পরিত্য়ক্ত বহুতলের নিচ থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। বুধবার সকালে ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে কলকাতার নিউটাউনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইকোপার্ক থানা এবং টেকনো সিটি থানার পুলিস। এছাড়াও ঘটনাস্থলে আসে বিধাননগর পুলিসের উচ্চ পদস্থ অফিসাররা। তবে এখনো পর্যন্ত মৃত যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নিউটাউনের যাত্রাগাছি জৈব হাটের উল্টোদিকে একটি বহুতলের নিচে এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর খবর দেওয়া হয় ইকোপার্ক থানার পুলিসকে। তারপর ঘটনাস্থলে ইকোপার্ক থানা এবং টেকনোসিটি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
মৃত যুবকের পরিচয় জানার পাশাপাশি তাঁর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে ইকো পার্ক থানার পুলিসের পক্ষ থেকে। পরিত্যক্ত ওই বহুতলের চারপাশে কোনও পাঁচিল নেই। যার জন্য যে কেউ ওই বহুতলে ঢুকে পড়তে পারে বলে অভিযোগ। মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, বাইরে থেকে ওই যুবককে কেউ মেরে ফেলে দিয়ে গিয়েছে নাকি বহুতল আবাসনের উপর থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করছে ইকো পার্ক থানার পুলিস।
হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার যুগলের ঝুলন্ত মৃতদেহ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বীরভূমের নলহাটি। তবে মৃতদের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে নলহাটি জাতীয় সড়কের ধারের বেসরকারি একটি হোটেল কর্মীরা একসঙ্গে যুগলের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। তবে আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ তা নিয়ে ইতিমধ্য়ে তদন্ত শুরু করেছে রামপুরহাট থানার পুলিস।
প্রথম দফায় ভোট মিটতেই উঠে আসছে একাধিক জায়গায় বোমা উদ্ধারের ঘটনা। শনিবার বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিনহাটার পুটিমারি এলাকায়। অভিযোগ, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতভর দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবাজি করে তৃণমূল এবং বিজেপি। এরপর এদিন সকালে উদ্ধার হয় দুটি তাজা বোমা। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকার মানুষ।
জানা গিয়েছে, এদিন ফনি বর্মন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয় দুটি তাজা বোমা। ঘুম থেকে ওঠার পর ফনি বাবুর বাড়ির লোকেরা উঠোনে একটি বোমা দেখতে পায়। পরবর্তীতে খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির নিকটবর্তী আর এক ঝোপে অপর একটি বোমা তাঁর প্রতিবেশীর নজরে পড়ে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে দিনহাটা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমা দুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
পরিত্য়ক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার কঙ্কাল। ঘটনাটি ঘটেছে হরিণঘাটা পুরসভা ১১ নম্বর ওয়ার্ড কালিবাজার এলাকায়। কঙ্কাল উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মোহনপুর থানার পুলিস এসে কঙ্কালটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে মৃত মানুষের কঙ্কালটি পুরুষ না মহিলা তা এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন যাবৎ ওই পরিত্য়ক্ত বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এক কেয়ারটেকারকে রাখা হয়েছিল। এরপর এদিন দুপুরে স্থানীয়রা ওই বাড়ি থেকে ওই কেয়ারটেকার কিছু একটা বস্তায় ভরছে। তখনই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তারপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিস আসার পর পুলিসের সামনেই ওই কেয়ারটেকার ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে কঙ্কালটির উদ্ধার করে পুলিস।
এই পুরো ঘটনায় আতঙ্কে সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়। এখনও পরিচয় জানা যায়নি কঙ্কালটির। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
লেকটাউনের পরিত্য়ক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির কঙ্কাল। সোমবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে লেকটাউন ব্লক এ ৮৪৮ বি/১ এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম প্রশান্ত কুমার বড়াল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লেকটাউন থানার পুলিস গিয়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে রাস্তায় প্যান্ডেল করার সময় একজন পরিত্য়ক্ত ওই বাড়িটির মেঝেতে একটি কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর খবর দেওয়া হয় লেকটাউন থানায়। যদিও স্থানীয়রা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে একাই থাকতেন প্রশান্ত কুমার। প্রায় দুই থেকে তিন মাস তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না। তারপরে বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ।
তবে কীভাবে মৃ্ত্য়ু হল ওই ব্য়ক্তির এবং এই ঘটনার পিছনে কী রহস্য় লুকিয়ে রয়েছে তা নিয়ে দ্বন্ধে রয়েছে পুলিস। ইতিমধ্য়ে কঙ্কাল উদ্ধার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বাড়ি থেকে উদ্ধার একই পরিবারের তিন প্রজন্মের রক্তাক্ত মৃতদেহ। উদ্ধার হওয়া তিনজন সম্পর্কে হলেন বাবা, ছেলে ও নাতি। রবিবার, নববর্ষের দিন হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর নিরঞ্জন সেননগর অঞ্চলে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্য়ে শঙ্কর হালদার (বাবা), অভিজিৎ হালদার (ছেলে), বর্ণ হালদার (নাতি)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল না ওই পরিবারের তিনজনকে। এরপর এদিন সকালে স্থানীয়রা হঠাৎই দুর্গন্ধ পায়। তারপরেই খবর দেওয়া হয় বরানগর থানায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনটি মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে আছে। মৃত্য়ুর কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এই ঘটনার আসল কারণ জানতে ইতিমধ্য়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
আজ পবিত্র ইদ। আর সেই ইদের দিন উদ্ধার এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ। ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই স্বামী সহ বড় ছেলে ও ছোটো ছেলের বউ। বৃহস্পতিবার ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে নদীয়ার হরিণঘাটা থানার অন্তর্গত আট বিহারিয়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম রানু বিবি মণ্ডল (৪০)। অভিযোগ, পরিবারিক অশান্তির জেরে ঘটেছে এই ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হরিণঘাটা থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার দিন যাবৎ নিখোঁজ ছিলেন রানু বিবি। পারিবারিক অশান্তির কারণেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বলেই অভিযোগ। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর পরিবারের সদস্য়রা হরিণঘাটা থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরিও করেছে বলে জানা যায়। এরপর এদিন ইদ উপলক্ষ্য়ে স্থানীয় একটি মাঠে বাচ্চারা খেলা চলাকালীন একটা পচা গন্ধ পায় স্থানীয়রা। আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করার পর মাঠের পাশে একটি বাঁশ বাগানে ওই মহিলার পচাগলা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
এরপর খবর দেওয়া হয় হরিণঘাটা থানায়। যদিও ওই মহিলার মৃতদেহের পাশ থেকে একটি ঘাস মারার ঔষুধের বোতল উদ্ধার হয়েছে। পুলিস এবং স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, ঘাস মারার ঔষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই গৃহবধূ। আত্মহত্যা নাকি খুন? এখান প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে ? তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গোটা ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি মৃত মহিলার পরিবারের সদস্যদের খোঁজ শুরু করেছে হরিণঘাটা থানার পুলিস। পাশাপাশি মহিলার মৃত্যু কি করে হয়েছে তা নিয়েও চলছে তদন্ত।
হাসপাতালের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল এক অজ্ঞাত ব্য়ক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সুপার হাসপাতালে। এখনও পর্যন্ত মৃত ওই ব্য়ক্তির কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে হাসপাতালের চারতলার শৌচাগারে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। ঘটনায় পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, উদ্ধার হওয়া মৃত দেহটি তিন থেকে চার দিন ওখানেই ছিল। যদিও এখনও মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত ব্যক্তি রোগী নাকি বহিরাগত তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছে। হাসপাতালের ভিতরে এত নিরাপত্তারক্ষী, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মীদের চোখ এড়িয়ে এতবড় ঘটনা কীভাবে ঘটল? যা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
গাছে বাঁধা অবস্থায় জঙ্গল থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ। রবিবার সকালে ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আরামবাগের গোঘাটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গোঘাট থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত মৃত যুবতীর কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনে সকালে গোঘাটের মান্দারণ পঞ্চায়েতের রাঙামাটির জঙ্গলে গাছে ওড়না দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ওই যুবতীকে দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। স্থানীয়দের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই যুবতীকে। তবে কে বা কারা জঙ্গলে যুবতীকে গাছে বেঁধে গিয়েছে বা তাঁর মৃত্য়ুর পিছনে কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
লোকসভা ভোটের আগে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর এলাকায় পুলিসের জালে ধরা পড়ে ওই নেতা। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাইকের টুল বক্স থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই তৃণমূল নেতার নাম রিপন শেখ। আজ, মঙ্গলবার ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে কান্দি মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে বড়ঞা থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হলদিয়া ফরাক্কা রাজ্যসড়কের উপর নাকা চেকিং চালায় বড়ঞা থানার পুলিস। সেই সময় সন্দেহজনক একটি বাইক আটক করে তল্লাশি চালিয়ে টুল বক্স থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরপর অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতাকে আটক করে বড়ঞা থানার হেফাজতে রাখেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে। এদিন ধৃতকে কান্দি মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিস।
দোলের সকালে উদ্ধার হয় অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন এলাকায়। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই যুবকের কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হেস্টিং থানার পুলিস গিয়ে ওই যুবকের দেহটি উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ভিক্টোরিয়ার পাশে গাছের মধ্যে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান এক পথচারী। এরপরেই খবর দেওয়া হয় হেস্টিং থানার পুলিসকে। পুলিসের অনুমান, মৃত ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। ইতিমধ্যেই হেস্টিংস থানা পুলিস ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ চালানোর পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে।
নিউটাউনের কারিগরি ভবনের পিছনের খাল থেকে ট্রলিব্যাগ বন্দী বৃদ্ধ সুবোধ সরকারের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিসের জালে মূল অভিযুক্ত। যার নাম সৌম্য কান্তি জানা। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে অসীম হালদার এবং উত্তম দে নামে আরও দুই ব্যক্তিকে। রবিবার মূল অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে নাকা চেকিং চলাকালীন একটি অ্যাপ নির্ভর গাড়িতে রক্ত লাগা দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। পুলিসি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নেয় হত্যাকাণ্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড সৌম্য কান্তি জানা।খবর পেতেই,টেকনোসিটি থানার পুলিস আধিকারিকরা পটাশপুর থেকে মৃতদেহ লোপাটে ব্যবহৃত অ্যাপ নির্ভর গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন। এছাড়াও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয় টেকনোসিটি থানায়। জেরায় উঠে এসেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অভিযুক্তের দাবি, সুবোধ সরকার কামারহাটি পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আগে উড়িষ্যায় থাকতেন তিনি।সুবোধ সরকারের কাছ থেকে নেওয়া ৭লক্ষ টাকা ফেরতের জন্য তাকে বাড়িতে ডাকেন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের নিমতা শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সৌম্য কান্তি জানা। এরপর দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়,সৌম্য জানা ধাক্কা মারেন সুবোধ সরকারকে। দেওয়ালে লেগে মাথার পিছনে আঘাত পান বৃদ্ধ।মৃত্যু নিশ্চিত করতে, গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর অ্যাপ ক্যাবে করে ট্রলিব্যাগ বন্দী করে বৃদ্ধের দেহ ফেলে আসেন সৌম্য জানা।
সাতসকালে নিউটাউনের পাচুরিয়ায় লাল ট্রলিব্যাগ ঘিরে রহস্য। ট্রলিব্যাগ থেকে রক্ত বেরোতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। শনিবার টেকনোসিটি থানার পুলিস ওই ট্রলিব্যাগ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, অন্য কোথাও খুন করে দেহ ট্রলিব্যাগ বন্দি করে এই এলাকায় ফেলে রেখে গিয়েছে। তবে কে বা কারা এই কাজ করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্যান্য দিনের মতো শনিবার সকালেও কারিগরি ভবনের পিছন দিকে পাচুরিয়ায় কাজ করছিলেন সাফাই কর্মীরা। নালার মধ্যে একটি লাল রংয়ের ট্রলি ব্যাগ দেখতে পান তাঁরা। সেটি তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সাফাই কর্মীরা ট্রলি ব্যাগটি তুলে রাখতে গিয়ে আঁতকে ওঠেন। তাঁরা দেখেন ট্রলি ব্যাগ থেকে চুঁইয়ে রক্ত পড়ছে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে টেকনো সিটি থানার পুলিস তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ট্রলি ব্যাগের তালা ভেঙে দেখা যায় ভিতরে একটি দেহ রাখা রয়েছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, মৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৫০-৫১ বছর। তাঁর পরনে টি-শার্ট ও পাজামা। সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্য়ে মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানার পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টেকনো সিটি থানা বিধান নগর কমিশনারেটের ডিসি নিউ টাউন।
রবিবার রাতে গার্ডেনরিচের আজহার মোল্লা বাগানে এলাকায় ঝুপড়ির উপর ভেঙে পড়েছিল নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। নিমেষের মধ্যে ওই ঝুপড়ি পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। আর সেই ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে ছিলেন বহু মানুষ। বহু প্রাণহানি, বহু জখমের খবরে চোখে জল শহরবাসীর।
সেদিন রাত থেকেই উদ্ধার কাজে নামে NDRF। কিন্তু ইতিমধ্যেই কাজ বন্ধ করে এনডিআরএফ। দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে পুরসভার হাতে। গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় এখনও আটকে থাকার সম্ভাবনা সেরু নামে ১ জনের। বুধবার এনডিআরএফ কর্মীরা, 'ভিকটিম লাইভ ডিটেক্টর' নামে অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে খোঁজ পেয়েছিলেন প্রাণের। যেখান থেকে অনুমান করা হচ্ছিল ধবংসস্তূপের নিচে চাপা রয়েছেন শেরুই।
বৃহস্পতিবার বহুতল বিপর্যয় এলাকা পরিদর্শণে আসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জানালেন DMG এবং পুরসভা মিলিত ভাবে শুরু করেছে গার্ডেনরিচের উদ্ধারকাজ। একইভাবে পোর্ট ডেপুটি কমিশনারও জানালেন পুরসভার সঙ্গে মিলিত ভাবেই চলছে উদ্ধারকাজ। চলছে উদ্ধার কাজ। এ যেন সেই 'উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে'। বেআইনি নির্মাণের নেপথ্যে প্রভাবশালীরা, আর প্রাণ গেল আমজনতার। আর কতদিন বাংলার মানুষ এই চিত্র দেখবে? কেনই বা বারবার সাধারণ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে হুঁশ ফেরাতে হবে প্রশাসনের? এই ঘটনায় যতই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে নড়েচড়ে বসুক পুরসভা, ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যে হবে না, সেই নিশ্চয়তা দেওয়ার দায় আসলে কার? নাকি প্রত্যেকবারই এর-ওর ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজেকে সাধু প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা অব্যাহত থাকবে? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
ফিডার ক্যানেল থেকে উদ্ধার হল এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বল্লালপুর সংলগ্ন ফিডার ক্যানেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফরাক্কা থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য জঙ্গিপুর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এখনও পর্যন্ত মৃত ওই ব্য়ক্তির কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বল্লালপুর সংলগ্ন ফিডার ক্যানেলে স্থানীয়রা এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ জলে ভাসতে দেখে। এরপর খবর দেওয়া হয় ফরাক্কা থানার পুলিসকে। যদিও স্থানীয়দের অনুমান, কেউ মেরে ফেলে দিয়ে গিয়েছে ওই ব্য়ক্তিকে। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্য়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফরাক্কা থানার পুলিস।