
মুম্বইয়ের (MI) ঘরের মাঠে আজ অর্থাৎ রবিবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নামছে কেকেআর (KKR)। এমনিতে ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের (SRH) কাছে হারলেও কেকেআরের ছন্দ এবং আত্মবিশ্বাস ভাল জায়গাতেই রয়েছে। পর পর তিনটি ম্যাচে দুশোর উপর রান তুলেছে তারা। আগের ম্যাচে হারতে হলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। আর আমদাবাদে গুজরাতের বিরুদ্ধে ম্যাচ তো রিঙ্কু সিংহের সৌজন্যে লোকগাথায় পরিণত হয়েছে। রবিবার মুম্বইকে হারিয়ে জয়ের রাস্তায় ফিরতে মরিয়া কেকেআর।
হায়দরাবাদকে হারালেও দলের পরিবেশ ভালই। শনিবার ছিল পয়লা বৈশাখ। সকালে হোটেলে ঢেলে খাওয়াদাওয়া হয়। বাঙালি উপকরণ ছিল মেনুতে। শার্দূল ঠাকুর জমিয়ে চিংড়ির মালাইকারি খেয়েছিলেন। কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত আবার মিষ্টি দই বলতে অজ্ঞান। মাছ চেখে দেখেছিলেন লকি ফার্গুসন। দুপুরের বিমানে রওনা হয়ে বিকেলেই মুম্বই পৌঁছে গেল কেকেআর। তবে রবিবার দুপুরে খেলা হওয়ায় কোনও সাংবাদিক বৈঠক হয়নি।
মুম্বই এই ম্যাচে পাবে না জফ্রা আর্চারকে। তাই জোরে বোলিং সামলাতে হবে জেসন বেহরেনডর্ফ এবং রিলি মেরেডিথকে। স্পিন বিভাগে পীযূষ চাওলা রয়েছেন। এ ছাড়া টিম ডেভিড, ক্যামেরন গ্রিন, তিলক বর্মা এবং ঈশান কিশনকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। রোহিতকেও ছন্দে থাকতে হবে। দিল্লি ম্যাচে অর্ধশতরান করে দলকে জিতিয়েছেন। কলকাতার বিরুদ্ধে তাঁর রেকর্ড এমনিতেই ভাল।
এ দিকে, কলকাতার হয়ে আন্দ্রে রাসেল নামবেন কি না সেটাই বড় প্রশ্ন। আগের ম্যাচে বল করতে গিয়ে খোঁড়াতে দেখা গিয়েছে। ব্যাট হাতেও খুব খারাপ ছন্দে। তাঁকে বাদ দিলেও বলার কিছু নেই। লিটন দাসের অভিষেকের দিকে নজর থাকবে। বাকি দল মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শেষ পর্যন্ত লড়ে গেলেও অসফল রিঙ্কু (Rinku Singh) ও কেকেআর (KKR)। ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের (SRH) কাছে ২৩ রানে হার কলকাতার। শুক্রবার টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। ব্যাটে নেমে ২২৯ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্যমাত্রা সেট করে হায়দরাবাদ, ব্যাটে নেমে একদম ভালো করতে পারেনি কেকেআর। শেষ অবধি ম্যাচের হাল ধরে অধিনায়ক নীতিশ রানা ও রিঙ্কু সিং। শেষে রানা আউট হয়ে যাওয়ার পর একাই লড়ে যায় রিঙ্কু। কিন্তু পাহাড় সমান রানের লক্ষ্যমাত্রা একসময় অসম্ভব হয়ে যায়। শেষে ২৩ রানে হারতে হয় কলকাতাকে। রিঙ্কু ৩১ বলে ৫৮ রান করে নট আউট ছিল।
শুক্রবার ঘরের মাঠে টসে জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠায় কলকাতা। ব্যাটে নেমে হ্যারি ব্রুক জ্বলে ওঠে। রান আসে অভিষেক শর্মা ও মার্ক্রমের ব্যাটেও। ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান করে হায়দরাবাদ। ওই ইনিংসে ব্রুক ৫৫ বলে ১০০ রান করে। যা আইপিএলের প্রথম শত রান। মার্ক্রমের ব্যাটে ২৬ বলে ৫০ রান আসে। শর্মা করে ১৭ বলে ৩২ রান। ২২৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে জগদীশন ছাড়া রান পায়নি টপ অর্ডার কেউই। উল্লেখযোগ্য রানা ৪১ বলে ৭৫ রান করে, ও জগদীশন ২১ বলে ৩৬ রান করে। শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।
প্রথমে বল করতে নেমেও ব্যর্থ কেকেআর, একমাত্র রাসেল ৩টি উইকেট পায় ও বরুন পায় একটি উইকেট। এ ছাড়া ফার্গুসন ২ ওভারে ৩৭ রান দেয়। উমেশ দেয় ৩ ওভারে ৪২ রান। ওদিকে ওদিকে বলে সফল হায়দরাবাদ। ১টি করে উইকেট পায় ভুবনেশ্বর, নটরাজন, ও উমরান। ২ টি করে উইকেট পায় জসেন ও মার্কণ্ডে। শনিবারের ম্যাচে অন্তত এটা স্পষ্ট যে রিঙ্কু সিং একদিনের জন্য আসেনি। রিঙ্কু যে লম্বা রেসের ঘোড়া সেটা ও বুঝিয়ে দিয়েছে।
কলকাতায় (Kolkata) ঘরের মাঠে আজ অর্থাৎ শুক্রবার কেকেআর (KKR) খেলতে নামছে হায়দরাবাদের (SRH) বিরুদ্ধে। সন্ধ্যে সাড়ে ৭ টার সময় এই খেলা হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে । আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় এখন তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেকেআর। নাইটদের নেট রান রেট ১.৩৭৫। তিনটি ম্যাচের দু’টিতে জয় এসেছে। কিন্তু দ্রুত দুর্বলতা ঢাকতে না পারলে সমস্যা বড় হয়ে উঠতে পারে। রিঙ্কুর ব্যাটিং ছাড়া আশানুরূপ নয় তাদের ব্যাটিং।
তিনটি ম্যাচের একটিতেও কেকেআরের ওপেনিং জুটি দলকে ভরসা দিতে পারেনি। তিনটি ম্যাচে কেকেআর প্রথম উইকেটের জুটিতে তুলেছে যথাক্রমে ১৩, ২৬ এবং ৩০ রান। তিনটি ম্যাচেই ওপেন করেছেন আফগান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রহমানুল্লা গুরবাজ়। কিন্তু প্রতি ম্যাচেই বদলে গিয়েছে তাঁর সঙ্গী। মনদীপ সিংহ, বেঙ্কটেশ আয়ার এবং এন জগদীশনকে দেখা গিয়েছে গুরবাজ়ের সঙ্গে। পাশাপাশি দলের যাঁরা বড় নাম এখনও পর্যন্ত তাঁরা তেমন কিছু করতে পারেননি। বিশেষত আন্দ্রে রাসেল। দীর্ঘ দিন কেকেআরের হয়ে খেললেও তাঁদের ছন্দে না থাকার খেসারত দিতে হচ্ছে নাইটদের। প্রত্যাশিত ছন্দে নেই অধিনায়ক নীতীশ রানাও। দলকে ব্যাট হাতে তেমন ভরসা দিতে পারছেন না। প্রথম একাদশের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছেন কলকাতার জন্য। এছাড়া নজরে রয়েছে কলকাতার বোলিং, উমেশ যাদব, লকি ফার্গুসন, টিম সাউদি এবং শার্দূল ঠাকুর রয়েছেন দলে। এঁদের কেউই এখনও পর্যন্ত দলকে ভরসা দেওয়ার মতো পারফরম্যান্স করতে পারেননি।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ সম্ভবত পুরোনো একাদশের সাথে যেতে পারে এবং হ্যারি ব্রুক কেও খেলানো হতে পারে কম স্কোর থাকা সত্ত্বেও, বিশেষ করে কলকাতায় দ্রুত সারফেস সহ। তারা আবদুল সামাদকেও ফিনিশিং খেলোয়াড় হিসেবে খেলানোর সম্ভাবনা রয়েছে। রাহুল ত্রিপাঠি সানরাইজার্সের হয়ে ১৬৩ স্ট্রাইক করে ৩৪,৮৮ গড়, এবং ইডেন গার্ডেন্সে কেকেআরের বিরুদ্ধে ৪৬-এর উপরে স্ট্রাইক রেটে ১৭৫ রান করে। আশা করা যায় যে তিনি শেষ ম্যাচে যেখান থেকে ছেড়েছিলেন সেখান থেকে দায়িত্ব নিতে পারবেন। মায়াঙ্ক আগরওয়ালও ২০১৯ সাল থেকে স্পিনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, লেগ-ব্রেকের বিরুদ্ধে ১৪.৮৮ গড়, ২৭ ইনিংসে ১৬ বার আউট হয়েছেন।
২০২৩ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL) রবিবার চতুর্থ ম্যাচ। রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে সান রাইজার্স হায়দ্রাবাদ (SRH) ও রাজস্থান রয়্যালস (RR)। দুপুর ৩টে ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই ম্যাচ। গত বছর আইপিএলে রানার্স আপ হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। তাই সান রাইজার্সদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টা করবে। রয়্যালসদের টিম যথার্থ। জোস বাটলার, ট্রেন্ট বোল্টের মতো ক্রিকেটার এবং বোলার রয়েছে দলে।
তবে জয় একেবারে সহজ হবে না। কারণ প্রতিপক্ষ সান রাইজার্স হায়দ্রাবাদও সমান ক্ষমতাশালী। যদিও রবিবার সান রাইজার্সদের ক্যাপ্টেন এইডেন মার্করামকে ছাড়াই খেলতে হবে। তবে আদিল রশিদের মতো ভারতীয় খেলোয়াড় দলের জন্য ভালো ফল এনে দিতে পারে। হ্যারি ব্রুকেও জেতার আশা দেখছে দল।
সান রাইজার্সদের হয়ে প্রথম একাদশে খেলতে নামতে পারেন, ময়ঙ্ক আগরওয়াল, অভিষেক শর্মা, রাহুল ত্রিপাঠি, হ্যারি ব্রুক, উইকেটকিপার গ্লেন ফিলিপ্স, আব্দুল সমদ, ওয়াশিংটন সুন্দর, আদিল রশিদ, ভুবনেশ্বর কুমার, উমরান মালিক এবং টি নটোরাজন। রাজস্থান রয়্যালসদের দলে কোনও খেলোয়াড়ের চোট নেই।
অন্যদিকে রাজস্থান রয়্যালসদের হয়ে প্রথম একাদশে মাঠে নামতে পারেন, জোস বাটলার, যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন, দেবদত্ত পাদিক্কাল, রিয়ান পরাগ, সিমরন হেটমায়ের, জেসন হোল্ডার, ট্রেন্ট বোল্ট, রবিচরণ অশ্বিন, কুলদীপ সেন এবং যুজবেন্দ্র চাহেল। রয়্যালসদের দলেও চোট নেই।
সান রাইজার্সের ক্যাপ্টেন এইডেন মার্করামের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব সামলাবেন ভুবনেশ্বর কুমার। অন্যদিকে রাজস্থান রয়্যালসদের নেতৃত্ব দেবেন সঞ্জু স্যামসন। দুই পক্ষই আজ একে অপরকে জোর টক্কর দেবে। শেষ পর্যন্ত সান রাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালসদের মধ্যে কারা জয়ের হাসি হাসে, সেটাই দেখার।
পানীয় জলের পাইপ লাইন (Water Pipe Line) বসাতে মাটি খুঁড়তেই অবাক কাণ্ড বসিরহাটের গ্রামে। জেসিবিতে উঠে এসেছে শতাব্দী প্রাচীন রুপোর মুদ্রা। জানা গিয়েছে, সেই মুদ্রাগুলোয় ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়া (Queen Victoria) এডওয়ার্ড সেভেনের প্রতিকৃতি রয়েছে। ঐতিহাসিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ে খনন এলাকায়। অনেকে কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন কয়েকটি মুদ্রা (SilverCoin)। তবে কে বা কারা এই মুদ্রা এভাবে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে, খোলসা করতে পারেননি গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার সময় বস্তা সমেত কলসিভর্তি কয়েন উঠে এসেছে। কয়েকটি মুদ্রা গ্রামবাসীরাও নিয়ে গিয়েছে। আমাদের পূর্ব পুরুষদের সম্পত্তি বলেই মনে হচ্ছে। এছাড়া আর কী হবে! অপর এক স্থানীয় জানান, জলের পাইপ বসানোর জন্য মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে টাকা পেয়েছে। আমি যতটা শুনেছি একশো-দেড়শো পিস পেয়েছে। আগেকার দিনে লোকে ব্যাঙ্কে টাকা রাখতো না, এভাবেই মাটির ভাঁড়ে টাকা রাখতো। সেই টাকাগুলো কিনা ঠিক বলতে পারব না।