
অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের মামলায় সিবিআই-কে নোটিস দিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদির বেঞ্চ সিবিআইকে ওই নোটিস জারি করে।
গরুপাচার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই আবেদন খারিজ করে হাই কোর্ট। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের।
বিচারপতি বসু জানান, আদালত সিবিআই-কে নোটিস জারি করার নির্দেশ দেন। তদন্ত কোন পর্যায় আছে, তা জানা দরকার বলেও মনে করেন বিচারপতি। তারপরই জামিনের আবেদন বিবেচনাও করা হবে। এমনই জানিয়েছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে কটুক্তি। এই অভিযোগে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে আইনি নোটিস পাঠালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, সোশাল মিডিয়া ক্ষমা চেয়ে ওই টুইট মুছে না দিলে মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথমে টুইটার এবং পরে ফেসবুকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কটুক্তির অভিযোগ ওঠে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
প্রথমে পতিতা ও পরে যৌনকর্মী। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে এই দুটি শব্দের ব্যবহার করেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। তাঁর প্রথম শব্দের ব্যবহারের আপত্তি উঠেছিল দলের অন্দর থেকেই। বিশেষ করে সিপিএমের মহিলা নেত্রীরাই রাজ্য সম্পাদকের কড়া সমালোচনা করেছিলেন।
পোস্ট না মুছে ব্যবহার করেছিলেন দ্বিতীয় শব্দ। মূলত তাঁর অভিযোগ ছিল বেশ কয়েকজন বিদেশি মহিলার অ্যাকাউন্টে রাখা আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকা। তাঁর এই অভিযোগ উড়িয়ে, সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের বিরুদ্ধে এবার পাল্টা আইনি নোটিস পাঠানো হল। অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে ফিরে এই ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁর মক্কেল।
বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA) কেন? এই প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে এক জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলা গ্রহণ করে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) আজ শুক্রবার জোটবদ্ধ ২৬ বিরোধী দলকে নোটিশ (Notice) পাঠিয়েছে।
দেশের ২৬টি বিরোধী দল সম্প্রতি জোটবদ্ধ হয়েছে। তারা নতুন জোটের নাম রেখেছে ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স।’ এই পাঁচ শব্দের আদ্যাক্ষর ‘ইন্ডিয়া’।
দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এ বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে অভিমত জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশনকেও।
মামলাকারী গিরীশ ভরদ্বাজের অভিযোগ, বিরোধী দল তাদের জোটের নাম রেখেছে দেশের নামে। ‘ইন্ডিয়া’ নামকরণের মধ্য দিয়ে তারা ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছে। এর ফলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে শান্তি বিঘ্নিত হবে। স্বচ্ছতা নষ্ট হবে। মানুষ বিভ্রান্ত হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে।
আবেদনে আবেদনকারী বলেছেন, ১৯৫০ সালের ‘দ্য এমব্লেমস অ্যান্ড নেমস’ (অবৈধ ব্যবহার রোধ) আইন মোতাবেক ‘ইন্ডিয়া’ নাম ব্যবহার করা যায় না।
আবেদনকারী গিরীশ ভরদ্বাজ এই মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখ করে বলেছেন, জোটের এই নামকরণের মধ্য দিয়ে তাঁরা বোঝাতে চাইছেন বিজেপি, এনডিএ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের দেশের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করছেন।
গিরীশ ভরদ্বাজ এই দাবিও করেছেন, রাহুল গান্ধীর মন্তব্য আরও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। কেননা রাহুল বলেছেন, আগামী দিনের নির্বাচন হবে এনডিএর সঙ্গে ইন্ডিয়ার।
আবেদনকারী আদালতকে জানিয়েছেন, এই আপত্তির বিষয়টি তিনি দেশের নির্বাচন কমিশনকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ বলে চিহ্নিত হওয়ায় বিজেপি চিন্তিত। প্রধানমন্ত্রী নিজেও। বারবার তাঁরা এই বিষয়ের অবতারণা করছেন। প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, নামে ‘ইন্ডিয়া’ থাকলেই তা দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে বোঝায় না। নামে কিছু আসে যায় না। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নামেও ‘ইন্ডিয়া’ ছিল। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদ্দিন বা পিপলস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়াতেও ‘ইন্ডিয়া’ আছে।
এর পর নরেন্দ্র মোদি একদিন বলেন, গান্ধীজি ‘কুইট ইন্ডিয়া’ বা ভারত ছাড় আন্দোলন করেছিলেন। ইন্ডিয়া জোটকেও ভারতছাড়া করতে হবে। বিভিন্ন রাজ্যের এনডিএ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি মিলিত হচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার বিহারের জোটসঙ্গীদের নিয়ে আয়োজিত এমনই এক বৈঠকে তিনি বলেন, বিরোধী জোটকে ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকার দরকার নেই। বরং তাদের ‘ঘামন্ডিয়া’ (উদ্ধত) বলে ডাকুন।
এর আগে মোদি বলেছিলেন, তিনি বিরোধী জোটকে ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকতে চান না। ওটা কংগ্রেসের তৈরি পুরনো জোট ‘ইউপিএ’রই নামান্তর। ওই নামেই ডাকবেন। বেশ বোঝা যাচ্ছে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।
যত দিন যাচ্ছে ততই ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু কলকাতা নয়, জেলাতেও চিত্র অনেকটা একই। ডেঙ্গি নিয়ে ফের নয়া নির্দেশিকা দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আসা নমুনা পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠাতে হবে।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মনে করা হচ্ছে, শুধু শুধু ডেঙ্গি নয়, ম্যালেরিয়াতেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাঁদের কম তাঁরা একাধিকবার আক্রান্ত হচ্ছেন। সেকারণে বিশেষজ্ঞদের মত, কোন প্রজাতির মশায় কামড়াচ্ছে তা বোঝা জরুরি। সেকারণে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আসা নমুনা নাইসেডে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মশাবাহিত রোগের দাপট কমাটে কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসন। শুক্রবার সব দফতরের সচিব, জেলাশাসক ও বিডিওদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্রের খবর, ডেঙ্গি মোকাবিলায় সবরকম পদ্ধতি অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আইনি নোটিস পাঠালেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র। রাজ্যপালকে সাত দিনের মধ্যে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে বলেছেন তিনি। অন্যথায় করা হবে আইনি পদক্ষেপ।
সূত্রের খবর, ওমপ্রকাশের আইনজীবীর পাঠানো ওই নোটিসে বলা হয়েছে, গত ১ জুলাই রাত ১১টা ৫০ মিনিটে এক জনের কাছ থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ মারফত জানতে পারেন, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।
ওমপ্রকাশের আইনজীবীর পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, এই অভিযোগ মিথ্যা। এতে ওমপ্রকাশের সম্মানহানি হয়েছে। তাই রাজ্যপালকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে জমি হস্তান্তরে দুর্নীতি, শিক্ষক ও কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে বেনিয়ম-সহ একাধিক অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তদন্ত করবেন বর্তমান উপাচার্য রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দিন ২২ জেলায় সমস্ত সরকারি দফতর বন্ধ থাকবে। এক বিজ্ঞপ্তিতে (Notice) জানানো হয়েছে, বন্ধ থাকবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও। ওই দিন সরকারি ও বেসরকারি দফতরের কর্মীরা সবেতন ছুটি (Paid Leave) পাবেন। কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সবেতন ছুটি দেওয়ার বিষয়টি মঞ্জুর করেছে রাজ্যের অর্থ দফতর। রাজ্যের পুরসভা এলাকায় কর্মসূত্রে থাকেন, অথচ পঞ্চায়েত এলাকার ভোটার, তাঁদেরও সবেতন ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে ছুটির দিন আগেই ঘোষণা করেছিল শ্রমদফতর। পরে ওই বিজ্ঞপ্তির কথা উদ্ধৃত করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে ২২টি জেলার জেলাশাসকের কাছে নোটিস পাঠানো হয়। রাজ্যের ২০টি জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলাপরিষদ আসনে এবং দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার কেবল গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির আসনে আগামী শনিবার নির্বাচন হতে চলেছে।
ছুটি পাবেন রাজ্য সরকারের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের পাশাপাশি বেসরকারি কর্মচারীরাও। মনে করা হচ্ছে, ভোটদানে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই এই ছুটি দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission) গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি (Notice) জারি করে। যেখানে স্পষ্ট ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) রাজ্যে নাকা চেকিং, বর্ডার এবং অন্তর্দেশীয় চেকপয়েন্ট সুরক্ষা, এছাড়া বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন। এছাড়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা আছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করবে ও যেখানে রাজনৈতিক হিংসা দেখা যাবে সেখানে রাজ্য পুলিশের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করবে। অথচ কোনও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কোনও উল্লেখ ওই বিজ্ঞপ্তিতে নেই। তবে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা না পেলে সুস্থভাবে ভোট করা কি সম্ভব? এছাড়া প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যখন প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট, সেখানে হাইকোর্টের নির্দেশকে কি বুড়ো আঙুল দেখালো কমিশন!
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এমন বিজ্ঞপ্তিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মহলে। প্রশ্ন উঠছে, বারবার যেখানে হাই কোর্ট ও বিরোধীরা প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চেয়ে আবেদন করলেন এবং হাইকোর্টও প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিলেন কমিশন কে, সেখানে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এরকম বিজ্ঞপ্তি কিভাবে জারি করতে পারে? বিরোধীদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার আগেই, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রতি বুথে না থাকলে এই মৃত্যুর পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে চলেছেন সলমন খান (Salman Khan)। চলতি বছরের মার্চ মাসে হঠাৎই সলমন খানের অফিসে হুমকি (Threat) ইমেল আসে। জানা গিয়েছিল, যে সলমন খানকে হুমকিতে ভরা ইমেল পাঠিয়েছে, সে হরিয়ানার মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র৷ তবে সে বর্তমানে ব্রিটেনে পড়শোনা করছে। এবারে এই ব্যক্তির নামেই লুক আউট (Lookout Notice) নোটিস জারি করল মুম্বই পুলিস (Mumbai Police)।
সূত্রের খবর, এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে এসেছিল সেই হুমকি মেল। যেখানে গোল্ডি ব্রারের মতো অপরাধীর নাম করে হুমকি দেওয়া হয়েছিল ভাইজানকে। এরপরই তড়িঘড়ি মুম্বই পুলিস সলমনের বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা বাড়িয়ে হাই অ্যালার্ট জারি করে। অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করতে না পারলেও মুম্বই পুলিস ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। এবার সেই হুমকি ইমেল পাঠানো অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করল মুম্বই পুলিশ। তবে তার পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি, কারণ পুরো বিষয়টা নিয়ে তদন্ত চলছে৷
উল্লেখ্য, হুমকি ইমেল পাওয়ার পর থেকই সলমন খানের বাড়ির আশেপাশে নিরাপত্তা জোরালো করা হয়েছে। 'Y+' ক্যাটাগরির সুরক্ষা পেয়েছেন ভাইজান৷ মুম্বই পুলিস অভিনেতার নিরাপত্তার জন্য এই সুরক্ষা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেতা৷ আর এবারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও এক বড় পদক্ষেপ নিল মুম্বই পুলিস।
এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) সিইও (CEO) ক্যাম্বেল উইলসন এবং নিরাপত্তা বিষয়ক আধিকারিককে নোটিস (Notice) দিল ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ (DGSA)। মাঝ আকাশে ককপিটে বান্ধবীকে নিয়ে মোচ্ছব করার ঘটনাতেই এই নোটিস দেওয়া হয়েছে। ২১ এপ্রিল নোটিস জারি করা হয়েছে। এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিমানের এক কর্মীই পাইলটের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করেন। বিমানের কর্মীর দাবি, ২৭ ফেব্রুয়ারি নিয়ম ভেঙে পাইলট তাঁর এক বান্ধবীকে ককপিটে ঢোকার অনুমতি দেন। এমনকি বান্ধবীকে স্বাগত জানানোর জন্য মদ সহ বিভিন্ন খাবরের ব্যবস্থারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই ঘটনা জানার পর ডিজিসিএর দাবি, এয়ার ইন্ডিয়া সময় মতো এই ঘটনার কথা তাঁদের জানায়নি। যা শৃঙ্খলাভঙ্গ করা হয়েছে বলে মনে করছে ডিজিসিএ। তাই তদন্তের নির্দেশ দেয় ডিজিসিএ। ওই নির্দিষ্ট বিমানের সমস্ত কর্মীকে কাজ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে। এমনকি সংস্থার সিইওকে নোটিস পাঠানো হল।
নন্দীগ্রামের তৃনমূল (TMC) নেতা শেখ সুফিয়ানকে ব্যাঙ্ক নোটিশ। নন্দীগ্রামের (Nandigram) নেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান ব্যাঙ্ক (Bank Notice) থেকে নেওয়া ঋনের টাকা শোধ না করায় তাঁকে নোটিশ পাঠাল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। শুধু শেখ সুফিয়ানই নয়, তাঁর ঋনের গ্যারেন্টারদেরকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুত্রের খবর, কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নন্দীগ্রাম শাখা থেকে ২০১৪ সালে বাড়ি করার জন্যে ২৫ লক্ষ টাকা ঋন নিয়েছিলেন শেখ সুফিয়ান। তবে সেই ঋনের কিস্তির টাকা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি টাকা দিয়েছেন। তারপর গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কিস্তির টাকা জমা দেননি শেখ সুফিয়ান। পরে আবার ট্রলার কিনতেও কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নন্দীগ্রাম শাখা থেকে ২০২০ সালের মার্চ মাসে ঋন নিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের এই তৃনমূল নেতা। তারপর থেকে তিন বছর কেটে গেলেও কিস্তির টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেয়নি তৃনমূল নেতা, এমনটাই খবর।
ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, কয়েকবার নন্দীগ্রামের এই তৃনমূল নেতার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তবে আলোচনাতেও কোনও লাভ না হওয়ায় শেখ সুফিয়ান এবং তাঁর ঋনের গ্যারেন্টারদের নোটিশ পাঠিয়েছে ব্যাঙ্ক।
তবে এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, 'নিশ্চয় টাকাটা মিটিয়ে দেব। তবে ২০২০ সালে আমি একটা ট্রলারের জন্যে লোন করেছিলাম কিন্তু করোনা ভাইরাস চলাকালীন ব্যাঙ্ক ওই ট্রলার আমাকে হ্যান্ডওভার দেয়নি। ২০২২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি ওই ট্রলারটি ব্যাঙ্ক আমাকে দিয়েছে। আমি ব্যাঙ্ককে বলেছিলাম যেদিন থেকে আমি ট্রলার হাতে পেয়েছি ওই দিন থেকে ইন্টারেস্ট সহ টাকা নেওয়া হোক, কিন্তু তা মেনে নেয়নি ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্ক দু বছরের ফাউ ইন্টারেস্ট নিতে চাইছে। ব্যাঙ্ক আমার সঙ্গে জালিয়াতি করেছে। আমি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আদালতে যাবো, মামলা করবো। আমি চলতি সপ্তাহতেই উকিলের চিঠি নিয়ে কোর্টে যাবো।' তিনি আরও বলেন, 'ব্যাঙ্ক কী আমাকে নোটিশ পাঠাবে, আমিই ব্যাঙ্ককে নোটিশ পাঠাবো। দু বছরের ইন্টারেস্ট সহ টাকা নেওয়ার জালিয়াতির জন্য।'
বিজেপির জেলা সভাপতি তপন বন্দোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, 'যে ব্যাঙ্কের লোন পরিশোধ না করবেন স্বাভাবিকভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে তো ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন। আসলে তৃণমূলের নেতারা এরকমভাবে ঋণ নিয়ে থাকেন। আর তা পরিশোধ না করায় রাস্তা-ঘাটে ব্যাঙ্কের নোটিশ দেখতে পায় বড় বড় আকারে। জনগণ সবই দেখছেন এবং আগামী দিনে তাঁরা যোগ্য সিদ্ধান্তও নেবেন।'
উচ্ছেদের নোটিশ (Notice) আগেই ঝোলানো হয়েছিল। সেই নোটিশের আইনি যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরাসরি বিশ্বভারতী (Visva-Bharati university) কর্তৃপক্ষকে চিঠিও লিখেছিলেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। আর তারই জবাবে এবার ১৫ দিনের মধ্যে প্রতীচী ছাড়তে বলে বুধবার নোটিশ দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতোর সাক্ষরিত সেই নোটিশে বলা হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে যদি প্রতীচী খালি না করা হয়, তাহলে প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে নোটিশে জানানো হয়েছে যে, প্রতীচীর জমির লিজ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, এর আগে ‘প্রতীচী’র গেটে উচ্ছেদের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল, ১৯ এপ্রিল এই জমি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে তার আগে ১৭ এপ্রিল বিশ্বভারতীকে জবাবি চিঠি দিয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। অমর্ত্য সেন চিঠিতে লিখেছিলেন, লিজের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত কেমন করে কেউ এই জমি দাবি করতে পারেন? অমর্ত্য সেন সেখানে আরও জানান, জুন মাসেই শান্তিনিকেতনে ফিরছেন তিনি। পাশাপাশি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জানান, ‘প্রতীচী’–র জমির আইনশৃঙ্খলা এবং শান্তিরক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। তবে এরই মধ্যে এবার প্রতীচীর জমির লিজ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এর আগে জমি ছাড়ার নোটিশ প্রতীচীর গেটে লাগানোর আগে ১৩ এপ্রিল বিশ্বভারতীতে এই সংক্রান্ত একটি শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে বিদেশে থাকার কারণে সেই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না অমর্ত্য সেন। এরপরই ১৪ এপ্রিল প্রতীচীর গেটে উচ্ছেদের নোটিশ সেঁটে দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর অভিযোগ, এই জমি অমর্ত্য সেন দখল করে রেখেছেন। এদিকে অমর্ত্য সেনের দাবি, এই জমি তাঁর বাবার। ১.৩৮ একর জমি অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন করা হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে। মিউটেশন করার কথা জানানো হলেও বিশ্বভারতী তাঁদের নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। অমর্ত্য সেনের আইনজীবীকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের পক্ষ থেকে ইমেলে বলা হয়, ১৯৭১ সালের দখলদার উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পার্কিং-ফি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) বিরুদ্ধে বিতর্ক চরমে ওঠে। শুক্রবার অর্থাৎ ‘গুড ফ্রাইডে’র ছুটির দিনেই নতুন নির্দেশিকা দিল কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার রাতেই বর্ধিত পার্কিং-ফি (ParkingFee) প্রত্যাহারের নির্দেশিকা (Notice) জারি হয়েছে। রাত ৯টা নাগাদ পুরসভার তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত পুরনো পার্কিং ফি-ই বহাল থাকবে।
গত ১ এপ্রিল থেকে কলকাতা পুর এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন গাড়ির পার্কিং-ফি বাড়ায় কলকাতা পুরসভা। এই মর্মে নির্দেশিকার পরে শুরু হয় বিতর্ক। দলের অন্দরে গুঞ্জন দানা বাঁধে। প্রশ্ন ওঠে এই ফি বৃদ্ধির ব্যাপারটি মুখ্যমন্ত্রী জানেন কিনা! প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল দলেরই মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষ জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ব্যতিরেকেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরসভা এলাকায় রাস্তার পার্কিং-ফি বৃদ্ধি করেছেন। এই বক্তব্যের পরেই চাপে পড়েন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বিষয়টি নিয়ে শাসকদলের অন্দরে চাপানউতোর শুরু হতেই শুক্রবার ফিরহাদ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বললে পার্কিং ফি বাড়ানোর নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেব। তবে এটা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে প্রকাশ্যে না বলে দলের ভিতরে বললেও হত!’ অন্যদিকে, দলের মুখপাত্র কুণাল সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অগোচরে’ পার্কিং ফি বাড়ানো হয়েছিল। তিনি কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন ওই বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করে পুরনো হারেই পার্কিং ফি নিতে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকদের উপর ‘বাড়তি বোঝা’ চাপাতে চান না।
তিলজলায় (Tiljala Murder) শিশু খুনের ঘটনায় রাজ্য পুলিসের ডিজিকে (DG) চিঠি দিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (Ncpcr)। সূত্রের খবর, ডিজির কাছে এই খুনের সমন্ধে তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনায় প্রথম থেকেই নজর রাখছিলো জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। টুইট করে এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কমিশনের চেয়ারম্যান। যদিও ঘটনার দিন রাতেই মূল অভিযুক্ত আলোক কুমার সাউকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁকে জেরা করে খুনের কারণ তদন্ত করছে জানিয়েছে পুলিস।
তিলজলায় শিশু খুনের তদন্তে নেমে পুলিস প্রথম দিকে জানিয়েছিল, 'অভিযুক্ত, এক তান্ত্রিক তত্ত্ব খাড়া করছেন।' যদিও সেটা ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছিল কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা শাখা। মঙ্গলবার পুলিসের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই অভিযুক্তর দাবি ভিত্তিহীন। খুনের পিছনে অন্য কারণ আছে, সেটা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, তিলজলার ঘটনা নিয়ে সোমবারের হওয়া তান্ডবে মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাঁদের ৩ দিন অর্থাৎ পয়লা এপ্রিল অবধি পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
পাশাপাশি মঙ্গলবার সকালে ১৬ বছরের নাবালিকা খুনের ঘটনায়, লেদার কমপ্লেক্স থানা ওই নাবালিকার মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ওই নাবালিকার একটি প্রেমিক ছিল, এ ঘটনার পর ওই গোটা পরিবার নিখোঁজ। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিস। মঙ্গলবার মেয়েটির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় মেয়েটির মায়ের ফোনে একটি ফোন আসে। নাবালিকার মা জানান, 'ওই ফোনে ওর গলা চাপা লাগছিলো, এরপরেই আমরা থানায় জানাই।' মঙ্গলবার এ ঘটনার তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, 'নৃশংসভাবে হত্যার পর, ওই নাবালিকার দেহাংশ কেটে ফেলা হয়েছিল।'
বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit) ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের (Aishwarya Rai Bachchan) বিষয়ে মানহানিকর মন্তব্য করে অপমান করা হয়েছে নেটফ্লিক্সের (Netflix) সিরিজ 'দ্য বিগ ব্যাং থিওরি'-তে! এমন অভিযোগ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মিঠুন বিজয় কুমার নেটফ্লিক্সকে পাঠালেন আইনি নোটিস। নেটফ্লিক্স থেকে বিগ ব্যাং থিওরির সেই সিরিজটি যেখানে বলিউডের দুই অভিনেত্রীকে অপমান করা হয়েছে সেটা সরিয়ে ফেলার কথা বলা হয়েছে। আর যদি এমনটা না করে নেটফ্লিক্স তবে পরবর্তীতে বড় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তবে প্রশ্ন হল কী বলা হয়েছে সেই সিরিজে?
জানা গিয়েছে, আমেরিকার বিখ্যাত সিটকম দ্য বিগ ব্যাং থিওরি সিজন ২-এর প্রথম পর্বে মাধুরী ও ঐশ্বর্যকে নিয়ে অপমানজনক দাবি করা হয়েছে। প্রথম পর্বে জিম পার্সনসের যে চরিত্রটা আছে অর্থাৎ শেলডন কুপার ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং মাধুরী দীক্ষিতের তুলনা করেন। একটি দৃশ্যে তিনি ঐশ্বর্যকে 'গরীবের মাধুরী' বলেন। এর উত্তরে কুণাল নায়ারের চরিত্র অর্থাৎ রাজ কুথ্রাপাল্লি বলে, 'ঐশ্বর্য রাই দেবীর মতো, সেখানে মাধুরী দীক্ষিত একজন দেহব্যবসায়ী।'
এমন মন্তব্য করাতেই রাজনৈতিক বিশ্লেষক চটে গিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেন, নেটফ্লিক্সে কী কী ধরণের তথ্য যাচ্ছে তার জন্য নেটফ্লিক্সতেই তার দায় নিতে হবে। এটা তাদেরই দায়িত্ব যে, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যে যে ধরণের কনটেন্ট যাচ্ছে তাতে যাতে কোনওভাবে কোনও রকমের মানহানিকর, অপমানজনক, আক্রমণাত্মক মন্তব্য না থাকে। তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁর অত্য়ন্ত খারপ লেগেছে যে বিগ ব্য়াং থিওরিতে নারীদের ছোট করে দেখানোর মত মন্তব্য করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এসব সিরিজগুলো সমাজের উপর বড় প্রভাব ফেলে। ফলে এই বিষয়গুলি নিয়ে বেশি করে সচেতন হওয়া উচিত।
রাহুলকে (Rahul Gandhi) সরকারি বাংলো ছাড়তে নোটিস (Notice)। সোমবার কংগ্রেস নেতা রাহুলকে নোটিস দিয়েছে লোকসভার (Loksabha) হাউসিং কমিটি। সম্প্রতি তাঁর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। সাংসদপদ খারিজের পর, এবার রাহুল গান্ধীকে সরকারি বাংলো ছাড়তে নোটিস। ২০০৪ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ ছিলেন রাহুল। সেই সূত্রে দিল্লিতে ১২ তুঘলক রোডে রাহুলের জন্য সরকারি বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছিল।
আগামী ১ মাসের মধ্যে সরকারি বাংলো ছাড়তে রাহুলকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। যদিও রাহুলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এমন কোনও নোটিস তিনি পাননি। সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর টুইট করেছিলেন রাহুল। লিখেছিলেন, ‘দেশের কণ্ঠস্বরের জন্য লড়াই করছি। প্রতিটি মূল্য চোকাতে প্রস্তুত।’ এরপর, শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেন, 'মোদী-আদানি সম্পর্ক নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলাতেই নিশানা করা হয়েছে তাঁকে।' তিনি এ-ও জানান যে, সংসদে তাঁর পরের বক্তৃতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভীত, তাই তাঁর সাংসদপদ খারিজ করা হয়েছে।