Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

PrimaryBoard

TET: 'আপনাদের জন্য মেধাবীরা লড়ছেন আর অযোগ্যরা চাকরি করছে', ফের পর্ষদকে খোঁচা কোর্টের

সোমবার টেটে (TET) নিয়োগ সংক্রান্ত বঞ্চনার কথা জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নেফাউর শেখ নামে এক চাকরিপ্রার্থী। আদালতকে (High Court) তিনি জানিয়েছিলেন, টেটের ভুল প্রশ্নের জন্য তাঁর নম্বর বাড়লেও বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় তিনি ইন্টারভিউয়ে বসতে পারেননি। পর্ষদের ভুলের জন্য তিনি বঞ্চনার শিকার। আদালত পর্ষদকে (Primary Board) নির্দেশ দিক, যাতে তাঁকে পরীক্ষায় বসতে অনুমতি দেয়। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, 'প্রাথমিকের নিয়োগে সমস্যা যখন হয়েছে পর্ষদের ভুলেই। তাই তার খেসারতও তাদেরই দিতে হবে।'

প্রশ্ন ভুল মামলায় কত জনকে ৬ নম্বর দেওয়া হয়েছিল, কত জনকে দেওয়া সম্ভব, তা আগামী ৪ নভেম্বর পর্ষদকে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে ২০ লাখ পরীক্ষার্থী টেট পরীক্ষা দিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে এক লাখের বেশি পরীক্ষায় পাশ করেছিল। এদিন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ, ওই ক্যান্ডিডেটকে যাতে পরীক্ষায় বসানো যায় সেই ব্যবস্থা পর্ষদকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে করতে হবে। এই নির্দেশ সবার জন্য। যারা ২০১৪-য় পরীক্ষায় বসেছেন, তাঁদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে।

এদিন শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'পাহাড় প্রমান দুর্নীতিগ্রস্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মেধাবী চাকরিপ্রার্থীরা লড়াই করছেন আর অযোগ্যরা চাকরি করে যাচ্ছে। যুব সমাজের কাছে প্রমাণিত দুর্নীতিগ্রস্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। একটা চাকরির জন্য মেধাবী চাকুরীপ্রার্থী দেওয়ালে মাথা ঠুকছেন, সেখানে পর্ষদের ভুলে চাকরি পরীক্ষায় বসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।'

one year ago
TET: ফের কি করুণাময়ীর ধর্নাস্থলে ফিরতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা? মঙ্গলবার হাইকোর্টে সিদ্ধান্ত

এপিসি ভবনের (APC Bhawan) সামনে আন্দোলনরত টেট ২০১৪ (TET 2014) চাকরিপ্রার্থীদের বলপূর্বক তুলে দিয়েছিল বিধাননগর পুলিস (Bidhannagar Police)। রাতের অন্ধকারে হওয়া সেই পুলিসি অভিযানের নিন্দায় সরব রাজনৈতিক দল থেকে নাগরিক সমাজ। যদিও পুলিসি ধরপাকড়ের দিনেই চাকরিপ্রার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তাঁরা আবার ফিরে আসবেন। তাই থেমে না থেকে আবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে আন্দোলনের পরিকল্পনা শুরু করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

তবে এবার আইনি পথে হেঁটে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ছাড়পত্র কোর্ট থেকে নিয়েই ফের করুণাময়ী আসতে চান চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের গৃহীত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নির্ভর করছে কলকাতা হাইকোর্টের উপর। শুক্রবার টেট প্রার্থীদের দায়ের করা মামলার শুনানি বিচারপতি অমৃতা সিনহা এবং অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে থাকলেও, সেটা পাঠানো হয়েছে রেগুলার বেঞ্চে।

আগামী মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে। ততদিন তাঁরা ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশে ধর্না চালিয়ে যাবেন। এদিকে, কালীপুজোর আগে টেট ২০১৪ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না এবং আমরণ অনশনে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। নিয়োগপত্র না পেলে তাঁরা ধর্নাস্থল ছাড়বেন না, এই পণ করে আমরণ অনশন শুরু করে তাঁরা। ধর্নাস্থলে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন এবং পর্ষদ অফিসে কর্মীদের যাতায়াতে অসুবিধা তৈরি করছে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ। এই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আদালতের অবসরকালীন বেঞ্চ ধর্না নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও, করুণাময়ী এলাকার সংশ্লিষ্ট স্থানের ১৪৪ ধারা কার্যকরের দায়িত্ব পুলিসকে দিয়েছিল।

এমনকি, পর্ষদ অফিসে ঢোকা ও বেরনোর সময় যাতে কর্মীদের অসুবিধা না হয়। সেদিক নিশ্চিত করতে বিধাননগর পুলিসকে দায়িত্ব দিয়েছিল কোর্ট। আদালতের এই নির্দেশ কার্যকর করতেই মধ্যরাতে পুলিসি ধরপাকড়ের মাধ্যমে ফাঁকা করা হয় ধর্নাস্থল। সেই অভিযানের সমালোচনায় সরব ছিল গোটা বাংলা।

2 years ago
Agitation: করুণাময়ীতে নির্জলা অনশনের দু'দিন পার! অসুস্থ বহু, মাইকিংয়ে অবস্থান তুলতে আর্জি পুলিসের

২০১৪ টেট (TET 2014) নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের করুণাময়ীতে (Karunamoyee Agitation) চলা অবস্থান বিক্ষোভের ৭২ ঘণ্টা পার। প্রায় দু'দিনের বেশি সময় ধরে তাঁরা চালাচ্ছে আমরণ অনশন। বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি, 'চাকরির নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান তুল্বেন না তাঁরা।' যদিও পর্ষদ (Primary Board) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে ইন্টারভিউতে বসতেই হবে চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু তাঁরা অনড়। টেট পাশ করে ইতিমধ্যে তাঁরা দু'বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। তাই আর কোন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নেবেন না। স০ংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে পর্ষদকে পাল্টা অবস্থান জানিয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা।


ইতিমধ্যে যেখানে ২০১৪ টেটের নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান, তার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পৃথক অবস্থান বিক্ষোভে ২০১৭ টেটের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের আবার বক্তব্য, '২০১৪ টেট উত্তীর্ণরা ইতিমধ্যে দু'বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের একবারও ইন্টারভিউতে ডাকা হয়নি। পর্ষদ কি তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করছে? দু'পক্ষের এই টানাপোড়েনে যখন উত্তপ্ত করুণাময়ী চত্বর, তখন পর্ষদের দায়ের করা মামলায় অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

আদালত জানিয়েছে, আচার্য ভবন এর সামনে ১৪৪ ধরা কার্যকর করবে বিধাননগর কমিশনারেট। পর্ষদ অফিসে ঢোকা এবং বেরনোর জন্য কর্মীদের নিরাপত্তা দেবে পুলিস। তবে অবস্থান সরানো নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ কার্যকর করবে। সেদিন আদালতে রেগুলার বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।


হাইকোর্ট এভাবে অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়ার পর করুণাময়ী চত্বরে বাড়ে পুলিসি সক্রিয়তা। সন্ধ্যা বাড়তেই অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য মাইকিং শুরু করে পুলিস। নয়তো আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিস। পাল্টা আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, 'নিয়োগ পত্র না নিয়ে একচুলও নড়বেন না তাঁরা। প্রয়োজনে মার খাবেন এবং গুলি খাবেন, কিন্তু নিয়োগ না পেলে অবস্থানস্থল ছাড়বেন না তাঁরা।' আদতে এটা চাকরিপ্রার্থীদের ডু অর ডাই ম্যাচ, এমনটাই জানান চাকরিপ্রার্থীরা।

এদিকে, ২০১৪ টেট নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের করুণাময়ীতে চলা অবস্থান বিক্ষোভের ৭২ ঘণ্টা পার, অনশনের পার ৫০ ঘণ্টা। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে একফোঁটা জল এবং খাবার তাঁরা মুখে তোলেননি। ইতিমধ্যে অন্তত ৪-৫ জন অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেছে। পুলিস এসে অসুস্থ চাকরিপ্রার্থীদের মেডিক্যাল সহযোগিতার প্রস্তাব দিলেও, সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন চাকরিপ্রার্থীরা। শেষ পাওয়া খবরে, গুরুতর অসুস্থ এক চাকরিপ্রার্থীকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে পুলিস।

2 years ago


Manik: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ মানিকের আবেদন, জেলেই থাকতে হবে অপসারিত পর্ষদ সভাপতিকে

দিন দুয়েক আগে মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে থাকা কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই শীর্ষ আদালতেই বড়সড় ধাক্কা খেলেন প্রাথমিক বোর্ডের (Primary Board) অপসারিত সভাপতি। ইডি (ED) গ্রেফতারির বিরুদ্ধে করা তাঁর আবেদন এদিন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মানিকের দাবি ছিল, যে মামলায় সিবিআই গ্রেফতারিতে তাঁর উপর রক্ষাকবচ রয়েছে, একই মামলায় ইডির গ্রেফতারি বেআইনি। কিন্তু শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। এদিন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে আর্থিক তছরুপ মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে ইডির গ্রেফতারি বেআইনি নয়। এদিকে, বারাসতে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের  বাড়িতে ইডির ম্যারাথন তল্লাশির পর বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিনতি ইডির কাছে হাজিরার জন্য সময় চেয়েছিলেন তাপস। অন্তত ৭ দিন তাঁকে সময় দেওয়া হোক। আইনজীবী মারফৎ কেন্দ্রীয় সংস্থাকে এই বার্তা পাঠিয়েছেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। 

যদিও, মঙ্গলবার থেকে তিনি নিজের বাড়িতে আছেন। একেবারের জন্য বাইরে দেখা যায়নি তাপসকে। সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানান স্থানীয়রা। তবে তাপস মণ্ডলকে কোনও সময়ই দিল না ইডি। এদিনই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে হবে। এমনটাই স্পষ্ট করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপ মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করার সম্ভাবনা।

2 years ago
Primary: করুণাময়ীতে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার বিরোধিতায় কোর্টে পর্ষদ, দু'রাত পথেই বিক্ষোভকারীরা

প্রাথমিকের (Primary Board) ধর্নার বিরোধিতা করে হাইকোর্টে প্রাথমিক বোর্ড। আন্দোলনের জেরে কোনও কর্মী ঢুকতে পারছেন না। ফলে কোন কাজ করা যাচ্ছে না। কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন। পর্ষদকে লিখিত আবেদন করতে নির্দেশ হাইকোর্টের (High Court)। পর্ষদের আবেদন শুনে বিচারপতির প্রশ্ন, 'এতদিন ধরে আন্দোলন (Sit in Protest) চলছে, আজ কেন হঠাৎ অফিসে ঢুকতে পারছেন না বলে আবেদন?' আদালত জানিয়েছে, মৌখিক আবেদন করলে চলবে না, লিখিত আবেদন করতে হবে। এভাবে দ্রুত শুনানি করানো যায় না। তার একটা প্রসিডিওর রয়েছে। আদালতের নিয়ম মেনে লিখিত আবেদন করুন। এভাবেই পর্ষদ আইনজীবীকে নির্দেশ বিচারপতির।

এদিকে, করুণাময়ীতে এপিসি ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ ২০১৪ টেটের নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের। ৫২ ঘণ্টা হতে চলল তাঁরা অবস্থানে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আমরণ অনশন চালু করেছেন তাঁরা।  বুধবার চাকরিপ্রার্থীরা জানান, পর্ষদ সভাপতির উপর ভরসা নেই। ভরসা নেই শিক্ষা দফতরের কোনও আধিকারিকের উপরেও। আমরা একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর মুখাপেক্ষী। অন্তত একবার অবস্থান মঞ্চে আসুন মুখ্যমন্ত্রী, কাতর আবেদন চাকরিপ্রার্থীদের।

অপরদিকে, অবস্থান বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে করুণাময়ী আসেন কামদুনি-কাণ্ডের  প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল। কামদুনি হাইস্কুলের শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় দেখা করেন  চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে। এসেছিলেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল এবং বিজেপি মহিলা মোর্চা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বায়ো টয়লেট এবং মোবাইল চার্জের ব্যবস্থা করা হবে আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি মহিলা মোর্চা।

2 years ago


TET: করুণাময়ীতে আমরণ অনশনে চাকরিপ্রার্থীরা, 'রাজনৈতিক ইন্ধন' দেখছেন পর্ষদ সভাপতি

করুণাময়ীতে ২০১৪ টেট (TET 2014) চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভের ২৪ ঘণ্টা পার। মঙ্গলবার সকাল থেকে নিয়োগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশনে (Fast onto Death) চাকরিপ্রার্থীরা। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেছে। অনশনমঞ্চে থাকা অন্য চাকরিপ্রার্থীরা (Job Aspirants) অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে অসুস্থদের হাসপাতালে পাঠান। পুলিস কোনওরকম সাহায্য করেনি বলেই অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিধান নগর পুলিসের তরফে মাইকিং চলেছে। যেহেতু চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানমঞ্চ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি। যেহেতু হাসপাতাল রয়েছে তাই এটা একটা সাইলেন্ট জোন। শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের অবস্থান তুলে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে মাইকিংয়ে। যদি চাকরি প্রার্থীরা জায়গা না ছাড়েন তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই হুঁশিয়ারিও বিধাননগর পুলিসের তরফে দেওয়া হয়।

এতে উত্তেজনা বাড়ে। চাকরিপ্রার্থীরা পাল্টা তাঁদের সঙ্গে থাকা জল, ফল, শুকনো খাবার ছুড়ে ফেলে আমরণ অনশনের ডাক দেন। এদিন সকাল ১১টা থেকে চলছে সেই অনশন। তাঁদের একটাই দাবি, 'নিয়োগপত্র হাতে না পেলে তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এটা ডু অর ডাই আন্দোলন।' তাঁদের এই অবস্থার জন্য প্রাইমারি বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে দায়ী করছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।


সরকার সবকিছু কোর্টের উপর ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন চাইলে অযোগ্যদের নিয়োগ খারিজ করে আমাদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে পারে। এমন দাবিও করেন চাকরিপ্রার্থীরা।

এদিকে, করুণাময়ীর অবস্থান বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন দেখছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি জানান, একস্তরীয় বা বহুস্তরীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে এই আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা নিয়োগ জট কাটিয়ে নিয়োগ করতে যাচ্ছি।


তাঁর আবেদন, 'যারা নট ইনক্লুডেড তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করুক। স্বচ্ছতার সঙ্গেই নিয়োগ হবে। প্রতি বছর দুটি টেট হলে আগামি দিনে আরও শূন্যপদ বেরোবে।' তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীদের বয়সের সর্বোচ্চ সীমা সংক্রান্ত জটিলতায় সরকারের কোর্টে বল ঠেলেছেন পর্ষদ সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, '২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা একটা মঞ্চ তৈরি করেছেন। আমি সেই মঞ্চের চার জনের সঙ্গে কথা বলেছি। ২০২০-তে ১৬৫০০ নতুন পদ তৈরি হয়েছে। ২০২১ সালে ১৬,৫০০ শূন্যপদের জায়গায় ১৩,৪৬৫ পদে নিয়োগ হয়েছে। ২০১৪-র টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা দু'বার ইন্টারভিউয়ে অংশ নিয়েছেন।'

2 years ago
Manik: মানিকের রক্ষাকবচ বহাল সুপ্রিম কোর্টে, একমাসের মধ্যে সিবিআই তদন্তের রিপোর্ট তলব

সুপ্রিম কোর্টে বহাল মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) অন্তর্বর্তীকালীন স্বস্তি। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্ত করতে পারবে। কিন্তু এখনই প্রাথমিক বোর্ডের অপসারিত সভাপতির বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবে না সিবিআই। মঙ্গলবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

এদিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ১) সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাবে

২) চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেবে সিবিআই

৩) মানিকের উপর থাকা রক্ষাকবচ বহাল

৪) প্রাথমিকে চাকরি থেকে যে ২৬৯ বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট, তাঁদের মামলায় যুক্ত করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলার শুনানিতে আজকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। এদিকে, ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। আপাতত রয়েছেন ইডি হেফাজতে। যদিও হেফাজতে থাকাকালীন ইডি জেরার মুখে পড়ে একাধিকবার অসুস্থ বোধ করেন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর এবং ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা কোটি টাকার উৎস নিয়ে মুখে কুলুপ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত সভাপতির।

2 years ago
ED: নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক যোগ!দিনভর শহরের ৬ জায়গায় ইডি হানা, ফ্ল্যাট সিল

মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) গ্রেফতারির দিন কয়েকের মাথায় কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক জায়গায় ইডির (ED Raid) ধারাবাহিক অভিযান। শনিবার সকাল থেকেই মহিষবাথান, কলেজ স্কোয়ার, রাজাবাজার, মুচিপাড়া, বারাসাত,কৈখালিতে একযোগে ইডির তল্লাশি। মহিষবাথানে মিনার্ভা এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির অফিসে তালা ভেঙে ইডির তল্লাশি। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল ও চন্দন মাইতি এই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট চালাতেন। মাঝে মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (primary Board) অপসারিত সভাপতিকে দেখা গিয়েছে আসতে। স্থানীয় সূত্রে এমনটাই খবর।


মহিষবাথানের ওই অফিসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে চাবি না মেলায় তালা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মোতাবেক চাবিওয়ালা ডেকে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হয় তালা। সূত্রের খবর, এই অফিস থেকে প্রাইমারি বোর্ডের একাধিক কাজ করা হতো। এখন প্রশ্ন উঠছে, একটি বেসরকারি সংস্থার অফিসে কীভাবে সরকারি কাজ চালানো হতো? এমনকি একাধিক কোর্সের সার্টিফিকেট দেওয়া হতো এই অফিস থেকেই। প্রাথমিক তদন্তের পর জানতে পেরেছে ইডি।


স্থানীয়দের দাবি, একাধিক ব্যক্তির আনাগোনা ছিল এই অফিসে। প্রায় ২ মাস ধরে বন্ধ এই অফিস। তবে যে বাড়ির নিচে এই ইনস্টিটিউট সেই বাড়ির মালিককেও জিজ্ঞসাবাদ করেছে ইডি। অফিসে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে কারা কারা আসতেন এবং ঠিক কী কাজ হতো বোঝার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

এই অফিসের একাধিক আলমারি, লকার কম্পিউটার খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় নথি বাজেয়াপ্ত করছে ইডি। এদিকে, রাজাবাজার এলাকায় ৩০২ নম্বর এপিসি রোডের আইডিয়াল হাইটস নামে এক আবাসনে সকালেই হানা দিয়েছিল ইডি। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই কমপ্লেক্সে একটি ফ্ল্যাটের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের যোগ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই যোগসূত্রেই এদিন ইডি অধিকারিকরা ওই কমপ্লেক্সে আসেন। প্রায় দু'ঘন্টা নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান তাঁরা। সেখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংস্থা ৩০২ এপিসি রোডের আইডিয়াল হাইটস ব্লক বি-তে নথিভুক্ত। যার সিটি অফিস ১৮ নম্বর কার্তিক বোস ট্রিটে।


পাশাপাশি কলেজ স্কোয়ার এলাকার ১৮ নম্বর কার্তিক বোস ট্রিটের বিভাস অধিকারীর নামে কেনা সেই ফ্ল্যাটেও ইডি হানা। স্থানীয়রা বলছেন ছয় থেকে সাত বছর আগে এই ফ্ল্যাট কেনেন বিভাসবাবু। কিন্তু গত তিন মাস এই ফ্ল্যাটে আসছেন না তিনি। কিন্তু যখন তিনি এই ফ্ল্যাটে আসতেন, তাঁর পরিবারকে সঙ্গে দেখা যেত না। তবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একাধিক বয়সী ব্যক্তিদের আনাগোনা ছিল এই ফ্ল্যাটে। স্থানীয়দের আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, সম্ভবত এই ফ্ল্যাটেই বিভাস চৌধুরী বেআইনি কার্যকলাপ করতেন। ফ্ল্যাটের বাইরে একটি নেমপ্লেট টাঙানো থাকলেও আগে বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাসোসিয়েশনের একটি নেমপ্লেট লাগানো ছিল। পরে সেই নেমপ্লেট বিভাসবাবু খোলেন।

স্থানীয়দের দাবি, 'ফ্ল্যাটের ভেতরে সন্দেহজনক গতিবিধি ছিল। স্থানীয় থানাকে ছয় বছর আগে অভিযোগও জানিয়েছিলেন ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা কিন্তু অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। এখানেই শেষ নয়, বিভাসবাবু নাকি নীল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতেন সঙ্গে থাকতো বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষী।' 

পাশাপাশি মুচিপাড়া থানার গোপালমল্লিক লেনে সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এক চিকিৎসকের বাড়িতে ইডি হানা। কেন্দ্রীয় সংস্থার ৪-৬ সদস্যের এক দল ওই বাড়িতে গিয়ে এক ছাপাখানায় অভিযান চালায়। জানা গিয়েছে, চিকিৎসকের বাড়ির নিচে সেই ছাপাখানা খুলে প্রিন্টিংয়ের কাজ চলতো। শুধু শহর কলকাতা নয় শহরতলির কৈখালী মন্ডলগাঁথি মসজিদ গলিতে ইডি রেড করেছে। এখানেও প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

অপরদিকে, মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ জনৈক তাপস মণ্ডলের বারাসাতের বাড়িতে ইডি হানা। রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিএড কলেজ চালাতেন তাপস মণ্ডল। সূত্রের খবর এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাপস মণ্ডলের যোগাযোগ রয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের মহিষবাথানের টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটও বকলমে চালাতেন এই তাপস মণ্ডল।

2 years ago


Manik: 'চাকরি দিতে ৭ লক্ষ টাকা প্রার্থীপিছু নেওয়া হয়েছে', মানিক প্রসঙ্গে আদালতে দাবি ইডির

মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) ১৪ দিনের হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন ইডির (ED)। যদিও এই আবেদনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ প্রসঙ্গ উল্লেখ মানিকের আইনজীবীর। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের (Primary Board) অপসারিত সভাপতিকে সোমবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে ইডি। মঙ্গলবার সকালে ইএসআই জোকা হাসপাতালে তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। এরপর তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। তারপরই হেফাজত ইস্যুতে ইডি এবং মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবীর মধ্যে চলে বাগযুদ্ধ। এদিন শুনানি শেষে সন্ধ্যার পর মানিক ভট্টাচার্যকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


১৪ দিনের কাস্টডি চেয়ে ইডির আইনজীবী বলেন,'মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে ৫৫ জন প্রার্থীর নাম পাওয়া গিয়েছে। যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। ৪৪ জন চাকরিপ্রার্থী ৭ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। ৫১৪টি ইনস্টিটিউট থেকে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের সংস্থায় অর্থ লেনদেন হয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে কোনও পরিষেবা দেওয়া হয়নি। পুরোটাই ভুয়ো লেনদেন। ৫০ হাজার টাকা প্রতি ইনস্টিটিউট দিয়েছে।' 

ইডির আইনজীবী জানান, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিলির অভিযোগ সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি উদ্ধার হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের থেকে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত কোনও সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের মতো মানিক ভট্টাচার্যকেও 'চোর' শুনতে হয়েছে। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলার সময় তাঁকে উদ্দেশ্য করে জুতো দেখানো হয় এবং চোর রব ওঠে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেছেন, 'ওকে জুতো মারতে এসেছিলাম কিন্তু নিরাপত্তা বেশি থাকায় পেরে উঠিনি।'

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারের পর একাধিকবার 'চোর' শুনতে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সিবিআই হেফাজতে থাকা অনুব্রতকে বোলপুর থেকে আসানসোল নিয়ে যাওয়ার পথে গরু চোর শুনতে হয়েছে। একই পরিস্থিতির মুখে তৃণমূলের পলাশীপাড়ার বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের।

অপরদিকে, ২০১৪ প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা অভিনব কায়দার প্রতিবাদ করলেন মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশে। এদিন তাঁরা মানিক-অসুর বধ করেন। একজন চাকরিপ্রার্থী সাজেন অসুর এবং আরও একজন চাকরিপ্রার্থী দুর্গা সেজে তাঁকে বধ করেন।

2 years ago
Manik: সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি মানিকের! নিয়োগ-কাণ্ডে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল রক্ষাকবচ

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের (Recruitment Scam) তদন্তে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বড়সড় স্বস্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary Board) অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই (CBI)। মানিক ভট্টাচার্যের অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ বাড়িয়ে জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ ১২ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি, ততদিন পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে তদন্তে সহযোগিতা করবেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। শুক্রবার এই নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ।

যদিও এদিন মানিক ভট্টাচার্যকে এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম কিংপিন হিসেবে তুলে ধরেছি সিবিআই। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সেদিন রাত ৮টার মধ্যে মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে। সেদিনেই সুপ্রিম কোর্টে দরবার করে একদিনের রক্ষাকবচ আদায় করে আনেন এই প্রাক্তন শিক্ষাকর্তা। যদিও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তিনি কোথায় ছিলেন, জানতেন না হাইকোর্ট নিযুক্ত এসিপি। তাই যাদবপুর থানায় গিয়ে মানিকের নামে জিডি করেন তিনি।

পরে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিবিআইকে পত্রপাঠ গরহাজির বিষয়টি জানিয়ে দেন মানিক ভট্টাচার্য। আইনজীবীর হাত দিয়ে সিবিআইকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ ছিল সুপ্রিম রক্ষাকবচের বিষয়। বুধবার বঙ্গভবনে খোঁজ মেলে মানিক ভট্টাচার্যের। সেদিনই আবার সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী রক্ষা কবচের মেয়াদ বাড়িয়ে শুক্রবার অবধি করে।

তারপরেই এদিনের শুনানিতে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয় মানিক ভট্টাচার্যের অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচের মেয়াদ।

2 years ago


CBI:কোর্ট নির্ধারিত ডেডলাইনের ১২ ঘণ্টা পার, এখনও সিবিআই দফতরে হাজিরা দেয়নি মানিক

হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দেওয়া ডেডলাইনের ১২ ঘণ্টা পেরোলেও এখনও সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দেননি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। যদিও বুধবার পর্যন্ত তাঁর কাছে রয়েছে সুপ্রিম রক্ষাকবচ। জানা গিয়েছে, দিল্লির বঙ্গভবনের ৫১২ নম্বর ঘরে এই মুহূর্তে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি। তিনি নাকি মঙ্গলবার রাতে সিবিআই সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আইনজীবী মারফৎ পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন দিল্লিতে থাকায় হাজিরা দিতে পারেননি। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে করা তাঁর মামলার প্রসঙ্গও সিবিআইকে জানান মানিক ভট্টাচার্য।

এদিকে, হাইকোর্টের ডেডলাইন অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা অবধি তাঁর কোনও খোঁজ না পেয়ে যাদবপুর থানায় জেনারেল ডায়রি করেন কোর্ট নিযুক্ত এসিপি। তাঁর যাদবপুরের বাড়িতে কোর্ট নিযুক্ত এসিপি এবং কলকাতা পুলিসের একটি দল গিয়ে খোঁজ করলেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। তারপরেই কোর্টের স্থির করে ডেওয়া ডেডলাইন শেষের আগেই যাদবপুর থানায় 'নিখোঁজ' মানিক ভট্টাচার্যের নামে জেনারেল ডায়রি করা হয়েছিল। যদিও সেদিন রাত সওয়া ৮টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের গরহাজির থাকার কারণ সিবিআইকে পত্রপাঠ জানিয়েছে এসেছেন আইনজীবী।

এদিকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলে তাঁকে কী কী প্রশ্ন করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সম্ভাব্য সেই প্রশ্নমালা-- ১) OMR শিট নষ্টের মূল উদ্দেশ্য কী?

২) কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নষ্ট করা হলো OMR শিট?

৩) OMR শিট নষ্ট করার জন্য কার নির্দেশ ছিল?

৪) প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে এই বিষয়ে আপনার কি কথা হয়েছিল?

৫) OMR শিট নষ্ট করার পেছনে পার্থবাবুর কোনও নির্দেশ ছিল?

এমন একাধিক প্রশ্ন মানিককে বিঁধতে তৈরি করে রাখছে সিবিআই।


2 years ago
Bratya: কোর্ট নির্দেশ দিলে ওয়েটিং লিস্টের বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগে প্রস্তুত রাজ্য: ব্রাত্য বসু

কোর্ট নির্দেশ দিলে শিক্ষক এবং অশিক্ষক (SSC) নিয়োগে বঞ্চিত সব চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগে প্রস্তুত রাজ্য (Mamata Government)। আদালত (High Court) বললে, সুপারিশের ফলে হওয়া ব্যতিক্রমী নিয়োগ বাতিল করে সেই শূন্যপদেও নিয়োগ করতে রাজি রাজ্য। মঙ্গলবার রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু  (Bratya Basu)। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি, শিক্ষা দফতরের সচিব। তিনি জানান, ভুল কর মেধাতালিকার ক্রম ভেঙে সুপারিশের ভিত্তিতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, যারা মেধাতালিকার ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন, তাঁরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই জন্য শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। রাজ্য ইতিমধ্যে ৫২৬১টি শূন্যপদ তৈরি করেছে। ১৬০০ পদ তৈরি হয়েছে শারীরশিক্ষা কর্মশিক্ষার পদপ্রার্থীদের জন্য। ওয়েটিং লিস্টে থাকা বঞ্চিত সব শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে আরও প্রায় ১৪ হাজার শূন্যপদ তৈরি করছে রাজ্য। ব্যতিক্রমী নিয়োগের জেরে র‍্যাঙ্ক জাম্প করা বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের এই পদে নিয়োগ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী মন্তব্য, 'মুখম্যন্ত্রী চান না কেউ বঞ্চিত থাকুক কিংবা কারও চাকরি যাক। তাই মহামান্য আদালতের কাছে দুটি সুপারিশ পাঠিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের কাছে অনুরোধ সরকারের সদিচ্ছার উপর ভরসা করে আন্দোলন প্রত্যাহার করুন। পুজো বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে কাটান। আদালত যা নির্দেশ দেবে, সেই নির্দেশের সদর্থক সমাধান করতে আমরা প্রস্তুত।'

তিনি জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি হবে। কার্বন কপি ফিরছে, ওএমআর শিটে স্বচ্ছতা আসছে।

2 years ago
Primary: সুখবর! ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট পরীক্ষা, পুজোর আগেই বিজ্ঞপ্তি

পুজোর আগে বড়সড় সুখবর পেলেন প্রাথমিক শিক্ষক (Primary TET) নিয়োগের চাকরিপ্রার্থীরা। চলতি বছর প্রাথমিকে ১১ হাজার শূন্যপদ পূরণে ১১ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা (Written Exam)। পুজোর আগেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (Notification)। পুজোর (Durga Puja 2022) পর থেকে কালীপুজোর আগে পর্যন্ত পর্ষদের পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া অর্থাৎ আবেদন করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই খবর দেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পাল।

তিনি জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন শূন্যপদ বেড়েছে। এখনও যে নিয়োগ হয়নি সেই পদ জুড়েছে। ইতিমধ্যে কোর্টের নির্দেশ মেনে ১৮৫ জনের নিয়োগ হয়েছে। সোমবারও হাইকোর্ট কিছু শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে। সেই নিয়োগগুলো দেখছে পর্ষদ। প্রতি বছর টেট হবে। তারপরেও শূন্যপদ থাকলে প্রয়োজনে বছরে দু'বাত টেট নেওয়া হবে। এদিন জানান পর্ষদ চেয়ারম্যান।

পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-র নিয়োগ রুল মোতাবেক যারা ২০১৪ এবং ২০১৭ টেট উত্তীর্ণরা তাঁরাও আবেদনের সুযোগ পাবেন।  প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আবেদন, যারা আন্দোলন করছেন, তাঁদের আমরা বলছি বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছি পোর্টাল খুলবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হন। স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হবে, আন্দোলন প্রত্যাহার করুন। যারা চাকরি পাবেন তাঁদের নম্বর বিভাজন প্রকাশ করা হবে। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ক্যামেরার সামনে হবে। কোনও চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ জানালে পর্ষদ ব্যবস্থা নেবে।

2 years ago


Primary: ডিভিশন বেঞ্চ অবস্থান স্পষ্ট করতেই প্রাথমিক বোর্ডের অফিসে সিবিআই হানা

হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) রায়ের পরেই সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary Board) অফিসে সিবিআইয়ের তিন আধিকারিক। এই তিনজনের মধ্যে একজন আবার ডেটা এক্সপার্ট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে যে কম্পিউটার সার্ভার রুম, সেখান থেকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার বেশ কিছু ডেটা সংগ্রহে এই অভিযান। এমনটাই সূত্রের খবর।

এদিকে, শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করেই দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলায় সিবিআই তদন্ত করবে। রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে একথা জানিয়ে দিয়েছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন ডিভিশন বেঞ্চ। যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই ডিভিশন বেঞ্চ কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বিশেষ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রেখে জানিয়ে দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করা দায়ের একাধিক মামলা এদিন খারিজ হয়ে যায়। খারিজ রাজ্য-সহ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের আবেদন। কোনও মামলাতেই ডিভিশন বেঞ্চ হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানানো হয়েছে।

সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল একাধিক পক্ষ। প্রাথমিক টেট নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণকে চ্যালেঞ্জ করেন খোদ মানিকবাবু। পৃথকভাবে চ্যালেঞ্জ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদই। কিন্তু কোনও আবেদনেই কর্ণপাত করেনি ডিভিশন বেঞ্চ।

2 years ago
ED: ২০১১ থেকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কাদের, জানতে চায় ইডি, নথি চেয়ে নোটিস প্রাইমারি বোর্ডের

২০১১-র পর থেকে যারা প্রাইমারি শিক্ষকপদে (Primary Teacher) নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের নথি চেয়ে পাঠাল শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board)। পয়লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে পর্ষদ অফিসে সেই নথি পাঠাতে হবে। এই মর্মেই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ চেয়ারম্যানকে। জানা গিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করা সংস্থা ইডি (ED) এই নথি চেয়ে পাঠিয়েছে। ২০১১-র পর থেকে কাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই দিক খতিয়ে দেখতে চায় কেন্দ্রীয় ওই সংস্থা। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, রাজ্যে পরিবর্তনের সরকার আসার পর ২০১২ থেকে শুরু হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টেট পরীক্ষা।

২০১২ থেকে এযাবৎকাল টেটের মাধ্যমে যারা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের নথি চেয়ে পাঠিয়েছে পর্ষদ। জানা গিয়েছে, শুধু নথি নয়, জমা দিতে হবে নিয়োগপত্রও। 

সেই তথ্য এক্সেল ফরম্যাটে সফ্টকপি হিসেবে পাঠাতে হবে।  চিঠিতে উল্লেখ, এই বিষয়টিকে যেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। চাকরিপ্রার্থীর নাম, টেট রোল নম্বর, বাবার নাম, কোন ক্যাটাগরিতে চাকরি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি, কোন স্কুলে চাকরি এবং কোন বছরে এসবই জানাতে হবে।

এদিকে, সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন গৌতম পাল। তিনি চেয়ারে বসেই ঘোষণা করেছেন সংসদকে স্বচ্ছ রাখতে যা যা করণীয়, তিনি করবেন। এমনকি, প্রতি বছর টেট পরীক্ষা আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন নতুন সংসদ সভাপতি।

2 years ago