
আবারও হাতির হানায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। শনিবার সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে নকশালবাড়ির ওড চা বাগানের ২৬ নম্বর সেকশন থেকে। জানা গিয়েছে, গত তিন দিন নিখোঁজ ছিল ওই ব্যক্তি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে এদিন জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায় ওই ব্যক্তির মৃতদেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতের সময় খাবারের সন্ধানে হাতির দল জঙ্গল ছেড়ে তাণ্ডব চালায় লোকালয়ে। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার খড়িবাড়ির বুড়াগঞ্জ-এ হাতির দল ভাঙচুর চালায় বেশ কয়েকটি ঘর বাড়ি। ঠিক একইভাবে শুক্রবার হাতির দল নকশালবাড়ির ওড চা বাগানে ঢুকে পড়ে এবং দাপিয়ে বেড়ায় গোটা এলাকাজুড়ে। এরপর এদিন সকালে নকশালবাড়ির ওড চা বাগানে চা শ্রমিকেরা চা পাতা তুলতে গিয়ে চা বাগানের ভিতরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পায়। এরপর খবর দেওয়া হয় নকশালবাড়ি থানায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পানিঘাটা বনদফতরের কর্মীরা গিয়ে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। বনদফতরের অনুমান, হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। এর আগেও হাতির হানায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু ঘটেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বনদফতর চাইলেই হাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা করতে পারে সাধারণ মানুষদের। তা সত্ত্বেও বনদফতরের পক্ষ থেকে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
জয়নগর, আমডাঙ্গার পর এবার চাপড়ায় ঘটল খুনের ঘটনা। ধানের জমিতে এক ব্য়ক্তিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। বুধবার সকালে চাপড়া থানার সীমানগর ফরেস্টের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্য়ক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চাপড়া থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম সাধন বিশ্বাস (৫৮)।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে বুনো শুয়োরের উপদ্রবের কারণে মাঠে ধানের জমি পাহারা দিতে গিয়েছিলেন সাধন বিশ্বাস। এরপর এদিন সকালে ধানের জমি থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্য়ক্তির মৃতদেহ। পাশের জমির মালিকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল। তার জেরেই এই খুন করা হয় বলে দাবি পরিবারের পক্ষ থেকে। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের নাগাল পাওয়া যায়নি। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
রাত সাতটা পঞ্চাশ থেকে রাত সাড়ে আটটার কিছু পর, অপারেশন হল সাকসেসফুল। ইঁদুরের মতো গর্ত খুঁড়ে ১২ জনের দল উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গমুক্ত করেন বাংলার তিন-সহ ৪১ জন শ্রমিককে। এই চ্যালেঞ্জিং অপারেশনের দলপতি ছিলেন ওয়াকিল হাসান। তাঁর লিডারশিপেই আলো দেখতে পায় ওই ৪১ জন শ্রমিক।
কার্যত এই ‘অসাধ্য সাধন’ করে, যখন সংবাদ মাধ্যমে ওয়াকিল সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, তাঁর কণ্ঠস্বরে যুদ্ধজয়ের উচ্ছ্বাস। তিনি জানান, মানুষ বাঁচানোর কাজ তাঁরা এই প্রথম করলেন। দেশের জন্য কিছু করতে পেরে তাঁরা গর্বিত। ওয়াকিল জানান, এই কাজ কতটা কঠিন ছিল। ছোট জায়গার মধ্যে কেটে কেটে এগিয়ে যাওয়া ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। সব শেষে, তাঁর আশ্বাস ভালভাবেই সব শেষ হয়েছে।
ঠিকাদারি সংস্থায় মাটির তলায় জলের লাইন, কেবল লাইন বসানোর কাজ করেন দিল্লির বাসিন্দা ওয়াকিল। কিন্তু উত্তরকাশীর ‘যুদ্ধ জয়ের’ পর ভারতের পতাকা হাতে, গোটা দেশের ‘হিরো’ তিনিই।
১৭ দিনের অভিযানে মিলল সাফল্য। সুড়ঙ্গের অন্ধকার থেকে মুক্তির পথে উত্তরকাশির শ্রমিকরা। উত্তরকাশির সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে ১ম শ্রমিককে নিয়ে বাইরে এলেন উদ্ধারকারীর। স্বস্তিতে শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের। পাইপের মাধ্যমেই বের করা হচ্ছে শ্রমিকদের। জানা গিয়েছে, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ টিম সুড়ঙ্গের ভিতরে যায়। সুরক্ষিতভাবে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে প্রথম শ্রমিককে।
সূত্রের খবর, শ্রমিকদের বার করার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্রেচারকেই ট্রলি হিসাবে ব্যবহার করেছেন উদ্ধারকারীরা।ট্রলি সমেত একজন এনডিআরএফ-এর জওয়ান শ্রমিক উদ্ধারে যান। সেই ট্রলিতেই শ্রমিককে শুয়ে বাইরে বের করে আনেন। প্রতি শ্রমিককে সুড়ঙ্গ থেকে বের করতে ৩ থেকে ৪ মিনিট সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগবে সব শ্রমিককে উদ্ধার করতে। বাকি ৪০ জন শ্রমিকও সুরক্ষিত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আজকেই সবাইকে উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল।
ঘর থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের রেলকলোনী এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম জীবন হালদার (৩৬)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফরাক্কা থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান জীবন হালদার নামের ওই ব্যক্তি। তারপর এদিন সকালে অনেকবার ডাকাডাকি করা হলেও কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি তাঁর। এরপর সন্দেহ হওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে দেখতে পায় তাঁর পরিবারের লোকজন। এরপর খবর দেওয়া হয় ফরাক্কা থানার পুলিসকে।
আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফরাক্কা থানার পুলিস। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
গঙ্গাসাগরে একটি অতিথিনিবাস থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার মৃতদেহ। ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই মহিলার পুরুষ সঙ্গী। শনিবার সন্ধ্যায় কপিলমুনি মন্দিরের পিছনের অতিথিনিবাসের একটি ঘর থেকে পুলিস উদ্ধার করে বছর চল্লিশের ওই মহিলার মৃতদেহ। যদিও মৃত ওই মহিলার এখনও কোনও সঠিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অতিথিনিবাসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে উঠেছিলেন মৃত মহিলা ও তাঁর পুরুষসঙ্গী। অতিথিনিবাসে নিমাই হালদার নামে পরিচয় দিয়েছিলেন ব্যক্তি। তারপর সেদিন সন্ধ্যায় অতিথিনিবাসের কর্মীরা যখন ঘর পরিষ্কার করতে যান, তখন ঘরে গিয়ে দেখে ওই মহিলা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এরপর খবর দেওয়া হয় গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পুলিসকে। খবর পেয়ে পুলিস এসে ওই মহিলাকে সাগর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
রবিবার কাকদ্বীপে মহিলার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। ইতিমধ্যে পুলিস একটি খুনের মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি মৃত ওই মহিলার পুরুষ সঙ্গীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
লিভ ইন পার্টনারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও হাতের শিরা কেটে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে৷ শুক্রবার রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গড়িয়া ষ্টেশন সংলগ্ন নতুনপাড়া এলাকায়৷ ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত বাবু নামের ওই পুরুষ সঙ্গী৷ ইতিমধ্যে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস৷
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়িয়া ষ্টেশন সংলগ্ন নতুনপাড়া এলাকায় মিতা গায়েন ও বাবু নামের অভিযুক্ত ওই পুরুষ সঙ্গী স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকত৷ অভিযুক্ত পুরুষ সঙ্গীর এলাকায় একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে৷ সেই কারণে প্রায়শই মিতা গায়েনের সঙ্গে ঝামেলা অশান্তি হত৷ গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার সন্ধ্যায় চরম অশান্তি শুরু হয় ওই দুই লিভ ইন পার্টনারের মধ্যে৷ সেই সময় ঝামেলা চলাকালীন মিতা গায়েনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর শরীরের আঘাত করে তাঁর পুরুষ সঙ্গী৷ তখন তিনি তাঁর পুরুষ সঙ্গীর হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় একজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন৷ তারপর তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়৷
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিসকে৷ প্রথমে আহত ওই মহিলা সঙ্গীকে সোনারপুর গ্রামীন হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি৷ তবে কি কারণে লিভ ইন পার্টনারকে খুন করতে চেয়েছিলন অভিযুক্ত পুরুষ সঙ্গী তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস৷
বাবাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ ছেলের। অভিযোগ, খুন করে নিজেই ফোন করে সে কথা জানায় তার শ্বশুর বাড়িতে। ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ছেলে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার দেনো গ্রামে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম বাসুদেব পাত্র। অভিযুক্ত ছেলের নাম বিশ্বজিৎ পাত্র। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটির উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল পুলিস মর্গে পাঠায়। তারপর এদিন অভিযুক্তকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাসুদেব পাত্র মাধবডিহি থানার দেনো গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ও তার ছেলে দুজনেই গোয়ালার কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাসুদেব পাত্র ও তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ পাত্র বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গোয়াল ঘরে কাজ করছিলেন। সেই সময় আচমকাই বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে ছেলে বিশ্বজিৎ। তার কিছুক্ষণ পরেই সমস্ত ঘটনার কথা নিজেই ফোন করে শ্বশুর বাড়িতে জানায় বিশ্বজিৎ। তারপর অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ এর শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করা হয় বাসুদেব বাবুর ভাইকে। ঘটনার কথা জানতে পেরে বাসুদেব বাবুর ভাই ও প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন গোয়াল ঘরের পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাসুদেব বাবু। এরপর খবর দেওয়া হয় মাধবডিহি থানার পুলিসকে।
তবে স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ কয়েকদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। যার ফলেই সে তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়েছে বলে অনুমান। তবে আদৌ কি মানসিক ভারসাম্যহীন কারণ নাকি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে এর পিছনে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
সময় আর কাটছে না। অন্ধকার সুড়ঙ্গে আলোর মুখ দেখার অপেক্ষায় ৪১ জন শ্রমিক। কিন্তু, শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েও বারবার উদ্ধারকাজে বাধা আসছে। কতক্ষণ সময় লাগবে, তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা যাতে মনোবল না হারিয়ে ফেলেন, তার জন্য নতুন পরিকল্পনা করেছেন উদ্ধারকারীরা। আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে এবার লুডো, দাবা, চেস বোর্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: রোহিত গন্ডওয়াল পিটিআই-কে জানান, তাঁরা আমরা লুডো, দাবা এবং তাস পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন শ্রমিকদের কাছে, যাতে তাঁদের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেওয়া যায়। ৪১ জন শ্রমিকের প্রত্যেকেই ভাল আছেন। কিন্তু, মানসিকভাবে তাঁদের সুস্থ থাকতে হবে। তাঁর আরও দাবি, আটকে পড়া শ্রমিকরা তাঁদের জানিয়েছেন, মানসিক চাপ কমানোর জন্য তাঁরা চোর পুলিশ খেলে, যোগব্যায়াম করেন, শরীর চর্চা করেন। উল্লেখ্য, চিকিৎসকদের একটি দল প্রতিদিন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের স্বাস্থ্য ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
প্রায় ১২ দিন ধরে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। উত্তরকাশীতে ভেঙে পড়া সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বার করে আনতে বারবার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। সুড়ঙ্গের মাটি কাটার যন্ত্রে সমস্যা হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতেই শ্রমিকদের থেকে কয়েক মিটার দূরত্বেই থমকে যায় উদ্ধারকাজ। সুড়ঙ্গের কাছেই তৈরি করা মুখ্যমন্ত্রীর অস্থায়ী দফতরে সারা রাত কাটিয়েছেন পুষ্কর সিংহ ধামী
উত্তরাখণ্ডের সিল্কারার সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিক আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্যের আলো দেখতে পারেন বলে আশা করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, উদ্ধারকার্য প্রায় শেষের মুখে। সেই সঙ্গেই টানেলের সামনেই আনা হয়েছে এম্বুলেন্স, ব্যাবস্থা করা হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতালের।
জোজিলা সুড়ঙ্গের প্রোজেক্ট হেড এবং উদ্ধারকারী দলের সদস্য হরপাল সিং জানিয়েছেন, আশা করা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের বের করে আনা সম্ভব হবে।
আমেরিকায় তৈরি অত্যাধুনিক খননযন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে উদ্ধারকাজে। অক্সিজেন মাস্ক পরে পাইপের মাধ্যমে সুড়ঙ্গে ঢুকেছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা। ঘটনাস্থলে রয়েছে ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স। শ্রমিকরা বেরিয়ে এলেই তাঁদের পাঠানো হবে হাসপাতালে।
জলাশয় থেকে উদ্ধার হল এক সদ্য়োজাতের মৃতদেহ। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল মধ্যমগ্রাম সারদাপল্লী এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিস যায়, এবং সদ্য়োজাতের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়। তবে কে বা কারা এই সদ্য়োজাতকে ফেলে দিয়ে গেছে তা এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ঘুম থেকেই উঠেই একটা পচা দুর্গন্ধ পায় স্থানীয় এক ব্য়ক্তি। এরপর তিনি তাঁর বাড়ির ভিতরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কোনও কিছু না পেয়ে তারপর পাশের ওই জলশয়ের দিকে চোখ পড়়তেই দেখেন কিছু একটা জলে ভাসছে, যার উপর মাছিও বসছে। ভালো করে দেখতেই নজরে আসে একটি সদ্য়োজাতের মৃতদেহ জলে ভাসছে। এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিসকে।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আশেপাশের কেউ এই বাচ্চাটাকে মৃত বা জীবিত অবস্থায় ফেলে দিয়ে গেছে। তবে এমন ঘটনা আগে কোনদিন এই এলাকাতে হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিস।
হাতির দাঁতের টুকরো উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। টুকরিয়াঝাড় বনাঞ্চল থেকে দীপিকা বর্মন নামের এক মহিলা দেখতে পান ওই হাতির দাঁতের টুকরোটি। যদিও পরে উদ্ধার হওয়া হাতির দাঁতের টুকরো বনদফতরের হাতে তুলে দেন তিনি।
জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের সোমবার টুকরিয়াঝাড় বনাঞ্চলে ছাগল চড়াতে যায় উওর রামধন জোত এলাকার কয়েকজন মহিলা। ছাগল চড়ানোর সময় আচমকা হোচট খান এক মহিলা। এরপর তিনি দেখতে পান একটি হাতির দাঁতের টুকরো। তারপর সেই হাতির দাঁতের টুকরোটি বাড়িতে নিয়ে আসে ওই মহিলা। এই খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও টুকরিয়াঝাড় বনদফতরের কর্মীরা। টুকরিয়াঝাড় বনদফতরের বিট আধিকারিক বিদেশ বিশ্বকর্মা বলেন, অনেক সময় নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে হাতিরা। সেই সময় ধস্তাদস্তিতে কোনোভাবে ভাঙ্গতে পারে। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করছে বনদফতর।
দোতলা বাড়ির বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বাগদীপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম মন্টু গুই (৬০)। পেশায় সবজি ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, লক্ষ্মী পুজোর সময় মন্টু গুইয়ের স্ত্রী ও তাঁর ছেলে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়ি যান। বাড়িতে একাই ছিলেন মন্টু গুই। তারপর হঠাৎ এদিন সকাল থেকে একটা পচা গন্ধ পান স্থানীয়রা। গন্ধর উৎস খুঁজে না পেয়ে স্থানীয়রা মন্টু গুইয়ের বাড়ির খোলা জানালা দিয়ে ভিতরে তাকাতেই দেখেন তিনি মৃত অবস্থায় খাটে পড়ে রয়েছেন।এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় বাঁকুড়া সদর থানায়। তারপর পুলিস এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, দু-এক দিন আগে ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। এই ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে পুলিস পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কালীপুজোর পরের দিন অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা ব্লকের দলগাঁও ফরেস্টের এক নম্বর কম্পার্টমেন্টের সিকিয়া ঝোরা নদী সংলগ্ন এলাকায়। এখনও অবদি মৃত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে দেখতে পান অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। তবে মৃত ওই ব্যক্তিকে আগে কোনোদিন এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয়রা। মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করার পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পাশাপাশি এদিন সাতসকালে কোচবিহার শহর সংলগ্ন শিবযজ্ঞ রোড সংলগ্ন এলাকায় ড্রেনের মধ্যে থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিস সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কর্মকার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে হাঁটতে বেরিয়ে তাঁরা দেখতে পান ড্রেনের মধ্যে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিস।
বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার একই পরিবারের তিনজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ। মৃত তিনজন সম্পর্কে দিদা ও দুই নাতি, নাতনি। শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের কাঁকসার পানাগড় সারদাপল্লী এলাকায়। ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত বৃদ্ধার নাম সীতা দেবী (৭০)। আর দুই নাতি নাতনির নাম সিমরান বিশ্বকর্মা (২৩) ও সোনু বিশ্বর্কমা (২২)। এই ঘটনাকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা কাঁকসার এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল আটটা নাগাদ কালো হেলমেট পড়ে কেউ একজন সীতা দেবীর বাড়িতে আসে। কিছুক্ষণ পর বেরিয়েও যায় সে। তারপর অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পর কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বাড়ির তিন জায়গায়। মৃতদের মধ্যে একজন বাথরুমে আর দুইজন ঘরের মধ্য়ে পড়ে ছিল। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিস সহ ফরেন্সিক টীম যায়।
তবে সাতসকালে বাইকে করে কে এলো আবার বেরিয়েও গেলো সেটা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।