ইতিহাস গড়ার একদিন আগেই শেষ হল যাত্রা। চাঁদের (Moon) মাটিতে অবতরণের আগেই ভেঙে পড়ল রুশ মহাকাশযান 'লুনা ২৫' (Luna 25 Crashed)। ফলে প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয়ের স্বপ্ন শেষ রাশিয়ার (Russia)। রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস রবিবার এই খবর জানিয়েছে। বেপরোয়া গতির জেরেই মহাশূন্যে দুর্ঘটনা? লুনা ২৫-র ভেঙে পড়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই উঠেছে নানা প্রশ্ন। যদিও রসকসমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শেষ মুহূর্তে লুনায় যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে।
সোমবার চাঁদে নামার কথা ছিল রাশিয়ান যানের। ৪৭ বছর পর রাশিয়া ফের চন্দ্র অভিযানে নেমেছিল। কিন্ত স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল। রসকসমসের তরফে পেশ করা দু’লাইনের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘অবতরণের আগে লুনাকে অন্তিম কক্ষপথে ঠেলতে গিয়ে জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে চন্দ্রযানটির স্বয়ংক্রিয় স্টেশনে। ফলে এই পরিস্থিতিতে যানটি অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
এদিকে, আগামী ২৩ অগাস্ট বুধবার চাঁদের বুকে অবতরণ করতে চলেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। আর এরপরেই এই মহাকাশযান চাঁদে নেমে একাধিক পরীক্ষা চালাবে। সব ঠিক থাকলে চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং হওয়ার কথা বিক্রমের। চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় সফট ল্যান্ডিংয়ের জন্য বেগ কমাতে শুক্রবার প্রথম ডিবুস্টিং প্রক্রিয়া শুরু করে বিক্রম। ইসরোর প্রাক্তন প্রধান জানিয়েছেন, বিক্রম নামের ল্যান্ডারটি স্বয়ংক্রিয় মোডে চলে গিয়েছে।
বাকি আর হাতেগোনা দিন, ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামতে চলেছে ইসরোর মহাকাশযান চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। এর আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান কোনও দেশই পাঠায়নি। এবারে ভারত সেটাই করতে চলেছে। ফলে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) সফল হলে এক ইতিহাস তৈরি করবে ভারত। কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় এবারে নাম নামল রাশিয়াও (Russia)। আজ অর্থাৎ শুক্রবার ভোরে রাশিয়া থেকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর উদ্দেশে রওনা দিল লুনা ২৫ (Luna 25)।
সূত্রের খবর, ভারতীয় সময়ে শুক্রবার ভোর ৪টে ৪০ মিনিটে সয়ুজ ২.১বি রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, উৎক্ষেপণের খুব কম সময়ের মধ্যেই রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে লুনা ২৫ ল্যান্ডার চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে। রাশিয়া প্রায় ৪৭ বছর পর চাঁদের উদ্দেশে কোনও মহাকাশাযান পাঠিয়েছে। ফলে রাশিয়াও ইতিহাস গড়ে তোলার প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছে। সূত্রের খবর, লুনা ২৫ ১৬ অগাস্টের মধ্যে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এরপর ৫-৬ দিন কক্ষপথে ঘোরার পর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। ২১-২২ অগাস্টের মধ্য়ে লুনা ২৫ ল্যান্ডিং করতে পারে বলে খবর।
অন্যদিকে চন্দ্রযান ৩ ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করতে চলেছে। ফলে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার ক্ষেত্রে কোন দেশ এগিয়ে থাকবে, তারই অপেক্ষায় বিশ্ববাসী। রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা 'রসকমস'-কে সফল উৎক্ষেপণের জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছে ইসরো।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) পর এবারে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার পাঠাতে প্রস্তুত রাশিয়া (Russia)। ইসরো সূত্রে খবর, আজ পর্যন্ত চাঁদের মাটিতে সফলভাবে নামতে পেরেছে তিনটি দেশ রাশিয়া, চিন ও আমেরিকা। তবে এর একটিও এখনও পর্যন্ত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযানকে অবতরণ করাতে পারেনি। তবে এই ইতিহাস গড়ার পথে রয়েছে ভারত। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে ২৩ অগাস্ট বিকেলের দিকে চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করবে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। কিন্তু এবারে এই দৌড়ে অংশগ্রহণ করতে চলেছে রাশিয়াও। জানা গিয়েছে, ১১ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে রাশিয়ার থেকে পাঠানো হচ্ছে লুনা ২৫ (Luna 25) মহাকাশযান।
সূত্রের খবর, চলতি মাসের ১১ তারিখ রাশিয়ার ভসটোসনি কসমোড্রোম থেকে সোয়ুজ রকেটের মাধ্যমে লুনা ২৫ ল্যান্ডারকে চাঁদের উদ্দেশে পাঠানো হবে। প্রায় ৫০ বছর পর রাশিয়া ফের চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে। জানা গিয়েছে, এটির চাঁদের দেশে পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র পাঁচদিন। এরপর ৪-৫ দিন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার পর চঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে চলেছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ইসরোর ল্যান্ডার বিক্রম-এর আগেই রাশিয়ার লুনা ২৫ দক্ষিণ মেরুতে পা রাখতে চলেছে? তবে কি দক্ষিণ মেরুতে প্রথমবার পৌঁছনোর ইতিহাসটা রাশিয়াই গড়তে চলেছে, এই নিয়েই এখন সংশয় সাধারণ মানুষের। তবে এই বিষয়ে এখনও বিশদে কিছু জানাননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
ইউক্রেনের (Ukraine) ক্ষেপণাস্ত্র হানা (War)। রুশ (Russia) বাহিনীকে ছত্রভঙ্গ করতে আমেরিকার দেওয়া ক্লাস্টার বোমা (Cluster Bomb) ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। আর সেই বোমা ফেটে তার থেকে আরও অনেক ছোটো ছোটো বোমা বেরিয়ে আসছে। পরে আবার সেই ছোটো ছোটো বোমাগুলিই বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা বেড়েই চলেছে। এই বোমা ব্যবহার একরকম প্রায় নিষিদ্ধ। একটি রিপোর্টে ইউক্রেনীয় কর্তাদের দাবি, শুধুমাত্র শত্রুদের হামলার জবাব দিতেই ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করা হবে।
অন্যথায় এই অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ জেনেও ইউক্রেনে এই অস্ত্রটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। যার ফলে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সবাই। এমনকি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলিও। ইউরোপের কিছু মিত্র দেশও বাদ পড়েনি বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে।
ফের রুশ (Russian) হামলায় (attack) জ্বলে উঠল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। বৃহস্পতিবার, রাতভর রাশিয়া কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। এই রুশ ড্রোন হামলায় মৃত্যু (death) হয়েছে এক জনের এবং জখম (injury) চার জন।
ইউক্রেন সেনার অভিযোগ, বহু দিন ধরে ইরানের তৈরি বিস্ফোরকবাহী ড্রোন শাহিদ ব্যবহার করছে রাশিয়া। যদিও ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিয়েভের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে আছড়ে পড়ে ইরানের তৈরি ড্রোন শাহিদ। প্রায় এক ডজন ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে। সব মিলিয়ে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ২০টি রুশ ড্রোন ধ্বংসের খবর পাওয়া গিয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিৎস্ককো জানিয়েছেন, পোডিলস্কি অঞ্চলে একটি বাড়িতে আগুন ধরে যায়। ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে একটি মৃতদেহ। ২৩ বছরের এক যুবক ও ১৯ বছর বয়সি একটি তরুণী শার্পনেলে জখম হয়েছে। তাঁদেরকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এরপর যুদ্ধ জারি রয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুটেও। দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে বাখমুট রাশিয়ার দখলে চলে যায়। অবশেষে পরাজিত হলেও প্রকাশ্যে হার স্বীকার করেনি পারেনি কিয়েভ।
রবিবার ইউক্রেনে (Ukraine) রুশ আগ্রাসনের ৫০০ দিন ছাড়াল। এই যুদ্ধে সকলকে চমকে দিয়েছিল কৃষ্ণসাগরের তীরে অবস্থিত স্নেক আইল্যান্ড (Snake Island)। এদিন যুদ্ধের ৫০০তম দিনে আইল্যান্ড দ্বীপের সফরে (tour) গেলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘এই দ্বীপ কোনও দিন কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত ৯ হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ছিল পাঁচশোটি শিশু। তবে এ সবই খাতায়কলমে থাকা হিসেব থেকেই অনুমান করা। রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী অভিযান’-এর তরফে জানানো হয়েছে, আসল নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
তবে এ বছর কিন্তু গত বছরের তুলনায় হতাহতের সংখ্য়া কিছুটা কম। চলতি বছরে ২৭ জুন ক্ষেপণাস্ত্রের হানায় ১৩ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি শিশুও ছিল। উল্লেখ্য়, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বেশ অনেকটা দূরে লিভিভ শহরে রুশ হামলার পরেও ১০টি দেহ উদ্ধার হয়ছে। বৃহস্পতিবার, ওই হামলায় আরও ৩৭ জন জখম হয়েছিলেন। এই যুদ্ধের ফলে ৫০টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। লিভিভ পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির ডর্মিটরির একাংশ ভেঙে পড়েছে।
৪ জুলাই, মঙ্গলবার ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলন (SCO Summit)। এই প্রথমবার এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করতে চলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। এই সম্মেলনের বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সহ মধ্য এশিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ এই শীর্ষ সম্মেলনটি শুরু হবে ও শেষ হওয়ার কথা ৩ টে নাগাদ। তবে এই সম্মেলনটি ভার্চুয়ালি হতে চলেছে। অর্থাৎ এই সম্মেলনে মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত হতে চলেছেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এসসিসও-এর শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনা করা হবে আফগানিস্তান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে। উঠে আসতে পারে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও। এছাড়াও ডিজিটাল সম্প্রসারণ, যুব সমাজকে ক্ষমতায়ন এবং বুদ্ধের নীতি আদর্শকে তুলে ধরা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়েও আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
২০০১ সালে শাংহাইতে এসসিও গঠন করা হয়। প্রথমে এর সদস্য ছিল রাশিয়া, চিন, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্থান। এরপর ২০১৭ সালে সদস্য হয় ভারত ও পাকিস্তান। ভারত প্রথমে পর্যবেক্ষক হিসাবেই ছিল। এরপর ২০১৭ সালে পূর্ণাঙ্গ সদস্য হয়। প্রসঙ্গত এসসিও-এর সমস্ত সদস্য দেশ- চিন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, তাজাকিস্তান এবং উজবেকিস্তান-কে এই সম্মেলনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। আবার ইরান, বেলারুশ ও মঙ্গোলিয়াকে পর্যবেক্ষক দেশ হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এবারে রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) মুখেও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) প্রশংসা। তাঁর 'মেক ইন ইন্ডিয়া' উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার মস্কোয় রুশ উদ্যোগপতিদের এক সমাবেশে যোগ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানেই তিনি ভারতকে 'রাশিয়ার বন্ধু' বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও তিনি বলেছেন, মোদীর 'মেক ইন ইন্ডিয়া' উদ্য়োগ ভারতীয় অর্থনীতিতে বেশ সাড়া ফেলেছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মস্কোয় এক সমাবেশে যোগ দেন ও সেখানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে ভারতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন পুতিন। তিনি বলেন, 'ভারত আমাদের বন্ধু। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গেও রাশিয়ার ভাল বন্ধুত্ব রয়েছে। কয়েকবছর আগে তিনি ভারতে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' নামে একটি প্রকল্প চালু করেছিলেন। দেশের অর্থনীতিতে তার প্রভাব খুব ভাল ভাবেই দেখা গিয়েছে।' আর এভাবেই ভারতের দেখানো উপায়ে দেশে তৈরি পণ্য় জনপ্রিয় করে তুলতে পারে রাশিয়াও, এমনটাই জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ফলে রুশ পণ্য এবং ব্র্যান্ডগুলিকে উৎসাহ দিতেই তাঁর বক্তৃতায় ভারতের উদাহরণ টেনে আনেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
এখানেই থেমে থাকেননি রুশ প্রেসিডেন্ট, 'মেক ইন ইন্ডিয়া'র উদাহরণ টেনে রাশিয়াকেও তেমনই গড়ার ডাক দেন পুতিন। তিনি জানান, রাশিয়ার অর্থনীতিকে এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে হবে, যাতে বিদেশ থেকে আর কোনও পণ্য আমদানি না করতে হয়। নিজেদেরই আধুনিক পণ্য, পরিষেবা এবং প্রযুক্তি উৎপাদন করতে হবে। ফলে এবারে মোদীর দেখানো পথেই হাঁটতে চান পুতিন, এমনটাই আলোচনা বিশেষজ্ঞমহলে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine war) প্রায় দেড় বছর পার, তবুও এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার নাম নিচ্ছে না। বরং এই যুদ্ধ এক নতুন মোড় নিল বুধবার। রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবনে পুতিনকে (Vladimir Putin) উদ্দেশ্য করে প্রাণঘাতী হামলার পরেই নড়চড়ে বসেছে প্রশাসন। রাশিয়ার অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে ইউক্রেন। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করলেও তা মেনে নেয়নি রাশিয়া। বরং উল্টে এসেছে প্রাণনাশের হুঁশিয়ারি। এরপরেই খবরে এসেছে যে, বুুধবার রাতেই ইউক্রেনের খেরসনে (Kherson) ভয়ানক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
সূত্রের খবর, খেরসনের সুপার মার্কেট থেকে শুরু করে রেলওয়ে স্টেশনেও একাধিক জায়গায় লাগাতার গোলাবর্ষণ করছে রাশিয়া। মিসাইল হামলায় এখনও অবধি কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৪৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। আবার কিয়েভেও দুটি বড় বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে এসেছে। এই জোরালো বিস্ফোরণের পরই ইউক্রেন বায়ুসেনার তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেখানকার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। আবার রাশিয়ার মিসাইল হামলার পর থেকে ইউক্রেনের যে জায়গাগুলোতে রেড অ্য়ালার্ট জারি করা হয়েছে, সেগুলো হল- কিয়েভ, সুমি, চেরনিহিভ, পোলটাভা, খারকিভ, ওডেসা ইত্যাদি।
🕯️Today, Russia launched one of its deadliest attacks on #Kherson, hitting a supermarket, a railway station other civilian targets.
— KyivPost (@KyivPost) May 3, 2023
At least 21 people were killed and 48 injured.
📷: Telegram / Zelensky pic.twitter.com/HE0XNVhzca
বুধবার প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের উপর। রাশিয়ার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, রুশ প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে দু’টি ড্রোন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকেই ওই ড্রোন ওড়ানো হয়েছিল বলেই দাবি রাশিয়ার। যদিও হামলার জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন পুতিন, এমনটাই জানানো হয়েছে রাশিয়ার বিবৃতিতে। হামলাকারী ড্রোনদুটি ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে এই ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের কোনও হাত নেই জানালেও থেমে থাকেনি রাশিয়া। প্রতিশোধ নিতে হামলা শুরু করেছে রুশ বাহিনী।
দুষ্কৃতী হামলার মুখে রুশ (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। রাশিয়ার আন্তজাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা (Drone Attack) হয়েছে। যদিও এই হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি ঐ দেশের প্রেসিডেন্টের। রুশ প্রশাসন জানিয়েছেন, সুস্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর কোনও ক্ষতি হয়নি। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশই এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
বুধবার ক্রেমলিনের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, দু’টি মানববিহীন ড্রোন রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনকে লক্ষ্য করে সেখানে এসে ধাক্কা মারে। পরে ওই ড্রোন দু’টিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। মস্কোর মেয়র জানিয়েছেন, রুশ রাজধানীর উপর দিয়ে কোনও বিমান কিংবা ড্রোনকে উড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
বুধবার রুশ সমাজমাধ্যমে ড্রোন হামলার একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ক্রেমলিনের উপর আছড়ে পড়ছে দু’টি ড্রোন। আগুনের ঝলকানি মিলিয়ে যাওয়ার পর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। রাশিয়ার তরফে বলা হচ্ছে, পুতিনকে হত্যা করতেই পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এমনকি ‘সঠিক সময়ে প্রত্যাঘাত’ করা হবে বলেও ইউক্রেনকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ক্রেমলিনের তরফে। এই ঘটনার পর রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতার মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ফের ইউক্রেনে (Ukraine) রুশ (Russia) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। শনিবার ভোর রাতে এই বিস্ফোরণটি (missile attack) ঘটেছে। বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল রাজধানী কিয়েভ (Kyiv)। কমপক্ষে পাঁচ ৫ জন নিহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি পশ্চিমের দেশগুলি থেকে বেশ কিছু অস্ত্রসাহায্য এসে পৌঁছেছে ইউক্রেনে। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে হামলার গতিবৃদ্ধি মস্কো। মধ্য ইউক্রেনের উমান শহরে একটি আবাসনে এসে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্র। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় বাড়িটিতে। তিন জন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। জখম হয়েছেন অন্তত ৮ জন। এমনকি নিপ্রো শহরেও একটি বাড়িতে এসে পড়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। যার ফলে একটি শিশু ও এক তরুণী মারা গিয়েছেন।
শহরের মেয়র বরিস ফিলাটোভ জানিয়েছেন, তিন জন গুরুতর জখম। বিস্ফোরণে রাজধানীর একাধিক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ‘শত্রুরা’। কিভ অঞ্চলেই ইউক্রেইনকা শহরে দু’জন জখম হয়েছেন। ১৪ মাস ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। স্বাভাবিক ভাবে ইউক্রেনীয় বাহিনীও জান লড়িয়ে দিচ্ছে, কোনওভাবে বাখমুট তারা হাতছাড়া হতে দেবে না। তবে এদিন অন্ততপক্ষে ২১টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) প্রায় দেড় বছরের দিকে এগোচ্ছে। তবে এখনও শেষ হওয়ার নাম নেই। ইতিমধ্যেই ভারত ঘুরিয়ে এই যুদ্ধের সমালোচনা করেছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান নয়াদিল্লির। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্বের তাবড় দেশগুলো। এর মধ্যেই ফের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সাহায্যের জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি। যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউক্রেন (Ukraine)। এই পরিস্থিতিতে খাদ্য-শস্য, ওষুধ ও চিকিৎসার যাবতীয় সরঞ্জাম-সহ মানবিক ত্রাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লেখেন জেলেনস্কি (Zelenskyy)।
সূত্রের খবর, এই চিঠি ইউক্রেনের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী এমিনি জাপারোভা-র (Emine Dzhaparova) হাত দিয়ে পাঠানো হয়েছে ভারতে। সোমবার ভারত সফরে এসেছেন ইউক্রেনের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী। চারদিনের সফরে এদেশে এসেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ভারতের সাহায্যের আশায় তাঁর এই সফর। ফলে এখানে পৌঁছেই এই চিঠিটি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির হাতে তুলে দিয়েছেন জেলেনস্কির মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামানোর জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে একাধিকবার পুতিনকে বলা হয়েছে। এছাড়াও একাধিকবার ইউক্রেনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ফলে ইউক্রেনবাসীরা আশা করতে পারছে যে, এবারেও ভারত সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে। তবে জেলেনস্কির চিঠির উত্তরে কী আসতে চলেছে তারই অপেক্ষায় জেলেনস্কি-সহ পুরো ইউক্রেনবাসী।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন (Ukriane)। রুশ হামলায় (Russian Attack) একেবারে ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের একাধিক শহর। বছর গড়িয়ে গিয়েছে। তবুও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। এই আবহে প্রথম ভারত সফরে এলেন ইউক্রেনের প্রশাসনের কোনও প্রতিনিধি। সোমবার ভারতের মাটিতে পা রাখলেন ইউক্রেনের প্রথম ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী এমিনি জাপারোভা (Emine Dzhaparova)। জানা গিয়েছে, চারদিনের সফরে এদেশে এসেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ভারতের সাহায্যের আশায় তাঁর এই সফর।
Happy to visit 🇮🇳-the land that gave birth to many sages,saints&gurus. Today, #India wants to be the Vishwaguru,the global teacher and arbiter. In our case, we’ve got a very clear picture:aggressor against innocent victim.Supporting🇺🇦 is the only right choice for true Vishwaguru.
— Emine Dzheppar (@EmineDzheppar) April 10, 2023
সূত্রের খবর, এই চারদিনের সফরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে এমিনির। এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশ্বের বিভিন্ন ইস্য়ুতে পারস্পরিক স্বার্থ ও ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী এই সফরকালে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি এবং উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিক্রম মিসরির সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
উল্লেখ্য, ভারতের মাটিতে পা রেখেই একটি টুইট করেন ইউক্রেনের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী। তিনি লেখেন, 'ভারতে এসে আনন্দিত। এই মাটিতে বহু মহাপুরুষ, সাধু ও গুরু জন্মেছেন। আজ ভারত বিশ্বগুরু হতে চায়। আমাদের ক্ষেত্রে ছবিটা স্পষ্ট। ইউক্রেনকে সমর্থনই সত্যিকারের বিশ্বগুরু হওয়ার জন্য একমাত্র সঠিক উপায়।' তাঁর টুইট থেকে স্পষ্ট বার্তা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উপসংহার লিখতে ভারতে পাশে চাইছে ইউক্রেন।
'যুদ্ধ অপরাধী' তকমা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট (Russian Presedent) ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা (Arrest Warrant) জারি করেছে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (International Criminal Court)। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে চলবে মামলা। পুতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, 'তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন সেদেশের শিশুদের বেআইনিভাবে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন।' যদিও মস্কো এই গ্রেফতারি পরোয়ানাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ।
উল্লেখ্য, একই অভিযোগে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সরকারি আইনজীবী করিম খান জানিয়েছেন, 'এই গ্রেফতারি পরোয়ানার জেরে দেশের বাইরে যেতে পারবেন না পুতিন। বিশ্বের ১২৩টি দেশের যেখানেই পুতিন যাবেন, সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।'
ক্রেমলিনের দাবি, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা চিনের মতো আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সদস্য নয় রাশিয়া। ফলে ওই জারি করা পরোয়ানা কার্যকর করা রীতিমতো অনেকটা কঠিন।' রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জ়াখারোভা বলেন, ‘‘রাশিয়া এই আদালতের বিচারের আওতায় পড়ে না। তাই এই আদালত কী বলল তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।’’
স্বাভাবিকভাবে আদালতেই এই নির্দেশে আনন্দিত ইউক্রেন। সেদেশের সেনা আধিকারিক টুইটে জানিয়েছেন, 'এই সবে শুরু।' যদিও ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসন থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তবে আগামী দিনে পুতিনের উপর যে চাপ বাড়তে চলেছে তা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের নির্দেশ থেকে কিছুটা স্পষ্ট।
কোভিড অতিমারির সময়ে প্রথম ভ্যাকসিন রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি (Sputnik V)। বৃহস্পতিবার সেই টিকা প্রস্তুতকারী বিজ্ঞানী (Scientist Mystery Death) আন্দ্রে বোটিকভের মৃতদেহ উদ্ধার তাঁর আবাসনে। আন্দ্রেকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের (Post Mortem) প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে। ইতিমধ্যেই আন্দ্রের খুনি সন্দেহে পুলিস শনিবার এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হওয়া যুবকের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলেও পুলিস সূত্রে খবর।
৪৭ বছর বয়সি আন্দ্রে একজন গবেষক হিসেবে কাজ করতেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্দ্রে সেই ১৮ জন বিজ্ঞানীর এক জন, যাঁরা ২০২০ সালে স্পুটনিক-ভি টিকা তৈরি করেছিলেন। কোভিড টিকা নিয়ে কাজ করার জন্য ২০২১ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁকে বিশেষ পুরস্কারে সম্মানিত করেন।
অনুমান, ২৯ বছরের অভিযুক্ত আন্দ্রেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পালিয়েছেন। যদিও নিহতর পরিবার পুলিসের যুক্তি মানতে রাজি নয়। আন্দ্রের খুন হওয়ার নেপথ্যে কোনও বৃহৎ ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই পরিবারের দাবি।