
২২ জুলাই, ২০২২ রাজ্য রাজনীতিকে তোলপাড় করে দিয়েছিল একটি ঘটনা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চর্চিত বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার আবাসনে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। সময় যত গিয়েছে ইডির গুনতিতে, তত বেড়েছে টাকার অঙ্ক। নগদে থাকা সেই টাকা দেখে চক্ষু চড়ক গাছ বাংলার। সেই ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর, এখনও জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। রাজ্য রাজনীতিতে এই জুটি 'অপা' নামে এখন বেশি পরিচিত। সেই অর্পিতার বাড়িতে উদ্ধার টাকার উৎস কী?
সোমবার সংবাদ মাধ্যম এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিল পার্থর দিকে। তাঁর জবাব, 'আপনারা খুঁজে বের করুন।' এই কয়েকটি শব্দের বাইরে সেভাবে এই প্রশ্নে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এছাড়া এদিন ফের ৮ মে পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ নিয়োগ-কাণ্ডে জেলবন্দি সাত জনের জেল হেফাজতের মেয়াদ বেড়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ফের নিজের উপর থাকা সব অভিযোগ অস্বীকার করলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উলটে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ঘাড়ে ঘুরিয়ে দোষ চাপান তিনি। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, 'নিয়োগে মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই। মন্ত্রী নিয়োগ কর্তাও নয়। আইন অনুযায়ী প্রতি বোর্ড এক একটি সংস্থা। এতে মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই। এক বছরে কোনও অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। আর নতুন করে কী বলবো?'
এদিকে, ফের নিয়োগ-কাণ্ডে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হেফাজতের মেয়াদ বেড়েছে। আগামি ৮ মে পর্যন্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ সাত জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এদিন পঞ্চায়েত ভোটের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া জোড়া কর্মসূচির সাফল্য প্রার্থনা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
অপরদিকে, গত শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতের আংটি নিয়ে আদালতে আপত্তি তোলে ইডি। সেই আপত্তির পর এদিন কোনওরকম আংটি-অলঙ্কার ছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। যদিও আংটি প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, ওটা ধর্মাচারণের অঙ্গ। কোনও অলঙ্কার নয়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এতটাই প্রভাবশালী যে জেল কোড ভেঙে হাতে আঙটি পরে থাকেন। এভাবেই বুধবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিন মামলায় আদালতে সওয়াল করে ইডি। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, শারীরিক কারণেই তিনি সেই আঙটি পরে থাকেন। এদিন ইডির সওয়ালের পর বিচারক প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে হাত তুলতে বলেন। সেই মোতাবেক বিচারককে হাত তুলে দেখান পার্থবাবু। যদিও পরে সেই আঙটি খুলেও রাখেন তৃণমূল বিধায়ক।
এদিকে, এই আঙটি-কাণ্ডে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাঁকে এই বিষয়ে লিখিত জবাব দিতেও বলেছেন বিচারক। পাশাপাশি এদিন পার্থ এবং অর্পিতার জামিন আবেদন খারিজ করে ১৯ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়ে আদালত। বুধবার ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির করানো হয়েছিল রাজ্য রাজনীতির চর্চিত চরিত্র অপাকে।
তবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর হাতে আঙটি-কাণ্ডে জেল সুপারের গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করছেন প্রাক্তন পুলিস কর্তাদের একাংশ। কোন বন্দি কী সঙ্গে করে নিয়ে জেলে ঢুকবেন তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব জেল সুপারের। এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাতে আঙটি পরে জেলে ঘুরলে কিছুটা দায় বর্তাবে জেল সুপারের, এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, জেলে কোনও অলঙ্কার পরে থাকা বা ঘোরা জেল কোডের পরিপন্থী।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly) সমর্থনে বেহালা ১৪ নম্বরে বড় বড় হোর্ডিং লাগানো হল। বেহালা নাগরিকবৃন্দের তরফে এই হোর্ডিং পড়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Education Scam) সারা রাজ্য তোলপাড়। ইতিমধ্যে তিন জন তৃণমূল বিধায়ক এই দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। ঘটনাচক্রে বেহালা পশ্চিম আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিধানসভা। যদিও গত বছর ২৩ জুলাই থেকে তৃণমূল বিধায়ককে এলাকায় দেখেননি ভোটাররা। কারণ গ্রেফতার হয়ে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি।
এদিকে, প্রায় গোটা শিক্ষা দফতর জেলে। সেই সময় দাঁড়িয়ে বেহালা ১৪ নম্বরে হঠাৎই দেখা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সমর্থনে পোস্টার। বেহালা ১৪ নম্বরের পূর্ব দিকে এবং পশ্চিম দিকে দুটি বড় হোর্ডিং বসেছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে। যারা এই পোস্টার লাগিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্যই আজকের নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত চোররা ধরা পড়ছে। সারা বেহালাবাসী বিচারপতির সঙ্গে রয়েছে, এমনটাই বেহালা নাগরিকবৃন্দের বক্তব্য।
এই প্রচার কর্মসূচির নেপথ্যে থাকা এক উদ্যোক্তা জানান, 'শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে উনি লড়াই লড়ছেন, একের পর এক নেতা-মন্ত্রীদের ধরছেন আর জেলে পুড়ছেন জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উনি এখন বাংলার গর্ব, বাংলার মানুষের কাছে ভগবান হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আগামি প্রজন্ম অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে গর্ব করবে।'
কেউ দুষলেন কুন্তলকে, কেউ সুজন, শুভেন্দুকে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Education Scam) গ্রেফতার হওয়া পার্থ, তাপস-সহ আরও ৭ অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই কোর্টে (CBI) তুলল কেন্দ্রীয় সংস্থা। আদালতে তোলার সময় তাপসের গলায় শোনা গেল অন্য সুর। তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'ম্যাজিশিয়ান কুন্তল সব জানে।' তিনি যে কুন্তলকে টার্গেট করলেন সেটা স্পষ্ট। এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন কুন্তল। কুন্তল আপাতত জেল হেফাজতেই আছেন।
ওদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কোর্টে আনার সময় তাঁকে উদ্দেশ্য করে চলতে থাকে 'চোর চোর স্লোগান', যদিও এ ঘটনা নতুন নয়। এর পূর্বেও পার্থকে উদ্দেশ্য করে চোর চোর স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিককে বলেন, 'এখন দিলীপ বাবু, সুজন বাবু, বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা নিজের দিকে দেখুন, উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন? তাঁরা ২০০৯-২০১০-এ সিএজি রিপোর্ট পড়ুন, সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছেন, যেহেতু আমি তাঁদেরকে বলেছি আমি সাহায্য করতে পারবো না, আমি নিয়োগ কর্তা নই, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারবো না।'
বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারীকেও টার্গেট করেছেন তিনি। তিনি বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারীর ২০১১-২০১২ সালটা দেখুন না, ডিপিএসসি-টা দেখুন না, কী করেছিল তাঁরা।' প্রসঙ্গত, গত ১৬-ই মার্চ, ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ১৩ জনকে আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হলেও ১৬ তারিখ বিভিন্ন কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ৭ জনের শুনানি হয়নি। তাই আদালত পরবর্তী দিন ধার্য করে ২৩ মার্চ। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ৭ জনকে আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছে।
গত বছর জুলাইয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন দুই চর্চিত নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। 'অপা' (APA) নামে যাকে এখন বেশি চেনে বঙ্গ রাজনীতি। সেই পার্থ-অর্পিতা (Partha-Arpita) নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি। একজনের ঠাই প্রেসিডেন্সি জেলে, আরও একজন আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের বাসিন্দা। পার্থ-অর্পিতাকে মঙ্গলবার ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির করা হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল কোর্টে (Court Hearing)। এত পর্যন্ত ঠিক ছিল, কিন্তু ভার্চুয়ালি আঁকার-ইঙ্গিত, ইশারায় পার্থ-অর্পিতার পারস্পরিক কথোপকথন দেখে অনেকেই বলছেন, 'শহরজুড়ে আজ প্রেমের মরশুম।'
ঠিক কী ঘটেছে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ভার্চুয়াল শুনানিতে। জানা গিয়েছে, এদিন বেলা
দুপুর ২টো ৫০ মিনিট নাগাদ একে অপরকে স্ক্রিনে দেখে মুচকি হাসেন পার্থ-অর্পিতা। একে-অপরকে ইশারায় জিজ্ঞাসা করেন কেমন আছো? ঠিক
২টো ৫৪ মিনিটে পার্থ, অর্পিতাকে ইশারায় জিজ্ঞাসা করেন খেয়েছো? একই প্রশ্ন ইশারায় ৩টে বেজে ৩ মিনিটে অর্পিতা পার্থকে জিজ্ঞাসা করেন, 'খেয়েছো?' পার্থ চট্টোপাধ্যায় জবাবে বুকের কাছে হাত দিয়ে লাভ সাইন দেখান। সেই ইশারা দেখে অর্পিতার মুখে আবার মুচকি হাসি!
৩টে ৮ মিনিট নাগাদ নিজের পরনের পাঞ্জাবী দেখালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দেখে অর্পিতা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালেন। ৩টে বেজে ১০ মিনিটে অর্পিতার প্রশ্ন ইশারায়, 'চা খেয়েছো?' পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জবাব, 'না', ঠিক সেসময় বুকের বাঁদিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলেন কিছু লেখার। এই কথোপকথনের মধ্যে ৩টে বেজে ১২ মিনিট নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ক্রিন ৩০ সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। তখনি চোখে-মুখে উদ্বেগ ফুটে উঠে অর্পিতার, কিন্তু আবার ৩০ সেকেন্ড পর পার্থকে স্ক্রিনে দেখে স্বস্তি পান অর্পিতা।
৩টে বেজে ১৭ মিনিট, অর্পিতা নায়িকাদের ঢংয়ে চুলের গোছা পিঠ থেকে ঘুরিয়ে কাঁধের পাশে রাখেন। সেই দৃশ্য দেখে মুচকি হাসি পার্থর। ৩টে ২২ মিনিট নাগাদ আবার ৩০ সেকেন্ডের জন্য ডিসকানেক্ট স্ক্রিন। স্ক্রিনে আসার পর অর্পিতা ইশারায় পার্থকে জিজ্ঞাসা করলেন কেন ডিসকানেক্ট? পার্থ জানালেন ইশারায়, 'চা খাওয়ার জন্য।' বিকেল ৩টে ৩০ নাগাদ অর্পিতা ঠোঁটে আঙ্গুল দেখায় (হয়তো ইশারায় লিপস্টিক পরার ইচ্ছাপ্রকাশ)। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইশারায় জবাব দেন 'মাথা খারাপ?'
৪টে ৫৭ মিনিট নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতাকে থাম্বস আপ দেখান। গোটা শুনানি প্রক্রিয়া চলাকালীন এভাবেই ইশারায় কথোপকথন চালিয়ে যান অপা।
জঙ্গি মুসার ছোড়া মগের অভিঘাতে পড়ে গিয়ে আঘাত পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Parth Chatterjee)। তাঁর মুখ, বুক এবং শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে। ঘটনার পর জেল হাসপাতালে (Jail Hospital) তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। শনিবারের এই ঘটনার পর বুধবার এসএসকেএম-র (SSKM) চিকিৎসকদের একটি দল গিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে দেখে আসে। এখন স্থিতিশীল আছেন পার্থবাবু।
জানা গিয়েছে, তিন দিন আগে বিকেলে লক আপে বন্দিদের ঢোকানোর সময় পার্থবাবুকে বারবার ঢুকতে অনুরোধ করেন সেন্ট্রি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ঢুকতে দেরি করছিলেন। সেই সময় একই জেলে বন্দি জঙ্গি মুসা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে মগ ছোড়েন। সেই অভিঘাতে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান পার্থবাবু। ঠোঁটে চোট পান। এই ঘটনার পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থাস্বরূপ মুসাকে অন্য জায়গায় সরিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জেল সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতো জঙ্গি মুসা। জেল সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
নগর দায়রা আদালতে ফের খারিজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন (Bail Plea)। মঙ্গলবার আদালতে জোড়া আবেদন করেন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ইডির (ED) এফআইআর থেকে তাঁর নাম বাদ দিতে আবেদন করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। একইসঙ্গে করা হয় জামিনের আবেদন। কিন্তু বিচারকের আপত্তিতে ইডির এফআইআর থেকে তাঁর নাম বাদ সংক্রান্ত আবেদন প্রত্যাহার করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও ইডি এদিন আদালতে দাবি করেছে, দু'টো আবেদন করে অযথা সময় নষ্ট করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যেকোনও একটা আবেদন করুন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিকে, মঙ্গলবার জামিনের বিরোধিতা করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তুলনা টানেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন,'২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ বিখ্যাত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম। যিনি শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে একশো বছর এগিয়ে দিয়েছেন। ৬ অক্টোবর ১৯৫২ কুখ্যাত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। যিনি শিক্ষাব্যবস্থাকে একশো বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।'
ইডি আইনজীবী জানান, 'আমাদের কাছে প্রমাণ আছে কুন্তল ঘোষ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। এমনকি পার্থবাবু নিজের অ্যারেস্ট মেমোতে মুখ্যমন্ত্রীর নাম দিয়েছিলেন।' যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে জানান, 'আমার মক্কেলের বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তিনি সহযোগিতা করেন। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। অন্য একজনের বাড়িতে টাকা পাওয়ার অপরাধে আমার মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটাকে গ্রুপ অফেন্স বলা হচ্ছে, অথচ পার্থবাবুকে একা জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। ইডি ধারণার উপর নির্ভর করে মামলা শুরু করেছে। আমার মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক। তদন্ত চলুক, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাহায্য করবে।'
ফের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজত (Jail Custody) নিয়োগ-কাণ্ডে (SSC Case) ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। পার্থ-সহ ৬ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সেলিম রহমান আদালতে তাঁর মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন করেন। সওয়ালে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর তরফে আইনজীবীর প্রশ্ন, 'আমার মক্কেল এক টাকাও নেয়নি। কোনও টাকা আমার মক্কেলের থেকে উদ্ধার হয়নি। কোথায় অর্থ তছরুপ, কে আমার মক্কেলকে টাকা দিয়েছে?'
তিনি জানান, 'অযোগ্য প্রার্থীদের কথা বলা হচ্ছে। আমার মক্কেলের কী ভূমিকা এখানে? কেস ডায়রিতে সিক্রেট তথ্য আছে উল্লেখ করে সিবিআই জেলবন্দি করে রাখছে। আইনের কথা বলছে না। এবার তো জামিন পেতে জলি LLB সিনেমার মতো ধর্নায় বসা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।' পার্থর আইনজীবীর যুক্তি, 'আমার মক্কেল তো জেল থেকে বেড়িয়ে শিক্ষা দফতরে চলে যেতে পারবে না।' এই সওয়ালের পরেই বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করেন।
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রুপ সি মামলায় মিডলম্যান হিসেবে ধৃত প্রদীপ সিং এবং প্রসন্ন রায়কে জেলে গিয়ে জেরা করতে আবেদন করেছে সিবিআই। সেই আবেদনের শুনানি আগামি ২৪ জানুয়ারি ধার্য হয়েছে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা করেন।
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Case) ইডির হাতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (APA) ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজত (Jail Custody)। শনিবার রাজ্য রাজনীতির চর্চিত চরিত্র এই 'অপা'কে ভার্চুয়ালি আদালতে তোলা হয়েছিল। দু'জনের কেউই জামিনের আবেদন করেননি। তবে বিচারকের কাছে পার্থর (Partha Chatterjee) আবেদন, 'আমার স্বাস্থ্যর অবস্থা ঠিক নেই। জেলে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত মেডিসিন ব্যবস্থা দরকার। শরীর ঠিক নেই, আপনি যদি বিষয়টা দেখেন।
একইভাবে অর্পিতা ভার্চুয়াল জানালেন, 'আমার শরীরে খুব খারাপ। চেকআপের দরকার। পর্যাপ্ত ওষুধ চেকের ব্যবস্থা নেই। যেখানে আছি সেখানে ব্যবস্থা নেই। কষ্ট হচ্ছে, যদি একটু ব্যবস্থা করেন।' শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের করলেন না জামিনের আবেদন। দু'জনের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আরও সচেতন হতে নির্দেশ বিচারকের।
বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী? সোমবার কোর্টে সিবিআইয়ের (CBI) উদ্দেশে প্রশ্ন করেন নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC SCam) জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এদিন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী জানান, 'সিবিআই শুধু দুটি কথা জানে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আর প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই দুটো তথ্যের বাইরে নতুন কিছু কোর্টকে দিতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা? বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী, কীভাবে কার সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন আমার মক্কেল, সেটা জানাক সিবিআই।' দাবি করা আর কেস ডায়রিতে দুটো কথা লিখে একজনকে জেলবন্দি করে রাখার জন্য পর্যাপ্ত নয়। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। এদিকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই (Jail Custody) থাকতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিন জামিন মামলার শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর সওয়াল, 'দিনের পর দিন একই কথা সিবিআই বলে চলেছে। শুধু হেফাজতে রাখতে হবে, তাই ওরা হেফাজত চাইছে। পার্থবাবুও প্রশ্ন করেন বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে আমার অবস্থান কোথায়? প্রতিদিন একই কথা শুনছি। আমি তো জেলে আছি।' এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
মন্ত্রীর আইনজীবীর দাবি, 'এদিন সিবিআইয়ের কাছে মাননীয় বিচারক প্রশ্ন করেছেন, যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের গ্রেফতার কেন করছেন না? বৃত্তটা কীভাবে সম্পূর্ণ করবেন? যদিও এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা।' জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত ৭ জনকেই ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে সোমবার ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) আদালতে হাজির করা হয়েছে। এদিন পুলিসের গাড়ি থেকে নেমে কোর্টে (Court) ঢোকার মুখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রতি আত্মবিশ্বাস প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গলায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর হুমকি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, তৃণমূলের (TMC) কেউ কোনওদিন ক্ষতি করতে পারবে না।' সপাট এই মন্তব্য করেই আদালতে ঢুকে যান রাজ্যের শাসক দলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ড। জানা গিয়েছে, সোমবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষ পার্থ-সহ মোট সাতজনকে নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডে পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে। এই সাতজনের মধ্যে রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Case) গ্রেফতার হওয়া দুই মিডলম্যানও।
এদিকে, সপ্তাহ দুয়েক আগে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি আদালতে দাবি করেছে 'বিভিন্ন প্রাইভেট ল’ কলেজ ও বি-ফার্ম কলেজ খোলার ক্ষেত্রে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অর্থের বিনিময়ে প্রদান করা হয়েছে। আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।'
ফের একবার জামিনের আবেদন খারিজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ফলে আলিপুর কোর্টের নির্দেশে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। ১২ ডিসেম্বর অবধি জেলেই থাকছেন পার্থ, সুবীরেশ-সহ এসএসসি-কাণ্ডে ধৃত ৭ জন। যদিও সোমবারও এসএসসি-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আলিপুর কোর্টের বিচারক।
আলিপুর আদালতের সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে প্রশ্ন, ধৃতদের জামিন দিলে আপনার অসুবিধা হবে কি? তদন্ত এখনও শেষ হল না কেন? একটা ভুল গ্রেফতারি হলে তার দায়ভার কে নেবে? যদিও সোমবার অসুস্থতার যুক্তি দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আইনজীবী বলেন, 'আমার মক্কেলের নাম এফআইআর-এ নেই। সন্দেহভাজন হিসেবে নাম নেই। তাও আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৭৫ দিন পরেও এফআইআর-এ নাম নেই, এখন কোন অবস্থায় রয়েছে এই তদন্ত?'
যদি এসপি সিনহা কিছু করে থাকে সেটা তার ব্যাপার। ট্রায়াল ফেস করার জন্য জামিন চাইছি। এই আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তিনি জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ হতে সেটা আমার মক্কেলের দায় নয়। সিবিআই কল্পনার জগতে বাস করছে।
এদিকে, সোমবার জেল থেকে কোর্টে যাওয়ার পথে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। রাজ্যের শাসক দলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ডের জবাব, 'তৃণমূল জিতবে তৃণমূল।'
যখনই আমরা নতুন কিছু করতে চাই, লোক নিতে চাই, কেউ না-কেউ কোর্টে যাচ্ছে। স্টে অর্ডার নিয়ে চলে আসছে। কোর্টে লড়তে লড়তে সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় (Bengal Assembly) দাঁড়িয়ে নিয়োগে দুর্নীতির (Corruption Cases) অভিযোগে চলা একাধিক মামলার প্রেক্ষিতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে এভাবে সরব মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। এই নিয়োগ দুর্নীতির জেরে জেলবন্দি তৃণমূলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলবন্দি একাধিক শিক্ষাকর্তা এবং মিডলম্যান। প্রায়ই চাকরির দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় ফের পরোক্ষে বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন বিধানসভায় তিনি দুয়ারে রেশন প্রকল্পের পক্ষেও জোরালো সওয়াল করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'বিচারের বাণী যাতে নিভৃতে না-কাঁদে। আমি বিধানসভার মাধ্যমে কোর্টের কাছে আবেদন করছি যাতে মানুষের সুবিধা হয়। পাবলিক চায় দুয়ারে রেশন। কোর্ট দুয়ারে রেশনে বাধা হল। দুয়ারে রেশনের জন্য সরকার ডিলারদের আলাদা খরচ দিচ্ছে। ৪৮০ কোটি টাকা ইনসেন্টিভ হিসাবে দেওয়া হচ্ছে দুয়ারে রেশনের জন্য। ডিলারদের সঙ্গে আমি নিজে মিটিং করেছি। ৯৯% লোক ভালো থাকলে, ১% লোক মনে করে আমি একা খাব। ফল সবাইকে খেতে হয়। আমি যত দূর যেতে হয় যাব। কারও গায়ের জোরের কাছে মাথা নত করব না। দুয়ারে রেশন হবেই।'
এমনকি রাজ্যের পর্যটন শিল্পের আমূল বদল তাঁর আমলেই। এদিন বিধানসভায় দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, 'সবকিছু আন্তর্জাতিক হয়? তাহলে স্থানীয়রা কোথায় যাবেন? আজ বিশ্ব বাংলা সারা পৃথিবীর ইউনাইটেড ফোরাম বেস্ট টুরিস্ট এরিয়া হিসাবে চিহ্নিত। কালচারাল, এডুকেশন ট্যুরিজম আছে। দক্ষিণেশ্বর, কনক দুর্গা, কালীঘাট নতুন করা হয়েছে। জয়রামবাটি-কামারপুকুর থেকে উত্তর-দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে রাস্তা তৈরি করেছি।
চন্দন নগরে লাইটিং হাব হচ্ছে। মাহেশের রথ আমরা চালাই, ফুরফুরা শরীফ, তারকেশ্বর করে দিয়েছি। বাকিটা কী থাকল? অযোধ্যা পাহাড়ে ৬টা রাস্তা নতুন করে করা হয়েছে। নতুন হোটেল হয়েছে। পর্যটন দফতর দেখুক, আরও উন্নত করতে হবে। হোম স্টে-তে জোর দিতে হবে। ১৯৬৫-টি হোম স্টে গোটা রাজ্যে করতে পেরেছি। ঝাড়গ্রামের রাজবাড়ি দেখে আসুন।'
সম্প্রতি কলকাতায় গঙ্গা আরতির জায়গা খুঁজতে পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দির এবং গঙ্গার ঘাট, এই দুয়ের মিশেলে তিলোত্তমার বুকে গঙ্গা আরতির জায়গা বানাতে উদ্যোগী খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সরকারি একাধিক প্রকল্প এবং উদ্যোগ নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
এসএসসি নিয়োগ (SSC Scam) দুর্নীতিতে সিবিআই (CBI) চার্জশিটে নাম নেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। তবে এই দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্তে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কেন্দ্রীয় সংস্থা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে তুলে ধরেছে। এমনটাই সিবিআইয়ের একটি সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, এই চার্জশিটে নাম রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের মিডলম্যান প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিংয়ের নামও রয়েছে।
এই চার্জশিটে নাম রয়েছে মোট ১২ জনের। নাম রয়েছে এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়েরও। এমনটাই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। চার্জশিটে সিবিআই উল্লেখ করেছে, করোনাকালে লকডাউন চলাকালীন এসএসসি অফিস ফাঁকা ছিল। সেই সুযোগে বেলাগাম দুর্নীতি ও বেনিয়াম করেছেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এমন নিজের অপরাধ ঢাকতে একাধিক পন্থাও অবলম্বন করেছেন তিনি।
ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গত ২৩ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তারপর একাধিকবার জামিনের আবেদন করলেও নাকচ হয়েছে সেই আবেদন। অন্যদিকে গ্রেফতারির আগে সুবীরেশ ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেছিলেন, তাঁর আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু সিবিআই চার্জশিটে তাঁর নাম থাকায় আগামি দিনে আরও বিপাকে পড়তে পারেন জেলবন্দি এই শিক্ষাকর্তা। এমনটাই মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।