Breaking News
Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি     

RecruitmentScam

GTA: জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই অনুসন্ধানের বিরোধিতায় হাইকোর্টে রাজ্য

মণি ভট্টাচার্য: পাহাড়েও নিয়োগ দুর্নীতি, এই অভিযোগে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে সিবিআই অনুসন্ধানের প্রসঙ্গ। জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টে আবেদন রাজ্যের। সূত্রের খবর, ৯-ই এপ্রিল হাইকোর্ট জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়। ২৫ তারিখ অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট সিবিআইকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার সিবিআই অনুসন্ধান বন্ধের দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা করতে চেয়ে আবেদন রাজ্যের। মামলার অনুমতি প্রধান বিচারপতির, চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।

জিটিএ নিয়োগে দুর্নীতিতে বিনয় তামাং, অনীত থাপার হাত ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ক্যান্ডিডেট লিস্ট, বিচারপতির কাছে একটি বেনামী চিঠি। স্বতঃপ্রনোদিত মামলা করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই মামলায় গত সপ্তাহে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নাম যুক্ত হয় মামলায় । জিটিএতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ৭০০-১০০০ জন নিয়োগ হয়েছে। হাইকোর্ট সিবিআই অনুসন্ধান দিতেই জিটিএ-র নিয়োগ দুর্নীতিতে এফআইআর দায়ের রাজ্যের। এফআইআর-এ পার্থ সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নাম। বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর। এবার এই এফআইআর-এর দোহাই দিয়ে সিবিআই অনুসন্ধান বন্ধের আর্জি রাজ্যের। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এটাই প্রত্যাশিত। সিবিআই অনুসন্ধান যাতে সিবিআই তদন্তে রূপান্তরিত না হয়, তাই এফআইআর রাজ্যের। কারণ এই নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ঢুকে পড়লে কানের সঙ্গে মাথাদের ধরা পড়ার আশঙ্কায় কি থরহরিকম্প রাজ্য, উঠছে প্রশ্ন। 

a week ago
Recruitment: জিটিএ-তে নিয়োগ দুর্নীতি! সিএন-এর হাতে নিয়োগ পাওয়া অস্থায়ী শিক্ষকের তালিকা

মণি ভট্টাচার্যঃ পাহাড়ে জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে শিক্ষা দফতর। উত্তর বিধাননগর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জিটিএ-র স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার সিএন-এর হাতে এল জিটিএ-তে নিয়োগ পাওয়া ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষককে স্থায়ীকরণের তালিকা। উল্লেখ্য, ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষককে আপার প্রাইমারি ও ১২১ জন শিক্ষককে প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ প্রকাশ্যে।

আরও ভয়ানক অভিযোগ, এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কথা জানত সিআইডি, স্টেট ভিজিল্যান্স কমিশন সবাই। ২০২২ সালে জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়ম নিয়ে সুমন গুরুং নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে শিক্ষা দফতর। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। গোটা ঘটনার তদন্তের নামে একটি রিপোর্ট শিক্ষা দফতরকে জমা করে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।

ওই কমিটি ২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে একটি রিপোর্টের মাধ্যমে শিক্ষা দফতরকে জানায় জিটিএ-র স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণে বেনিয়ম হয়েছে। তাতে শিক্ষা দফতরের বেশ কিছু আধিকারিক সহ কিছু নেতৃত্বরা জড়িত বলে জানায় ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।

এছাড়া চলতি বছর জানুয়ারি মাসে জিটিএতে ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে একটি চিঠি পৌঁছয় শিক্ষা দফতরে। শিক্ষা দফতর সেই চিঠি ডিআইজি, সিআইডিকেও পাঠায়। এমনকি শিক্ষা দফতর এই চিঠি ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য ভিজিলেন্স কমিশনকেও পাঠায়। সবকিছু জেনেও চুপ ছিল রাজ্য সিআইডি এবং রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশন? কেন এই দুর্নীতির কথা জেনেও চুপ ছিল রাজ্য! উঠছে প্রশ্ন।

2 weeks ago
ED: অবশেষে ইডির স্ক্যানারে চন্দ্রনাথের 'মোবাইল-হিস্ট্রি', খুলতে পারে নিয়োগ দুর্নীতি রহস্যের জট

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অবশেষে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার মোবাইল আনলক করতে সক্ষম হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আশা এই মোবাইলে থেকে মিলতে পারে জরুরি তথ্যপ্রমাণ। এবার তাই মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার চ্যাট হিস্ট্রিতে নজর তদন্তকারীদের।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রায় ১৪ ঘণ্টার তল্লাশিতে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায়  ৪১ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মন্ত্রীর ফোন। পরবর্তীতে, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে। যদিও মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে দাবি ছিল, তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র উদ্ধার হওয়া টাকা, মোবাইল ফোনের সমস্ত রকম ডিটেলস এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ইডির তরফে।

এছাড়াও ইডির নির্দেশ ছিল মন্ত্রীর বাজেয়াপ্ত মোবাইল ফোন আনলক করার। এরপরেই মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার একজন প্রতিনিধিকে সমস্ত নথি-সহ পাঠানো হয় সিজিও-তে।  তিনিই তদন্তকারী আধিকারিকদের সামনে আনলক করেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথের মোবাইল। ইডির দাবি, মন্ত্রীর মোবাইল থেকে খুলতে পারে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের রহস্যের জট। আর তাই এবার ইডির আতস কাঁচের নিচে মন্ত্রীর বাজেয়াপ্ত মোবাইল।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বলাগড়ের বহিঃস্কৃত এক যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে তল্লাশির সূত্র ধরেই মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। এখন মন্ত্রীর মোবাইল থেকে, নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে আর কী তথ্য উঠে আসে ইডির হাতে, সেটাই দেখার। তবে যেভাবে রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতি কাণ্ডে, শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়াচ্ছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে বারংবার দুর্নীতিতে তৃণমূলই কেন? এই দুর্নীতির জাল শাসকদলের মধ্যে কতদূর অবধি বিস্তৃত? শাসকদলের দুর্নীতির কারণে কেন বারবার বঞ্চিত হতে হবে রাজ্যবাসীকে? জবাব চাইছে বাংলার ওয়াকিবহাল মহল।

2 weeks ago


ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়-এর ইডি হেফাজত, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সিজিওতে প্রসন্ন

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। ৪ঠা মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতেই অভিযুক্ত। নিয়ম মোতাবেক শুক্রবারও বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর সিজিও নিয়ে আসা হল নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়কে। মূলত প্রথমে শিক্ষক নিয়োগে কারচুপির ঘটনায় মিডলম্যান হিসেবে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায়। কিন্তু গতবছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। যদিও তার বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি দেখে সন্দেহ থেকেই গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এমনকি অভিযোগ উঠে আসে যে সিবিআই-এর গ্রেফতারির পরও জেল হেফাজতে থাকাকালীন সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতির এই মিডলম্যান। প্রসন্ন রায়ের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী? নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকাতেই বৈভব ফুলেফেঁপে উঠেছে প্রসন্ন রায়ের? টাকার যোগানটাই বা তাকে দিত কে? প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তারই তথ্য সন্ধানে  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, ১৮ জানুয়ারি প্রসন্ন রায়ের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রসন্ন রায়ের নিউটাউনের অফিস থেকে একাধিক নথি উদ্ধার করেছিল ইডি আধিকারিকরা। উদ্ধার হয় ৪০০-র বেশি দলিল, শতাধিক এটিএম ও ৭০টি প্যানকার্ড। তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, দলিলগুলি উদ্ধার হয়েছে, তা ছিল প্রসন্ন রায়ের অফিসের বেতনভুক কর্মীদের নামে। মূলত ইডির হাতে উঠে আসে প্রসন্নর একাধিক সম্পত্তির নথি ও তথ্য প্রমাণ। প্রসন্ন রায়ের ১০০ কোটির বেশি সম্পত্তির হদিশ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই সব নথির উপর ভিত্তি করেই দ্বিতীয়বার গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন। বুধবার সেই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় প্রসন্নর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা।

কিন্তু আদালতে প্রসন্ন রায়ের জামিনের আবেদন করেননি আইনজীবী। বরং ইডির তরফে আদালতে প্রসন্ন রায়ের ২০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ১০০টি কোম্পানির তথ্য প্রমাণ পেশ করতে দেখা যায় এদিন। পাশাপাশি ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মিডলম্যান প্রসন্নর ৯৭টি সম্পত্তির হদিশ এবং ৭০ কোটি টাকার হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাদী-বিবাদী পক্ষের সওয়াল জবাবের ভিত্তিতে আপাতত ইডি হেফাজতেই প্রসন্ন। এখন  ইডির প্রশ্নবাণে অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়ের কাছ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত আর কোন কোন তথ্যের সন্ধান মেলে সেটাই দেখার।

2 months ago
CBI: সিবিআই স্ক্যানারে এস বসু রায় কোম্পানি, প্রমাণ লোপাট ও নম্বর বিকৃতের অভিযোগ

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের তল পেতে আবারও তৎপর সিবিআই। তদন্তের গতি বাড়াতেই এবার বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহল। ফের সিবিআই স্ক্যানারে উঠে আসে ওএমআর শিট কারচুপিতে নাম জড়ানো বিতর্কিত সংস্থা এস বসু রায় কোম্পানি। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই শ্রীঘরে ঠাঁই মিলেছে সংস্থার অন্যতম অংশীদার কৌশিক মাজির। এবার সেই সংস্থার দুষ্কর্মের হদিশ মিলল সিবিাইয়ের তদন্তে। যে 'দুষ্কর্ম'-এর অন্যতম সাগরেদ ছিলেন কৌশিক মাঝি, বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এমনকি ২০১৪ টেট পরীক্ষার দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য লোপাটও এই সংস্থার কারসাজি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত বলছে, এস বসু রায় কোম্পানির সার্ভারে দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য স্ক্যান করে রাখা থাকত। যার কোনও বিকল্প রাখা হত না। তাই প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ নতুন তথ্য সার্ভার এ আপডেট হওয়ার ফলে বিগত দিনের তথ্য অনায়াসে প্রতিস্থাপিত হয়ে গিয়েছে।কার্যত এই ভাবেই নতুন তথ্য সার্ভারে রেখে পুরনো তথ্য লোপাট করত এস বসু রায় কোম্পানি।

কিন্তু এস বসু রায় কোম্পানির সার্ভার বদলে ফেলা হয় ২০১৭ সালেই। প্রসঙ্গত, এর আগেও সিবিআই এর লাগাতার তল্লাশি ও ওই সংস্থার আধিকারিকদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে সিবিআইয়ের হাতে উঠে এসেছিল একাধিক চাঞ্চল্যকর নথি, তথ্য প্রমাণ। SSC-র চাকরিপ্রার্থীদের OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল যেমন NYSA, ঠিক তেমনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চাকরিপ্রার্থীদের OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি, যার সঙ্গে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যেরও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে উঠেছিল অভিযোগ। এই কোম্পানি থেকেই ওএমআর শিটে কারচুপি ও পরীক্ষার্থীদের নম্বর বিকৃত করা হত বলেও মিলেছিল তথ্য। এবার সেই সংস্থায় প্রমাণ গুম করার মূল কাণ্ডারী দাবি করছে সিবিআই। আগামী দিনে সিবিাআই এর তদন্তে এবার সংস্খার আর কোন কোন অপকর্ম প্রকাশ্যে আসে সেটাই দেখার।

3 months ago


Recruitment Scam: গুরুতর অভিযোগ! এসএসসি-র পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও জেলে। তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক নাম। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তার মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজউদ্দিনকে এসএসসি-র পদ থেকে স্মঅরীয়ে দিল রাজ্য সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। যার ভিত্তিতে সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্যকে নির্দেশ দেন, যত দ্রুত সম্ভব সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার।

জানা গিয়েছে, শেখ সিরাজউদ্দিনের স্ত্রী জাসমিন খাতুন ২০১৯-এর মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি পেয়েছিলেন। যেখানে থেকে ২০১১ সালে পরীক্ষা দেন। আর ২০১৫ সালে সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। অভিযোগ, নিজের স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দেন খোদ শেখ সিরাজউদ্দিন। ঘটনা সামনে আসতেই উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন।

তবে বিকাশভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কর্তাকে আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছিল পদ থেকে। তবে সোমবার হাইকোর্টে এই বিষয়ে কিছু জানাননি রাজ্যের আইনজীবী। আচার্য সদন থেকে জানানো হয়েছে, চিঠি পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

3 months ago
Municipality Recruitment Scam: তাপস রায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার চাকরিপ্রার্থীদের বায়োডাটা, বাজেয়াপ্ত সুজিত বসুর ফোন!

পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন করে তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি। শুক্রবার সকাল থেকেই ছিল টান টান উত্তেজনা। কারণ শুক্রবার সাতসকালেই শাসকদলের তিন হেভিওয়েট নেতার বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় ও উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সুজিত বসুর বাড়িতে প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা ও তাপস রায়ের বাড়িতে প্রায় ১২ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর একাধিক নথি ও তাঁদের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আর সেসব নথি ও ফোন থেকেই দুর্নীতির পর্দাফাঁস হতে পারে বলে আশাবাদী ইডি।

গতকাল মন্ত্রী ও বিধায়কের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়ে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডির দাবি, এই সব নথি পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসাবে কাজে আসবে। গতকাল বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে ১০ ঘণ্টারও বেশি ম্যারাথন তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর মোবাইল ফোন ও বরানগর পুরসভা সংক্রান্ত একাধিক রিকোয়েস্ট লেটার উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কিছু বায়োডাটাও উদ্ধার করেছে ইডি। পাশাপাশি ইডির ডিজিটাল এক্সপার্টদের মাধ্যমে মোবাইল ফোন এক্সট্রাক্টর কাম হার্ডড্রাইভ ডিকোর্ডিং যন্ত্রের সাহায্যে তাপস রায়ের মোবাইল থেকে সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখবে ইডি।

এছাড়াও জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ শনিবার ইডির তরফ থেকে সেই সমস্ত বায়োডেটার ক্যান্ডিডেটদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। কী কারণে বায়োডাটা জমা দিয়েছিলেন তাপস রায়ের কাছে, সেই বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে ইডির তরফ থেকে। বরানগর পুরসভার কোন কাজের জন্য রিকোয়েস্ট লেটার দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়েই খতিয়ে দেখবে ইডি, এমনটাই সূত্রের খবর। মন্ত্রী সুজিত বসুর বাজেয়াপ্ত মোবাইল ফোন পরীক্ষা করেও গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হবে বলে আশাবাদী ইডি।

3 months ago
ED: ‘কিছুই পায়নি ওরা', ১২ ঘণ্টা ইডির তল্লাশির পর বললেন তাপস রায়

শুক্রবার সাতসকালে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে তল্লাশি চালানো শুরু হয়েছে তাঁদের বাড়িতে। পাশাপাশি উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তী বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকেরা। দীর্ঘ ১২ ঘন্টার তল্লাশি শেষে বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়ি থেকে বের হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দীর্ঘ তল্লাশিতে একাধিক নথি এবং বিধায়কের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে ১০ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে বেরোলেন ইডি আধিকারিকরা। এককথায় বলা যায়, পুর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে আজ, শুক্রবার সকাল থেকে তুঙ্গে ইডি তৎপরতা। সকালের আলো ফুটতেই বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস এবং রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। গোটা এলাকাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়। এমনকি ঘিরে রাখা হয় তাপস রায়ের বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাড়িটিও। সকাল থেকে প্রায় দীর্ঘ ১২ ঘন্টা ধরে চলে এই তল্লাশি অভিযান। আর এই দীর্ঘ তল্লাশিতে কিছুই তেমন পাওয়া যায়নি বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়কের।

তাপস রায়  কথায়, 'কিছু নেই তো পাবে কি!' ইডি বাড়ি ছাড়তেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাপস রায় জানিয়েছেন, 'আমি নিজেও খুবই আশ্চর্য হয়েছি। বরাহনগর পুরসভার কোনও নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত নই। এমনকি রাজনৈতিক জীবনে কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না এবং জড়িত নই'। আগামীদিনে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আগামীদিনে তাঁকে তলব করা নিয়ে কিছু ইডি আধিকারিকরা জানাননি বলেই দাবি তৃণমূল নেতার।

3 months ago


Municipality Recruitment Scam: ধৃত অয়ন শীলের ডায়েরিতেই ছিল সুজিত বসুর সাঙ্কেতিক নাম!

অয়ন শীলের ডায়েরি থেকেই খোঁজ পাওয়া গিয়েছে সুজিত বসুর নাম! এমনটাই ইডি সূত্রে খবর। শুক্রবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই সুপার অ্যাকশন মোডে ইডি। সন্দেশখালির ঘটনার পর এবারে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রায় ১২ ঘণ্টা পরও এখনও চলছে তল্লাশি। এদিন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধায়ক তাপস রায় ও উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ডায়েরির সাঙ্কেতিক কোড থেকেই জানা যায় সুজিত বসুর নাম।

জানা গিয়েছে, সকাল থেকে সুজিত বসুর পুরনো বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর ইতিমধ্যেই সেখান থেকে বেরিয়ে যায় ইডি। এর পর সুজিত বসুর ছেলে সমুদ্র বসুকে নিয়ে পাশের একটি অফিস ও বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানেও চলেছে তল্লাশি। এই দফতরের বাইরে রয়েছে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিধান নগর পুলিসের বাহিনীও। ইতিমধ্যেই সেখান থেকে চারজন ইডি আধিকারিক বেরিয়ে গেলেও কয়েকজন আধিকারিক এখনও চালাচ্ছেন তল্লাশি। অন্যদিকে ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীলের ডায়েরির সাঙ্কেতিক চিহ্ন থেকেই পাওয়া যায় মন্ত্রী সুজিত বসুর নাম। এছাড়াও ইডি দফতরে একাধিকবার বিভিন্ন এলাকার চেয়ারপার্সন, প্রাক্তন চেয়ারপার্সনকে তলব করে উঠে আসে মন্ত্রীর নাম। ফলে সুজিত বসুর বাড়ি-অফিসে হানা দিয়ে কী কী তথ্য পাওয়া যায়, সেদিকে তাকিয়েই বাংলা।

3 months ago
Recruitment Scam: শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির চূড়ান্ত চার্জশিটে নাম রাজ্যের আরেক প্রাক্তন মন্ত্রীর!

শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে রয়েছে রাজ্যের আরও এক বিধায়ক পরেশ অধিকারীর নাম। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর নামে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। একাদশ ও দ্বাদশ বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। চার্জশিটে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে।

শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষে সিবিআই-এর পেশ করা চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। জানা গিয়েছে, চারটি মামলাতেই তাঁর নাম রয়েছে। মূল অভিযুক্ত হিসেবে তাঁকেই চিহ্নিতকরণ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আর এরই মাঝে রাজ্যের আরও এক বিধায়কের নাম এল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিটে। জানা গিয়েছে, একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পরেশ অধিকারীর নামেও চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। তবে পরেশ অধিকারী ছাড়াও চার্জশিটে ১২ জনের নাম রয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। নাম রয়েছে এসপি সিনহা ও তাঁর স্ত্রীর।চার্জশিটে নাম রয়েছে ওএমআর প্রস্তুতকারী সংস্থা নাইসার ৩ আধিকারিকের।


3 months ago


High Court: নিয়োগ মামলায় ৬ মাসের মধ্যে ট্রায়াল শেষের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় মামলাকারী রাকেশ মণ্ডলের করা মামলার ভিত্তিতে বড় নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সিবিআই মঙ্গলবার জানায়, নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেন ছয় মাসের মধ্যে মামলার ট্রায়াল শেষ করতে হবে। তিনি জানতে চান নিম্ন আদালত কবে থেকে কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করবে?

বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে সিবিআই জানায়, বুধবার থেকে চার্জ ফ্রেম করা হবে। এই তিনজন অভিযুক্তের পক্ষ থেকে আদালতে তাদের বক্তব্য জানালেও তার কাগজ আদালতে জমা পরেনি। ফলে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন নতুন করে এই তিনজন আর কোনও বক্তব্য জানাতে পারবে না। তিনি সিবিআইকে নির্দেশ দেন আগে এই সংক্রান্ত যে আবেদনগুলি জমা পড়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতকে সেগুলির তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি করতে হবে। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে এই তিনজনের বিরুদ্ধে। পার্থ সেন ও কৌশিক মাঝিকে চার্জশিট জমা দিয়ে চার্জ ফ্রেম করে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে মামলাগুলির নিষ্পত্তি করতে হবে বলে সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থী রাকেশ মণ্ডল। ২০১৪ সালের টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৬ সালে। মামলাকারীর আইনজীবী দিবেন্দু চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন কোনও অতিরিক্ত মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।নিয়োগ মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ২১শে ডিসেম্বর সিবিআই রিপোর্ট জমা দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মুখ বন্ধ খামে জমা দেওয়া রিপোর্ট খতিয়ে দেখলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।সিবিআইয়ের পক্ষে জহিরউদ্দিন শেখ, টাইগার হোসেন, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় , তাপস কুমার মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষ ও কুন্তল ঘোষের নামে নিম্ন আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।

চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে ১৪ই ডিসেম্বর। তবে এখনও পর্যন্ত চার্জ ফ্রেম করা হয়নি নিম্ন আদালতে বলেই এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে জানায় সিবিআই। বিচারপতিকে সিবিআই এও জানায় যে মেধা তালিকা প্রকাশ হয়েছিল তাতে প্রভাব খাটিয়েছিল তাপস কুমার মণ্ডল। এস বসু রায় কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজোশ করে এই দুর্নীতি করা হয়েছিল বলেই অভিযোগ করেছে সিবিআই।

এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে ঠিক কি জানিয়েছিল? সমস্ত কিছু শোনার পর নিম্ন আদালতকে এই মামলা দ্রুত শেষ করার জন্য কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

4 months ago
Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির চারটি মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ সিবিআইয়ের, সবেতেই জড়িয়ে পার্থ!

নিয়োগ দুর্নীতির চারটি মামলার তদন্ত শেষে চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। সোমবার নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি'র মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করা হয়েছে আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে। আর এই চারটি মামলাতেই নাম জড়াল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তবে চার্জশিট জমা পড়লেও এখনও সেই চার্জশিট নিয়ে শুনানি বা কোনও নির্দেশ হয়নি আদালতে। ৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিপোর্ট দেওয়ার আগে এই চারটি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই।

উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, জানুয়ারির নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষ করে সোমবার চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিতে এক সঙ্গে চারটি মামলায় চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ হতে পারে বলেই খবর। সোমবার নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডিতে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট পেশ করছে সিবিআই। নবম-দশম মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ৭ জনের নাম রয়েছে বলে খবর। গ্রুপ-সি মামলার চার্জশিটে রয়েছে শিক্ষাদফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নাম। এছাড়াও চার্জশিটে রয়েছে একাধিক এজেন্টের নাম। রয়েছে একাধিক ব্যক্তির বয়ানও।

4 months ago
ED: বর্ষবরণের আগে ফের তৎপর ইডি! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শহরজুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের তৎপর ইডি। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল হতেই শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্নীতিকাণ্ডে এবারে ইডির স্ক্যানারে রয়েছেন একাধিক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, ব্যবসায়ী ও হিসেবরক্ষকরা। আরও জানা গিয়েছে, একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে কলকাতার অন্তত ৫টি জায়গায় হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। জানা যাচ্ছে, এদিন রাজেশ দোশী নামে এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টের বড়বাজারের অফিসে হানা দিয়েছেন ইডি কর্তারা। এছাড়াও ইডির স্ক্যানারে রয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী।

ইডি সূত্রে খবর, বড়বাজারে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট রাজেশ দোশীর অফিসে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মোট পাঁচটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তিনি। আর প্রত্যেকটি অফিসের ঠিকানা একই, ৭৭ এনএস রোড। এছাড়াও এদিন বাইপাসের ধারে বেঙ্গল কেমিক্যাল-এর কাছে দুটি ফ্ল্যাটে ইডি তল্লাশি চলছে। এরপর মানিকতলা রোডে অবস্থিত মনিকলা আবাসনে পৌঁছেছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সুবোধ সাচার এবং অশোক সাধুকা নামে দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আবার আলিপুর পার্ক রোডের বেলেয়ার সাউথ সিটি বহুতল আবাসনের চার তলায় আজ সকাল থেকে ইডি তল্লাশি চলছে। জিসি অ্যাভিনিউতে পি ডি রন্ধার অ্যান্ড কোম্পানি অফিসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।

ইডি সূত্রে খবর, শুধুমাত্র নিয়োগ দুর্নীতি নয়, গরু পাচার, কয়লা পাচার সহ একাধিক দুর্নীতির টাকা এই সমস্ত চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কালো টাকাকে সাদা করার যে প্রচেষ্টা করা হয়েছে, সেই কারণেই আজ ইডির পক্ষ থেকে একাধিক হিসেবরক্ষক, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের বাড়িতে চলছে তল্লাশি অভিযান। হাওড়ায় এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর ইডির কর্তারা জানতে পারেন, কালো টাকাকে সাদা করতেই একাধিক ব্যবসায়ীকে দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। কালো টাকা কোন কোন ব্যবসার মাধ্যমে কোন কোন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছে তারই খোঁজ চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা।

4 months ago


Ayan Seal: হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সুপারিশ পেয়ে পুরসভায় নিয়োগ! 'অ্যাডমিন' খোদ অয়ন শীল

ধৃত অয়ন শীলের নাম ফের উঠে এল পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য এল ইডির হাতে। নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আর এই ফোনেই হদিশ পাওয়া গিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের। যেখানে 'অ্যাডমিন' অয়ন শীল ও সেখানেই পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা সুপারিশ দিতেন নিয়োগের জন্য। ইতিমধ্যেই ১৪ টি পুরসভার নাম উঠে এসেছে এই দুর্নীতি মামলায়।

এর আগেও ইডির হাতে গ্রেফতার প্রোমোটার অয়ন শীলের সম্পর্কে একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলেই দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবারে ইডির দাবি, এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমেই পাঠানো হত চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা। জানা গিয়েছে, সেই গ্রুপেই চাকরিপ্রার্থীদের নাম সুপারিশ করতেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা। এরপর সেই নির্দেশ মতই অয়ন শীল চাকরিপ্রার্থীদের কাছে চাকরি 'বিক্রি' করতেন। অর্থাৎ টাকার অঙ্ক থেকে শুরু করে  ওএমআর শিটে বিকল্প তৈরি করা, নম্বর বাড়িয়ে প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে তা নিজের সংস্থার কর্মীদের বলে দিতেন অয়ন শীল। পুরসভার চেয়ারম্যানদের সুপারিশ মতই নিয়োগ দেওয়াতে তৎপর হতেন অয়ন শীল। ফলে ইডির এই দাবির পরই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমেই অযোগ্য প্রার্থীদের পুরসভায় নিয়োগ দেওয়া হত? এই তথ্য উঠে আসার পর ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেটাই এখন দেখার।

4 months ago
High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিল এসএসসি

হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিল এসএসসি। বুধবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির বিশেষ বেঞ্চে রিপোর্ট জমা করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে সময় নিয়েছে আদালত। যারা এই মামলায় যুক্ত হলেন তাঁরা তাঁদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দেবেন আদালতে। পাশাপশি সিবিআই-এর কাছে রিপোর্ট তলব করল ডিভিশন বেঞ্চ। ৯ জানুয়ারি সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের।

এদিন আদালতে এসএসসির আইনজীবী সুতনু পাত্র বলেন, কাদের নামে বিকৃত ওএমআর শিট তৈরী করা হয়েছে,  RANK JUMPING-এর নাম সহ আদালতের নির্দেশ মত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে আদালতে। বিচারপতি বলেন, এগুলো আদালত রেকর্ডে রাখল। এর পরেই বিচারপতি জানতে চান, চাকরিহারাদের কারোর হলফনামা আছে যা আদালতের কাছে জমা দিতে চায়? যারা সংযুক্ত হতে চায় তারা মামলায় সংযুক্ত হতে পারে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ জানুয়ারি।

4 months ago