
এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দুই যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ির অর্ড চা বাগানে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম নিতেন ওরাঁও ও সুমেশ সাউরিয়া। ধৃত দুজনই হল নকশালবাড়ি বেলগাছি এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলার পর, ধৃতদের পুলিসি হেফাজতে চেয়ে এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিযেছে, বুধবার সন্ধ্যায় ওই যুবতীকে ফোন করে চা বাগানের নির্জন এলাকায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিল ওই দুই যুবক। তারপর যুবতীকে ধরে বেঁধে গণধর্ষণ করে অভিযুক্ত দুই যুবক বলে অভিযোগ। এরপর সুযোগ বুঝে ওই যুবতী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বাড়িতে। সমস্ত ঘটনা জানাতেই বুধবার রাতেই যুবতীর পরিবারের সদস্যরা নকশালবাড়ি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সেদিন রাতেই নকশালবাড়ি থানার পুলিস অভিযুক্ত ওই দুইজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
নওশাদ সিদিক্কির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলায় হওয়া হুমকির মামলা নিস্পত্তি করল কলকাতা হাইকোর্ট। আবেদনকারী মনে করলে নতুন করে বিস্তারিত অভিযোগ জানিয়ে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করতে পারেন বুধবার জানিয়ে দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পাশাপাশি ডোমকল থানাকে হুমকি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেশ করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ ওঠে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে। জল গড়ায় আদালতেও। যদিও অভিযোগকারী মহিলার দাবি, অভিযোগ জানানোর পর থেকেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিসে অভিযোগ জানিয়েও মিলছে না সুরাহা। অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বুধবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্যের উদ্দেশ্যে জানতে চান, পুলিস এখনও কেন নিরাপত্তা দেয়নি? তাদের কাছে আবেদন জানানোর পরেও পুলিস মনে করছে কি তার দরকার নেই? এর পরেই বিচারপতি বলেন, অভিযোগ যদি সত্যি না হয় তাহলে অভিযোগকারী বিপদে পড়বেন।
নওশাদ সিদ্দিকীর আইনজীবী রাজদীপ আদালতে জানান, তার মক্কেলের জামিন খারিজের চক্রান্ত চলছে। বিধানসভার একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক তিনি। তাঁকে ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় প্রার্থী করার কথা চলছে। এই আবহে তার জামিন খারিজের চেষ্টায় এটা চক্রান্ত। একেবারে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার পাঁচ বছর পরে অভিযোগ সামনে আনা হয়েছে।রাজ্যের আইনজীবী আদালতে বলেন, পুলিস নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
সব পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে, বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, অভিযোগকারী চাইলে নতুন করে বিস্তারিত জানিয়ে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করতে পারেন। এই নির্দেশ দিয়ে মামলার নিস্পত্তি করেন বিচারপতি।
টাকার লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার এক ব্যক্তি। সোমবার রাতে খড়িবাড়ি রানীগঞ্জ-পানিশালীর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত নেপাল সীমান্ত লাগোয়া এলাকা ঘটনা। অভিযোগ টাকার লোভ দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে দিনের পর দিন ধর্ষন করত ওই অভিযুক্ত। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম সীতারাম সিংহ। সোমবার রাতে ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। ওই অভিযুক্তকে মঙ্গলবার সকালে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ওই নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
পুলিস সূত্রের খবর, ওই অভিযুক্তকে পুলিসি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি ওই নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘ একমাস ধরেই মাঝে মাঝে পঞ্চম শ্রেণীর ওই নাবালিকার হাতে টাকা দেখতে পেত তাঁর অবিভাবক। এরপর সন্দেহ হওয়ায় ওই নাবালিকাকে জিজ্ঞেস করা হলে সমস্ত ঘটনা জানতে পারেন। এরপরই প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয় খড়িবাড়ি থানায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিস প্রথমে ওই নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর নাবালিকার বয়ানের ভিত্তিতে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই অভিযুক্তের পাশাপাশি ওই নির্যাতিতাকে গোপন জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে, এছাড়া তড়িঘড়ি ওই নির্যাতিতার মেডিকেল টেস্ট করানো হবে বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। এবং স্থানীয়দের তরফে ওই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে।
গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তপ্ত মালদা। মানসিক অবসাদগ্রস্থ এক নাবালিকাকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ঢুকিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মালদার মোথাবাড়ি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মোথাবাড়ি এলাকার ওই নাবালিকাকে বুধবার রাত থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের খোঁজ শুরু হয়। বেলা বাড়তে স্থানীয় একটি স্কুলের ভিতর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরেই রাজনৈতিক চাপানোতর শুরু হয়েছে। বালক ব্রহ্মচারী গঠিত সন্তান দলের তরফে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মৃত্যু দণ্ডের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে বাঙ্গিটোলা অঞ্চলের প্রধান মহিদুর শেখ জানিয়েছেন, ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করছে পুলিশ। দোষীরা শাস্তি পাবে। এদিকে ধর্ষিতার মায়ের দাবি, তাঁর মেয়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরের দিন স্থানীয় একটি স্কুলের ভিতর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
আপাতত স্বস্তি। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে রক্ষাকবচ দিল আদালত। ধর্ষণের অভিযোগে নওশাদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
বুধবার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। হাই কোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায় দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনেন।
এর পরেই আদালত জানিয়েছে, আপাতত রক্ষাকবচ দেওয়া হচ্ছে আইএসএফ বিধায়ককে। আগামী ১৬ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার আগে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।
এক মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা। অভিযুক্তকে হাতেনাতে পাকড়াও করে গণধোলাই এলাকাবাসীদের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ (Malda) জেলার মানিকচক থানার অন্তর্গত খয়ের তলায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে মানিকচক থানার পুলিস (Police)। পুলিস অভিযুক্তকে আহত অবস্থায় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে চিকিৎসার জন্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ উত্তপ্ত ওই এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে চাষের জমিতে লঙ্কা তুলতে গিয়েছিল ওই মহিলা। সেই সময়ই অভিযুক্ত পিছন থেকে ওই মহিলাকে ধরে। এমনকি রুমাল দিয়ে ওই মহিলার মুখও বন্ধ করে তাঁকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। ঠিক সেই সময়ই স্থানীয় কিছু যুবক এই ঘটনাটি দেখতে পায়। পরে তাঁরাই তড়িঘড়ি করে ওই যুবককে ঘটনাস্থলে হাতনাতে ধরে। তারপরেই অভিযুক্তকে গণধোলাই দেন স্থানীয়রা। তারপরেই খবর দেওয়া হয় মানিকচক থানায়, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। এমনকি ওই অভিযুক্তের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বিশ্বের জনতার কাছে তিনি জনপ্রিয় তো বটেই। কিন্তু এবারে তাঁর জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে পিছপা হলেন না এক রাষ্ট্রনেতা। দেখা গিয়েছে, পাপুয়া নিউ গিনির (Papua New Guinea) মাটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) পা ফেলতেই তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে (James Marape)। এই মুহূর্ত পুরো বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। সূত্রের খবর, জাপানের হিরোসিমায় জি-৭ সামিটের পরই রবিবার সন্ধ্যায় পাপুয়া নিউ গিনি যান তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদীই প্রথম পাপুয়া নিউ গিনিতে গিয়েছেন। আর তখনই এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ত্রিদেশীয় সফরে বেরিয়েছেন। সোমবার ইন্ডিয়া-প্যাসিফিক আইল্যান্ডস কো-অপারেশন ফোরামের তৃতীয় সামিট হবে পাপুয়া নিউ গিনিতে। তাই রবিবারই পাপুয়া নিউ গিনিতে পৌঁছে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি যখন বিমান থেকে নামেন তখনই তাঁকে অভ্যর্থনা জানান জেমস মারাপে। এরপর তাঁকে আলিঙ্গন করে তাঁর সঙ্গে করমর্দন করেন ও তাঁর পা স্পর্শ করে প্রণাম জানান জেমস মারাপে। এক দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই পা ছুঁয়ে প্রণাম, বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেছে বিশেষজ্ঞমহল।
এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য পাপুয়া নিউ গিনির নিয়মেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। সেদেশের নিয়ম, সূর্যাস্তের পর কোনও নেতা পাপুয়া নিউ গিনিতে পৌঁছলে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয় না। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী মোদীর ক্ষেত্রে সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়। রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় সেখানে পৌঁছন মোদী। কিন্তু তারপরেও তাঁকে বিশেষভাবে সম্মান জানানো হয়।
পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রীর এমন উষ্ণ অভ্যর্থনায় আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি টুইটে লিখেছেন, 'বিমানবন্দরে এসে আমাকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রধামন্ত্রী জেমস মারাপেকে ধন্যবাদ। বিশেষ এই অভ্যর্থনা আমি সারাজীবন মনে রাখব। দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার আমি চেষ্টা করব।'
নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ এবং খুনের অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড বাধল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। থানা এবং ওই চত্বরের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের থামাতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিস। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেলও। ঘটনার জেরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। সংঘর্ষের জেরে জনাকয়েক পুলিসকর্মী জখম হয়েছেন বলে কালিয়াগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে পুলিস কয়েক জনকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারও করেছে।
সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনা ঘিরে একাধিকবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জের পরিস্থিতি। তেমন আবহ তৈরি হল আবার। মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জে থানা অভিযান কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিল রাজবংশী তপশিলি আদিবাসী সমন্বয় কমিটি। ওই কর্মসূচি থেকে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তোলা হয়। ওই কমিটির তরফে বহু মানুষ থানা অভিযান করেন। কর্মসূচির আগাম খবর রেয়ে থানার সামনে তিনটি জায়গায় ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিস। অভিযোগ, সেই ব্যারিকেড ভেঙে দেন আন্দোলনকারীরা। এর পর, পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিস পরিস্থিতি সামাল দিতে ছোড়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল।
এরপর মারমুখী হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা থানায় ঢুকে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় থানার একটি অংশে। একই দাবিতে মঙ্গলবার রায়গঞ্জে পুলিস সুপারের দফতর ঘেরাও অভিযান করেছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচি ঘিরেও ছড়ায় উত্তেজনা। আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন।
এক তরুণীকে গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগ। তরুণীর প্রেমিককে বেধড়ক মারধরের পর নগ্ন করে গাছে বেঁধে রাখারও অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস (Police)।
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। প্রেমিকের সঙ্গে সন্ধ্যায় হাঁটতে বেড়িয়েছিলেন ওই তরুণী। হাঁটতে হাঁটতে কাছের একটি পাহাড়ে যান দুজনে। ওই প্রমিক যুগল একটু ফাঁকা জায়গাতে গেলেই তাঁদের সমনে পথ আটকে দাঁড়ায় অভিযুক্ত দুই যুবক। পথ আটকানোয় ওই যুবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয় তাঁদের। পরে ওই তরুণ একটি খালি বিয়ারের বোতল দিয়ে ওই দুই যুবককে আঘাত করেন। পরে এই আঘাতের পাল্টা হামলা চালায় ওই দুই যুবক। অভিযোগ, 'তরুণকে বেধড়ক মারধরের পর নগ্ন করে গাছে বেঁধে রাখে তাঁরা। পরে তরুণীকে টানতে টানতে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। এমনকি সেখানেই তরুণীকে গণধর্ষণ করে দুই যুবক।'
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের কবল থেকে নিজেকে কোনওরকমে মুক্ত করে বাড়িতে পৌঁছন তরুণী। বাড়িতে গিয়ে গোটা ঘটনাটি জানান তিনি। তারপরেই থানায় গিয়ে উপস্থিত হয় তরুণীর পরিবার। এরপর পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীর প্রেমিক গাছে বাঁধা অবস্থায় দেখে এবং তাঁকে উদ্ধার করে।
বিদ্যালয়ের মধ্যেই নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের (Rape) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তিন যুবকের বিরুদ্ধে। মালদহের (Malda) গাজল থানা এলাকার ঘটনা। ইতিমধ্যেই ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে গাজল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিস (Police)।
পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাটি ১৮ই মার্চের। নির্যাতিতা গাজলের একটি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী । তাকে স্কুলের দোতলার রুমে নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁরা আরও জানায়, শনিবার নাবালিকা সকাল ১০টা নাগাদ স্কুলে যায়। তারপর দুপুর ১২টা নাগাদ সে স্কুলের মধ্যে কান্নাকাটি করলে, স্কুল থেকে পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠানো হয়। তখনই স্কুলের আরও কয়েকজন ছাত্রী নির্যাতিতার পরিবারকে গোটা ঘটনা জানায়।
নির্যাতিতার পরিবারের তরফে সোমবার গাজল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। মালদা জেলা পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, আইপিসি ধারায় মামলার রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পরীক্ষা ভালো হয়নি, বাড়িতে বোকা খাওয়ার ভয়ে দায়ের মিথ্যা ধর্ষণের (fake rape case) অভিযোগ! রাজধানী দিল্লির (Delhi incident) এক ১৪ বছরের কিশোরীর কাণ্ড শুনে রীতিমতো অবাক দিল্লি পুলিস। মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ করেই থেমে থাকেনি সেই নাবালিকা। নিজেই আবার ব্লেড দিয়ে কেটেছে হাত। আবার ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে পকসো আইনের (Pocso Case) অধীনে মামলাও রুজু করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, চলতি মাসের ১৫ তারিখ এই অভিযোগ দিল্লির ভজনপুরা পুলিস স্টেশনে দায়ের হয়েছে। দশম শ্রেণির ওই নাবালিকা জানিয়েছে, সেদিন পরীক্ষা দিয়ে আসার পর তিনটি ছেলে তার বাড়ির কিছু মিটার দূরে নিয়ে যায় ও তাকে ধর্ষণ করে। যার ফলে সে আহতও হয়েছে। এরপর পুলিস এই ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে।
ফুটেজ ভালো করে খতিয়ে দেখতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। দেখা যায় দশম শ্রেণির ছাত্রীটি যেমন দাবি করেছিল, তেমনটা কিছুই ঘটেনি। বরং সে রাস্তায় একাই ঘুুরে বেড়াচ্ছিল। এরপর তাকে জেরা করতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ও সেখানেই নাবালিকা অবশেষে মুখ খোলে। সে বলেছে, '১৫ মার্চ তার সোশ্যাল স্টাডিজের পরীক্ষা ছিল, আর সেটা একেবারেই ভালো হয়নি। বাড়িতে যাতে বাবা-মায়ের কাছে বকুনি খেতে না হয়, তাই নিজেই নিজেকে আহত করেছে ও এই মিথ্যা ধর্ষণের গল্প বানিয়েছে।' তার এই বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এই মামলার কোনও সত্যতা নেই বলে খারিজ করা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে পুলিস।
এক অন্ধ মহিলাকে দু'বার ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের (Gujarat) ভালসাড় এলাকায়। নির্যাতিতা ভালসাড় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা স্ত্রী এবং তাঁর স্বামী দু’জনেই দৃষ্টি হারিয়েছেন। সাহায্য দিতে মাঝেমধ্যেই ওই অন্ধ দম্পতির বাড়িতে যেতেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দুই কর্মী। দুই অভিযুক্ত কানা ভাদার্কা এবং দিলীপ দাক্সানি গুজরাতের সোলসুম্বা গ্রামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। ওই সংস্থার তরফে অন্ধদের খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দান করা হয়।
নির্যাতিতার অভিযোগ, গত বছর অগস্টে ঘটেছে এই ঘটনা। ওই দুই অভিযুক্ত খাবার পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সি ওই মহিলার বাড়িতে। পাখা সারাই করার অজুহাতে কানা নামের এই ব্যক্তি ঘরের ভিতরেই থেকে গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার স্বামীও চোখে দেখতে পান না। ফলে কাজের অজুহাতে তাঁর স্বামীকে নিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন দিলীপ।
তারপরেই নির্যাতিতাকে একা পেয়ে কানা তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার এক মাস পর আবার এই নির্যাতিতার বাড়িতে আসেন অভিযুক্তরা। এবার ওই মহিলাকে বাড়িতে একা পেয়ে দিলীপও ধর্ষণ করেন, ঠিক এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার। তাই চলতি বছরেই ভালসাড় থানায় ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিস। শুক্রবার উমরগাম গ্রাম থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্তও শুরু করে দিয়েছে পুলিস। তবে এত দেরি করে অভিযোগ দায়ের করার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছে না পুলিস।
কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে বুলডোজার দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হল অভিযুক্তর বাড়ি।শুক্রবার বুলডোজার নিয়ে অভিযুক্তের বাড়ির সামনে উপস্থিত হয় মধ্যপ্রদেশ পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম কৌশল কিশোর চৌবে। সরকারি জমি দখল করে বাড়ি বানিয়েছেন অভিযুক্ত। সেই কারণে একটা মামলা চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি কয়েকদিন আগেই কৌশলের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যে কৌশলকে গ্রেফতার করেছে পুলিস
#WATCH | Shahdol, Madhya Pradesh: District administration demolished houses of 2 rape accused in Chuniya village pic.twitter.com/5QzR6ymwqt
— ANI MP/CG/Rajasthan (@ANI_MP_CG_RJ) March 10, 2023
এদিকে তদন্তে নেমে জানা যায়, সরকারি জায়গা বাজেয়াপ্ত করে বাড়ি বানিয়েছেন কৌশল। তাঁর বিরুদ্ধে এবার আরও বেশি সক্রিয় হয় পুলিস প্রশাসন। এই ঘটনায় কয়েকজন পুলিসকর্মী বুলডোজার নিয়ে হাজির হয় কৌশলের বাড়িতে। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় তাঁর বাড়ি। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, কয়েকজন মহিলা পুলিস বুলডোজার নিয়ে অভিযুক্তর বাড়ির সামনে এসে হাজির হয়েছেন। সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
কিন্তু প্রশাসনের একটি সূত্র বলছে, ধর্ষণের মামলার সঙ্গে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এই ধর্ষণের ঘটনায় অপর এক অভিযুক্তর বাড়িতেও বুলডোজার চলেছে বলে খবর।
মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার নামে ডেকে গণধর্ষণ (Gang Rape) এক কিশোরীকে। তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে এভাবে যৌন নিগ্রহের (Sexual Harrasment) অভিযোগ ওঠে। কর্নাটকের হুবলির (Karnataka incident) এই ঘটনায় কাঠগড়ায় চার যুবক। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনায় অভিযুক্ত দু'জন অপরাধীকে চিহ্নিত করা গেলেও বাকি দু'জনের কোনও খোঁজ পাননি তারা। এই চারজন অভিযুক্তর মধ্যে দু'জন ছিল ওই কিশোরীর বন্ধু।
বুধবার হুবলি বাইপাস কিং রোডের ব্রিজের কাছে চারজন গণধর্ষণ করে কিশোরীকে। ফোন করে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার নাম করে ডেকে আনা হয় কিশোরীকে। তারপর তাকে বাইকে তুলে নিয়ে যায় একটি ফাঁকা জায়গায়, সেখানে গিয়েই কিশোরীর দুই বন্ধু-সহ আরও দু'জন একত্রে গণধর্ষণ করে কিশোরীকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তদের খোঁজ করে গ্রেফতার করবে।
অন্তঃসত্বা বধূকে(Pregnant Woman) বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ(Rape) এক যুবকের বিরুদ্ধে। কুলতুলি(Kultali Police) থানা এলাকার ঘটনায় নির্যাতিতা নিজেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম নাজির পুরকাইত। দেড় বছরের বাচ্চার সামনেই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ বধূর বাড়িতে ঢুকে যৌন নির্যাতন চালায় নাজির বলে অভিযোগ। বধুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। সে সময় পালাতে গেলে প্রতিবেশীদের হাতে ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত। তখন স্থানীয়রাই অভিযুক্তকে পুলিসের হাতে তুলে দেন।
নির্যাতিতা জানান, স্বামী বাড়িতে না থাকায় দেড় বছরের সন্তানকে নিয়ে একাই ছিলেন বধূ। নির্যাতিতার স্বামী রং-এর কাজ করেন। কাজের কারণে তাকে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। তাই বাড়িতে স্বামী না থাকার সুযোগে জোর করে বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নির্যাতিতা আরও জানান, অভিযুক্ত যুবক তাঁর পুর্ব পরিচিত। মাঝেমধ্যে তাঁরা ফোনে কথাও বলতেন।