গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। রাস্তায় বেরোলেই চোখমুখ যেন ঝলসে যাচ্ছে। তীব্র তাপপ্রবাহ ও গরম হাওয়ায় নাজেহাল বঙ্গবাসী। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের অবস্থা যেন আরও করুণ। ওয়ার্ডের গুটিকয়েক পাখার হাওয়ায় গরমের তীব্রতা যেন আরও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে রোগীদের সুবিধার্থে মানবিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নজির সৃষ্টি করল দঃ ২৪ পরগনার বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল। পুরুষ বিভাগের রোগীদের থাকার জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, প্রায় ৩৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন পুরুষ ওয়ার্ডে। কিন্তু ওয়ার্ডটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত না হওয়ায় গরমে কষ্টে পাচ্ছিলেন রোগীরা। অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ব্যাহত হয় চিকিৎসা পরিষেবাও। এরপরই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয় রোগীদের।
হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে উদ্ধার সাপ। যা দেখে আতঙ্কিত রোগী থেকে শুরু করে রোগীর পরিজনেরা। ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে অপারেশন থিয়েটার। গতকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্য়ায় চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখেন একটি সাপ ঘোরাঘুরি করছে। এরপর তিনি তড়িঘড়ি হাসপাতালের কর্মীদেরকে খবর দেন। হাসপাতালের কর্মীরা এসে ব্য়াগে ভরে ওই সাপটিকে বাইরে ফেলে দেয়।
ডাক্তার চন্দ্রনাথ অধিকারীর অভিযোগ, হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গায় সাপ বাসা বেঁধেছে। এই নিয়ে বারংবার হাসপাতালে সুপারকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অপারেশন থিয়েটার এর মধ্যে যদি সেই সময় কোনও অপারেশন চলত তাহলে সেক্ষেত্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতেই পারত। এমনটাই বলছেন ডাক্তার চন্দ্রনাথ অধিকারী। এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফের খবরের শিরোনামে গার্ডেনরিচ। সাত সকালে গার্ডেনরিচ বি এন আর রেল হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন। তারপর তড়িঘড়ি শুরু হয় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ। হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওয়ার্ডে থাকা রোগীদের। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাতটা নাগাদ ওয়েস্ট পোর্ট থানার অন্তর্গত রেলের অধীনস্থ বি এন আর হাসপাতালে আগুন লাগে। হাসপাতালে চক্ষু বিভাগের ওটিতে থাকা এসি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। এরপরেই খবর দেওয়া হয় দমকলকে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ছটি ইঞ্জিন। এক ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসে আগে। আপাতত চক্ষু বিভাগের ওটি রুমটি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও আগুন আতঙ্কে চক্ষু বিভাগে থাকা, ১০ থেকে ১৫ জন রোগীকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, এসি থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে কোনওভাবে আগুন লেগেছে। যদিও অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণ এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি।
বছর কুড়ি আগেও পাড়াগুলোতে পাড়া কালচার ছিল। আর ছিল রোয়াক। পাড়ার উঠতি থেকে পড়ন্ত যুবকরা সেখানে আড্ডা মারত। সাথী ছিল চা, কাউন্টার করে খাওয়া সিগারেট আর মাঝে মধ্যে টুকটাক তেলেভাজা কি ঝালমুড়ি। ওয়াও মোমো বা মনজিনিস তখনও ভবিষ্যতের গর্ভে। রেস্তোরাঁ কালচার তখনও বাঙালীর জীবনযাত্রায় প্রবেশ করে নি।
পাড়ার যুবকদের একটা করে ভালো নাম ছিল ঠিকই, কিন্তু সেগুলো কেবল স্কুল কলেজে ব্যবহার হওয়ার জন্য। পাড়ার মধ্যে তারা হাবুল, পটলা, বাপি নামেই পরিচিত ছিল। কখনও কখনও চেহারার বৈশিষ্ট্য অনুসারের নাম দেওয়া হত। ঢ্যাঙা, ন্যাড়া, কালু ইত্যাদি নামগুলি ছিল তারই প্রতিফলন। বডি শেমিং নিয়ে আমজনতা তখনও সচেতন হয় নি৷ তাই এমন সব নাম নিয়ে আপত্তির কিছু ছিল না কারো কাছে। ঢ্যাঙা বা কালুরাও তাদের নাম শুনে স্বাভাবিক ভাবেই সাড়া দিত।
পাড়ায় বিয়ে বাড়ি হোক বা শ্রাদ্ধ বাড়ি, আগুন লাগা হোক বা মাঝ রাতে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, সব ব্যাপারে রোয়াকের যুবকরাই ছিলেন অগ্রণী। পাড়ায় কারো বিয়ে লাগলে যেমন কোমরে গামছা বেঁধে পরিবেশন করতে লাগত আবার তেমনই কেউ মারা গেলে শবদেহে কাঁধ দেবার লোকেরও অভাব হত না। মাঝরাতে কেউ গুরুতর অসুস্থ হলেও কোনো সমস্যা ছিল না৷ রোগীর বাড়ির লোকের এক ডাকেই পটলা হাবুলরা সাইকেল ভ্যানে রোগীকে চাপিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যেত। সারারাত জেগেও থাকত হাসপাতালে। দরকারে নিজেদের মধ্যে টাকা তুলে ওষুধও কিনতো রোগীর।
উপদ্রবও যে একেবারে ছিল না তা নয়। পুজোয় চাঁদার জন্য হুজ্জোতি করা, সরস্বতী পুজোর আগের দিন এর ওর বাড়ির পাঁচিল ডিঙিয়ে বাগান থেকে ফল ফুল পেড়ে আনা, কারো পোষা মুরগী চুরি করে পয়লা জানুয়ারী বা মহালয়ার রাতে 'ফিস্টি' এসব লেগেই থাকত৷ পাড়ার খিটকেলে বুড়ো বুড়িদের নানা আপত্তিকর সৃজনশীল নামে ডেকে তাদের রাগিয়ে দিয়ে গালাগাল খেয়ে মজা পাবার বদভ্যাসও অনেকেরই ছিল। কিন্তু সব মিলিয়ে পটলা হাবুল বাপিরা ছিল পাড়ার এক একটা স্তম্ভ। পাড়াগুলো তাদের ছাড়া অচল ছিল।
তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। অনেক বদল ঘটেছে মফঃস্বল থেকে বড় শহর সর্বত্র। পাড়া কালচার আজ বিলুপ্তপ্রায়। পাড়ায় রোয়াকের দেখা পাওয়া এখন ডোডো পাখির দেখা পাওয়ার চেয়েও বেশী কঠিন৷ আর হাবুল পটলা বাপিরা? তারাও হারিয়ে গেছে কালের স্রোতে। সর্বনাশা কেরিয়ারের ইঁদুর দৌড়ের যুগে এ যুগের হাবুল পটলারা কেউ এখন মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানির সুট বুট পরা চাকুরে, কেউ সরকারী কেরানি, কেউ বা আবার জোম্যাটো বা সুইগির ডেলিভারি বয়। কাজের চাপে আড্ডা তো পরের কথা, মুখ দেখাদেখিই হয় না মাসের পর মাস। কেউ কেউ আবার কাজের সন্ধানে চলে গেছে দূর দেশে। ন'মাসে ছ'মাসে দেশে ফেরে। আড্ডা মারা দূরে থাক, পাড়ার সবার নামই জানে না ভালো করে কেউ। বাড়িই বা আর কোথায় পাড়ায়৷ সব ভেঙে গড়ে উঠছে একের পর এক ফ্ল্যাট। সুসজ্জিত সেসব ফ্ল্যাটে আস্তানা গাড়ছে বহিরাগত বিভিন্ন মানুষরা। তাদের টান নেই পাড়ার প্রতি। অনেকের ভাষা সংস্কৃতিও ভিন্ন।
পটলা হাবুল বাপিরা আর ফিরবে না কোনোদিন। রাতের আকাশের তারার মতই তারা মিলিয়ে গেছে কালের গহীন গর্ভে।
চিত্রদীপ সোমের কলমে
গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ে অকালে বলি হয়েছে বহু প্রাণ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গঠন হয়েছে কলকাতা পুরসংস্থার তদন্ত কমিটি। শুরু হয়েছে তদন্ত।
মঙ্গলবার পুরসভার যুগ্ম কমিশনার জয়ন্ত তাঁতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিটি আজহার মোল্লা বাগানে সাইট পরিদর্শন করে। তদন্তে ছিলেন, ডিসি পোর্ট, ওসি গার্ডেন রিচ সহ ডিজি সিভিল, সিএমই এসডব্লিউএম, ডিজি রোডস, ডিজি বিল্ডিং, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, মৃৎ ও স্থাপত্য বিভাগের ৩ জন বিশেষজ্ঞও।
বিশেষজ্ঞরা বিপর্যয়স্থলের লোহা, কংক্রিটের কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ সহ, ধ্বংসের পিছনে ঠিক কী কারণ, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখেন। চিহ্নিত করা হয়েছে মাটি পরীক্ষার বোরিং স্পটও। নিরাপত্তা পয়েন্টে কিছু সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়ে, সেখানে ধ্বংসের কাজ পর্যবেক্ষণ করা হয়। নিরাপত্তার কারণেই ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের ঘটনাস্থলে বা ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে না যাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এছাড়াও প্রোমোটারদের দ্বারা, কোন ধরনের পরিকল্পনা ব্যবহার করা হয়েছিল বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে, তাও অনুসন্ধান করছে পুলিস কর্তৃপক্ষ। পার্শ্ববর্তী কাঁচা বাড়ি এবং সম্পত্তির ক্ষতির মূল্যায়ন করার চেষ্টা করছে তদন্ত কমিটি। যদিও একারণে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার ফের জমির বিবরণ যাচাই তদন্ত কমিটির। এছাড়াও ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষজ্ঞরা সাইট থেকে কংক্রিটের নমুনা সংগ্রহ করেন বলে সূত্রের খবর। তবে, বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী ২দিনের মধ্যে দুর্ঘটনাস্থল ফের পরিদর্শন করা হতে পারে বলে কলকাতা পুরসংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে।
এখন দেখার বিষয় একটাই যে, এই তদন্ত কমিটির হাতে ঠিক কী কী তথ্য উঠে আসে? প্রশাসনিক গাফিলতির জেরে ফের অকালে বলি হবেন না তো বাংলার মানুষ? রাজ্যবাসীর নিরাপত্তার দায়ভার নিয়ে ছেলেখেলা চলবে না তো? যদিও প্রশ্নগুলো জানা থাকলেও বরাবরের মতোই অজানা এর উত্তর।
অসুস্থ বলিউড ‘শাহেনশাহ’ অমিতাভ বচ্চন। খবর অনুযায়ী, তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে বিগ বি-র। যদিও বচ্চন পরিবারের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও মুখ খোলেননি।
বলিউড সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালেই কোকিলাবেন হাসপাতালে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয় তাঁর। অস্ত্রোপচারের পর অমিতাভ নিজেই টুইট করেছেন। বিগ বি লিখেছেন, 'আমি চিরকৃতজ্ঞ'। অমিতাভের টুইট থেকেই বোঝা যাচ্ছে, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হওয়ার পর সুস্থই রয়েছেন তিনি।
গুরুতর আহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটের বাড়িতে হাঁটাহাটি করার সময় আচমকা পড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই সূত্রের খবর। কপাল ফেটে রক্ত বেরোতেই তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন তিনি। একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আঘাত কতটা গুরুতর তা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। এমআরআই, সিটি স্ক্যান করা হবে।
লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার সংবাদে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা। এই দুঃসংবাদ জানানো হয়েছে তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া পেজে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কপাল থেকে নাক বেয়ে রক্ত পড়ছে, হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে রয়েছেন মমতা। ক্যাপশনে লেখা, 'আমাদের চেয়ারপার্সন গুরুতর আহত হয়েছেন। উনার জন্য প্রার্থনা করুন আপনারা।' তাঁর সুস্থতা কামনায় ভক্তরা ভিড় করেছেন হাসপাতালে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির উদ্বোধন করেন মমতা। এর পর তিনি বাড়ি চলে যান। ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরাই দ্রুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়। এই নিয়ে পর পর বেশ কয়েক বার দুর্ঘটনায় আঘাত পেলেন তিনি।
কলকাতার মেট্রোর মুকুটে নয়া পালক। দেশের প্রধামমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে অবশেষে উদ্বোধন হল হাওড়া-ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো রুট। এই রুটের মধ্যেই রয়েছে গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো রেলের অংশ। গঙ্গার তলা দিয়ে এসপ্ল্যানেড এসে পৌঁছবে এই মেট্রো রুট। দেশে এই প্রথম জলের তলা দিয়ে ছুটবে মেট্রো। এদিন সকালে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন থেকে নয়া রুটের মেট্রোর উদ্বোধন করেন তিনি। এরপরই প্রায় ৫০০ স্কুল পড়ুয়াকে সঙ্গে নিয়ে গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো সফরে মোদী।
উল্লেখ্য, দেশের গভীরতম রেল স্টেশন হাওড়া-মেট্রো স্টেশন। প্রায় ১১৪ ফুট মাটির তলায় রয়েছে এই স্টেশন। যার মাধ্যমে ৮ মিনিটে হাওড়া থেকে ধর্মতলা এবং ১১ মিনিটে হাওড়া থেকে শিয়ালদহ পৌঁছে যাওয়া যাবে এমনটাই মেট্রো রেল সূত্রে খবর। সাধারণ নাগরিকদের জন্য আরও সহজ হবে যাতায়াত। প্রধানমন্ত্রীর হাতে বুধবার এই মেট্রো রুটের উদ্বোধন হলেও সাধারণের জন্য দ্রুত পরিষেবা চালু করতে চায় মেট্রো রেল, এমনটাই মেট্রো রেল সূত্রে খবর।
দেশের গভীরতম রেল স্টেশন হতে চলেছে হাওড়া মেট্রো স্টেশন। প্রায় ১১৪ ফুট মাটির তলায় স্টেশন। যার মাধ্যমে ৮ মিনিটে হাওড়া থেকে ধর্মতলা এবং ১১ মিনিটে হাওড়া থেকে শিয়ালদহ পৌঁছে যাওয়া যাবে এমনটাই মেট্রো রেল সূত্রে খবর।
হাওড়া মেট্রো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হাওড়া মেট্রো উদ্বোধনের পর যাত্রী পরিষেবা শুরু হবে হোক শীঘ্রই এমনটাই কিন্তু মেট্রোরেল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এই মেট্রো পরিষেবা যাত্রীদের একটা আলাদা মাত্রায় তুলে ধরবে বলেই আশা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের।
মেট্রোরেল সূত্রে খবর, একই টিকিটে বা একই স্মার্টকার্ডে উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোতে পরিষেবা পাওয়ার পাশাপাশি যাতায়াত করা যাবে।
টিকিটের মূল্য-
হাওড়া থেকে হাওড়া ময়দান-৫ টাকা
হাওড়া থেকে মহাকরণ, এসপ্ল্যানেড পৌঁছে যাওয়া যাবে ১০ টাকায়
হাওড়া থেকে সেন্ট্রাল, চাঁদনি চক, পার্কস্ট্রিট এবং ময়দানের ভাড়া ১৫ টাকা
হাওড়া থেকে শোভাবাজার-সুতানটি, গিরিশ পার্ক এবং মহাত্মা গান্ধী রোডের ভাড়া ২০ টাকা হাওড়া থেকে রবীন্দ্র সদন, নেতাজি ভবন এবং যতীন দাস পার্কের ২০ টাকা
হাওড়া থেকে দমদম, বেলগাছিয়া এবং শ্যামবাজারের ভাড়া ২৫ টাকা
আপাতত এই ভাড়াই নির্ধারণ করা হয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে। গ্রিন লাইনের এই মেট্রো রুটে জলের ৩২ মিটার নীচ দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছবেন যাত্রীরা।
গ্রেফতার হতেই ছয় বছরের জন্য় শেখ শাহজাহানকে সাসপেন্ড করল শাসকদল তৃণমূল। রাজ্য পুলিসের গ্রেফতারের পর ইডি দফতরে শুরু হয় বৈঠক। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দফায় দফায় বৈঠক করছেন ইডির উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
বুধবার মিঁনাখা থানার বামনপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকে। গ্রেফতারির পর ১০ দিনের পুলিসি হেফাজত চেয়ে বসিরহাট আদালতে তোলা হয় তাঁকে। তারপর সেখান থেকে পুলিসি নিরাপত্তা দিয়ে শাহজাহান নিয়ে যাওয়া হয় ভবানী ভবনে। ইডির ওপর যে আক্রমণ করা হয়েছিল সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে সিআইডি আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যে রাজ্য পুলিসের তরফ থেকে চাওয়া দশ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিচারক। কিন্তু কোন পথে হাঁটবেন ইডির আধিকারিকরা সেই বিষয়ে চলছে বৈঠক। অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদমর্যাদা অফিসার ডেপুটি ডিরেক্টর পদমর্যাদা অফিসার সহ রেশনবন্টন দুর্নীতি মামলার ইনভেস্টিগেশন অফিসার এবং অন্যান্য অফিসারদের নিয়ে চলছে সেই বৈঠক।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় মূলত, রাজ্যের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা সরানোর আবেদন জানানো হয়েছিল। অপরদিকে, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল এই মামলার শুনানি যাতে ভিন রাজ্যে করা হয়। কেন? কারণ, এ রাজ্যে মামলার সাক্ষীদের এবং বিপক্ষের আইনজীবীদের নানান হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে খবর। তাই সিবিআই ভিন রাজ্যে মামলা সরানোর দাবি করে।
তবে সিবিআইয়ের দাবি, মামলা এ রাজ্যে থাকলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই, এবার মামলার শুনানি হবে ভিন রাজ্যেই। এই মর্মে আপাতত মামলার শুনানিতে রাজ্যের বিশেষ আদালতগুলিকে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। তারপরেই তৎপর সিবিআই।
উল্লেখযোগ্যভাবে খবর, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গেই খুন হয়েছিলেন মহম্মদ আলি নামে এক যুবক। ওই ব্যক্তি খুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকেও রবিবার বারাসতে নোটিস দেয় সিবিআই। যিনি, ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পর জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। তবে, সাংবাদিকদের যেকোনও প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে চলে যান তিনি।
রাজ্যের একাধিক বিশৃঙ্খল ঘটনার মধ্যেই শোনা গেল, এখনও ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার সাক্ষীরা হুমকি পাচ্ছেন। তদন্তকারী সংস্থা বাধ্য হচ্ছে ভিন রাজ্যে মামলার শুনানি হস্তান্তরিত করার আবেদন জানাতে। এ রাজ্যে তবে মামলার বিচারের জন্যও উপযুক্ত পরিস্থিতি নেই? শাসকের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। দাবি বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহলের।
সুকান্ত অসুস্থ থাকলেও সন্দেশখালি কাণ্ডে ঝাঁঝ বাড়াতে মরিয়া বিজেপি। বুধবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে টাকিতে পুলিসি বাধার মুখে পড়ে অসুস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অসুস্থ সুকান্তকে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সল্টলেক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। ওদিকে এরপর আজ বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি কাণ্ডে বসিরহাটএসপি অফিস ঘেরাওয়ের জন্য রওনা দিয়েছে শুভেন্দু। সূত্রের খবর আজও তাঁকে পথেই আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে পুলিশ। যেমনটা গত মঙ্গলবার হয়েছিল। পুলিশি বাধার মুখে পড়ে রীতিমত বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও বাতিল করতে হয় শুভেন্দুকে।
ওদিকে সুকান্তর মাথায় ও কোমরে চোট রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। অসুস্থ সুকান্তকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে তিনি সুকান্তর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পরে হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় তিনি জানান, আমি এখনও কোনও রিপোর্ট পেশ করিনি। রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট চেয়েছি, সেটি দেখে কেন্দ্রকে পাঠাব। পরে হাসপাতালে পৌঁছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন মিঠুন চক্রবর্তী। শনিবার আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তড়িঘড়ি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মিঠুনকে ভর্তি করান সোহম চক্রবর্তী। এরপর এমআরআই করে জানা যায় বেন স্ট্রোক হয়েছে অভিনেতার।
সূত্রের খবর, নিউরোলজি, কার্ডিয়োলজি এবং গ্যাস্ট্রোএনট্রোলজি বিভাগের চিকিত্সকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল দল গঠন করে হয়েছিল অভিনেতার চিকিৎসার জন্য। তারপর চিকিৎসার সাড়া দিতে শুরু করেন মিঠুন। ধীরে ধীরে অসুস্থতা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।
আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মহাগুরু মিঠুন জানান, ভালো আছি এখন। কোনও সমস্যা নেই। এখানে এসে একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিলাম। তাই সুগার বেড়ে গিয়েছিল। খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছেন ডাক্তার। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাঁদের বলতে চাই, তাঁরা কখনোই ভাববেন না মিষ্টি না খেলে আপনার কিছু হবে না। সব সমস্যা খাওয়াতে। খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন।
অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হবেন কিনা জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি জানান, না। আমি যদি প্রার্থী হই তাহলে ৪২ টা সিটের কি হবে ? প্রচারের ময়দানের থাকার কথাও তিনি বলেন। ১ তারিখ থেকে লাগাতার বিজেপির হয়েই প্রচার করবেন। এমনকি শুটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ১৯ তারিখ থেকে। দুটো দিন লস হয়ে গেল। তাই আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেও কাজ করতে পারেন তিনি।
সন্দেশখালি ঘটনায় ক্ষোভের আঁচ বিধানসভায়। শুভেন্দু অধিকারী সহ ৬ জনকে সাসপেন্ড করল বিধানসভার অধ্য়ক্ষ। মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী দলনেতা। সেই সঙ্গে বিধানসভার বাইরে বিজেপির বিক্ষোভ। শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পল, বঙ্কিম ঘোষ, মিহির গোস্বামী, তাপসী মণ্ডলকে সাসপেন্ড করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। শনিবার পর্যন্ত চলবে এই সাসপেন্ড।
'সন্দেশ খালি সঙ্গে আছি' লেখা টি-শার্ট পরে সদনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা সহ বিজেপি বিধায়করা। আর সেই টি-শার্ট শুভেন্দু অধিকারীকে খোলার নির্দেশ দিলেন স্পিকার।
শুভেন্দু অধিকারীকে আটকাতে তৎপর পুলিস। নিউ টাউন সংলগ্ন আর্ট কলেজের সামনেই বিশাল পুলিস মোতায়েন। শুভেন্দু অধিকারী এই রাস্তা দিয়েই আসার কথা রয়েছে। আর এখানেই শুভেন্দু অধিকারীকে আটকানো হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর। ভাঙরে অশান্তির সময় এই আর্ট কলেজের সামনেই আটকানো হয়েছিল বিধায়ক নওশাদকে।
পারিবারিক বিবাদের জেরে ভুক্তভোগী এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগেই কেটে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। হ্যারিকেনের আলোয় কোনওরকম কষ্ট করে পড়াশোনা করতে হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাড়ধূর্পা গ্রামের।
ওই ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল সঠিক সময়ে দিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও কোনও কারণ না দেখিয়ে বিদ্যুৎ কেটে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে গন্ডগোলের সূত্রপাত দীর্ঘদিন ধরে। আর এই গন্ডগোলের জেরেই গত ৩১শে জানুয়ারি রাতে বিদ্যুৎ দফতরের লোকেরা গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছেন বলে দাবি ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীর পরিবারের। পরীক্ষার সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় খুবই সমস্যা পড়েছে ওই ছাত্রীটি। ফলে তার পড়াশোনায় খুবই ব্যাঘাত ঘটছে।
ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার রঞ্জিত কুমার মণ্ডল জানান, বিল মেটানো থাকলে কোনওভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যায় না। এই ক্ষেত্রে বিল মেটানো থাকা সত্ত্বেও কেন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হল তা তিনি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছেন। অতি শীঘ্রই যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় সেই ব্যাপারে দফতরের কর্মীদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে 'গানওয়ালা' কবীর সুমন। তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁকে ভর্তি করা হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। শিল্পীর চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে গঠন করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড। ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।
কবীর সুমন সজাগ রয়েছেন। আপাতত অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন। ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে একজন জেনারেল মেডিসিন, ক্রিটিকাল কেয়ার স্পেশালিস্ট, পালমনোলজিস্ট বা চেস্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং একজন কার্ডিওলজিস্ট বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন।
এর আগে, ২০২১ সালের জুন মাসেও একবার শ্বাসকষ্ট নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই বিশিষ্ট গায়ক-সঙ্গীতকার। সেবার ভোর রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেবার অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, ৭২ বছরের এই প্রবীণ সংগীত শিল্পীর গলায় প্রবল ব্যাথা ছিল, কথা বলতেও কষ্ট ছিল তাঁর। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছিল কবীর সুমনের। সেই টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তাঁর আরটি পিসিআর টেস্ট করা হয়।স দিন বিকেলেই অসুস্থ সঙ্গীতশিল্পীকে দেখতে এসএসকেএমে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।