
ফের মেট্রো বিভ্রাট। কালীঘাট স্টেশনের কাছে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে রবীন্দ্র সরোবর থেকে যতীন দাস পার্ক পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো পরিষেবা। তার জেরে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তবে দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান এবং মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলছে স্বাভাবিক ভাবেই।
মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, কালীঘাট স্টেশনে যান্ত্রিক সমস্যার জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে পাওয়ার ব্লক করে মেরামতের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই পরিষেবা ফের চালু হবে। এদিকে অফিস টাইমে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ হওয়ার ফলে থিকথিকে ভিড় স্টেশনগুলিতে। বাসেও একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে অন্যদিকে বাইক ট্যাক্সির চাহিদা বাড়ায় অনেকেই বুক করতে পারছেন না।
এর আগে বৃহস্পতিবার গিরীশ পার্ক মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। যদিও সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মী এবং যাত্রীরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করেন। সেদিনও ওই ঘটনার জন্য দীর্ঘক্ষণ মেট্রো চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়।
একটি সাপের কারণে বিদ্যুৎ (Electricity) বিভ্রাট (Outage)। যার ফলে ভোগান্তির মুখে পড়লেন শহরের ১৬ হাজার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার (America) টেক্সাসে। বিদ্যুৎবিভ্রাট হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা শহরে। কোথাও কোন ভুল ত্রুটি হয়েছে কিনা তা খুঁজতে থাকেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। তখন তাঁরা দেখেন, বিভ্রাট হয়েছে পাওয়ার স্টেশনেই। আর কারণ হলো একটি সাপ।
বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক ম্যাট জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দফতরের আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে আগাছা এবং জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। ফলে সেখান থেকেই কোনওভাবে একটি সাপ বিদ্যুৎ সরবরাহকারী যন্ত্রে ঢুকে পড়ে। তবে সাপটিকে দেখতে পাওয়ার পরই খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এই গরমে এমনিতেই প্রাণ আই-ঢাই। পাখার হাওয়াও যেন গায়ে লাগে না। তারওপর আবার টানা ৫-৬ দিন বিদ্যুত্ (Electricity) নেই। দিনে এবং রাতে কী দুঃসহ পরিস্থিতি, তা ভুক্তভোগীরাই জানেন। অগত্যা ক্ষোভ গিয়ে পৌঁছল চরমে। এলাকার মানুষ একজোট হয়ে হানা দিলেন একেবারে বিদ্যুত্ কেন্দ্রে। বিক্ষোভ (Agitation) তো ছিলই। কিন্তু চরম যে কাজটা তাঁরা করলেন, তা হল ওই সাব স্টেশনেই তালা (Lock) মেরে দিলেন। তারপর তার গেটের সামনে আবস্থান করে শুরু হয়ে গেল বিক্ষোভ। সেখান থেকে এমনও হুমকি দেওয়া হল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তাঁরা ওই কেন্দ্রে আগুন লাগিয়ে দিতেও দুবার ভাববেন না। তাঁদের দাবি একটাই, একটুও দেরি না করে এলাকায় বিদ্যুত্ ফিরিয়ে দিতে হবে।
ঘটনাটি হরিয়ানার ফতেহাবাদ জেলার হুকমাওয়ালি গ্রামের। ক্ষোভের অন্যতম কারণও যে নেই, তা নয়। ২২০ কেভির এই সাব স্টেশনটি তৈরি করার জন্য পঞ্চায়েত ১৪ একর জমি দিয়েছিল বিদ্যুত্ দফতরকে। তার পরিবর্তে তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুত্ পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। কিন্তু গত ৫-৬ দিনে পরিস্থিতি পুরোপুরি বিগড়ে গিয়েছে। এক ফোঁটাও বিদ্যুত্ নেই। তাও একদিন হলে না হয় মেনে নেওয়া যেত। এই পরিস্থিতি চলছে নয় নয় করে ৫-৬ দিন। অফিসারদের সঙ্গে বারবার কথা বলেও সমস্যা মেটেনি। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা জানান, বিদ্যুতের অভাবে দিনের বেলায় সমস্যা তো আছেই, রাতেও চারদিক অন্ধকার। শিশুরা পড়েছে আরও বেশি সংকটে। তারা রাতে ঘুমাতেই পারছে না।
বিদ্যুত্ দফতরের এক কর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, অত্যধিক বৃষ্টিতে ট্রান্সফর্মার বিগড়েছে। দ্রুতই তা ঠিক করা হবে।
অসমের (Assam) পর এবার বেঙ্গালুরু (Bengaluru)। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টিতে (Heavy Rain) একেবারে নাজেহাল অবস্থা বেঙ্গালুরুবাসীর। ইতিমধ্যে দু'জনের মৃত্যুর (Death) খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আগাম দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর (Southwest monsoon) প্রবেশের কারণেই এহেন পরিস্থিতি। পাশপাশি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তাও জারি করেছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতরের (Meteorological Department) তরফ থেকে বলা হয়, কর্ণাটকের (Karnataka) রাজধানী বেঙ্গালুরুতে ১৫৫ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখানে জল নিকাশি ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শহরে চলছে টানা বৃষ্টি। থামার নামই নিচ্ছে না। আর যত রাত বেড়েছে তত বৃষ্টির দাপট বেড়েছে। যার জেরে গোটা শহর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কোনও বিপদ যাতে না ঘটে, তার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বন্ধ মেট্রো পরিষেবাও।
এই প্রবল বৃষ্টিতে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, উল্লাল উপনগরী এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন তাঁরা। মৃতদের মধ্যে এক জন বিহারের বাসিন্দা এবং অন্যজন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়েছে।
কম-বেশি আমরা সবাই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের (Power Outage) সাক্ষী। তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে বদলে যেতে পারে জীবনের সমীকরণ (Equation)। তেমন কাণ্ডই ঘটল মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে।
বাড়িতে দুই মেয়ে। আর দুই মেয়ের একসঙ্গে বিয়ে (Marriage) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরিবার। একই ছাদনাতলায় বিয়ে হচ্ছিল দুই বোনের। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎই ছন্দপতন। বিয়ের মাঝে আচমকাই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। তবে মন্ত্রোচ্চারণ থামেনি তখনও। লগ্ন যে শেষের দিকে প্রায়। সেই কারণে অন্ধকারে নিভু নিভু মোবাইলের আলোতেই বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান চলছিল পুরোদমে। আর এতেই বাধে গোল। অন্ধকারে ভুলবশত ঠিক করে দেওয়া পাত্রদের বিয়ে না করে একে অন্যের পাত্রকে বিয়ে করলেন দুই বোন!
তাজ্জব (Strange) করা এমন কাণ্ড ঘটেছে গত রবিবার। জানা গিয়েছে, উজ্জয়নে রমেশলালের দুই মেয়ে নিকিতা ও কারিশ্মার বিয়ে হচ্ছিল। ভোপালের ডাংওয়ারা এলাকার ভোলা ও গণেশ নামে দুই যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল দুই বোনের। তাঁরা একই ধরনের বিয়ের সাজে সেজেছিলেন। পাত্রীদের মুখ ঘোমটার আড়ালে থাকায় তাঁদের নির্দিষ্ট করা পাত্রীটি ঠিক কে, তা ঠাহর করতেই পারেননি পাত্ররা। আর এই কারণেই ঘটে যায় বিপত্তি। মাল্যদান থেকে সাত পাকে ঘোরা, সব শেষ হওয়ার পর টনক নড়ে দু’পক্ষের।
খানিক বাক্বিতণ্ডার পর অবশেষে বিষয়টির মীমাংসা হয়। পরদিন সকালে আবার নিজের নিজের ঠিক করা পাত্রীর সঙ্গেই বিয়ে করেন ভোলা ও গণেশ।
একেই তীব্র দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান (dhulian) পুরসভার সাধারণ মানুষের। তার উপর আবার গ্রীষ্মকালে মিলছে না সঠিকভাবে পানীয় জল। মুর্শিদাবাদের (murshidabad) ধুলিয়ান পুরসভার মোট ২১ টি ওয়ার্ড। এর মধ্যে কয়েকটি ওয়ার্ড ছেড়ে বেশিরভাগ ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণ ভুগছেন পানীয় জলের সমস্যায়। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ করেছেন একাধিক এলাকাবাসী।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, টিউবওয়েল থাকলেও তা প্রায় অকেজো বললেই চলে। জল একেবারেই পড়ে না। যে কয়েকটা টিউবওয়েল থেকে জল পড়ে, তাতেই ভিড় জমিয়েছেন একাধিক মানুষ। তবে সবথেকে বেশি জলের সমস্যা দেখা গিয়েছে ধুলিয়ান পুরসভার ১ নম্বর, ২ নম্বর, ৪ নম্বর, ৬ নম্বর, ১৭ নম্বর ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। ফলে অনেক গ্রামবাসী কখনও নদী থেকে, কখনও বা দূরদূরান্ত থেকে জল নিয়ে এসে পানীয় জল ব্যবহার করছেন। অনেকেই একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাড়িতে বসাচ্ছেন সাব মার্সিবল। কিন্তু যাঁদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়, তাঁদের সেই দূর দূরান্ত থেকেই বয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে পানীয় জল। আর এই ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধিরা।
অন্যদিকে রাত নামলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন গোটা গ্রাম। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন বেশ কয়েকদিন ধরেই। প্রচণ্ড গরমের মাঝে হাঁসফাঁস অবস্থা ঘাটাল (ghatal) বাসীর। ৬০ থেকে ৭০ টি পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকায় দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সংকটও। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের অজবনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর (radhakantapur) গ্রামের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত শনিবার বজ্রপাতে নষ্ট হয়েছে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার। প্রায় ছয় দিন হতে গেল এখনও রাধাকান্তপুর এলাকার মানাপাড়া, দাসপাড়া, ভূইয়াপাড়া, খুট্যাপাড়া এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। একাধিকবার বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মেলেনি সুরাহা। তাঁদের আরও অভিযোগ, প্রচণ্ড গরমের মাঝে রাতের ঘুম উড়েছে তাঁদের। তার সঙ্গে আবার পানীয় জলের সংকট। তাঁদের দাবি, দ্রুত প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে ট্রান্সফর্মার সংস্কার করে তাঁদের এই দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করুক।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট। রবির সকালেই দীর্ঘক্ষণ অন্ধকারে ডুবে থাকল মুম্বইয়ের একাংশ। ব্যাহত ট্রেন পরিষেবাও। যার ফলে স্তব্ধ হয়ে যায় চলমান মুম্বইয়ের গতি।
সেন্ট্রাল রেলওয়ে জানিয়েছে, মেইন লাইনে ক্ষণিকের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সকাল ৯.৪৯ থেকে ট্রেন পরিষেবায় প্রভাব পড়ে। তবে ১০.৫৩ -এর মধ্যে পরিষেবা পুনরায় স্বাভাবিক হয়। পাশাপাশি সমস্ত ট্রেন পরিষেবাও স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল এহেন পরিস্থিতির জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, মুলুন্দ-ট্রম্বের টাটা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমএসইবি ২২০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বসে যাওয়ায় মুম্বইয়ের বেশির ভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা বেস্ট জানিয়েছে, “টাটা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওয়ার গ্রিডে সমস্যা দেখা দেওয়ায় সিওন, মাটুঙ্গা, পারেল, দাদর, সিএসএমটি, বাইকুল্লা, চার্চগেট এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের অক্টোবরের পর ফের রবিবার মুম্বইয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবার ক্ষেত্রে বড়সড় বিপর্যস্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হল।