
প্রসূন গুপ্তঃ ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা বলে একটি কথা কথিত আছ। একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিসের ফাস্ট বোলার চার্লি গ্রিফিথের বাউন্সার মাথায় লেগে তৎকালীন অধিনায়ক নরি কন্ট্রাক্টরের মাথার খুলির একটি অংশ উড়ে যায়। তাঁকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি করার পরে প্রথম রক্ত দিতে আসেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক স্যার ফ্রাঙ্ক ওরেল। এর বহু বছর পরে ওরেলের মৃত্যুর পরে কলকাতায় তাঁর স্মৃতিতে রক্তদান দিবস পালন করা হলে প্রথম রক্ত দেন কন্ট্রাক্টর।
আজকের পেশাদারি ক্রিকেটে বইয়ে লেখা ভদ্রলোক পাওয়া কঠিন। আজ প্রতিটি দল জিততে চায়। এই জয়ের জন্য খেলোয়াড়রা মাঠে ভদ্রতার সীমা ছাড়িয়ে যান। অবিশ্যি তার জন্য সব ক্রিকেটারই ভদ্রতা পালন করেন না এমনটা নিশ্চয় বলা যাবে না। তবে দু'তিন দশকের মধ্যে রাহুল দ্রাবিড় সম্বন্ধে দৃঢ়ভাবে বলা যায় তিনি আদ্যন্ত ভদ্রলোক ছিলেন। খেলার সময়ে তো বটেই কোচ হিসাবেও। সৌরভ-রাহুল একসাথে টেস্ট ম্যাচ শুরু করলেও সচিন নেতৃত্ব ছেড়ে দিলে সৌরভকে ভারতের অধিনায়ক করা হয়। সৌরভের অধীনে রাহুল ৫ বছরের বেশি ম্যাচ খেলেছেন এবং জীবনের সেরা খেলা তখনই দেখা গিয়েছে। বহু ম্যাচ রাহুল একার দায়িত্বে ভারতকে জিতিয়েছেন। দলের সবচাইতে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হওয়া সত্ত্বেও সচিনের ব্যাটিংয়ের কাছে পিছনের সারিতে রয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর অধিনায়কত্বে ভারত খুব খারাপ সময় কাটিয়েছে, তাই নিজ দায়িত্বে নেতৃত্ব ছেড়ে দিতেও দ্বিধা করেননি। এক সময় এক প্রকার তাঁকে বিদায় দিতে বোর্ড উঠে পরে লাগলে তিনি নিজেই খেলা ছেড়ে দেন এবং বিশেষ কোনও ম্যাচ খেলার দরকারও বোধ করেননি।
সম্প্রতি তিনি ভারতের কোচ হয়েছিলেন বন্ধু সৌরভের অনুরোধে। ভারত যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করে সম্প্রতি এশিয়া কাপ জিতেছে। বিশ্বকাপ না পেলেও ভারতই এখন বিশ্বের সেরা দল। সেই তিনি ভারতের কোচিং ছেড়ে দিলেন। এবারে উচ্চ শিক্ষিত রাহুল দ্রাবিড় কি করবেন? এতদিন গ্ল্যামার জগতে থেকে এবারে নিশ্চয় নতুন করে কর্পোরেট দুনিয়াতে চাকরি করবেন না। নাহ তেমনটির দরকার হবে না। তাঁর পাশে দাঁড়ালেন কলকাতার শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। এবারে সঞ্জীবের আইপিএল দল লখনউ সুপার জায়ান্টের মেন্টর হলেন রাহুল। ফের মাঠেই নামবেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ভারতীয় দলের কোচিংয়ে ফেরাতে চান রাহুল দ্রাবিড়কে।
২০০৩ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে হারতে হয়েছিল ভারতকে৷ তখন ক্রিকেটার হিসাবে টিমে ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ২০২৩ বিশ্বকাপেও ফাইনালে হারল টিম ইন্ডিয়া। এবার তিনি কোচ। আগামী বিশ্বকাপ ২০২৭ সালে। ততদিন পর্যন্ত কি ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ থাকবেন তিনি? থমথমে মুখে সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন রাহুল।
দ্রাবিড়ের কথায়, তাঁর সমস্ত মনোযোগ ছিল টুর্নামেন্টের দিকে। সবে বিশ্বকাপ শেষ হল। ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ এখনও অনেক দূরে। তার আগে অনেক জল বয়ে যাবে। ভবিষ্যতে কী করবেন এখনও ভাবার সময় পাননি। রাহুল জানিয়েছেন, বর্তমান টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পেরে তিনি গর্বিত। ক্রিকেটার থেকে সাপোর্ট স্টাফ- সকলেই নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। খুব ভাল লেগেছে সকলের সঙ্গে কাজ করে।
গোটা টুর্নামেন্টে দাপটে খেলেও কেন ফাইনালে ভরাডুবি হল, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন দ্রাবিড়। তাঁর মতে, ভারত ৩০-৪০ রান কম করেছি। ২৮০-২৯০ রান করতে পারলে লড়াই হত। দ্রাবিড়ের কথায়, "অস্ট্রেলিয়া খুব ভাল বল করেছে। আমাদের বাউন্ডারি মারতে দেয়নি। রোহিত আউট হওয়ার পর বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুল ইনিংস গড়ার চেষ্টা করছিল। আমাদের দুর্ভাগ্য যে বিরাট-রাহুল আউট হয়ে যায়। ট্রেভিস হেড এবং মার্নাস লাবুশেনের মতো ওরা শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে আমরাও বড় রান তুলতে পারতাম।"
রাহুল দ্রাবিড়ের জমানায় ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এই বছরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর এক দিনের বিশ্বকাপেও নক আউট পর্বে হারতে হল ভারতকে। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের পরাজয়ের পরে রবি শাস্ত্রীর জায়গায় কোচের দায়িত্ব নেন রাহুল দ্রাবিড়। কিন্তু তাঁর হাত ধরেও এল না আইসিসি ট্রফি।
বলিপাড়ায় (Bollywood) ফের দুঃসংবাদ। চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ভৈরবী বৈদ্য (Bhairavi Vaidya)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। গত ৪৫ বছর ধরে তিনি অভিনয়ের জন্য যুক্ত। তাঁকে একাধিক হিন্দি সিনেমা, ধারাবাহিক এবং নাটকে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও তিনি গুজরাটি ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন। তাঁকে সলমান খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গেও সিনেমা করতে দেখা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, গত ৮ অক্টোবর প্রয়াণ হয়েছে বলিউডের অন্যতম খ্যাতনামা অভিনেত্রী ভৈরবী বৈদ্যর। জানা গিয়েছে ভৈরবী বৈদ্য ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। গত ৬ মাস ধরে তিনি এই রোগের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। অবশেষে তিনি ৮ অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল 'নিমা ডেঞ্জংপা' নামক একটি ধারাবাহিকে। ভৈরবীর উল্লেখযোগ্য বলিউড ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন অভিনীত 'তাল'। এই ছবিতে 'জানকি'র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ভৈরবী। এই চরিত্রের জন্য প্রশংসিতও হয়েছিলেন তিনি। এর পর সলমান খানের 'চোরি চোরি চুপকে চুপকে'তেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন এই প্রয়াত অভিনেত্রী।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরে নজিরবিহীন ঘটনা। এশিয়া কাপ ও ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের আগে কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে ঝাড়া দু ঘণ্টার বৈঠক করলেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। আইসিসি-র টুর্নামেন্টে টানা ব্যর্থ ভারত। তার জেরেই কোচ দ্রাবিড়ের সঙ্গে সচিব জয় শাহের এই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, আমেরিকার ফ্লোরিডাতেই দ্রাবিড়ের সঙ্গে বৈঠক করেন জয় শাহ। জানতে চান এশিয়া কাপ এবং ঘরের মাঠে আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতের রূপরেখা কী ? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, বার্তা স্পষ্ট। দেশের মাটিতে যে করেই হোক বিশ্বকাপ জিততে হবে। আর তার জন্য শেষ পর্যায়ে গিয়ে যা যা করণীয়, তাই করতে হবে।
২০১৩ সালের পর থেকে আইসিসির কোনও টুর্নামেন্টে কোনও সাফল্য নেই ভারতের। যা কোনও ভাবেই আর বরদাস্ত করতে চায় না বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে ধনী বোর্ড বিসিসিআই। আর তার জন্যই আগে থেকে কোচের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক করলেন সচিব।
বোর্ডের তরফে এই বৈঠককে সৌজন্য বৈঠক বলেই দাবি করা হয়েছে। তবে তা মানতে চায় না ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, দু ঘণ্টার এই বৈঠকে রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে বার্তা স্পষ্ট পারফর্ম অর পেরিস।
১৭ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কোনও সিরিজ হেরে দেশে ফিরছে ভারতীয় দল। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ যারা এবার বিশ্বকাপও খেলবে না। আমেরিকার মাটিতে সিরিজ হারের পরেই ব্যাটারদের কাঠগড়ায় তুলেছেন ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
তিনি জানিয়েছেন, এই সিরিজে সব ব্যাটারদের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কারণ, বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজ ছিল নিজেদের প্রমাণ করার। কিন্তু দ্রাবিড় স্বীকার করছেন, ব্যাটাররা নিজেদের পারফরম্যান্স করতে পারেননি।
এর আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হারের জন্য নিজের কাঁধেই দায় নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি জানিয়েছিলেন, গোটা সিরিজে যা ভুল, তার সব দায় তাঁর। ম্যাচ শেষে ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়ে দাবি, ব্যর্থতার পাশাপাশি সাফল্যও রয়েছে। সেই কারণে যশস্বী, অর্শদীপদের পারফরম্যান্স তাঁকে মুগ্ধ করেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ। এবার আয়ারল্যান্ড সফর। যে সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। রবিবার সেই খবরে সিলমোহর বসিয়েছে বিসিসিআইও। আয়ারল্যান্ডে ক্যাপ্টেন বুমরার কোচ ভিভিএস লক্ষ্মণ।
এ যেন এক সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়ে দেয়। মুম্বইয়ের ধারাভি (Dharavi) বস্তির এক ১৪ বছরের কিশোরী কীভাবে এক লাক্সারি ব্র্যান্ডের মুখ হয়ে উঠেছে, তা সত্যিই স্বপ্নের মতো। এজন্যই হয়তো মুম্বইকে 'স্বপ্নের নগরী' বলা হয়। মালীশা খারওয়া (Maleesha Kharwa) মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তিতে বসবসকারী এক কিশোরী। কিন্তু এখন এই মেয়েই লাক্সারি বিউটি ব্র্যান্ড 'ফরেস্ট এশেনসিয়াল'-এর ক্যাম্পেইন 'যুবতী কালেকশন'-এর মুখ। মালীশা 'প্রিন্সেস ফ্রম স্লাম' অর্থাৎ 'বস্তির রাজকুমারী' বলেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। এখানেই শেষ নয়, তার জনপ্রিয়তা এতটাই ছড়িয়ে গিয়েছে যে, সম্প্রতি সে হলিউডের দুটি ছবিতে কাজ করারও প্রস্তাব পেয়েছে।
সাধারণত শ্যামবর্ণ মেয়েদের মডেল বা সিনেমার জগতে ভাবাই হয় না, কিন্তু সেই ভাবনাকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জীবনে এগিয়ে চলেছে মালীশা। তবে তার এই স্বপ্নপূরণের পথে তার সঙ্গে ছিলেন হলিউড অভিনেতা রবার্ট হফম্যান। তাঁর হাত ধরেই মালীশার মডেলিং জগতে প্রবেশ। ২০২০ সালে মুম্বইয়ে মালীশার খোঁজ পান তিনি। তার জন্য 'গো ফান্ড মি পেজ' নামে এক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও খুলে দেন তিনি। তারপরেই ভাগ্য বদলায় মালীশার।
আজ মালিশার ইনস্টাগ্রামে মোট ফলোয়ারের সংখ্যা ২ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি। 'বস্তির রাজকন্যা' এই হ্যাশট্যাগটি তিনি ব্যবহার করেন তার প্রতিটি পোস্টেই। একাধিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছে সে। সম্প্রতি একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, 'ফরেস্ট এশেনসিয়াল'-এক স্টোরে প্রবেশ করছে। সেখানে রাখা বিজ্ঞাপন গুলোতে তার ছবি। আর সেই দেখে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে মালীশা। তবে এর পাশাপাশি পড়াশোনাটাও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় 'প্রিন্সেস ফ্রম স্লাম'। তবে বস্তি থেকে মডেলিং জগতে প্রবেশ করা তার কাছে সত্যিই এক স্বপ্নের মতো। তার জীবনের এই কাহিনী সাধারণ মানুষের জন্য অনুপ্রেরণামূলক।
বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) সম্পর্ক বারবার আইপিএলের ময়দান উত্তপ্ত করছে। চলতি আইপিএল সিজনে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচ জেতার পরই গম্ভীর মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করার ইশারা করেছিলেন বিরাটের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু বিরাট কি চুপ করে থাকার মানুষ! গত সোমবার একানা স্টেডিয়ামে প্রথম থেকেই আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল বিরাটকে। ম্যাচের মাঝেই বিরাট এবং গম্ভীর একে অপরকে রক্তচক্ষু দেখান। অন্যদিকে নবীন-উল-হকের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বিরাট। এই নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এরই মাঝে এই বিষয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)।
প্রতিক্রিয়া দিয়ে রবি শাস্ত্রী বললেন, 'তাঁরা যথেষ্ট ক্রিকেট খেলেছেন। গৌতম দুই বার বিশ্বকাপ জিতেছেন। অন্যদিকে বিরাট একজন আইকন। দু'জনেই দিল্লি থেকে এসেছেন। আমার মনে হয়, সবচেয়ে ভালো হবে যদি দু'জন মুখোমুখি বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেন। খুব তাড়াতড়ি তাঁদের রাগ কমে গেলে বুঝতে পারবেন, আরও ভালো করে বিষয়টি তাঁরা মিটিয়ে নিতে পারতেন।'
অন্যদিকে, মাঠের মাঝেই খেলোয়াড়দের এই আচরণ মেনে নিতে নারাজ আইপিএল কর্তৃপক্ষ। বিরাট-গম্ভীর এবং নবীনকে এই বিষয়ে শাস্তিও ঘোষণা করা হয়েছে। বিরাট এবং গম্ভীরকে ম্যাচ ফি-র পুরো টাকা জরিমানা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ এবং নবীনকে তাঁর ম্যাচ ফি-র ৫০% জরিমানা দিতে হবে।
গোধরা মামলায় (Godhra train burning case) ৮ জন সাজাপ্রাপ্তকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে চার সাজাপ্রাপ্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। সেদিনই এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। অভিযুক্তরা ১৭ বছর জেলে রয়েছেন, সেদিকে তাকিয়ে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই তাঁদের জামিন দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গোধরা স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসের S-6 কামরায় অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়। এদের অনেকেই ছিলেন করসেবক। অযোধ্যা থেকে ফেরার পথে তাঁরা ওই ঘটনার শিকার হন। তার জেরে সমস্ত গুজরাটে ছড়িয়ে পরে হিংসা। ঠিক তার পরের দিন গান্ধীনগরের পালিয়াদ গ্রামে জ্বলে ওঠে গোষ্ঠী হিংসার আগুন। আক্রান্ত হয় বহু সংখ্যালঘু পরিবার। অভিযোগ ছিল যে, গোধরার সেদিনের ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছিল অভিযুক্তরা। ট্রেনের ওই কামরায় আগুন লাগানো হয়েছিল এবং ট্রেন লক্ষ্য করে পাথরও ছোঁড়া হয়েছিল।
শুক্রবার যে ৮ জনকে জামিন দেওয়া হল, তাঁরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত। এই মামলায় মোট ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল নিম্ন আদালত। ২০ জনকে শোনানো হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। যে ৪ জনের জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে, তাঁদের ফাঁসির সাজা খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টই।
পরপর দু'দিন, শিবপুরের পর এবার রিষড়ায় (Rishra Violence) ঢুকতে বাধা বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder)। কোন্নগরে পুলিসি ব্যারিকেড গড়ে ঢুকতে বাধা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদকে। ১৪৪ ধারা জারির কারণ দর্শিয়ে কোন্নগরেই সুকান্ত-সহ বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় পুলিস (Hooghly Police)। তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। ব্যারিকেড ভাঙতে পুলিসের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। জানা গিয়েছে, তিনি সোমবার উত্তরপাড়ার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষকে দেখতে যান।
সেখান থেকে রিষড়ায় ঢোকার মুখে ব্যারিকেড গড়ে পুলিস বাধা দেয় সুকান্ত মজুমদারকে। এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেন, 'মানুষদের উপর হামলা হয়েছে। আমাদের সাংসদরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানাবে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও টিএমসি সাংসদ ঘুরছেন। কিন্তু আমাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের কর্মী, যারা আক্রান্ত, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ১৪৪ যেখানে নেই সেখানেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গ কাশ্মীর হয়ে গিয়েছে। বোমাবাজি চলছে। আইনশৃঙ্খলা কোথায়?' পুলিস কথা না শুনলে ধর্নায় বসবো বলেও হুঙ্কার ছাড়েন তিনি। তিনি ফিরে গিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাবেন। তাঁর সঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কথা হয়েছে বলে সোমবার জানান সুকান্ত মজুমদার।
এদিন পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ান সুকান্ত মজুমদার। পুলিসি বাধার মুখে পড়ে বিজেপি সভাপতির আবেদন, 'আপনারা কিছু করুন। মার খেলে, বোমাবাজি হলেও কিছু করবেন না? ১৪৪-র বাইরে আপনারা কীভাবে আটকাচ্ছেন?' কোন কোন জায়গায় ১৪৪ ধারা, সেই অর্ডার পুলিসকর্তাকে দেখাতে বলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। যদিও পুলিসের আবেদন, '১৪৪ জারি রয়েছে আপনারা সহযোগিতা করুন। আপনারা পরে অনুমতি নিয়ে নিশ্চয় যাবেন। ওই এলাকাতেই যাওয়া যাবে না।' যদিও রিষড়ায় যেতে অনড় সুকান্ত মজুমদার।
কল আছে কিন্তু কলে জল নেই। প্রায় দু'বছর আগে এসেছিল পানীয় জলের (Drinking Water) লাইন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখনও সেই কলের লাইনে জল আসেনি। বাঁকুড়া (Bankura Village) দু'নম্বর ব্লকের জুনবেদিয়া গ্রাম, যে গ্রামে লকডাউনের আগে পানীয় জলের লাইন আসে। সেই লাইনে এখনও পর্যন্ত একফোঁটা জলের দেখা পায়নি গোটা গ্রামবাসী। গ্রামবাসীদের ভরসা মাত্র একটি টিউবওয়েল। দাবি, পানীয় জলের জন্য গাড়ির তেল পুড়িয়ে প্রতিদিন দেড় কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। গরমের প্রবল তাপ-উত্তাপ মাথায় করে এপ্রকার বাধ্য হয়ে যেতে হয় খাবার জল আনতে।
অভিযোগ, 'বহুবার প্রশাসনকে দরখাস্ত দেওয়া হলেও তারা এই ব্যাপারে কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। গ্রামের প্রতি ঘরে কলের লাইন থাকা সত্ত্বেও সেই লাইনে জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও গ্রামে একটা পুকুর পর্যন্ত নেই। বাড়ির মহিলা সদস্যদের স্নান করতে দূর-দূরান্তে যেতে হয়। পানীয় জলের সংঙ্কটে ভুগছে বাঁকুড়ার এই গ্রাম।' গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, পানীয় জলের ব্যবস্থা না করলে তারা ভোট বয়কট করবে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তার আগেই বাঁকুড়ায় জলের সমস্যা। এবার দেখার প্রশাসন এব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়।
অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা পেলেন অধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর (Sri Sri Ravishankar)। তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তিরুপুর থেকে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টারে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জরুরি অবতরণ (Emergency Landing) করে হেলিকপ্টারটি। তিনি এখন সুস্থ রয়েছেন। বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই চালকের উপস্থিত বুদ্ধির জেরে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান গুরু রবিশঙ্কর।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তামিলনাড়ুর ইরোড জেলার সত্যমঙ্গলম নামের এক আদিবাসী গ্রামে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন হেলিকপ্টার চালক।
রবিশঙ্কর ছাড়াও হেলিকপ্টারে আরও চার যাত্রী ছিলেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকলেই সুস্থ আছেন। কারও কোনও আঘাত লাগেনি। যদিও অবতরণ করার পর ৫০ মিনিট অপেক্ষা করে ফের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে উড়ে যান প্রত্যেকে।
তথ্য অনুযায়ী, খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করা হয়। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চিন্তিত হয়ে পড়েন দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা ‘আর্ট অফ লিভিং’-র প্রতিষ্ঠাতার ভক্তরা। পরে অবশ্য ‘আর্ট অফ লিভিং’-এর তরফে জানানো হয়, “গুরুদেব ভাল আছেন। চিন্তার কোনও কারণ নেই।”
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ফিটনেস দেখতে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে নামতে পারেন ভারতীয় দলের(Indian Cricket Team) নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja)। এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জয়দেব শাহ (Jaydev Shah) তেমনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আগামী ২৪ শে জানুয়ারি তামিলনাড়ুর বিপক্ষে জাদেজাকে সৌরাষ্ট্র জার্সিতে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। গত বছর সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান এই ব্যাটার। ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাবে রয়েছেন জাদেজা। আগামী ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখ থেকে নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুরু হতে চলা ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দুটির জন্য ১৭ জনের দলে জায়গা পেয়েছেন জাদেজা। এই বাঁহাতি ব্যাটার, ঋষভ পান্থের অবর্তমানে মিডিল অর্ডারে নির্ভরতা দেবে ভারতীয় দলকে এমনটা আশা করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ফলে নিজের ফিটনেস ঝালিয়ে নিতেই রঞ্জিতে নামছেন জাদ্দু।
বাদাম ভেবে বিষাক্ত ফল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ৮ জন শিশু। সকলের চিকিৎসা চলছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার ওন্দা থানার রামসাগরের তেঘরিয়া গ্রামে। গ্রামবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে বাচ্চারা মাঠে খেলতে যায়। খেলার সময় ভ্যারেন্ডা নামক ফল কুড়িয়ে সেই ফলের বীচ বের করে বাদাম ভেবে খেয়ে ফেলে শিশুরা। সন্ধ্যায় গ্রামের বেশ কয়েকজন শিশু বমি,পায়খানা ও পেট ব্যাথার উপসর্গ শুরু হলে শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে রামসাগর প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে। সেখান থেকে ওন্দা সুপার স্পেশালিটি তারপর সেখান থেকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গিয়েছে, গ্রামের ৮ জন শিশু এই মুহুর্তে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। শিশুরা যে ফল খেয়েছিল সেই ফল খেয়ে দেখে অসুস্থ হয়ে পরেন বছর ৪৫-এর এক মহিলা। তিনিও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রামবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে অসুস্থ শিশুদের বয়স ৬ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। পরিবারের লোকজন শিশুরা যে ফল খেয়েছে সেই ফলও চিকিৎসকদের দেখিয়েছেন। প্রত্যেকে আপাতত সুস্থ রয়েছে বলে খবর।
প্রসূন গুপ্ত: সৌরভ গাঙ্গুলি এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে অতীত। তাঁর সভাপতিত্ব এক প্রকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং যুক্তি দেখানো হয়েছে, তিন বছরের বেশি কেউ বোর্ডের সভাপতি থাকেননি। অথচ অতীত ঘেঁটে দেখা যাবে জগমোহন ডালমিয়া টানা বহু বছর বিসিসিআই সভাপতি ছিলেন। এদিকে, সৌরভ সরে যাওয়ার পর তাঁর প্রিয়পাত্রদের সরানোর কি সূক্ষ্ম পরিকল্পনা চলছে? গুঞ্জন অবশ্য এমনটাই শোনা যাচ্ছে। সৌরভ সভাপতি থাকার আগে ভারতীয় দলের কোচ করতে চেয়েছিলেন বন্ধু অনিল কুম্বলেকে, হয়েও ছিলেন তিনি কিন্তু বিরাট কোহলিদের আস্থা অর্জন করতে না পারার জন্য তাঁকে দ্রুত সরে যেতে হয়।
কোচ হয় আসেন রবি শাস্ত্রী। সৌরভের অত্যন্ত অপছন্দের চরিত্র বরাবরই রবি। অন্যদিকে বিরাট কিন্তু একটা সময়ে সৌরভের প্রিয়পাত্র ছিলেন কিন্তু রবি-কোহলি জুটি অনেকটাই তাঁদের মতো করে দল চালাতে শুরু করেন। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ-সহ বহু আইসিসি ট্রফি হাতছাড়া হয় ভারতের। সৌরভ পুরো দায়িত্ব পাওয়ার পর ধীরে ধীরে অধিনায়কত্ব হারান বিরাট কোহলি এবং কোচিংয়ের দায়িত্ব থেকে সরানো হয় রবি শাস্ত্রীকে।
কোচিংয়ের দায়িত্ব এক প্রকার জোর করেই রাহুল দ্রাবিড়ের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়। সৌরভ চেয়েছিলেন বন্ধু রাহুল দায়িত্ব নিক। অন্যদিকে তিন ধরণের অর্থাৎ টেস্ট, ওয়ান ডে এবং টি২০-র অধিনায়কত্বের দায়িত্ব যাক রোহিত শর্মার কাছে। রোহিত, সৌরভ ও গাভাস্কারের প্রিয়পাত্র বলে গুঞ্জন। কথাতো বাস্তব সৌরভ এবং সানির সখ্যতা সর্বজনবিদিত। এবার টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত বিদায় নেওয়ার পর টিম জয় শাহ সক্রিয় রোহিতকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর জন্য বলে সংবাদ।
অন্যদিকে ফের যদি সুযোগ আসে এই আশায় রবি শাস্ত্রী চরম সমালোচনা শুরু করেছেন রাহুল দ্রাবিড়ের। তিনি বলছেন কেন দ্রাবিড় নিউজিল্যান্ডে গেলেন না। তিনি আরও অনেক বিষয়ে দ্রাবিড়ের সমালোচনা করছেন। এদিকে সৌরভের আরেক প্রিয়পাত্র ভিভিএস লক্ষণ বর্তমানে সাময়িক কোচের দায়িত্ব নিয়ে নিউজিল্যান্ডে। কিছু একটা না দেখতে পারলে কে বলতে পারে তাঁর উপরও কোপ পড়তে পারে। রাজনীতির পাঁকচক্রে এখন ভারতীয় ক্রিকেট দল।
আসন্ন গুজরাত বিধানসভা (Gujrat Vote) ভোটে বড়সড় চমক বিজেপির। ভারতীয় ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার (Ravindra Jadeja) স্ত্রী রিভাবাকে প্রার্থী করল পদ্মশিবির। বৃহস্পতিবার বিজেপি (Gujrat BJP) গুজরাতের ১৮২টি আসনের মধ্যে প্রায় ৯০% আসন অর্থাৎ ১৬০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জামনগর উত্তর আসনেই প্রার্থী করা হয়েছে রিভাবাকে।
২০১৯-র ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রিভাবা। সে সময় তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও, শেষ পর্যন্ত শিকে ছেড়েনি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য তিন বছর আগে লোকসভা ভোটের আগেই রবীন্দ্রের বাবা অনিরুদ্ধসিন ও বোন নৈনবা কংগ্রেসে যোগ দেন। সে সময় তাঁদের কংগ্রেসে এনেছিলেন পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেল। ঘটনাচক্রে হার্দিক এখন বিজেপিতে। তাঁকেও আমদাবাদের বিরামগ্রাম বিধানসভায় প্রার্থী করেছে পদ্মশিবির।
আমদাবাদেরই ঘাটলোদিয়া আসনে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। ২০১৭ সালেও তিনি ওই আসন থেকেই জিতেছিলেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা রুখতে বিজেপি এবার গুজরাতে তাঁদের বিদায়ী ৩৮ জন বিধায়ককে টিকিট দেয়নি। অপরদিকে বুধবার গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল ভোটে না লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। যদিও সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে তাঁরা আগেভাগেই নিশ্চিত হয়েছিলেন, এবার টিকিট পাবেন না, তাই এই ঘোষণা।