গাজন উৎসব চলাকালীন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনায় আহত আরও ৪জন। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্য়ায় মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হুড়া থানার জামবাদ গ্রামে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শক্তিপদ মাহাতো (২৭)। বর্তমানে চারজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজন উৎসবকে কেন্দ্র করে ভক্তরা স্থানীয় একটি পুকুর থেকে স্নান করে শোভা যাত্রার মাধ্যমে গ্রামের শিব মন্দিরে আসছিল। অন্ধকারের থাকার কারণে জেনেরেটরের লাইটের ব্য়বস্থা করা হয়। সেই জেনেরেটরের তারের দুর্ঘটনা বশত শর্টসার্কিট-এ বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় পাঁচ জন। এরপর হুড়া থানার পুলিস আহতদের তড়িঘড়ি দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্য়ু হয় শক্তিপদ মাহাতোর। এই পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোকের ছায়া নেমেছে জামবাদ এলাকায়। এমনকি আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্য়ে।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীকে বেধড়ক মারধর, পরিণাম মৃত্যু। এমনই অমানবিকতার ছবি উঠে এল পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে। অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী সুকান্ত নন্দীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ মার্চ জন্ডিস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মানবাজার থানার কদমা গ্রামের বাসিন্দা বছর ৪৫ এর সবিতা সিং সর্দার। অভিযোগ, ২৫ মার্চ হাসপাতালের মহিলা বিভাগে ঢুকে ওই রোগীকে মারতে শুরু করেন হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী সুকান্ত নন্দী। এর কিছু সময় পরেই মৃত্যু হয় ওই রোগীর। হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা বাধা দেয়নি বলে অভিযোগ।
ঘটনার কথা স্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আবারও রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার রুগ্নদশার ছবিটাই সামনে এল। সাধারণ মানুষের যেখানে ভরসা সরকারি হাসপাতাল সেখানে হাসপাতালের কর্মীরাই যদি এই ধরণের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটায় তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? নিরপত্তা রক্ষী থেকে কী লাভ?
স্কুলে ছুটির প্রয়োজন ছিল। তাই ছুটি পেতে প্রথম শ্রেণির ছাত্রকে খুন করল অষ্টম শ্রেনির ছাত্র। অভিযোগ, মৃত ওই খুদে পড়ুয়ার নাক মুখ থেঁতলে মারা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার অষ্টম শ্রেনির ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুরুলিয়া মানবাজার থানার পুলিস। অভিযুক্ত ওই ছাত্রকে জুভেনাইল আদালতে পেশ করা হয়। গোটা ঘটনায় শোকহত মৃত খুদের পরিবার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার মানবাজারে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে অন্য় পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকদের মধ্য়ে।
প্রসঙ্গত গত ৩০ জানুয়ারি পুরুলিয়ার মানবাজার থানার জবলা এলাকার ঘাসতোড়িয়া সারদা শিশু মন্দির আবাসিক স্কুলের মৃত ওই প্রথম শ্রেণীর ছাত্রের মৃতদেহ আবাসিক স্কুল সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া ওই মৃতদেহের একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে আঘাতের চিহ্ন। এরপর মৃত পরিবার পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। এরপরেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে মানবাজার থানার পুলিস।
পুলিস অষ্টম শ্রেনির ওই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে পুরুলিয়ার শিমুলিয়া আনন্দ মঠ জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের তাকে পেশ করা হয়। সেখান থেকে ওই কিশোরকে হুগলির কল্যাণ ভারতী হোমে পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, ওই পড়ুয়া কিছু একটা অঘটন ঘটিয়ে ফেললেই লেখাপড়া, হোস্টেল জীবনের 'বন্দি দশা' থেকে ছুটি পাবে। আর সে বাড়ি ফিরতে পারবে। তাই অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্র এমন ঘটনা ঘটায়।
রহস্যজনকভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে উধাও এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। শনিবার সকালে এমন আশ্চর্যজনক ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া শহরের চিত্তরঞ্জন বয়স হাইস্কুলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা স্কুল চত্বরে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কাঁটাডি স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দেবাশিস মাঝি মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পুরুলিয়ার চিত্তরঞ্জন বয়েজ স্কুলে আসে। পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ গায়েব হয়ে যায় দেবাশিস। যদিও স্কুলের বেঞ্চ থেকে তার অ্য়াডমিড কার্ড পাওয়া গেলেও কোথাও খোঁজ মেলেনি ওই ছাত্রের। এই খবর চাউর হতেই গোটা স্কুল চত্বরে খোঁজ শুরু হয় তার।
এরপর খবর দেওয়া হয় সদর থানার পুলিসকে। এরপরে খোঁজ শুরু হয় ওই ছাত্রের। যদিও স্কুলে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা যায় নিখোঁজ ওই ছাত্র স্কুলে এসেছিলো। কিন্তু তারপর আচমকা উধাও হয়ে যায় সে। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ওই ছাত্রকে নিয়ে চিন্তিত স্কুল কর্তৃপক্ষ ও তার পরিবার। গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।
সাতসকালে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ঘাতক গাড়িটি। অন্য়দিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া রঘুনাথপুর ঝাড়ুখামার মোড় সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রঘুনাথপুর থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয় এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত ঝাড়ুখামার মোড়ের কাছে একটি সাইকেল আরোহীকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি দ্রুতগামী গাড়ি। এরপর গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়ে ওই সাইকেল আরোহী। গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। আর তারপরেই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পুরুলিয়া বড়াকরগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির (সাইকেল আরোহী) নাম দুগাই মণ্ডল (৫৮)। বাড়ি রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত আগইবাড়ি গ্রামে। বাড়িতে তাঁর এক ছেলে, এক মেয়ে ও অসুস্থ স্ত্রী রয়েছেন। এখন তাঁর পরিবারের ভরণপোষণ কী ভাবে হবে সেই চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা।
গঙ্গাসাগর মেলাকে ঘিরে শুরু হয়েছে সাজো সাজো রব। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে পৌঁছেছেন সাধু সন্তরা। এর মধ্যেই পুরুলিয়ায় উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত গঙ্গাসাগরগামী ৩ সাধুকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ার কাশীপুরের গৌরাঙ্গডি গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ৩ সাধুকে উদ্ধার করে কাশীপুর থানার পুলিস। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১২ জন। ভাষাগত সমস্যার জেরেই এই ঘটনা বলে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট পুরুলিয়া পুলিসের।
জানা যায়, উত্তরপ্রদেশের বরেলির বাসিন্দা তিন সাধু একটি গাড়ি ভাড়া করে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন। রাস্তায় রাঁচির জগন্নাথ মন্দির দর্শন করে তাঁরা এসে পৌঁছন পুরুলিয়ার কাশীপুরে। সেখানেই নাবালিকা অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে ওই ৩ সাধুর উপর চড়াও হয় স্থানীয়রা। গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। অপহরণকারী সন্দেহে গণপিটুনি!
শুক্রবার রাতে কাশিপুর থানা থেকে ওই তিন সাধুকে নিজের বাসভবনে নিয়ে যান পুরুলিয়ার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। শনিবার ওই তিন সাধুকে পুরুলিয়ার চকবাজারের বড় কালী মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সসম্মানে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। ঘটনায় সমালোচনার ঝড় রাজ্যজুড়ে।
'বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। সারা দেশে যা হয় না, তা হয় বাংলায়।' শনিবার রাজ্য সফরে এসে বাংলার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। পুরুলিয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, সাধুদের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে রাজ্য প্রশাসন। তাঁর অভিযোগ, তোষণের রাজনীতি জন্যই রাজ্যে এ ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এদিকে, সন্দেশখালির ঘটনার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও বেপাত্তা মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। এ বিষয়ে তৃণমূল সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর দাবি, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাঁচানোর চেষ্টা এই রাজ্যে নতুন কিছু নয়। অভিযুক্তদের ধরার বদলে তাদের সুরক্ষা দেওয়ার কাজ করছে বাংলার সরকার।
দিন কয়েক আগেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে কার্যত বিরোধীদের তুলোধনাও করেছিলেন তিনি। তাঁর ওই মন্তব্যের পর পুরুলিয়াতে সাধুদের ওপর নক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটল। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অনুরাগ ঠাকুরের ওই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
তৃণমূলের জমানায় বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বারবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে। শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদতের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তৃণমূলের নেতারা বলছেন, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তাহলে কেন ধরা পড়ে না শাহজাহানের মতো অভিযুক্তরা? আর কেনই বা পুরুলিয়াতে সাধুদের ওপর হামলা হলেও ঠুঁটো জগন্নাথের মতো বসে থাকে পুলিস প্রশাসন?
পুরুলিয়া জেলা পুলিসের তৎপরতায় ভেস্তে গেল জঙ্গলমহলে পুনরায় মাও সশস্ত্র স্কোয়াড গড়ার ছক। তরুণ-তরুণীদের মগজধোলাই করে সংগঠনে টেনে একটি চূড়ান্ত বৈঠকের মধ্য দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র হাতে তুলে দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল। কিন্তু পুরুলিয়া জেলা পুলিসের তৎপরতায় বানচাল হয় সেই ছক। পুলিসের জালে ধরা পড়ে 'মোস্ট ওয়ান্টেড' সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা বেঙ্গল ইনচার্জ সব্যসাচী গোস্বামী।
সূত্রের খবর, ধৃত সব্যসাচী গোস্বামীর আরও বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে। তথা- বাবু, কিশোর, পঙ্কজ, ও অজয়। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ তার মাথার দাম রেখেছে ১০ লক্ষ টাকা। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার করিডর তৈরির পরিকল্পনা ছিল মাওবাদীদের। যার দায়িত্ব দেওয়া হয় এই শীর্ষ নেতাকেই। ২০২২ সালের মার্চ মাসে অসমের গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব ভারতে মাও কার্যকলাপ নিয়ে একটি মামলা রুজু হয়। তারপরেই এনআইএ মাথার দাম ধার্য করে।
জঙ্গলমহল পুরুলিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে বেলগুমা পুলিশ লাইনে তাকে সামনে আনে জেলা পুলিস। এরপরে তাকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়। এই নিয়ে পাঁচবার গ্রেফতার হয়েছে সব্যসাচী গোস্বামী। ২০২১ সালে অসমের গোলাঘাট জেলায় তাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তাছাড়া ২০১৮ তে মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থেকে এসটিএফ তাকে পাকড়াও করে। এর আগে ২০১৩ তে যাদবপুর থেকে গ্রেফতার হয়। তার আগে ২০০৫ সালে গ্রেফতার করে সিআইডি। প্রত্যেকবারই জামিন পেয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে যায়।
স্কুলে রয়েছে কম্পিউটার। কিন্তু তা নিষ্ক্রিয়, হয় না ব্যবহার। আবার কোথাও কোথাও খোলা আকাশের নীচেই চলছে মিড-ডে মিলের রান্না। স্বাস্থ্যবিধি কার্যত শিকেয় উঠেছে। খালি পায়ে স্কুলে যাচ্ছে শিশুরা। রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামোর এমনই উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে পাঠানো রিপোর্টে। সূত্রের খবর, চলতি মাসে ৮ ও ৯ই জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শিক্ষমন্ত্রকের একটি প্রতিনিধি দল দক্ষিবঙ্গের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার সরকারি প্রাইমারি ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ গুলি ঘুরে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামো নিয়ে রিপোর্ট দিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে। যেখানে এরকম চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি তা জানিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।
এ প্রসঙ্গে স্কুলগুলির নাম উল্লেখ করে চূড়ান্ত বেহাল দশার অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের।
এই রিপোর্টের বিষয়ে সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, কম্পিউটার সেট থাকলেও অনেক স্কুলে তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ঢিলেমির বিষয়টিও উঠে এসেছে রিপোর্টে। স্মার্ট ক্লাসরুম না বানানোর বিষয়ও রিপোর্টে রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
যদিও এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে এক্স হ্যান্ডেলে পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রাত্য বসুর দাবি, এই রিপোর্টে গেরুয়া প্রভাব রয়েছে। পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় কেন্দ্রীয় দলের পর্যবেক্ষণের উপর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। আমাদের মনে হয়েছে, সেই পর্যবেক্ষণের অধিকাংশই গেরুয়া প্রভাবিত। তাঁরা খালিয়ে পায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বলেছে। কিন্তু জানে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জামা ও জুতো দেয়। খোলা আকাশের নীচে মিড ডে মিল রান্নার কথা বলেছে। কিন্তু মিড ডে মিলের শেড তৈরির জন্য ফান্ড আটকে রেখেছে। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সীমিত ক্ষমতা দিয়েই স্কুলে রান্নার জন্য শেড তৈরি করবে।”
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর অবশ্য বক্তব্য, 'যিনি বলেছেন, তিনি না জেনে বলেছেন। কারণ শিক্ষা হচ্ছে, রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ বিষয়। সেখানে রাজ্য আগে মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এ সই করবে, করে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির নাম রেকমেন্ড করবে, কী প্রয়োজন সেটা বলবে, তখন পাবে। কাজে এটা কোনও প্রশ্নই আসছে না। এটা একটা ভুল ব্যাখ্যা।'
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবি, রাজ্য সরকারের জন্যই আটকে রয়েছে পিএম ঊষা প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা।
রবিবার বর্ষবরণের রাতে পুরুলিয়ার রাঘবপুর মোড়ে যান নিয়ন্ত্রণের কাজ করছিলেন পুরুলিয়ার ডিএসপি (ট্র্যাফিক) পদমর্যাদার এক আধিকারিক সহ পাঁচ পুলিস কর্মী। আচমকাই একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলিস কর্মীদের ধাক্কা মারলে ভয়ানক দুর্ঘটনাটি ঘটে। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বাবলু গড়াই নামে এক পুলিস কর্মীর। ঘটনায় গুরুতর জখম ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সহ আরও চার পুলিস কর্মী।
সোমবার তৃণমূল প্রতিষ্ঠা দিবস সেরে ফির ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, সহ অন্যান তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। তাঁদের উদ্যোগেই আহতদের উদ্ধার করে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জখম অবস্থায় বাবলু গড়াই নামে ওই পুলিস কর্মীকে সংকটজনক অবস্থায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত পুলিস কর্মী পুরুলিয়ার বেলগুমা পুলিস লাইনে কর্মরত ছিলেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া সদর থানার পুলিস।
ভুয়ো পুলিস সুপারের নামে প্রতারণা। ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার এক যুবক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম রাহুল ঘটক। বাড়ি হাবড়ায়।
জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে অভিযুক্ত ওই যুবক। এমনকি সেই ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা হয় ওই পুলিস সুপারের পুলিসের পোশাক পরা ছবিও। এরপর ওই যুবক ভুয়ো পুলিসের পরিচয় দিয়ে ফেসবুক ফ্রেন্ড বানিয়ে সকলের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করতে শুরু করে। প্রতারণার ছক বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় অভিযুক্ত ওই যুবকের নামে।
এরপর শনিবার সকালে পুরুলিয়া জেলার পুলিসের একটি বিশেষ দল হাবড়ায় এসে হাবড়া পুলিসের সহযোগিতায় অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুরুলিয়া নিয়ে যায়। অভিযুক্ত যুবক আইটিআই পাস করে কিছুদিন আগেই একটি কোম্পানিতে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করেছিলেন বলে এমনটাই জানিয়েছে তার পরিবার। তবে এই ধরনের অপরাধমূলক কাজ তাদের ছেলে করতে পারে না দাবি পরিবারের।
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম এরপর ঝাড়গ্রাম। ফের মাটির বাড়ি ভেঙে মৃত্যু এক বৃদ্ধের। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন দু’জন। সূত্রের খবর, মাটির বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে আরও দুটি গবাদি পশুর। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের জামবনিতে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম শ্যামাপদ নায়েক (৬০)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় কয়েক দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে স্তব্ধ হয়েছে জনজীবন। রবিবার রাতেই বেলপাহাড়িতে ভেঙে পড়ে তিনটি মাটির বাড়ি। ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের কাপগাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিয়াশুলি গ্রামে দেওয়াল চাপা পড়ে শ্যামপদ নামে ওই বৃদ্ধের। অপরদিকে ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর ২ ব্লকের বেলপাহাড়ি থানার সন্দাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকুয়াপাল গ্রামে তিনটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন দুই ব্যক্তি। তবে তাঁদের পোষ্য দুটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
ওদিকে শনিবার বাঁকুড়ায় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এরপর রবিবারও সকালে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর এবং বীরভূমে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। ঝাড়গ্রামে এই মৃত্যুর ঘটনার পর, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭।
টানা বৃষ্টির জেরে শনিবার বাঁকুড়ায় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৩ শিশুর। এবার দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল পুরুলিয়া ও বীরভূমেও। সূত্রের খবর, রবিবার ভোর রাতে পুরুলিয়ার পুঞ্চা ব্লকের কেন্দা থানার দরোডিতে দেওয়াল চাপা পড়ে জখম হয় এই দুই শিশু। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক জখম ৫ বছরের শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় জখম হয় ওই শিশুরই তিন বছরের ভাই। রবিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ওদিকে বাঁকুড়ার পর বীরভূমেও মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়েমৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম তমালকৃষ্ণ মন্ডল ( ৭৮)। সূত্রের খবর, বীরভূমের লাভপুর থানার অন্তর্গত ডাঙ্গাল গ্রামের বাসিন্দা তমাল। রবিবার সকালে আচমকাই বাড়ির মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে ওই বৃদ্ধের গায়ের উপর। এই অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। পাঠানো হয় স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
সূত্রের খবর, পুরুলিয়ায় দেওয়াল চাপা পড়ে ২ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ওই পরিবারও মাটির বাড়িতে দিন কাটাচ্ছিলেন, অভিযোগ, কেন্দ্রের আবাস প্লাস তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বাড়ির টাকা পাননি তারা। ফলত বেশ কয়েক বছর ধরে ভাঙা বাড়িতেই দিন কাটছিল তাদের। ওদিকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের বোড়ামারা গ্রামে আবাস যোজনার বাড়ি না পেয়ে মাটির বাড়িতে দিন কাটাচ্ছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। শনিবার প্রচন্ড বৃষ্টিতে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৩ শিশুর। এ ঘটনায় কেন্দ্রের গাফিলতি ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
সেনকো গোল্ড সোনার দোকানের দুঃসাহসিক ডাকাতি ঘটনায় বড় সাফল্য পেল পুরুলিয়া জেলা পুলিস। ঘটনায় উদ্ধার প্রচুর সোনা ও টাকা। গ্রেফতার আরও তিন জন। সোমবার দুপরে পুরুলিয়া বেলগুমা পুলিস লাইনে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন পুরুলিয়া জেলা পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিস জানিয়েছে ডাকাতি হওয়া সোনা সহ ৩৬লক্ষ টাকার ক্যাশ উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার জিনিস পত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি এ ঘটনায় আগেই ২ জন গ্রেফতার হয়েছিল। এবার আরও ৩জন গ্রেফতার হওয়ায় মোট আসামি সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ জন।
এদিন পুলিস সুপার জানিয়েছেন, আগে বিকাশ গুপ্তা ও করণজিৎ সিধু গ্রেফতার হয়েছিল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর একটি ইনফরমেশন ভিত্তিতে পুরুলিয়া ঝাড়খন্ড বর্ডারের ঘাগড়া থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়, এদের মধ্যে ওম প্রকাশ প্রসাদ উড়ফে গুড্ডু ও আরেকজন ডাবলু সিং ও অজয় যাদব। এদের বাড়ি ঝাড়খন্ড ও বিহারে।
ঘটনা পর থেকে পুরুলিয়া একটি লজে তাঁরা ডাকাতি সোনা রেখে যায়। তাঁর মধ্যে কিছু সোনা বিক্রি করে। পুলিস সেই লজ থেকে সোনার গহনা ছাড়া বিক্রি করা সোনার যে টাকা ছিলো সেই ৩৬ লক্ষ টাকাও উদ্ধার করেছে। আরও সোনা কোথায় রয়েছে একই সঙ্গে বাকি দুষ্কৃতী দের খোঁজ চলছে বলে জানানো হয়। তবে ঘটনার মাস্টার মাইন্ড জেলে।
ঝালদা বিতর্কের ঝাঁঝ কমছে না কিছুতেই, বরং বাড়ছে উত্তরোত্তর। বিস্তর স্ট্র্যাটেজির পর ঝালদার কুর্সিতে এখন তৃণমূল। আর তৃণমূলের ছোঁয়া লাগতেই ঝালদা পুরসভায় গেল ইডির নোটিস! এবার নিয়োগ দুর্নীতির গ্যাঁড়াকলে ঝালদা পুরসভা? ২০১৪ থেকে এখনও পর্যন্ত স্থায়ী, অস্থায়ী যাবতীয় নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
একটি মৃত্যু থেকে ঝালদার অস্থিরতার শুরুয়াত। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুন ঘুরিয়ে দেয় ঝালদার রাজনীতি। কখনও কংগ্রেসের পাল্লা ভারী, কখনও তৃণমূলের। এরপর হাইকোর্টের অর্ডারে ঝালদার কুর্সি পেয়েও ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। তৃণমূলে যোগদানকারী দলবদলু ৪ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং পুর প্রধানের দৌলতে ঝালদা পুরসভা এখন ঘাসফুল শিবিরের। কিন্তু সেই জয়ের সপ্তাহ খানেকের মাথাতেই ঝালদার শিয়রে ইডির শমন। আগেও একবার ইডির নোটিস পেয়েছে ঝালদা পুরসভা। কিন্তু এবারের নোটিসের ১ সপ্তাহের মধ্যে ২০১৪ থেকে দায়িত্বে থাকা পুরপ্রধান, নির্বাহী আধিকারিক সহ পুরকর্মীদের নাম, ফোন নম্বর, নিয়োগকারীদের বায়োডেটা সহ সমস্ত নথি ইডির কাছে পাঠানোর নির্দেশ।
নিয়োগে গ্যাঁড়াকল হলে তৃণমূলের আমলেই হয়েছে, অভিযোগ জেলা কংগ্রেস সভাপতির। পাশাপাশি প্রত্যেকটি সরকারি ক্ষেত্র যেন দুর্নীতির আখড়া! ঝালদা পুরসভাই বা বাদ যাবে কেন? এখানেও কেন্দ্রের প্রকল্পগুলিতে দুর্নীতির অভিযোগ আনছে বিজেপি। নিয়োগকাণ্ডের ডেভেলপার অয়ন শীলের হাত ধরে পুর দুর্নীতির নতুন চ্যাপ্টার দেখেছে বাংলা। হিমশৈলের বাকি অংশের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তবে যে ঝালদা নিয়ে এত লড়াই, এত দরাদরি, সেই পুরসভাও এবার তদন্তের স্ক্যানারে! এখনও কি ঝালদা নিয়ে রাজনীতির টানাপোড়েন চলবে? নাকি এবার দায় ঝাড়ার পালা?