মনের ভক্তি ও ইচ্ছা শক্তিতে নিজের হাতে ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের রামায়ণের গোটা চিত্র তুলে ধরেছেন তাঁত শাড়িতে। প্রায় এক বছর সময় ধরে একটির পর একটি সুতো দিয়ে নিখুঁতভাবে গোটা রামায়ণের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁত শাড়িতে রানাঘাট থানার হবিবপুর রাঘবপুর মাঠপাড়ার বাসিন্দা হস্তচালিত তাঁতশিল্পী পিকুল রায়।
সেই শাড়ি অযোধ্যার রামমন্দিরের রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন ভগবান সীতা মায়ের চরণে অর্পণ করতে চান শিল্পী পিকুল রায়। আগামী ২২ তারিখে অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। সেই দিনের উদ্দেশেই হবিবপুর স্টেশন থেকে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে ট্রেনে রওনা তাঁতশিল্পী পিকুল রায়ের। তিনি সঙ্গে নিয়েছেন হাতে তৈরি রামায়ণের গোটা চিত্র ফুটিয়ে তোলা তাঁত শাড়ি। ভাইয়ের এই মহৎ কাজে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন দাদা অনন্ত রায়। তাই ভাইকে সঙ্গ দিতে ভাইয়ের সাথে দাদা অনন্তও অযোধ্যায় রওয়ানা দিয়েছেন। তিনি জানালেন, অযোধ্যার রামমন্দিরের তরফ থেকে তেমন কোনও সাড়া মেলেনি। অযোধ্যা মন্দিরের তরফে কোনও সাড়া না মিললেও, মনের ভক্তির বলেই সেই ইচ্ছাপূরণের জন্যই অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা। তবে পিকুল রায় ও দাদা অনন্ত রায়ের অযোধ্যায় যাওয়ার খবর জানাজানি হতেই গোটা গ্রাম উপচে পড়ে উৎসাহিত করতে।
পিকুল রায়ের একবছর সময় লেগেছে শাড়ির কাজ সম্পূর্ণ করতে। সম্পূর্ণ তাঁতের উপর হাতের বুনোনে তৈরি এই শাড়ি দেখলে মনে হবে এটা ছাপা অথবা প্রিন্টের, কিন্তু না গোটাটাই হস্তশিল্প। এই হচ্ছে বাংলার তাঁত শিল্পের অবদান, যা আজকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন শিল্পী পিকলু রায়। রাম-সীতা, লক্ষণ, হনুমানকে হাতের বুনোনের মাধ্যমে শাড়িতে ফুটিয়ে তুলেছেন পিকলু। আগামী ২২শে জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরে শাড়িটি উপহার হিসেবে দেবেন ও সেখানে উপস্থিত থেকে অঞ্জলিও দেবেন দাদা-ভাই।
অবশেষে অপেক্ষার অবসান। এবারে প্রকাশ্যে এল বর-কনে সাজে সৌরভ-দর্শনার (Saurav-Darshana Wedding) ছবি। তাক লাগানো সেই লুক। একেবারে বাঙালি সাজে সেজেছেন টলিউডের নতুন যুগল। গোধূলি লগ্নে হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে নতুন জীবনে পা রাখলেন দর্শনা বনিক ও সৌরভ দাস। বেশ কয়েক মাস ধরেই শহরজুড়ে এই বিয়ে নিয়ে ছিল জোর চর্চা। এবারে ছাদনা তলায় চারহাত এক হল দুজনের।
শুক্রবার বিয়ের আগে গায়ে হলুদের একগুচ্ছ ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়াক করেন টলিপাড়ার নতুন জুটি। এবারে সন্ধ্যে পেরোতেই প্রকাশ্যে এল বিয়ের সাজে বর-কনের প্রথম ছবি। দর্শনার পরনে রূপোর জরির কাজ করা লাল টুকটুকে বেনারসি। আর গা ভর্তি সোনার গয়না। সৌরভ পরেছেন জামদানি ও কাঁথার কাজের কুর্তা, সঙ্গে তসর ধুতি। তাঁদের শেয়ার করা ছবিতে সৌরভের বাহুডোরে দেখা গিয়েছে দর্শনাকে। আর এক ছবিতে হাতে হাত রেখে ছবি তুলেছেন দু'জনে।
জানা গিয়েছে, বাইপাসের ধারে একটি ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছে তাঁদের বিয়ের আসর। টলিপাড়ার অনেক চেনা মুখই রয়েছেন আমন্ত্রিতদের তালিকায়। ইন্ডাস্ট্রির নতুন বর-কনেকে দেখে মুগ্ধ সবাই। তাঁদের ছবি উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরাও।
প্রয়াত 'সাথ নিভানা সাথিয়া' ধারাবাহিকের 'জানকি বা' অপর্না কানিকর। টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় শো 'সাথ নিভানা সাথিয়া'। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে এই ধারাবাহিক টেলিভিশনে দেখা যায়। কিন্তু এই সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার দীর্ঘদিন পরেও তা সাধারণ মানুষের মনে দাগ কেটে আছে। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী অপর্ণা কানেকর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। 'সাথ নিভানা সাথিয়া'র 'পরিধি' অর্থাৎ অভিনেত্রী লাভলি শ্যানন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুঃসংবাদটি শেয়ার করেন।
এই ধারাবাহিকের 'জানকি বা'-র ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী অপর্ণা কানিকরকে। জানকি বা-এর চরিত্রে তিনি দর্শকদের মনে দাগ কেটে দিয়েছেন। অভিনেত্রী অপর্ণা কানেকরের সঙ্গে সুন্দর একটি ছবি শেয়ার করে লাভলি একটা আবেগঘন পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আজ আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত। কারণ, আজ আমি আমার খুব প্রিয় একজনকে হারিয়েছি। যিনি একজন সত্যিকারের যোদ্ধা ছিলেন। বা (অপর্ণা) আপনি আমার দেখা সবথেকে সুন্দর, শক্তিশালী একজন মানুষ। যাঁকে আমি ভিতরে এবং বাইরে দুভাবেই চিনি। আমরা যে সুন্দর সময় কাটিয়েছি তার জন্য আমি সত্যিই ধন্য। শ্যুটিং সেটে সুন্দর সময় কাটিয়েছি।’ তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সাথ নিভানা সাথিয়া ধারাবাহিকের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের।
বেশ কয়েক দিন ধরেই টলি পাড়ায় দুই অভিনেত্রীকে নিয়ে জোর চর্চা চলেছে। এই আলোচনার একদিকে ছিলেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)। আরেকদিকে ছিলেন তৃণা সাহা (Trina Saha) দুই অভিনেত্রীর উত্থানই ছোট পর্দা থেকে। সোহিনী বর্তমানে বড় পর্দায় সিরিজে চুটিয়ে অভিনয় করছেন। তৃণাকে বড় পর্দায় সেভাবে দেখা না গেলেও সিরিজে নিয়মিত মুখ অভিনেত্রী। তবে জনপ্রিয়তার নিরিখে বিচার করা হলে, দুই অভিনেত্রীরই ভক্ত অনেক। তাঁদের মধ্যেই সংঘাতে সরগরম হয়েছিল বিনোদন জগৎ।
ঠিক কী হয়েছিল? 'মাতঙ্গী' ওয়েব সিরিজে অভিনয় করার কথা ছিল সোহিনী এবং তৃণার। তবে শ্যুটিং ফ্লোরে এসেই তৃণা বুঝতে পারেন, অভিনেত্রী সোহিনীর জন্য আলাদা জায়গায় মেকআপ এবং হেয়ার স্টাইলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোহিনীর ব্যক্তিগত মেকআপ আর্টিস্ট এবং হেয়ার স্টাইলিস্টই থাকছেন অভিনেত্রীর জন্য। এরপরই তৃণা নিজের জন্যও এই সুবিধাই চেয়েছিলেন। প্রযোজক সংস্থা অভিনেত্রীর এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তৃণা তিনি নাকি রেগে গিয়ে সেট ছাড়েন।
এই ঘটনায় কী প্রতিক্রিয়া সোহিনীর? সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের মাঝে বিরতিতে অভিনেত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'ইগো আমাদের কমবেশি সকলেরই রয়েছে। আমাদেরও রয়েছে। তবে শ্যুটিংয়ের ফ্লোর ছাড়া কোনও সমাধান নয়। আমরা যখন অভিনেতা অভিনেত্রী হয়েছি তখন অনেক কিছু ভুলেই আমাদের ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয়।'
টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তৃণা সাহা (Trina Saha)। কয়েকটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমেও অভিনেত্রীর অনেক ফলোয়ার। ফলে দিনের পর দিন তাঁর জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। তবে সম্প্ৰতি অভিনেত্রীকে নিয়ে বিনোদন জগতে সবচেয়ে বেশি চর্চা। 'মাতঙ্গী' ওয়েব সিরিজে কাজ করার কথা ছিল তৃণার। তবে শ্যুটিং শুরুর আগেই শুরু হয় সমস্যা।
একই সিরিজে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। তিনি তাঁর মেকআপের জন্য এবং হেয়ারস্টাইলের জন্য বিশেষ সুযোগ পেয়েছেন। তা দেখে, প্রযোজক সংস্থার কাছে তৃণাও আলাদা মেকআপের ব্যবস্থা চেয়েছিলেন। তবে প্রযোজনা সংস্থা থেকে এই ব্যবস্থা করে না দেওয়ায়, রেগে গিয়ে শ্যুটিংয়ের সেট ছাড়েন তৃণা। এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি প্রযোজনা সংস্থা। তৃণার বদলে নতুন অভিনেত্রী নিয়েই কাজ করতে চলেছেন তাঁরা। তবে এই ঘটনার প্রভাব কী পড়তে চলেছে তৃণার কেরিয়ারে?
টলি পাড়ায় কান পাতলেই নাকি শোনা যাচ্ছে, তৃণাকে নিয়ে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন প্রযোজক এবং পরিচালকেরা। অনেকের মত, প্রযোজক সংস্থার সঙ্গে মনোমালিন্য হতেই পারে, তা বলে শ্যুটিং ফ্লোর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া ঠিক কাজ নয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির কথা ভেবেই তৃণাকে নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন পরিচালকেরা।
বর্তমানে টলিপাড়া দুই অভিনেত্রীর সংঘাতে সরগরম। একদিকে রয়েছেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar), অন্যদিকে তৃণা সাহা (Trina Saha)। ওয়েব সিরিজ 'মাতঙ্গী'-তে (Matangi) তাঁদের একসঙ্গে অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু শ্যুটিং শুরুর আগেই শুরু হয়েছিল সমস্যা। শোনা গিয়েছে, প্রযোজক সংস্থা অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের জন্য ব্যক্তিগত হেয়ার এবং মেকআপ আর্টিস্টের সুবিধা দিয়েছিল। পৃথক জায়গায় মেকআপের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। অভিনেত্রী তৃণা সাহাও নাকি নিজের জন্য এই একই সুবিধা চেয়েছিলেন।
প্রযোজক সংস্থা তৃণার এই আবদারে রাজি হননি। এতেই নাকি ক্ষুব্ধ হয়ে যান অভিনেত্রী। তৎক্ষণাৎ শ্যুটিং না করে, ফ্লোর ছাড়েন অভিনেত্রী। আর ঠিক কী কী হয়েছিল শ্যুটিং ফ্লোরে, তা গোপন রেখেছেন প্রযোজনা সংস্থা। শোনা যায়, এই সমস্যা মেটাতে চেয়ে সোহিনী হোয়াটস অ্যাপে একটি মেসেজ করেন। কিন্তু তাতেও মন গলছে না তৃণার। ফলে বর্তমানে এই সিরিজের যৌথ প্রযোজনা সংস্থা ক্যামেলিয়া এবং ওয়ার্কশপ তৃণাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তৃণার চরিত্রটিতে অভিনয় করার প্রস্তাব গিয়েছে অভিনেত্রী রোশনী ভট্টাচার্যের কাছে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর চরিত্রটি বেশ পছন্দও হয়েছে। তিনি রাজি হলে নাকি শুরু হবে শ্যুটিংয়ের কাজ। এই সিরিজটি চার নারীর জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে। অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকেও দেখা যাবে এই সিরিজে।
মার্কিন সফরে গিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আর তাঁর এই সফরের মাঝেই এক দারুণ খবর প্রকাশ্যে এসেছে। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, আগামী বছরেই ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টারে (International Space Centre) যৌথভাবে মহাকাশ অভিযান চালাতে পারে ভারত (India) ও আমেরিকা (USA)। জানা যাচ্ছে, 'আর্টেমিস অ্যাকর্ডস' (Artemis Accords) স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে ভারত। ফলে এবারে মহাকাশ অভিযানেও এক হচ্ছে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আর্টেমিস অ্যাকর্ড আর্টেমিস মিশনেরই একটি অংশ। এই মিশনে চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে নাসার তরফে। ফলে এবারে নাসার এই পদক্ষেপের সঙ্গে ইসরোও অংশ নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্যে নাসার আর্টেমিস মিশনের অংশীদার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইসরোর। এছাড়াও জানা গিয়েছে, আর্টেমিস অ্যাকর্ডে ভারত যোগদান করলে, ২০২৫ সালের মধ্যে আমেরিকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে চাঁদে মানুষ পাঠাতে পারে ভারত। শুধু তাই নয়, মঙ্গল অভিযান থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণার তথ্য আদান-প্রদান ঘটবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, নাসার এই আর্টেমিস চুক্তিতে আগে থেকেই ২৫টি দেশ রয়েছে আর এবারে যোগ দিতে চলেছে ভারতও। আর তা নিয়ে হোয়াইট হাউজের তরফে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। যেখানে দুই মহাকাশ সংস্থার মধ্যে এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
আবারও বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ানোর ডাক দিলেন প্রযোজক রানা সরকার (Rana Sarkar)। এবার পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলির সিনেমা 'অর্ধাঙ্গিনী' (Ardhangini) নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রযোজক। দর্শকের কাছেই সাহায্য চেয়েছেন তিনি। প্রযোজক সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, 'বাঙালি প্রতিবাদ করুন, রুখে দাঁড়ান। না হলে কৌশিক গাঙ্গুলির সিনেমা 'অর্ধাঙ্গিনী' সিনেমা হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে। সামনের শুক্রবার বড় বাজেটের বলিউডি ছবি 'আদিপুরুষ' মুক্তি পাচ্ছে। তাই বাংলা সিনেমাকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে।'
পাঠানের সময়ও এমনটাই হয়েছিল বলে দাবি। যদিও এই দাবিকে একেবারে ভুল বলা যায় না। পূর্বে অনেকবার দেখা গিয়েছে, বাংলা সিনেমা যতই ভালো হোক না কেন, বড় বাজেটের হিন্দি সিনেমা এসে বাংলা সিনেমাকে ঢেকে দিয়েছে। শুক্রবার সারা ভারতে মুক্তি পেতে চলেছে 'আদিপুরুষ'। তাঁর আগেই আকাশে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রযোজক।
২ জুন কলকাতার সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে অর্ধাঙ্গিনী। ইতিমধ্যেই বহু দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছে ছবিটি। কিন্তু ভালোভাবে ব্যবসা করার আগেই সিনেমা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে উদ্বিগ্ন প্রযোজক লিখেছেন বেশ কিছু কথা। এমনকি এই প্রসঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের দিকেও তীর ছুঁড়তে ছাড়েননি তিনি। রানা আরও লিখেছেন, 'আমরা ফিলিম ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা খুবই স্বার্থপর, নিজের গায়ে আঁচ না লাগলে মুখ খুলি না, এবারো হয়তো তাই হবে। যার সিনেমা সে ছাড়া হয়তো অন্য কেউ মুখ খুলবে না। কিন্তু বাংলা সিনেমাপ্রেমী মানুষরা কেন চুপ থাকবেন? এই প্রতিবাদ এখন না করলে ভবিষ্যতে ভালো বাংলা সিনেমা দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন।' যদিও এখনও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি সিনেমার পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলি।
অনেকদিন পর চর্চায় উঠে এলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান (Aamir Khan)। এবার জল্পনা শুরু হল অভিনেতার বিয়ে নিয়ে। সম্প্রতি বিতর্কিত অভিনেতা কামাল আর খান অর্থাৎ কেআরকে সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেছেন, অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখের (Fatima Sana Shaikh) সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন আমির খান। এই নিয়ে নেট মাধ্যমে নতুন জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি আমির বা ফাতিমা।
প্রসঙ্গত আমির খানের বিপরীতে 'দঙ্গল' ছবিতে ডেবিউ করেছিলেন ফাতিমা সানা শেখ। এরপর 'ঠগস অব হিন্দুস্তান' ছবিতেও একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দু'জনে। শোনা গিয়েছিল আমিরের জন্যই নাকি সেই সিনেমায় সুযোগ পেয়েছিলেন ফাতিমা। আমিরের দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর, ফাতিমার সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জনে আরও ঘি পড়ে।
Breaking News:- Aamir Khan is going to get married with his daughter’s age Fatima Sana Shaikh soon. Aamir Khan is dating Sana from the time of their film #Dangal.
— KRK (@kamaalrkhan) May 25, 2023
আমিরের একাধিক পারিবারিক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে ফাতিমা সানা শেখকে। বলিউডের অন্দরেও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে বেশ গুঞ্জন। এদিন আরও একধাপ এগিয়ে কেআরকে নিজের সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, 'ব্রেকিং নিউজ: আমির খান তাঁর মেয়ের বয়সী ফাতিমা সানা শেখকে বিয়ে করতে চলেছেন খুব তাড়াতাড়ি। আমির এবং সানা দঙ্গলের সময় থেকে প্রেম করছে।' এই গুঞ্জন নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ এঁটেছেন আমির-ফাতিমা।
বলি পাড়ার পরিচিত মুখ মিষ্টি সিং (Misty Singh)। প্রায় এক দশক ধরে টলিউডের (Tollywood) একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তিনি। ভক্তসংখ্যাও অনেক। কেরিয়ারের সাফল্য হাতে পেয়ে এবার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন। ১৮ মে সাত পাকে ঘুরবেন অভিনেত্রী মিষ্টি। বিয়ে করবেন তাঁর ছোটবেলার বন্ধু তথা প্রেমিক রেমো দাসকে। বৃহস্পতিবার বাইপাস লাগোয়া একটি বিলাসবহুল ব্যাঙ্কোয়েট হলে বসবে বিবাহ বাসর। জীবনের এমন মুহূর্তে মিষ্টি পরামর্শদাতা হিসেবে পাশে চাইছেন সহকর্মী ও বান্ধবী তৃণা সাহাকে (Trina Saha)।
গত এক সপ্তাহ ধরে ইন্ডাস্ট্রির বহু সহকর্মীরাই মিষ্টিকে আইবুড়ো ভাত খাইয়েছেন। সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি তৃণাও। একটি পাঁচতারা রেস্তোরাঁয় বন্ধুর জন্য ব্যাচেলর পার্টির আয়োজন করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার মিষ্টিকে নিয়ে আনন্দে মেতেছিলেন তৃণা এবং অন্যান্য বান্ধবীরা। মিষ্টির জন্য আয়োজন করা হয়েছিল কেক এবং অন্যান্য খাবার দাবার। সেই ভিডিও পোস্ট করে তৃণাকে ভালোবাসা এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন মিষ্টি। ছোট ছোট পরামর্শ নিয়ে তিনি তৃণাকেই পাশে চাইছেন, একথাও লিখেছেন সামাজিক মাধ্যমে।
রবিবার এলাহী আয়োজনে মিষ্টির গায়ে হলুদ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রীর বিয়ে। সেই উপলক্ষে উপস্থিত হবেন তৃণা সাহা, শ্রীতমা এবং বলি পাড়ার অন্যান্য বন্ধু এবং সহ অভিনেতারা। সব মিলিয়ে রাজকীয়ভাবেই বিবাহ সারবেন মিষ্টি।
এবার মঙ্গলের অভ্যন্তরে নাসা (NASA)। মঙ্গলকে আরও গভীরভাবে চেনার জন্য পাঠানো হয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার 'রোবোটিক ইনসাইট ল্যান্ডার' (Robotic Insight Lander)। পৃথিবী এবং মঙ্গলের ভূঅভ্যন্তর সম্পূর্ণ আলাদা। সৌর পরিবারের এই লালগ্রহে প্রাণের সন্ধান করা হয়েছে বেশ কয়েকবার। এবার তার অন্দরমহলে উঁকি নাসার।
রোবোটিক ল্যান্ডারের মাধ্যমে ভূকম্প তরঙ্গ পাঠিয়ে দেখা গিয়েছে পৃথিবীর তুলনায় মঙ্গলের কেন্দ্রস্থল অনেক বেশি গভীর। পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল তৈরি অর্ধগলিত লোহা দিয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রে লোহার আধিক্যের জন্যই নীলগ্রহের অভ্যন্তর সচল রয়েছে। অন্যদিকে মঙ্গলের কেন্দ্রের ২০ শতাংশ জুড়ে রয়েছে লোহার তুলনায় অনেক হালকা সালফার। গ্যাসীয় উপাদান হিসাবে রয়েছে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন। বিজ্ঞানীদের অনুমান কেন্দ্রে ভারী মৌলের অভাবে ভবিষ্যতে ঘূর্ণনের শক্তি হারাতে পারে মঙ্গল।
সৃষ্টির শুরুতে কোন কোন উপাদান দিয়ে গ্রহগুলি তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে বিতর্কের অভাব নেই। কেন্দ্রস্থল পরীক্ষা করে তার অনেকটাই ধারনা পাওনা যায়। তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে নাসা।
বিধায়ক (MLA) জীবনকৃষ্ণকে (Jibankrishna Saha) নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা বার্তা, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর। শান্তনু ও জীবন দু'জনের গ্রেফতারির কারণ এক এবং গ্রেফতার হয়েছেন বহু ছল-চাতুরির পর। বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত শান্তনুর শুনানি ছিল নগর দায়রা আদালতে। দুপুরেই প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আদালত চত্বরে আনা হয় তাঁকে। শান্তনুকে দেখেই উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন ছুড়ে দেন তাঁকে। জানতে চাওয়া হয় জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি কি কিছু বলতে চান? জবাবে কিছুটা নির্বিকার ভাবেই শান্তনু বলেন, ‘সবাইকে নববর্ষ এবং ইদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
শান্তনুর বিরুদ্ধে স্কুল ছাড়াও আরও বিভিন্ন সরকারি চাকরির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ইডি। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা এমনও দাবি করেছে যে, শান্তনুর সঙ্গে উপর মহলের অনেকের যোগাযোগ ছিল। অন্যদিকে, জীবনকৃষ্ণর বিরুদ্ধে যে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাতে বড়ঞার বিধায়কের অধীনে কয়েকশো এজেন্ট কাজ করত বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন জেলায় সেই এজেন্টরা ছড়িয়ে ছিল, এমনটাই সন্দেহ করা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, বুধবার নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের বাবা-মা ও স্ত্রীকে ইডির কলকাতার দফতরে তলব করে ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তাদের ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কিছু লেনদেন করেছিল অয়ন এবং সেই লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানতেন কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাদেরকে ডাকা হয়েছিল বলেই খবর। বুধবার সকালে ইডির দফতরে হাজির হয়েছিলেন অয়ন সিলেন বাবা-মা ও স্ত্রী।
জল সেঁচের মজুরি (Wages) কে দেবে? জেসিবির (Jcb) টাকাই বা কে দেবে! জীবনকৃষ্ণের (Jibankeishna) মোবাইল উদ্ধারের তল্লাশি চালানোর সময়, ব্যবহৃত শ্রমিকদের মজুরি ও জেসিবির ভাড়া কে দেবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, জীবনকৃষ্ণের বাড়ির তল্লাশি চালানোর সময় ব্যবহৃত শ্রমিকদের মজুরি ও জেসিবির মোট ভাড়া প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা। কিন্তু সেই টাকা এখন কে মেটাবে যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
চলতি মাসে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে, জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। ঘটনাচক্রে সিবিআই জেরার মুখে পড়ে অসুস্থতার নাম করে তাঁর দুটি মোবাইল পুকুরে ফেলে দেয় জীবনকৃষ্ণ সাহা। এরপরেই ওই মোবাইল খুঁজতে মরিয়া হয়ে ওঠে সিবিআই আধিকারিকরা। পুকুরের চারপাশ ভালো করে খোঁজার পর যখন মোবাইল উদ্ধার না হয়, তখন ওই পুকুরের জল সেঁচে মোবাইল উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। তাতে ব্যবহার করতে হয় স্থানীয় কিছু শ্রমিকদের এবং ব্যবহার করতে হয় সেঁচ মেশিনের কিন্তু অভিযোগ শ্রমিকদের মজুরি ও সেঁচে মেশিনের ভাড়া এখন অবধি মেটায়নি সিবিআই কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া সূত্রের আরও খবর, যখন পুকুরের জল সেঁচের পর শ্রমিক লাগিয়ে মোবাইল উদ্ধার করা যায়নি, তখন ওই মোবাইল উদ্ধারের জন্য কাজে লাগানো হয় জেসিবি। ওই মেশিনটি প্রায় ১০ ঘণ্টা কাজ করে, ওই জেসিবি মেশিন, যার ভাড়াও মেটানি সিবিআই কর্তৃপক্ষ এমনই অভিযোগ।
সূত্রের খবর মোবাইল খুঁজতে দু'দিনে ২৮ জন শ্রমিকের পারিশ্রমিক প্রায় চৌদ্দ হাজার টাকা। এছাড়া জেসিবির ভাড়া ছিল প্রায় ঘন্টা প্রতি দুই হাজার টাকা। সেঁচে মেশিন ও জেসিবি ১০ ঘন্টা করে কাজ করেছে। সবমিলিয়ে মোট খরচের পরিমাণ ৪৮ হাজার টাকা। এখন প্রশ্ন এই বকেয়া কে মেটাবে! তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
দীর্ঘ ২১ বছর ধরে মহাকাশে কাজ করে চলছিল নাসার এক কৃত্রিম উপগ্রহ (Satellite)। তবে এখন বর্তমানে এটি অকেজো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মহাকাশে পাঠানো নাসার অবসরপ্রাপ্ত কৃত্রিম উপগ্রহটি ফের পৃথিবীতেই (Earth) আছড়ে পড়তে চলেছে। ভারতীয় সময় অনুসারে, বুধবার সকাল ৮ নাগাদ উপগ্রহ পৃথিবীর মাটিতে ধেয়ে আসছে।
সূত্রের খবর, এই কৃত্রিম উপগ্রহটি দীর্ঘ ২১ বছর ধরে পৃথিবীর নীচ কক্ষপথে অবস্থান করেছিল। সেখান থেকেই সৌরজগতের বিভিন্ন তথ্য যেমন- সোলার ফ্লেয়ারস, করোনাল মাস ইঞ্জেকশনস ইত্যাদি পাঠায়। এই কৃত্রিম উপগ্রহটির ওজন প্রায় ৩০০ কিলোগ্রাম। মার্কিন ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টের তরফে জানা গিয়েছে, তাদের তরফে পৃথিবীর কক্ষপথ ও স্পেসক্রাফ্টটিকে নজরে রাখা হচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, The Reuven Ramaty High Energy Solar Spectroscopic Imager নামের কৃ্ত্রিম উপগ্রহটি ২০১৮ সালেই অবসর নিয়েছে। এবারে সেটিই ভূ-পৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে চলেছে।
এই ঘটনা প্রথম নয়, এর আগেও অনেক কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণত, উপগ্রহ বায়ুমন্ডলের সংস্পর্শে আসতেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়, কিন্তু কখনও কখনও তার কিছু ভগ্নাংশ পৃথিবীতে এসে পড়ে। এর ফলে পৃথিবীর কোনও ক্ষয়ক্ষতি হবে কিনা, তা নিয়ে নাসা জানিয়েছে, কৃত্রিম উপগ্রহকে এমনভাবেই তৈরি করা হয় যাতে তা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের সংস্পর্শে আসতেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও তেমটাই হবে বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, যদি এর কোনও ভগ্নাংশ পৃথিবীতে এসেও পড়ে তা তেমন কোনও ক্ষতি করবে না। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কৃত্রিম উপগ্রহের প্রায় ৩০০ কিলোগ্রাম ভৃ-পৃষ্ঠে ধেয়ে আসতে চলেছে।
মনি ভট্টাচার্য: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের (CBI) ৭ জনের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করার পর, সিএন-ডিজিটালের তরফে জানানো হয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment corruption) তদন্তের মোড় ঘুরতে পারে এ সপ্তাতেই। ঠিক তার ৭ দিনের মধ্যেই সোমবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার (Arrested) হল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। সোমবার তাঁর মুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর উঠে আসছে আরো কিছু প্রভাবশালীদের নাম।
সূত্রের খবর, সোমবার কাকভোরে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপরেই নিঃশ্বাস ঘন হতে শুরু হয়েছে তৃণমূলের আরও কিছু বিধায়কের। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই ফের জেরা করা হতে পারে নিয়োগ দুর্নীতির আরেক মহারথী গোপাল দলপতি ও তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীকে। সম্প্রতি হৈমন্তীর বেহালার ফ্লাটেও পৌঁছে গিয়েছিল সিবিআই। পাশাপাশি কপালে চিন্তার ভাজ রয়েছে নলহাটির প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীও।
নববর্ষের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নতুন মোড় আনতে গত সোমবার অর্থাৎ ১০ই এপ্রিল একটি সাতজনের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিবিআই। ৭ দিনের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে তৎপর হয়ে পড়ে সিবিআই। শুক্রবার রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমান জেলায়, পাশাপাশি নিউটাউনেও তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের একাধিক দল। এরপর শনিবার তল্লাশি চালানো হয় নলহাটির প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়ি। শনিবারই তল্লাশি চালানো হয় গোপাল দলপতি ও হৈমন্তীর বাড়িতেও। পাশাপাশি ঐদিনই হৈমন্তীর বেহালার ফ্ল্যাটও সিল করে দেয় সিবিআই।
সূত্রের খবর, এই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসছে রাজ্যের আরও বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতা ও বিধায়কদের নাম। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এই জীবনকৃষ্ণ গরুপাচার সম্বন্ধেও অনেক তথ্য জানতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। রবিবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতারের ছক কষে ফেলে সিবিআই। সোমবার ভোর ৫ টা ১৫ নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে, সোমবার সকালেই তাঁকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসে সিবিআই। সোমবারই স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁকে সিবিআই স্পেশাল আদালতে তোলা হবে বলে খবর।