
'না উমর কি সীমা হো, না জনম কে হো বন্ধন। যব প্যায়ার করে কোয়ি তো দেখে কেবল মন' বিখ্যাত গজলের এই লাইনগুলি মনে আছে? এর বাংলা তর্জমা, 'না বয়সের সীমা থাক, না জীবনের বন্ধন। যখন কেউ ভালোবাসবে, কেবল মন দেখুক।' বহু নেটিজেন যখন তখন এই গানের বুলি আউড়েছেন। কিন্তু বাস্তবে যখন এমন ঘটনা ঘটল, রে রে করে তেড়ে এলো সকলে। কথা বলছি আশীষ বিদ্যার্থীর (Ashish Vidyarthi) বিয়ে (Wedding) নিয়ে। বয়স যখন ষাটের কোঠায় তখন অভিনেতা বিয়ে করলেন। নেটিজেনরা হিসেবে করে দেখলেন প্রথম নয়, এই বিয়ে দ্বিতীয়বার। ব্যাস, সামাজিক মাধ্যমে আশীষ বিদ্যার্থী অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ালেন।
নেট মাধ্যম আলোচনায় এতই সরগরম হয়ে উঠল যে, আশীষকে সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়ে ভিডিও বার্তা দিতে হল। আশীষ বলেছেন, 'প্রায় ২২ বছর আগে আমার জীবনে পিলু, রাজশী আসে। আমরা বন্ধু হিসেবে, স্বামী স্ত্রী হিসেবে অনেকটা রাস্তা হেঁটেছি একসঙ্গে। এই যাত্রায় আমাদের জীবনে অর্থ (আশীষ এবং রাজশী পুত্র ) আসে। খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি একসঙ্গে। কিন্তু দু আড়াই বছর আগে বুঝতে পারি আমরা ভবিষ্যৎ অন্যভাবে দেখি। লোক দেখানো বিয়েতে থাকতে চাইন , তাই দুজনেই সম্মানের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
আশীষ বিদ্যার্থীর প্রাক্তন স্ত্রী পিলু ওরফে রাজশী বিদ্যার্থীও নিজের বক্তব্য জানান। তিনি বলেন, 'আশীষ আমাকে কোনওদিন ঠকায়নি। অত্যাচার করেনি। আমরা মিলিতভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আবেগপ্রবণ হয়ে কিছু পোস্ট করে ফেলেছি সামাজিক মাধ্যমে। চাইলে আমিও বিয়ে করতে পারি। আশীষের সঙ্গীর দরকার ছিল। ও সুখে থাক।'
২৫ মে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন বলিউড তথা টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi)। বিয়ে (Marriage) করেছেন অসমের মেয়ে রূপালী বড়ুয়াকে। কলকাতায় পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতে একেবারে ছিমছাম আয়োজনে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে আইনি এবং সামাজিক মান্যতা দিয়েছেন তাঁরা। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, এর আগে আশীষ বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার মেয়ে রাজসী বড়ুয়াকে (Rajoshi Barua)। অভিনেতার প্রাক্তন এবং বর্তমান স্ত্রীর পদবীর সংযোগ নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে সামাজিক মাধ্যমে। কিন্তু এইসময় ঠিক কেমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন রাজসী?
প্রাক্তন স্বামীর বিয়ের ১৭ ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে দু'বার পোস্ট করেছেন রাজসী বড়ুয়া। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, 'তোমার সমস্ত দুর্ভাবনা এবং সন্দেহ এবার মাথা থেকে বেরিয়ে যাক। ধন্দের পরিবর্তে আসুক স্বচ্ছতা। জীবনের শান্তি আসুক, স্থিতি আসুক। দীর্ঘ সময় ধরে তুমি যথেষ্ট শক্তিশালী ছিলে। এবার আশীর্বাদ গ্রহণ করার সময় এসেছে। এটা তোমার প্রাপ্য।' এরপর রাজসী একটি নিজস্বী পোস্ট করে লিখেছেন, 'জীবন নামের গোলকধাঁধায় হারিয়ে যেও না।' এতকিছু লিখেও অবশ্য পরবর্তীকালে পোস্টগুলি ডিলিট করেছেন রাজসী।
তবে এখনও আশীষের প্রাক্তন স্ত্রী রাজসী বড়ুয়ার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট খুললে চোখে পড়ে তাঁর নাম। প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেও তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে 'বিদ্যার্থী' পদবী। প্রসঙ্গত, বিয়ের পর থেকে রাজসী পরিচিতি পেয়েছিলেন 'পিলু বিদ্যার্থী' নামে। তবে এখনও কী রাজসী নিজের জীবনের সঙ্গে প্রাক্তন স্বামীকে জুড়ে রাখতে চাইছেন? আশীষের সঙ্গে রাজসীর এক পুত্রসন্তানও রয়েছে। নাম অর্থ বিদ্যার্থী।