
পিচ নিয়ে ঘন হচ্ছে ইডেন (Eden) ও নাইটদের (KKR) যুদ্ধের মেঘ। পিচ নিয়ে পূর্বেই অভিযোগ এনেছিল নীতিশ রানা (Nitish Rana)। নীতিশের দাবি সব দল নিজেদের ঘরের মাঠে সুবিধা মতো পিচ বানাচ্ছে। একমাত্র কলকাতা সেই সুবিধা পাচ্ছে না। এমনকি নাইটদের দেওয়া হচ্ছে না পছন্দ মতো উইকেটও। লখনউ ম্যাচের আগে একথা জানানা কেকেআর অধিনায়ক নীতিশ রানা। যা নিয়ে কেকেআর এবং বঙ্গ ক্রিকেট দুই দলের মধ্যে তপ্ত হচ্ছে পরিবেশ।
আসলে, ইডেনের পিচ পেস সহায়ক। কিন্তু নাইটরা দল তৈরি করেছেন স্পিনারদের উপর ভরসা করে। ফলে ইডেনের পিচ থেকে তেমন কোনও সাহায্য পান না তাঁরা। আর তা নিয়েই রুষ্ট কেকেআর। তা বারবার প্রতিফলিত হয়েছে নীতীশের কথাতে।
তবে, নাইটদের এই অভিযোগ নিয়ে ইডেনের পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোনও দলের কথা শুনে পিচ তৈরি করতে বাধ্য নন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে।
ইডেনের পিচ পেস সহায়ক। কিন্তু নাইটরা দল তৈরি করেছেন স্পিনারদের উপর ভরসা করে। ফলে ইডেনের পিচ থেকে তেমন কোনও সাহায্য পান না তাঁরা। আর তা নিয়েই রুষ্ট কেকেআর। তা বারবার প্রতিফলিত হয়েছে নীতীশের কথাতে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বিরাট শাস্তি কলকাতার অধিনায়ক নীতীশ রানাকে। আইপিএলের গর্ভনিং বডি সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাই ম্যাচে মন্থর বোলিংয়ের অভিযোগে ২৪ লাখ টাকা ফাইন করা হয়েছে নীতীশ রানাকে। একইসঙ্গে ফাইন করা হয়েছে কেকেআরের বাকি ক্রিকেটারদেরও। তাঁদের প্রত্যেকের থেকে ৬ লাখ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার স্লো-বোলিং করার অভিযোগ কেকেআরের বিরুদ্ধে। প্রথমবার ১২ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছিল নীতীশের। নিয়ম অনুয়াযী, আরও একটি ম্যাচে স্লো-বল করলে একটি ম্যাচ নির্বাসিত হতে হবে রানাকে। রবিবার আইপিএলের শেষ ম্যাচ খেলবে কলকাতা।
রবিবার ১১ বছর পর চিপক ম্যাচ জিতেছে কলকাতা। কিন্তু সেই জয়ের স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। কারণ চেন্নাইয়ে ১৪৪ রানে রুখতে গিয়ে সময়ের বেশি সময় বল করেছেন কেকেআর বোলাররা। আর তাতেই নজিরবিহীন জরিমানা করা হয়েছে কেকেআর অধিনায়ককে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রথম বার মন্থর বোলিংয়ের জন্য ১২ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় বারের জন্য ২৪ লক্ষ টাকা ও তৃতীয় বার ভুল করলে এক ম্যাচ নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হয়। সেই শাস্তির মুখে এ বার নীতীশ।
রবিবার ইডেনে লখনউয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে কলকাতা। প্লে-অফে উঠতে হলে ওই ম্যাচ জিততে হবে কেকেআরকে। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট এখন কেকেআরের ঝুলিতে।
ইডেনে (Eden) ম্যাচ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন কেকেআর (KKR) অধিনায়ক নীতিশ রানা (Nitish Rana)। নীতিশ রাণার ব্যাট থেকে এসেছে একটি মূল্যবান ইনিংস। কিন্তু ম্যাচ জিতিয়ে জরিমানার মুখে কেকেআর অধিনায়ক। ম্যাচ ফি-র টাকা ফাইন হবে তাঁর। সোমবার প্রথম ব্যাট করে পাঞ্জাব সুপার কিংস তোলে ১৭৯ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেন ওপেনার জুটি। তবে একটা সময় পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কেকেআর। পরে নীতিশ শক্ত হাতে ম্যাচ ধরে, পরে অবশ্য রাসেল ও রিঙ্কুর দাপটে ম্যাচ জেতে কেকেআর।
কিন্তু ম্যাচ জয়ের আনন্দের মধ্যেই আসে খারাপ খবর। দলের স্লোওভার রেটের জন্য জরিমানা করা হল নাইট অধিনায়ক নীতিশকে। জানা গেছে, ১২ লাখ টাকা দিতে হবে তাঁকে জরিমানা বাবদ। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি আইপিএলে এটা যেহেতু প্রথম ভুল তাই ১২ লাখ জরিমানা করা হয়েছে। পরে যদি একই ভুল হয়, সেক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়বে।
আইপিএলে এই মরশুমে স্লোওভার রেটের কারণে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিকে জরিমানা দিতে হয়েছে। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন নীতিশও।
সোমবার কেকেআরের কাছে একদিকে যেমন ছিল পাওয়ার প্লে-র লড়াইয়ে টিকে থাকার ম্যাচ, তেমনই ছিল প্রতিশোধের। প্রথম লেগে পাঞ্জাবের কাছে হেরেছিল কেকেআর। ঘরের মাঠে সেই হারের বদলা নিল তারা।
হারের জন্য নিজেদের ব্যাটিং ও বোলিংকে দুষলেন কেকেআর (KKR) অধিনায়ক (Cptain) নীতীশ রানা (Nitish Rana)। শুক্রবারের হারের পর সাংবাদিকদের জানালেন, 'রিঙ্কু কি রোজ রোজ ম্যাচ জেতাবে নাকি!' ঘরের মাঠে জয়ের হ্যাটট্রিক হয়নি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২৩ রানে হারতে হয়েছে নীতীশ রানাদের। প্রথমে ব্যাট করে ২২৮ রান করেছিল হায়দরাবাদ। অনেক চেষ্টা করলেও সেই রান তাড়া করতে পারেনি কলকাতা। অর্ধশতরান করেছেন দলের অধিনায়ক নীতীশ ও রিঙ্কু সিং। কিন্তু আগের ম্যাচের অবিশ্বাস্য জয় এই ম্যাচে দেখা যায়নি। ম্যাচ হারার পরে নীতীশকে প্রশ্ন করা হয় রিঙ্কুর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। তারপরেই এমন মন্তব্য করেন অধিনায়ক নীতিশ রানা।
খেলা শেষে নীতীশকে প্রশ্ন করা হয় যে, রিঙ্কুকে কি ব্যাটিং অর্ডারে আরও উপরে নামানো উচিত ছিল? বিশেষ করে যেখানে আন্দ্রে রাসেল এত খারাপ ছন্দে রয়েছেন। এই প্রশ্ন শুনে খানিক বিরক্ত হন নীতীশ। তিনি বলেন, ‘২৩০ রান তাড়া করা সহজ নয়। সেটা যে মাঠেই হোক না কেন। আর রোজ রোজ তো রিঙ্কু আমাদের জেতাবে না। ১০ দিনে এক দিন ওর ওই ইনিংস দেখা যাবে। রোজ রোজ না।’ নীতীশ আরও বলেছেন, ‘আমরা ভাল ব্যাট করেছি। শেষ পর্যন্ত খেলা নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। ২০০ রান যে হবে সেটা মনে হয়েছিল। কিন্তু আরও অনেক বেশি রান হয়ে গেল। বোলারদের আরও ভাল বল করা উচিত ছিল।’
আর ঘন্টাখানেকের অপেক্ষা, আইপিএল ময়দানে মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিং। শনিবারে প্রথমবার খাতা খুলতে তৈরী দুই দলই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়কত্ব করবেন নীতিশ রানা, বিপক্ষে শিখর ধাওয়ান পাঞ্জাব কিং-এর নেতৃত্ব দেবেন। তবে দুই দলের খেলোয়াড়দের চোট কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। বছরের পর বছর ধরে এই দুই দলের সদস্য নির্বাচন শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিতে পারেনি। ২০২২ সালে আইপিএলে ১০টি দলের লড়াইতে পাঞ্জাব কিংস থেকেছে ষষ্ঠ স্থানে ও কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকেছে সপ্তম স্থানে।
আপাতপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের থেকে পাঞ্জাব কিংসকে শক্তিশালী মনে হলেও জনি বেয়ারস্টোরের অনুপস্থিতি পাঞ্জাব দলে শূন্যতা তৈরি করবে। আইপিএল-র সিজনে মোটামুটি নেতৃত্ব দেওয়া ইংলিশম্যান জনি গত সেপ্টেম্বরে গল্ফ খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছে, এখনও সেই আঘাত থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। তাঁর জায়গায় পাঞ্জাব কিংস আশা দেখছে ম্যাথিউ শর্টকে নিয়ে। শিখর ধাওয়ানের বিরুদ্ধে ম্যাথিউকে নামাতে পারে দল।
চোট রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সেও। পিঠের চোটে কাবু শ্রেয়স আইয়ার। জাতীয় দলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া রয়েছে তাই ওপেনে নামতে পারবেন না বাংলাদেশী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও লিটন দাশ। তবে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, ডেভিড উইসে ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের মতো অল রাউন্ডার নাইটসদের শক্তি। কেকেআরের টপ অর্ডার উদ্বেগের কারণ। তবে উইসে, রিঙ্কু সিং, রহমানুল্লাহ গুরবাজের মতো খেলোয়াড় রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঝুলিতে। বোলিংয়ে সাউদি, উমেশ যাদব এবং শার্দুল ঠাকুরই ভরসা।