Breaking News
Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...     

Partha

Death: টলিউডে শোকের ছায়া! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা পার্থসারথি দেব

প্রয়াত টলিউড বর্ষীয়ান অভিনেতা পার্থসারথি দেব। শুক্রবার রাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্য়ুকালে অভিনেতা বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। গত ৪০ বছর ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০০ টিরও বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। তাঁর এই মৃত্য়ুতে শোকস্তব্ধ গোটা টলিপাড়া। 

জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন অভিনেতা পার্থসারথি দেব। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দক্ষিণ কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল অভিনেতাকে। দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। দিনকয়েক আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সেই সঙ্গে বুকে সংক্রমণ আর নিউমোনিয়াও ধরা পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। 

২২ মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে পরলোকে পাড়ি দেন বর্ষীয় অভিনেতা পার্থসারথি দেব। আর্টিস্টস ফোরামের প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর ১২ টায় টেকনিশিয়ান্স স্টুডিওতে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানো হবে। 

4 weeks ago
TMC: জ্বলছে সন্দেশখালি! খোলকর্তাল নিয়ে, গলায় মালা পরে কীর্তনে মজে সেচমন্ত্রী

১৮ দিন পার, মানুষের ক্ষোভে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। পুঞ্জীভূত রাগ ফেটে বেরোচ্ছে ক্রমাগত। প্রশাসনের উপরও ভরসা হারিয়ে এবার রাস্তাতেই বিচার চেয়ে মানুষ। সন্দেশখালি ঢুকতে বাধার মুখে দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। বাধার মুখে আইনজীবীও। এই ছবি দেখতে দেখতে চোখ সয়ে গেছে প্রায়। তারই মধ্যে এবার অন্য ছবি দেখাল শাসক তৃণমূল। সন্দেশখালি জুড়ে যখন কাঁদো কাঁদো রব। তারই মাঝে বেড়মজুরে খোলকর্তাল নিয়ে, গলায় মালা পরে কীর্তনে মজে সুজিত-পার্থরা। সঙ্গে হাজির সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোও।

তবে শুধুই নাচানাচি নয়। পাশাপাশি সন্দেশখালির মানুষকে দিলেন জমি ফেরানোর আশ্বাসও। বছর শুরুর সময় থেকেই ক্ষণে ক্ষণে উত্তাপ ছড়িয়েছে সন্দেশখালিতে। গোটা এলাকা জুড়ে দাবি একটাই। শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারই। পুলিসের জালে দুই শাগরেদ এলেও এখনও অধরা সন্দেশখালির বাঘ। সেখানেই যখন গ্রামবাসীদের আক্রমণের তিরে স্থানীয় তৃণমূল, তখনই এবার দ্বীপাঞ্চলের মাটিতে পা পড়ল শাসক তৃণমূলের। 

শনিবারের পর রবিবারও সন্দেশখালিতে হাজির রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। রবিবার একেবারে ফুলের মালা পরে ঢোল নিয়ে কীর্তনে মজে থাকতে দেখা গেল রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের। এসব দৃশ্য দেখে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিকই, মানুষের ক্ষোভ প্রশমনে শেষ দাওয়াই হরিবোল? কীর্তন করে এতদিনের অত্যাচারে ইতি টানা যাবে? মন্ত্রীদের উপস্থিতিতেই আবার তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে ধাওয়া করে উত্তরটাও বোধ হয় বুঝিয়ে দিয়েছে সন্দেশখালির মানুষ।


2 months ago
Sandeshkhali: একই যাত্রায় পৃথক ফল! ১৪৪ যুক্ত এলাকায় নির্বিঘ্নে ঘুরছেন পার্থ-সুজিত, বাধাপ্রাপ্ত মীনাক্ষী

শনিবার সন্দেশখালিতে গিয়েছেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। প্রথমে ছদ্মবেশে সন্দেশখালি ঢুকলেও পুলিসি বাধার মুখে পড়েন বাম নেত্রী মীনাক্ষী। ১৪৪ ধারার যুক্তি দেখিয়ে গ্রামে যেতে বাধা দেওয়া হয় মিনাক্ষী-সহ সিপিএমের যুব নেতানেত্রীরা। তবে শনিবার সকাল থেকেই গ্রামে ঘুরছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। তাঁরা কীভাবে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন, প্রশ্ন মীনাক্ষীর।

শনিবার সকালে মুখ ঢাকা দিয়ে পুলিসের নজর এড়িয়ে সন্দেশখালিতে পৌঁছন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। টোটো করে গ্রামে গ্রামে ঘোরেন। কথা বললেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের বাড়িতেও যান মীনাক্ষী। দুপুর দেড়টার পর মিনাক্ষীদের পুলিস আটকায়। তার আগেই বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে ফেলেছেন মিনাক্ষীরা। মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম নেত্রী। পুলিসের তরফে সাফ জানানো হয়, যেহেতু সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গাতে ১৪৪ ধারা রয়েছে তাই সেখানে একসঙ্গে এত লোকজন নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যাবে না। তারপরই পুলিসের কাছে লিখিত অর্ডার দেখতে চান মীনাক্ষীরা। যদিও পুলিস কোনওরকম অর্ডার দেখাতে পারেনি।

এদিকে, শনিবার গ্রামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালিতে যান সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। পুলিসি বাধা পেয়ে মীনাক্ষী দুই মন্ত্রীকে ‘শাহজাহানের লোক’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘‘পার্থ, সুজিত শাহজাহানের দলের লোক। ওঁরা মানুষকে ভয় দেখাতে এসেছেন। যখন জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছিল, তখন ওঁরা কোথায় ছিলেন? ‘দুয়ারে সরকার’ কোথায় ছিল?’’

মীনাক্ষী আরও বলেন, ‘‘১৪৪ ধারা জারি থাকলে আমি একা যেতে পারি। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তো বাধা নেই। আমরা যেতে চাইছি। যেতে দিচ্ছে না। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আছে। পুলিসের সঙ্গে কথা বলতে চাই। মানুষ জমি ফেরত চায়। পুলিশের শাস্তি চাই। পুলিশ মানুষের কথা শোনে না। আমরা সে বিষয়ে কথা বলতে এসেছি। জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিস তা বার করে দিক।’’ থানায় যেতে চাইলে বাধা দেওয়া হয় মীনাক্ষীদের। সন্দেশখালি ঘাটের কাছে বসে পড়েন তিনি। উল্লেখ্য, এর আগেও সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিসি বাধার মুখে পড়েন মীনাক্ষীরা।

2 months ago


HC: জেলে ১ বছর ৭ মাস! পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিচারপ্রক্রিয়া কবে শুরু হবে? ইডির কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

প্রায় এক বছর সাত মাস ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল হাজতে রয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি অন্যতম অভিযুক্ত। এমন দাবি ইডি ও সিবিআই করে এসেছে বরাবর৷ এবার ইডির বিশেষ অধিকর্তার রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় এই তলব বলে জানা গিয়েছে। কবে থেকে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শুরু করা সম্ভব? সেই বিষয়ে রিপোর্টে আদালতকে জানাতে হবে। বুধবার এমনই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

এদিনের আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, অনির্দিষ্টকালের জন্য কাউকে হেফাজতে রাখা যায় না। এক বছর সাত মাস জেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। সেই কথা ঠিক আছে। কিন্তু আর কতদিন? ইডির আইনজীবী ও আধিকারিকের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন বিচারপতির।

প্রেসিডেন্সি জেলের পহেলা বাইশ বিশেষ সেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বান্ধবী অর্পিতাও জেল হেফাজতে। একের পর এক তথ্য সামনে এসেছে তদন্ত মাধ্যমে। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। একের পর এক সম্পত্তির হদিশ মিলেছিল। তৃণমূলের সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, দলের মহাসচিবের জায়গা হয়েছিল গারদের ওপাড়ে। দল তার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার মতোই। মন্ত্রিসভা থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেভাবে এত দিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কথা খরচ করেনি।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেশ কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে জামিনের আবেদন করে এসেছেন। নিজে জামিনের সওয়াল করেছেন। তিনি কোথাও যাবেন না। বাড়িতেই থাকবেন। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থ। এভাবে আর জেলবন্দি থাকতে পারছেন না। আদালতে বহু বার এমন কথা বলে কাতর আবেদন করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কোনওবারই জামিন মেলেনি৷ ইডি ও সিবিআই বরাবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রভাবশালী বলে আখ্যা দিয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মুখ। এই দাবিও করা হয়েছে। জামিন বরাবর না মঞ্জুর হয়েছে আদালতে।

এবার আদালত এই বিষয়ে নিজেই প্রশ্ন করেছে৷ আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি। ওই দিন ইডিকে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে হবে। তাহলে কি এবার শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া?

2 months ago
HC:পার্থ ও সুজয়ের হয়ে সওয়াল এজির! এমন কাণ্ডে বিস্ময় প্রকাশ বিচারপতির

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানি ছিল নিয়োগ মামলার দুই মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ এবং ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। সেই মামলায় পার্থ এবং সুজয় দু’জনের জামিন চেয়ে আদালতে সওয়াল করছিলেন রাজ্যের এজি। রাজ্যের এজির সওয়ালে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। রাজ্যের প্রতিনিধি কেন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্তদের হয়ে সওয়াল করছেন রাজ্যের এজি কিশোর দত্তের কাছে জানতে চান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। প্রশ্ন করেন, আপনার কাছে অনুমতি আছে? তারপরেই বিচারপতি স্পষ্ট করে দেন রাজ্যের অনুমতি পত্র ছাড়া সওয়াল শোনা সম্ভব নয়। যার জেরে পিছিয়ে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের জামিন মামলার শুনানি।

উল্লেখ্য, রাজ্যের এজি পদে স্থলাভিষিক্ত হওয়ার আগে থেকেই পার্থ এবং সুজয়ের জামিনের মামলা হাইকোর্টে লড়ছেন কিশোর দত্ত। সেই মামলা চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। এই আবহেই রাজ্যের নতুন এজি পদে দায়িত্ব নেন কিশোর। তারপরে বুধবার পার্থ এবং সুজয়ের জামিনের শুনানি পড়ে। নিজের হাতে থাকা পুরোনো মামলা নিজেই লড়তে এসেছিলেন বর্ষীয়ান এই আইনজীবী। কিন্তু সওয়াল করতে এসেই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। এর পরেই সময় চান রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত। রাজ্যের অনুমতি নিয়ে সওয়ালে অংশ নেওয়ার কথা জানান তিনি। বিচারপতি জানান, রাজ্য যদি অনুমতি দেয়, তবে আদালতের কোনও অসুবিধা নেই।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পার্থের জামিনের মামলার শুনানি হবে। সুজয়ের মামলাটির পরবর্তী শুনানি ৬ ফেব্রুয়ারি। 

3 months ago


CBI: নাটের গুরু 'পার্থ'ই! শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ সিবিআই-এর

রাজ্যের শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। সোমবার আদালতে শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলার তদন্ত শেষ করে চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিট চার্জশিটেই নাম রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এছাড়াও পার্থর প্রাক্তন সচিব সুকান্ত আচার্য (ডব্লুবিসিএস), এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারপার্সন শর্মিলা মিত্র'র নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সিবিআই সূত্র জানা গিয়েছে, নবম-দশম, একাদশ - দ্বাদশ, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। এসএসসির একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এদিন পেশ করা চার্জশিটে অভিযুক্তরা হচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি-র প্রাক্তন কর্তা সুবীরেশ ভট্টাচার্য, ওএমআর শিট প্রস্তুতকারক সংস্থা নাইসার কর্তা পুনীত কুমার, পঙ্কজ বনশাল, এজেন্ট প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিং, প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী, অরুণ মাইতি, অশোক মাইতি।

নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পেশ করা চূড়ান্ত চার্জশিটে নতুন অভিযুক্তর তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি-র প্রাক্তন আধিকারিক সৌমিত্র ঘোষ, নাইসা, পুনীত কুমার, পঙ্কজ বনশাল। এমনকি অভিযুক্ত হিসেবে কয়েকজন শিক্ষকের নামও রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, সৌমিত্র ঘোষ, সুবীর ঘোষ, দিলীপ ভৌমিক-এর নাম আছে। এসএসসির গ্রুপ ‘সি’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মোট ২৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। এই মামলায় আগেই দু’দফায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সিবিআই সূত্রে আরও খবর, চার্জশিটে নাম রয়েছে এসএসসির প্রাক্তন আধিকারিক পর্ণা বসু-রও।

3 months ago
Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির চারটি মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ সিবিআইয়ের, সবেতেই জড়িয়ে পার্থ!

নিয়োগ দুর্নীতির চারটি মামলার তদন্ত শেষে চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। সোমবার নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি'র মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করা হয়েছে আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে। আর এই চারটি মামলাতেই নাম জড়াল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তবে চার্জশিট জমা পড়লেও এখনও সেই চার্জশিট নিয়ে শুনানি বা কোনও নির্দেশ হয়নি আদালতে। ৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিপোর্ট দেওয়ার আগে এই চারটি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই।

উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, জানুয়ারির নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষ করে সোমবার চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিতে এক সঙ্গে চারটি মামলায় চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ হতে পারে বলেই খবর। সোমবার নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডিতে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট পেশ করছে সিবিআই। নবম-দশম মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ৭ জনের নাম রয়েছে বলে খবর। গ্রুপ-সি মামলার চার্জশিটে রয়েছে শিক্ষাদফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নাম। এছাড়াও চার্জশিটে রয়েছে একাধিক এজেন্টের নাম। রয়েছে একাধিক ব্যক্তির বয়ানও।

3 months ago
Recruitment Scam: শারীরিক অসুস্থতার দোহাই দিয়ে হাজিরা এড়ালেন পার্থ ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর পার্থ সরকার!

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ইডির তলব ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থ সরকার ওরফে ভজাকে। তিনি শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অতি ঘনিষ্ঠ। এর আগে তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালালেও সম্ভব হয়নি যোগাযোগ। এবার সিজিও কমপ্লেক্সে পার্থ সরকারকে তলব ইডির। আজ, বুধবারই বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁকে ইডির দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শরীরিক অসুস্থতার দোহাই দিয়ে হাজিরা এড়ালেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর পার্থ সরকার।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শেষ করার সময় যতই এগিয়ে আসছে তদন্তে খুঁটিনাটি জানতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তৎপরতা বাড়ছে। বেরিয়ে আসছে নতুন মুখ। এর আগেও ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের পাটুলির বাড়িতে পৌঁছেছিল সিবিআই। এবার যাঁর ডাক পড়েছে তাঁর বাড়িতেও এর আগে এসেছিল সিবিআই। তবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থ সরকারের সঙ্গে। যদিও তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে সিবিআই উদ্ধার করেছিল কিছু নথি।

সূত্রের খবর, এবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির তরফে ডেকে পাঠানো হল পার্থ সরকারকে। নিয়ে আসতে বলা হয়েছে বেশ কিছু তথ্য, নথিও। প্রথমে বাড়ি তল্লাশি, তার বেশ কিছু সময় পর খোদ কাউন্সিলরকে তলব ইডির। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র সহ বেশ কিছু ধাপ পেরিয়ে পৌঁছতে হত তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর গ্রেফতারির পরে অঘোষিত বিধায়ক হিসেবে বেহালা পশ্চিম চত্বরে দেখা গিয়েছে এই পার্থ সরকারকেই। কিন্তু এদিন তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও এড়িয়ে যান। তাঁর তরফ থেকে ৫দিনের সময় চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু নথি তিনি ইডি দফতরে পাঠিয়েছে ও বেশ কিছু নথি জোগাড় করতে সময় লাগবে বলে ইডির আধিকারিকদের জানিয়েছেন পার্থ সরকার। এখন দেখার, সেসব নথি থেকে কী কী তথ্য খুঁজে পায় ইডি।

4 months ago


Mamata: তিনি সব জানেন! দুর্নীতিতে অভিযুক্ত দুই মন্ত্রীরই গলায় 'মমতা' নাম

একজন রেশন বন্টন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, অপরজন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে, অথচ দুজনের গলাতেই একই নাম 'মমতা।'  রাজ্যের দুই প্রভাবশালী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দুজনই দুর্নীতির দায়ে আপাতত গারদের পিছনে। কিন্তু কোথাও যেন এই দুই মন্ত্রীই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মানেন। কিন্তু কি জানেন মমতা বন্দোপাধ্যায়? এই দুর্নীতির পটভূমিতে দুইটি দিক হওয়া সম্ভব, যে তিনি জানেন, অভিযুক্তরা নির্দোষ, অথবা অভিযুক্তরা দোষী। কিন্তু এই দুটির মধ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায় কি জানেন? বিরোধীদের অবশ্য দাবি সমস্ত দুর্নীতির কথা মমতা জানেন।

সম্প্রতি রেশন বন্টন দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার করা হয় বর্তমান বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। কিন্তু ঘটনার সূত্রপাত আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকালে, সকালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে ইডি হেফাজতে থাকা মন্ত্রী বলেন, আমি চক্রান্তের শিকার। বিজেপিকে  দিয়ে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তার পরেই তিনি বলেন, মমতাদি সব জানে।' ওদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভরা আদালতে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রসঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নাম নেন।  প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,  ‘নিয়োগে আমার ভূমিকা নেই। একটা অংশ নীতি প্রণয়ন করে অন্যরা নিয়োগ করেন। সচিবরা মুখ্যসচিবের অধীনে কাজ করেন। মুখ্যসচিব কাজ করেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।' এরপরেই শোরগোল শুরু হয়, সেই আগুনে এবার ঘি ঢাললেন মমতার ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী বালু, অর্থাৎ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যদিও সমস্ত রকম দুর্নীতি প্রসঙ্গে নিজেকে 'অজ্ঞাত' হিসেবেই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। 

যদিও দুর্নীতি প্রসঙ্গে বারবার বিরোধীরা কালীঘটের দিদিমণিকেই টার্গেট করেছেন। বিরোধীদের দাবি, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে, এ রাজ্যের সমস্ত ভাল-মন্দের দায়িত্বও তারই। সেরকমই বরাবরই ঘনিষ্ঠ বালু ও পার্থের মাধ্যম্যে হওয়া দুর্নীতিও মমতার জানাটাই স্বাভাবিক বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে ইডি হানা দিতেই তিনি চটে গিয়েছিযেন, এবং জানিয়েছিলেন, 'বালুর কিছু হলে ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করব।' এরপরেই গ্রেফতার হয় তাঁর প্রিয় বালু। তারপরেও নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা রেশন দুর্নীতি প্রসঙ্গে বামকে টার্গেট করেন। কিন্তু তাতে কি হিসেবে মিলল? একদিকে মমতার ঘনিষ্ঠ গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রীরা ঘুরপথে দাবি করছেন, 'মমতা সব জানেন।' ওদিকে মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেই শোনা গিয়েছিল পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি নাকি তিনি টেরই পাননি। তাহলে প্রশ্ন উঠছে গোটা রাজ্য জুড়ে রেশন, গরু, কয়লা, শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি কার সূক্ষ্ম মাথার খেলা? উত্তর কে দেবেন? বঙ্গের দুর্নীতির হিমশৈলের চূড়ায় কে দাঁড়িয়ে সেটাই দেখতে চায় বাংলা। 

6 months ago
Teesta: জল কমছে তিস্তার, গজলডোবায় পরিস্থিতি পরিদর্শনে সেচমন্ত্রী পার্থ

ভয়াল রূপ ত্যাগ করে শান্ত হচ্ছে তিস্তা। ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে জলপাইগুড়ির গজলডোবায় সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। ভয় নেই আর আশ্বস্ত করছেন মন্ত্রী, তিস্তা পারের বাসিন্দারাও একটু স্বস্তিতে। তবু খচখচ করছে ভয়ের কাঁটা। উত্তাল প্রকৃতি নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে গোটা মানবজাতিকে। বুধবার সব শেষ হওয়ার ভয়টাকে খুব কাছ অনুভব করেছে বঙ্গের উত্তর। সিকিমের লোনক হ্রদে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তার উথাল পাথাল স্রোতে জলপাইগুড়ির গজলডোবায় ভেসে এসেছিল ৩ টি মৃতদেহ। গজলডোবার উঠতি পর্যটন কেন্দ্র রাজ্য সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলো নিয়েও শঙ্কার শেষ নেই। বৃহস্পতিবার সেই গজলডোবার হাওয়া মহলেই বিশেষ বৈঠকে বসলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী।

 শুধু সেচমন্ত্রী নয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেত্রী মহুয়া গোপ সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের নজর এখন শুধুই তিস্তার মাতাল স্রোতে। ঘাড়ের ওপর ৪৮ ঘণ্টার অশনি সংকেত। যদি আবার বাড়ে জল? তবে বৃহস্পতিবার একটু হলেও ভরসা দিচ্ছে তিস্তা। বুধবারের ভয়াল রূপ ত্যাগ করে স্রোতস্বিনী এখন ধীর প্রবাহিনী। ভয়ের কাঁটা খচখচ করছেই। খামখেয়ালি প্রকৃতির কখন আবার কি মর্জি হয়! 

7 months ago


Manik: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত মানিক ভট্টাচার্যেরও স্কুল আছে! আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ ইডির

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় নয়া তথ্য পেশ ইডি-র আইনজীবীর। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ইডি-র আইনজীবীর দাবি,পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই মানিক ভট্টাচার্যেরও রয়েছে একটি স্কুল। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর সওয়ালকে মান্যতা দিতে নারাজ অভিযুক্তের আইনজীবী। যে স্কুলের প্রসঙ্গ আদালতে উত্থাপন করা হয়েছে, সেই স্কুল ১০০ বছরের পুরনো। সাফ জানালেন মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী। আদালত সূত্রে খবর, ২৭ সেপ্টেম্বর হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

এদিন আদালতে বিযয়টি খতিয়ে দেখতে ও তদন্তের গতি বাড়াতে শুনানির জন্য আরও ৩ সপ্তাহ সময় চাইলে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এর আগেও তদন্তের স্বার্থে দু'সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু আদৌ অগ্রগতি কি হয়েছে মামলার? জবাব চান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। অন্যদিকে, আদালতে জামিন মামলায় অভিযুক্ত স্বয়ং উপস্থিত থাকার আর্জি জানিয়েও মিলল না কোনও সদুত্তর। মানিক ভট্টাচার্যের এই আর্জিকে আমল দিতে নারাজ বিচারপতি। এই মুহূর্তে মামলার শুনানিতে ধৃতের উপস্থিত থাকার কোনও আবশ্যকতা নেই। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের পরই পোস্টিং দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছে মানিকের। প্রকাশ্যে এসেছিল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এবার তদন্তে উঠে এল স্কুলের মালিকানার ঘটনা। তবে কি পুজোর আগেই হবে মানিক রহস্যের পর্দাফাঁস? ক্রমশ জোড়ালো হচ্ছে প্রশ্ন।

7 months ago
partha: 'হৃদয়ে লিখো নাম' পুজো কমিটি থেকে নাম বাদ পড়ার প্রশ্নে গানের সুরে জবাব পার্থের

কলকাতায় নামকরা যে পুজোগুলো হয় তার মধ্যে অন্যতম বড় পুজো নাকতলা উদয়ন সংঘ। ওই পুজো কমিটির মধ্যে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে জেলে বন্দি রয়েছেন। ফলে স্বভাবিকভাবে চলতি বছরের পুজো কমিটি থেকে নাম বাদ গেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এবিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে আবেগে ভাসলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। মান্না দে-র গানের লাইনে জবাব দেন তিনি। তাঁর কথায়, পাথরে নাম লিখলে ক্ষয়ে যেতে পারে, হৃদয়ে নাম লিখলে রয়ে যাবে।

চলতি বছর থেকে নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোয় নাম এসেছে অরূপ বিশ্বাসের। এবিষয়ে পার্থবাবুর জবাব, অরূপ অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক। খুবই ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মত তাঁর।

চাকরি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তারপর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। জেলে যাওয়ার পর থেকে এক এক করে ক্ষমতা কমানো হয়েছে। এবার পুজো কমিটি থেকেও নাম বাদ গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

7 months ago
Partha: মিলল না জামিন, আরও একটা পুজো হয়ত জেলেই কাটাতে হবে পার্থকে

পুজোতে কোথায় থাকবেন তিনি ? জেলে নাকি জেলের বাইরে। বুধবার তার সিদ্ধান্ত হল না। বরং আরও একমাস পর এই ব্যাপারে শুনানি হবে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, আরও একটা পুজো হয়তো জেলেই কাটাতে চলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

জামিনের আবেদন চেয়ে এদিন হাই কোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। বিচারপতির এজালাসে নাকি মামলাও উঠেছিল। কিন্তু বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ  তা ৯ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন।

হিসাব বলছে, ১৯ তারিখ থেকে পুজো শুরু। তার আগে জামি চেয়ে এদিন হাই কোর্টে গিয়েছিলেন পার্থর আইনজীবীরা। কারণ, এর আগে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের  এজলাস থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন আর এক অভিযুক্ত মানিক ভট্টচার্যের স্ত্রী। যদিও পার্থর ক্ষেত্রে তা কাজে লাগলো না। ইতিমধ্যেই ১৩ মাস জেল খাটা হয়ে গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গত বছরের জুলাই মাসে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পার্থর দাবি, তাঁর সঙ্গে দুর্নীতির যোগ রয়েছে, তা এখনও প্রমাণ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাঁকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও শোভনকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।

8 months ago


Sovan: 'পার্থ পরিস্থিতির শিকার,' আলিপুর আদালতে দাঁড়িয়ে পার্থকে নিয়ে মত শোভনের

আদালত চত্বরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও পার্থর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি তাঁকে। বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

প্রায় ৪৫ বছরের পুরনো সহকর্মী পার্থ ও শোভন। শনিবার ব্যক্তিগত কাজে আলিপুর আদালতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই হাজির করানো হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শোভনের সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখি। পার্থকে নিয়ে আসার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শোভন। 

দেখা না করতে পেরে ফিরে এসে শোভন বলেন, 'পার্থর সঙ্গে দেখা না করতে যাওয়া অপরাধ!' তারপরেই তিনি স্পষ্ট জানান, অভিযুক্ত এবং দোষী প্রমাণের মধ্যে ফারাক রয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

8 months ago
Abar Pralay: করালী বাবুর 'হ্যালো স্যার,' এবার মুখ্যমন্ত্রীর গলায়, আবার প্রলয় নিয়ে জানালেন মন্ত্রী

পার্থ ভৌমিক (সেচমন্ত্রী,পশ্চিমবঙ্গ সরকার): সংস্কৃতি তো জীবনের অঙ্গ, থাকতেই হবে কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্বে আসার পর সময় কোথায়? সত্যি বলতে কি, আমরা ওপার বাংলার মানুষ। ওই বাংলায় আমার পরিবারের নিয়মিত অবসরে গানবাজনা নাটক থাকতোই। আমি এদিকের হলেও পরিবারের ছোঁয়া তো ছিলই। ছোটবেলা থেকে সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম আবার ফুটবল খেলা পাগল ছিলাম। এই যে গতকাল আমার প্রিয় দল ইস্টবেঙ্গল শেষ মুহূর্তে জার্মানের মতো জ্বলে উঠে দু গোল শোধ করে টাই-ব্রেকে জিতল তাতে শেষ মুহূর্তে যেন ছোটবেলায় চলে গিয়েছিলাম।

নাটক চিরকালই আমার প্রিয় বিষয়। নৈহাটী জানবেন এমন একটা ছোট্ট শহর যেখানে যুগে যুগে শিল্পী সাহিত্যিকের জন্ম হয়েছে কাজেই আমি কি ব্যতিক্রম হতে পারি। সিনেমা বা ক্যামেরার সামনে যেতে হবে এমন স্বপ্ন দেখিনি। পরে ছাত্র রাজনীতি থেকে মূল রাজনীতিতে। কংগ্রেস করতাম পরে তৃণমূল সংগঠিত হওয়ার পরে দিদির সাথেই সৈনিক হিসাবে কাজ করে গিয়েছি। আমি নিজেকে আজকেও কেউকেটা মন্ত্রী ইত্যাদি ভাবি না। আমার উপর দায়িত্ব যা বর্তিয়েছে চেষ্টা করেছি তা পালন করার।

 বিধায়ক ও চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী আমার ভাতৃসম। আমাকে জানালেন যে তোমাকে আমার পরের ছবিতে একটা কাজ করতে হবে। আমি বলেছিলাম যে , সময় কোথায়। রাজ্ বললেন যে , ও ঠিক খুঁজে নেওয়া যাবে। রাজি হলাম। মূল চরিত্র কিছু নয়। সুন্দরবনের এক পুলিশ অফিসারের চরিত্র, যার কিনা নিজের উপরেই ভরসা নেই। একদিকে ভীতু প্রকৃতির আবার দুস্টুবুদ্ধি প্রবল। শেষে এক কড়া বস আসায় নিজেদের সমঝে নিতে হল এবং তারপর ... । নাহ সিএনের দর্শকদের আর বলবো না , দেখে নিন। তা ওই ছবিতে মুদ্রাদোষের মতো আমার একটা সংলাপ ছিল " হ্যালো স্যার " ।  কি জানি মন্ত্রী বলেই কি না সাংঘাতিক হিট করে গেলো ওই হ্যালো স্যার। এবারে বিধানসভায় এসেছি ২৮ অগাস্ট অমনি দুস্টু সাংবাদিদের আওয়াজ শুরু হলো হ্যালো স্যার। প্রায় সবাই। দলের এবং বিরোধীদের মুখেও হ্যালো স্যার। কি যন্ত্রনা।

শেষে মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে এলো বিষয়টি। আবার প্রলয়। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন , তিনি শুনেছেন এই ছবির কথা এবং খুবই খুশি হয়েছেন। বললেন যে , দলের কেউ যদি শিল্প সংস্কৃতিতে যোগ দিয়ে কাজ করতে পারে তবে খুব ভালো কথা। আমি দিদিকে প্রণাম করলাম, তিনিও আশীর্বাদ করলেন। এর থেকে সেরা পুরস্কার কি হতে পারে। তবে নিয়মিত মোটেই ওই জগতে যাচ্ছি না, সময় কোথায় কিন্তু সুযোগ পেলে নাটক করবো নিশ্চিত। আমার সংগীত শিল্পী স্ত্রীর ইচ্ছাও তাই, একই ইচ্ছা কন্যারও। সিএনের পড়ুয়াদের রাখির শুভেচ্ছা জানাই। ভালো থাকবেন।

অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত 

8 months ago