Breaking News
Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...     

RajBhawan

Raj Bhaban: হাতেখড়ির পর রাজ ভবনে এবার পয়লা বৈশাখ উদযাপন! কারা আমন্ত্রিত

রাজভবনের ভিতরে বিভিন্ন দুর্লভ জিনিস দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ৷ পাশাপাশি এবার রাজভবনে পালিত হবে "বাংলা নববর্ষ" উৎসব। বাংলার নববর্ষ পালনের জন্য ইতিমধ্যেই দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। নববর্ষ পালন অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীও।

সূত্রের খবর ওই দিন বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে আনা হবে রাজভবনে। বাংলা ভাষার উপর আলোচনা হবে রাজভবনে। পয়লা বৈশাখ বিকেলেই রাজভবনেই হবে এই অনুষ্ঠান। সম্প্রতি বাংলা ভাষা শেখার জন্য হাতেখড়ি করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সরস্বতী পুজোর দিন। আর এবার রাজভবনে "বাংলার নববর্ষ" পালিত হতে চলেছে। আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকা ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করতে শুরু করছে রাজভবন বলেই সূত্রের খবর।

পয়লা বৈশাখ থেকেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে রাজভবন। মূলত "হেরিটেজ ওয়াক" নাম দেওয়া হয়েছে সেই অনুষ্ঠানের। রাজভবনের ভিতরে বিভিন্ন দুর্লভ জিনিস দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ৷ তবে কীকী দেখানো হবে সেই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।


12 months ago
Raj Bhawan: খুদে শিক্ষাগুরুর থেকে অ এবং আ লেখা শিখলেন রাজ্যপাল! রাজ ভবনে হাতেখড়ি অনুষ্ঠান

বাংলা শিখতে রাজ ভবনে হাতে-খড়ি অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আগামি ৫ বছরের মধ্যে তিনি বাংলা ভাষা রপ্ত করতে চান। এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বাংলার রাজ্যপাল। সেই লক্ষে পৌঁছতেই সরস্বতী পুজোর দিন থেকেই 'ছাত্র' হিসেবে বাংলা ভাষা চর্চা শুরু করলেন তিনি। তাই প্রথামাফিক হল তাঁর হাতে-খড়ি। নয় বছরের শিশুকন্যা ইয়াসিনি রায় এদিন রাজ্যপালকে শিশু-গুরু হিসেবে হাতে-খড়ি দিয়েছে। ব্ল্যাক বোর্ডে সিভি আনন্দ বোসের হাত ধরে অ এবং আ লেখায় এই শিশুকন্যা। গুরু দক্ষিণা হিসেবে ইয়াসিনির হাতে উপহার তুলে দেন রাজ্যপাল।

একইভাবে আরও দুই খুদে-গুরু রাজ্যপালকে ইংরাজি থেকে বাংলা অনুবাদ শেখান। মাদার মানে মা এবং আর্থ মানে ভূমি ডক্টর বোসকে শেখানো হয়েছে। তাদের হাতেও তুলে দেওয়া গুরু দক্ষিণা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার অধ্যক্ষ ছাড়াও ছিলেন প্রবীণ সিপিএম নেতা বিমান বসু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেও, তিনি যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন আগেই।

one year ago
Collage: সুকান্ত কন্যার হাতেখড়ি থেকে রাজভবনের অনুষ্ঠান! সরস্বতী বন্দনায় মাতোয়ারা বাংলা

প্রসূন গুপ্ত: দুর্গাপুজো কালীপুজোর পর এক মস্ত বিরাম। তারপর শীতের শেষে আসে সরস্বতী পুজো। যদিও বলা হয়ে থাকে যে এটা আদতে ছাত্রছাত্রীদের পুজো। কিন্তু বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে পুজো হয়ে থাকে। কারণ সরস্বতী বাগ্দেবী, গান-বাজনার আসরে যাবো আর সরস্বতী বন্দনা থাকবে না, তাই কি হয়? কিন্তু বিভিন্ন ক্লাবেও ঘটা করে সরস্বতী পুজো হয় নিয়মিত। তৃণমূল সরকার হওয়ার পর এই পুজো তো সমস্ত নেতাই নিজ নিজ এলাকায় করে থাকেন। ব্যতিক্রম নয় বিজেপির নেতা, বিধায়ক-সাংসদরাও। যে যেখানে যেভাবে পারেন পুজো করেন।

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী ২৬ জানুয়ারী হওয়াতে প্রথমে রেড রোডে ছিলেন। কুচকাওয়াজে পরে চলে যান তাঁর কলেজ, যোগমায়া দেবীতে। এখান থেকেই স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের পুজো-খাওয়াদাওয়া ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা খবর নিয়েছেন। মদন মিত্রকে দেখা গিয়েছে প্রেসিডেন্সি কলেজের বাইরে। কলেজের বাইরে পুজো হচ্ছে, কারণ কলেজে পুজো হয় না, ধর্মনিরপেক্ষতার কারণে এটাই প্রেসিডেন্সির দস্তুর। যদিও তৃণমূল ছাত্ররা চেয়েছিল পুজো কলেজেই হোক কিন্তু দলের সায় ছিল না।


মদন উপস্থিত হওয়াতে ফের নতুন বিতর্ক। কারণ তিনি ওই কলেজের প্রাক্তনীও নয়।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বাড়িতে নিয়মিত বাগ্দেবীর আরাধনা করে থাকেন, তিনি অধ্যাপকও বটে। কিন্তু এবার ধুমধাম করে পুজো করলেন সুকান্ত। তাঁর ছোট মেয়ের হাতেখড়ি হল এদিন। রাজ্যপাল জানতে পেরে সুকান্তর কন্যাকে উপহার পাঠিয়েছিলেন। নেতারা পুজো করলেও 'খবরে' থাকার মতো বিশেষ কিছু নয় ব্যতিক্রম অরূপ বিশ্বাস। প্রতি বছর তাঁর নিজের টালিগঞ্জের অফিসে ধুমধাম করে পুজো করেন এবং নিমন্ত্রিত থাকে বিধাসভার প্রত্যেক মানুষ। দুপুরে কয়েক হাজার মানুষ একসঙ্গে খিচুড়ি, তরকারি, বেগুনি, মিষ্টি পায়েস ইত্যাদি ভোগ খেয়েছেন। উপস্থিত থাকেন টলিউডের শিল্পী-কলাকুশলীরা। ব্যতিক্রম নয় এবারও।

তবে সেরা খবর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের 'হাতেখড়ি'। মুখ্যমন্ত্রী-বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে রাজ্যপাল বাংলা হরফে লিখলেন। আগামী ৫ বছরে বাংলা শিখে বই লেখার ইচ্ছা আছে তাঁর।

one year ago


Raj Bhawan: আজ রাজভবনে রাজ্যপালের 'হাতেখড়ি'! আমন্ত্রিতদের তালিকায় কারা

প্রসূন গুপ্ত: সিভি আনন্দ বোস, নতুন রাজ্যপালের তাই নাম। জানা গেলো সিভি আনন্দ অবধি ঠিক আছে। কিন্তু দক্ষিণ ভারতীয় বিশেষ করে কেরালা ও তামিলনাডুর অধিবাসীরা নেতাজি সুভাষকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করেন। ফলে অনেকেরই নাম সুভাষ বা বোস। রাজ্যপালের নাম ওভাবেই এসেছে। আনন্দ বোস একেবারেই ব্যতিক্রমী চরিত্র। উচ্চ শিক্ষিত, বহু বিষয়ে বিস্তর পড়াশুনো এবং দেশের প্রশাসনিক বিষয়ে বহু দায়িত্ব সামলেছেন। বোসের লেখা বহু বই আছে যা কিনা দেশের সম্পদ মনে করেন অনেকেই।

রাজ্যপাল প্রচারের আলোর বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। যা কিনা প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনকরের একেবারেই উল্টো পথ। তিনি মনে করেন সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে যখন দায়িত্ব পেয়েছেন, তখন সেই কাজ নিপুনভাবে করা উচিত। এই রাজ্যপাল নিয়োগের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে না জানিয়ে কেন বারবার রাজ্যপাল নিয়োগ করা হচ্ছে। অমিত বুদ্ধিদীপ্ত ভঙ্গিতে মমতাকে জানিয়েছিলেন, ইনি অত্যন্ত কাজের মানুষ এবং প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা করে চলতে ভালোবাসেন, দিদির নিশ্চয় পছন্দ হবে।

বাস্তবিক আপাতত তাই সত্যি হয়েছে। রাজ্যপাল যেমন খুশি এ রাজ্যে এসে, তেমন মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে পেয়ে আনন্দিত। যা কিনা তিনি মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি শিক্ষাবিদ ও সিস্টার নিবেদিতার আচার্য সত্যম রায়চৌধুরীর আমন্ত্রণে গত ২৫ ডিসেম্বর তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিষয় নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্যের শতবর্ষ। সেদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলার তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্ব, কিন্তু শেষ বক্তা হিসাবে রাজ্যপাল মানুষের মন জয় করে নিলেন। তিনি বলেছিলেন, সাহিত্য জানতে গেলে রবীন্দ্রনাথকে জানতে হবে। রবি ঠাকুরের কাবুলিওয়ালার 'মিনি'-কে জেনে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন তাঁর পরিবারের কাছে।

তিনি বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র না পড়লে ভারতীয় সাহিত্য অসম্পূর্ণ থাকবে। তিনি জানান, তিনি বাংলা সাহিত্য পড়েছেন ইংরেজি অনুবাদে। কিন্তু আসন্ন ৫ বছরে তিনি বাংলা শিখে তাঁর বহু লেখা বইয়ের মতো বাংলাতেও বই লিখবেন। তিনি আবেদন করেন তাঁকে বাংলা শিখতে এবং বুঝতে সহযোগিতা করতে।

অবশেষে তাঁর সেই প্রচেষ্টা বাস্তবের দিকেই যাচ্ছে। আজ সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যায় তিনি কোনও পণ্ডিতের কাছে বাংলার 'হাতেখড়ি' নেবেন। অর্থাৎ লক্ষ্য তাঁর বাংলা শিক্ষার দিকে। তাঁর এই অনুষ্ঠানে বিশেষ ভাবে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য এবং বিদ্বজন। মমতা অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন সপার্ষদ। উপস্থিত থাকবেন বিজেপি, বাম, কংগ্রেস দলের প্রতিনিধিরা বলে আপাতত সংবাদ। কিন্তু থাকবেন না বলে খবর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভ কাজে রাজনীতি থাকছেই, এই প্রশ্ন এখন ঘুরেফিরে আসছে।

 

one year ago
Governor: শপথ গ্রহণ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের, নীল হাড়িতে সাদা রসগোল্লা পাঠালো নবান্ন

নির্ঘণ্ট মেনেই বুধবার রাজভবনে (Raj Bhawan) শপথ নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Dr CV Anand Bose)। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাম নেতা বিমান বসু। ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা।

নতুন রাজ্যপালকে অভ্যর্থনা জানাতে ইতিমধ্যে নীল হাড়িতে সাদা রসগোল্লা পাঠিয়েছে নবান্ন। তবে আসন বিতর্কে এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট করে সেই শপথ বয়কটের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক দলও। তবে সাড়ে ৫ মাস পর স্থায়ী রাজ্যপাল পেল বাংলা। রাষ্ট্রপতি ভবনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল, যেদিন শপথ নেবেন, সেদিন থেকেই রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত হবেন আনন্দ বোস। তাঁর পূর্বসূরি বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত সর্বজনবিদিত।

সেই সংঘাতের পরিবেশ বর্তমান আমলেও থাকবে কিনা, সেই দেখার অপেক্ষায় বাংলায় রাজনৈতিক মহল।

one year ago


Governor: কলকাতায় এলেন নতুন রাজ্যপাল, বুধবার শপথ গ্রহণ

প্রসূন গুপ্ত: সকাল সাড়ে ৯টা বাজতেই নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দর (Kolkata Airport) ছুঁল নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) বিমান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ববি হাকিম এবং শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা। উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং মুখ্য সচিব প্রমুখ। বিমানবন্দরেই তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় পুলিসের তরফে। শশী পাঁজা অনায়াস ভঙ্গিতে দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় বোসের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন। এরপর রাজ্যপাল রাজ্ভবনে (Raj Bhawan) যান, সেখানেই তিনি আজকের দিনটি থাকবেন কিনা জানা না গেলেও জানা গিয়েছে বুধবার তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নেবেন।

দিল্লি থেকে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, যে মুহূর্তে ডক্টর বোস শপথ নেবেন, সেই মুহূর্ত থেকে তিনি রাজ্যের ৫ বছরের স্থায়ী রাজ্যপাল হবেন। অবশ্যই এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথা হয়েছে এবং শাহ জানিয়েছেন যে এই নতুন রাজ্যপাল আনন্দ বোস ভালো লোক মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ হবে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর প্রিয়পাত্র এই বোস। যিনি দীর্ঘদিন সংবিধানের নানা কাজে যুক্ত। এই আইএএস প্রাক্তনী তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন কলকাতা থেকেই। নেতাজি সুভাষচন্দ্রের পদবি বোস নিয়েই তাঁর নাম বোস, অবশ্য নামের আগে একটি আনন্দও আছে।

তাঁর আগমনে খুশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর ইচ্ছা পূর্বতন রাজ্যপাল (ধনকর) মতোই সক্রিয় থাকবে বাংলার রাজ ভবন। যদিও রাজ্যপাল হওয়ার আগে বোস জানান, তিনি সংবিধান মেনেই সরকারকে সহযোগিতা করবেন। তাঁর সঙ্গে মমতার ফোনে কথা হয়েছে। বোসও মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ২৯টি পুরস্কারপ্রাপ্ত বোসকে জ্ঞানের আধার বলা হয়। দেখার বিষয় বাংলা, প্রকৃত সাংস্কৃতিক রুচিবান আদর্শে অচল এবং ৪০টি বই লেখা আনন্দ বোসকে কতটা কাছে পাবে আগামীতে।

one year ago
Oath: বুধবার রাজ ভবনে শপথ সিভি আনন্দ বোসের, থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী-বিরোধী দলনেতা

২৩ নভেম্বর, বুধবার বাংলার নতুন রাজ্যপাল (Governor CV Ananda Bose) হিসেবে শপথ নেবেন ডক্টর সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার রাতেই তিনি আসবেন রাজ ভবনে (Raj Bhawan)। শনিবার তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। বুধবার রাজ ভবনে (Governor of Bengal) ডক্টর বোসকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। জানা গিয়েছে, ২১ এবং ২৩ তারিখ, কবে তিনি শপথ গ্রহণ করবেন, জানতে চাওয়া হয়েছিল। ২৩ নভেম্বরকে বেছে নিয়েছেন বাংলার ভাবী রাজ্যপাল।

জানা গিয়েছে, এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বর্তমান অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশন ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এদিকে, প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্ট ডক্টর সিভি আনন্দ বোস সার্নে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। নেহেরু ফেলোশিপপ্রাপক ডক্টর বোসের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। দেশের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরের পদত্যাগের সাড়ে ৫ মাস পর স্থায়ী রাজ্যপাল পেয়েছে বাংলা।

one year ago
Governor: 'ম্যান অফ আইডিয়াস' নতুন রাজ্যপালকে নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য সরকার এবং বিজেপি?

প্রসূন গুপ্ত: বৃহস্পতিবার নির্ধারিত হয়ে গেল আর অস্থায়ী রাজ্যপাল নয়, এবার ৫ বছরের জন্য নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই নিয়মরক্ষায় নতুনত্ব বা অভিনবত্ব কিছু নেই তবু তৃণমূলের প্রশ্ন থাকে, ইনি কি পূর্বসূরি ধনকরের মতো হবেন নাকি নিরপেক্ষ? অন্যদিকে বিজেপির কাছে প্রশ্ন, সাময়িক রাজ্যপাল লা গণেশনের মতো হবেন নাকি ফের তাঁদের মনপসন্দ ধনকরের মতো নিরপেক্ষ? আসলে এই 'নিরপেক্ষতা' শব্দটি এখন ক্লিশে হয়ে গিয়েছে। যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলি ভাবে তাদের মনের মতো প্রশাসন বা সংবাদমাধ্যম হওয়া মানেই নিরপেক্ষ নতুবা পক্ষপাতদুষ্ট। সর্বত্রই এই ভাবনার মধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দল।

লা গণেশন দ্রুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় মানুষ হয়ে পড়েছিলেন। কালীপুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান গনেশন। এরপর অস্থায়ী রাজ্যপালের আমন্ত্রণে তাঁর চেন্নাইয়ের বাড়িতো যান মমতা। এরই মাঝে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী, গণেশনের সাক্ষাৎ চেয়েও পাননি। ফলে গুঞ্জনে এই কারণেই কি তাঁকে সরিয়ে বোসকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।

এবার প্রশ্ন কেমন মানুষ এই বোস? জানা গিয়েছে কেরালার ভূমিপুত্র আনন্দ বোস একজন প্রাক্তন আইএএস। দুর্দান্ত তাঁর কর্ম জীবন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিংয়ের প্রিয়পাত্র ছিলেন বোস। ২০১১-তে কর্মজীবন শেষ হলে তিনি বিজেপির ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন বলে সংবাদ।

তাঁকে নাকি সরকারি নানা উপদেষ্টামণ্ডলীতে রাখা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে সম্মান দিয়ে 'ম্যান অফ আইডিয়াস' বলে অভিহিত করেছেন। ২০১৯-এ তাঁর বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে অথবা রাজ্যসভার সদস্য হয়ে মোদী মন্ত্রিসভাতে আসার কথা ছিল। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক সেটা আর হয়নি।

নতুন রাজ্যপাল স্থির হওয়ার আগে নিয়ম করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাকি তা করেননি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অবশ্য অমিত শাহ ফোন করে বাড়তি জানান মমতাকে। ক্ষুব্ধ মমতা শাহকে বলেন, 'ফের তাঁকে না জানিয়েই কেন বারবার রাজ্যপাল নিয়োগ হচ্ছে।' অমিত শাহ মমতাকে নিশ্চিন্ত করেন, নতুন রাজ্যপাল আপনার খুব পছন্দের হবে। উনি খুব ভালো লোক। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে মমতার সঙ্গে অমিত কথা বলেন। এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন, রাজ্যপাল কারও কাছের লোক হবেন নাকি রাজ্যের সংবিধান প্রধান হয়ে রাজ ভবনে বসবেন।

one year ago


Governor: ডক্টর আনন্দ বোস বাংলার নতুন রাজ্যপাল, সাড়ে ৫ মাস পর স্থায়ী গভর্নর

অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের জায়গায় স্থায়ী রাজ্যপাল (Bengal Governor) হিসেবে বাংলার দায়িত্বে আসছেন  ডাঃ সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বর্তমানে মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা আনন্দ বোসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাষ্ট্রপতি ভবন (Raisina Hill)। তাঁকে মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ১৯৭৭ সালের সিভিল (IAS) সার্ভেন্ট, আবাস বিশেষজ্ঞ, লেখক এবং বাগ্মী আনন্দ বোস। ভারত সরকারের সচিব পদমর্যাদায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ডক্টর আনন্দ বোসের। পাশাপাশি অঙ্গ রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে জওহরলাল নেহেরু ফেলোশিপ প্রাপক এই ব্যক্তি। এমনকি সার্নে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেছে ডক্টর বোস। জগদীপ ধনকরের পর পাঁচ মাস স্থায়ী রাজ্যপাল পেল বাংলা।

জগদীপ ধনকড় উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর লা গণেশনকে অস্থায়ী রাজ্যপাল নিয়োগ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবন। কিন্তু বাংলার মতো রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ রাজ্যে স্থায়ী রাজ্যপাল নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে মোদী সরকার। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি বহুদিন স্থায়ী রাজ্যপাল চেয়ে দরবার করেছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট এবং ২০২৪-এ লোকসভা ভোট। তাই আগামি দিনে স্থায়ী রাজ্যপালের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিজেপির এই দরবার।

one year ago