Breaking News
ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...      NIA: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ NIA     

PrimaryBoard

Manik: 'সিদ্ধান্ত মানিকবাবু নিয়েছিলেন', নিয়োগ-কাণ্ডে ইডিকে জবাব প্রাক্তন পর্ষদ সচিবের

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Primary Education) পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচি চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির (ED)। প্রায় ১০ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রত্না দেবীকে। তাঁকে করা সম্ভাব্য প্রশ্নগুলোর জবাব বেশ কৌশলে দিয়েছেন পর্ষদের প্রাক্তন সচিব (Board Secretary)। সূত্রের খবর, যে যে সম্ভাব্য প্রশ্ন তাঁকে করা হয়: আপনি সচিব পদে ছিলেন ভূমিকা কী ছিল? দায়িত্ব কী ছিল? জবাবে রত্নাদেবী জানান, 'সমস্ত রকম কাজের যা দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছিল। আমি নিয়ম মেনে সেই সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছি।'

প্রশ্ন ছিল, 'নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের যোগসাজশ কী ছিল? আপনি কি জানেন?' পাল্টা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব জানান, 'আমি ওর বিষয়ে কিছু জানি না। উনি যা কথা বলতেন উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গেই আলাদা করে কথা বলতেন। আমার যা দায়িত্ব ছিল আমি সেই দায়িত্বের মধ্যেই কাজ করেছি।'

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, 'মানিক ভট্টাচার্যকে কারা নির্দেশ দিতেন? আপনি কি জানেন?' উত্তরে রত্নাদেবী জানান, 'কারা কোথা থেকে নির্দেশ দিয়েছে তিনি জানতেন না। কিন্তু নির্দেশ কিছু আসতো তাঁর কাছে। কী নির্দেশ বা কারা দিয়েছে এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।' রত্নাদেবীর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, 'মানিক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন পুরো সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা কমিটি নিতেন। আপনি এ বিষয়ে কী জানেন?' জবাবে রত্নাদেবী বলেন, 'আমি আগেই বলেছি উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের কথা হতো। কিন্তু কী কথা হতো, আমি এবিষয়ে কিছু জানি না।'

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, 'আপনি তো পদে ছিলেন। ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেন অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশ করা হয়নি?' তিনি জানান, 'মানিক ভট্টাচার্য সমস্ত রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।' ইডি সূত্রে খবর রত্নাদেবীকে সম্ভাব্য এই প্রশ্নগুলো করা হয়েছিল। জবাবে তিনিও সম্ভাব্য এই জবাব দেন।

12 months ago
Kuntal: ভুয়ো প্যানেল লিস্টে পর্ষদের স্ট্যাম্প! কুন্তলের বিরুদ্ধে ইডির গুরুতর অভিযোগ

ভুয়ো প্যানেল লিস্ট তৈরি করে সেই লিস্ট অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের (Education Scam) তদন্তে নেমে এই দাবি করেছে ইডি (ED)। লিস্টে ব্যবহার করা হয় নকল স্ট্যাম্পও। চাকরি না পাওয়ায় অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা টাকা ফেরতের জন্য চাপ সৃষ্টি করে কুন্তলের উপর। আর সেই কারণেই তৈরি করা হয়েছিল ভুয়ো প্যানেল লিস্ট, দাবি ইডির।

টাকা দিয়ে চাকরি পায়নি এরকম একাধিক চাকরিপ্রার্থীকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে একাধিক এজেন্ট ও চাকরিপ্রার্থীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সমস্ত প্রার্থীদের থেকে একটি চাকরি প্রাপকের তালিকা উদ্ধার করে ইডি। এই তালিকা চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলো কুন্তল ঘোষ। 

কুন্তল তাঁদের জানায়, 'যারা সম্পূর্ণ টাকা দিয়েছে তাঁদের চাকরি আগে হবে।  এই তালিকায় যারা সম্পূর্ণ টাকা দিয়েছিল তাদেরই নাম রয়েছে।' ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো তালিকা বের করে কুন্তল টাকা নিয়েছিল একাধিক চাকরিপ্রার্থীর থেকে। একই সঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশনের স্ট্যাম্পও নকল করেছিলেন। চাকরি না দিতে পারায় ভুয়ো চাকরির তালিকা তৈরি করে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি দেয় তাঁদের চাকরি হবে। এমনকি তালিকায় নাম রয়েছে তাঁদের বলে আশ্বস্ত করা হয়। ২০১৪ সালে চাকরি দেওয়ার নামে এভাবেই কোটি কোটি টাকা চাকরিপ্রার্থীদের থেকে তুলেছিল কুন্তল।

12 months ago
CBI ED: এবার প্রাথমিক নিয়োগে সিবিআই-ইডির যৌথ তদন্ত, হাইকোর্টের সিট গঠন

এবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে একসঙ্গে সিবিআই-ইডি (CBI-ED)। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high Court)। ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ (Primary Recruitment 2020) দুর্নীতির তদন্তে সিট গঠন করে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত গঠিত যৌথ কেন্দ্রীয় সংস্থার সিট (SIT) এই দুর্নীতির তদন্ত করবে। ইডি এবং সিবিআই সমন্বয় রেখে এই তদন্ত করবে, এমনটাই সূত্রের খবর। কীভাবে পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে দেওয়া হল খতিয়ে দেখবে সিট।

২০১৪-র টেটের নিরিখে ২০২০-র নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত করবে সিবিআই-ইডি। হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত চালাবে সিট। তদন্তে উঠে আসা সন্দেহভাজনদের প্রয়োজনে হেফাজতে নিতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আইনজীবী মহলের প্রশ্ন, এই জোড়া তদন্ত সংস্থার তদন্ত কী নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে আরও রহস্যের জট খুলবে?

one year ago


TET: ডিসেম্বর টেটে প্রথম পূর্ব বর্ধমানের ইনা, দ্বিতীয় স্থানেও চার মহিলা!রেজাল্ট ওয়েবসাইটে

ডিসেম্বরে হওয়া প্রাথমিক টেটের (Primary TET) ফল প্রকাশ হল শুক্রবার বেলা ১টার পর। গত বছর ১১ ডিসেম্বর টেট হয়েছে, প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেন। জানা গিয়েছে ফল, প্রকাশের পর পর্ষদ ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে। বেলা তিনটে থেকে দেখা যাবে সেই ফল। এদিকে, বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত উত্তরপত্র প্রকাশ করেছিল পর্ষদ (Primary Board)। ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেটের প্রশ্নপত্রের সঠিক উত্তর কী, তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে পর্ষদ। এই উত্তরের ভিত্তিতেই শুক্রবার প্রকাশিত প্রাথমিক টেটের ফল, আগেই জানিয়েছে পর্ষদ।

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের মধ্যেই এই ফল প্রকাশের দিকে তাকিয়ে রাজ্যের লক্ষাধিক চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষা গ্রহণের দু'মাস পর ফল ঘোষণা বলে পর্ষদ সূত্রে খবর। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি জানান, '১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষার দু মাসের মধ্যেই ফল প্রকাশ। নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন, এঁদের মধ্যে ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ১০২ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন।' পরীক্ষায় পাশ করেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন, পাশের হার ২৪.৩১%। অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৪৯ জন, এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান গৌতমবাবু।

জানা গিয়েছে, টেট ২০২২ পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের ইনা সিংহ। তিনি ১৫৫-র মধ্যে ১৩৩ পেয়ছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন চার জন। ১৩২ পেয়েছেন হুগলির মৌনিশা কুন্ডু, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেঘনা চক্রবর্তী এবং দীপিকা রায় আর পূর্ব মেদিনীপুরের অদিতি মজুমদার। অর্থাৎ মেধাতালিকার প্রথম এবং দ্বিতীয় দুই স্থানেই মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের জয়জয়কার। জানা গিয়েছে,  প্রথম-দশমের মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন ১৭৭ জন।



one year ago
Reuslt: ডিসেম্বর টেটের ফল প্রকাশ, জানুন কীভাবে দেখবেন রেজাল্ট

ডিসেম্বরে হওয়া প্রাথমিক টেটের (Primary TET) ফল প্রকাশ হল শুক্রবার বেলা ১টার পর। গত বছর ১১ ডিসেম্বর টেট হয়েছে, প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেন। জানা গিয়েছে ফল, প্রকাশের পর পর্ষদ ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে। বেলা তিনটে থেকে দেখা যাবে সেই ফল। এদিকে, বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত উত্তরপত্র প্রকাশ করেছিল পর্ষদ (Primary Board)। ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেটের প্রশ্নপত্রের সঠিক উত্তর কী, তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে পর্ষদ। এই উত্তরের ভিত্তিতেই শুক্রবার প্রকাশিত প্রাথমিক টেটের ফল, আগেই জানিয়েছে পর্ষদ।

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের মধ্যেই এই ফল প্রকাশের দিকে তাকিয়ে রাজ্যের লক্ষাধিক চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষা গ্রহণের দু'মাস পর ফল ঘোষণা বলে পর্ষদ সূত্রে খবর।  

one year ago


Justice: সরকারের সঠিক ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রীর কাজের প্রশংসা করব: জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

টেট ২০২২ (TET 2022) আয়োজনে পর্ষদের ভূমিকায় সন্তুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবারের পর বুধবারেও তাঁর অবস্থান একই। এদিন বিচারপতি (Justice Ganguly) বলেন, "শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board) যদি ভালো কাজ করে তার প্রশংসা আমি করবোই। সরকারের যদি সঠিক ভূমিকা থাকে তবে মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata) কাজের প্রশংসা করবো। আবার যদি দেখি শিক্ষা পর্ষদ কোনও ভুল কাজ করছে তবে তার সমালোচনাও আমি করবো। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই।"

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের একটি মামলা চলাকালীন এই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে, রবিবার রাজ্যজুড়ে হওয়া টেটে বসেন ৭ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী। এই বিরাট আয়োজনকে সুষ্ঠু রাখতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য প্রশাসন। রবিবার ছুটির দিনেও পথে ছিল পর্যাপ্ত বাস, ছিল অতিরিক্ত ট্রেন।

কিন্তু প্রশাসনিক এই তৎপরতার সঙ্গেই একাধিক অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। কোথাও বায়োমেট্রিক বিকল, কোথাও অ্যাডমিট কার্ডে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভুল ঠিকানার মতো অভিযোগ উঠেছে। তবে পরীক্ষার সন্ধ্যায় পর্ষদ সভাপতি দাবি করেছেন সুষ্ঠু হয়েছে চলতি বছরের টেট। এই আয়োজনের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান।

one year ago
SSC: ওএমআর নিয়ে গুচ্ছ অভিযোগ, স্বচ্ছতা রাখতে প্রাথমিকের দেখানো পথেই হাঁটবে এসএসসি

পাঁচ বছর পর, ১১ ডিসেম্বর রবিবার টেট (TET 2022) পরীক্ষা আয়োজিত হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। বহু প্রতীক্ষিত এই পরীক্ষার জন্য সাজোসাজো রব ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary Board) কন্ট্রোল রুমে। ব্যাপক কড়াকড়ির আশ্রয় নিয়েছিল পর্ষদ।  এমনকি, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন এনেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের কাজে খুশি শিক্ষা দফতর। এবার তাই প্রাথমিকের দেখানো পথেই হাঁটতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি (SSC)। এসএসসি-র নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শিট নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। আদালতে খালি ওএমআর শিট দিয়ে চাকরি পাওয়ার তথ্যও জমা পড়েছে। সেই অভিযোগ যাতে আর না উঠে আসে, তাই প্রাথমিকের পথেই হাঁটবে এসএসসি। আগামী এসএসসির নিয়োগ পরীক্ষায় দেওয়া হবে ডুপ্লিকেট ওএমআর শিট।

এদিকে, রবিবার আয়োজিত পরীক্ষায় প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী বসেছিলেন। প্রশাসনিক তরফে ছিল পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এবং আয়োজন। ছুটির দিনেও রাস্তায় ছিল প্রচুর বাস, চলেছে অতিরিক্ত ট্রেন এবং খোলা ছিল ফেরি ঘাট। তবুও অব্যবস্থার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ কলকাতার এক স্কুলে তো পরীক্ষা শেষে চলেছে বিক্ষোভ। নেপথ্যে বায়োমেট্রিক বিকল থাকা।

পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, 'তাঁদের বায়মেট্রিক না হওয়ায়, পরীক্ষা দিয়েও হয়তো অনুপস্থিত হয়ে যাবেন।' এই ধরনের অভিযোগকে সঙ্গী করেই ১১ ডিসেম্বর 'সুষ্ঠুভাবে' সম্পন্ন রাজ্যের টেট। এমনটাই ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।

one year ago
Exam: সম্পন্ন আড়াই ঘন্টার টেট ২০২২! সুষ্ঠু পরীক্ষার স্বার্থে খোলা পর্ষদের কন্ট্রোল রুম

বিক্ষিপ্ত অভাব অভিযোগকে সঙ্গী করেই শেষ চলতি বছরের টেট পরীক্ষা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, প্রায় ৫ বছর পর রবিবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়েছিল চলতি বছরের টেট পরীক্ষা (TET 2022)। নির্ঘণ্ট মিলিয়ে শেষ হয় আড়াইটের সময়। রাজ্যের ১,৪৫৩টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী (Teacher Aspirants) বেলা আড়াইটে পর্যন্ত পরীক্ষা দেন। বহু প্রতীক্ষিত এই পরীক্ষার সুষ্ঠু আয়োজনের স্বার্থে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary Board) অন্দরে সাজোসাজো রব। খোলা হয়েছিল পর্ষদের কন্ট্রোলরুম, জারি একাধিক বিধিনিষেধ। প্রশাসনের দাবি ছুটির দিন হলেও রাস্তায় ছিল পর্যাপ্ত সরকারি এবং বেসরকারি বাস। কলকাতার-শহরতলির পরীক্ষাকেন্দ্রে সময়ে পৌঁছতে এদিন সাতসকাল থেকে শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশনে ছিল পরীক্ষার্থীদের ভিড়।

ভিড় চোখে পড়েছে শহর লাগোয়া ফেরি ঘাটগুলোতেও। এদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার নির্দেশিকা দিয়েছিল পর্ষদ। কিন্তু পরিবহণ না পেয়ে, ট্রেন মিস করে অনেকে ১১টার পরেও পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন। পর্ষদের বিশেষ অনুমতিক্রমে তাঁদের ঢুকতে অনুমতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্র। পৌনে বারোটা এমনকি পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট আগেও অনেক পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকতে দিয়েছে পর্ষদ। বায়োমেট্রিক পরিচয় সেরে তবেই আসনে বসার অনুমতি পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। 

জেলা এবং শহরের কিছু জায়গা থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রের ঠিকানা ভুলের অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রের বাইরে ব্যাগ রাখার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই, এই অভিযোগ অনেক স্কুল থেকে এসেছে। এমনকি বিবাহিত মহিলা পরীক্ষার্থীদের অলঙ্কার এবং শাঁখা-লোহা খুলে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হয়েছে বলেও অনেক জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছিল।

এদিকে, টেটের প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে রাজ্যের ছয় জেলায় সাময়িকভাবে সাসপেন্ড ইন্টারনেট পরিষেবা। পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে সাময়িক অব্যবস্থার অভিযোগ উঠলেও সমস্যা সমাধানে সজাগ ও সতর্ক ছিলপর্ষদ, প্রশাসন বলে সূত্রের খবর।

one year ago


Justice: 'এবার ঢাকি শুদ্ধ বিসর্জন দেবো', ২০১৬ নিয়োগের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি জাস্টিস গাঙ্গুলির

এবার আমি ঢাকি শুদ্ধ বিসর্জন দিয়ে দেবো। ২০১৬-র প্রাথমিক নিয়োগে (Primary Recruitment) ফের দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly)। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কম নম্বর পাওয়া প্রশিক্ষিতরা চাকরি পেয়েছেন। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ ১৩৯ জন চাকরিপ্রার্থী। দাবি, 'যারা চাকরি করছেন, তাঁদের থেকে অপ্রশিক্ষিত মামলাকারীদের নম্বর বেশি।' এই অভিযোগ শুনেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, 'মামলাকারীদের তাঁদের দাবির প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিতে হবে। জানাতে হবে তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কবে অংশ নিয়েছেন, টেটে তাঁরা কত নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু তাঁরা যেহেতু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়, সেজন্য আদালত এখন এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দিচ্ছে না। ১৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।'

মঙ্গলবার আদালতে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীরা দাবি করেন, 'এখনও পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি নন ট্রেইনড প্রাথমিকে ২০১৬-তে চাকরি পেয়েছেন। মোট ৪২ হাজার নিয়োগ হয়েছিল। ৮২৪ জনের এমন নথি আছে, যারা ১০ থেকে ৩০ পেয়ে চাকরি করছেন।' এই সওয়াল শুনে ক্ষুব্ধ বিচারপতির পর্ষদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি,'২০১৬-র গোটা নিয়োগ যদি বাতিল করে দি তখন বুঝতে পারবেন। মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশে এই বেনিয়ম হয়েছে।'

জানা গিয়েছে, ২০১৪-র পরীক্ষা আর ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ তুলে ১৩৯ জন চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ। পরবর্তী শুনানিতে প্রত্যেক পক্ষ তাঁদের বক্তব্য হলফনামা দিয়ে জানাবে। তারপর অবস্থান স্পষ্ট করবে আদালত। এদিন জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

one year ago
TET: ২০১৪ সালের টেট তালিকা ঘিরে জল্পনা, অপপ্রচার বন্ধ করুন, অনুরোধ করলেন গৌতম পাল

একদিকে, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম। অন্যদিকে প্রাথমিক টেট (Primary TET) উত্তীর্ণদের তালিকায় ধরা পড়েছে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট রাজনীতিবিদদের নাম। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে এই ঘটনা সামনে আসতেই মুখ খুললেন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল (Gautam Pal)। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়েছেন, "আমি পৃথিবীতে একজনই আছি যদি জিন দেখেন। কিন্তু আমার নামে একাধিক ব্যক্তি থাকতে পারে।" সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে জানিয়ে দেন।

২০১৪ এর টেট তালিকায় দেখা যাচ্ছে নাম রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বামনেতা সুজন চক্রবর্তী এবং কেন্দ্রীয় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তবে এখানেই শেষ নয় নাম রয়েছে  অমিত শাহেরও। তবে এই জল্পনার অবসান করে প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি গৌতম বাবু জানান, "২০১৪ সালে যে সমস্ত নাম আছে তাদের মধ্যে দিলীপ ঘোষ রয়েছে দুজন। সুজন চক্রবর্তী আছেন একজন। গৌতম পাল আছেন তিনজন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। কিন্তু এটা কী করে ভেবে নিচ্ছি তালিকায় থাকা দিলীপ, সুজন, মমতা এনারা রাজনৈতিক ব্যক্তিত। তারা তো ভিন্ন নাম। গৌতম পাল আমার নামে ৩ জন আছেন। তাঁদের বাবার নাম লেট বিজয় পাল, প্রাণনাথ পাল আর একজনের বাবার নাম গোপাল পাল। সুজন চক্রবর্তী তাঁর বাবার নাম স্বপন চক্রবর্তী। তাঁর মোবাইল নম্বরও আছে। চাইলে আপনারা ফোন করে দেখুন। দিলীপ ঘোষ দুজন ছিলেন। একজনের বাবার নাম শশাঙ্ক শেখর ঘোষ অন্যজনের বাবার নাম জাবর ঘোষ।”

এর সঙ্গেই তিনি আরও জানান, "আমি অনুরোধ করছি, এই অপপ্রচারটা যাতে বন্ধ হয়। আমরা কাজ করছি, বোর্ড ভালো কাজ করছে অথচ এই এক নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।" তবে তাঁর এই সাংবাদিক বৈঠকের পর জল্পনা কি বন্ধ হবে? এখন সেটাই দেখার। 

one year ago


TET: ২০১২ এবং ২০১৪ চাকরিপ্রার্থীদের ৪০ দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসার অনুমতি হাইকোর্টের

২০১২ এবং ২০১৪ টেট (TET) চাকরিপ্রার্থীদের মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি চাকরিপ্রার্থীদের (Job Aspirants)। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ৪০ দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসার অনুমতি দিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আদালতের নির্দেশ, 'মামলাকারীরা অর্ডার কপি নিয়ে যাবে লালবাজারে। সেখানে চাকরিপ্রার্থীরা উচ্চপদস্থ পুলিস কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে অবস্থানের দিনক্ষণ ঠিক করবে।' জানা গিয়েছে, ২০১২ ও ২০১৪-র টেটে পাশ করেও চাকরি না পাওয়া বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসার অনুমতি পায়নি পুলিসের থেকে। তাঁদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসার অনুমতি দিক আদালত। তাঁদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণে এই আন্দোলনের ডাক। এই আবেদনেই এদিন চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষেই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।

এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ফের হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সম্প্রতি ২০১৭ টেটের সংরক্ষিত বিভাগে পাশ মার্ক ৮২ করার নির্দেশে দিয়েছিল হাইকোর্ট।  ৭ ই নভেম্বর ২০১৭-র সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষনা করা হলেও, ২০১৪ নিয়ে কোন বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি পর্ষদ। এই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ ২০১৪ টেটের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সোমবার পর্যন্ত দেখা হবে। নির্দেশ কার্যকরী না হলে পরীক্ষা  বন্ধ করে দেব।

অপরদিকে, বাম আমল থেকে আটকে থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে চালু করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। এক্ষেত্রে অপ্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে হাইকোর্ট। ২০০৯ সালের শিক্ষক নিয়োগে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং মালদা এই তিন জেলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে থমকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০১২ সালে প্যানেল বাতিল হওয়ার জন্য এই চার জেলার নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে যায়। পরে আবার ২০১৪ সালে পরীক্ষা হয়ে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ২০০৯-এর প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে রায় আদালতের। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি কৃষ্ণা রাও-র ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। বাছাই পর্ব সম্পূর্ণ করে প্যানেল প্রকাশিত করতে হবে দু সপ্তাহের মধ্যে। এই প্যানেল প্রকাশের দু'সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ চূড়ান্ত করতে হবে।

one year ago
Primary: ঢাল সুপ্রিম স্থগিতাদেশ! প্রাথমিকে চাকরি খোয়ানো ২৬৮ জনকে কাজে ফেরাচ্ছে পর্ষদ

হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে প্রাথমিকে (Primary Board) চাকরি হারানো ২৬৮ জন চাইলে যোগ দিতে পারেন কাজে। সোমবার আগের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে জানিয়ে দিল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে জুন মাসে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ২৬৯ জনের চাকরি গিয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চেও বহাল ছিল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দরবার করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ১৮ অক্টোবর দেশের শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টের সেই আদেশকে হাতিয়ার করেই এদিন প্রাথমিক বোর্ড নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা, 'চাকরি হারানো ২৬৮ জন চাইলে আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে পারেন। এই সংক্রান্ত চাকরি থেকে বরখাস্তের পূর্বতন বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করছে পর্ষদ।'

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২৬৯ জনের মধ্যে একজন পৃথক ভাবে চাকরিতে পুনরায় নিয়োগের আবেদন করে দরবার করছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই তাঁকে পুনর্বহাল করা হয়েছে। বাকি ২৬৮ জন চাইলে চাকরিতে যোগ দিতে পারে। এমনটাই পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ।


এদিকে, ৭ বছর পর মিলতে চলেছে টেট পাশের সার্টিফিকেট। ২০১৪ টেটের সফল চাকরিপ্রার্থীদের সার্টিফিকেট দিতে যাচ্ছে পর্ষদ। এই সপ্তাহের মধ্যেই মার্কস জানতে পারবেন ২০১৪ টেট পাশরা। ২০১৭ টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীদের মার্কসও জানাবে পর্ষদ। এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিয়ে মার্কস জানাবে পর্ষদ। অপরদিকে যে সকল চাকরিপ্রার্থীরা ৮২ পেয়েছিলেন, তাঁদের পাশ করালো পর্ষদ। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই সূত্রের খবর।

one year ago
TMC: দুর্নীতির গুচ্ছ অভিযোগ, জেলা প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ খোয়ালেন টিএমসি বিধায়ক

দলীয় এক কর্মীকে টাকার বিনিময়ে দলে পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অভিযোগে পদ খোয়ালেন করিমপুরের তৃণমুল বিধায়ক (Trinamool MLA) বিমেলেন্দু সিংহ রায়। ইতিমধ্যেই তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, তাঁর পরিবর্তে চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব সামলাবেন নদিয়ার (Nadia) জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি।

জানা যায়, বিমলেন্দু সিংহ রায় (Bimalendu Singh Roy) একদিকে যেমন বিধায়কের দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন, ঠিক তেমনই অন্যদিকে নদিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদেও ছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন আগে ৭ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে এক দলীয় কর্মীর তরফ থেকে। এরপর করা হয় মামলা। সেই মামলা বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীনে রয়েছে। এছাড়াও বিমলেন্দু সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে বদলির নামে ঘুষ নেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। যার কারণে দিনে দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে অস্বস্তি বাড়ছিল। অবশেষে পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে।

প্রসঙ্গত, এই বিধায়কের বিরুদ্ধে এর আগে অভিযোগ উঠেছিল তিনি তৃণমূল ব্লক সভাপতি করার জন্য টাকা নিয়েছিলেন এক স্থানীয় তৃণমুল নেতা হাসান আলি মণ্ডলের কাছে। পরবর্তীতে সেই কথা জানাজানি হতেই ওই হাসান আলি মণ্ডলের বাড়ির সামনে বোমাবাজি করারও অভিযোগ ওঠে। এই প্রসঙ্গে বিমলেন্দু সিংহ রায় জানান, এটা তো সরকারি সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে আলোচনার কোনও মানে নেই।

one year ago


Justice: 'চাকরিটা জরুরি, প্রাথমিক নিয়োগে বাধা হবো না', অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিচারপতি গাঙ্গুলি

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করব না, বাধা হয়ে দাঁড়াবো না। কারণ ওটা চাকরিপ্রার্থীদের চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপার। চাকরিটা জরুরি। আমি চাই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ (Primary Board) স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাক। শুক্রবার প্রাথমিক নিয়োগের এক মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন যদি কোনও গুরুতর অভিযোগ আসে, যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তার বিচার চলতে পারে, কিন্তু প্রক্রিয়া বন্ধের পক্ষপাতী আমি নই। প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)।

এদিকে বৃহস্পতিবার ২০১৭-র টেটে যারা ১৫০-এর মধ্যে ৮২ পেয়েছেন, তাঁদের পাশ করিয়ে নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, টেট পরীক্ষা ২০১৭-র ক্ষেত্রে ৮৩ পাস নম্বর। এই বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে আদালতে হাজির হয়েছিল ১৬ জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের আবেদন শুনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ তাঁদের পাশ করাতে হবে।

এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, যারা আদালতে দরবার করেছিলেন তাঁরা ৮২ নম্বর পেয়েও যোগ্যতা লাভ করেননি। যেহেতু পাশ মার্কস ৮৩, সেক্ষেত্রে ১৫০-র ৮২ মানে ৫৪.৬৬%, রাউন্ড আপ করলে ৫৫%। আর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই শতাংশ স্বীকৃত সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনে। তাই আবেদনকারীদের পক্ষে রায় দেন বিচারপতি।


one year ago
Court: 'জানি না আমার জীবদ্দশায় সব দুর্নীতিবাজ ধরা পড়বে কিনা', নিয়োগ-কাণ্ডে হতাশ বিচারপতি

আমি জানি না আমার জীবদ্দশায় এঁদের সকলকে ধরা হবে কিনা। প্রাথমিক নিয়োগ (Primary Board) দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly)। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নাকতলার বাসিন্দা জনৈক এক ব্যক্তি শুনানিতে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। তিনিই নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে আদালতে জানান, আমরা তো আগে থেকেই জানতাম এই দুর্নীতির (Corruption) কথা। আমরা সকলেই জানি প্রাথমিক দুর্নীতি তে মূল দোষী কে। তাহলে শুধুমাত্র এই কয়েকজনকে ধরে কী লাভ বাকিদের কেন ধরা হচ্ছে না?

এরপরেই খানিকটা হতাশার সুরে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ব্যক্তি জানান, নাকতলার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে এই দুর্নীতি সম্বন্ধে তিনি ওয়াকিবহাল। প্রকাশ্যেই এসব চলতো, কিন্তু কেউই মুখ খুলতেন না। কিন্তু আরও যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?

২০১৭ সালের টেট  পরীক্ষার যারা ১৫০-এর মধ্যে ৮২ পেয়েছেন তাঁদেরকে পাশ করিয়ে নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পর্ষদকে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল টেট পরীক্ষার ২০১৭-র ক্ষেত্রে ৮৩ পাস নম্বর। আদালতে হাজির হয়েছিল ১৬ জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের আবেদন শুনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ পাশ মার্কস হবে ৮২।

এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, 'অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন কারণ ১৫০-এ ৮২ নম্বর মানে ৫৪.৬৬% মার্কস। যেটা রাউন্ড আপ করলে ৫৫%। আর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫৫% পাশ মার্কস, সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনেও সেটা স্বীকৃত। তাই যারা আবেদন করেছিলেন তাঁদের পক্ষেই রায় দিয়েছেন বিচারপতি। এখন দেখার প্রাথমিক বোর্ড কী অবস্থান নেয়।'

one year ago