আগামী ২৫ মার্চ, সোমবার দেশজুড়ে হোলি বা দোলযাত্রা। গোটা ভারতের মানুষ মেতে উঠবেন রঙের উৎসবে। আর পূর্ব রেল সূত্রে খবর এই দোলযাত্রা উপলক্ষ্যেই বাতিল একাধিক ট্রেন। সোমবার মেন লাইন, হাওড়া শাখা, সার্কুলার রেল, সিসিআর লাইন, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বাতিল থাকছে ট্রেন।
এর মধ্যে শিয়ালদহ মেন লাইনে যে সমস্ত ট্রেন বাতিল হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে শিয়ালদহ - বর্ধমান, শিয়ালদহ-রানাঘাট, রানাঘাট-গেদে, শিয়ালদহ-গেদে, শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, নৈহাটি-রানাঘাট, শিয়ালদহ-শান্তিপুর, রানাঘাট-বনগাঁ জংশন , শিয়ালদহ-ব্যারাকপুর এবং শিয়ালদহ- নৈহাটি রুটের ট্রেন।
এছাড়াও দোলের দিন সোমবার, বনগাঁ শাখার যে সব ট্রেন বাতিল, তার মধ্যে রয়েছে বারাসাত-বনগাঁ জংশন , শিয়ালদহ-বারাসাত, শিয়ালদহ-হাবড়া, শিয়ালদহ-বনগাঁ জংশন , শিয়ালদহ-দমদম ক্যান্ট, শিয়ালদহ-মধ্যমগ্রাম, শিয়ালদহ-দত্তপুকুর, শিয়ালদহ-হাসনাবাদ, বারাসাত-হাসনাবাদ। এমনকি সোমবার বাতিল থাকছে ব্যারাকপুর-মাঝেরহাট, হাসনাবাদ-মাঝেরহাট, শিয়ালদহ- বারুইপুর, শিয়ালদহ-বজবজ ছাড়াও একাধিক শিয়ালদহ ডিভিশনের ট্রেন।
দোলের দিন অর্থাৎ সোমবার বাতিল থাকছে হাওড়া ডিভিশনেও একাধিক ট্রেন। তার মধ্যে রয়েছে হাওড়া-বর্ধমান, হাওড়া- তারকেশ্বর, হাওড়া - শ্রীরামপুর ছাড়াও একাধিক ট্রেন। দোল উৎসবের কথা মাথায় রেখেই রেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
সপ্তাহের শেষ দিনে চরম রেল বিভ্রাট। শনিবার সকাল থেকেই ব্য়হত শিয়ালদহ-বনগাঁ লোকাল ট্রেন। এছাড়াও বাতিল হয়েছে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় একাধিক ট্রেন। এর ফলে স্টেশন গুলোতে পর পর দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রেন। রেল বিভ্রাটে চরম হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে নিত্য় যাত্রীদের।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থার জন্য দমদম জংশনে ৫২ ঘণ্টার নন ইন্টারলকিং কাজের প্রয়োজন। সেই কারণে আজ, শনিবার রাত বারোটা থেকে এই কাজ শুরু হবে। এরফলে এদিন ও রবিবার প্রায় ১৪৩ টি লোকাল ট্রেল বাতিল করা হয়েছে। সোমবার ভোর ৪ টের পর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। বেশকিছু ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন ও বেশ কিছু ট্রেনকে ঘুর পথে চালানো হবে এমনটাই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য়, যে ট্রেনগুলি বাতিল হয়নি সেগুলিও দেড়িতে চলায় এবং যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়ায় চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রী সহ সাধারণ মানুষকে। এরই মধ্যে শনিবার রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতরের চাকরির পরীক্ষা ছিল। ফলে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন পরীক্ষার্থীরাও।
ছুটির দিনে ফের ভোগান্তি। সিগন্যাল এবং লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য আজ অর্থাৎ একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল করল রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখা, হাওড়া-ব্যান্ডেল-নৈহাটি শাখা, বর্ধমান-হাওড়া মেন শাখা এবং খানা-গুমনি শাখায় আজ রবিবার বাতিল অনেক ট্রেন। ইতিমধ্যেই সে কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে রেল। নিরাপদ ট্রেন চলাচল এবং যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। তাই ট্রেন চলাচল বন্ধ। ছুটির দিন হলেও বহু ট্রেন বাতিলের জেরে ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের।
হাওড়া থেকে: 36825, 36827, 37315, 37915, বর্ধমান থেকে: 36842,36844, ব্যান্ডেল থেকে: 37536, 37538, নৈহাটি থেকে: 37535, 37537, তারকেশ্বর থেকে: 37326, কাটোয়া থেকে: 37924, ডানকুনি থেকে: 32232, 32234, শিয়ালদহ থেকে: 32231, 32233
একইসঙ্গে ঘুরপথে চলছে বেশ কিছু ট্রেন। গতিপথ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের। 12348 ট্রেনটি রামপুরহাট থেকে বিকাল ৪টে ৪০ মিনিটের পরিবর্তে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে ছাড়বে। 13015 হাওড়া – জামালপুর কবিগুরু এক্সপ্রেসের গতিপথ পরিবর্তনের জন্য ১ ঘণ্টা দেরিতে চলতে পারে। 12347 হাওড়া-রামপুরহাট শহিদ এক্সপ্রেসটিও ৪৫ মিনিট দেরিতে চলতে পারে। 13031 হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস পথে ৩০ মিনিটের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা হবে। 03096 আজিমগঞ্জ-কাটোয়া মেমু স্পেশাল পথে ৩০ মিনিটের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য ইতিমধ্যেই দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে রেলের তরফে।
ফের ট্রেন বাতিল হাওড়া শাখায়। শনি-রবিবার ডায়মন্ড হারবার-বনগাঁ শাখায় বেশ কিছু ট্রেনের গতিবিধি বদল হচ্ছে। রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। শনি-রবিবার নিত্যযাত্রীদের ভিড় কম থাকলেও যাত্রীদের ভোগান্তির জন্য আগাম দুঃখপ্রকাশও করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার বাতিল থাকছে যে সব ট্রেন
হাওড়া থেকে 36825, 36827, বর্ধমান থেকে 36842, 36844, ব্যান্ডেল থেকে 37536, 37538, নৈহাটি থেকে 37535, 37537 নম্বরের লোকাল বাতিল রয়েছে।
অন্যদিকে শনি রবিবার রুট বদলাচ্ছে শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার লোকালে। ডায়মন্ড হারবারের পরিবর্তে মগরাহাট পর্যন্ত যাবে ট্রেনটি।
প্রবল বৃষ্টির জেরে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় রেললাইনে ধস। যার জেরে বন্ধ শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার আপ লাইনে ট্রেন চলাচল। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার বেলা ১০ টার আপ ট্রেনের চালকের নজরে পড়ে, ওই শাখার সংহতি স্টেশনের কাছে ধসের বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্টেশন মাস্টারকে বিষয়টি জানান। পূর্ব রেল কতৃপক্ষ সূত্রে খবর, ওই শাখায় আপলাইনে ধসের কারণে ট্রেন চলাচল এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টির জেরে বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার মসলন্দপুর ও হাবরা স্টেশনের মাঝে ধস নামে। ইতিমধ্যে তা সারাইয়ের কাজ করা হচ্ছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর। পাশাপাশি ওই লাইনে আপ ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রেল সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই ধস সারাই সেরে ওই লাইনে ট্রেন চালানো হবে। পাশাপাশি ওই শাখায় ডাউন ট্রেন কিছুটা দেরিতে চলাচল করলেও কিছুটা স্বাভাবিক আছে। সপ্তাহের শেষে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার এই বিপত্তিতে দুর্ভোগের মুখে নিত্যযাত্রীরা।
সাতসকালে শিয়ালদহ মেইন লাইনে ট্রেন অবরোধ। আর এর ফলে বড় প্রভাব পড়েছে ট্রেন চলাচলে। সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে শুরু হয়েছে অবরোধ। মদনপুর স্টেশনে এই অবরোধ চলছে। ১২ কোচের ট্রেনের দাবিতে অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা। দিনের ব্যস্ত সময় এই অবরোধের জেরে নিত্যযাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। আপাতত এই শাখায় আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ।
বিশেষ করে শিয়ালদহ মেন শাখায় কাকিনাড়া, নৈহাটি, শ্যাম নগর, হালিশহর সহ বিভিন্ন স্টেশনে ব্যাপক ভিড় যাত্রীদের। অবরোধের জেরে দাঁড়িয়ে লালগোলা প্যাসেঞ্জার সহ বেশ কয়েকটি দুরপাল্লার ট্রেনও। ইতিমধ্যে শান্তিপুর লোকালও বাতিল করা হয়েছে। ফলে যে ট্রেনগুলি শিয়ালদহের দিকে আসছিল কার্যত বাদুর ঝোলা হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে ট্রেনগুলিতে উঠতে বাধ্য হন নিত্যযাত্রীরা।
অবরোধকারী যাত্রীদের বক্তব্য, দিনের ব্যস্ত সময়, যখন বেশি ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা, তখন এই লাইনে দেওয়া হয় মেমু (MEMU) ট্রেন। যার গেট ছোট হওয়ায় যাত্রীদের উঠতে সমস্যা হয়। এই সমস্যার কথা জানিয়ে আগেও বহুবার রেলের কাছে তাঁরা আবেদন করেছেন। সকাল থেকে অফিস টাইম পর্যন্ত ১২ বগির ট্রেন দেওয়া হোক। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। এভাবে ছোট গেটে মেমু ট্রেনেই কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয়েছে তাঁদের। আর গ্যালোপিং ট্রেনগুলকেও মদনপুরে স্টপেজ দিতে হবে। এই বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের লিখিত প্রতিশ্রুতির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, রেলের তরফে আশ্বাস এবং তা দ্রুত কার্যকর করা না হলে এভাবেই প্রতিবাদ জারি রাখবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অবরোধকারীরা। মদনপুরে রেল অবরোধের প্রভাব পড়েছে অনেক দূর পর্যন্ত। অন্যদিকে সংক্ষিপ্ত রুটে যে সমস্ত ট্রেন চলছে কমপক্ষে সেগুলিও ত্রিশ মিনিট দেরিতে চলছে বলে খবর।
বিমানবন্দরের মতোই ঝাঁ চকচকে হবে পূর্ব রেলের হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনের রেল স্টেশনগুলি। সব মিলিয়ে আপাতত দেশের মোট ২৮টি রেল স্টেশনকে এমন অত্যাধুনিক ভাবে সাজিয়ে ফেলা হবে। ইতিমধ্যেই এই কাজে হাত দিয়েছে রেলমন্ত্রক।
আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই অমৃতভারত স্টেশন প্রকল্পে বাংলার জন্য বরাদ্দ- করা হয়েছে ৪৫৮ কোটি টাকা। তবে, বাংলা ছাড়াও বিহার ও ঝাড়খন্ডের একাধিক স্টেশনকে এমন উন্নত মানের গড়ে তোলা হবে।
এই তালিকায় রয়েছে শিয়ালদহ এবং এই ডিভিশনের অন্তর্গত চাঁদপাড়া, শান্তিপুর, বেথুয়াডহরি, বহরমপুর, ব্যারাকপুর ও কৃষ্ণনগর স্টেশন। ওদিকে হাওড়া ডিভিশনের শেওড়াফুলি, তারকেশ্বর, বর্ধমান, রামপুরহাট, বোলপুর, অম্বিকা, কালনা, নবদ্বীপ, কাটোয়া এবং আজিমগঞ্জ স্টেশনকেও সাজানো হবে। এছাড়াও আসানসোল, মালদহ ডিভিশন মিলিয়ে আরও ১২টি স্টেশনকে বাছাই করা হয়েছে।
রেললাইনে ধসের জেরে বিঘ্নিত শিয়ালদহ মেন ও উত্তর শাখার ট্রেন চলাচল। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, বুধবার শিয়ালদহ শাখার কাঁকুড়গাছি সংলগ্ন এলাকায় রেল লাইনে ধসের জেরে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে, যার জোরে বাতিল হয়েছে উভয় শাখারই বেশ কিছু ট্রেন। পাশাপাশি যাত্রী ভোগান্তি তো রয়েছেই। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ওই এলাকায় মেরামতির জন্য ইতিমধ্যেই রেলের একটি দল কাজ করছেন। এছাড়া অন্য লাইন থেকে ট্রেন চালানো হচ্ছে। এবং শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে সূত্রের খবর।
গত সপ্তাহে পর ফের এ সপ্তাহে শুরুতে যাত্রী ভোগান্তিতে কিছুটা ক্ষুব্ধ সাধারণ নিত্যযাত্রীরাও। গত সপ্তাহের শুরুতে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বারাসতে পয়েন্ট খারাপের জন্য অফিসমুখী নিত্যযাত্রীরা সমস্যার মুখে পড়েন। এবার চলতি সপ্তাহে বুধবার সকালে কাকুরগাছিতে রেললাইনে ধসের জেরে বাতিল হয় শিয়ালদহ উত্তর ও মেন শাখার কিছু ট্রেন। এ ছাড়া প্রায় ৩ ঘন্টা দেরিতে চলছে বিভিন্ন ট্রেন।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, প্রচন্ড বৃষ্টির জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। বুধবার সকালে নিত্যযাত্রী রাহুল বিশ্বাস, নিজের মাকে চিকিৎসালয় এবং তারপর অফিস যাবেন বলে বেরিয়ে ছিলেন। কিন্তু ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় সমস্যার মুখে পড়েন তিনিও। পাশাপাশি বুধবার সকালে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন থাকায় সমস্যার মুখে পড়েন অফিস যাত্রী শঙ্কর কর্মকার। তিনি বলেন, 'এভাবে প্রতি সপ্তাহে সমস্যা হলে চাকরি হারাতে হবে।'
বারাসতে পয়েন্ট বিভ্রাটের জেরে চরম ভোগান্তির মুখে নিত্যযাত্রীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বারাসতে পয়েন্ট ও সিগন্যাল খারাপ হয়, যার জেরে বনগাঁ-শিয়ালদহ লাইনে আপ ও ডাউন ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ভীষন সমস্যার মুখে পড়ে নিত্যযাত্রীরা। সপ্তাহের শেষে শুক্রবার বনগাঁ থেকে শিয়ালদহ গামী দ্বিতীয় ট্রেন বামনগাছি স্টেশনে এসে দাঁড়ালে ওই ট্রেনের চালককে গালাগালি ও মারধর করে এক যুবক। কিন্তু ট্রেনের অন্য যাত্রীরা পাল্টা ওই যুবককেই মারধর করেন।
ঝামেলা শুরু হতেই ট্রেন চালক বারবার রেলপুলিসের-এর সহযোগিতা চেয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্টেশনে রেল পুলিস না থাকায়, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। সকাল ৭টা নাগাদ ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরপর থেকে ট্রেন প্রায় আড়াই ঘণ্টা লেট চলছিল। একদিকে ডাউন ট্রেন বামনগাছি স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে, অন্য দিকে আপট্রেন হৃদয়পুর ও বারাসতে দাঁড়িয়ে পরে। ট্রেন দেরিতে থাকায় অনেকে কাজেই যেতে পারে নি। এদিন এক নিত্যযাত্রী ও ওষুধ ব্যবসায়ী রাহুল বিশ্বাসের কথায়, 'ট্রেন দেরিতে থাকায় অনেক টাকার ক্ষতি হতে পারে, বিভিন্ন দোকানে সময় মত না পৌঁছালে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।'
যদিও বেলা বাড়তেই সমস্যা খানিকটা কমতে থাকে, রেল সূত্রের খবর, অটো সিগন্যালিং সিস্টেম বেলা ১২টার কিছু আগে থেকেই স্বাভাবিক হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। যদিও পুরোপুরি ভাবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক না হলেও ট্রেন চলাচল আগের তুলনায় স্বাভাবিক।
সপ্তাহের শেষে যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হতে পারে শিয়ালদহ শাখার যাত্রীরা। সূত্রের খবর, শিয়ালদহ শাখায় একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল। ফলে সপ্তাহের শেষে দুর্ভোগের শিকার হতে পারেন যাত্রীরা। সূত্রের খবর, দমদম স্টেশনে মেন আপ লাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। সে জন্যই বাতিল থাকবে বেশ কিছু ট্রেন।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কাজ চলবে। তাই শনি ও রবিবার বেশ কিছু লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শনিবার শিয়ালদহ থেকে তিনটি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকছে। বনগাঁ থেকে বাতিল থাকছে একটি ট্রেন। অন্যদিকে, ডানকুনি থেকেও লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে। আবার কিছু ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে বলে খবর।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, রবিবার শিয়ালদহ থেকে ১২টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, বাতিলের তালিকায় রয়েছে বনগাঁ, দত্তপুকুর, হাবড়া, হাসনাবাদ থেকে একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন।
শিয়ালদহ দক্ষিণ (Sealdah South) শাখায় ওভারহেডের (OverHead) তার ছেড়ে বিপত্তি। যার জেরে দীর্ঘক্ষন ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ শনিবার বিকেল পাঁচটা দশের সময় সোনারপুর (Sonarpur) ও নরেন্দ্রপুর স্টেশনের মধ্যেখানে ওভারের তার ছিড়ে যায়। এর ফলে সব স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে ওই শাখার ট্রেন গুলি। অফিস ফেরৎ সময় এমন ঘটনায় রীতিমত বিপাকে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এ ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি রেলের তরফে তাঁর সারাইয়ের কাজ শুরু করে রেল কর্মীরা। ওদিকে জনজোয়ার সৃষ্টি হতে থাকে শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখায়। প্রায় দেড়ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর সন্ধ্যে সাড়ে ছটায় ফের ওই শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, 'ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়া বিপত্তি হয়েছিল। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।'
ফের যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা পূর্ব রেলে। বৃহস্পতিবার থেকে ডানকুনি (Dankuni), শিয়ালদহ (Sealdah) ও বারুইপুর শাখার একাধিক ট্রেন (Train) বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে রেল। প্রায় ১০ দিন চলবে এই যাত্রী ভোগান্তি। জানা গিয়েছে, ডানকুনি-খড়গপুর শাখায় ওভারব্রিজের কাজের জন্যই ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত।
রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৫ জুন থেকে ১৯ জুন এবং ২৫ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত ৪ ঘন্টার জন্য বেশ কিছু লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে কিছু এক্সপ্রেস এবং মেল ট্রেন। এমনকি কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে।
সূত্রের খবর, ডানকুনি থেকে ৩২২৪৮, ৩২২৫০ রাতের এই দুটি ডানকুনি-শিয়ালদহ লোকাল, শিয়ালদা থেকে সন্ধ্যে ৭টা ও রাত- ৯টার ৩২২৪৫, ৩২২৪৭ শিয়ালদা- ডানকুনি লোকাল ও ৩২৪১৩ রাত ৮টার শিয়ালদা- বারুইপাড়া লোকাল বাতিল করা হয়েছে উপরোক্ত ১০ দিনের জন্য। এছাড়া বারুইপাড়া থেকে ছাড়া ৩২৪১৪ লোকালও বাতিল করা হয়েছে।
সপ্তাহের প্রথম দিনই যাত্রী ভোগান্তির শিকার শিয়ালদহ-নৈহাটি লাইনে। শিয়ালদহ মেইন লাইনের (Sealdah Main Line) ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত। জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ-নৈহাটি শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন দেরিতে চলছে। সিগন্যালিং সমস্যার কারণেই এই বিপত্তি বলে রেল সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, নৈহাটি-ব্যান্ডেল শাখায় সিগন্যালিং ব্যবস্থায় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারই প্রভাব পড়েছে শিয়ালদহ-নৈহাটি-কল্যাণী শাখায়। যাত্রীদের অভিযোগ, দেরিতে চলছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনের চাকা থমকে রয়েছে বলে খবর। দ্রুত সিগন্যালিং ব্যবস্থার ত্রুটি সারিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, সপ্তাহের শুরুর দিনে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগের মুখে পড়েন যাত্রীরা। একেই ট্রেনের দেরি, তার উপর গরমের মধ্যে ভিড়ের চাপে নাজেহাল যাত্রীরা। এদিন সময়ের মধ্যে কাজে পৌঁছতে পারেননি অনেকেই। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
শিয়ালদহে (Sealdah) বি আর সিং (B R Singh) হাসপাতালে আগুন (Fire)। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ৩ টি ইঞ্জিন। সূত্রের খবর, রেলের এই হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে গোটা হাসপাতাল চত্বর জুড়ে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকল বাহিনী। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। সূত্রের খবর, হাসপাতালের একটি অংশে আগুন লেগেছে। রোগীদের সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। এখনও অবধি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সবাই সুরক্ষিত আছে বলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর।
রেল লাইন পার করতে গিয়ে হাওড়া-রাজধানী-এক্সপ্রেসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন তিন যুবক। বিহারের ধানবাদে শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটে, রেলসূত্রে এমনটাই খবর। জানা গিয়েছে, মৃতদের বয়স ১৯-২০ বছর। রেল সূ্ত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় আসানসোল-নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু গোমো প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে নেমে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার জন্য লাইন পেরোচ্ছিলেন ওই তিন জন। ঠিক সেই সময় হাওড়া-রাজধানী এক্সপ্রেস, গোমো স্টেশনের কাছে আসলে ওই তিন যুবককে ধাক্কা মারে। যেহেতু গোমো স্টেশনে ওই ট্রেন দাঁড়ায় না, তাই সর্বাধিক স্পিডে ছিল রাজধানী।
রাজধানীর গতিবেগের ধাক্কায় ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে ছিটকে পড়েন তিন যুবক। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় দেহ তিনটি। এই দুর্ঘটনায় পুরো স্টেশনে হইচই পড়ে যায়।
এই দুর্ঘটনার কারণে আপ লাইনের ট্রেন চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে হাওড়া - রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি ট্রেন ডাউন লাইন দিয়ে পাশ করানো হয়।
দুর্ঘটনায় মৃত তিন যুবকের দেহ পোশাক দেখে চিহ্নিত করে পরিবার।