সাড়ে নয় ওভার। ৫৭ রান। সাত উইকেট। বাংলার মহম্মদ শামির এই স্বপ্নের স্পেলে ১২ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। এই সাত উইকেটে মধ্যে তাঁর সবচেয়ে বড় শিকার কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। যেখান থেকে মুম্বইয়ে ঘুরে গেল ম্যাচ। তাই ম্যাচের সেরা হয়ে শামি জানালেন, জায়গায় বল রেখেছিলেন, সফল হলেন। এবার তাঁর টার্গেট বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখা। অপেক্ষা করছে আমেদাবাদ।
এই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করেছিলেন বাংলার এই স্পিডস্টার। আগের দুটি ম্যাচ বাইরে থাকার পর ধর্মশালায় প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছিলেন। সেই শুরু। তার এই বিশ্বকাপে বাকিটা ইতিহাস। বিলেতের মাটিতে যেখানে শুরু করেছিলেন, পাহাড় কোলে যেন ঠিক সেখান থেকেই ছুটেছেন।
তাই আমেদাবাদে এখন দ্রুত পৌঁচ্ছতেই চাইছেন বাংলার এই বোলার। শামি মনে করেন, জীবনে একবারই আসে বিশ্বকাপকে ছুঁয়ে দেখার। কে জানে কাল হো না হো!
শ্রেয়স ও বিরাটের জোড়া সেঞ্চুরিতে সেমিতে নিউজিল্যান্ডের সামনে পাহাড় সমান লক্ষ্যমাত্রা ভারতের। ২০১৯ এর পর ২০২৩এ ভারত ফের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি। টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রোহিত। কথামত ভালো শুরু করে রোহিত। ভালো সঙ্গ দেয় গিল। রোহিত ৪৭ রানে আউট হলে ব্যাট করতে আসে রোহিত। এরপর গিল পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে মাঠে আসে শ্রেয়স। এরপর শ্রেয়স ও বিরাট জোড়া সেঞ্চুরির উপর বড় করে ৫০ ওভারে ৩৯৭ রান করে ভারত। অর্থাৎ নিউজিল্যান্ডের সামনে ৩৯৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিল ভারত।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে, প্রথম থেকেই রণমূর্তি ছন্দে খেলতে শুরু করে রোহিত। একেরপর এক. রোহিত আউট হলে গিল, গিলের পর বিরাট, বিরাটের পর শ্রেয়স। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং ফর্মের ছবি ফুটে উঠল ভারতের ব্যাটিংয়ে। একদিকে রোহিত করে ৪৭ রান, বিরাট করে ১১৭ রান, শ্রেয়স করে ১০৫ রান, গিল নট আউট ৮০ রানে। ওদিকে রাহুল ২০ বলে ৩৯ রানে নট আউট। বলের দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তেমন ভালো কেউই করতে পারে নি। বোল্ট ১০ ওভারে ৮৬ রান দিয়ে ১ টি উইকেট পায়। অন্যদিকে ১০ ওয়াভরে ১০০ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট পায় সাউদি।
রোহিত আগেই জানিয়েছিল ইতিহাস তৈরী করতে চান। এ অবস্থায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের সেমিতে নেমেছে ভারত। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
ভারতের প্রথম একাদশ:
রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ
নিউজিল্যান্ডের প্রথম একাদশ:
ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন, ড্যারিল মিচেল, টম ল্যাথাম (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান, মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট
ম্যানচেস্টারের বদলা কোন পথে ? মুম্বইয়ে প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে এখন এটাই আলোচনা ভারতীয় ড্রেসিং রুমে। রোহিতদের হেড স্যর রাহুল দ্রাবিড়ের মাথায় এখন তিনটি বিষয় ঘুরঘুর করছে। এক, ব্যাটিং শক্তিকে আরও মজবুত করা। দুই ম্যানচেস্টারের স্মৃতি প্রতিটি ক্রিকেটারের মাথা থেকে মুছে ফেলা। আর তিন মাঠের মধ্যে আরও দৃঢ় হওয়া।
এই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত স্বপ্নের ক্রিকেট খেলেছেন রোহিত শর্মারা। সেটা বিশ্বাস করেন খোদ রাহুল দ্রাবিড়ও। তবুও মুম্বই ম্যাচের আগে বাড়তি কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ তিনি। কারণ, ধর্মশালায় কিউইদের হারালেও, ওই ম্যাচে ভারতকে জিততে খানিকটা ঘাম ঝড়াতে হয়েছিল। দ্রাবিড় মানছেন, উইলিয়ামসন দলে আসায় মুম্বইয়ে আরও শক্তিশালী কিউইরা।
এই শক্তি পরীক্ষাতেই নিজেদের উজার করে দিতে চান ভারতীয়রা। ছত্রিশ বছর পর ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে ভারত। ১৯৮৭ সালে এই মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রিলায়েন্স কাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল কপিল দেবের ভারত। ৩৬ বছর পর বিদায় নয়, রোহিত শর্মাদের টার্গেট সোজা আমেদাবাদ।
শ্রীলঙ্কাকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে হারাল নিউজিল্যান্ড। ১৬০ বল বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় কিউয়ি ব্রিগেড। এই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠার পথ মসৃণ করলেন কেন উইলিয়ামসনরা। পয়েন্ট টেবিলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরেই থেকে গেলেন তাঁরা। চাপ বাড়ল পাকিস্তানের।
এদিন চিন্নাস্বামীকে টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন ও রচিন রবীন্দ্রের বোলিং আক্রমণের সামনে দাঁড়াতে পারেন শ্রীলঙ্কা। কুশল পেরেরার ৫১ রান ও থিকশানার ৩৮ রানের ইনিংসে ১৭১ রান তোলে তাঁরা।- ৩ উইকেট তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট।
এদিন এত অল্প রান তাড়া করতে নেমেও উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রচিন রবীন্দ্র ৪৫ ও ৪২ রান করেন। অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে ১৪ রানে বোল্ড করে ফেরান ম্যাথিউজ। কিন্তু ৩১ বলে ৪৩ রান করেন ড্যারিল মিচেল। ম্যাচ শেষ করে আসেন গ্লেন ফিলিপস ও টম লাথাম।
বিশ্বকাপ জমিয়ে দিল বেঙ্গালুরুর বৃষ্টি। সেইসঙ্গে ফখর জামানের ব্যাট। শনিবার নিউজিল্যান্ডকে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ২১ রানে হারিয়ে দিল পাকিস্তান। ৮১ বলে ১২৬ রান করে অপরাজিত ফখর।
কিউইদের ৪০২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বৃষ্টির জেরে দফায় দফায় বন্ধ হয় পাক ইনিংস। সাড়ে ২৫ ওভারে ম্যাচ পণ্ড বলে ঘোষণা করা হয়। সেইসময় পাকিস্তানের স্কোর ছিল এক উইকেট ২০০ রান। এর আগে বৃষ্টির জেরে পাকিস্তানকে ৪১ ওভারে রান তাড়া করতে হত।
এই জয়ের ফলে আট ম্যাচে এখন পাকিস্তানের আট পয়েন্ট। আফগানিস্তানকে হটিয়ে এখন আবার তাঁরা পাঁচ নম্বরে। কিন্তু সেমিফাইনালে উঠতে হলে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি উপরের চারটি দলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বাবর আজমদের। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের দিকেই বেশি করে তাকাতে হবে পাকিস্তানকে।
গ্রুপের নিউজিল্যান্ড শেষ ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। পাকিস্তান তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। যদি দু দলই এই ম্যাচ জেতে, তখন পাকিস্তানকে অপেক্ষা করতে হবে রানরেটের জন্য। যদিও নিউজিল্যান্ড হারলেই যে সমস্যা শেষ তা নয়। কারণ, বাবরদের নির্ভর করতে হবে আফগানিস্তানের জেরা-হারার উপরেও।
বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউজিল্যান্ডকে ১৯০ রানে হারিয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে চলে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুইয়ে নেমে গেল টিম ইন্ডিয়া। জোড়া সেঞ্চুরির পর একাই ৪ উইকেট নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার কেশভ মহারাজ। ৩ উইকেট মার্কো জেনসেনের। ১৬৭ রানে শেষ নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম। কিন্তু পুনের পিচে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক ও ভ্যান্ডার ডাসেন সেঞ্চুরি করেন। ১১৪ রান করেন ডি কক। ১৩৩ রানের ইনিংস আসে ভ্যান্ডার ডাসেনের ব্যাটে। ৫৩ রান মিলারেরও।
ব্যাট করতে নেমে ভেঙে পড়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপ। ৫০ বলে ৬০ রান করেন একমাত্র কিউয়ি ক্রিকেটার গ্লেন ফিলিপস।
পাহাড় কোলে থ্রিলার। নিউজিল্যান্ডকে পাঁচ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে শেষ চারে ওঠার রাস্তা আরও মসৃণ করল অস্ট্রেলিয়া। ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়ার ৩৮৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে কিউইদের ইনিংস শেষ হল ৩৮৩ রানে। জলে গেল রচিন রবীন্দ্রর ৮৯ বলে ১১৬ রানের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি উইকেট অ্যাডাম জাম্পার। দুটি করে উইকেট হ্যাজেলউড এবং প্যাট কামিন্সের।
এই বিশ্বকাপ এখনও পর্যন্ত সুপার ওভার দেখেনি। শুক্রবার চিপক আর শনিবার ধর্মশালা, সেই পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। কিন্তু শেষ ওভারে জিমি নিসাম রান আউট হতেই ম্যাচের ভাগ্য পরিষ্কার হয়ে যায়। বিশ্বকাপে ভারতের পর ধর্মশালায় এবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারল কিউইরা।
এই জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে আট পয়েন্ট অস্ট্রেলিয়ার। পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে রয়েছে তারা। এরআগে ব্যাট করতে নেমে বিরাটের রেকর্ড ভেঙেছিলেন ওয়ার্নার। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে শতরান করেছিলেন ট্রাভিস হেড।
গত বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্টের ম্যাচ দিয়েই শুরু তেইশের বিশ্বকাপ। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হতে চলেছে ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ, ক্রিকেট বিশ্বে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই বাড়ছে। সূত্রের খবর, এবছর বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হচ্ছে না। এদিন ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম ম্যাচ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
২০১৯ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে এই দুটো দলই খেলতে নেমেছিল। যদিও ভারতবাসী মুখিয়ে রয়েছে ১৪ তারিখের জন্য। ওইদিন ওই স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে ভারত বনাম পাকিস্তান। ২০২৩-এর বিশ্বকাপে মোট ১০টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে এবং আজ অর্থাৎ পাঁচই নভেম্বর থেকে 19 টি রাজ্যের মোট দশটি মাঠে 48 টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
ওদিকে আজ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছে নিউজিল্যান্ড। সূত্রের খবর, টসে জিতে প্রথমে বল করার সিধান্ত নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। পাশাপাশি প্রথম ম্যাচে খেলছেন না নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত প্লেয়ার উইলিয়ামসন।
ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) পর এবার নিউজিল্যান্ডে (New Zealand) ভয়াবহ ভূমিকম্প (Earthquake)। সোমবার ভোর ৬টা ১১ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলের কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। সঙ্গে সঙ্গে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। নিউজিল্যান্ডের কারডেক দ্বীপে এই তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে।
সোমবার ভোর ৬টা ১১ মিনিট নাগাদ অনুভূত হয় কম্পন। কারমাডেক দ্বীপের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎস্যস্থল। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সে কারণে নিউজিল্যান্ড সহ কারমাডিক দ্বীপের বাসিন্দাদের সমুদ্রের পাড়ে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে ইন্দোনেশিয়ায় তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.১। আতঙ্কিত হয়েছিলেন বাসিন্দারা। যদিও হতাহতের তেমন খবর পাওয়া যায়নি। সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি। তবে ভূমিকম্পের তীব্রতায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। ঠিক তার পরের দিন আবার নিউজিল্যান্ডে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প অনুভূত হল।
এদিকে, ভারতের মেঘালয়ের দক্ষিণ গারো পাহাড়ে অনুভূত হয়েছে মৃদু কম্পন। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৫। সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ অনুভূত হয় কম্পন। গত কয়েক মাস ধরেই এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে ভূমিকম্প হয়ে চলেছে।
ইন্দোনেশিয়ার পর এবারে ফের জোরালো কম্পনে কেঁপে উঠল নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৭.২। ভারতীয় সময় অনুসারে, সোমবার সকাল ৬টা ১১ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হয়। এর পাশাপাশি ভূমিকম্পের ফলে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা।
Earthquake of Magnitude:7.2, Occurred on 24-04-2023, 06:11:52 IST, Lat: -29.95 & Long: -178.02, Depth: 10 Km ,Location: Kermadec Islands, New Zealand for more information Download the BhooKamp App https://t.co/QrBjJKkycR @ndmaindia @Indiametdept @Dr_Mishra1966 @DDNewslive pic.twitter.com/UlboEhMhEf
— National Center for Seismology (@NCS_Earthquake) April 24, 2023
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের কারমাডেক দ্বীপপুঞ্জে এই তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। কারমাডেক দ্বীপের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। তবে এই ভূমিকম্পের ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা বা হতাহতের সংখ্যা কত ,তা এখনও জানা যায়নি। তীব্র মাত্রায় কম্পনের ফলে এলাকায় ইতিমধ্যেই সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবারই ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.১। আর সোমবার ফের ভূমিকম্প হল নিউজিল্যান্ডে। সেকারণে নিউজিল্যান্ড সহ কারমাডেক দ্বীপের বাসিন্দাদের সমুদ্রের পাড়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
স্কুলে টিফিন চলাকালীন অস্বাভাবিক মৃত্যু (Death) এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে নিউজিল্যান্ডের একটি প্রাথমিক স্কুলে (School)। ইতিমধ্যেই মৃত শিশুর বাবা-মা স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে, মৃত ওই শিশুর নাম পিয়ের লুই (৫)। নিউজিল্যান্ডের একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল লুই। স্কুলের ক্লাস শেষে বন্ধুদের সঙ্গে টিফিন করতে যায় লুই। বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলের মাঠে খেলাও করে সে। খেলা করতে করতে হঠাৎই লুই মাঠের মধ্যে শুয়ে পড়ে। এই অবস্থায় স্কুলের শিক্ষকরা দূরে দাঁড়িয়ে ভেবেছিলেন লুই বোধহয় মশকরা করছে। যায় ফলে তাঁরা লুইকে তুলতে এগিয়ে যাননি।
সূত্রের খবর, বেশ অনেকক্ষণ ধরেই মাঠে শুয়ে ছিল লুই। যার ফলে সন্দেহ হয় স্কুলের শিক্ষকদের। তাঁরা ছুটে গিয়ে দেখেন লুইয়ের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা চিকিৎসককে খবর দিলে চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও ময়নাতদন্তের পরই লুইয়ের মৃত্যুর কারণ জানা যায়। ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’-এর কারণেই মৃত্যু হয় শিশুর। তবে চিকিৎসকের মতে, দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলে হয়তো বাঁচানো যেত ওই শিশুকে।
লুইয়ের পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার দিন লুই তার বাবার সঙ্গে স্কুলে যায়। লুইয়ের আগে থেকে অসুস্থতার কোনও লক্ষণ দেখেননি বাবা-মা। এমনকি লুই স্কুলে গিয়ে দুটো ক্লাসও করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লুইয়ের পরিবার অভিযোগ তুলেছে স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
মদের নেশা ভয়ংকর নেশা। রোজ রাতে এক পেগ লাগতো (alcohol)। আর গত কয়েকমাস ধরে এটাই হয়ে গিয়েছিল নিউ জিল্যান্ডের (New Zealand) কোকোর (Coco) রুটিন। বর্তমানে সে একটি অ্যানিমাল রেসকিউ সেন্টারে চিকিৎসাধীন। এখন ভাবছেন নিশ্চই পশু চিকিৎসালয়ে কেন চিকিৎসাধীন? আসলে কোকো হলো দু'বছরের ল্যাবরেডর (Laborador)। শুনে অবাক হওয়ারই কথা। নেশা (Addiction) মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে কোকোর। এই ধরনের ঘটনা সত্যি নজিবিহীন। কিন্তু, কীভাবে মদে আসক্ত হয়ে পড়ল এই পোষ্য সারমেয়টি?
গল্পের সূত্রপাত মালিকের থেকে। জানা গিয়েছে, মালিক নিজে রোজ সুরাপান করতেন। আর মদ খাওয়ার পর কিছুটা পড়ে থাকত গ্লাসে। একদিন কৌতুহলবশত সেই ফেলে রাখা মদ চেখে দেখে কোকো। তারপর থেকে রোজ কেবল অপেক্ষা করে থাকত কখন তার মালিক গ্লাস রেখে ঘুমোতে যায়। যেই মালিক শুয়ে পড়ত,তখনই চুপিসারে এসে মনের আনন্দে বাকি মদ খেয়ে নিত।
এরপর একদিন আচমকাই মৃত্যু হয় কোকোর মালিকের। কেউ দেখার ছিল না বলে কোকো ও আরও একটি কুকুরকে অ্যানিম্যাল রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। প্রথম থেকেই কোকোর ব্যবহারে অসঙ্গতি পেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সমস্যাটা কোথায় বুঝে উঠতে পারছিলেন না। পরে বুঝতে পেরে কোকোর নেশা মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেন তাঁরা। গত চার সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রিহ্যাবে রয়েছে সে। কোকোর সঙ্গে থাকা অপর কুকুরটির মৃত্যু হয়। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোকো এখন পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে। কোনও পরিবার দত্তক নিতে চাইলেও নিতে পারে।
প্রসূন গুপ্ত: আহমেদাবাদ টেস্ট ড্র, এই ভবিষ্যৎবাণী এই মুহূর্তে ছোট বাচ্চাও করে দিতে পারবে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে শেষ টেস্ট অমীমাংসিত শেষ করেও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত। নেপথ্যে বরুণ দেবের কৃপাদৃষ্টি। বিশ্বের এক গোলার্ধে রোদের তেজ যখন শরীরে নেওয়া দায়, তখন অপর গোলার্ধে প্রবল বৃষ্টি। কথা হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের। এই টেস্টে কিউইদের বাগে পেয়েও ম্যাচ পকেটে পুড়তে পারেনি শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টির কারণে প্রায় ৪ ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকায় অ্যাডভান্টেজ পায় কিউইরা। আর সেই অ্যাডভান্টেজকে কাজে লাগিয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজদের পরাস্ত করেন কেন উইলিয়ামসনরা।
আর শ্রীলঙ্কার কপাল পুড়লেও শিকে ছিঁড়ল ভারতের। আহমেদাবাদ টেস্ট শুরুর আগে ভবিষ্যৎবাণী ছিল জেতা অবশ্যম্ভাবী ভারতীয় দলের। কারণ জিতলেই জুন মাসে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে লন্ডনে উড়ে যাবেন রোহিত, বিরাট, শুভমন গিলরা।
ইতিমধ্যে পয়েন্টের নিরিখে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে চলে গিয়েছে। দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট হিসেবে দৌড়ে ছিল শ্রীলঙ্কা অথবা ভারত। ইন্ডিয়া এই টেস্ট জিতলেই সরাসরি ফাইনালে চলে যেত। হারলে সমস্যা ছিল নিশ্চিত, কিন্তু ড্র করলে তাকিয়ে থাকতে হতো নিউজিল্যান্ডের দিকে। সেই তিন নম্বর সম্ভাবনাই সত্যি করে লন্ডনের বিমানের টিকিট পাকা রাহুল দ্রাবিড়ের দলের।
এবার প্রশ্ন হলো এই গাভাসকার-বর্ডার টেস্ট সিরিজ থেকে প্রাপ্তি কী? প্রথমত বলতেই হয়, জেদাজেদিতে আগের তিন টেস্টে এমন উইকেটে হয়েছে যাকে ক্রিকেটের পরিভাষায় বলে আন্ডার প্রিপেয়ার্ড উইকেট। ঝুরঝুরে উইকেট, যেখানে আগের টেস্টগুলি তিনদিনের মধ্যে শেষ হয়েছে। ব্যাট হাতে ক্রিকেটাররা রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছে। ব্যাটিংয়ের পরিবেশ ছিল না। প্রথম দিন থেকেই দুরন্ত ঘূর্ণির এই লেগেছে পাকের মতো স্পিনারদের বল ব্যাটারদের কাহিল করেছে।
প্রাপ্তি একমাত্র প্রথম টেস্টে অধিনায়ক রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি। কিন্তু ইন্দোর টেস্টের পিচ তৃতীয় টেস্টে বুমেরাং হয়েছে ভারতের। নির্মম ভাবে পরাজিত হতে হয়েছিল রোহিতদের। দুই দলই দল গঠন করেছিল স্পিনার নিয়ে। কে কবে শুনেছে অস্ট্রেলিয়া তিন স্পিনার নিয়ে খেলছে!
শেষ টেস্টে ওই স্ট্র্যাটেজি থেকে সরে আসে ভারত। আহমেদাবাদ টেস্টের জন্য পিচ একেবারে ব্যাটারদের উপযুক্ত করে খেলতে নামে ভারত। ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ফল করে দুই দল। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার উসমান খোওয়াজা ও ক্যামেরন গ্রিনের সেঞ্চুরি-সহ অস্ট্রেলিয়ার ৪৮০ রান করে। প্রথম ইনিংস ভারতের শেষ হয় ৫৭১ রানে। ওপেনার শুভমান গিল দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন, সবাইকে ছাপিয়ে ৩ বছর বাদে টেস্টে বিরাটও সেঞ্চুরি করেন। ভিকে-র অসাধারণ ১৮৬-র এক ইনিংসের উপর ভর করে খেলে ভারতের ইনিংস ৫৭১-এ শেষ হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে পিচে সময় কাটায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ২-১-এ সিরিজ জিতে ট্রফি যায় ভারতের ঝুলিতে।
বিরাট শাস্তি পেল ভারতীয় ক্রিকেট দল (India Cricket Team)। হাড্ডাহাড্ডি প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে (New Zealand) পরাস্ত করেছে ভারত। এই ম্য়াচে ভারতের কাছে বড় পাওনা ওপেনার হিসেবে দ্বিশতরান করা শুভমান গিল। সব আনন্দের মাঝেও বড় জরিমানার মুখে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ব্রিগেড। স্লো-ওভার রেটের (Slow Over Rate) কারণে জরিমানার কবলে টিম ইন্ডিয়া। ফলে শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে বিপাকে ভারতীয় শিবির।
প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৩৪৯ রান করে। ৮ উইকেটে হারিয়ে এই রান তোলে। এই ম্যাচে ভারত জিতলেও বিপুল জরিমানা। ভারতকে তাদের ম্যাচ ফি-র ৬০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। স্লো ওভার রেটের জন্য জরিমানা করা হয়েছে। তিন ওভার দেরিতে করার জন্য এই জরিমানা। জাভাগাল শ্রীনাথের নেতৃত্বাধীন ম্যাচ রেফারির কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি সময় নিয়ে কড়াকড়ি করছে আইসিসি।
উল্লেখ্য, আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের ২.২২ ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোলিং কোটা পূর্ণ করতে না পারলে প্রতি ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য ম্যাচ ফি'র ২০ শতাংশ হারে জরিমানা করা হয় সংশ্লিষ্ট দলকে। এক্ষেত্রে দল ৩ ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য ২০ শতাংশ হারে মোট ৬০ শতাংশ করে ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের।