চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (বিধায়ক/অভিনেতা): রবিবারের ফাইনালে শেষ পর্যন্ত সেই অস্ট্রেলিয়া? আমি সিএন পোর্টালে শুরুর দিকে লিখেছিলাম, অস্ট্রেলিয়া যা করছে তা আনপ্রেডেক্টিবল। কিন্তু একই সাথে শেষ ৮টি ম্যাচ জিতে তারা ফাইনালে গেলো। এই মুহূর্তে টিম ইন্ডিয়া তুলনাহীন। বিশ্বের সর্বকালের সেরা কম্বিনেশন কিন্তু তা সত্ত্বেও বলবো লীগ একরকম আর ফাইনাল আরেক রকম। কাজেই অজিদের খাটো করা চলবে না। আবার অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে ঘাবড়ে যাওয়াও চলবে না। হতে পারে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া সাংঘাতিক কিন্তু পুরোনো ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন ১৯৯৬-এ টপ ফর্মে থাকা শ্রীলংকা অস্ট্রেলিয়াকে হেলায় হারিয়ে দিয়েছিলো। তা হলে ভারত পারবে না কেন। স্টিভ ওয়া বা রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার থেকে এই দল যথেষ্ট দুর্বল। এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত জিতেছে এমন উদাহরণ কই? আফগানিস্তানের দিন ম্যাক্সওয়েলের ক্যাচ ধরে নিলে বা দক্ষিণ আফ্রিকা আর ২০টি রান করলে তো অস্ট্রেলিয়া হারে। আরও একটি বিষয়ে এই দলে বয়স্ক খেলোয়াড় যথেষ্ট। কাজেই ভারত কয়েকটি স্ট্র্যাটেজি নিয়ে খেলুক। মনে রাখতে হবে এখনও পর্যন্ত ১০টি ম্যাচে ভারত কোনও চাপেই পরেনি সুতরাং ফাইনাল নিয়ে ভাবনা কিসের?
দুটি বিষয় বলতে চাই। আহমেদাবাদের পিচ বা উইকেট যেন স্পিনারদের অনুকূলে থাকে। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্পিনে হাবুডুবু খাচ্ছিলো। অন্যদিকে ভারতীয় স্পিনাররা এই মুহূর্তে বিশ্ব সেরা। আমার মনে হয় অশ্মিনকে দলে নেওয়া উচিত। প্রশ্ন কার জায়গায়? আমি সিরাজকে বাদ দিতে বলবো। যদিও সিরাজ শুরুর বোলার কিন্তু এভারেজ বলছে যথেষ্ট রান দিচ্ছেন। তিনি পক্ষান্তরে উইকেট পেয়েছেন কম। বুমরা শামিকে দিয়ে পাওয়ার প্লের প্রথম দশ ওভার করিয়ে অশ্মিনকে বা জাদেজাকে নিয়ে আসুক যদি অস্ট্রেলিয়া প্রথম ব্যাট করে। পরে হলে ৭/৮ ওভারের মধ্যেই স্পিনার নিয়ে আসা হোক।
আমি কিন্তু অনেক বেশি আশা রাখছি রোহিতের উপর। ওর আরও একটা ভালো শুরু চাই। ইদানিং ওঁর পেটানোতেই কাহিল হয়েছে। শুরুতেই সমস্ত দল কাজেই আরও একটা হোক। আর রোহিত মোটেই ৫০ বা সেঞ্চুরির দিকে নজর দিচ্ছে না। ফাইনালে দিক। পিছনে কোহলি, শ্রেয়স, রাহুল, সূর্য জাদেজা ছিলই তার সঙ্গে যুক্ত হোক অশ্মিন। মনে রাখতে হবে যিনি টেস্টে প্রচুর রান করেন বা সেঞ্চুরি করেন বা টি-২০ তে ভালো ব্যাট চালান তাঁকে ব্যাটারই বলা হয়। তাই অশ্মিন। যদি অতিরিক্ত বোলার নেহাতই দরকার হয় তবে সূর্য অস্ত যাক। আলোর খেলায় সূর্য না থাকলেও চলবে। ইডেনে দেখলাম তো। পুরো খেলাটাই বিদ্যুতের আলোতেই হলো।
ইন্ডিয়া জিতে এস।
বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ। কিন্তু, এবারও দলে ফেরা সম্ভব হল না হার্দিক পাণ্ডিয়ার। ৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও তিনি অনিশ্চিত। আদৌ কি বিশ্বকাপের একটি ম্যাচেও আর দেখা যাবে হার্দিককে ? বৃহস্পতিবার ম্যাচের আগে হার্দিককে নিয়ে বড় আপডেট দিলেন রোহিত শর্মা।
কী জানালেন ভারতীয় অধিনায়ক ? রোহিত জানিয়েছেন, হার্দিক ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন। খুব তাড়াতাড়ি উন্নতি করছেন। খুব শীঘ্রই তাঁকে আবার মাঠে দেখা যাবে। তবে, কবে, সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি হিটম্যান।
রোহিতের কথায়, "হার্দিকের উন্নতি হচ্ছে ভালই। এটাকে ঠিক রিহ্যাব বলা চলে না। তবে যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে হার্দিক যাচ্ছে,যে ভাবে উন্নতি করছে তাতে আমরা খুশি। কিন্তু এটা এমন ধরনের চোট যেখানে আমাদের প্রতি দিন নজর রাখতে হবে। হার্দিক কতটা সুস্থ, কত শতাংশ ফিট হয়েছে সেটা নজর করতে হবে। তবে এটা বলতে পারি, হার্দিকের উন্নতি যে ভাবে এগোচ্ছে তাতে খুব শিগগিরই আমরা ওকে মাঠে দেখতে পাব।'
হার্দিক পান্ডিয়ার অনুপস্থিতিতে প্রয়োজনে তিন স্পিনার এবং দুই ফাস্ট বোলারকেও খেলাতে পারে ভারতীয় দল। এই বিষয়ে রোহিত বলেন, ' হার্দিকের অনুপস্থিতিতে আমি আমার সব বিকল্প খোলা রেখেছি। পরিস্থিতি যদি দাবি করে, আমরা অবশ্যই তিনজন স্পিনার নেব। আমাদের বোলাররা পরিস্থিতির সুবিধা নিতে জানে।’
বিশ্বকাপের আগে রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনাল (Asia Cup)। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও ভারত। ফরম্যাট বদলে এবার ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট। আর তাতেই পরিসংখ্যানে দাপট ভারতীয়দের।
পাঁচ ম্যাচে ২৭৫ রান করে এশিয়া কাপের এখনও পর্যন্ত টপ স্কোরার ভারতের শুভমন গিল। শুক্রবারই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৩৩ বলে ১২১ রান করেছেন ভারতীয় এই ওপেনার। শুভমনের ঝুলিতে রয়েছে আরও একটি নজির
এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই। ফাইনালের আগে পর্যন্ত টুর্নামেন্টে মোট বাউন্ডারি ৪৭৩। এর মধ্যে ২৯টি এসে গিলের ব্যাট থেকে। পাশাপাশি ১১টি ওভার বাউন্ডারি মেরে শীর্ষে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দলে পরীক্ষা করেছিলেন রোহিত। কিন্তু ফাইনালে আবার পুরনো দল। কারণ রোহিত জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ নিয়ে দেশে ফিরতে চায় টিম ইন্ডিয়া।
ক্রিস গেইলের ছক্কার সংখ্যা ৫৫৩টি। আর ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ছক্কা মেরেছেন ৫৩৯ টি। বিশ্বকাপে 'ক্যারিবিয়ান দৈত্য' গেইলের ছক্কার রেকর্ড ভাঙতে চান হিটম্যান। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়্যেছেন রোহিত।
আপাতত এশিয়া কাপ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন অধিনায়ক রোহিত। রবিবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত। তার আগেই এক সাক্ষাৎকারে রোহিত জানিয়েছেন, 'তিনি ক্রিস গেইলের ছক্কার বিশ্বরেকর্ড ভাঙতে চান।'
সঙ্গে একথাও জানিয়েছেন তিনি, গেইলের ছক্কার রেকর্ড তিনি যে ভাঙতে পারবেন, তা কোনওদিনই ভাবেননি। গেইলের রেকর্ড ভাঙতে পারলে এক নজির গড়তে পারবেন।
বিদেশে বিরাট কোহলি'র ক্রমাগত ব্যাডপ্যাচ নিয়ে ফের প্রশ্ন করা হল রোহিত শর্মাকে। এই বিষয়ে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এবং তাঁর ফর্ম নিয়ে বিস্তারিত বললেন 'হিটম্যান'। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, বিদেশে টেস্টে ৫ বছর ধরে বিরাট কোহলির ব্যাটে যে শতরানের খরা, তা নিয়ে তিনি কী মনে করেন।
তিনি উত্তরে জানান, 'আমি বহুবার এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। কে কত রান করেছে, কে কত উইকেট নিয়েছে, এইসব বিষয়ে মানুষ বাইরে বসে কিছু না জেনেই কথা বলতে আরম্ভ করে। দলের ভিতরের কথা ভিতরেই থাকে। আমরা বাইরে থেকে আসা কথায় কান দিই না। আমরা কেমনভাবে ম্যাচ বা সিরিজ জিততে পারি, শুধু তাই নিয়েই আমাদের আগ্রহ। এটা আমি আগেও বলেছি, ভবিষ্যতেও একই কথা বলব।'
উল্লেখ্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত শতরানের 'পুরস্কার' পেলেন রোহিত শর্মা। এক লাফে বিশ্ব ক্রিকেটে আইসিসি-র টেস্ট ব্যাটারদের তালিকায় নবম স্থানে উঠে এলেন তিনি।
বুধবার থেকে নতুন সিরিজ। ডোমিনিকা থেকে শুরু হবে ভারতের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন অভিযান। তার আগেই ফের ভারত অধিনায়ক (Captain) রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) উপর বিরক্তি প্রকাশ করলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)। প্রথম টেস্ট শুরুর আগে সানির বক্তব্য, বিশ্বকাপের আগে রোহিতকে আরও ফোকাস হতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ভারতীয় দলকে দেখে মনে হচ্ছে যেন ছুটি কাটাতে গিয়েছে। এই অভিযোগও করেছেন সানি গাভাসকর।
এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে ভারতীয় দল। গাভাসকরের মতে, এই সিরিজ থেকে নিজেদের ভুল শুধরে নিতে পারেন ভারতীয় ব্যাটাররা। কারণ, ওভালে তাঁরা যে ভুল করেছিলেন, তা এখনও ক্ষমা করা যাচ্ছে না। কিন্তু ভুল শুধরে নেওয়া তো দূরের ব্যাপার। সানি মনে করেন, ক্যারিবিয়ান সিরিজে ভারতীয় দলকে দেখে মনে হচ্ছে, দীর্ঘ ক্রিকেটের পর সবাই ছুটি কাটাতে এসেছেন।
শুধু রোহিত শর্মা নন, গাভাসকরের তোপ কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের দিকেও। সানির দাবি, ভারতীয় দলে আরও শৃঙ্খলা প্রয়োজন। এই ব্যাপারে তিনি জানান, সৌরভ ও ধোনির সময় এমনকী, বিরাটের সময়েও ভারতীয় দলে যে শৃঙ্খলা ছিল, এখন তার অনেক ঘাটতি। রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কোচের কাছে এটা তিনি আশা করেন না।
দুর্দান্ত বল করলেন অর্শদীপ সিং (Arshdip Singh)। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (MI) বিরুদ্ধে শেষ ওভারে জ্বলে উঠলেন তিনি। অর্শদীপের জন্যই কাছে গিয়েও ম্যাচ জিততে পারলেন না রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)। দলকে জেতালেও অর্শদীপের জন্য আইপিএলের বড় আর্থিক ক্ষতি হয়ে গেল।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে বল করতে গিয়েছিলেন অর্শদীপ। তখন জেতার জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। আইপিএলে ৬ বলে ১৬ রান তাড়া করা খুব কঠিন নয়। তখন ব্যাট করছেন টিম ডেভিড ও তিলক বর্মা। দু’জনেই বড় শট খেলতে পারেন। অর্থাৎ, জেতার সুযোগ বেশি ছিল মুম্বইয়ের।
অর্শদীপের প্রথম বলে ১ রান নেন ডেভিড। পরের বলে রান হয়নি। তৃতীয় বলে তিলককে বোল্ড করে দেন অর্শদীপ। তাঁর ইয়র্কার মিডল স্টাম্পে গিয়ে লাগে। স্টাম্প দু’ভাগ হয়ে যায়। পরের বলে আবার বোল্ড করেন অর্শদীপ। এ বার তাঁর শিকার নেহাল ওয়াধেরা। সেই বলটিও মিডল স্টাম্পকে দু’ভাগ করে দেয়। পঞ্চম বলে কোনও রান হয়নি। শেষ বলে হয় ১ রান। অর্থাৎ, শেষ ওভারে মাত্র ২ রান দেন অর্শদীপ। ১৩ রানে ম্যাচ হারে মুম্বই।
কিন্তু অর্শদীপ দু’বার স্টাম্প ভাঙায় আইপিএলের বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। এলইডি আলো যুক্ত স্টাম্পের একটি সেটের দাম ২৪ লক্ষ টাকা। একটি স্টাম্প ভেঙে গেলে পুরো সেটটিই বদল করতে হয়। অর্থাৎ, দু’টি সেট নষ্ট করেছেন অর্শদীপ। ৪৮ লক্ষ টাকা লোকসান হয়েছে আইপিএলের।
নিউজ়িল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআই (ODI Match) ম্যাচে দ্বিশতরান শুভমন গিলের। ১৪৫ বলে ওভার বাউন্ডারি মেরে করা এই দ্বিশতরানের সঙ্গে তিনি (Shubman Gill) গড়লেন আরও একাধিক নজির। একদিনের ক্রিকেটে কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসাবে হায়দরাবাদে দ্বিশতরান করেন শুভমন। ভাঙলেন আরও দুই ভারতীয়র ব্যাটারের নজির। ১০ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসাবে দ্বিশতরানের তালিকায় এক নম্বরে ছিলেন রোহিত শর্মা। ২০১৩-তে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিশতরান করার সময় রোহিতের বয়স ছিল ২৬ বছর ৬ মাস।
২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিশতরান করে সেই নজির ভাঙেন দেন ঈশান কিষাণ। ঈশান ২৪ বছর ৫ মাসে দ্বিশতরান করেন। সেই নজির এবার দেন শুভমন। ২৩ বছর ৫ মাস বয়সে দ্বিশতরান করলেন তিনি।
A SIX to bring up his Double Hundred 🫡🫡
— BCCI (@BCCI) January 18, 2023
Watch that moment here, ICYMI 👇👇#INDvNZ #TeamIndia @ShubmanGill pic.twitter.com/8qCReIQ3lc
এখানেই থামেননি ভারতীয় ক্রিকেটের এই তরুণ তুর্কি। কিউইদের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদে আরও একটি নজির গড়েন শুভমন। এতদিন নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে এক ইনিংসে সব থেকে বেশি রান সচিন তেন্ডুলকরের (১৮৬) ঝুলিতে ছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন শুভমন। এদিকে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করে একাধিক লেজেন্ডদের সঙ্গে রেকর্ড খাতায় নাম তুললেন শুভমন গিল। সেই তালিকায় রয়েছেন রোহিত শর্মা, সচিন তেন্ডুলকর, মার্টিন গাপ্টিল, বীরেন্দ্র শেহবাগের মতো তাবড় ব্যাটাররা।
প্রসূন গুপ্ত: সৌরভ গাঙ্গুলি এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে অতীত। তাঁর সভাপতিত্ব এক প্রকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং যুক্তি দেখানো হয়েছে, তিন বছরের বেশি কেউ বোর্ডের সভাপতি থাকেননি। অথচ অতীত ঘেঁটে দেখা যাবে জগমোহন ডালমিয়া টানা বহু বছর বিসিসিআই সভাপতি ছিলেন। এদিকে, সৌরভ সরে যাওয়ার পর তাঁর প্রিয়পাত্রদের সরানোর কি সূক্ষ্ম পরিকল্পনা চলছে? গুঞ্জন অবশ্য এমনটাই শোনা যাচ্ছে। সৌরভ সভাপতি থাকার আগে ভারতীয় দলের কোচ করতে চেয়েছিলেন বন্ধু অনিল কুম্বলেকে, হয়েও ছিলেন তিনি কিন্তু বিরাট কোহলিদের আস্থা অর্জন করতে না পারার জন্য তাঁকে দ্রুত সরে যেতে হয়।
কোচ হয় আসেন রবি শাস্ত্রী। সৌরভের অত্যন্ত অপছন্দের চরিত্র বরাবরই রবি। অন্যদিকে বিরাট কিন্তু একটা সময়ে সৌরভের প্রিয়পাত্র ছিলেন কিন্তু রবি-কোহলি জুটি অনেকটাই তাঁদের মতো করে দল চালাতে শুরু করেন। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ-সহ বহু আইসিসি ট্রফি হাতছাড়া হয় ভারতের। সৌরভ পুরো দায়িত্ব পাওয়ার পর ধীরে ধীরে অধিনায়কত্ব হারান বিরাট কোহলি এবং কোচিংয়ের দায়িত্ব থেকে সরানো হয় রবি শাস্ত্রীকে।
কোচিংয়ের দায়িত্ব এক প্রকার জোর করেই রাহুল দ্রাবিড়ের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়। সৌরভ চেয়েছিলেন বন্ধু রাহুল দায়িত্ব নিক। অন্যদিকে তিন ধরণের অর্থাৎ টেস্ট, ওয়ান ডে এবং টি২০-র অধিনায়কত্বের দায়িত্ব যাক রোহিত শর্মার কাছে। রোহিত, সৌরভ ও গাভাস্কারের প্রিয়পাত্র বলে গুঞ্জন। কথাতো বাস্তব সৌরভ এবং সানির সখ্যতা সর্বজনবিদিত। এবার টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত বিদায় নেওয়ার পর টিম জয় শাহ সক্রিয় রোহিতকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর জন্য বলে সংবাদ।
অন্যদিকে ফের যদি সুযোগ আসে এই আশায় রবি শাস্ত্রী চরম সমালোচনা শুরু করেছেন রাহুল দ্রাবিড়ের। তিনি বলছেন কেন দ্রাবিড় নিউজিল্যান্ডে গেলেন না। তিনি আরও অনেক বিষয়ে দ্রাবিড়ের সমালোচনা করছেন। এদিকে সৌরভের আরেক প্রিয়পাত্র ভিভিএস লক্ষণ বর্তমানে সাময়িক কোচের দায়িত্ব নিয়ে নিউজিল্যান্ডে। কিছু একটা না দেখতে পারলে কে বলতে পারে তাঁর উপরও কোপ পড়তে পারে। রাজনীতির পাঁকচক্রে এখন ভারতীয় ক্রিকেট দল।
প্রসূন গুপ্ত: মহেন্দ্র সিং ধোনি চলে যাওয়ার পরে ভারতীয় ক্রিকেট দল কেমন একটা ছন্নছারা ভাবে চলছে। রবি শাস্ত্রীর আমলে আইসিসির কোনও বড় ট্রফি নেই। বিরাট কোহলি অধিনায়ক হওয়ার পরে তাঁর মধ্যে সৌরভ গাঙ্গুলির আগ্রাসন দেখা গেলেও নিজের ফর্ম হারিয়ে গত দু-আড়াই বছর বড় রানের বাইরে। নেতৃত্ব ছেড়েও ফর্মে ফিরতে পারছিলেন না বিরাট। তবে এশিয়া কাপ এবং সাম্প্রতিক অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বড় রান তাঁকে হয়তো কিছুটা অক্সিজেন দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় দলে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ভালো খেলে দিলেও ধারাবাহিকতার অভাব। বিশেষ করে ডেথ ওভার বোলিংয়ে শামি, বুমরাহর অভাব দেখা যাচ্ছে। ব্যাটিংয়ে কেএল রাহুল অফ ফর্ম, কোনওদিন রান পাচ্ছেন রোহিত, কোনওদিন ফ্লপ।
এভাবেই ব্যাটিং চলছে, তবে এর মধ্যে ধারাবাহিক ভালো খেলছেন সূর্যকুমার যাদব| বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলে রেকর্ড করলেন সূর্য। টি-২০ বিশ্বকাপের একটু স্বস্তিতে টিম ইন্ডিয়া। অন্যদিকে বোলিংয়ের অবস্থা তথৈবচ। ভুবনেশ্বর কুমারের মতো প্রতিভাবান বোলারের অফ ফর্ম ভাবাচ্ছে দ্রাবিড়দের। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে আর্ষদীপের বোলিং কিছুটা কমিয়েছে দুশ্চিন্তা। ঠিক কোন রহস্যে ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামিকে দলের বাইরে রাখা হয়েছে কেউ জানে না। আসলে ভারতীয় ক্রিকেট দল নিয়ে বড্ড বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। মিডল অর্ডার থেকে টেল এন্ড, বিশেষ করে উইকেট কিপিং, সব জায়গাতেই চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ধারাবাহিক অফ ফর্মে থাকা ঋষভ পন্থ যেমন জায়গা পাচ্ছে। তেমনই জায়গা পাচ্ছেন দীনেশ কার্তিক।
গত তিন মাসে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতের ফল আশানুরূপ হলেও, আইসিসি টুর্নামেন্টে তীরে এসে তরী ডোবার ইতিহাস ভারতের সেই ২০১৪ থেকে। এদিকে, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানে ভারত প্রতিকূল পিচে খেলবে। সেখানে গ্রিনটপ বা দ্রুতগামী বোলারদের উপযুক্ত উইকেটই অপেক্ষা করবে। এই মুহূর্তে আর্ষদীপের বল সুইং করেছে। চোটের কবলে জসপ্রীত বুমরা। এই মুহূর্তে দরকার উইকেট টেকার মহম্মদ শামিকে। প্রশ্ন উঠেছে মহম্মদ সিরাজকে নিয়েও। তিনি এত আশা জাগানোর পর কোথায়? প্রশ্ন উইকেটের পিছনে কে থাকবে পন্থ নাকি কার্তিক? এসব নিয়ে ভারতের এখনই ভাবা দরকার।
হারের পর হার। পাকিস্তানের (Pakistan Cricket Team) পর শ্রীলঙ্কাও (Srilanka Cricket Team) হারালো ভারতকে। এবার এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার কাছে হার রোহিতদের (Rohit Sharma)। সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের (Asia Cup 2022) ফাইনালের টিকিট কার্যত পাকা করে ফেলল লঙ্কাবাহিনী। টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় দ্বীপরাষ্টের দলটি। রোহিত শর্মার ৭২ এবং সূর্যকুমারের ৩৪ রানে ভর করে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে। রান পেলেন না কোহলি (virat kohli)। মিডল অর্ডার ভরসা দিতে ব্যর্থ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। উল্লেখ্য, ১৯তম ওভারে বড় রান দিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। মিস ফিল্ডিং, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওয়াইড বল। খুচরো ভুলে ম্যাচ হাতের বাইরে গেল। শেষ ওভারে পঞ্চম বলে রান আউট মিস করলেন পন্থ। এর পরেই ঝড় উঠেছে সোশ্যাল সাইটে। ধোনির প্রসঙ্গ তুলে নেটিজেনরা বলছেন, পন্থের শিক্ষা নেওয়া উচিত পূর্বসূরীর কাছ থেকে। এই হারেই চলতি টুর্নামেন্ট থেকে কার্যত ছিটকেই গেলেন রোহিতরা। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি থাকলেও এখন অনেক জটিল অঙ্কের হিসেব ভারতের কাছে। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ হলুদ কার্ড দেখিয়ে গেল ম্যানেজমেন্টকে।
হারের পর হার। পাকিস্তানের (Pakistan Cricket Team) পর শ্রীলঙ্কাও (Srilanka Cricket Team) হারালো ভারতকে। এবার এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার কাছে হার রোহিতদের (Rohit Sharma)। সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের (Asia Cup 2022) ফাইনালের টিকিট কার্যত পাকা করে ফেলল লঙ্কাবাহিনী। টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় দ্বীপরাষ্টের দলটি। রোহিত শর্মার ৭২ এবং সূর্যকুমারের ৩৪ রানে ভর করে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে। রান পেলেন না কোহলি (virat kohli)। মিডল অর্ডার ভরসা দিতে ব্যর্থ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
উল্লেখ্য, ১৯তম ওভারে বড় রান দিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। মিস ফিল্ডিং, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওয়াইড বল। খুচরো ভুলে ম্যাচ হাতের বাইরে গেল। শেষ ওভারে পঞ্চম বলে রান আউট মিস করলেন পন্থ। এর পরেই ঝড় উঠেছে সোশ্যাল সাইটে। ধোনির প্রসঙ্গ তুলে নেটিজেনরা বলছেন, পন্থের শিক্ষা নেওয়া উচিত পূর্বসূরীর কাছ থেকে।
এই হারেই চলতি টুর্নামেন্ট থেকে কার্যত ছিটকেই গেলেন রোহিতরা। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি থাকলেও এখন অনেক জটিল অঙ্কের হিসেব ভারতের কাছে। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ হলুদ কার্ড দেখিয়ে গেল ম্যানেজমেন্টকে।