
শুক্রবার ধর্মশালায় মুখোমুখি হয়েছে পঞ্জাব কিংস (PBKS) ও রাজস্থান রয়্যালস (RR)। দুই দলের কাছেই এই ম্যাচ মরণ-বাঁচনের। কারণ, যে দলই জিতবে, সেই দলই প্লে-অফের (PlayOff) লড়াইতে টিকে থাকবে। এই দুই দলই তাদের শেষ ম্যাচে হেরে গিয়েছে। যার ফলে এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলেও তাদের স্থান বেশ কিছুটা নড়বড়ে। একটি জয় অনেক কিছু বদলে দিতে পারে, এ কথা যেমন ঠিক, তার সঙ্গে এ কথাটিও সত্যি যে, এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে নেট রানরেট।
তাদের শেষ ম্যাচের ১১২ রানে হেরে গিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। মাত্র ৫৯ রানে ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল সঞ্জু স্যামসনের দলের। অতএব, পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচটিতে রাজস্থানের ব্যাটারদের বড় ভূমিকা নিতে হবে। বড় ভূমিকা নিতে হবে বোলারদের। যুজবেন্দ্র চাহাল ছাড়া আর কোনও বোলারই ধারাবাহিক নন।
অন্যদিকে, ৪৮ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তা সত্ত্বেও, নিজেদের শেষ ম্যাচে ১৫ রানে হার স্বীকার করতে হয় শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বাধীন পাঞ্জাব কিংসকে। দায়িত্ব নিয়ে হবে পাঞ্জাবের বোলারদেরও। শেষ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস তাদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বজায় রেখে ২১৩ রান তুলেছিল ২০ ওভারে। যদিও এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে বলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজস্থান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এখনও অবধি পঞ্জাবের স্কোর ৯ ওভারে ৬২ রানে ৪ উইকেট।
পঞ্জাবের (PBKS) কাছে হেরে প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিলো দিল্লি (DC)। দিল্লির এই মরশুমে যে অত্যন্ত খারাপ গেছে সেটা পরিষ্কার। ওয়ার্নার (David Warner) একার হাতে দায়িত্ব নিলেও খুব ভালো ফল হয় নি। একটা খেলোয়াড় কাহাতকই বা একটা দলকে জেতাতে পারে।
দিল্লি ক্যাপিটালস বোর্ড মেন্টর করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আনে। যদিও এতে কোনো বাড়তি লাভ হয় নি। কোচের দায়িত্ব ছিল পন্টিংয়ের। পাশাপাশি ওয়াটসনকে বিশেষ দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। এসবের পরেও লাভ হয়নি। প্রথম দল হিসেবে এই মরশুমের আইপিএল থেকে বিদায় নিল তাঁরা।
শনিবার দিল্লির ঘরের মাঠে হার পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৩১ রানে। পাঞ্জাব প্রথমে ব্যাটিং করে প্রভুশিমরণ সিংয়ের ১০৩ রানের সুবাদে করেছিল ১৬৭/৭। জয়ের জন্য এই রান কোনও বিষয়ই নয়। কিন্তু দিল্লির জারিজুরি শেষ হয়ে গিয়েছে ১৩৬/৮। কিংস সিংহরা জিতে আইপিএলের প্লে অফের অঙ্ক জমিয়ে দিয়েছে।
পঞ্জাব বর্তমানে রয়েছে ৬ নম্বরে, পঞ্জাব ১২ টি ম্যাচ খেলে ছ'টি জিতেছে এবং ছটি হেরেছে পঞ্জাবের সংগ্রহে ১২ পয়েন্ট পাশাপাশি রাজস্থান ১২টি খেলে ছয়টি জিতেছে, ও ছটি হেরেছে ফলে রাজস্থানের সংগ্রহে ১২ পয়েন্ট। নেট রান রেটের দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে পঞ্জাব। এখন দু'দলেরই দুটো করে খেলা বাকি। পঞ্জাব কে প্লে অফ খেলতে গেলে হবে অপেক্ষা করতে হবে, যে মুম্বই ও লখনউ যারা ১২ টি করে খেলেছে, ওদের হারের। পাশাপাশি রাজস্থান ও যদি হারে তবে পঞ্জাবের প্লে অফ খেলা কিছুটা নিশ্চিত।
পঞ্জাবের (PBKS) কাছে হেরে প্লেঅফের আশা শেষ দিল্লির (DC)। শনিবার পঞ্জাবের কাছে হেরে সেই আশা খোয়াল দিল্লি। শনিবার সন্ধ্যায় টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। এবং শেষে ৩১ রানে পঞ্জাবের কাছে হারতে হয় দিল্লিকে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুন শুরু করে পঞ্জাবের ওপেনার প্রভিস্বরম। ৬৫ বলে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। যদিও টপ অর্ডারের কেউই তেমন রান পায় নি। এমনকি দুইয়ের অঙ্কও পৌঁছাতে পারেননি ধাওয়ান, লিভিংস্টোন, ও জিতেশ শর্মা।
প্রভিস্বরমের একার উপর ভর করে পঞ্জাব ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান তোলে। ১৬৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে প্রশংসিত ইনিংস খেললেন ডেভিড ওয়ার্নার। ওয়ার্নার ২৭ বলে ৫৪ রান করে। পাশাপাশি সল্ট করে ২১ রান, ওয়ার্নার ও সল্ট আউট হলে কার্যত ভেঙে পড়ে পড়ে দিল্লির ব্যাটিং লাইন আপ। ব্যর্থ মার্শ, রুশো,অক্ষর প্যাটেল ও মনীশ পাণ্ডে। রান পেলেন প্রবীণ ও কুলদীপ যাদব, যদিও এতে শেষ রক্ষা হল না। ৩১ রানে হারতে হলো দিল্লিকে।
বল হাতে পঞ্জাবের হয়ে ৪ টি উইকেট পায় হারপ্রীত, ২ উইকেট পায় নাথন। ২ টি উইকেট পায় চাহার। ওদিকে দিল্লির হয়ে বল হাতে ইশান্ত ২ টি উইকেট পায়। ১ টি করে উইকেট পায় অক্ষর, প্রভিন, কুলদীপ যাদব, ও মুকেশ কুমার।
বড় রান তাড়া করে জয় পেল মুম্বই (MI)। ইশান কিষান (Ishan Kishan) ও সূর্যকুমার যাদবের (SuryaKumar Yadav) ব্যাটের উপর ভর করে ২১৪ রান তাড়া করে জিতল মুম্বই। যার ফলে পরপর জয় পেল মুম্বই। পঞ্জাব কিংসের (PBKS) ২১৪ রান তাড়া করে জিতলেন রোহিত শর্মারা। ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের রান তুলে নিল মুম্বই।
২১৫ রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রোহিতদের। ব্যাট হাতে রোহিত রান না পেলে ম্যাচের হাল ধরেন ইশান কিষান। ব্যাট হাতে তেমন সফল হলেন না গ্রীন। গ্রীন আউট হবার পর সূর্যকুমার ম্যাচের হাল ধরেন। তাঁরা ১১৬ রানের জুটি গড়েন। ম্যাচ মুম্বইয়ের হাতের মুঠোয় এনে দেন ইশান এবং সূর্য।
পঞ্জাবের পক্ষে অধিনায়ক ধাওয়ান ২০ বলে ৩০ রান করে আউট হয়ে যান। তিন নম্বরে নেমে ম্যাথু শর্ট ২৬ বলে ২৭ রান করেন। এরা আউট হতেই পঞ্জাবের রানের গতি আরও বেড়ে যায়। জিতেশ শর্মা এবং লিয়াম লিভিংস্টোন ব্যাট চালাতে থাকেন এবং তাঁরা ১১৯ রানের জুটি গড়েন।
শুরুটা করেছিলেন কাইল মেয়ার্স, শেষ করলেন নিকোলাস পুরান (Pooran)। মাঝে ঝড় তুললেন মার্কাস স্টোইনিস (Stoinis)। এই তিন ব্যাটারের দাপটে আইপিএলে (IPL) প্রথমে ব্যাট করে সব থেকে বেশি রান করার রেকর্ড থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থেমে গেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। আইপিএলের ইতিহাসে লখনউ দ্বিতীয় সর্বাধিক রান তুলল।
২০১৩ সালের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছিলেন মেয়ার্সরা। সে বার ক্যারিবিয়ান ওপেনার ক্রিস গেল ১৭৫ রান করেছিলেন। সেই ইনিংসের দাপটেই ২৬৩ রান তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। পুণে ওয়ারির্সের বোলারদের দিশেহারা করে দিয়েছিলেন ক্রিস গেল। শুক্রবার মেয়ার্স ২৪ বলে ৫৪ রান করেন। তিন নম্বরে নেমে আয়ুষ বাদোনি ২৪ বলে ৪৩ রান করেন। স্টোইনিস করেন ৭২ রান। পুরান অপরাজিত ১৯ বলে ৪৫ রান করেন। এই চার ব্যাটার মিলেই ২৫৭ রান তুলে দেয় মোহালির মাঠে।
পঞ্জাবের ঘরের মাঠে লখনউয়ের ব্যাটাররা ১৪টি ছক্কা মারে। রাহুল চাহার ছাড়া পঞ্জাবের কোনও বোলার ওভার প্রতি ১০ রানের কম রান দিতে পারেননি। আরশদীপ সিংহ ৪ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। কাগিসো রাবাডা ৪ ওভারে ৫২ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নেন। স্যাম কাড়েন তিন ওভারে ৩৮ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। একটি উইকেট নেন লিয়াম লিভিংস্টোন। কিন্তু তিনিও এক ওভার বলে করে ১৯ রান দিয়ে যান।
বিরাট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে লড়াই করতে নেমে লড়াই করেছে পঞ্জাব। যদিও তাঁরা ৫৬ রানে এই ম্যাচটি হেরে গেছে।
আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের (PBKS) কাছে হারতে হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে (MI)। অনেক লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)। কিন্তু তার পরেও দুঃখ নেই রোহিতের। উল্টে তাঁর মুখে হাসি। নিজের দলের কোনও ক্রিকেটারের সমালোচনা করছেন না তিনি। রোহিত প্রশংসা করছেন প্রতিপক্ষ দলের এক ক্রিকেটারের।
ম্যাচ শেষে রোহিত বলেছেন, ‘আমরা লড়াইয়ে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত জেতার সুযোগ ছিল। কিন্তু একমাত্র আরশদীপ সিং-এর জন্য হারলাম। ও শেষ ওভারে দুর্দান্ত বল করল। আমাদের দিন ছিল না। মন একটু খারাপ হলেও দুঃখ করার কিছু নেই। মাথা উঁচু করে আমরা মাঠ ছেড়েছি।’
প্লে-অফের লড়াইয়ে তাঁরা ভাল ভাবে আছেন বলে জানিয়েছেন রোহিত। সামনের ম্যাচগুলির দিকে তাকাতে চান তিনি। রোহিত বলেছেন, ‘এখনও প্রতিযোগিতা অনেকটা বাকি। আমরা ৩টে ম্যাচ জিতেছি, ৩টে হেরেছি। এখনও অনেক সময় আছে। এই ম্যাচে আমরা জিততে পারলাম না। কিন্তু আগামী দিনে জিতব। কিছু ভুল হয়েছে, সেগুলো শুধরে নিতে হবে।’
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান করে পঞ্জাব। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানে শেষ হয় মুম্বইয়ের ইনিংস। ১৩ রানে ম্যাচ জেতে পঞ্জাব। ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ৭ নম্বরে রয়েছেন রোহিতরা।
শিখর ধাওয়ানের (Sikhar Dhawan) অনুপস্থিতিতে রুদ্ধশ্বাস জয় পাঞ্জাবের (PBKS)। শনিবারের টান টান উত্তেজনার ম্যাচে প্রীতি জিন্টার পঞ্জাব কিংসকে ২ উইকেটে জয় এনে দিলেন শাহরুখ খান। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও হেরে গেল লোকেশ রাহুলের লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG)। রাহুলদের ৮ উইকেটে ১৫৯ রানের জবাবে ৩ বল বাকি থাকতে পঞ্জাব করল ৮ উইকেটে ১৬১।
পঞ্জাবের ইনিংসে বোঝা গেল অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের অনুপস্থিতি। চোটের জন্য তিনি শনিবারের ম্যাচ খেলতে পারেননি। পঞ্জাবকে নেতৃত্ব দিলেন স্যাম কারেন। তাতে অবশ্য জয় আটকাল না। জয়ের জন্য ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি পঞ্জাবের। ১৭ রানেই ২ উইকেট হারায় তারা। ব্যর্থ দুই ওপেনার অথর্ব তাইডে (শূন্য) এবং প্রভশিমরন সিংহ (৪)। আইপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা যুধবীর সিংহ দুই ওপেনারকেই আউট করে পঞ্জাবকে ধাক্কা দিলেন শুরুতেই। এর পর দলের হাল ধরেন তিন নম্বরে নামা ম্যাথু শর্ট। তিনি করলেন ২২ বলে ৩৪ রান। মারলেন ৫টি চার এবং ১টি ছক্কা। চার নম্বরে নেমে হরপ্রীত সিংহ করলেন ২২ বলে ২১। বল হাতে ৩ উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ কারেন। ৬ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফিরলেন এ দিনের পঞ্জাব অধিনায়ক। পঞ্জাবকে লড়াইয়ে রাখল সিকান্দার রাজার ইনিংস। যদিও সতীর্থদের থেকে তেমন সাহায্য পেলেন না জ়িম্বাবোয়ের অলরাউন্ডার। দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করলেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪১ বলে ৫৭ রান। ৪টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ছক্কা মারলেন রাজা। শেষ পর্যন্ত পঞ্জাবকে জয় এনে দিলেন শাহরুখ খান। তিনি আট নম্বরে নেমে করলেন ১০ বলে অপরাজিত ২৩ রান। মারলেন ১টি চার এবং ২টি ছয়। রাজা আউট হওয়ার পর তিনিই ছিলেন প্রীতির দলের ভরসা। দলকে হতাশ করলেন না তিনি। লখনউয়ের সফলতম বোলার রবি বিষ্ণোই ১৮ রানে ২ উইকেট নিলেন। ১৯ রানে ২ উইকেট যুধবীরের। মার্ক উড ৩৫ রান খরচ করে নিলেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম এবং ক্রণাল পাণ্ড্য।
শনিবার আবার চেনা ছন্দে রাহুল। তাঁর দাপুটে ব্যাটিংয়ের সুবাদে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মেজাজে ইনিংস শুরু করে লখনউ। অন্য ওপেনার কাইল মেয়ার্স এবং তিন নম্বরে নামা দীপক হুডা আউট হওয়ার পরেও দায়িত্ব নিয়ে খেললেন লখনউ অধিনায়ক। এ বারের আইপিএলে প্রথম অর্ধশতরান করলেন রাহুল। মূলত তাঁর ইনিংসের উপর ভর করেই পঞ্জাবের বিরুদ্ধে লখনউ লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছয়। রাহুলের ব্যাট থেকে এল ৫৬ বলে ৭৪ রান। মারলেন ৮টি চার এবং ১টি ছক্কা। প্রায় শেষ পর্যন্ত দলের ইনিংসকে টানলেন তিনি।
মেয়ার্স ভাল শুরু করলেও বড় রান পেলেন না। ২৩ বলে ২৯ রান করে আউট হয়ে গেলেন হরপ্রীত ব্রার বলে। মারলেন ১টি চার এবং ৩টি ছয়। তিন নম্বরে নামা দীপক (৩ বলে ২ রান) দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। ৬২ রানে ২ উইকেট পড়ার পর অধিনায়কের সঙ্গে দলের ইনিংস গড়ার কাজ করলেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। তিনি মূলত উইকেটের এক দিক আগলে রাখার দায়িত্ব পালন করলেন। যদিও বড় রান করতে পারলেন না তিনি। ১৭ বলে ১৮ রান করে আউট হলেন কাগিসো রাবাডার বলে। পাঁচ নম্বরে নামা নিকোলাস পুরানকে (শূন্য) প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরালেন রাবাডা। পর পর ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লখনউ। কমে যায় রান তোলার গতি। ১১১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর রাহুলের সঙ্গে জুটি বাধেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোইনিস। তিনিও সাফল্য পেলেন না পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। ১১ বলে ১৫ রান করলেন তিনি। ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারানোয় লখনউ রান তোলার গতি কোনও সময়ই তেমন বাড়াতে পারেনি।
কারেন টস জিতে প্রথম ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। সাত জন বোলারকে ব্যবহার করলেন তিনি। কোনও বোলারের বিরুদ্ধে থিতু হওয়ার সুযোগ দিলেন না লখনউয়ের ব্যাটারদের। পঞ্জাবের সফলতম বোলার কারেন ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। ৩৪ রানে ২ উইকেট রাবাডার। বাউন্ডারি লাইনে দুরন্ত ফিল্ডিং করলেন শাহরুখ। দু’টি ভাল ক্যাচ নেন তিনি।
আইপিএলের (IPL) ২১তম ম্যাচে শনিবার লখনউয়ের (LSG) বিরুদ্ধে খেলতে নামছে পঞ্জাব (PBKS)। লখনউয়ের ঘরের মাঠে এই ম্যাচ জিততে চাইবে দুই দলই। খেলাটি স্কোয়ারের পিচ ৩-এ খেলা হবে এবং কিউরেটরের মতে উইকেটের পিছনের বাউন্ডারি ৫৫ মিটারের কম লম্বা। এই প্রান্তে আইপিএলের ২১তম ম্যাচে শনিবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে পঞ্জাব। লখনউয়ের ঘরের মাঠে এই ম্যাচ জিততে চাইবে দুই দলই। খেলাটি স্কোয়ারের পিচ ৩-এ খেলা হবে এবং কিউরেটরের মতে উইকেটের পিছনের বাউন্ডারি ৫৫ মিটারের কম লম্বা।
এই প্রান্তে ব্যাটারদের থেকে প্রচুর হাতবদল এবং স্কুপ আশা করা যায় বলে ক্রিকেট বিশেষেজ্ঞদের মত। নেট প্র্যাকটিসের সময় লখনউয়ের ব্যাটিংয়ে এমন স্কুপ শট দেখা যায়। লখনউতে একটু উষ্ণ, মেঘলা সন্ধ্যা হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং যদি সেই পূর্বাভাসটি সত্যি থাকে তবে শিশির ফ্যাক্টরটি একটি বিশাল ভূমিকা পালন করতে পারে। এই মরসুমে তারা যে ধরনের জয় পেয়েছে তা দেখে উভয় দলই প্রথমে বল করতে চাইবে।
লখনউয়ের অমিত মিশ্র-রবি বিষ্ণোই একটি স্পিন জুটি তৈরি করেন, যা ধাওয়ানের বিরুদ্ধে একটি সহজ কৌশল হবে। এই মরশুমে ধাওয়ান একজন সবচেয়ে সফল ব্যাটার। বাম-হাতি এই ব্যাটার যিনি বর্তমানে ব্যাটিং চার্টের শীর্ষে বসে আছেন, আইপিএল ২০১৯ সাল থেকে ডানহাতি লেগ-ব্রেক বোলারদের বিরুদ্ধে গড় মাত্র ২৫ এবং বিশেষ করে মিশ্রের বিরুদ্ধে তাঁর পায়ের আঙুলে থাকতে হবে, যিনি তাঁকে ৩৩ বলে তিনবার পেয়েছেন। পাশাপাশি নজরে থাকবে নিকোলাস পুরান, যিনি বাঁহাতি সিমারদের বিরুদ্ধে সাফল্য লাভ করেছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে এই খেলা শুরু হবে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL 2023) অষ্টম ম্যাচ হবে রাজস্থান রয়্যালস (RR) ও পঞ্জাব কিংসের (PBKS) মধ্যে। বুধবার গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যে ৭টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে এই ম্যাচ। এই দুই দলই ২০২৩ আইপিএলের ওপেনিং ম্যাচে দুর্দান্ত ফলাফল করেছে। শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জয় পায় পঞ্জাব কিংস। অন্যদিকে সান রাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। তাই আজ, বুধবার যে ম্যাচ জমে উঠবে, তা নিয়ে নিশ্চিত ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই দারুণ ফর্মে রয়েছে। আগের ম্যাচে পঞ্জাব কিংসরা তাঁদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোদ্ধা লিয়াম লিভিংস্টোন ও কাগিসো রাবাডার অনুপস্থিতিতেও ভালো ফল করেছে। অর্শদীপ সিং, রাহুল চাহার ও সিকান্দর রাজার বোলিং সাফল্যের চাবিকাঠি হয়েছে। অন্যদিকে রাজস্থান রয়্যালসের টপ অর্ডার ভালোই সাজিয়েছে। আগের ম্যাচে জোস বাটলার ও যশস্বী জয়সওয়াল খেলার শুরুতে গতি দিয়েছে। বুধবারের ম্যাচেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে তা দেখার মতো হবে।
পঞ্জাব কিংসের হয়ে আজ প্রথম একাদশে মাঠে নামতে পারেন প্রভসিমরণ সিং, শিখর ধাওয়ান, ভানুকা রাজাপক্ষ, জিতেশ শর্মা, সিকান্দার রাজা, স্যাম কারেন, শাহরুখ খান, নাথান এলিস বা কাগিসো রাবাডা, হরপ্রীত ব্রার, রাহুল চাহার, এবং অর্শদীপ সিং। দলের সদস্যদের চোটজনিত সমস্যা নেই।
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আজ প্রথম একাদশে মাঠে নামতে পারেন, জোস বাটলার, যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন, দেবদত্ত পাড়িক্কাল, রিয়ান পরাগ, সিমরন হেটমেয়ার, জেসন হোল্ডার, ট্রেন্ট বোল্ট, রবিচরণ অশ্বিন, কেএম আসিফ ও যুজবেন্দ্র চাহেল। রয়্যালসদের দলে চোটজনিত সমস্যা নেই।
আর ঘন্টাখানেকের অপেক্ষা, আইপিএল ময়দানে মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিং। শনিবারে প্রথমবার খাতা খুলতে তৈরী দুই দলই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়কত্ব করবেন নীতিশ রানা, বিপক্ষে শিখর ধাওয়ান পাঞ্জাব কিং-এর নেতৃত্ব দেবেন। তবে দুই দলের খেলোয়াড়দের চোট কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। বছরের পর বছর ধরে এই দুই দলের সদস্য নির্বাচন শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিতে পারেনি। ২০২২ সালে আইপিএলে ১০টি দলের লড়াইতে পাঞ্জাব কিংস থেকেছে ষষ্ঠ স্থানে ও কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকেছে সপ্তম স্থানে।
আপাতপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের থেকে পাঞ্জাব কিংসকে শক্তিশালী মনে হলেও জনি বেয়ারস্টোরের অনুপস্থিতি পাঞ্জাব দলে শূন্যতা তৈরি করবে। আইপিএল-র সিজনে মোটামুটি নেতৃত্ব দেওয়া ইংলিশম্যান জনি গত সেপ্টেম্বরে গল্ফ খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছে, এখনও সেই আঘাত থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। তাঁর জায়গায় পাঞ্জাব কিংস আশা দেখছে ম্যাথিউ শর্টকে নিয়ে। শিখর ধাওয়ানের বিরুদ্ধে ম্যাথিউকে নামাতে পারে দল।
চোট রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সেও। পিঠের চোটে কাবু শ্রেয়স আইয়ার। জাতীয় দলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া রয়েছে তাই ওপেনে নামতে পারবেন না বাংলাদেশী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও লিটন দাশ। তবে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, ডেভিড উইসে ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের মতো অল রাউন্ডার নাইটসদের শক্তি। কেকেআরের টপ অর্ডার উদ্বেগের কারণ। তবে উইসে, রিঙ্কু সিং, রহমানুল্লাহ গুরবাজের মতো খেলোয়াড় রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঝুলিতে। বোলিংয়ে সাউদি, উমেশ যাদব এবং শার্দুল ঠাকুরই ভরসা।