ফের শহরে হানা আয়কর দফতরের। এবারে আর্থিক কারচুপির অভিযোগ ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সোমবার সকাল থেকে তাঁর ঢাকুরিয়ার আবাসনে অভিযান চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বাড়িতেই রয়েছেন উৎপলবাবু। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র এবং ব্যাঙ্কের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
সূত্র মারফত খবর, সকাল ৭.৩০ টা নাগাদ ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের ৭-৮ জন আধিকারিক উৎপল বাবুর ফ্ল্যাটে যান। তিনি বিদেশি মদ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ২২টি দেশে অ্যালকোহল সরবরাহ করতেন। এছাড়া বিদেশি মদ তৈরির সংস্থার আড়ালে অনেক টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি উৎপলবাবুর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগও ছিল। সবমিলিয়ে এদিন তিনি আয়কর দফতরের হাজার প্রশ্নের মুখে পড়লেন আইএফএ-এর প্রাক্তন সচিব।
প্রসূন গুপ্ত: সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদল থেকে নব সংগঠন অনেক কিছুই হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের ভাবনা এখন বেশ কিছুটা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই ন্যস্ত। অভিষেকের উপর ভরসা দলের বিভিন্ন শাখার এমনকি আস্থা দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনেক নেতা বা বিধায়ক বা সাংসদ সময় বুঝে নিজেদের জায়গা ঠিক করে নিচ্ছেন। এটা তো বাস্তব মমতার পরে গ্রহণযোগ্যতায় অভিষেকই আসেন। সম্প্রতি নানান উপনির্বাচন বা পঞ্চায়েত ইত্যাদি নির্বাচনে অভিষেকের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। সেই অভিষেক সম্প্রতি মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করলেন যে মহুয়া মৈত্রর পাশে তিনি বা দল রয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে মহুয়ার ভূমিকা নিয়ে মহাবিতর্ক যে শুরু হয়েছে এবং যে ভাবে বিরোধী প্রায় সমস্ত দল তাঁর পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে তাতে তৃণমূলের মুখ বুজে থাকাটা বোধহয় খারাপ বার্তা যাচ্ছিলো দলের কর্মীদের কাছে ফলে মহুয়াকে শুধু সমর্থন নয় তাঁকে দায়িত্ব দিলো দল।
সংসদের গোপনীয়তা প্রকাশ ঘটনায় কেন্দ্রে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার মোটামুটি কোমর বেঁধে নেমেছে মহুয়াকে লোকসভার থেকে বহিষ্কার করার কাজে। সংসদের গোপনীয়তা ঘটনা যে সঠিক এমন আইনি বাস্তবতা না থাকলেও ওই কাজটি যে আপাতত প্রয়োজনে প্রায় সব সাংসদরাই করে থাকেন এমন উদাহরণ মহুয়া সহ বিরোধী দলের অনেকেই জানিয়েছেন কিন্তু প্রাথমিক ভাবে দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে তৃণমূল ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনও শব্দই উল্লেখ করে নি। হয়তো অবস্থা কোন দিকে যায় সে দিকেই নজর রাখছিলো। কিন্তু গোল বাঁধলো যখন মহুয়াকে সংসদের বিশেষ কমিটি তাঁকে ডেকে এক প্রকার অপমান করলো ( বিরোধীদের বক্তব্য অনুযায়ী ) তখন আর চুপ থাকা সমীচীন মনে করে নি তৃণমূল। অন্যদিকে কংগ্রেস এবং সিপিএম সরাসরি মহুয়ার পাশে দাঁড়ানোই খানিক অস্বস্তিতেও পড়েছিল দল। মহুয়া যা করুন না কেন তাঁর জনপ্রিয়তা প্রবল ভারত জুড়ে কাজেই তাঁকে যদি দল বহিষ্কার করে বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় তবে দেশের কাছে ভালো বার্তা যাবে না এটি কিন্তু অভিষেক বুঝেছেন। দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে তাঁর পাশে দল শুধু দাঁড়ালো না, তাঁকে কৃষ্ণনগর জেলা অবস্থানের সভাপতির পদ দেওয়া হলো। অভিষেক রাজনীতিতে অনেকটাই পটু এটাই ফের উদাহরণ।
মণি ভট্টাচার্য: ১১ অগাস্ট, ২০২২, গরু পাচার মামলায় বীরভূমে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মন্ডল। সময় যত এগিয়েছে ততই বিপাকে পড়েছেন কেষ্ট। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছে একমাত্র মেয়ে, বাজেয়াপ্ত হয়েছে সিংহভাগ সম্পত্তি। তবুও কোথাও যেন অনুব্রতর পাশে ছিল তাঁর দল তৃণমূল। যে দলের জন্য প্রাণ নিয়োজিত ছিল কেষ্টর। অনুব্রতহীন বীরভূমে অনেক ঝড় ঝাপ্টা সামলেছে তৃণমূল। তবুও জেলে থেকেও তিনিই ছিলেন জেলা সভাপতি। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী পার্থ, তৃণমূল নেতা শান্তনু, কুন্তল। একের পর এক ডানা ছেঁটে ফেলা হয়েছে সবারই। তবুও গ্রেফতারির পরেও কখনও জেলা সভাপতি পদ থেকে নাম বাদ যায়নি অনুব্রতর। কিন্তু ব্যাঘাত ঘটল আজ অর্থাৎ সোমবার। সোমবার তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদের রদবদল ঘটেছে। আর সেখানেই বীরভূমের জেলা সভাপতির জায়গায় নাম নেই অনুব্রতর। বরং ওই জেলা সভাপতি পদ শুন্য রেখে সেখানে লেখা হয়েছে, 'কোর কমিটি টু কমিটি।' অর্থাৎ মমতার গড়ে দেওয়া কোর কমিটিই দেখভাল করবে বীরভূমের। এখানেই জল্পনার শুরু।
সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেষ্টহীন অশান্ত বীরভূমে শান্তি ফেরাতে সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলানোর জন্য কোর কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইঙ্গিতপূর্ণ ঘটনা হল ওই ৭ জনের কোর কমিটিকে সম্পসারণ করে ৯ জনের কোর কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে স্থান দেওয়া হয় কেষ্ট বিরোধী ২ জনকে। যেমন পূর্বে কোর কমিটিতে ছিলেন, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ এবং রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা ওই কোর কমিটিতে সাংসদ শতাব্দী রায়, কাজল শেখ এবং বোলপুর লোকসভার সাংসদ অসিত মালকে জায়গা দেওয়া হয়। এবার বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে অনুব্রতর নাম জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে ওই কোর কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি যে নামটা বারবার ফুটে উঠছে সেটা হল কাজল শেখ। যাকে বরাবর অনুব্রত বিরোধী নামেই চিনেছে বীরভূম। বর্তমানে যিনি অনুব্রতহীন বীরভূমের জেলা সভাধিপতি হিসেবে নয়া দায়িত্ব পেয়েছেন। যদিও পালা বদলের পরে এই দায়িত্বে ছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিকাশরায় চৌধুরী।
এ অবস্থায় বীরভূমের জেলা সভাপতি পদ অর্থাৎ অনুব্রতর পদে এখনই কাউকে না বসিয়ে কি প্রমান করতে চাইল তৃণমূল। কোথাও কি অনুব্রতকে বোঝাতে চাইল যে দল এখনও পাশে আছে? নাকি তৃণমূল প্রমান করতে চাইল লোকসভা ভোটের আগে দুর্নীতি মুক্ত দল গড়তে চায় তৃণমূল।
'টাকা নিয়ে প্রশ্ন' মামলায় লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) সাংসদপদ খারিজ হওয়ার প্রস্তাব ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা। আর সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূলে পদোন্নতি হল মহুয়ার। কল্লোল খাঁকে সরিয়ে লোকসভা ভোটের আগে মহুয়াকে নদিয়ার কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করল তৃণমূল। 'ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন' বিতর্কে মহুয়া মৈত্র থাকলেও দল থেকে ব্রাত্য নন তিনি, বরং তাঁর উপরই ভরসা রাখল তৃণমূল (TMC)।
Thank you @MamataOfficial and @AITCofficial for appointing me District President of Krishnanagar (Nadia North) .
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) November 13, 2023
Will always work with the party for the people of Krishnanagar.
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই আজ অর্থাৎ সোমবার কিছু জেলার নেতৃত্বে বদল এনেছে ঘাসফুল শিবির। তখনই জানা গেল, 'ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন' বিতর্কের মাঝেই দলে ওজন বাড়ল মহুয়ার। একেবারে সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হল মহুয়া মৈত্রকে। টাকা নিয়ে প্রশ্ন কাণ্ডে, দলের তরফে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে না দেখা গেলেও দলের এই সিদ্ধান্তে বোঝাই গেল মহুয়ার পাশেই রয়েছে দল। এর পরই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহুয়া। ক্যাপশনে লিখেছেন, "কৃষ্ণনগরের (নদিয়া উত্তর) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানাই। কৃষ্ণনগরের সাধারণ মানুষের জন্য আমি সবসময় দলের হয়ে কাজ করে যাব।"
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পরে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 'প্রেসিডেন্ট অফ ভারত' নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই নতুন করে জল্পনা বাড়াল আরও একটি সরকারি নথি। ইন্দোনেশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারই সরকারি নোট টুইটারে শেয়ার করেছেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র। যেখানে ইংরেজিতে লেখা, প্রধানমন্ত্রীর পদে লেখা প্রাইম মিনিস্টার অব ভারত। সেখানেই প্রশ্নই উঠছে, দেশের নাম কী সত্যিই বদল হতে চলেছে?
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০তম আসিয়ান-ভারত শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮ তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে বুধবার ইন্দোনেশিয়া রওনা হবেন। ৭ সেপ্টেম্বর সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের কারণে মোদীর এই সফর খুবই সংক্ষিপ্ত হতে চলেছে বলে খবর। 'প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত'-এর নোট প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি -২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। সেই উপলক্ষে নিমন্ত্রিতদের কাছে আমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হচ্ছে। সেটা ঘিরেই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতির অন্দরমহল। কারণ ওই চিঠিতে প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়ার পরিবর্তে লেখা রয়েছে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত। সেকারণেই জল্পনা উঠেছে, তাহলে কি ইন্ডিয়ার নাম পরিবর্তন করে শুধুই ভারত রাখা হবে? এবং নাম পরিবর্তনের জন্যই বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার? এদিকে, 'প্রাইম মিনিস্টার অফ ইন্ডিয়া' নোট প্রকাশ্যে আসতেই সেই জল্পনা আরও বাড়ল।
লোকসভা নির্বাচনের সাত মাস আগে ফের 'এক দেশ এক ভোট' নীতি নিয়ে তৎপর কেন্দ্র। নীতি কার্যকর করার জন্য আইন কমিশনের সঙ্গে কেন্দ্রের কয়েক দফা আলোচনাও হয়েছে বলে খবর। সেই আলোচনার ভিত্তিতেই একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ওই কমিটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
লোকসভা ভোটের সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হলে, খরচ অনেকটাই কমবে। একই ভোটার তালিকায় দুটি নির্বাচন হওয়ায় সরকারি কর্মীদের তালিকা তৈরির চাপ কমবে। ভোটের আদর্শ আচরণবিধির জন্য সরকারের কাজ আটকে থাকবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েই এক দেশ, এক নির্বাচন নীতি নেওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানানো হয়, লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন হলে, আসন সমঝোতা করা সহজ হবে। বিরোধীদের একাংশের আশঙ্কা, পরবর্তী পর্যায়ে এই নীতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনগুলিকে ক্ষমতাহীন করে পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটকেও অন্তর্গত করা হবে।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Former US President) ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) গ্রেফতার (Arrested) হলেন। আবার ৩০ মিনিটের মধ্যে জামিনও পেয়ে গেলেন। জানা গিয়েছে, গ্রেফতারির পর আধঘণ্টা জর্জিয়া জেলে ছিলেন তিনি। তারপরই জামিনে মুক্তি পান ট্রাম্প। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই গ্রেফতারি ট্রাম্পের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
গ্রেফতারির ঠিক আগেই ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লেখেন,'কারচুপি ও ভোট চুরির নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস থাকার জন্য আমায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটা আমেরিকার জন্য আরও একটি দুঃখের দিন!'
জানা গিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১৩টি অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়া, কারচুপি, ভোটচুরির অভিযোগ। দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে এই ১৩টি অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হন ট্রাম্প।
একদিনের সফরে কলকাতায় রাষ্ট্রপতি। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তিলোত্তমায় পা রাখার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সূত্রের খবর, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তিনি রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এরপর কয়েকটি নির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিকেলের ফ্লাইটেই দিল্লি ফিরে যাবেন রাষ্ট্রপতি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু জায়গার যানচলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে আজ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত হাডকো থেকে সায়েন্স সিটি পর্যন্ত ইএম বাইপাসের একাংশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে সিআইটি রোড বা এপিসি রায় রোড থেকে এজেসি বোস রোডের দিকে রাস্তা। মা ফ্লাইওভারেও যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনা হবে এই সময়। পার্কসার্কাস কানেক্টর বদলে ব্যবহার করা যেতে পারে, রোড-পার্কস্ট্রিট কিংবা শেকস্পীয়র সরণি।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা ১৫ পর্যন্ত এবং বেলা ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত লাভার্স লেন, রেড রোড, খিদিরপুর রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এর পর বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ১টা ৪৫ পর্যন্ত সিজিআর রোড (পশ্চিম), সিজিআর রোড (পূর্ব), গার্ডেনরিচ রোড (পশ্চিম), গার্ডেনরিচ রোড (পূর্ব), আকরা রোড (পূর্ব) এবং এসপ্ল্যানেড র্যাম্পে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। দুপুর ২টো ৪৫ থেকে ৩টে ১৫ পর্যন্ত এজেসি র্যাম্প এবং খিদিরপুর র্যাম্প বন্ধ থাকবে।
কল্যাণীতে হুগলির বিজেপির মণ্ডল সভাপতির রহস্যমৃত্যু। একটি হোটেল থেকে শনিবার দুপুরে উদ্ধার হয় বিজেপি নেতার দেহ। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাড়ি থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
গুড়াপের বিজেপি নেতা সুদীপ ঘোষের বয়স ৩৭ বছর। গুড়াপ থানা ধনেখালি বিধানসভা গুড়বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চোপা গ্রামে বাড়ি তাঁক। ধনেখালি ২-এর মন্ডল সভাপতি তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩ অগাস্ট কল্যাণীর হোটেলে একটি ঘর ভাড়া নেন সুদীপ। শুক্রবার রাত দুটো নাগাদ ওই হোটেলের ঘর থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
কল্যাণীতে আসে সুদীপের পরিবার। তাঁর বাবা ও বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, সুদীপকে খুন করা হয়েছে। আত্মহত্যা করার ছেলে নয় সুদীপ। হোটেল কর্তৃপক্ষের দিকেও সন্দেহের তির।
মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন কেন্দ্রের বিরোধী জোট মঞ্চ ইন্ডিয়া-র প্রতিনিধিরা। বুধবার তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎ হবে বলে জানা গিয়েছে। মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা।
মণিপুর নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ইন্ডিয়া জোট। সংসদের ভিতরেও প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন তাঁরা। রাজনৈতিক মহলের মত, এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপে ফেলতে চাইছে বিরোধী জোট।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে মঙ্গলবার মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি সেই আবেদন মেনে ইন্ডিয়া প্রতিনিধি দলকে বুধবার সাক্ষাতের জন্য সময় দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি ইন্ডিয়া জোটের ২৬ জন সংসদ সম্প্রতি মনিপুর পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে মনিপুরের রাজ্যপালের কাছে তারা স্মারকলিপি প্রদান করেন। মনিপুরের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি সহ আইন শৃঙ্খলা সব রক্ষার দাবিতে বিধানসভা ও লোকসভা অধিবেশন বয়কট করেছে ইন্ডিয়া জোট।
প্রসূন গুপ্তঃ এই প্রতিবেদন লেখার আগে দু'দিন ধরে প্রচুর ফোন পাচ্ছি যে, দিলীপ ঘোষের গল্পটা কি? অথবা এটা কি শাস্তি হলো, হলে কেন হলো ইত্যাদি। এছাড়া তিনি কি মন্ত্রী হচ্ছেন কেন্দ্রে, গোছের প্রশ্নও আছে। এখানে সাংবাদিকের সূত্র তেমন কাজ করছে না কাজেই একেক মিডিয়ায় একেক বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এর মাঝে কোনটি সত্যি আর কোনটি নয় ধরা মুশকিল। এক জায়গায় তো লেখা হলো রাজ্য দলের চাপেই দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হলো, আবার একই সঙ্গে বলা হচ্ছে তিনি কেন্দ্রের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হচ্ছেন।
১৯৮০-তে বিজেপি দল গঠন হওয়ার পর বহু নেতা কেন্দ্রে এবং রাজ্যে সভাপতি বা দায়িত্বপূর্ণ পদে এসেছেন। বাম জমানায় বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রী থেকে শুরু করে রাহুল সিনহা অবধি এ রাজ্যে বহু সভাপতি এসেছেন। কিন্তু যাঁরাই দায়িত্বে এসেছেন তারা অবশ্যই সংঘ পরিবারের ইচ্ছাতেই এসেছেন বলেই জানা যায়। মূলত আরএসএস করা নেতারাই ভারত তথা রাজ্যগুলির সভাপতি হয়েছেন। দিলীপ ঘোষও ব্যতিক্রম নন। তিনি প্রধানত সংঘ পরিবারের প্রচারক ছিলেন। জীবনের বেশি সময়ে তিনি আদর্শগত ভাবে প্রচারক ছিলেন বলেই তাঁর মুখ থেকে শোনা। একটা সময়ে তিনি আন্দামানে দীর্ঘদিন কাজ করেছিলেন বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন যে, যা সংঘ বলেছে তার অন্যথা করি নি কখনও। আত্মত্যাগের কারণে বিবাহও করেননি বলে জানা যায়। তাঁর কোনও দাবি নেই, দল যখন রাজনীতিতে আসতে বলেছে তখনিই তার বিজেপিতে প্রবেশ। ভোটে দাঁড়ালেন এবং ২০১৬-তে জিতেও আসলেন। ওই সময়েই তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য দলের সভাপতি করা হয়। বলা যেতে পারে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এবং ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে যথাক্রমে ১৮ টি এবং ৭৭টি আসন বিজেপি পায়। শোনা যায় তাঁকে ২০১৯-এ কেন্দ্রে ক্যাবিনেট মন্ত্রী পদ নেওয়ার আবেদন ছিল কিন্তু দিলীপবাবু তা গ্রহণ করেননি।
অবিশ্যি এরপর সভাপতি হিসাবে ড. সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে আসা হয়। তারপর থেকেই কিন্তু দলে নানা গোষ্ঠী সমস্যা তৈরি হয়। বিজেপির ভোট কমতে থাকে। ৩৮% ভোট কমে এখন ২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রও ভেদাভেদে বিরক্ত। সম্প্রতি দলের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শোনা যায় তিনি অন্য দায়িত্ব পেতে পারেন। কিন্তু বাস্তব সত্যি দিলীপ ঘোষের মতো বর্ণময় চরিত্র কমই দেখা যায় এবং অবশ্যই তাঁর মতো জনসংযোগ কম নেতারই ছিল এ রাজ্যে।
এখন তিনি কেবল সাংসদ। সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হল বলেই সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা যে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন, তাতে দিলীপের নাম নেই। বিজেপি সূত্রে খবর, অনেক সময় বেফাস কিছু মন্তব্য করে বসেন দিলীপ ঘোষ, যার জেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বিজেপি সহ বিজেপির বহু কর্মীদেরও। যে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিজেপির একাংশ। যদিও দিলীপ ঘোষের মতে, সামনে লোকসভা নির্বাচন। সেজন্যই সমস্ত সাংসদদের দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে, এবং তাঁরা যেন নির্বাচনী ক্ষেত্রে ঠিকভাবে দলীয় কাজগুলো সারতে পারেন ও সাংগঠনিক দিকেও নজর দিতে পারেন, সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন দিলীপ ঘোষ।
একদা তিনি রাজ্যের রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদ সামলাতেন, সে পদ যাওয়ার পর তিনি বিজেপির তরফে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে নিয়োগ হয়েছিলেন। শনিবারে জেপি নাড্ডার কমিটির পর তিনি কেবল মেদিনীপুরের সংসদ রইলেন। যদিও গুঞ্জন সোনা গিয়েছে দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আনতে পারে বিজেপি। যদিও তাতে এখনও কোনও শিলমোহর পড়েনি। ওদিকে জেপি নাড্ডার সর্বভারতীয় কমিটিতে বাংলা থেকে নেওয়া হয়েছে একমাত্র অনুপম হাজরা কে।
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন (Loksava Election)। এ অবস্থায় সংগঠনকে মজবুত করতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না বিজেপি (BJP)। দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। এবস্থায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বিজেপির। তার মধ্যেই এবার একাধিক রাজ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (President) বদল করা হল।
সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে চার রাজ্যে বিজেপির সভাপতি বদল করা হয়েছে। তেলেঙ্গানায় বিজেপির রাজ্য সভাপতির চেয়ারে বসছেন জি কিষান রেড্ডি। অন্ধ্র প্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন ডি পুরন্দেশ্বরী, ঝাড়খণ্ডে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি, ও পঞ্জাবে দলের রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন সুনীল জাখর।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে. এবার একেবারে হিসাব কষে পা ফেলছে গেরুয়া শিবির। কারণ রাজ্য সভাপতি উপর সংগঠনের কাজকর্ম অনেকটাই নির্ভর করে। এক্ষেত্রে একাধিক রাজ্য রাজ্য সভাপতির পদে বদল এনে সংগঠনকে আরও বেশি করে গোছানোর উদ্যোগ নিল গেরুয়া শিবির।
মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার পরই মুখ থুবড়ে পড়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। ঘটনাটি বৃহস্পতিবারের। সূত্রের খবর, কলোরাডোতে (Colorado) মার্কিন বায়ুসেনা অ্যাকাডেমির গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে মঞ্চে বক্তৃতা দিতে ওঠেন। এরপর বক্তৃতা শেষে মঞ্চ থেকে নামতে গিয়েই হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে যান তিনি। তাঁকে সাহায্য করতে ছুটে আসেন সেখানে উপস্থিত উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। জানা গিয়েছে, তেমন কোনও চোট লাগেনি তাঁর।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কলোরাডোতে মার্কিন বায়ুসেনা অ্যাকাডেমির গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর সেখানে গিয়েই ঘটে এই বিপদ। আচমকা হোঁচট খেয়ে পড়ে যান তিনি। এর আগেও একাধিকবার তাঁর সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারমধ্যেই এমন এক কাণ্ড। তবে জানা গিয়েছে, মঞ্চে রাখা এক ব্যাগের সঙ্গে পা লেগেই তিনি পড়ে যান। ফলে সম্পূর্ণ সুস্থ জো বাইডেন। এমনটাই দাবি হোয়াইট হাউসের।
বাইডেন পড়ে যেতেই পাশের থেকে অনেকে ছুটে এলেও তিনি একাই উঠে যান ও হাত দিয়ে দেখিয়ে দেন যে, ব্যাগে হোঁচট খেয়েই পড়ে যান তিনি। পরে হোয়াইট হাউসের তরফেও বলা হয়, 'প্রেসিডেন্ট একদম সুস্থ রয়েছেন। আসলে তিনি যখন জনতার দিকে হাত নাড়ছিলেন তখন স্টেজে থাকা একটি ব্যাগ পায়ে জড়িয়ে যায়।'
সম্প্রতি এক বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি (Booth President) খুনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না (Moyna) এলাকা। ওই বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের ঘটনায় জল গড়িয়েছে অনেকদূর। হাইকোর্টের নির্দেশে ওই ব্যক্তির পুনরায় ময়না তদন্ত হয়। এছাড়া ওই ব্যক্তির পরিবারের দাবি, গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করতে হবে।' এ সংক্রান্ত মামলাও হয়েছে হাইকোর্টে।
এখনও অবধি বিজয়কৃষ্ণ খুনের তদন্তে নেমে এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এরপর ধৃতকে জেরা করে শনিবার আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর তাঁদেরকে জেরা করে রবিবার কাকভোরে আরও এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল ময়না থানার পুলিস। পুলিস জানিয়েছে ওই অভিযুক্তর নাম সুব্রত মণ্ডল।
বিজেপির এই বুথ সভাপতি খুনে পথে বসে আন্দোলন করেন স্থানীয় বিধায়ক অশোক দিন্দা, সহ বিজেপির উচ্চ নেতৃত্বরা। এরপর লাগাতার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। গোটা ঘটনায় মৃত বিজয়কৃষ্ণের বাড়ির তরফে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে এখন অবধি চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।