মন্দিরে চুরির (Theft) ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation)। বিক্ষোভে সামিল স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসন্তীর (South 24 Parganas) চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাপিতপাড়া এলাকার ঘটনা। এ বিষয়ে প্রশাসনের দারস্থও হয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাতে নাপিতপাড়ার শনি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। সকালে মন্দিরের পুরোহিত ও স্থানীয় লোকজন এসে দেখে মন্দিরের তালা, ভাঙা অবস্থায় পড়ে। এমনকি বিগ্রহের গয়না ও প্রণামী বাক্সে রাখা নগদ ৭ হাজার টাকাও চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দারস্থ স্থানীয়রা। তবে কাউকে গ্রেফতার না করতে পারায় সোমবার সকালে স্থানীয়রা নাপিতপাড়ার কাছে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।
তবে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাসন্তী থানার পুলিস। ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথাও বলেন। পুলিস দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের করার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
পানীয় জলের (water) হাহাকার। তবুও নেই কারও হুঁশ, বাধ্য হয়ে পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ স্থানীয়দের। ঘটনাটি নদিয়া (Nadia) জেলার চাকদহের। প্রায় ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় রাস্তা অবরোধ থাকার পর শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান (Panchayat Pradhan) এবং পিএইচই-এর আধিকারিক এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কাছে তিনদিনের সময় নিয়ে জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। তাঁদের আশ্বাসে অবশেষে আন্দোলন উঠে যায়। কিন্তু রয়ে গেল আরও একটি জট। কারণ, ওই রাস্তা অবরোধ, আন্দোলন বা পানীয় জলের দাবি রেখেছিলেন পাশের গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ঘটনাস্থলে না আসায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন যাবৎ চাকদহ (Chakdaha) থানার অন্তর্গত শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েত ও রাউতারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ এলাকার পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় অবশেষে রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। এদিকে, পানীয় জলের দাবি রেখেছিল রাউতারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ঘটনাস্থলে আসেননি।
গত শনিবার পথ অবরোধের পর প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দেয় তিনদিনের মধ্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা করবে এলাকায়। সেইমত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে অল্প পরিমাণে ব্যবহারের জল কলে আসলেও তারপর থেকে আর জল আসছে না বলে অভিযোগ। একইভাবে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েই গেল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকি, জলের অভাবে শাকসবজি কিনছেন না এলাকাবাসীরা।
সাতসকালে বাড়ি থেকে বেড়িয়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মা ও মেয়ের (Road Accident)। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন উলুবেড়িয়ার (Uluberia) জোড়া কলতলায় অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মৃত মা-মেয়ে। এরপরেই ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সের উপর চড়াও হন স্থানীয়রা। মৃতদেহ আটকে চলে পথঅবরোধ। সকাল থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলা অবরোধে যান চলাচল ব্যাহত হয় জাতীয় সড়কে (National Highway)। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পরে একের পর এক গাড়ি। প্রায় তিন কিমি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এই ট্রাফিক। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে লিখিত আশ্বাস দিলে পাঁচ ঘণ্টা পর অবরোধ (Road Block) ওঠে। দুপুর ১২টা থেকে ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে যান চলাচল।
এই ঘটনায় অবরুদ্ধ হয়ে যায় হাওড়া-খড়গপুরগামী দুটি লেন। এলাকার মানুষের দাবি, দুর্ঘটনাপ্রবণ এই এলাকা। বারবার ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও উদাসীন প্রশাসন। প্রশাসনকে লিখিত দিতে হবে এখানে ফুট ওভারব্রিজ বা আন্ডার পাসের। এই দাবিতে চলতে থাকে অবরোধ। স্থানীয় থানা এবং হাওড়া গ্রামীণ পুলিসের বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
এদিকে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ উলুবেড়িয়ায় জোড়া কলতলায় পথদুর্ঘটনায় মৃতদের নাম অপর্না পাড়াল (৪০) ও মেয়ে টুসু পাড়াল (১০)। মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথেই এই মর্মান্তিক ঘটনা। মুম্বই রোডে খড়গপুরগামী লেনের রাস্তার বাঁদিকে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা মা ও মেয়েকে ধাক্কা মারে একটি বেপরোয়া অ্যাম্বুলেন্স। উত্তেজিত জনতা এরপরেই ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সে চড়াও হয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। দমকল আগুন নেভাতে এলে কর্মীদের বাধা দেন বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনায় আহত এক সাইকেল আরোহী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বড় বিষধর সাপ (Snake)! ধরুন কোনও দিন ড্রাইভ করে যাচ্ছেন। আর আপনার গাড়ির সামনে রাস্তা আটকে রয়েছে প্রায় ১০ ফুটের বিশালাকার সাপ। কী করবেন সেই মুহূর্তে। নিশ্চই গাড়ি থেকে নেমে সাপটিকে সরিয়ে, আবার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন না? কিন্তু বাস্তবে এই অবিশ্বাস্য কাজটি করেছেন এক ব্যক্তি। সেই ভিডিও (Video) রীতিমতো ভাইরাল (Viral Video) নেটপাড়ায় (Social Media)। যা দেখে চক্ষু ছানাবড়া সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গাড়ির হেডলাইটে আলোকিত হয়েছে অন্ধকার রাস্তা। আর সামনেই দেখা যাচ্ছে বিশালাকার এক সাপ। এর ফলে রাস্তায় গাড়ি আটকে গিয়েছিল। হঠাৎ এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে কোনও ভয়ডর ছাড়া সাপের দিকে এগিয়ে যান। পিছন থেকে তাঁকে সাপের কাছাকাছি যেতে নিষেধও করেন। কোনও কথার পাট্টা না দিয়ে একেবারে পেশাদার ‘স্নেকক্যাচার’দের মতো খালি হাতে সাপের মুখ ধরেন। সে সময় সাপটি ওই ব্যক্তির উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সেটা সামলে নিয়েই সাপটিকে জঙ্গলের দিকে ছুড়ে দেন। সাপটিও চলে যায়।
Your views on it. Going in wildlife habitat & disturbing or saving it from road accident. Video is from important wildlife habitual in south India. @BoskyKhanna pic.twitter.com/7W110lg3CD
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) September 30, 2022
যা দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত নেটপাড়ার বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, ভিডিয়োটি দক্ষিণ ভারতের কোনও একটি রাজ্যের।
শব্দবাজি বিক্রি করার দায়ে পুলিস (police) দুইজনকে গ্রেফতার (arrest) করে। এরপরই রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে সামিল স্থানীয়রা। দুর্গাপুরের (Durgapur) লাউদোহা থানার সরপি এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিস এলে অভিযুক্তদের না ছাড়া পর্যন্ত অবরোধ উঠবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীদের সামালাতে এরপর ঘটনাস্থলে আসেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা সুজিত মুখোপাধ্যায় (Sujit Mukherjee)। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে, বুঝিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেন। ঘণ্টা দুয়েক পর তৃণমূল নেতার আশ্বাসে ওঠে অবরোধ।
জানা যায়, রবিবার সকালে সরপি মোর অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেয় স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি ছিল, অবিলম্বে পুলিস যে দুজনকে নিয়ে গিয়েছে, তাঁদেরকে ছেড়ে দিতে হবে। নচেৎ তাঁরা রাস্তা ছাড়বেন না। বেশ কিছুক্ষনের অবরোধে ব্যাপক যানজট তৈরি হয় সরপি মোড়ে। এই রাস্তা দুর্গাপুর শহরে ঢোকার একমাত্র রাস্তা। রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে লাউদোহা থানার পুলিস। কিন্তু যতক্ষণ না স্থানীয় দুইজনকে ছাড়া না হবে ততক্ষণ রাস্তা ছাড়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন স্থানীয়রা।
রীতিমতো রাস্তার ওপর প্লাস্টিকের কলসি, গ্লাস ফেলে রেখে আন্দোলনে সামিল হন স্থানীয়রা। অবরোধে অংশ নেন মহিলারাও। গোটা ঘটনায় টানটান উত্তেজনা ছড়ায় দুর্গাপুরের লাউদোহা থানা এলাকায়। অভিযোগ, অবরোধের জেরে আটকে পড়েন জামুরিয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং। পড়ে বিক্ষোভকারীদের চাপে বিধায়কের গাড়ি অন্য রাস্তা দিয়ে গন্তব্যতে যায়।