হাতে আর মাত্র এক দিন। সোমবার থেকেই শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আর এই অধিবেশনে যে মহুয়া মৈত্রের ইস্যু মূল কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, তা কিছুটা আন্দাজ করাই যাচ্ছে। সোমবারের এই অধিবেশনের আগেই নিয়মমাফিক সর্বদল বৈঠকে করলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। এই সর্বদল বৈঠক থেকেই মহুয়া মৈত্রের সাসপেনশন নিয়ে সংসদে আলোচনা চাইল তৃণমূল।
টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করা ইস্যুতে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা। ফলে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাসপেনশন নিয়ে সংসদে আলোচনা চাইল তৃণমূল কংগ্রেস। মহুয়া মৈত্রর সাসপেনশন সম্পর্কিত এথিক্স কমিটির রিপোর্ট কীভাবে প্রকাশ্য মিডিয়ায় চলে এল, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও'ব্রায়েন এই বক্তব্য পেশ করেন।
জানা গিয়েছে, ৪ তারিখ অর্থাৎ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে প্রথম দিনই এথিক্স কমিটির রিপোর্ট লোকসভায় পেশ করতে পারেন স্পিকার ওম বিরলা। ফলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ৪ ডিসেম্বরই লোকসভায় নির্ধারিত হতে পারে মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদের ভাগ্য।
বেশ কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন যে, প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে তাঁর। আর এই গুঞ্জনের মাঝেই আরও এক ছবি প্রকাশ্যে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আলিঙ্গনরত অবস্থায় সলমান খান ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। কিন্তু এই ছবি কি আদৌ সত্যি, তা নিয়েই শুরু জল্পনা।
কিছুদিন আগেই দিওয়ালি, কিন্তু বলিউডে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলিউড তারকাদের দিওয়ালি পার্টি। সম্প্রতি ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রা এক দিওয়ালি পার্টির আয়োজন করেছিলেন, সেখানেই বসেছিল চাঁদের হাট। মুকেশ আম্বানির পরিবার থেকে শুরু করে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের একাধিক তারকা। ফলে সেই পার্টিতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্য ও সলমান। তবে ঐশ্বর্যের সঙ্গে দেখা যায়নি স্বামী অভিষেক ও কন্যা আরাধ্যাকেও। অন্যদিকে সলমানও একাই গিয়েছিলেন। আর সেই পার্টিরই এক ছবি বর্তমানে ভাইরাল, যেখানে দেখা যাচ্ছে, সলমান খানের বাহুডোরে ঐশ্বর্য। যদিও ছবিতে মুখ দেখা যায়নি ঐশ্বর্যের। ফলে সলমান যাঁকে জড়িয়ে রয়েছেন, তিনি ঐশ্বর্যই কিনা, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
অবশেষে জানা গিয়েছে, সলমান জড়িয়ে ছিলেন অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলির বোন সানা পাঞ্চোলিকে। আসলে পার্টিতে ঐশ্বর্য লাল রংয়ের সালোয়ার পরেছিলেন, আর সেই এক রংয়েরই পোশাক সানা পাঞ্চোলি পরায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, আলিঙ্গনরত অবস্থায় ছিলেন সলমান ও ঐশ্বর্য।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় পেশ হতে পারে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’-এর প্রস্তাব। ওই দিনই ঠিক হয়ে যেতে পারে রাজ্য সঙ্গীতও। আগামী মঙ্গলবার নবান্নে এক সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি বিধানসভার বৈঠকে ১ বৈশাখ ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে পালন করার সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন মুখ্যমন্ত্রী, তা-ও সিদ্ধান্ত হয়। আর সেই অনুমোদন পাওয়ার পরেই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন মমতা। ওই দিনই ঠিক হয়ে যেতে পারে রাজ্য সঙ্গীত।
তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়াও এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম-সহ বামফ্রন্টের শরিক দলগুলিও। সেখানেই পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে, তা ঠিক করা হবে। ৪ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় বাদল অধিবেশন শেষ হচ্ছে। অধিবেশনের শেষ দিনেই এ বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার।
সৌমেন সুর: মানুষ জন্মালে সে মানুষ হয় না। মানুষ হতে গেলে চাই কিছু বাড়তি গুণ। যারা মানুষ নন তারা লোক। সেবা মানুষের এক পুণ্য ব্রত। সেবার মধ্যে দিয়েই মানুষ ফিরে পায় তার মনুষ্যত্বকে। খুঁজে পায় আত্ম বিকাশের পথ। মানুষের চিরকালের সাধনা হলো বৃহত্তের সাধনা। সেবা হল সেই বৃহৎ জীবনেরই আহ্বান।
সব ধর্মের মূল বিষয় মানুষের কল্যাণ। সব ধর্মের মধ্যেই বারবার ধ্বনিত হয়েছে মানুষের মধ্যেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব। মানুষের সেবায় ঈশ্বরের সেবা, নরই নারায়ন। দিন-দুঃখী, লাঞ্ছিত, নিপীড়িত, মানুষের মধ্যেই বাজে দেবতার চরণধ্বনি। তবু ভন্ড, স্বার্থপর মানুষের সংখ্যা বর্তমানে বেশি। তারা আচার অনুষ্ঠানকে বড় করে তোলে, আর ঈশ্বরের মহিমাকে বন্দী করে রাখে মন্দিরে। সেবা একটা সৎ বৃত্তি। সেবায় সবারই অধিকার। বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। নিপীড়িত, দুঃখী, বিপন্ন মানুষকে সেবা করা একমাত্র প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য। আমাদের দেশের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বলতে রামকৃষ্ণ মিশন, রেড ক্রস, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, মারোয়ারি রিলিফ সোসাইটি প্রবৃত্তি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখ্য উদ্দেশ্য জনগণের সেবা। এটা এমনিই এক কর্ম, যেখানে রাজনৈতিক দলের মানুষকে হতে হবে ত্যাগী ও সচেতন। যেটা এখন কোন দলের আছে বলে তো মনে হয় না। সবার উদ্দেশ্য, যেমন করে হোক ক্ষমতা দখল। এই ক্ষমতা দখলের জন্য যা করতে হয় করব। তাতে মানুষ ধ্বংস হয় হোক। ক্ষমতা দখলের জন্য নৃশংস অত্যাচারের আবহাওয়া তৈরি হোক। আর নারীদের সম্মান ধুলোয় লুটিয়ে পড়ুক, তবে ক্ষমতা হাতে থাকে, এটাই মুখ্য উদ্দেশ্য। কোন কিছুতেই মাথা নোয়াবনা।
তাহলে মানুষের সেবা দাঁড়ালো কোথায়! সেবা-ই এখন অভিধানে কোন এক পাতায় ছোট্ট খুদে অক্ষরে প্রকাশ মাত্র। দেশ থেকে ক্রমান্বয়ে ধীরে ধীরে সব ভালো জিনিসগুলো অদৃশ্য ভাবে উবে যাচ্ছে। সাধারণ অ-জ্ঞান মানুষ কিছু টের পাচ্ছে না। ফায়দা লুটে যাচ্ছে রাজনৈতিক দল। এর শেষ কোথায়?
প্রসূন গুপ্তঃ ১৯৯৩-এ বামফ্রন্ট জমানায় ২১ জুলাই ধর্মতলার সন্নিকটে যুব কংগ্রেসের মহাকরণ অভিযান হয়েছিল এবং আজ ইতিহাসের পাতায় কলকাতার বুকে এক কালো দিনে পরিণত হয়েছে ওই দিনটি। একটা সময়ে চারিদিক থেকে আসা মিছিল আটকাতে না পেরে মেওয়া রোডের কাছে পুলিস গুলি চালালে ১৩ জন কংগ্রেসির মৃত্যু হয়। নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন বিরোধী মুখ আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনটিতে শহীদ দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস (আগে যারা যুব কংগ্রেস ছিল)। আলাদা ভাবে অনেকদিন প্রদেশ কংগ্রেসও দিনটি পালন করতো কিন্তু ২০১৬ তে কংগ্রেস ও সিপিএমের জোট হওয়ার পর বন্ধ হয় গিয়েছে কংগ্রেসের শহীদ দিবস পালন। ৩০ বছর হয়ে পার হয়ে গিয়েছে। আজকের দিনে তৃণমূলের আক্রমণের লক্ষ আর বাম বা সিপিএম নেই, এখন টার্গেটে বিজেপি।
বেশ কয়েক বছর আর তথাকথিত শোক অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। এখন মঞ্চে গান সম্বর্ধনা এবং ভাষণ ইত্যাদি হয়ে থাকে। কিন্তু এই ২১ জুলাইকে কেন্দ্র করে ২০ জুলাই তৃণমূলের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গ্রুপ চায়ের আড্ডা বসায় বিভিন্ন প্রান্তে অনেকটা গেটটুগেদারের মতোই। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের তৃণমূল ভক্তদের হাজিরা থাকে। মূল অনুষ্ঠানটি হয় মধ্য কলকাতার গনেশ এভিনিউতে। মাঝে কয়েক বছর করোনার কারণে বন্ধ থাকলেও গত বছর থেকে ফের শুরু হয়েছে এই চায়ের আড্ডা। এই সোশ্যাল নেটের কর্মীরা একেবারেই সাদামাঠা কিছু দিদি ভক্ত মানুষ। এদের ফেসবুকে দলের প্রচার করাটা একটি নেশা। যদিও বিজেপি বা সিপিএমের মতো কোনও সংগঠিত সংগঠন এদের নেই, দলের তরফ থেকে কোনও সাহায্য এরা আশাই করে না। নিজেদের পয়সায় তারা প্রচার করে এবং চায়ের আড্ডাটিও চাঁদা তুলে নিজেরাই করে থাকে। অবিশ্যি এ বছর অরূপ চক্রবর্তী, জুঁই বিশ্বাস, সাংসদ শুভাশীষ চক্রবর্তী, দেবাংশু ভট্টাচার্য প্রমুখরাও উপস্থিত ছিলেন। এই দলপ্রিয় মানুষগুলির কথা কেউ জানে না।
মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (Rajib Sinha)। মনোনয়ন পর্বে অশান্তি এবং নিরাপত্তা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ওই বৈঠকে।
সর্বদলীয় বৈঠক না করে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল বামফ্রন্ট সহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দল। তারপর মঙ্গলবারের ওই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। মনোনয়ন জমার সময় বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সহ মোট পাঁচ দফা আবেদন করে ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ১৪ জুলাই নির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। যদিও মামলার রায়দান এখনও বাকি।
বলিউডের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হোক, কিংবা তারকাদের পার্টি অন্যান্য তারকারা উপস্থিত থাকলেও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে খুব একটা দেখা যায় না। বলিউডে তাঁকে নাকি কেউ খুব একটা পছন্দ করেন না। কঙ্গনাও একাধিকবার অভিযোগ তুলে বলেছেন, বলিউডে তিনি কোণঠাসা। ইন্ডাস্ট্রিতে নেপোটিজমের অভিযোগও তুলেছেন তিনি। এমনকি খান'দের নিয়েও তাঁর অভিযোগের শেষ নেই। তবে এই খানদের অনুষ্ঠানেই সম্প্রতি উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
আমির বা শাহরুখ নয়, সলমানও নয়, বরং তাঁর বোন অর্পিতা খানের বাড়িতে সম্প্রতি উপস্থিত হয়েছিলেন কঙ্গনা। ইদ উপলক্ষে বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন অর্পিতা খান। ক্যাটরিনা, হুমা, দিশা পাটানি থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির তাবড় ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন সেই পার্টিতে। অর্পিতার আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে চার চাঁদ লাগাতে উপস্থিত হয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউতও।
ইদের অনুষ্ঠানের জন্য কঙ্গনা রানাউত বেছে নিয়েছিলেন সালোয়ার কামিজ। তিন রঙের কনট্রাস্ট দেখা গিয়েছিল তাঁর পোশাকে। হলুদ রঙের সালোয়ার, রাজকীয় নীল কামিজের সঙ্গে সবুজ রঙের ওড়না পরেছিলেন তিনি। পায়ে পরেছিলেন নাগড়া জুতো। নিজের সামাজিক মাধ্যমেও এই ছবি আপলোড করেছিলেন কঙ্গনা। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান সম্ভাব্য স্মৃতি। উদযাপন কর, অংশ নাও।'
বলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বলি অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ (Katrina Kaif) নাকি অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant)। তবে এই গুঞ্জনের শুরু কোথায়, জানেন? শনিবার ইদ উপলক্ষে পার্টির আয়োজন করেছিলেন প্রাক্তন প্রেমিক সলমন খানের বোন অর্পিতা খান শর্মা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের তাবড় তাবড় সেলেবরা। ফলে হাজির হয়েছিলেন সলমনের (Salman Khan) প্রাক্তন প্রেমিক ক্যাটরিনাও। সেখানেই তাঁকে দেখার পর থেকে গুঞ্জন রটেছে যে, তিনি সন্তানসম্ভবা। তবে এর পিছনে কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যা লুকিয়ে তা এখনও জানা যায়নি।
ইদের পার্টিতে ক্যাটরিনার পরনে ছিল বেইজ রংয়ের আনারকালি স্যুট, চুল ছিল খোলা। প্রাক্তন প্রেমিকের বাড়ির ইদের পার্টিতে তাঁকে দেখেই জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। এরপরই তাঁর মা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই জল্পনা তুঙ্গে। পার্টির ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের অনেকে প্রশ্ন করছেন, ' ক্যাটরিনা কি অন্তঃসত্ত্বা?' কেউ আবার সাফ বলছেন, 'ক্যাটরিনা মা হতে চলেছেন। তাঁকে এখন জিমেও দেখা যাচ্ছে না। কোনও ছবির শ্যুটিংও করছেন না।'
তবে আবার নেটিজেনদের বড় অংশ বলেছেন, হয়তো তাঁর ঢিলেঢালা পোশাকের জন্যই তাঁকে এমন দেখাচ্ছে। ফলে ভিকি ঘরনির মা হওয়ার খবরটি পুরোপুরি গুঞ্জনই মনে হচ্ছে। এই প্রথম নয়, ভিকি কৌশলের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে একাধিকবার তাঁর মা হওয়ার গুঞ্জন রটেছে। তবে এই নিয়ে একবারও মুখ খোলেননি ভিকি ও ক্যাট। তবে অন্তঃসত্ত্বার খবর যদি সত্যি হয়, বেজায় খুশিই হবেন ক্যাট-ভিকির অনুরাগীরা।
শনিবার ছিল ইদ (Eid) আর এই উৎসবের সময়ে বি-টাউনে কোনও পার্টি হবে না, এটাও কখনও সম্ভব! অবশ্যই না, সলমন খানের বোন অর্পিতা শর্মা ইদের শুভ মুহূর্তে এক পার্টির আয়োজন করেছিলেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বলিউড (Bollywood) তারকারা। প্রত্যেকবারই দেখা যায় সলমনের (Salman Khan) বাড়িতে ইদের দাওয়াত বসে, সেজেগুজে তারকারা হাজির হয়, নাচ-গানে জমে যায় পার্টি, এবার সেই পার্টিই দেখা গেল সলমনের বোন অর্পিতার বাড়িতে। ইদের জন্য বাড়িতে বিশেষ পার্টির আয়োজন করেছিলেন অর্পিতা খান শর্মা ও তাঁর স্বামী অভিনেতা আয়ুশ শর্মা। দেখে নিন কারা কারা এসছিলেন তাঁদের পার্টিতে।
পার্টিতে প্রথমেই যাঁকে দেখা যায়, তিনি হলেন সলমন খান। তাঁকে কালো শার্ট ও নীল জিন্সে দেখা যায়।
পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফও। পার্টিতে ওয়েস্টার্ন পোশাককে বাদ দিয়ে এথনিক পোশাকেই দেখা যায় ক্যাটরিনাকে। তিনি অফ-হোয়াইট রংয়ের আনারকালি চুড়িদার পরেছিলেন।
এছাড়াও পার্টিতে দেখা যায় সইফ পুত্র ইব্রাহিম, শেহনাজ গিল, কার্তিক আরিয়ান, মণীশ মলহোত্রাকে।
ঝলমলে পোশাকে সবার নজর কাড়লেন কঙ্গনা রানাউত, সুনীল শেট্টি, অনিল কাপুর, হুমা কুরেশি, দিয়া মির্জা, সোনাক্ষী সিনহা, রীতেশ দেশমুখ ও তাঁর স্ত্রী জেনেলিয়া, টাব্বু, পলক মুচ্চল প্রমুখ।
পাপারাৎজিদের সামনে পোজ দিলেন অনিল কাপুর, সোহেল খান, আরবাজ খান, দিশা পাটানি।
সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা সানা খানের (Sana Khan) একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে সমাজমাধ্যমে। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এমন কী দেখা গিয়েছে ভিডিওতে? দেখা গিয়েছে, সানা খানের স্বামী মুফতি আনাস সাইদ (Mufti Anas Sayed) তাঁকে একটি পার্টিতে লোকজনের মাঝখান দিয়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কীভাবে তাঁর সঙ্গে এমন ব্যবহার করতে পারেন তা নিয়ে মুফতিকে তুলোধনা করেছে নেটিজেনরা। অন্যদিকে এই ভিডিও নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই দেখা গিয়েছে, সানা তাঁর স্বামীর পক্ষ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন। কী বললেন তিনি?
ইফতার পার্টির (Iftar Party) আয়োজন করেছিলেন প্রাক্তন এমএলএ বাবা সিদ্দিকী এবং তাঁর ছেলে জিসান সিদ্দিকী। সেই অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রিত ছিলেন সানা ও তাঁর স্বামী। সেখানেই এই ঘটনাটি ঘটেছিল। দেখা গিয়েছিল, চারপাশে পাপারাৎজি-সেলেবদের ভিড়, তারমধ্যে সানাকে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল, তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল তাঁর যেন শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে, হাঁটতেও পারছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর স্বামী। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বামীর সানার প্রতি এরূপ আচরণ মেনে নিতে পারেনি নেট দুনিয়া। ফলে শুরু হয় তাঁকে নিয়ে কটূক্তি।
এরপর এই ভিডিও সানার নজরে পড়তেই তিনি তাঁর স্বামীর এরূপ আচরণ নিয়ে বিশ্লেষণ দিয়ে বলেছেন, 'আমার এখনই নজরে এসেছে ভিডিওটি। আমি জানি ব্যাপারটি খুব অদ্ভুত। আসলে আমরা আমাদের ড্রাইভারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না, তাই অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। ফলে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম ও ঘামতে শুরু করেছিলাম। তাই মুফতি আমায় তাড়াতাড়ি করে ভিতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন যাতে আমি বসতে পারি ও জল খেতে পারি। আমিই তাঁকে বলেছিলাম পাপরাৎজিদের বিরক্ত না করে তাড়াতাড়ি যেতে। তাই বিষয়টিকে অন্যভাবে নেবেন না।'
প্রত্যেক বছর ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকেন প্রাক্তন এমএলএ বাবা সিদ্দিকী। এই বছরও বাবা সিদ্দিকী এবং তাঁর ছেলে জিসান সিদ্দিকী ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিলেন। প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও সেই পার্টিতে চাঁদের হাট বসেছিল। কোন কোন তারকা এসেছিলেন দেখে নিন। ইফতার পার্টিতে এসেছিলেন বলিউডের ভাইজান। কালো পাঠানি স্যুটে তাঁকে যথারীতি গ্ল্যামারাস দেখাচ্ছিল।
উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া। সঙ্গে ছিলেন স্বামী অঙ্গদ বেদি। নেহা সি গ্রিন রঙের চুড়িদার পরেছিলেন। অঙ্গদ পরেছিলেন কালো রঙের স্যুট। ইফতার পার্টিতে এসেছিলেন অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডিসুজা এবং রীতেশ দেশমুখ। দু'জন্যেই সাদা রঙের পোশাক পরেছিলেন।
বাবা সিদ্দিকীর ইফতার পার্টিতে এসেছিলেন প্রীতি জিন্টা এবং সুনীল শেট্টি। প্রীতিকে দেখা গিয়েছে হলুদ রঙের স্যুটে। অন্যদিকে সুনীল পরেছিলেন কালো রঙের পোশাক।
জাতীয় দলের (National Party) তকমা হারানোর পরদিনই পদত্যাগ সাংসদ(Mp) লুইজিনহোর। তৃণমূল (Tmc) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ লুইজিনহো ফেলেইরো রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিলেন। সূত্রের খবর, জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোর পরদিনই, তিনি উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনখড়ের দফতরে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসেন। ইস্তফা দেওয়ার খবর স্বীকারও করে নিয়েছেন ফেলেইরো।
সূত্রের খবর, ২০২১ সালের কংগ্রেস ছেড়ে ফেলেইরো নাম লেখান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে। ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতায় এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সদবদলে তৃণমূলে যোগদান করেন ফেলেইরো। নভেম্বর মাসেই তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তিনি। পাশাপাশি সর্বভারতীয় সংগঠনে তাঁকে সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় জানানো হয়েছিল, রাজ্যসভার সাংসদ হলেও, গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফেলেইরো ভোটে লড়েননি। তৃণমূল সূত্রে খবর, ফেলেইরোর ইস্তফা প্রসঙ্গে কোনও খবর ছিল না তৃণমূলের কাছেও।
সম্প্রতি টেনিসকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। বিবাহিত সম্পর্কে ভাঙনের গুঞ্জন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। এবার প্রাক্তন টেনিস সুন্দরীর (Sania Mirza) দেওয়া ইফতার পার্টিতে গরহাজির শোয়েব মালিক। আর এতে আরও গাঢ় হয়েছে সানিয়া-শোয়েবের বিচ্ছেদ গুঞ্জন। শোনা গিয়েছে, প্রিয়জনের উদ্দেশে দেওয়া ইফতার পার্টিতে (Iftaar Party) আমন্ত্রণ পাননি পাক ক্রিকেট তারকা (Shoaib Malik)।
সেই ইফতার পার্টির ভিডিও সমাজমাধ্যমে দিয়েছেন সানিয়া। সেখানে ছেলে ইজহান-সহ পরিবারের বাকিরা রয়েছেন। কিন্তু নেই শোয়েব। ক্যাপশনে সানিয়া লিখেছেন, 'প্রিয়জনদের সঙ্গে ইফতার।' তারপরেই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি সানিয়ার প্রিয়জনের তালিকায় নেই শোয়েব।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মিক্সড ডাবলসে হেরে গ্র্যান্ড স্ল্যামকে বিদায় জানিয়েছেন সানিয়া। এবার ওয়ার্ল্ড টেনিসকেও বিদায় জানিয়েছেন হায়দরাবাদ সুন্দরী।
বলিউড (Bollywood) তারকাদের ছেলে-মেয়েদের প্রায়ই ক্যামেরায় পর্দায় হাইলাইট হতে দেখা যায়। স্টারকিডদের নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহলেরও শেষ নেই। এবারে ফের চর্চায় উঠে এল শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের (Aryan Khan) নাম। আরিয়ানের সঙ্গে কার সম্পর্ক রয়েছে, এই নিয়ে ক'দিন আগেই জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁকে দেখা গিয়েছিল নোরার সঙ্গে, ফলে নোরার সঙ্গে আরিয়ানের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। আর এবারে তাঁকে দেখা গেল এক বাঙালি নায়িকার সঙ্গে। কে এই নায়িকা, তাঁর সঙ্গে কী সম্পর্ক, এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
মাদক-কাণ্ডে জড়িত হওয়ার পর থেকে আরিয়ানের নাম যেন বারবার উঠে আসছে শিরোনামে। মাদক-কাণ্ডে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিছুদিন লাইমলাইট থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও ফের তিনি স্বাভাবিক ছন্দেই ফিরে এসেছেন। আর এবারে তাঁকে দেখা গেল বাঙালি তথা ছোট পর্দার অভিনেত্রী নায়রা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। উল্লেখ্য, নায়রা বর্তমানে 'পিশাচিনী' নামক সিরিয়ালে কাজ করছেন। জানা গিয়েছে, একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী নায়রা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রোশনি ওয়ালিয়া। আর সেই পার্টিতেই উপস্থিত ছিলেন আরিয়ান খান। সেখানেই তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায় নায়রাকে।
নায়রা ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, নায়রা, রোশনিদের নাচ করতে ও আরিয়ানের সঙ্গে ভিডিও করতে। সেখানে তিনি ক্যাপশনে আরিয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, আরিয়ান যেহেতু বলিউডে পরিচালক হয়ে অভিষেক ঘটাতে চলেছেন, তার জন্যই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নায়রা।
তবে নায়রার সঙ্গে আদৌ কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা আরিয়ানের তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি। কারণ এর আগে আরিয়ানকে অনন্যা পাণ্ডে, নোরা ফাতেহি, পাকিস্তানি অভিনেত্রী সাদিয়া খানের সঙ্গে দেখা গেলে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। রীতিমতোই নায়রার সঙ্গেও তাঁকে দেখে এর ব্যতিক্রম কিছু হয়নি।
আইনি মতে এক মাস আগেই বিয়ে করেছেন স্বরা ভাস্কর এবং ফাহাদ আহমেদ।কিন্তু তাদের সামাজিক বিয়ে এবং রিসেপশন পার্টি বাকি ছিলো। সে কারণেই সামাজিক বিয়ের পাশাপাশি ১৬ মার্চ ধুমধাম করে রিসেপশন পার্টির আয়োজন করা হয়। রিসেপশন পার্টিতে স্বরাকে উজ্জ্বল গোলাপী লেহেঙ্গা ও সঙ্গে ভারী গয়নায় দেখা গেলো। ফারহাদকে দেখা গেলো ক্রিম কালারের শেরওয়ানীতে। ভিন্নধর্মী ফারহাদকে বিয়ে করছেন স্বরা।
সেই কথা মাথায় রেখে হয়তো একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়েজন অভিনেত্রীর। মেহেন্দী থেকে শুরু করে গায়ে হলুদ, সংগীতের নানা মুহূর্তের ছবি সমাজমাধ্যমে দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে অভিনেত্রীর দিদার বাড়িতে হয়েছে এলাহি আয়োজন। তাঁদের রিসেপশনে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং অভিনেত্রী তথা সাংসদ জয়া বচ্চন। এমনকি রাজনীতি ও বিনোদন জগতের নানা তারকা।