Breaking News
Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে     

PanchayetVote

Abhishek: রাজ্যের সমস্ত জেলা-ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিষেক, প্রসঙ্গ কী

আজ অর্থাৎ সোমবার দুপুর ৩টের সময় রাজ্যের, সমস্ত যুব এবং মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা ও ব্লক, সভাপতিদের নিয়ে ভার্চুয়াল মিটিং করবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আর কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হবে এই মিটিং। এই ভার্চুয়াল মিটিং পঞ্চায়েত ভোটের আগে, দলের নিচু স্তরে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও দ্রুত পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পর্কে ঘোষণা করতে পারে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন৷ সেই কারণে শাসক-বিরোধী সবপক্ষই নির্বাচনের প্রস্তুতিতে পুরোপুরি লেগে পড়েছে৷ আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সোমবার জরুরি সাংগঠনিক বৈঠকে বসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃণমূল সূত্রে খবর মিলেছে, সমস্ত জেলার জেলা সভাপতি, বিধায়ত ও ব্লক সভাপতিরা থাকবেন সেই বৈঠকে৷ সেখানেই নির্বাচনের একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে৷

এছাড়া আলিপুরদুয়ারে দলীয় সভা থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন বিজেপি অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ১ কোটি চিঠি প্রদান করবেন তিনি। এই মিটিংয়ে কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনাকে হাতিয়ার করে স্বাক্ষর গ্রহণ ও পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি শুরু করবেন বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর। এছাড়া এ ধরণের মিটিংয়ে দলের নিচু স্তর ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও যে জনসংযোগ বাড়বে সেটা বলাই বাহুল্য।

one year ago
TMC:পঞ্চায়েতের প্রার্থীপদ ঘিরে দ্বন্দ্ব, চোপড়ায় গুলিতে হত এক তৃণমূলকর্মী-সহ দুই

তৃণমূলের (TMC) বুথ কমিটির সভা শেষে চললো গুলি। গুলিবিদ্ধ চার জনের মধ্যে মৃত ২। দলুয়া হাসপাতাল থেকে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে (Islampur Hospital) আনার পথে এক গুলিবিদ্ধর মৃত্যু হয়েছে। অপর গুলিবিদ্ধকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical College) নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে চোপড়ার দিঘাবানা এলাকার এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে। জানা গিয়েছে, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayet Vote) টিকিট পাওয়াকে কেন্দ্র করেই শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। গুলিতে আরও কয়েকজনের জখম হওয়ার খবর মিলেছে। মৃত দু'জনের নাম হসু মহম্মদ ও ফইজুল রহমান।   

জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী হিসেবে নাম ছিল ফইজুল রহমানের। যার জেরেই শুরু এই দ্বন্দ্ব। এমনকি সেই দ্বন্দ্বকে ঘিরেই চলেছে এই গুলি। যাঁরা গুলি চালিয়েছে এবং যারা মারা গিয়েছে; দু'পক্ষই শাসক দলেরই কর্মী। এমনটাই নাকি মৃতের পরিবারের অভিযোগ। মৃতের পরিবারের আরও অভিযোগ, 'মূলত পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট পাওয়াকে কেন্দ্র করেই এই দ্বন্দ্ব।'

ইতিমধ্যেই চোপড়ার দিঘাবানা এলাকায় বিশাল পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কারা কারা এই হামলায় জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।

one year ago
Bhangar: ভাঙড়ে নওশাদকে আটকাতে আরাবুল-কাইজারের মাথায় ক্যানিংয়ের শওকত

ভাঙড়ের (Bhangar) আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui) আটকাতে শওকত মোল্লাকে বিকল্প হিসেবে তুলে ধরছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ক্যানিং পূর্বের (Canning Purba) বিধায়ককে এভাবে ভাঙড়ে নিয়ে এসে আরাবুল-কাইজারদের মাথায় বসানোয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইঙ্গিত পাচ্ছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা, ভাঙরের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিধানসভায় কি আইএসএফ-কে আটকাতে ব্যর্থ আরাবুল ও কাইজার জুটি?

জানা গিয়েছে, শওকতকে ভাঙড়ের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়ায় একদমই খুশি নয় আরাবুল ও কাইজার। যদিও শনিবার শাসক দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির বাড়িতে বৈঠক হয়েছে ভাঙর প্রসঙ্গে। শওকত মোল্লা ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরাবুল এবং কাইজার। কিন্তু ভাঙর তৃণমূলের একটি সূত্র বলছে, জোর করে তাঁদের মাথায় বসানো হল শওকত মোল্লাকে।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি ভাঙড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বাড়বে? ঘুরিয়ে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল আরাবুল ইসলামকে। তিনি স্পষ্ট জানান, 'ভাঙড়ে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি আমাদের মতো করেই নেব।' সংখ্যালঘু ভোট কি তৃণমূলের থেকে সরছে? এই প্রশ্নের জবাবে জানান, 'এরম কোনও ব্যাপার নেই।' একইভাবে ভাঙড়ের অপর এক তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদকে বৈঠকের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, 'কী আলোচনা, বাইরে সংবাদ মাধ্যমকে বলা বারণ রয়েছে। দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা মেনে নিয়েছি। বসে শুধু আলোচনা খাওয়া-দাওয়া হয়েছে।' 

এদিন বৈঠক সেরে বেড়িয়ে শওকত মোল্লা বলেন, 'আইএসএফ জেতার পর ভাঙড়ে উন্নয়ন স্তব্ধ। আমরা সবাই একসঙ্গে নজর দেব সার্বিক শান্তি ও উন্নয়নে। সেভাবেই রাজ্য সভাপতি আমাদের নির্দেশ দেন। দলকে সাংগঠনিক ভাবে আরও শক্তিশালী করার দায়িত্ব সবার উপর পড়েছে। ভাঙরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কোনও শব্দ নেই। আমরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী।' 

এখন একটি প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে শওকত কি পারবে গোষ্ঠী কেন্দল সামাল দিতে? কারণ একসময় দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাম নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন এই শওকত মোল্লা। ডান হাত ছিলেন তৎকালীন বাম নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার। তখন তাঁর সঙ্গে জোর লড়াই ছিল এই আরাবুল-কাইজারদের। সেই পুরনো শত্রুতা ভুলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি সম্ভব একসঙ্গে কাজ করা?

one year ago


Lalgola: বাড়িতে ঝাড়ু দেওয়ার সময় বিস্ফোরণ, জখম মা-ছেলে!

মুর্শিদাবাদের লালগোলায় বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) আহত মা। ছাদ থেকে পড়ে আহত বধূর খুদে সন্তান। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের আতঙ্কে ছাদ থেকে পড়ে জখম ছেলে। সোমবার সকালে লালগোলা (Murshidabad Lalgola) থানার অন্তর্গত ময়া পঞ্চায়েতের মিঞাপুরে এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। আহত হয়েছেন মা ফুলসরা বিবি ও তাঁর সন্তান। জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে লতিফুর শেখের নামে এক ব্যক্তির বড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে পড়শিরা ছুটে এলে দেখা যায় আহত হয়েছেন ওই বধূ। 


সকালে লতিফুর শেখের স্ত্রী ফুলসরা বিবি যখন ঝাড়ু দিচ্ছিলেন তখন একটি বোমা ফাটে। এই বিস্ফোরণের ফলে আহত হয়েছেন তিনি। নাকে-হাতে চোট পেয়েছেন ওই বধূ। জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বধূর চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্কে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে আহত তাঁর ছেলে, তার বয়স চার। তবে সেই খুদের আঘাত গুরুতর নয়। লালগোলা থানার পুলিস পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাপা আতঙ্ক রয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে বাড়িতে কেউ নেই। তবে পুলিস বাড়ির মালিক লুতফুর শেখকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুরনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিস।

one year ago
Maldah: রতুয়ায় অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতার ছেলে! ছবি ভাইরাল হতেই শাসক-বিরোধী তরজা

শিরোনামে আগ্নেয়াস্ত্র (firearms) হাতে তৃণমূল (TMC) নেতার ছেলের ছবি। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরালও (viral) হয়েছে সেই ছবি। যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল। জানা গিয়েছে, মালদহের (Maldah) রতুয়ার কাহালা অঞ্চলের তৃণমূলের সহ-সভাপতির ছেলের আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল হয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রতুয়ায়। আর এই ছবি ঘিরেই শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই ছবি ঘিরে মানুষের মনে ভয়ভীতি সঞ্চার করতে চাইছে অভিযোগ বিরোধীদের। কেউ অন্যায় করলে দল পাশে দাঁড়াবে না। পুলিস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের। 

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়। এই ছবিতে দেখা যায় রতুয়া এক নম্বর ব্লকের কাহালা অঞ্চলের তৃণমূল অঞ্চল সহ সভাপতি মহম্মদ বদরুজ্জোহার ছেলে মহম্মদ ফারহাদ আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে। আর এই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে যে ছবি ভাইরাল হয়েছে তা তাঁর ছেলেরই। তবে এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেন কাহালা অঞ্চলের তৃণমূলের সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, "এটা চক্রান্ত করে কিছু লোক আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য পরিকল্পনা করেছে। আমাকে বদনাম করার জন্য এই ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিছু দুষ্কৃতী এটা করেছে তবে তারা কোন দল করে আমি বলতে পারব না। এই মুহূর্তে নাম বলা সম্ভব নয়।"

আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবিটি তাঁদের দলের অঞ্চল সহ-সভাপতির ছেলের, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কাহালা অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি শেখ এন্তাজুল আলম। তিনি বলেন, "আমরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি দেখেছি। এতে আমাদের কিছু করার নেই। যা করার পুলিশ প্রশাসন করবে।"

তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী নেতৃত্বরা। দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, "তৃণমূল দলের পায়ের তলার মাটি হারিয়েছে। তাদের কোনও জনসমর্থন নেই। সামনে পঞ্চায়েত ভোট মানুষকে ভয় দেখিয়ে এরা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে।"

one year ago


Anis: আনিস-কাণ্ডের প্রতিবাদী মুখ ছাত্র নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি, তদন্তে আমডাঙা থানা

আনিস-কাণ্ডে (Anis Case) প্রতিবাদী যুবক স্টুডেন্টস ফ্রন্টের নেতা জুলফিকার মণ্ডলের আমডাঙা আড়খালির বাড়িতে বোমাবাজির (Bombing) অভিযোগ। যার বাড়িতে এই হামলা, সেই জুলফিকারের দাবি, 'আনিস খুনের পর রাজ্যে বিভিন্ন আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলনের সঙ্গে তিনি যুক্ত। পাশাপাশি তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দল করে বলেই তাঁর বাড়ির উপরে এই হামলা।' পঞ্চায়েত ভোটের আগে কার্যত বিরোধীদের স্তব্ধ করতেই এমনটা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জুলফিকারের। গোটা ঘটনার জন্য শাসক (TMC) দলকেই কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছে জুলফিকার। এই ঘটনায় আমডাঙা থানায় (Police) লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

যদিও এই ঘটনার পিছনে কারা এখনও জানা যায়নি। গ্রামে উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন পুলিস। জানা গিয়েছে, জুলফিকারের বাড়ির জানলার সামনে দুটি বোমা মারা হয়েছে। একটি বোমা তাজা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিস। বৃহস্পতিবার প্রায় দেড়টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আমডাঙ্গা থানার অন্তর্গত আড়খালি পূর্বপাড়ার এই ঘটনায় কে বা কারা বোমা মেরেছে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে তৃণমূল। এই ঘটনার সঙ্গে শাসক দলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার।

one year ago
Basanti: ছিলেন ঘরছাড়া! সেই বিজেপি নেতাকে ঝাড়খালি বাজারে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল

বাসন্তীর ঝড়খালিতে বিজেপি (BJP) করার অপরাধে মার। বিজেপি মণ্ডল সহ-সভাপতিকে এলোপাথাড়ি মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর আহত বাসন্তী বিজেপির চার নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি অমল মণ্ডল। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ (South 24 Pargana) পরগনার ঝড়খালি কোস্টাল থানার ঝড়খালি বাজারে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝড়খালি পার্বতীপুরের বাসিন্দা অমল মণ্ডল গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন এবং বর্তমানে তিনি বিজেপির চার নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি। আর সেটাই রাগের কারণ হয়েছে স্থানীয় শাসক দলের নেতৃত্বর। এমনটাই অভিযোগ পুলিসের কাছে করা হয়েছে। আর বিজেপি করার অপরাধে অমল মণ্ডলকে ঝড়খালি বাজারে পথ আটকে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় শাসকদলের কর্মী ও নেতৃত্বরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

অভিযোগ, গত বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পরে থেকে পরিবার-সহ ঘরছাড়া ছিলেন অমল মণ্ডল। এরপর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঘরে ফেরে তাঁরা। ঘরে ফিরলেও কিন্তু শাসকদলের হাত থেকে রেহাই পায়নি অমল মণ্ডল। তাঁকে ঝড়খালি বাজারে মারধরের পাশাপাশি পেটে কিল চড় ঘুষি মারতে থাকে বেশ কয়েকজন যুবক। তারা সবাই শাসক দলের কর্মী। এমনটাই অভিযোগ আক্রান্তর পরিবারের। এ ঘটনা ঝড়খালি কোস্টাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। বিজেপির অভিযোগ, '২০২১ থেকে এভাবে বিজেপি কর্মীদের মারধর করছে। সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। প্রশাসন বলেও কোনও লাভ হয়নি। এঁরা আইন-কানুন মানছে না।' পাল্টা স্থানীয় বিধায়ক জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ঝড়খালি বাজারে একটা ঝামেলা হয়েছে। কিন্তু এই ঝামেলার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। আমি পুলিসকে অনুরোধ করব বিশদে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।' 

2 years ago
Mamata: রাজ্য পুলিসের তদারকিতে ফেব্রুয়ারিতেই পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাবনা

২০২৩-র ফেব্রুয়ারিতে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Vote 2023) করাতে কোমর বাঁধছে মমতা সরকার। নির্বাচন কমিশন (SEC) সূত্রে সেই ইঙ্গিত মিলেছে। তবে পঞ্চায়েত ভোট রাজ্য পুলিসের তদারকিতে হবে। এমনটাই নিশ্চিত করেছে কমিশনের একটি সূত্র। জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্যের ২০ জেলার আসন বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণ নিয়ে খসড়া তালিকা প্রকাশ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত এই ২০ জেলার মানুষ সংশ্লিষ্ট জেলা শাসক এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন। পাশাপাশি আগামী ৭-১৬ তারিখ পর্যন্ত সংশোধনের কাজ হবে এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ পাবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে।

ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে প্রধান, উপপ্রধান, সভাপতি, সহ-সভাপতি, সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি পদ সংরক্ষণের কাজ। শেষ হবে ওই মাসেই। কমিশন সূত্রে খবর, আইনগত ভাবে জানুয়ারিতেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে। কিন্তু, নির্বাচন কোনওভাবেই ফেব্রুয়ারি মাসে আগে সম্ভব নয়। নবান্ন সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই পঞ্চায়েত সম্পন্ন করতে চাইছে সরকার। সেই লক্ষে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোমর বাঁধছে।

এদিকে, চলতি বছর কোনওভাবেই হাওড়া নির্বাচন সম্ভব নয়, জানিয়ে দিল কমিশন। কারণ, হাওড়া পুর এলাকার ৫০টি ওয়ার্ড ভেঙে যে ৬৬টি ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে, তার এলাকা বিন্যাস, আসন বিন্যাসের কাজ করছে সরকার। এরপর শুরু হবে পদ বিন্যাস ও পদ সংরক্ষণের কাজ। সেই মোতাবেক, ওই কাজ শেষ হওয়ার পর হস্তক্ষেপ করতে পারবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই অবস্থায়, কোনওভাবেই চলতি বছর হাওড়া নির্বাচন সম্ভব নয়। আগামী বছরে হবে হাওড়া পুরসভা নির্বাচন, এমনই খবর কমিশন সূত্রে।

2 years ago


Netaji Indoor: গণতান্ত্রিক উপায়ে বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত, কীভাবে সম্ভব বাতলে দিলেন অভিষেক

প্রসূন গুপ্ত: ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোট যে স্বচ্ছ ছিল না, তা ফের আজকের ভাষণে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এটা বাস্তব বাম আমলেও পঞ্চায়েত ভোট জবরদখল করেই করা হতো চিরকাল। সে সময় বিরোধীদের এই অভিযোগ বরাবর ছিল। একই সংস্কৃতি ত্রিপুরাতেও বিদ্যমান। সে যাই হোক না কেন গত পৌরসভা নির্বাচনগুলোতে অভিষেক বারবার সতর্কতা অবলম্বন করে ভোট করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। নতুন তৃণমূলের এটাও একটি লক্ষণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। অভিষেক একইসঙ্গে জানান যে এই দলে একজনই নেত্রী, সেকেন্ড বা থার্ড বলে কিছু নেই। নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, তিনিও উপস্থিত কর্মীদের মতোই একজন সাধারণ কর্মী। লক্ষণীয় তখন মঞ্চে উপস্থিত তাবড় সব নেতা। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অভিষেকের সম্পূর্ণ ভাষণ শোনেন।

দলে যে অসংখ্য নতুন মুখ দায়িত্ব পাবেন তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন অভিষেক। দলের অভিমানী বা বিদ্রোহীদের উদ্দেশে আলাদা করে কিছু না বললেও তিনি জানিয়েছেন, সবাইকে একইসঙ্গে কাজ করতে হবে। 

তবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিষেকের আক্রমণ ছিল দেখার মতো। নরেন্দ্র মোদীর নাম না করলেও তিনি ফের আক্রমণ শানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে। ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে আগের দিন যেমন অমিত শাহকে টার্গেট করেছিলেন অভিষেক, আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এখানে প্রশ্ন থেকেই যায় যে ক্রমাগত তিনি অমিতকে আক্রমণ করছেন কেন? অভিষেক ছাড়া এ কয়েক মাসে বা কয়েক বছরে যত তৃণমূল নেতাদের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ডেকে পাঠিয়েছিল ততবার প্রত্যেকে কোনও না কোনও বাহানা দেখিয়ে অনুপস্থিত থেকেছেন। 

এদেরই অনেককেই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ব্যতিক্রম শুধু অভিষেক। অনেকেরই ধারণা দলকে চাঙ্গা করতে এবং নিজের নেতৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে অভিষেক অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স পলিসি নিয়েছেন। এতে নিঃসন্দেহে তাঁর জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। মমতা ভাষণ দিয়েছেন, আক্রমণ শাণিয়েছেন, তবু কোথাও ফের হিরো অভিষেকই।

2 years ago
Udayan Guha: 'উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত নয়', পৃথক রাজ্য প্রসঙ্গে বিজেপিকে খোঁচা উদয়ন গুহর

মন্ত্রী হয়ে কোচবিহারে (Cooch Behar) ফিরে আলাদা রাজ্য নিয়ে বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। মঙ্গলবার মন্ত্রী হয়ে পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপে নিউ কোচবিহার স্টেশনে নামেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক (TMC Leader)। 

এদিন নিউ কোচবিহার স্টেশনে তাঁকে সম্বর্ধনা জানাতে প্রচুর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-নেতাদের ভিড় হয়। সেই সম্বর্ধনা মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদয়ন গুহ বলেন, '২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে বহুবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন। এখানে উত্তরবঙ্গে বহু কাজ হয়েছে এবং হবে। উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত, আগামীদিনে এই কথা কারও মুখে আসবে না। এই কথা বলে যারা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবি করে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করে সমাজ থেকে আলাদা করে দিতে হবে।'

তিনি জানান, রাতারাতি সব হবে না। সবার সঙ্গে কথা বলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি আগে করতে হবে। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এই মঞ্চ থেকে উদয়ন গুহ বলেন, 'কেউ দাদা ধরে পঞ্চায়েত টিকিট পাবে না। জোর করে কেউ পঞ্চায়েত প্রধান হবে না।' 

এই মঞ্চ থেকে এদিন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, 'দলে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই।' বুথে কর্মীদের এক হওয়ার বার্তা দেন তিনি। পাশপাশি তিনি বলেন, 'বর্তমান রাজ্যে ইডি-সিবিআই বলে একটা প্যানিক চলছে। তাই যারা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, তাদের ইডি সিবিআই মামলায় এক থেকে দেড় বছর জেল খাটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।'

তবে এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুর চড়িয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা সুকুমার রায়ও। কী বললেন তিনি? 

2 years ago