Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Revolution

MS Swaminathan: প্রয়াত ভারতের কৃষি বিপ্লবের জনক এম এস স্বামীনাথন

প্রয়াত হলেন 'সবুজ বিপ্লব'-এর (Green Revolution) জনক এম এস স্বামীনাথন (MS Swaminathan)। সূত্রের খবর, ৯৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা বেজে ২০ মিনিটে চেন্নাইয়ে (Chennai) মারা যান প্রখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন। স্বামীনাথনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিজ্ঞানীমহল।

১৯২৫ সালের ৭ অগাস্ট জন্ম হয়েছিল এমএস স্বামীনাথনের। দীর্ঘদিন কৃষি গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। মূলত মিশ্র চাষ, চাষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার, ফসলে শঙ্কর প্রজাতির ব্যবহার নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন তিনি। ধানের নতুন নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের জন্য গোটা বিশ্বে স্বীকৃত স্বামীনাথন। ছয়ের দশকে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন তিনিই। স্বামীনাথনকেই ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক বলা হয়।

কৃষিবিজ্ঞানে তাঁর বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে প্রথম বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারে স্বামীনাথনকে ভূষিত করা হয়। এছাড়া, ১৯৭১ সালে তিনি ম্যাগসেসে পুরস্কার এবং ১৯৮৬ সালে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বিশ্ব বিজ্ঞান পুরস্কার পান। ৩ বার পদ্মভূষণ পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয় তাঁকে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ভারতীয় কৃষি বিজ্ঞানের জনক। ফলে কৃষি বিজ্ঞানে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।

7 months ago
Khudiram: অমর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম

সৌমেন সুর: অসীম সাহসী স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর আজ প্রয়াণ দিবস। যে ভূমিতে মানুষ জন্মগ্রহণ করে- সেটা মানুষের মাতৃভূমি। ক্ষুদিরামের মাতৃভূমি ছিল সেই দেশের মাটি। দেশের জন্য তাঁর প্রাণ কেঁদে উঠেছিল। তাই মানুষের হৃদয়ে ক্ষুদিরামের নাম চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দেশপ্রেম হৃদয়ে সঞ্চারিত হলে দেশের গৌরবকে নিজের গৌরব বলে মনে হয়। ক্ষুদিরামের অত্যন্ত কম বয়স থেকেই দেশপ্রেম জেগে উঠেছিল। ১৯০৩ সালে অরবিন্দ ঘোষ ও ভগিনী নিবেদিতা মেদিনীপুরে এসেছিলেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করার প্রয়াসে বক্তব্য রাখেন। এখানে ক্ষুদিরাম বক্তব্য শুনে, দেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে অবহিত হন। ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হন। তখন তার মাত্র ১৪ বছর বয়স। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ে, পাঠ ছেড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশজুড়ে।

বিভিন্ন বিপ্লবীগণ বিভিন্ন কর্মে যুক্ত হয়ে পড়েন। কিংসফোর্ড কে মারবার জন্য ভার পড়ে দুই যুবকের- ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকির। বেরিয়ে পড়লেন ফোর্ডকে মারতে মুজফফরপুর।দুজনেই নাম পাল্টে দিলেন। উঠলেন এক ধর্মশালায়। একদিন দুজনে ইউরোপিয়ান ক্লাবের পাশে লুকিয়ে থাকেন কিংসফোর্ডের আশায়। অবশেষে ঘোড়ার গাড়ির দেখা মেলে। দুজনে উত্তেজিত হয়ে বোমা নিক্ষেপ করে। দুজনে ভাবলেন সবাই মারা গেছে। কিন্তু কিংসফোর্ড মারা যাননি। মারা যান অন্যজন। তখন দুজনেই ভীষণ আক্ষেপ করেন। ছুটি দুজনে ভিন্ন পথ অবলম্বন করে পালাবার পথ তৈরি করে। অবশেষে ক্ষুদিরাম মুজফফরপুরে একটি চায়ের দোকানে সন্দেহজনক অবস্থায় ধরা পড়েন। প্রফুল্ল চাকি ধরা পড়ার মুহূর্তে নিজের মাথায় গুলিকরে আত্মহত্যা করেন। এরপর ক্ষুদিরামের যখন ফাঁসি হয়- সারা দেশ কেঁদেছিল তাঁর জন্য। দেশের জন্য তাঁর আত্মত্যাগ ভারতবাসী কোনদিন ভোলেননি, আজও নয়।

9 months ago
Special Story: ভারতে প্রথম সশস্ত্র গণ বিদ্রোহ (শেষপর্ব)

সৌমেন সুর: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বহু উপন্যাস, ছোটগল্প লিখলেও সিপাহি বিদ্রোহ নিয়ে সেই অর্থে কোনও উল্লেখযোগ্য সাহিত্য রচনা করেননি। একমাত্র ব্যতিক্রম তাঁর দুরাশা গল্পটি যা আজও সিপাহি বিদ্রোহের সমকালীন সাহিত্য সৃ্ষ্টিকর পটভূমিকায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। গল্পে লেখকের সঙ্গে দার্জিলিং শৈলশহরে ক্যালকাটা রোডে হঠাত্ সাক্ষাত্ হয় বদ্রাত্তনের নবাব গোলামকাদের খাঁর পুত্রীর সঙ্গে। যার শিরায় প্রবাহিত দিল্লীর সম্রাট বংশের রক্ত।নবাব দুহিতার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে লেখক জানতে পারেন জনৈক হিন্দু ব্রাহ্মণ কেশরলালের সঙ্গে তাঁর অব্যক্ত গোপন প্রণয়ের কথা।

সেই সময় সিপাহি বিদ্রোহ আরম্ভ হলে উগ্র জাতীয়তাবাদী কেশরলাল, বদ্রাত্তনের ক্ষুদ্র কেল্লার মধ্যে আশ্রয় নিয়ে কোম্পানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে উদ্যত হয়। নবাব দুহিতার ভাষায়-এমন সময় কোম্পানি বাহাদুরের সহিত সিপাহিদের লড়াই বাঁধিল। আমাদের বদ্রাত্তনের ক্ষুদ্র কেল্লার মধ্যেও বিপ্লবের তরঙ্গ জাগিয়া উঠল। কেশরলাল বলিলেন, 'এবার গোখাদক গোরালোককে আর্যাবর্ত হইতে দূর করিয়া দিয়া আর একবার হিন্দুস্থানে হিন্দু মুসলমান রাজপদ লইয়া দ্যূত ক্রীড়া বসাইতে হইবে।' 

এবার গোলামকাদের খাঁর বিশ্বাসঘাতকতায় জেলার কমিশনার সাহেব কেল্লার আত্মগোপনকারী কেশরলালকে যুদ্ধে পরাজিত করে। যমুনার তীরে মৃতপ্রায় কেশরলালকে জলদান করে বাঁচায় নবাবপুত্রী। কিন্তু সে তাঁকে প্রত্যাখান করে যমুনায় নৌকা করে পালিয়ে যায়। গৃহত্যাগী নবাবপুত্রী এরপর কাশীর শিবানন্দ স্বামীর কাছে সংস্কৃত শিক্ষা এবং হিন্দুধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করে। এরপর যোগীনির বেশে ৩৮ বছরের দীর্ঘ অন্বেষনে কেশরলালকে খুঁজে পায় দার্জিলিংয়ে।

একথা সত্য যে, উনবিংশ শতাব্দীর সিপাহিদের এই মহাবিদ্রোহ পরিণত হয়েছিল এক সাংঘাতিক গণবিদ্রোহ ও বিপ্লবে। এই গণবিদ্রোহে শামিল হয়েছিলেন তত্কালীন লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা। বঙ্কিমচন্দ্র,দীনবন্ধু মিত্র,মধুসূদন, ভূদেব মুখ্যোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র দত্ত-র মতো আলোচ্য লেখকগন অত বিখ্যাত না হলেও সিপাহি বিদ্রোহে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য।


তথ্যঋণ: রবীন্দ্র রচনাবলী ৮ম খন্ড/সুরজিত্ ধর

one year ago