Breaking News
Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...     

OmrSheet

HighCourt: OMR শিট দেখার সময় বৃদ্ধি, নির্দেশ হাইকোর্টের

স্কুল সার্ভিস কমিশন মামলায় নতুন নির্দেশ। এবার চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট দেখার সময় বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। যার ফলে আগামী ২৩শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিজেদের OMR দেখতে পারবেন চাকরিপ্রার্থী এবং বিতর্কিত চাকরি প্রাপকরা। OMR নিরীক্ষণের জন্য এর আগে ৯ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নির্ধারিত করেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। এবার চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এখনও পর্যন্ত ২ হাজারের কিছু বেশি প্রার্থী তাদের ওএমআর পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে এদিন আদালতে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের অন্যতম আইনজীবী প্রমিত রায় অভিযোগ করেন মক্কেলরাও OMR নিরীক্ষণের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেটা দেখানো হয়নি। সিবিআইয়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, যদি ৫৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী তাদের ওএমআর দেখতে চায় তাহলে সিবিআইকে সেটাই দেখাতে হবে। মামলায় পরবর্তী শুনানি ৪ মার্চ।

2 months ago
CBI: সিবিআই স্ক্যানারে এস বসু রায় কোম্পানি, প্রমাণ লোপাট ও নম্বর বিকৃতের অভিযোগ

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের তল পেতে আবারও তৎপর সিবিআই। তদন্তের গতি বাড়াতেই এবার বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহল। ফের সিবিআই স্ক্যানারে উঠে আসে ওএমআর শিট কারচুপিতে নাম জড়ানো বিতর্কিত সংস্থা এস বসু রায় কোম্পানি। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই শ্রীঘরে ঠাঁই মিলেছে সংস্থার অন্যতম অংশীদার কৌশিক মাজির। এবার সেই সংস্থার দুষ্কর্মের হদিশ মিলল সিবিাইয়ের তদন্তে। যে 'দুষ্কর্ম'-এর অন্যতম সাগরেদ ছিলেন কৌশিক মাঝি, বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এমনকি ২০১৪ টেট পরীক্ষার দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য লোপাটও এই সংস্থার কারসাজি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত বলছে, এস বসু রায় কোম্পানির সার্ভারে দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য স্ক্যান করে রাখা থাকত। যার কোনও বিকল্প রাখা হত না। তাই প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ নতুন তথ্য সার্ভার এ আপডেট হওয়ার ফলে বিগত দিনের তথ্য অনায়াসে প্রতিস্থাপিত হয়ে গিয়েছে।কার্যত এই ভাবেই নতুন তথ্য সার্ভারে রেখে পুরনো তথ্য লোপাট করত এস বসু রায় কোম্পানি।

কিন্তু এস বসু রায় কোম্পানির সার্ভার বদলে ফেলা হয় ২০১৭ সালেই। প্রসঙ্গত, এর আগেও সিবিআই এর লাগাতার তল্লাশি ও ওই সংস্থার আধিকারিকদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে সিবিআইয়ের হাতে উঠে এসেছিল একাধিক চাঞ্চল্যকর নথি, তথ্য প্রমাণ। SSC-র চাকরিপ্রার্থীদের OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল যেমন NYSA, ঠিক তেমনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চাকরিপ্রার্থীদের OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি, যার সঙ্গে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যেরও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে উঠেছিল অভিযোগ। এই কোম্পানি থেকেই ওএমআর শিটে কারচুপি ও পরীক্ষার্থীদের নম্বর বিকৃত করা হত বলেও মিলেছিল তথ্য। এবার সেই সংস্থায় প্রমাণ গুম করার মূল কাণ্ডারী দাবি করছে সিবিআই। আগামী দিনে সিবিাআই এর তদন্তে এবার সংস্খার আর কোন কোন অপকর্ম প্রকাশ্যে আসে সেটাই দেখার।

3 months ago
OMR Sheet: নেতা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বেসরকারি কলেজ থেকে উদ্ধার ভুয়ো ওএমআর শিট!

এবারে শাসক দলের নেতা ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল বেশ কিছু ভুয়ো ওএমআর শিট, একটি মোবাইল ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যুজুড়ে তৃণমূল একাধিক বিধায়ক-কাউন্সিলরদের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে শুধুমাত্র শাসক দলের নেতারা নন, নেতা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ঝান্টু শেখের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। এর পর তাঁর ছেলে সুজল আনসারির কলেজেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। আর সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় ভুয়ো ওএমআর শিট।

জানা গিয়েছে, আজ সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট অবধি সুজল আনসারির বাড়ি ও কলেজে তল্লাশি চালানো হয়। এর পর বেশ কিছু ভুয়ো ওএমআর শিট, একটি মোবাইল ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য নিয়ে সুজল আনসারির কলেজ থেকে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

জানা গিয়েছে, বড়ঞা থানার কুলি মোড়ের বাসিন্দা ঝান্টু শেখ পেশায় ব্যবসায়ী। ঝান্টু শেখের ভালো নাম মোহাম্মদ আনারুল হক আনসারি। তাঁর বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকাল কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানদের নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা হানা দেয়। জানা গেছে, এই ঝান্টু শেখ ছাড়াও তাঁর ছেলে সুজল আনসারির নামেও রয়েছে একাধিক বাড়ি, সম্পত্তি ও বেসরকারি কলেজ। দুপুর ১টা থেকে বড়ঞার এক কলেজে শুরু হয়েছিল তদন্ত। তারপর সুজল আনসারির ভাই চঞ্চল আনসারিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। কলেজে বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর কোন কোন অ্যাকাউন্টে কত কত টাকা গিয়েছে, সেই সংক্রান্ত একটি ডাইরির পাশাপাশি চঞ্চল আনসারির মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ওএমআর শিট উদ্ধার করে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

আরও জানা গিয়েছে, সুজল আনসারি বর্তমানে কোথায় আছে তা কেও জানে না। সূত্রের খবর, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি এই সুজল আনসারির। এছাড়াও আজ ঝান্টু শেখকে তাঁর ছেলের বিষয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, 'আমার ছেলে চোর। তবে শুধু তাই নয়, তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও চরম দুর্ব্যবহার করেন।'

5 months ago


Recuitment Scam: ওএমআর শিট কেলেঙ্কারিতে নয়া মোড়, মুম্বইয়ের সংস্থা থেকে বাজেয়াপ্ত মূল মূল্যায়ন পত্র

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ওএমআর শিট (OMR Sheet) কেলেঙ্কারিতে নয়া মোড়। মুম্বইয়ের সংস্থা থেকে বাজেয়াপ্ত মূল মূল্যায়ন পত্র, আর সেই মূল্যায়ন পত্র থেকেই নয়া মোড় সিবিআই তদন্তে। জানা গিয়েছে, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির তরফে মূল্যায়ন নম্বর পর্ষদকে দেওয়া হয়। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির তরফে মুম্বইয়ের সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট মূল্যায়নের। কিন্তু ওএমআর শিটের নম্বর ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে জমা পড়া তালিকার মূল্যায়নে বিস্তর ফারাক। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই হাত বদলের পরই হয়েছে নম্বরে কারচুপি। মুম্বইয়ের ওই সংস্থার এক কর্তাকে এবার তলব করতে চলেছে সিবিআই। বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়েছে প্রাথমিক পর্ষদ থেকেও। কার নির্দেশে নম্বরে বদল, জানতে তৎপর সিবিআই।

সূত্রের খবর, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির একাধিক কর্তার বাড়িতে তল্লাশির পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ এবং কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারা মুম্বই গিয়ে সেই সংস্থার থেকেও একাধিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। সিবিআইয়ের হাতে আসা এই নয়া তথ্য প্রসঙ্গে বঞ্চিত এক চাকরীপ্রার্থী অরুণিমা পালের দাবি, এই অভিযোগ আমরা বারবার করে আসছি। আমাদের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। আর মাস্টারমাউন্ড মানিক ভট্টাচার্য।

5 months ago
CBI: শিট বিকৃতির অভিযোগে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। অভিযুক্তের নাম পার্থ সেন। তিনি ও এম আর প্রস্তুতকারী সংস্থা এন এন বসু রায় অ্য়ান্ড কোম্পানির পদস্থ আধিকারিক ছিলেন।

জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার পোগ্রামিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ওএমআর শিট বিকৃতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর কয়েকদিন আগেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব ছিল ওই সংস্থার উপর। গতমাসে ওই সংস্থার দুই আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় একাধিক নথি এবং কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক।

6 months ago


CBI: সোমে জাস্টিস সিনহার তাবড়ে মঙ্গলের সকাল থেকে তল্লাশি অভিযানে সিবিআই

আদালতে জাস্টিস সিনহার কাছে ভর্ৎসনা, শুধু তাই নয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বহুবার। এছাড়া শ্লথ গতি ও তথ্য গোপন করার মত মারাত্মক অভিযোগও উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে। রাতারাতি কিছুটা বদল এনে এরপর মঙ্গলবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তেড়েফুঁড়ে সিবিআই। কলকাতার সল্টলেক, হাওড়ার দাসনগর-সহ একাধিক জায়গায় চলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশি।

সূত্রের খবর, ওএমআর শিট কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামক একটি সংস্থার। পূর্বে সেই কোম্পানির মালিক কৌশিক মাজিকেও নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সিবিআই সূত্রে এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল ওএমআর নষ্টের। এ দিন, ওই সংস্থার অফিস-গোডাউনে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। শুধু তাই নয়, কৌশিক মাজির বাড়িতেও চলছে অভিযান।

সিবিআই আধিকারিকরা মূলত জানতে চাইছেন এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কর্তা কী করে ওমএমআর শিট নষ্টের দায়িত্ব পেল? কে সুপারিশ করেছিল? কেন করা হয়েছিল তার উত্তর খুঁজছে সিবিআই। বস্তুত, এই মামলায় তদন্তকারী হিসাবে সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। গোয়েন্দা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আতাঁতের অভিযোগ তোলেন তিনি। এমনকী প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নালিশ জানানোর কথাও বলেন। শুধু তাই নয়, বিচাপতি বলেন, “রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে সিবিআই নিজেই কালপ্রিটদের ঢাকার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠাব। বলব কিছুই করছে না সিবিআই।”

7 months ago
Court: ওএমআর শিট মামলায় ফের আদালতে ভর্ৎসিত সিবিআই, ডিরেক্টরকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিট বিতর্ক মামলায় ফের আদালতে ভর্ৎসিত সিবিআই। বুধবার এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে কেস ডায়েরি জমা দিলেও সেই কেস ডায়েরি দেখে সন্তুষ্ট নন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সরাসরি সিবিআই-এর ডিরেক্টরকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 'আপনারা মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন? সিবিআই-এর কাজ কি মানুষকে বোকা বানানো?' ক্ষোভপ্রকাশ বিচারপতির। 

এই নিয়ে টানা ৩ দিন বিচারপতির ক্ষোভের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তীব্র সমালোচনা বিভিন্ন মহলে। সিবিআই যদি এতদিন ঠিকভাবে কাজ করত, রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়ত। বিশ্বাসযোগ্যতা ও দক্ষতা এবার সিবিআই-কেই প্রমাণ করতে হবে। জানালেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই কি তদন্ত করতে জানে না? নাকি তাকে তদন্ত করতে বাধা দিচ্ছে তার মনিবরা? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এদিকে নারদা প্রসঙ্গ তুলে সিবিআই-কে খোঁচা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার।

যদিও বিচারপতির কোনও মন্তব্য, কোনও পর্যবেক্ষণ নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয় বলেই মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে বারবার মুখ পুড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তবে কি সত্য উদঘাটন করতে সত্যিই ব্যর্থ হচ্ছে সিবিআই? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

7 months ago
Ayan: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বহু পুরসভার চেয়ারম্যানের, তবে কি ইডির ডাক পাবেন তাঁরাও?

শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের (Ayan) সল্টলেকের অফিস থেকে উদ্ধার ৪০০ ওএমআর শিট (OMR Sheet)। উদ্ধার প্রার্থীর তালিকা সহ অ্যাডমিট কার্ড ও নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। অয়নের অফিস হাতড়ে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে। যা আগামী দিনে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি আনতে পারে বলে সূত্রের খবর।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় নাম জড়িয়েছে শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের। ইডির তল্লাশিতে জানা গিয়েছে, শান্তনুর যাবতীয় তথ্য সরিয়ে রাখা হয়েছিল অয়নের অফিসে। পাশাপাশি ইডির তল্লাশিতে আর উঠে এসেছে, চাকরির প্রস্তুতির প্রতিষ্ঠান খুলে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হত বিভিন্ন পুরসভা গুলিতেও। অর্থাৎ শুধু শিক্ষা নয় এবার চাকরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পুরসভার চাকরিতেও। অভিযোগের তীর শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের দিকে।

শনিবার দিনভর শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের অফিস ও প্রতিষ্ঠানের নথি যাচাই করে এই তথ্য জানতে পারে ইডি। ইডি সূত্রে দাবি, 'একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান-এর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন অয়ন। একটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি।' শিক্ষাক্ষেত্রের নিয়োগ দুর্নীতির বাইরে পুরসভার নিয়োগে কি এবার দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন চিহ্ন। কারণ একাধিক চাকরির নোটিফিকেশন এবং প্রার্থী তালিকা পাওয়া গিয়েছে অয়নের হার্ডডিক্সে।

শনিবার ইডি অয়ন শীলের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ কিছু ইলেকট্রনিক্স গেজেটে পাসওয়ার্ড থাকার দরুন সেগুলি ব্যাবহার করতে পারছিলেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ অয়ন শীলকে তাঁর সল্টলেকের অফিসে আনা হলে আধিকারিকরা সেই ইলেকট্রনিক্স গেজেটের পাসওয়ার্ড জানতে পারে।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেখান থেকে ব্যাঙ্কের নথি এবং কিছু লেনদেনের তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। এই লেনদেন গুলি কবে করা হয়েছিল এবং অয়ন শীল কাদের মাধ্যমে ওই লেনদেন করেছিলেন তা নজরে রয়েছে ইডি আধিকারিকদের। এছাড়া জেরার পর ইডি সূত্রের দাবি, শান্তনু-কুন্তলের মিডল ম্যানরা ছড়িয়ে পড়েছিল বাঁকুড়া-পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়। এ যাবতীয় সমস্ত নথি অয়নের অফিস হাতড়ে খুঁজে পেয়েছে বলে দাবি ইডির।

one year ago


SSC:সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ! গ্রুপ ডি চাকরিচ্যুতদের বেতন এখনই বন্ধ নয়

OMR শিট (OMR Sheet Case) বিকৃত-কাণ্ডে গ্রুপ ডি পদে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Caluctta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে এঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে এই নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন চাকুরীহারারা। ডিভিশন বেঞ্চ এই আবেদনের শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। যদিও চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে এদিন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। অর্থাৎ চাকরি বাতিলের নির্দেশ এখনও বহাল রইলো। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ ফেব্রুয়ারি।

এদিকে, চাকরিহারাদের আবেদনে উল্লেখ, 'আমরা গত ৫ বছর ধরে চাকরি করছি। চাকরি পাওয়ার পর যথাযথ শ্রমও দিয়েছি। তাহলে এখন কেন বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে?' এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে ২ হাজার ৮০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থীর। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৯১১ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নির্দেশে মেনেই এই সিদ্ধান্ত।

one year ago
Manik: মানিককে ৫ লক্ষ টাকা ফাইন কোর্টের, টেট পরীক্ষার্থীর করা মামলায় নির্দেশ বিচারপতি গাঙ্গুলির

এক টেট পরীক্ষার্থীর (TET Exam) করা মামলায় তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে ফের জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে (Manik Bhattacharya) পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন। আগামি দুই সপ্তাহের মধ্যে এই জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি (Justice Ganguly)। জানা গিয়েছে, সহিলা পারভিন নামে ২০১৭-র এক টেট পরীক্ষার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি তথ্যের অধিকার আইনে তাঁর ওএমআর শিট চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। এর জন্য নির্ধারিত টাকা দিয়ে এই আবেদন জানিয়েছিলেন সহিলা পারভিন। কিন্তু সহিলার অভিযোগ, 'তাঁকে যথাযথ ওএমআর শিট দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।' যে সময়ের এই ঘটনা, সেই মুহূর্তে পর্ষদের সভাপতি পদে মানিক ভট্টাচার্য।

জানা গিয়েছে, সহিলা পারভিন ২০১৭ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ফলাফল জানতে পারেনি তিনি। তা জানতে চেয়েই আবেদন করেছিলেন সহিলা। সেই সময় পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, ৫০০ টাকা ড্রাফট কেটে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন করতে হবে। তিনি সেই মতো আবেদন জানানো সত্বেও তাঁকে বলা হয়, সঠিক ফরম্যাটে আবেদনে করা হয়নি। কিন্তু অভিযোগকারীর দাবি, 'যে ফরম্যাটে তিনি আবেদন করেছেন, সেটা ছাড়া আর কোনও ফরম্যাট নেই। সেই কারণে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।'

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা এই প্রথম নয়। এর আগেও আদালত প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে জরিমানা করেছিল। এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ তুলেছিলেন, ৮ বছর পরও পরীক্ষার ফল জানায়নি পর্ষদ। সেই সময়েও পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মানিক ভট্টাচার্যকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ।

one year ago


Court: সাদা উত্তরপত্র দিয়েও নম্বর বেড়ে ৪৩, নবম-দশমে ওএমআর বিকৃত করে শূন্য হয়েছে ৫২

গ্রুপ ডি নিয়োগে (Group D) ফের প্রকাশ্যে বড়সড় দুর্নীতি (Recruitment Corruption)। সাদা ওএমআর শিট (OMR Sheet) জমা দিয়েও নম্বর বেড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর তালিকাভুক্ত একজনের নম্বর ৫ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩, অপর একজনের নম্বর ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৩। একজনের নম্বর আবার শূন্য থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৩। ২৮২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০০ জনের ওএমআর শিট নিয়ে বসতে হবে বৈঠকে। মঙ্গলবার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly)।

গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় লক্ষী টুঙ্গার করা মামলায় আগামী ১৪ই ডিসেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে বৈঠক করবেন সিবিআই, মামলাকারীর আইনজীবী এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রতিনিধি।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের বাজেয়াপ্ত করা হার্ডডিস্ক এবং ওএমআর শিট খতিয়ে দেখা হবে। তারপরে আগামী ২১ ডিসেম্বর প্রাথমিক রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেবে। এমনটাই সিবিআইকে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।

এদিকে, নবম-দশম অবৈধ নিয়োগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪০ জনের ওএমআর শিট আপলোড করার নির্দেশ হাইকোর্টের। যাদের নম্বর ০ থেকে ৫২ বা তার বেশি করা হয়েছে, সেই বিকৃত ওএমআর শিটগুলোই আপলোড করা নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিনই ওএমআর শিট সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের।

হাইকোর্টের নির্দেশ, '৪০ জনের ওএমআর শিট আপলোড করা হবে এবং তাঁরা মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চাইলে অবশ্যই হতে পারবেন ১৬-ই ডিসেম্বরের মধ্যে।' জানা গিয়েছে, ১৮৩ জনের পর নবম-দশমে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া আরও ৪০ জনের হদিশ মিলেছে। সূত্রের খবর, ওএমআর শিট কারচুপি করেই ৪০ জনকে চাকরির সুপারিশ করেছিল এসএসসি।

one year ago
Manik: 'নিখোঁজ' মানিকের নামে থানায় ডায়রি, প্রাক্তন শিক্ষাকর্তার একদিনের সুপ্রিম রক্ষাকবচ

হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডেডলাইন রাত ৮টার মধ্যে মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা অবধি তাঁর কোনও খোঁজ না পেয়ে যাদবপুর থানায় জেনারেল ডায়রি কোর্ট নিযুক্ত এসিপির। তাঁর যাদবপুরের বাড়িতে কোর্ট নিযুক্ত এসিপি এবং কলকাতা পুলিসের একটি দল গিয়ে খোঁজ করলেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। তারপরেই কোর্টের স্থির করে ডেওয়া ডেডলাইন শেষের আগেই যাদবপুর থানায় 'নিখোঁজ' মানিক ভট্টাচার্যের নামে জেনারেল ডায়রি (GD)।

যদিও মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতিকে একদিনের রক্ষাকবচ দিয়েছে। বুধবার পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। তারপরেও যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও পাওয়া যায়নি মানিক ভট্টাচার্যকে। এমনটাই সিবিআই সূত্রে খবর। খুব সম্ভবত তিনি দিল্লিতে আছেন, এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের।

এদিকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলে তাঁকে কী কী প্রশ্ন করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সম্ভাব্য সেই প্রশ্নমালা-- ১) OMR শিট নষ্টের মূল উদ্দেশ্য কী?

২) কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নষ্ট করা হলো OMR শিট?

৩) OMR শিট নষ্ট করার জন্য কার নির্দেশ ছিল?

৪) প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে এই বিষয়ে আপনার কি কথা হয়েছিল?

৫) OMR শিট নষ্ট করার পেছনে পার্থবাবুর কোনও নির্দেশ ছিল?

এমন একাধিক প্রশ্ন মানিককে বিঁধতে তৈরি করে রাখছে সিবিআই।

2 years ago
OMR: ২০১৪ টেট উত্তরপত্র নষ্টে মানিককে গ্রেফতার করতে পারে সিবিআই: হাইকোর্ট

২০১৪-র টেটের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট (TET OMR Sheet) নষ্টের মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। এই তদন্তে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৮টার মধ্যে তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ। প্রয়োজনে তাঁকে গ্রেফতার করে জেরা করতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন স্পষ্ট করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এমনকি, যে এজেন্সির হাত ধরে ওএমআর শিট তৈরি, সেই এজেন্সি নির্বাচন কীভাবে হচ্ছে? খতিয়ে দেখবে সিবিআই। কার নির্দেশে ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে? নিয়ম মেনে নষ্ট হয়েছে কিনা? এসব খতিয়ে দেখে আগামি একমাসের মধ্যে আদালতকে রিপোর্ট দেবে সিবিআই। পয়লা নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

২০১৪-র টেট পরীক্ষার পর লক্ষাধিক ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত এক অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। এই ঘটনার সময় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তাই তাঁকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এদিকে, প্রাথমিকে ২০২০ সালের নিয়োগের পর এখনও ৩৯২৯টি শূন্যপদ রয়েছে। সেই পদে অবিলম্বে নিয়োগ করতে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। প্রাথমিক ধাপে ২৫২ জনকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই আড়াইশো জন সেই শূন্যপদে নিয়োগ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যোগ্য প্রার্থীদের সব নথি খতিয়ে দেখে নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামি নভেম্বরে। সেদিন কোর্টকে জানাতে হবে আদালতের এই নির্দেশের পর কতজন চাকরি পেলেন।

এদিকে, অন্য একটি মামলায় ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ছয়টি প্রশ্ন ভুল মামলায় এই ৬৫ জনকে চাকরির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৩ সেপ্টেম্বর এই মর্মেই বেশ কয়েকজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এবার ওই মর্মে আরো ৬৫ জনকে চাকরি দিতে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতকে জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ১৮৫ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।

2 years ago


Madrasha: এবার মাদ্রাসা সার্ভিসে নিয়োগ দুর্নীতি? হাইকোর্টের নির্দেশে উত্তরপত্রের ফরেন্সিক যাচাই

মাদ্রাসার সার্ভিস কমিশনে (Madrasa Service Commission) শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ। উত্তরপত্র (OMR Sheet) কেলেঙ্কারির অভিযোগে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের চাকরিপ্রার্থীর। তাঁর জমা দেওয়া ওএমআর শিটে তৃতীয় ব্যক্তি কলম চালিয়েছে। ফলে বদলে গিয়েছে উত্তর। এই অভিযোগ তুলে সেই ওএমআর শিট বাতিলের দাবিতে আদালতে দরবার সেই চাকরিপ্রার্থীর। আবেদনের গুরুত্ব বিচার করে সেই ওএমআর শিটকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবে পাঠালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি CFSL-কে এই মামলায় যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

অভিযোগ, মাদ্রাসা নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নের ভিত্তিতে যে উত্তরপত্র দেওয়া হয়, তাতে অপশন থাকে। এক পরীক্ষার্থী কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন উত্তরপত্রের "A", "B", "C" বিকল্পগুলোর মধ্যে A এবং B সঠিক উত্তর এর জন্য। কিন্তু তাঁর উত্তরপত্রে C বিকল্প মার্কিং করা। আদৌ তিনি সেই উত্তর দেননি। পরে মেধাতালিকায় তাঁর নাম না থাকায় সন্দেহ হওয়ায় তিনি তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেন। সেই চাকরিপ্রার্থী জানতে পারেন তিনি নাকি C বিকল্প বেছেছিলেন। তিনি উত্তীর্ণ হলেও আদতে তাঁকে চাকরি না দেওয়ার জন্য এই বেনিয়ম করেছে পর্ষদ। 

এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই উত্তরপত্র চেয়ে পাঠান। শুক্রবার মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ সেই উত্তরপত্র জমা করলে, হায়দরাবাদে সিএফএসএল-এ যায় সেই খাতা। পাশাপাশি এদিন হাইকোর্টের নির্দেশ, CFSL ওএমআর সিট খতিয়ে দেখবে। পরীক্ষার্থীর কলমের কালির সঙ্গে অন্য কলমের কালি বিবেচনা করা হবে। এছাড়া দেখতে হবে, উত্তরপত্র একই চাপ প্রয়োগ করে লেখা হয়েছে কিনা। আদালতের নির্দেশ মতো আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থী যে কালিতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কলম-সহ সেই কালিও জমা দেন আদালতে। জানা গিয়েছে, ৩১ অগস্টের মধ্যে CFSL-কে পাঠাতে হবে। সায়েন্স ল্যাবরেটরির অধিকর্তাকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা করতে হবে।

এদিনে শুনানিতে বিচারপতির মন্তব্য, রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতি এখন নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবারই পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের সচিবকে ওএমআর সিট এবং কলম (বল পেন) হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে। জানা গিয়েছে, ১৭ জানুয়ারি ২০২১ পরীক্ষা হয়। ওই বছর ১১ অগস্ট ফল প্রকাশ হয়।

2 years ago