
পুলিস অফিসাররাও চমকে গিয়েছিলেন। এমনও সম্ভব। শখ মেটানোর জন্য নিজের একরত্তি সন্তানকে বিক্রি করলেন এক দম্পতি! পুলিস জানতে পারে আইফোন ১৪ কিনবে বলে আট মাসের সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন সদ্যোজাতের বাবা ও মা। পুলিস সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার।
পুলিস জানিয়েছে, সাথী নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় তিনি জানিয়েছেন, যে প্রতিবেশী এক মহিলার কাছে সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। মহিলার কাছে সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছে। ওই মহিলার স্বামী জয়দেবকেও গ্রেফতার করেছে পুলিস। প্রিয়াঙ্কা নামে এক মহিলাকে ওই বাচ্চাকে বিক্রি করা হয়েছে। আট মাসের ওই শিশুটিকে কিনতে ভালোই দাম দিয়েছেন তিনি।
এক প্রতিবেশী পুলিসকে জানাবার পরই পদক্ষেপ করে পুলিস। প্রতিবেশীরা পুলিসকে জানান, ওই দম্পতির অর্থাভাব ছিল। বাচ্চা হওয়ার পরেও তাঁদের অর্থাভাব ছিল। গত কয়েকদিন ধরে তাঁদের হাবভাবে বদল আসে। তাঁদের হাতে আইফোন হাতে ঘুরছিলেন তাঁরা। পোশাকেও পরিবর্তন এসেছিল। এরপরই পুলিসকে জানায় প্রতিবেশীরা। তদন্তে নেমে পুলিস সবটা জানতে পেরে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
দুর্গাপুরের (Durgapur) একটি ড্রপ বক্স (Drop box), যাকে ঘিরেই যত বিতর্ক। অভিযোগ, সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল কাউন্সেলিং হবে, কিন্তু সেটা কার্যত বদলে গেলো ড্রপ বক্সে। আর যাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি দুর্গাপুর আইটিআই-তে (ITI)।
সরকারি নোটিফিকেশন অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ সোমবার দুর্গাপুর আইটিআই কলেজে স্পট কাউন্সেলিং হওয়ার কথা, যেটা চলবে সেপ্টেম্বর ২৯ পর্যন্ত। সরকারি নির্দেশিকাতে লেখা রয়েছে পুরো প্রক্রিয়াটা হবে ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ মেনে। অর্থাৎ যিনি প্রথম আসবেন তাঁর প্রথম কাউন্সেলিং হবে। প্রশ্ন উঠেছে প্রথম আসলে প্রথম অগ্রাধিকার, কিন্তু ড্রপ বক্সে এই প্রক্রিয়া কীভাবে কার্যকর হবে?
কারণ, বক্সের ভেতরে সবইতো মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে। কে প্রথম, কে পড়ে এটা বোঝা যাবে কীভাবে? আর আজ দুর্গাপুর আইটিআই-তে যারা স্পট কাউন্সেলিং-এর জন্য আসেন তাঁদের অভিযোগ এখান থেকেই শুরু। কেউ পুরুলিয়া, কেউ বাঁকুড়া, কেউ আসানসোল আবার কেউ বা আরও দূর থেকে দুর্গাপুরে এই সরকারি আইটিআই কলেজে কাউন্সেলিং-এর জন্য এসেছিলেন।
তাঁদের অভিযোগ, কোথাও তো একটা অস্বচ্ছতা রয়েছে, যার চরম মাসুল দিতে হচ্ছে তাঁদেরকে। বিতর্কের এখানেই যে শেষ তা নয়, সরকারিভাবে জারি করা এই নোটিফিকেশন। যেখানে সকাল ১১ টার কথা লেখা থাকলেও তা কলেজ আসার শেষ সময় না। তার আগে আসতে হবে কাউন্সিলিং-এর জন্য সেই নিয়েই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এতে করে অনেক ছাত্র যারা দূর জেলা থেকে সোমবার দুর্গাপুরে এসেছিলেন, এদের অনেকে ড্রপ বক্সে ফর্ম ফেলতে পারেনি।
এই বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি দুর্গাপুর আইটিআই কলেজের প্রিন্সিপাল বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়। সিএনের ক্যামেরা দেখে পালিয়ে বাঁচেন সরকারি কলেজের এই শিক্ষক। এমন ঘটনায় সুর চড়িয়েছে বিরোধীরাও।
সামান্য এক মোমবাতি বিক্রেতার (Candel seller) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে (Bank Account) বিপুল অঙ্কের টাকা। আর সেই অভিযোগে বিক্রেতার বাড়িতে অভিযান চালালেন আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার (Financial Anti Corruption Branch) আধিকারিকেরা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আগরপাড়া (Agarpara) আজাদ হিন্দ নগর এলাকায়।
পেশায় মোমবাতি বিক্রি করেন পানিহাটি পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আগরপাড়া আজাদ হিন্দ নগরের বাসিন্দা অমল সেন। স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউ ও নাতনিকে নিয়ে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকেন অমলবাবু। পুরসভার সরকারি প্রকল্পে বাড়ি করার জন্য লোন নিয়ে বাড়ির কাজ শুরু করেছিলেন। পুরো টাকা না পাওয়ায় বাড়ির কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে।
অমলবাবুর এই আর্থিক অবস্থার মধ্যে হঠাৎ করে তাঁর ও পরিবারের সকলের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা ঘটে। তাঁর বাড়িতে অর্থনৈতিক দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকেরা অভিযান চালান। এবং বলা হয় ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনায় তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মোমবাতি বিক্রি করা অমল বাবু স্বাভাবিকভাবেই তা শোনার পর হতবাক হন।
সূত্রের খবর, ভুলবশত কোনও কারণে বিপুল অঙ্কের টাকা অমল বাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসে। এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের আগরপাড়ার শাখায় তার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সোমবার ব্যাঙ্কের কাগজপত্র নিয়ে অমল বাবুকে যেতে বলা হয়েছে কলকাতার অর্থনৈতিক গুন্ডাদমন শাখার অফিসে।
যদিও অমলবাবু ভেবে কুল করতে পারছেন না, কী করে তাঁর অ্যাকাউন্টে এত বিপুল পরিমাণে টাকা এল? সামান্য একজন মোমবাতি বিক্রেতা অমলবাবু ঘটনার পর থেকে চিন্তিত। আতঙ্কিত পরিবারের সকলে।
অর্থনীতিতে স্নাতক (Graduate Chaiwali)! দু'বছর চাকরি না পেয়ে সংসারের হাল ধরতে বিহারের (Bihar) একটি কলেজের সামনে চায়ের দোকান খুলে বসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত (Priyanka Gupta)। ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক হয়ে চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেও জোটেনি একটা চাকরি। কিন্তু পরিবারকে যে সামাল দিতেই হবে। অগত্যা পাটনায় একটি মহিলা কলেজের সামনেই চায়ের দোকান দিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু, পাটনার (Patna) নাগরিক সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।
ভিডিওতে দেখা যায়, স্নাতক চাওয়ালি ওই সংস্থার আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ করছেন। কী ঘটেছিল সেদিন? জানা গিয়েছে, নাগরিক সংস্থা বোরিং রোডে তাঁর স্টলটি তুলে নেওয়ার কথা বলেন। পাটনা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানে ভাঙা পড়েছিল প্রিয়াঙ্কা গুপ্তর স্টল। তারপরই গুপ্ত সাহায্য চেয়ে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদদের কাছে পৌঁছেছিলেন।
যদিও প্রিয়াঙ্কা জানান, তিনি স্টলের লাইসেন্সও নিয়েছেন। তাঁর অনুরোধের উত্তর দিয়েছেন ডেপুটি সিএম তেজস্বী যাদব এবং আরজেডি প্রধান লালু যাদব। তাঁর স্টল ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তাঁরা।
প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, 'লোকেরা বলেন যে তিনি একজন গ্র্যাজুয়েট চা বিক্রেতা হওয়ায় মাসে ৩ লক্ষ টাকা আয় করেন। কিন্তু তিনি সেই অনুযায়ী খরচও করেন। তবে করোনার কারণে বাজার কমে যাওয়ায় এখন আর প্রত্যেক মাসে ৩ লক্ষ টাকা আয় হয় না।'
প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাসিন্দা। এবং বারাণসীর মহাত্মা গান্ধী কাশী বিদ্যাপীঠ থেকে স্নাতক হয়েছেন তিনি। দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতা বিজয় দেবেরকোন্ডা এবং ভোজপুরি চলচ্চিত্র তারকা অক্ষরা সিংও গুপ্তর স্টলে চা খেতে গিয়েছিলেন।