো না দর্শকদের। ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যের স্রোতে ভেসেছিলেন দর্শক। আনন্দে হেসেছেন, দুঃখে কেঁদেছেন। মিঠাইয়ের সঙ্গে দর্শকদের প্রায় দুই বছর সম্পর্ক এবার শেষ হতে চলেছে।
ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে মিঠাই ধারাবাহিকের শেষ শ্যুটিং। তবে এপিসোডগুলি জমানো ছিল। শ্যুটিং শেষ হয়ে গেলেও চিত্রনাট্যের শেষটুকু উপভোগ করছিলেন দর্শকেরা কিন্তু সেই যাত্রাও এবার শেষ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, মিঠাই ধারাবাহিকের শেষ এপিসোড দেখা যাবে ৯ জুন। এরপর মিঠাইয়ের জায়গা নিয়ে নেবে অন্য কোনও ধারাবাহিক।
ধারাবাহিকের শেষ শ্যুটিংয়ের পর চরিত্রাভিনেতারা বিষণ্ণ হয়ে গিয়েছিলেন। সকলেই সামাজিক মাধ্যমে মন খারাপের কথা জানিয়েছিলেন। এতগুলো বছর একসঙ্গে অভিনয় করে ক্যামেরার পিছনে তাঁদের অন্যরকম রসায়ণ তৈরী হয়েছিল। ধারাবাহিকের শ্যুটিং শেষ হয়ে যাওয়ায় সকলেই একে অপরকে মনে করছেন। একইসঙ্গে নতুন কাজে ফেরার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন সকলে।
মন খারাপ দর্শকদের। শেষ হয়ে যেতে চলেছে টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই। ২০২০ সালে শুরু হয়েছিল 'মিঠাই' (Mithai) ধারাবাহিকের যাত্রা। তারপর থেকে দর্শকদের দৈনন্দিনতার অংশ হয়ে উঠেছিল ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি চরিত্র। চরিত্রগুলির সংলাপে দর্শক কখনও হেসেছেন, কখনও রেগে গিয়েছেন, আবার কখনও কেঁদেছেন। চরিত্রের সঙ্গে দর্শকদের এই একাত্ম হয়ে যাওয়াতেই লুকিয়ে রয়েছে ধারাবাহিকের সফলতা। প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে 'মিঠাই' ধারাবাহিকটি সেই কাজই করে এসেছেন সফলভাবে। তবে এবার আর দর্শক চাইলেই মিঠাই দেখতে পারবেন না।
বুধবার অর্থাৎ ৩১ মে 'মিঠাই' ধারাবাহিকের শেষ পর্বের শ্যুটিং হতে চলেছে। এর আগে প্রযোজনা সংস্থা থেকে মিঠাই শেষ হওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। এমনকি মিঠাইয়ের ভাঙা সেটের ছবিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। মিঠাই-এর চরিত্রাভিনেত্রী সৌমিতৃষা ধারাবাহিক থেকে বিরতি নেওয়ার পর দর্শকদের মন আরও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। দর্শকেরা ভেবেছিলেন আবার বুঝি আগের মতো হবে ধারাবাহিক। তবে মিঠাই এর যাত্রা এখানেই শেষ হতে চলেছে।
সামাজিক মাধ্যমে সৌমিতৃষা জানিয়েছিলেন, 'আমি ৩০ ও ৩১ মে মিঠাই-এর শ্যুটিং করব। আমাদের মিঠাইয়ের শ্যুটিং শেষ হচ্ছে।' অভিনেতা আদৃত অর্থাৎ ধারাবাহিকের সিদ্ধার্থ মোদক ধারাবাহিকের শেষ শ্যুটিং করেছেন ৬ মে। পুরনো ধারাবাহিক শেষে এবার নতুন ধারাবাহিকের যাত্রা শুরু হতে চলেছে।
বাংলা ধারাবাহিকে একসময় উপরের দিকে ছিল মেয়েবেলা (Meyebela)। দর্শকেরা প্রথম দিকে মেয়েবেলার চিত্রনাট্যকে পছন্দ করেছিলেন বেশ। তবে ধারাবাহিকের মোড় ঘুরতেই, দর্শকদের আগ্রহ যেন কমতে শুরু করেছিল। তবুও টিআরপির(TRP) তালিকায় মোটামুটি একটা স্থান ধরে রেখেছিল ধারাবাহিকটি। তবে সম্প্রতি ধারাবাহিকটিকে এতো টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তাতেই বোধহয় দর্শকদের আগ্রহ তলানিতে ঠেকেছে। এই টিআরপির মুখ থুবড়ে পড়ার কারণ হতে পারেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও (Rupa Gangopadhyay)।
কিছুদিন আগেই 'মেয়েবেলা' ধারাবাহিক থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ধারাবাহিকে বীথির চরিত্রে এরপর এসেছিলেন অভিনেত্রী অনুশ্রী দাস। কিন্তু তাতে যে দর্শকের মন মজেনি, সেই প্ৰমাণ পাওয়া গেল এইবার। ১১ মে পর্যন্ত দর্শকদের ধারাবাহিকের পছন্দের তালিকা পাওয়া গেল। প্রথম পাঁচে নেই মেয়েবেলা। তালিকায় ধারাবাহিকটি স্থান পেয়েছে ৯ নম্বরে। রেটিং পেয়েছে ৫.৭।
দর্শকদের পছন্দের তালিকায় ১ নম্বরে নাম রয়েছে, 'অনুরাগের ছোঁয়া' ধারাবাহিকের। দ্বিতীয় স্থানে নাম রয়েছে, 'জগদ্ধাত্রী'র। তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে 'গৌরী এলো' ধারাবাহিকের নাম। চতুর্থ স্থানে নাম 'নিম ফুলের মধু' ধারাবাহিকের। পঞ্চমে স্থান পেয়েছে, ' বাংলা মিডিয়াম'।
বহু বছর বাদে 'মেয়েবেলা' (Meyebela) ধারাবাহিক দিয়ে ছোট পর্দায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন টলি থেকে বলিউডের পোড় খাওয়া অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)। গল্পের বাঁধনের জন্য ধারাবাহিকের টিআরপি বেড়েছিল ঠিকই, কিন্তু এর আরও একটি ফ্যাক্টর হয়েছিলেন অভিনেত্রী রূপা। 'মহাভারত' খ্যাত এই অভিনেত্রীকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে অধীর আগ্রহে থাকতেন দর্শকেরা। কিন্তু এবার থেকে পর্দায় 'মেয়েবেলা' ধারাবাহিকে বীথির চরিত্রে আর দেখা যাবে না রূপাকে।
ইতিমধ্যেই রূপার বদলে বীথির চরিত্রে দেখা গিয়েছে আরেক পোড় খাওয়া অভিনেত্রী অনুশ্রী দাসকে। তবে এই হঠাৎ বদল ঠিক মেনে নিতে পারছেন না অনেক দর্শক। তাঁরা বলছেন, 'বীথির চরিত্রে রূপাকেই বেশি ভালোলাগে।' রূপার এই হঠাৎ চলে যাওয়ায় ধারাবাহিকের টিআরপিতেও বদল আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। নেটিজেনদের প্রশ্ন, আচমকা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী? না কী তাঁকে বাদ দেওয়া হল?
জানা গিয়েছে, প্রযোজক সংস্থার সঙ্গে অভিনেত্রীর মতপার্থক্যের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন তিনি। টলি পাড়ার অন্দরে কানাঘুঁষো, বীথির চরিত্রকে পর্দায় যেভাবে দেখানো হচ্ছিল, তাতে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না অভিনেত্রী। তবে ধারাবাহিকের প্রযোজনা সংস্থা বীথির চরিত্রে বদল ঘটাননি। ধারাবাহিক থেকে সরে যাওয়া না কি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত। দর্শক ডোডোর মায়ের চরিত্রে অনুশ্রী দাসকে কবে মেনে নিতে পারেন, সেইটাই দেখার।
সতীশ কৌশকের মৃত্যুশোক কাটতে না কাটতেই ফের বলিউডে শোকের ছায়া।প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা (Entertainment) সমীর খাকর। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বলিউড। কয়েকদিন ধরেই শ্বাসকষ্ট ও নানা শারীরিক রোগে ভুগছিলেন নুক্কর খ্যাত এই অভিনেতা। মঙ্গলবার বিকেলে হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে যেতেই শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল (Paralysis) হতে শুরু করে। চিকিৎসকদের অনেক চেষ্টার পরেও শেষরক্ষা হয়নি। বুধবার ভোরে প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। অভিনেতার মৃত্যুতে তাঁর ছোট ভাই গনেশ খাকর জানান, 'মঙ্গলবার বিকেলে শরীর খারাপ হওয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন দাদা। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকায় মৃত্যু হয় অভিনেতা সমীর খাকরের।' বুধবার অভিনেতার শেষকৃত্য(Last Rites)।
সমীর খাকর দূরদর্শনের জনপ্রিয় নুক্কর ধারাবাহিকের পরিচিত মুখ ছিলেন। সার্কাস ধারাবাহিকেও কাজ করেন সমীর। পাশাপাশি ছোট পর্দায় রাজাবাবু, দিলওয়ালে, শাহেনশার মতো ছবিতেও দেখা গিয়েছে এই অভিনেতাকে।
মুম্বইয়ের (Mumbai) ফিল্মসিটির একটি স্টুডিওতে (film city) বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড (fire)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে ফিল্মসিটির টিভি সিরিয়াল "গুম হ্যায় কিসিকে পেয়ার মে"-এর সেটে বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা। কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি। তবে এ ঘটনার জেরে শুটিং বন্ধ (Closed Shooting) রাখা হয়েছে সিরিয়ালটির।
বৃহন্মুম্বই পুর কর্পোরেশনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্টুডিওতে সিরিয়ালটির শুটিং হচ্ছিল। বিকেল ৪.৩০টের দিকে আগুনের খবর আসে। কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে আগুনে নীচের তলার ২ হাজার বর্গফুটের স্টুডিয়োর ক্ষতি হয়েছে।
প্রায় ২০০০ বর্গফুট এলাকায় প্রথমে আগুন লাগে। এরপর দ্রুত সেই আগুন স্টুডিওর অন্য ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুর এলাকা। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ১২টি দমকলের ইঞ্জিন, সাতটি জলের পাইপ, একটি জলের ট্যাঙ্কার এনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ফায়ার ব্রিগেড আগুনটিকে লেভেল-৩ বলে দাবি করেছে এবং লেভেল-৪ সবচেয়ে গুরুতর।
প্রায় দুই দশক পর নেপালের জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছে সিরিয়াল লেডি কিলার চার্লস শোভরাজ। সুদর্শন চেহারার এই ফরাসী নাগরিক এক সময় স্বল্প বসনা নারীদের কাছে দুঃস্বপ্নের কারণ ছিল। নেপালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেল জীবনে ইতি পড়ছে চার্লস শোভরাজের। তাকে বিকিনি কিলার বলে জানে অপরাধ জগৎ।
গত শতকের সত্তর-আশি দশকের মধ্যে তাইল্যান্ড -সহ পর্যটন বান্ধব একাধিক দেশের মহিলাদের মাদকসক্ত করে খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল শোভরাজের। যে মহিলারা তার শিকার হতেন,অধিকাংশের দেহে থাকতো স্বল্প বসন। পুলিসি তদন্তে জানা গিয়েছিল, বিকিনি পরা মহিলাদের নিশানা করত শোভরাজ। এমনকি খুনের করে গা ঢাকা দেওয়ার ধরনও তাকে পুলিসের কাছে ধূর্ত করে তুলেছিল। দিল্লিতে তিন পর্যটককে বিষ খাওয়ানোর অপরাধে তিহার জেলে বন্দি ছিল শোভরাজ। জেল ভেঙে পালাতে সফল হয়েছিল সে। তবে ফের তাকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
গত শতকের শেষ দিকে ভারতীয় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সে ফ্রান্স হয়ে নেপাল যায়। পড়শি দেশে নামতেই পুরোনো এক খুনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিচারে প্রায় দু দশকের জেলের সাজা হয়েছিল শোভ রাজের। সেই সাজার মেয়াদ কাটিয়ে অবশেষে মুক্ত হতে চলেছেন বিশ্ব অপরাধ জগতের এই বর্ণময় চরিত্র।
নাম, যশ-এর লোভে মানুষ কী না করতে পারে? লাইম লাইটে আসতে গিয়ে একের পর খুন (Murder) করেছেন ওই ব্যক্তি। শেষমেশ পুলিসের (Police) জালে ধরা পড়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন অভিযুক্ত ওই 'সিলিয়ার কিলার' (Serial killer)। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সাগর জেলায়।
উল্লেখ্য, ওই এলাকায় ত্রাস হয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন তিনি। তদন্তে জানা গিয়েছে, কেবল নিরাপত্তারক্ষীরাই ছিল তাঁর টার্গেট। তবে খুন করার জন্য কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতেন না। কেবল হাতুড়ি, পাথর এবং কোদাল দিয়ে তাঁদের মাথা থেঁতলে খুন করতেন অভিযুক্ত। যখন রাতে নিরাপত্তারক্ষীরা ঘুমাতেন তখনই তাঁদের উপর আক্রমণ করতেন।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তিন জন নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করেছেন অভিযুক্ত। জেরায় অভিযুক্ত দাবি করেছেন, একের পর এক খুন করে ‘বিখ্যাত’ হতে চেয়েছিলেন। অভিযুক্তের ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে শুক্রবার ভোররাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিস।