ভোট হচ্ছে রাজস্থানে। তার মধ্যেই কর্নাটকের আকাশে তেজস উড়িয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেঙ্গালুরুর ভারতীয় বায়ু সেনার বিমান ঘাঁটি থেকে সেই ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন তিনি।
ক্যাপশনে লিখছেন, এই অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। এই ঘটনার পর বলা যেতে দেশবাসীর উপর আস্থা আরও বেড়ে গেল। দেশজ পদ্ধতিতে এমন একটি যুদ্ধ বিমান তৈরি করা সম্ভব, তা এই উড়ানের পরেই বোঝা গিয়েছে।
ছবিতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার পোশাকে প্রধানমন্ত্রী। বসে আছেন পাইলট সিটে। চোখে তাঁর কালো রোদ চশমা। তবে কতক্ষণ প্রধানমন্ত্রী আকাশে উড়েছেন তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি।
মাঝ আকাশে পাইলটের মৃত্যু। আমেরিকার মায়ামি থেকে ২৭১ জন যাত্রী নিয়ে চিলির উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল একটি যাত্রীবাহী বিমান। বিমানটি যখন মাঝ আকাশে, তখন হঠাৎ করে অসুস্থ বোধ করেন বিমানের পাইলট। বিমানের শৌচালয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সহকারী পাইলটের প্ৰচেষ্টায় বিমানটি পানামাতে জরুরি অবতরণ করানো হয়। অন্যদিকে, বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই ভারতীয় পাইলটের মৃত্যুর খবরে শোরগোল পড়েছে নেটদুনিয়ায়। একজনের মৃত্যু হয়েছে বিমানবন্দরে। আরেক জনের মৃত্যু হয়েছে মাঝআকাশে। দুই ভারতীয় পাইলটের আকস্মিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থা (DGCA)।
বৃহস্পতিবার বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর পাইলট নাগপুর বিমানবন্দরে আচমকা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। খানিক পরে দুপুর ১টা নাগাদ নাগপুর থেকে পুনেগামী বিমান ওড়ানোর কথা ছিল তাঁর। বিমান সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়ার পর এদিন কাজে যোগ দিয়েছিলেন পাইলট। নির্দিষ্ট বিরতিতে তিনটি বিমান ওড়ানোর কথা ছিল আজ। তার আগেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে বুধবার কাতার এয়ারওয়েসের এক ভারতীয় পাইলটের মৃত্যু হয়েছে দিল্লি থেকে দোহাগামী উড়ানে। ঘটনার সময় তিনি প্যাসেঞ্জার কেবিনে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই বিমানের অতিরিক্ত পাইলট হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এবং মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত ব্যক্তি এর আগে স্পাইস জেট, অ্যালায়েন্স জেট এবং সাহারা-র জন্য কাজ করেছেন।
ফের বিমানবন্দরে (Airport) এক হুলস্থুল কাণ্ড। রবিবার লন্ডন থেকে দিল্লিগামী বিমান নিয়েই জয়পুর বিমানবন্দরে (Jaipur Airport) হইহই পড়ে যায়। জানা গিয়েছে, গতকাল আবহাওয়া ঠিক না থাকায় লন্ডন থেকে দিল্লি আসার সময় এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার (Air India) বিমানকে জয়পুরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। এরপর আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলে ফের বিমান ওড়ানোর অনুমতিও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেই বেঁকে বসেন পাইলট। তিনি বলে ওঠেন, তিনি আর বিমান ওড়াতে পারবেন না। কারণ তার কাজের সময় ফুরিয়ে গিয়েছে। আর এর ফলেই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের।
জানা গিয়েছে, ৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডন থেকে দিল্লির পথে উড়ান দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১১২ বিমান। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে দিল্লি না গিয়ে জয়পুরের বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। তবে আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে গেলেও অবতরণের দু'ঘণ্টা পর জয়পুর বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করতে রাজি হলেন না এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের পাইলট। তখনই তিনি বলে ওঠেন, তিনি আর বিমান চালাতে পারবেন না। কারণ তাঁর সময় ফুরিয়েছে।
বিমানচালক যেতে না চাইলে ও তাঁর জেদেই তিনি অনড় থাকায় পরে বিমানযাত্রীরা কেউ কেউ নিজেরাই নিজেদের মতো সড়কপথেই দিল্লিতে ফিরে যান। এরপরও ৫ ঘণ্টা পেরিয়ে যায়, তখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়, আসলে কোনও পাইলটের ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন পেরিয়ে গেলে তিনি আর বিমান চালাতে পারবেন না। তাই যাত্রীদের জন্য বিমানকর্মী সহ অন্য বিমান দেওয়া হবে আশ্বাস দেওয়া সংস্থার পক্ষে।
ফের এক বড়সড় দুর্ঘটনার (Accident) হাত থেকে রক্ষা পেল এক যাত্রীবাহী ট্রেন (Train)। এবারে দুর্ঘটনাস্থল তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) তিরুনিন্নাভুর। রেল ট্র্যাকের উপর গাছের গুঁড়ি দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি ব্রেক কষলেন লোকো পাইলট (Loco Pilot)। আর এর ফলেই ফের এক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরলেন শতাধিক যাত্রী।
রেলসূত্রে খবর, রেললাইনের উপরে নারকেল গাছের গুঁড়ি ফেলা ছিল। আর সেটিই দূর থেকে দেখতে পান লোকো পাইলট। এতে ট্রেন বেলাইন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষে ট্রেন থামান। এই ঘটনার পরই রেলের আধিকারিক এবং রেলপুলিসকে খবর দেন তিনি। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। এরপর রেললাইনের উপর থেকে গুঁড়িটি সরিয়ে দেওয়ার পর যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। তবে কোথা থেকে গাছের গুঁড়ি এল তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার পর এক স্থানীয়ের নাম সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠছে, তিরুনিন্নাভুরের সেন্থিল নামে এক ব্যক্তি নারকেল গাছ কেটে তার একটা গুঁড়ি রেললাইনের উপর রেখে চলে যায়। তবে এর পিছনে কী উদ্দেশ্য, কেন এমনটা তিনি করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখনও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কাণ্ডের রেশ কাটেনি। আতঙ্কে রয়েছেন দেশবাসী। কিন্তু এর মধ্যেই আরও একটি দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এল। তবে এই প্রথম নয়, করমণ্ডলের পর একাধিক মালগাড়ির লাইনচ্য়ুত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এই যাত্রীবাহী ট্রেন একমাত্র লোকো পাইলটের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচেছে বলে দাবি পুলিসের।
মাটি থেকে আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন (Fire) ধরল বিমানে। সঙ্গে সঙ্গে জরুরি অবতরণ করল সেই বিমান(Plane)। ওহায়োর এই ঘটনায় পাইলটের (Pilot) যথা সময়ের নেওয়া সিদ্ধান্তে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বহু যাত্রী (Passenger)। বিমানে আগুন ধরার এই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল সমাজ মাধ্যমে।
রবিবার, সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে বিমানটি উড়েছিল ওহায়োর জন গ্লেন কলম্বিয়াস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে রওনা হয়েছিল ফিনিক্সের উদ্দেশে। বিমানটি যখন ওহায়োর আপার অ্যারিংটনের আকাশে তখন অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। সবেমাত্র বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড়তেই বিমানটিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায় মাটি থেকেই। আপার অ্যারিংটনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিমানের ডানার নীচের ইঞ্জিনের জায়গা থেকে আগুনের গোলা ছিটকে বেরোচ্ছিল। ঘটনাটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। বিমান দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন মানুষ। ঘটনাটির ভিডিয়ো অনেকে রেকর্ডিংও করেছেন। সেই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানটি অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই বিমানবন্দর কর্মীরা আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করেন। যদিও আগুন লাগার কারণে বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয় যাত্রীদেরও।
মাঝ আকাশে বান্ধবীকে ককপিটে (Cockpit) নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক পাইলটের (Pilot) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বন্ধবীকে নিয়ে ককপিটে এক ঘণ্টারও বেশি সময় কাটান ওই পাইলট। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এয়ার ইন্ডিয়ার ওই পাইলটের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা(DGCA)।
সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানের এক কর্মী পাইলটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, নিয়ম অনুযায়ী ককপিটে যাত্রীরা কেউ ঢুকতে পারেন না। কিন্তু সেই নিয়ম অমান্য় করে পাইলট তাঁর বান্ধবীকে ককপিটে ঢোকার অনুমতি দেন। শুধু ককপিটে বসানোই নয়, এমনকি বিমানকর্মীদের বলা হয়, তাঁর বান্ধবীকে স্বাগত জানানোর জন্য ককপিটে সবরকম ব্যবস্থা করতে। এ ছাড়াও মদ, খাবার দেওয়ারও নাকি নির্দেশ দেওয়া হয় কর্মীদের।
আরও অভিযোগ, বান্ধবী যাতে আরাম করে বসতে পারেন, তার জন্য বালিশেরও ব্যবস্থা করতে বলা হয়। ওই বিমানকর্মীর দাবি, আমাকে যখন মহিলার জন্য পানীয় জল এবং খাবার আনতে বলা হয়, তখন ক্যাপ্টেনকে বলেছিলাম, ককপিটে আমি মদ পরিবেশন করতে পারব না। এ কথা শুনে তিনি একটু রেগে যান। তারপর থেকেই আমার সঙ্গে পরিচারকের মতো ব্যবহার করতে থাকেন। এই বিষয়ে বিমান সংস্থার কাছে খবর পৌঁছতেই তারা জানিয়েছে, গোটা ঘটনাটিকে শুরু থেকে শেষ অবধি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনায় অভিযোগে দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে সংস্থা কোনও রকম আপস করবে না বলেও জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।
অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা যতটা ওপার বাংলার, ততটাই এপার বাংলার। পরিচালক সৃজিত মুখার্জির ঘরণী। তবে কলকাতায় তাঁর অনেক বন্ধু। তাঁদের সঙ্গেই সম্প্রতি নববর্ষ উদযাপন করেছেন মিথিলা। দেখুন ফটোগ্যালারি।
নববর্ষ উদযাপনে মিথিলা হ্যান্ডলুমের শাড়ি বেছে নিয়েছিলেন। এমনিই সুন্দরী তিনি, অতিরিক্ত মেকআপ করেননি। পোজ দিয়েছেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্ত্রী মেখলা ভট্টাচার্যের সঙ্গে।
দেবালয় ভট্টাচার্যের পরিচালনায় 'মন্টু পাইলট' ওয়েব সিরিজে কাজ করেছিলেন মিথিলা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মন্টু পাইলটের সহ-অভিনেতা সৌরভ দাস।
উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন। তাঁর সঙ্গেও ছবিতে ধরা পড়েছেন মিথিলা।
নববর্ষ উদযাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গেও ছবি তুলেছেন মিথিলা।
মাঝ আকাশে বিমান চালক(Pilot) হঠাত্ অসুস্থ! এক বিমান যাত্রী তথা পেশায় পাইলটের সাহায্যে এক যাত্রীবাহী বিমানকে নিরাপদে নামানো হয় এয়ারপোর্টে(Airport)। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার(America)লাস ভেগাসে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের ৬৩০১ যাত্রিবাহী বিমানটি লাস ভেগাস থেকে ওহায়োর কলম্বাসে যাচ্ছিল। বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ বাদেই পাইলট অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বিমান চালানোর মতো কোনও অবস্থাতে ছিলেন না পাইলট। তাঁর অসুস্থতার খবর বিমানের যাত্রীদের মধ্যে পৌঁছতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই বিমানেই যাত্রীদের আসনে ছিলেন অন্য বিমানের এক পাইলট। তিনি সেই মুহূর্তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিমানটিকে নিরাপদে নামিয়ে আনতে সাহায্য করেন। লাস ভেগাস বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ওই পাইলটের পেটে যন্ত্রণা হচ্ছিল। তারপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat) চালানোর দায়িত্ব এল প্রথম মহিলা চালকের উপর। এশিয়ার প্রথম লোকোপাইলট সুরেখা যাদব। মুম্বই-পুনে-সোলাপুরের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর দায়িত্ব পান তিনি। ২০২১-র একটি নারী দিবসের সাক্ষাৎকারে তিনি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন, তাঁর এই ইচ্ছাপূরণ করছে ভারতীয় রেল।
১৯৮৯ সালে একজন সহকারী ট্রেন চালক (Loco Pilot) হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সুরেখা। সাতরার বাসিন্দা সুরেখা যাদব ট্রেন চালক হিসেবে কর্মজীবন শুরুর আগে স্থানীয় সেন্ট পল কনভেন্ট থেকে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। এরপর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেন তিনি। প্রায় ৩৪ বছর ধরে ট্রেন চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে সুরেখা যাদবের।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি জানান, 'তাঁকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ট্রেন চালক হিসেবে নিযুক্ত করার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ ভারতীয় রেলের কাছে। প্রথম দিনেই একদম ঠিক সময়ে সোলাপুর থেকে ট্রেন ছেড়েছিলেন তিনি এবং সময়ের পাঁচ মিনিট আগেই ট্রেন নিয়ে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি স্টেশনে পৌছন।'
পরিবারের চোখে ফাঁকি দিয়ে খেলতে খেলতে শিশু রেল লাইনের (Railline) মধ্যে চলে আসে। আর সেসময় ওই লাইন দিয়ে আসছিল একটি ট্রেন (Train)। দূর থেকে তা দেখতে পেয়ে চালক শিশুটিকে (Child) বাঁচানোর জন্য ট্রেনটি থামান। এরপর শিশুকে উদ্ধার করে তার মায়ের হাতে তুলে দিলেন ট্রেনের চালক এবং সহকারী চালক। ঘটনাটি ঘটেছে বামনহাট ষ্টেশন সংলগ্ন উত্তর লাউচাপড়া গ্রামে। শনিবার রেলের তরফে সেই ভিডিও (Viral Video) প্রকাশ করতেই মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ বামনহাট স্টেশনে বামনহাট-আলিপুরদুয়ার প্যাসেঞ্জার ট্রেনের শান্টিং করা হচ্ছিল। ট্রেনের ইঞ্জিন যখন ঘুরিয়ে আনার জন্য সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই সময় উত্তর লাউচাপড়া গ্রামে ট্রেন লাইনে খেলায় মত্ত ছিল ওই শিশু। দূর থেকে তা নজরে আসে লোকো পাইলট অভিজিৎ বিশ্বাস এবং তাঁর সহকারী চন্দন কুমারের।
সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ট্রেন থামিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেন। সে সময় শিশুর খোঁজে তার মা-বাবাও বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে আসেন। রেললাইনের ধারেই বাড়ি ওই শিশুর বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই শিশুকে উদ্ধার করে তার বাবা-মার হাতে তুলে দেন লোকো পাইলট এবং তাঁর সহযোগী। শিশুর প্রাণ রক্ষার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, ঘটনায় শিশুটির প্রাণ বাঁচানোর জন্য ট্রেনের চালক ও সহ চালককে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেয় রেল।
ট্রেনে ভ্রমণ কমবেশি প্রত্যেকেই প্রায় করে থাকি আমরা, কিন্তু এই ট্রেন যাত্রার সময় আমরা বেশকিছু হলুদ বোর্ডে কালো দিয়ে লেখা কিছু নির্দেশ দেখি। এখন প্রত্যেকের মনেই এরম নির্দেশর কারন সম্পর্কে কৌতূহল থাকে। যদিও নির্দেশগুলো ট্রেনের চালক ও গার্ড (ট্রেন ম্যানেজার) এর উদ্দেশে দেওয়া থাকে। এখন দেখে নিন কোন নির্দেশের অর্থ কি?
W/L এইরকম নির্দেশের অর্থ হল চালক কে লম্বা হর্ন বাজাতে বলা হয় , সামনে লেভেল ক্রসিং থাকলে বা কোনো বাঁক থাকলে যাতে আশেপাশের মানুষ শুনতে পায় তার জন্য এরম নির্দেশ দেওয়া থাকে।
C/T আবার অনেক সময় এরম নির্দেশ থাকে এর অর্থ হল সামনে গতিবেগ নিয়ন্ত্রন করতে বলা হয় চালক কে। পাশাপাশি কত গতিতে চালাতে হবে সেই গতিসীমা নির্দেশ করা থাকে। যাতে কোনোরকম দুর্ঘটনা ছাড়াই ট্রেন যেতে পারে।
T/P OR T/G এই নির্দেশের অর্থ চালক কে পূর্বের গতিসীমায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি। চালক চাইলে গতি বাড়াতে পারেন। অর্থাৎ রেলের পরিভাষায় এটাকে বলে Termination of Caution । এটি দুরকম ভাবে থাকে T/P ও T/G । মানে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ক্ষেত্রে T/P । মালগাড়ির ক্ষেত্রে T/G ।
আমরা অনেক সময় দেখি ট্রেনের শেষ বগির পেছনে একটি X মার্ক থাকে হলুদ রঙের। এটির মানে হল এই ট্রেনটির শেষ বগি এটি , এর পরে কোনো বগি নেই। আবার দেখি ছোট লাল বোর্ডে সাদা দিয়ে লেখা LV কথাটা লেখা আছে এর মানে হল একই , অর্থাৎ এটি হল Last Vehicle । কেবিনম্যান যাতে বুঝতে পারেন যে ট্রেনের শেষ কামরা সেটি।