৫ বছরের মেয়াদে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। রবিবার বিকেল ৫টায় হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এবার তাঁর সঙ্গে শপথ নিলেন দুই উপমুখ্যমন্ত্রীও। ২ জনেই বিজেপির বিধায়ক। সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় সিনহা এবার উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেপি নাড্ডা।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা ইন্ডিয়া ব্লকে। নীতীশ কুমারের শিবির ত্যাগে শুধু ইন্ডিয়া ব্লক নয়, বিহারে মহাজোট ভেঙে দিয়েছে। রবিবার সকালে পটনায় রাজভবনে রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকারের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন জেডিইউ সুপ্রিমো। নীতীশ কুমারের এই শিবির ত্যাগে কংগ্রেসও কার্যত দিশেহারা।
এদিন কংগ্রেসের নেতারা এতটাই ক্ষুব্ধ যে, তারা নীতীশ কুমারকে গিরগিটির সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, জনগণ তাঁকে কখনই ক্ষমা করবে না। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নীতীশ কুমারকে বিশ্বাসঘাতকদের বিশেষজ্ঞ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই বিশেষজ্ঞ এবং যারা তাদের নাচিয়েছে, তাদেরকে জনগণ ক্ষমা করবে না। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রকী ও বিজেপি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে বয় পাচ্ছেন। সেখান থেকে দৃষ্টি সরাতে এই রাজনৈতিক নাটক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সর্বসাকুল্যে এই নিয়ে নবমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ েনবেন নীতীশ কুমার। প্রতিবারই কোনও না কোনও কৌশলে পাল্টি খেয়ে নিজের মুখ্যমন্ত্রীর পদটি ঠিক বাঁচিয়ে গিয়েছেন নীতীশ। কখনও বিজেপির হাত ধরে তো কখনও আরজেডির হাত ধরে। দাবার চালের মতো চাল চেলেই নিজে গদি রক্ষা করেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো।
২০০০ সাল থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন নীতীশ কুমার। কখনও বিজেপির সমর্থনে তো কখনও আরজেডির সমর্থনে। ২০১০ সাল পর্যন্ত বিজেপির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকেছেন নীতীশ কুমার। ২০১৫ সালে ২ বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন আরজেডির সমর্থনে। ২০১৭ এবং ২০২০ তে আবার বিজেপির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন তিনি। ২০২২ সালে আবার আরজেডির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ। তারপরে আবার ২০২৪ সালে বিজেপির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। যদিও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর দাবি করেছেন বিজেপির সঙ্গে নীতীশের এই জোট স্থায়ী হবে না। ২০২৪-র লোকসভা ভোট আসতে আসতে তিনি আবার বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে আরজেডিতে যোগ দেবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একটা সময়ে জেডিইউতে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু নীতীশের সঙ্গে মনোমালিন্যার জেরে তিনি জেডিইউ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
বিহারে রাজনৈতিক সংকট ফের তুঙ্গে। আবারও পাল্টি খেয়েছেন নীতীশ কুমার। ইন্ডিয়া ছেড়ে নীতীশ যোগ দিচ্ছেন বিজেপি শাসিত এনডিএ-তে। আজ, রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টের সময় ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। তবে এবার আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে নয়। ফের বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়তে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিয়ে রাজভবন থেকে বেরোলেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতিশ কুমার।
সকাল ১০টা থেকে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, বিজেপির সঙ্গে জোট ঘোষণার পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নেবেন। তার আগে বিকেল ৩টে নাগাদ পাটনায় পৌঁছবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
শনিবার থেকেই তোড়জোর শুরু হয়ে গিয়েছিল। ইন্ডিয়া জোট ভেঙে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতীশ কুমার, এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাতেই সিলমোহর পড়ল। গতকাল নিজের মন্ত্রিসভা থেকে আরজেডির সব মন্ত্রীদের বরখাস্ত করে বিধানসভা ভেঙে দেন নীতীশ কুমার। তারপরেই জল্পনা শুরু হয় বিজেপির সঙ্গে জোট গড়া নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই ফের সরকার গড়তে চলেছেন তিনি।
অবশেষে গুঞ্জনই কি সত্যি হবে! ফের একবার জোট বদল করতে চলেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এমনটা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। ২৮ জানুয়ারি বিজেপি-জেডিইউ জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন নীতিশ বলেই সূত্রের খবর। গেরুয়া শিবিরে ফিরতে চলেছেন তিনি। রবিতেই এনডিএ জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন জেডিইউ সুপ্রিমো, আর এই নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ফের একবার বিহারের রাজনীতিতে 'হালচাল'। জানা গিয়েছে, গতকাল গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বাড়িতে বিহারের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সেখানে বিহারের বিজেপি নেতৃত্বকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে নীতিশকে প্রয়োজন এনডিএ-র। আজ অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন জানা যাচ্ছে, বিজেপি এবং নীতিশ কুমার-এর জোট প্রায়ই নিশ্চিত। রবিবারই এনডিএ জোটের হয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিতে চলেছেন নীতিশ কুমার। এই পরিস্থিতিতে সুশীল মোদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হবে বলেও কেন্দ্রের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও দূরত্ব বাড়ল বিহারের জেডিইউ এবং আরজেডির মধ্যে, তা বলাই বাহুল্য। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে লালু প্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিনি এক্স হ্যান্ডেলে নাম না করে কোনও একজন রাজনীতিবিদকে প্রবল আক্রমণ করেন। সেখানে "বদতামিজ" এর মত শব্দ প্রয়োগ করেন তিনি। পরিষ্কারই বোঝা যাচ্ছিল আক্রমণের লক্ষ্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সুপ্রিমো নীতিশ কুমার। এতে অত্যন্ত অপমানিত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছেন নীতিশ। যদিও পরে এক্স হ্যান্ডেলের এই পোস্টগুলি মুছে দেন রোহিনী। কিন্তু এবার নীতিশের পাশে দাঁড়িয়ে রোহিনীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলে বিহার বিজেপি। আর এর থেকেই পরিষ্কার যে, বিজেপির সঙ্গে ক্রমশই সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে নীতিশ কুমারের।
যদিও জেডিইউ-র পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, এই সিদ্ধান্ত প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে। ফলে রবিবার যদি বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে এনডিএ-তে ফের প্রত্যাবর্তন করেন নীতিশ কুমার, তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে 'ইন্ডিয়া' জোটের জন্য বড় ধাক্কা, তা বলাই বাহুল্য।
বিরোধী জোটের নাম ঘোষণা হয়েছিল মঙ্গলবার। এবার তার ট্যাগলাইনও (Tagline) ঘোষণা করা হল। জানা গিয়েছে, বিরোধী ঐক্যের ট্যাগলাইন ‘জিতেগা ভারত’ স্থির করা হয়েছে।কিন্তু এসবের মধ্যেই সামনে আসছে জোটের নাম নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে মতবিরোধের খবর।
বিরোধী জোটের তৈরির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাল কাটল। মঙ্গলবারই সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে জোট রাজনীতিতে নতুন নাম 'ইন্ডিয়া'-র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবে, তারপর ২৬ টি দলের সর্বসম্মতিতেই জোটের নাম ঠিক করা হয় । কিন্তু, এখন শোনা যাচ্ছে 'ইন্ডিয়া' নামে সবার নাকি সম্মতি ছিল না।
সূত্রের খবর, বিরোধিতা করেছিলেন স্বয়ং নীতীশ কুমার। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়েও নাকি কিছুটা অসন্তুষ্ট আরজেডি নেতা।কেন নাম নিয়ে আপত্তি ছিল নীতীশের? জানা গিয়েছে, তাঁর বক্তব্য ছিল, এনডিএ ও ইন্ডিয়া দুটি শব্দ প্রায় একই শোনাচ্ছে। পরে এক নেতা নীতীশ কুমারকে বোঝান যে মাঝে ‘আই’ অক্ষর রয়েছে। তারপরে তিনি রাজি হন।
এছাড়া আরও জানা গিয়েছে, নাম নিয়ে আগে থেকে নাকি কিছুই জানানো হয়নি নীতীশকে। বৈঠকে আচমকাই নামটি প্রকাশ করা হয়। এতেই চটে যান তিনি। আর এসবের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, বিরোধী জোট তৈরি হলেও, এখনও কি তাতে আশঙ্কার কালো মেঘ রয়ে গিয়েছে? সময়ই তার উত্তর দেবে।
প্রসূন গুপ্তঃ পাটনায় আজ গানের সুর 'কি হয় কি হয় কি জানি কি হয়' ছিল। ১৭টি বিজেপি বিরোধী দল শুক্রবার মিলিত হয়েছিল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের আহ্বানে। পাটনায় এই জমায়েতের মূল কান্ডারী নীতীশ বা তেজস্বী হলেও আদতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধেই দিল্লির জায়গায় পাটনায় এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন যদিও ১৭টি বিরোধী দলের তাবড় নেতারা। কিন্তু সকলের নজরে ছিল রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার দিকে।
দেখা যায় রাহুল নিজেই সকলের সঙ্গে সভার আগে কুশল বিনিময় করেন। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে দেখা যায় মমতার সঙ্গে হেসে কথা বলতে। এই বৈঠক আজ শুরু হলেও চলবে নাকি বছরভর। একেবারে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন অবধি জুলাইয়ে পরবর্তী বৈঠক।
সভায় মূল আলোচনা ছিল ভোট নিয়ে, কিন্তু একই সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থান থেকে বিভিন্ন দলের পিছনে সিবিআই বা ইডির ব্যস্ততা নিয়েও। দেখার বিষয় ছিল কেজরিওয়াল কি করেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কেজরিওয়াল এমন কিছু দাবি করেননি যা কিনা রাহুল বা কংগ্রেসকে ক্ষুন্ন হতে হয়। আবার পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও সিপিএম বা কংগ্রেসের তরফ থেকে আলাদা করে এমন কিছু প্রশ্ন তোলা হয়নি যা মমতাকে ক্ষুব্ধ করতে পারে।
একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলা যে সারা ভারতে সম্ভব নয়, তাও পরোক্ষ ভাবে আলোচিত হয়। কিন্তু পারদপক্ষে বেশিরভাগ আসনে যাতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী করা যায় তা নিয়েও ভাবনা চলেছে। কেরলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সিপিএম লড়াই করবে তা এক প্রকার সত্যি হলেও বাকি স্থানগুলিতে কি অবস্থান হবে তা নিয়েও আগামীতে আলোচনা হবে। সমস্যা থাকবে কিন্তু আপ পার্টি ও কংগ্রেসের মধ্যে সখ্যতার। তবে যায় হোক না কেন পরের বৈঠক অবধি সব দলই যোগাযোগ রাখবে অন্য দলের সঙ্গে।
প্রসূন গুপ্তঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ ছিল, বিরোধীদের বৈঠক হোক কিন্তু দিল্লিতে নয়, হোক পাটনায়। যেদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব নবান্নে এসেছিলেন সেদিনই এই প্রস্তাব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাছে রাখেন। পরে বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথা বলে মূলত নীতীশের আয়োজনে পাটনায় এই বৈঠক হচ্ছে।
এবারে প্রশ্ন, উপস্থিত থাকছেন কারা? গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি যাবেন না। দেখা গেল আগে না জানালেও অধিকাংশ অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই গরহাজির। পরদিন রবিবার ছিল নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন। সেখানেও বিরোধী ২০টি বিরোধী দল অনুপস্থিত ছিল। যুক্তি ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ না জানানো। যদিও বাহানা রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতি কিন্তু ওই ঘটনার মাধ্যমে একটা বিরোধী ঐক্য গড়াই ছিল মূল উদ্দেশ্য। একই সাথে ভারতের পদক জয়ী খেলোয়াড়দের গ্রেফতারির ঘটনাও তাঁদের নতুন তথ্য জোগান দিয়েছে।
বিরোধীদের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী কংগ্রেস যেমন জোট হওয়ার কাজে উদ্যোগ নিয়েছে, তেমন রয়েছে নীতীশের জেডিইউ, লালুর আরজেডি, জেএমএম, ডিএমকে, এনসিপি, শিবসেনা (উদ্ধব) ইত্যাদি। তবে কংগ্রেসের বিরোধী হলেও থাকছে তৃণমূল কংগ্রেস, আপ, তেলেঙ্গানার টিআরএস।
তবে কি বিজেপি একা। না তার অনেক সমর্থক এসে গিয়েছে যাদের ঠিক জোটসঙ্গী বলা যায় না। আছে বিজেডি, এআইএডিএমকে, শিরোমনি আকালি দল। অন্ধ্রের চন্দ্রবাবুর দল বা জগন্ময় রেড্ডির দলও রয়েছে মোদীর পাশে। মজার বিষয় এক সময়ের মোদী বিরোধী দেবেগৌড়ার দল জেডিএস সম্প্রতি কর্ণাটকের ভোটে খুবই খারাপ ফল করেছে, কাজেই তাদের কোনও পছন্দ নেই। সুতরাং রবিবারে আসবো না বলেও সংসদ ভবনের উদ্বোধনে তারা উপস্থিত ছিল।
২০২৪-এর নির্বাচনের আগে সাভারকরের জন্মদিনে সংসদ ভবন উদ্বোধন করে প্রকারান্তে আরএসএস-কে বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
পিচ নিয়ে ঘন হচ্ছে ইডেন (Eden) ও নাইটদের (KKR) যুদ্ধের মেঘ। পিচ নিয়ে পূর্বেই অভিযোগ এনেছিল নীতিশ রানা (Nitish Rana)। নীতিশের দাবি সব দল নিজেদের ঘরের মাঠে সুবিধা মতো পিচ বানাচ্ছে। একমাত্র কলকাতা সেই সুবিধা পাচ্ছে না। এমনকি নাইটদের দেওয়া হচ্ছে না পছন্দ মতো উইকেটও। লখনউ ম্যাচের আগে একথা জানানা কেকেআর অধিনায়ক নীতিশ রানা। যা নিয়ে কেকেআর এবং বঙ্গ ক্রিকেট দুই দলের মধ্যে তপ্ত হচ্ছে পরিবেশ।
আসলে, ইডেনের পিচ পেস সহায়ক। কিন্তু নাইটরা দল তৈরি করেছেন স্পিনারদের উপর ভরসা করে। ফলে ইডেনের পিচ থেকে তেমন কোনও সাহায্য পান না তাঁরা। আর তা নিয়েই রুষ্ট কেকেআর। তা বারবার প্রতিফলিত হয়েছে নীতীশের কথাতে।
তবে, নাইটদের এই অভিযোগ নিয়ে ইডেনের পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোনও দলের কথা শুনে পিচ তৈরি করতে বাধ্য নন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে।
ইডেনের পিচ পেস সহায়ক। কিন্তু নাইটরা দল তৈরি করেছেন স্পিনারদের উপর ভরসা করে। ফলে ইডেনের পিচ থেকে তেমন কোনও সাহায্য পান না তাঁরা। আর তা নিয়েই রুষ্ট কেকেআর। তা বারবার প্রতিফলিত হয়েছে নীতীশের কথাতে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বিরাট শাস্তি কলকাতার অধিনায়ক নীতীশ রানাকে। আইপিএলের গর্ভনিং বডি সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাই ম্যাচে মন্থর বোলিংয়ের অভিযোগে ২৪ লাখ টাকা ফাইন করা হয়েছে নীতীশ রানাকে। একইসঙ্গে ফাইন করা হয়েছে কেকেআরের বাকি ক্রিকেটারদেরও। তাঁদের প্রত্যেকের থেকে ৬ লাখ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার স্লো-বোলিং করার অভিযোগ কেকেআরের বিরুদ্ধে। প্রথমবার ১২ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছিল নীতীশের। নিয়ম অনুয়াযী, আরও একটি ম্যাচে স্লো-বল করলে একটি ম্যাচ নির্বাসিত হতে হবে রানাকে। রবিবার আইপিএলের শেষ ম্যাচ খেলবে কলকাতা।
রবিবার ১১ বছর পর চিপক ম্যাচ জিতেছে কলকাতা। কিন্তু সেই জয়ের স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। কারণ চেন্নাইয়ে ১৪৪ রানে রুখতে গিয়ে সময়ের বেশি সময় বল করেছেন কেকেআর বোলাররা। আর তাতেই নজিরবিহীন জরিমানা করা হয়েছে কেকেআর অধিনায়ককে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রথম বার মন্থর বোলিংয়ের জন্য ১২ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় বারের জন্য ২৪ লক্ষ টাকা ও তৃতীয় বার ভুল করলে এক ম্যাচ নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হয়। সেই শাস্তির মুখে এ বার নীতীশ।
রবিবার ইডেনে লখনউয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে কলকাতা। প্লে-অফে উঠতে হলে ওই ম্যাচ জিততে হবে কেকেআরকে। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট এখন কেকেআরের ঝুলিতে।
ইডেনে (Eden) ম্যাচ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন কেকেআর (KKR) অধিনায়ক নীতিশ রানা (Nitish Rana)। নীতিশ রাণার ব্যাট থেকে এসেছে একটি মূল্যবান ইনিংস। কিন্তু ম্যাচ জিতিয়ে জরিমানার মুখে কেকেআর অধিনায়ক। ম্যাচ ফি-র টাকা ফাইন হবে তাঁর। সোমবার প্রথম ব্যাট করে পাঞ্জাব সুপার কিংস তোলে ১৭৯ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেন ওপেনার জুটি। তবে একটা সময় পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কেকেআর। পরে নীতিশ শক্ত হাতে ম্যাচ ধরে, পরে অবশ্য রাসেল ও রিঙ্কুর দাপটে ম্যাচ জেতে কেকেআর।
কিন্তু ম্যাচ জয়ের আনন্দের মধ্যেই আসে খারাপ খবর। দলের স্লোওভার রেটের জন্য জরিমানা করা হল নাইট অধিনায়ক নীতিশকে। জানা গেছে, ১২ লাখ টাকা দিতে হবে তাঁকে জরিমানা বাবদ। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি আইপিএলে এটা যেহেতু প্রথম ভুল তাই ১২ লাখ জরিমানা করা হয়েছে। পরে যদি একই ভুল হয়, সেক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়বে।
আইপিএলে এই মরশুমে স্লোওভার রেটের কারণে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিকে জরিমানা দিতে হয়েছে। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন নীতিশও।
সোমবার কেকেআরের কাছে একদিকে যেমন ছিল পাওয়ার প্লে-র লড়াইয়ে টিকে থাকার ম্যাচ, তেমনই ছিল প্রতিশোধের। প্রথম লেগে পাঞ্জাবের কাছে হেরেছিল কেকেআর। ঘরের মাঠে সেই হারের বদলা নিল তারা।
বিহারেই হোক বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের বৈঠক। নীতীশ-তেজস্বীকে পাশে বসিয়ে এই প্রস্তাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে ছোট একটা বৈঠক তারপরে সবাই মিলে বসে একটা বার্তা দেওয়া যে বিজেপি-বিরোধী সব দল এক। এভাবেই বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনে উদ্যোগী হয়ে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই সময় তাঁর পাশে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং ডেপুটি সিএম তেজস্বী যাদবকে।
তিনি জানান, 'বিজেপি খুব বড় হিরো হয়ে গিয়েছে, আমি চাই ওরা জিরো হয়ে যাক। নীতীশজি সবার সঙ্গে কথা বলছে, আমিও বলছি। সবাই মিলে বসে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবো।' এদিকে জোট ফর্মুলা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের মিশন, ভিশন পরিষ্কার। সবাই মিলে একসঙ্গে বসুক, তারপর সিদ্ধান্ত নেবো।'
নবান্নে হওয়া এই বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, 'পরবর্তীকালে কারা কারা জেলে যাবে, জেলে গেলে তারপর কী হবে, সেসব নিয়ে বৈঠক।' সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'বিরোধীরা একজোট হতে চাইছে, এই সমীকরণে তৃণমূল কংগ্রেস নেই। আদানি-কাণ্ডে তৃণমূলের প্রতিবাদ দেখা যায়নি। এছাড়া দুই পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একে অপরের সঙ্গে দেখা করতেই পারে।'
প্রসূন গুপ্ত: বিজেপি বিরোধী জোট করতে তৎপর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি হঠাৎ কেন এতটা উৎসাহী, এই নিয়ে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। সোমবার তিনি এলেন নবান্নে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করতে। বৈঠক একেবারেই একান্তে। অন্যদিকে কংগ্রেস চেষ্টা করছে বিজেপি-বিরোধী জোটকে একত্রিত করতে। একটা সুবিধা কংগ্রেসের আছে, তাদের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ বিহারে আরজেডি-জনতা দল(ইউ)-এর সঙ্গে জোট। ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-র সঙ্গে জোট, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র সঙ্গে, মহারাষ্ট্রে উদ্ধব শিবসেনা ও এনসিপির সঙ্গে জোট।
তবে উত্তর প্রদেশে অখিলেশ যাদব এবং বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যেতে অনীহা। হাত শিবিরের যোগ দিতে অনীহা তেলেঙ্গানার টিআরএস, আপ পার্টিরও। এদের সমস্যা অনেক ১) মোদী বিরোধিতার জায়গা থাকলেও কংগ্রেসকে অপছন্দ ২) প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে? ৩) জোট হলে আসন সমঝোতা করতে নারাজ অনেকেই। পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর ভারত যাত্রা বেশ কিছুটা সার্থক হলেও রাহুল নিজে বিরোধী নেতা হতে চাইছেন না। তাঁরা তুলে ধরছেন মালিকার্জুন খাড়গেকে। তিনি দলিত নেতা কাজেই গ্রহণযোগ্যতা নাকি তাঁরই বেশি। এই হয়তো-নয়তো নিয়ে রাজনীতে কতটা সার্থকতা আসে তাই প্রশ্ন বিশেষজ্ঞ মহলে।
তবুও শরদ পাওয়ারের মত প্রবীণ নেতা মনে করেন যে বিরোধী জোটে মমতাকে দরকার, দরকার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। ফলে অভিজ্ঞ নীতীশ কুমার ময়দানে নেমেছেন। আজ যেমন তিনি মমতার মুখোমুখি তেমনি কলকাতার পরে তিনি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে নিয়ে লখনৌ যাচ্ছেন সমাজবাদী দলের সঙ্গে কথা বলতে। এটা বাস্তব জওহরলাল নেহেরুর পরে টানা তিনবার কেউ বা কোনও দল দিল্লির মসনদ ধরে রাখতে পারেনি। পারাটাও কঠিন কারণ ত্রুটি থাকবেই কাজে এবং তাকে কেন্দ্র করে বিরোধী হাওয়া ওঠে। এটা বাস্তব আজকেও এত সমস্যার পরেও নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা যথেষ্ট ভাল। কিন্তু সবটাই ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায় চলে না।
যদিও উচ্চাকাঙ্ক্ষী নীতীশের দীর্ঘদিনের নজর দিল্লির মসনদ। এদিকে, মোদী মন্তব্যর জেরে রাহুল গান্ধীর জেল যাত্রা প্রায় নিশ্চিত। যদি সত্যি সেরকম কোনও ঘটনা ঘটে, তবে টেনিস খেলার ভাষায় বলতেই হবে 'অ্যাডভান্টেজ রাহুল'।
মঙ্গলবার নয় বৈঠক হবে সোমবার। রবিবার রাতে নবান্ন সূত্রে খবর মঙ্গলবার নয় সোমবার কলকাতায় আসছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন সোমবার দুপুর ২ টোয়। সূত্রের খবর, বিরোধীদের এক জোট করার কাজ কোনওভাবেই পিছাতে চাইছেন না কোন রাজনৈতিক দলই।
মমতা নয় শুধু বিরোধী জোটকে এক করার চেষ্টা জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। সেজন্যই কি সোমবার বৈঠকে বসতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সূত্রের খবর, সোমবার দুপুর ২ টোর সময় বৈঠকে বসবেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বলাই বাহুল্য এই বৈঠকের প্রসঙ্গ হতে পারে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। হাতে মাত্র এক বছর।
সূত্রের খবর, সোমবার দুপুর ২টোয় রাজ্যের প্রশাসনিক দফতর নবান্নে বৈঠকে বসবেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে এখনও কিছু জানা না গেলেও, বিরোধী জোট নিয়েই দুই রাজনীতিকের আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ঘটনাচক্রে সোমবারই লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা নীতীশের।
মমতা নয় শুধু বিরোধী জোটকে এক করার চেষ্টা জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar Chief Minister) নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar)। সেজন্যই কি মঙ্গলবার বৈঠকে বসতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে? সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ২ টোর সময় বৈঠকে বসবেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বলাই বাহুল্য এই বৈঠকের প্রসঙ্গ হতে পারে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। হাতে মাত্র এক বছর।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় রাজ্যের প্রশাসনিক দফতর নবান্নে বৈঠকে বসবেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে এখনও কিছু জানা না গেলেও, বিরোধী জোট নিয়েই দুই রাজনীতিকের আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, সোমবারই লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা নীতিশের।
সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন নীতিশ। রাজধানীতে দাঁড়িয়ে নীতিশ জানিয়েছিলেন, বিরোধী জোট গঠনের উদ্দেশ্যে তিনি সব নেতানেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। ওই সফরে নীতিশের সঙ্গে দেখা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। বিরোধী জোট নিয়ে বাম নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও কথা বলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
তবে সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় আলাদা করে উল্লিখিত হয় মমতা এবং অখিলেশের কথা। কারণ বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে তাঁদের অবস্থান সুস্পষ্ট হলেও বিরোধী জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূল এবং সপা। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পর অবশ্য খড়্গের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠায় তৃণমূল। ইদানীং বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে এক হওয়ার বার্তা দিতে দেখা যাচ্ছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও। তিনি বহুবার জানিয়েছেন, বিরোধী দলগুলি এক হলে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে না।
বিহারে (Bihar) বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জন। এবার বিষমদ-কাণ্ডে নির্দিষ্ট শর্তাধীনে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। বিহারে বিষ মদ খাওয়ার ঘটনা এর আগেও শোনা গিয়েছে। সম্প্রতি সে রাজ্যের চম্পারণ জেলায় বিষাক্ত মদ খেয়ে মারা যান ২৬ জন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২০১৬ সালে বিহার সরকার রাজ্যে মদ বিক্রি এবং মদ্যপানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপরেও অবশ্য মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো যায়নি। সোমবার, নীতীশ সংবাদমাধ্যমকে বিষমদ-কাণ্ড নিয়ে বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা মৃতদের পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে গেলে শর্ত মানতে হবে। মৃতদের পরিবার যদি লিখিতভাবে জানায়, তারা বিহার সরকারের মদ বাতিলের সিদ্ধান্তের পক্ষে, তবেই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।'
হারের জন্য নিজেদের ব্যাটিং ও বোলিংকে দুষলেন কেকেআর (KKR) অধিনায়ক (Cptain) নীতীশ রানা (Nitish Rana)। শুক্রবারের হারের পর সাংবাদিকদের জানালেন, 'রিঙ্কু কি রোজ রোজ ম্যাচ জেতাবে নাকি!' ঘরের মাঠে জয়ের হ্যাটট্রিক হয়নি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২৩ রানে হারতে হয়েছে নীতীশ রানাদের। প্রথমে ব্যাট করে ২২৮ রান করেছিল হায়দরাবাদ। অনেক চেষ্টা করলেও সেই রান তাড়া করতে পারেনি কলকাতা। অর্ধশতরান করেছেন দলের অধিনায়ক নীতীশ ও রিঙ্কু সিং। কিন্তু আগের ম্যাচের অবিশ্বাস্য জয় এই ম্যাচে দেখা যায়নি। ম্যাচ হারার পরে নীতীশকে প্রশ্ন করা হয় রিঙ্কুর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। তারপরেই এমন মন্তব্য করেন অধিনায়ক নীতিশ রানা।
খেলা শেষে নীতীশকে প্রশ্ন করা হয় যে, রিঙ্কুকে কি ব্যাটিং অর্ডারে আরও উপরে নামানো উচিত ছিল? বিশেষ করে যেখানে আন্দ্রে রাসেল এত খারাপ ছন্দে রয়েছেন। এই প্রশ্ন শুনে খানিক বিরক্ত হন নীতীশ। তিনি বলেন, ‘২৩০ রান তাড়া করা সহজ নয়। সেটা যে মাঠেই হোক না কেন। আর রোজ রোজ তো রিঙ্কু আমাদের জেতাবে না। ১০ দিনে এক দিন ওর ওই ইনিংস দেখা যাবে। রোজ রোজ না।’ নীতীশ আরও বলেছেন, ‘আমরা ভাল ব্যাট করেছি। শেষ পর্যন্ত খেলা নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। ২০০ রান যে হবে সেটা মনে হয়েছিল। কিন্তু আরও অনেক বেশি রান হয়ে গেল। বোলারদের আরও ভাল বল করা উচিত ছিল।’