শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। শুক্রবার সকালে থেকে কলকাতায় চলছে ইডির ম্য়ারাথন তল্লাশি। লেকটাউন সহ ৫ জায়গায় চলছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি। জানা গিয়েছে, এদিন চেতলায় বিশ্বরূপ বসু নামক এক ব্য়বসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরিবহন ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার 'মিডলম্য়ান' অর্থাৎ প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ এই বিশ্বরূপ বসু।
ইডি সূত্রে খবর, এদিন চেতলার ১৭৮ নম্বর পিয়ারী মোহন রায় রোডের বাড়িতে ছিলেন না বিশ্বরুপ বসু। সেখানে তাঁর দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্য়মে জানা যায়, কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন বিশ্বরূপ বসু। অন্যদিকে চেতলা লকগেটের কাছে বিশ্বরূপ বসুর আরেকটি ফ্ল্যাট পাওয়া গিয়েছে। যদিও সেই ফ্ল্যাটটি তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। সেখানেও তাঁর বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে পাওয়া গিয়েছে। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকেরা। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর প্রসন্ন কুমার-এর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বরূপ বসুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা।
এরপর প্রসন্ন কুমার রায়ের সূত্র ধরে এস কে ঝুনঝুনওয়ালা ওরফে সত্যেন্দ্র ঝুনঝুনওয়ালার সন্ধান পান ইডি আধিকারিকেরা। এদিন সকালে ইডি আধিকারিকেরা তাঁর লেকটাউন বিরাটি অঞ্চলের বাড়িতে পৌঁছে যায়। সেখানে তাঁকে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে নিয়ে তাঁর ভাই বীরেন্দ্র ঝুনঝুনওয়ালার বাড়ি এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বিরাটি ৪ নম্বর মহাজাতি অঞ্চলের গৌরীপুর রোডের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। সকাল ন'টা থেকে সেখানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি আধিকারিকেরা।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফের অ্য়াকশন মুডে ইডি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের নানান জায়গায় হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বালিগঞ্জ, পার্কস্ট্রিট সহ বিভিন্ন জায়গায় এদিন তল্লাশি শুরু করেছে ইডি।
সূত্রের খবর, মহেশ কেজরিওয়াল নামে এক ব্য়বসায়ীর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে ইডির। কয়লা মাইনিং সেক্টরে ট্রান্সপোর্ট-এর কাজ করতেন ওই ব্যবসায়ী। ফরেনএক্সচেঞ্জ মানি ট্রানজাকশন অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রা পাচার মামলায় এই তল্লাশি। যার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর, দুবাই সহ বিভিন্ন জায়গায় মানি এক্সচেঞ্জ করা হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক সংস্থার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ওই ব্যক্তি।
গত পাঁচ মাস আগে এই মহেশ কেজরিওয়াল-এর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ড-এর মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তখন কয়লা ও পাথরের মামলার তদন্তে নাম ওঠে এই মহেশ কেজরিওয়াল-এর।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ইডির ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রসন্ন রায়। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে মিডলম্যান প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ একাধিক চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টদের নাম সামনে আসে। বেশ কয়েকজন মিডলম্যানদেরও নাম উঠে আসে ইডির তদন্তে। তাদের খোঁজ করতেই মূলত শুক্রবার শহর জুড়ে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালান।
রাজারহাট কাশিনাথপুরে প্রসন্ন ঘনিষ্ঠ চন্দন চট্টোপাধ্যায়ের খোঁজে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান তাঁর বাড়ি। মূলত ইডি সূত্রে খবর, এই চন্দন জমির দালালি করেন। রাজারহাট থানার পুলিস এসে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। দু'জন ব্যাঙ্কের আধিকারিককেও নিয়ে আসা হয় এই তল্লাশি অভিযানে। কারণ ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন যে এই মিডলম্যালদের হাত ধরে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বিভিন্ন জমি কেনা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রসন্ন রায়ের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। সিবিআই হেফাজতে থাকতে প্রসন্ন রায় আইনজীবী মারফত সেই জমি বিক্রি করারও চেষ্টা করেছিলেন। কোথায় কোথায় কত টাকা দিয়ে কার কার মাধ্যমে সেই জমি লেনদেন হয়েছিল তারই সন্ধানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। জমির ডিড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেল্স খতিয়ে দেখতে চন্দন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা।
অন্যদিকে প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট পঙ্কজ আগরওয়ালের ডায়মন্ড সিটি নর্থ ব্লক-এর ফ্ল্যাটের চার তলায় ইডির আধিকারিকরা প্রবেশ করেন ডাটা রিকভার সরঞ্জাম নিয়ে। মূলত শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে এই পঙ্কজ আগরওয়ালের কী যোগাযোগ এবং প্রসন্ন রায়ের মতো তিনিও কি মিডলম্যানের কাজ করতেন কিনা এই সমস্ত বিষয় জানার চেষ্টা করছেন ইডি আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, এই পঙ্কজ আগরওয়ালের ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক্স এভিডেন্স পাওয়া গিয়েছে। সেই তথ্যই যাচাই করতে ডাটা রিকভার সিস্টেম নিয়ে আসা হয়েছে।
এখন দেখার এই সমস্ত জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ইডির হাতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর কী কী নতুন তথ্য উঠে আসে।
মণি ভট্টাচার্য: সিঙ্গুর এলাকায় বহাল তবিয়তে চলছিল চোলাই তৈরির কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিপুল পরিমান এই চোলাই তৈরী রুখলো আবগারি দফতর। ফলে ভোটের আগে এই অভিযান আবগারি দফতরের বড়সড় সাফল্য বলা চলে। জানা গিয়েছে, সিঙ্গুর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার চোলাই ও চোলাই তৈরির সামগ্রী নষ্ট করল আবগারি দফতর।
সূত্রের খবর, চলতি মাসে ৫ ও ৬ তারিখ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিঙ্গুর থানা এলাকার বারুইপাড়া বা পলতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অভিযান চালায় আবগারি দফতর।
অভিযানে নেমে বিপুল পরিমাণ মদ তৈরীর সামগ্রী হদিস পায় আবগারি দফতর। কোথাও মাটির নিচে, কিংবা কোথাও পুকুরের তলায়, কোথাও আবার ড্রেনের মধ্যে প্লাস্টিকের ড্রামে বা কোথাও প্লাস্টিকের মধ্যেই লুকিয়ে রাখা ছিল চোলাই ও চোলাই তৈরির সামগ্রী। সেগুলিকে উদ্ধার করে নষ্ট করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
এ ঘটনায় সিঙ্গুর এলাকার আবগারি দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, 'আবগারি দফতর দফায় দফায় ওই এলাকা গুলিতে অভিযান চালায়, এরপরেই ৫ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার ২২ হাজার লিটার ও ৬ তারিখ অর্থাৎ বুধবার ১৪ হাজার লিটার চোলাই ও চোলাই তৈরির সামগ্রী উদ্ধার করে। এই ঘটনায় বিমল রুইদাস, প্রশান্ত রুইদাস নামের ২ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া এই বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ কারা জমিয়ে রেখেছিল! তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'
ফের শহরজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান ইডি এবং আয়কর দফতরের। জানা গিয়েছে, ভিনরাজ্যের প্রতারণা মামলার কারণেই এ রাজ্যের একাধিক জায়গায় অব্যাহত ইডির তল্লাশি অভিযান। বুধবার, সল্টলেকের AE ৪৩০ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় চলল ইডির তল্লাশি। ইডি সূত্রে খবর, অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে চলত প্রতারণা এবং এই প্রতারণার কাজ পরিচালনা করা হতো ছত্তিশগড় থেকে। একইসঙ্গে অভিযোগ রয়েছে কর ফাঁকি দেওয়ার।
এছাড়াও সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি বেসরকারি সংস্থাতেও চলল ইডির তল্লাশি অভিযান পর্ব। GST কর তছরূপের অভিযোগে সৃজন কর্পোরেট পার্কের ১৬ তলায় অবস্থিত ওই বেসরকারি সংস্থায় তল্লাশি, এমনটাই ইডি সূত্রে খবর। পাশাপাশি, উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাশা এলাকায় এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী সর্বানী ভগত-এর বাড়িতেও হানা দিল ইডি। সর্বানীর স্বামী রাজু ভগত, পেশায় গাড়ির চালক। সল্টলেকের মতো একইভাবে উত্তর প্রদেশের একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপস -এর আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত করতেই ED র এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। এই গেমিং অ্যাপস-এর ম্যানেজার হিসেবে নাম উঠে এসেছে সর্বাণী ভগতের।
এছাড়াও রিষড়ার ঘোড়ামারা প্রভাসনগর এলাকায় ১৮ নং ওয়ার্ডে চলল আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযান। রিষড়ার একটি বহুজাতিক আবাসনে অনুজ পাণ্ডের ফ্ল্যাটে বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয় আয়কর দফতরের এই তল্লাশি অভিযান। সবমিলিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত করতেই বুধবার শহরের একাধিক জায়গায় চলল ইডি এবং আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযান।
সবমিলিয়ে আর্থিক তছরুপ সহ ভিনরাজ্যে অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার তদন্ত করতেই বুধবার শহরের একাধিক জায়গায় চলল ইডি এবং আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযান। শিক্ষা থেকে নিয়োগ, GST ফাঁকি থেকে ভিন্রাজ্যের প্রতারণার যোগ, তাহলে কি বাংলা ধীরে ধীরে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে? এই প্রশ্ন যেমন উঠছে তেমনি এখন এইতল্লাশি অভিযানের ফলে ইডি এবং আয়কর দফতরের হাতে আর কোন কোন নাম তালিকায় উঠে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল।
সন্দেশখালির নিখোঁজ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান মামলায় এবার জোর কদমে নেমেছে ইডি। শুক্রবার সকাল থেকেই 'শাহজাহান ঘনিষ্ট' ব্য়বসায়ীদের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন মামলা রুজু করে হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ মোট ছয়টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শেখ শাহজাহানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে এমন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলছে তল্লাশি অভিযান।
ফের শহরে ইডি হানা। সাইবার প্রতারণা মামলায় একাধিক জায়গায় কেন্দ্রীয় এই এজেন্সি অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর। এই মামলায় ইতিমধ্যে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে এই প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা কুণাল গুপ্তা। মামলায় চার্জশিটও পেশ করা হয়। এবার কুণাল গুপ্তার আরও কিছু সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডির আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, হাজার কোটি টাকার সাইবার প্রতারণা মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। বেনিয়াপুকুরের একটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। গোটা বাড়ি ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সূত্রের খবর, এই মামলায় কোনওরকম হাওয়ালা যোগ রয়েছি কি না, বা সাইবার প্রতারণায় কারা কারা লাভাবান হয়েছেন, সেই সমস্ত দিকগুলিও খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি বুধবার সকালে বাগুইআটিতে গৌতম গুপ্তার বাড়িতেও যায়।
উল্লেখ্য, সোমবার গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের কার্যালয়ে হানা দেয় ইডি। ওই কার্যালয়েই বসতেন অনুব্রত মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে নিচুপট্টির ওই অফিসে হানা দেয় ইডি। বোলপুরের বিএলআরও অফিসে যান আধিকারিকরা। সেখানে তাঁরা বিএলআরও-র সঙ্গে কথা বলেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই একাধিক তল্লাশি অভিযানে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ডেল্টা জুটমিল প্রাইভেট লিমিটেড এবং ওড়িশা রিয়েলিটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে ভুয়ো ডিরেক্টর পদের নিয়োগের তল্লাশিতেই মঙ্গলবার ইডির তল্লাশি অভিযান। ইডির অভিযান চলল জুটমিলের মালিকের বাড়িতেও। এছাড়াও ইডি সূত্রে খবর, এর আগে এখানকার অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের প্রায় ২১ কোটি টাকা পিএফ দেওয়া হয়নি বলে একটি জনস্বার্থ মামলার তদন্তের ভিত্তিতেই মঙ্গলবারের এই তল্লাশি অভিযান।
এছাড়াও এদিন ইডির অভিযান চলল জুটমিলের মালিক সুনীল ঝুনঝুনওয়ালা বাড়ি ২/১ ব্রাইট স্ট্রিট, বালিগঞ্জেও। সুনীল ঝুনঝুনওয়ালার বাড়িতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকেই চলে ইডির অভিযান এবং জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।
প্রসঙ্গত, হাওড়া ডেল্টা জুট মিলে দীর্ঘদিন ধরে পিএফ এর টাকা না পাওয়ার কারণে এসএফআইও-এর পক্ষ থেকে জনস্বার্থে একটি মামলা করা হয়। সেই মামলার তদন্তভার গিয়ে পড়ে ইডির উপর। এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল কোম্পানির পাঁচজন ডিরেক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সংস্থার আয় ব্যয় কার্যপ্রণালী সম্পর্কে জানতে হবে। মঙ্গলবার সেই তদন্তে নেমেই চলল ইডির জিজ্ঞাসাবাদ। এখন ইডির তদন্তে এই জট কবে কাটবে এবং অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের বকেয়া পিএফ তাঁরা আদৌ পাবেন কি না সে উত্তর সময়ই বলবে।
১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি নিয়ে ফের অ্য়াকশনে ইডি। শুক্রবার WBCS আধিকারিক শুভ্রাংশু মন্ডলকে হাজিরার নির্দেশ কেন্দ্রীয় এজেন্সির। শুক্রবার ফের তলব করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ নওদা পঞ্চায়েত এর সহায়ক রথীন্দ্র কুমার দেকেও। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদে কর্মরত ছিলেন শুভ্রাংশু। এদিন সিজিওতে একসঙ্গে শুভ্রাংশু ও রথীন্দ্রকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, দুই সন্দেহজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সিদ্ধান্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।
প্রসঙ্গত, চার জেলার ছটি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নেমে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতিতে মুর্শিদাবাদের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সঞ্চয়ন পানের দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি। তাঁর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, বেশকিছু নথি সহ পুরোনো একটি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন। ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা জব কার্ড তৈরী করে ১০০ দিনের কাজের টাকা তছরূপ করা হয়েছে। এরপরেই ইডির স্ক্যানারে পড়ে যায় একের পর এক সরকারি আমলাদের নাম। পাশাপাশি মনরেগা প্রকল্পের দুর্নীতিতে মুর্শিদাবাদের পঞ্চায়েতের একসময়ের নির্মাণ সহায়ক রথীন্দ্রনাথ দের নামও।
কিছুদিন আগেই রথীন্দ্রনাথ দের বাড়িতে ইডির তল্লাশিতে উঠে আসে একাধিক তথ্য সহ গুরুত্বপূর্ণ নথি। উদ্ধার হওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। তদন্তে জানা গিয়েছে, রথীন্দ্রনাথ দের বোন ইতি চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছিল ১৭ লক্ষ টাকা। কেন এই বিপুল অর্থের লেনদেন? তা খতিয়ে দেখতে সিজিওতে আবার তলব করা হয় রথীন্দ্রনাথ দে ও তাঁর বোন ইতি চট্টোপাধ্যায়কেও। সেই জেরা-তল্লাশিতেই এবার নাম উঠে এসেছে WBCS আধিকারিক শুভ্রাংশু মণ্ডলের।
শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের অ্যাকশনে নামল ইডি। শুক্রবার সকাল থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের পক্ষ থেকে শহরের পাঁচ জায়গায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এই ব্য়বসায়ীর নাম রাজিব দে।
জানা গিয়েছে, নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির ঠিক উল্টোদিকেই পাঁচতলা বাড়ি রাজীব দে-র। সেখানে তল্লাশি অভিযান ইডি-র। পাশাপাশি, রাজীব দে-র শ্রীরাম কনস্ট্রাকশনের অফিসেও তল্লাশিতে নামেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর রাজীব দের দাদা সঞ্জীব দে-কে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন ইডি আধিকারিকেরা। বাড়ির পাশেই রয়েছে আরও এক প্রপার্টি। সেখানে গিয়ে খতিয়ে দেখলেন ইডির আধিকারিকরা।
সন্দেশখালিকাণ্ডে আজ, মঙ্গলবার সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বসিরহাট এসপি অফিস অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি। সেই অভিযানের আগেই এসপি অফিস থেকে ৫০০ মিটার পর্যন্ত বসিরহাট জেলা পুলিস জারি করল ১৪৪ ধারা। রাস্তার উপর বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী।
শেখ শাহজাহানের দুই ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের গ্রেফতারির দাবিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল গোটা সন্দেশখালিতে। দীর্ঘদিনের নির্যাতনের প্রতিবাদে মুখ খুলেছেন মহিলারা। শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ এনেছেন নির্যাতিতা মহিলারা। কীভাবে দিনের পর দিন রাতের অন্ধকারে তাঁদের প্রতি নির্যাতন করা হত সেই কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তাঁরা। সোমবার সন্দেশখালি যান রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকেই। অন্যদিকে সোমবারই সন্দেশখালি পরিদর্শনে রাজ্যপাল। যাওয়ার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও। কিন্তু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় এবং পুলিসি বাধার মুখে পড়ায় সন্দেশখালি ঢুকতে পারেনি।
রাজ্যে যুক্ত হল আরও নয়া দুর্নীতি মামলা। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে মনরেগা প্রকল্পের অর্থ তছরূপের দুর্নীতির তদন্ত। এদিন চার জেলায় ছটি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছেন ইডির আধিকারিকেরা। রাজ্যে প্রথম এই দুর্নীতির তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এদিন ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতিতে মুর্শিদাবাদের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সঞ্চয়ন পানের দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি।
দীর্ঘ চার ঘন্টা অভিযান চালানোর পর সঞ্চয়ন পানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় বেশকিছু নথি সহ পুরনো একটি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা জব কার্ড তৈরী করে ১০০ দিনের কাজের টাকা তছরূপ করা হয়েছে। তাই তাদের নজর এবার পড়েছে সরকারি আমলাদের ওপর। যাদের হাত ধরে বছরের পর বছর এই সরকারি প্রকল্পগুলি চলে আসছিল।
সঞ্চয়ন পানের মা মঞ্জু পান জানান, আজ সকালে বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা এসেছিল। কিন্তু কী অভিযোগে তল্লাশি চালানো হয়েছে সেটা তাঁরা জানায়নি। কিন্তু চারঘন্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে একটি ল্যাপটপ, কিছু জমির নথি, এবং সঞ্চয়নের স্ত্রীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। তাঁর আরও মা বলেন, আমার ছেলে কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নেই।
রাজ্য়ে ফের তৎপর ইডি। ১০০ দিনের কাজে নয়া দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি আধিকারিকেরা। কয়েক হাজার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই চার জেলায় হানা দিয়েছে ইডির দল। কলকাতা সহ মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, হুগলিতে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরী করে ১০০ দিনের কাজের টাকা তছরূপ করা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজ করেনি এমন ব্যাক্তির অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মনরেগা প্রকল্পের টাকা।
এদিন সাত সকালে ঝাড়গ্রামে হাই ভোল্টেজে ইডি। ঝাড়গ্রামের বাছুরডুবা হাউসিং ব্লক বি সরকারি আবাসনে অভিযান চালায় ইডি আধিকারিকরা। গোপন সূত্রে খবর, WBCS অফিসার শুভ্রাংশু মণ্ডলের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। জাতিগত সংশাপত্র তজরূপের অভিযোগ রয়েছে শুভ্রাংশু মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে হানা ইডির। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে বিষ্ণুপুর কালিবাড়ি অঞ্চলে এলাকায় নওদার প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ পঞ্চায়েত মেম্বার রথীন্দ্রনাথ দে এর বাড়িতে এদিন তল্লাশি শুরু করে ইডি। ১০০ দিনের কাজে প্রায় ৪ কোটি টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বেশ কিছুদিন ধরে তিনি সাসপেন্ড ছিলেন। জানা গিয়েছে, নওদা পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সঞ্চয়ন পানের দুটি ফ্ল্যাটেও শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
মঙ্গলবার সকালে পাঁচ থেকে ছয় জনের একটি ইডির টিম এসে পৌঁছয় হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। সেখানে সন্দীপ সাধু খাঁ এর খোঁজে শুরু করে ইডি। কেন্দ্রীয় সরকারের মনরেগা প্রকল্পের ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে রাজ্য জুড়ে প্রথম তল্লাশি অভিযানে ইডি। নির্বাচনের আগে নজর প্রকল্প আধিকারিকদের উপর।
মুর্শিদাবাদের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সঞ্চয়ন পানের 2টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান। তাঁর বাড়িতেও শুরু হয় রাজ্য় দুর্নীতির অভিযোগে তল্লাশি অভিযান। অন্য়দিকে কলকাতার সল্টলেকের EA ব্লকে বিদ্যাসাগর নিকেতন আবাসন অভিযানে নামে ইডির আরও একটি দল।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার একাধিক জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। ইডি স্ক্য়ানারে এদিন ছিলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায়। সূত্র মারফত খবর, তাঁর অফিসে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এক ট্রাঙ্ক ও ২ ট্রলি ব্যাগ ভর্তি নথি উদ্ধার করল ইডি।
ইডি সূত্রে আরও খবর, প্রসন্ন রায়ের অফিস থেকে ৫০০ টা দলিল উদ্ধার হয়েছে। ১০০ টারও বেশি এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। প্যান কার্ড পাওয়া গিয়েছে ৭০টার মতো। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। উল্লেখ্য বিষয়, যে দলিলগুলো উদ্ধার হয়েছে, তা প্রসন্ন রায়ের অফিসে বেতনভুক কর্মীদের নামে রয়েছে। যাঁরা মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন, তাঁদের নামই বাড়ির দলিল তৈরি করেছিলেন প্রসন্ন রায়। সেই সমস্ত কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে পরিবহন ব্যবসায়ী প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ২০২৩-এর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান প্রসন্ন। জামিনের ৩ মাস পরেই ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির স্ক্যানারে এই প্রসন্ন রায়। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রসন্নর একাধিক ফ্ল্যাট ছাড়াও নিউটাউনের অফিস সহ মোট ৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার একাধিক জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি ইডির। এবার ইডি স্ক্য়ানারে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায়। সাম্প্রতিককালে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। এদিন সকাল ছ'টা নাগাদ তাঁর একাধিক ফ্ল্যাট ও নিউটাউনের অফিস সহ মোট সাত জায়গায় অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা।
সন্দেশখালির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সর্তক কেন্দ্রীয় বাহিনী। দেখা গিয়েছে মাথায় হেলমেট, ঢাল সঙ্গে কাঁদানে গ্যাসের সেল নিয়ে হাজির কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন এই প্রসন্ন রায়। তারপর এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সংযোগ রেখে চাকরি দেওয়ার নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলার কাজ করতেন প্রসন্ন। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই প্রসন্ন রায়।কোটি কোটি টাকা থেকে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে প্রসন্ন রায়ের নামে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে।
সূত্রের খবর, একশোর বেশি কোম্পানি রয়েছে প্রসন্ন রায়ের। একাধিক ফ্ল্যাট, নিউটাউন এলাকায় প্রচুর জমি, বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা এই সবই হয়েছে তাঁর চাকরির বিক্রির টাকা থেকে। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায়।
এদিন প্রসন্ন রায় ছাড়ও তাঁর ঘনিষ্ঠ নয়াবাদ এলাকায় রোহিত ঝাঁ নামে এক পরিবহন ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি। অন্যদিকে প্রসন্ন রায় তিনিও পরিবহন ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরই ঘনিষ্ঠ রোহিত। অনেক দুর্নীতির ক্ষেত্রে তাঁর এই ফ্ল্যাট থেকে নথি উদ্ধার হতে পারে তারই সূত্র ধরে ইডি আধিকারিকরা এসে পৌঁছন।