রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে তৎপর ইডি। গত বৃহস্পতিবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই তল্লাশি অভিযানে বেশকিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া নতুন বাজারের একটি গ্যারেজ থেকে তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা আধিকারিকরা। অভিযোগ, ওই গাড়িগুলি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মোসলেম শেখের গ্যারেজে রাখা ছিল।
সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত গাড়িগুলির মধ্যে একটি শেখ শাহজাহানের, একটি গাড়ি তাঁর ভাইযের এবং অপর গাড়িটি এক ব্যবসায়ীর। এরপরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মোসলেম শেখকে তলব করে ইডি। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। সেখানে তাঁকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর শনিবার তাঁকে ফের তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। আগামী দিনে এই দুর্নীতির তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।
রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে দুঃসাহসিক চুরি মন্দিরে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ইসলামপুর শহরের লোহারপট্টি এলাকায়। গোটা চুরির ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে মন্দিরের পুরোহিতের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপর স্থানীয়রা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তড়িঘড়ি এসে খুলে দেয় সেই দরজা। তখনই তাঁদের চোখে পড়ে মন্দিরের দরজা ভাঙা। তারপর মন্দিরের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় লুটপাট হয়েছে সোনা ও রূপার অলংকার। যা পুরোটাই সিসিটিভি ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। খবর দেওয়া হয় ইসলামপুর থানায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় ইসলামপুর থানার আইসি হীরক বিশ্বাস। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বকেয়া মহার্ঘভাতা, স্বচ্ছ নিয়োগসহ একাধিক দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অব্যাহত আন্দোলন। জীবন বাজি রেখে দীর্ঘ ২৩ দিন ধরে চলছে তাদের লাগাতার অনশন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও এলনা সুদিন। অনশনের ৫২৩ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও হুঁশ ফিরল না সরকারের। এই আবহে সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে মুখ্যমন্ত্রীর ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের ঘোষণায় যেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভের আগুনে হয়েছে ঘৃতাহুতি। যেখানে ৩৬ শতাংশ ডিএ বাকি, সেখানে সামান্য ৪ শতাংশ ডিএ প্রদান করা মাননীয়ার মহানুভবত নয়। রাজ্যসরকার মূলত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের চাপে বাধ্য হয়ে এই ৪ শতাংশ ডিএ প্রদানের সিদ্ধন্ত নিয়েছে। দাবি আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
বর্তমান দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্য মহার্ঘভাতা প্রদান করছে না। এমনকি অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ করার দিকেও ভ্রুক্ষেপ নেই মাননীয়ার।সরকারের এই উদাসীনতার যোগ্য জবাব দিতেই আগামী দিনে একাধিক কর্মসূচি পরিকল্পনা করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।আবারও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
মার্চের শুরুতেই আবার রাস্তায় নামবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ৩ মার্চ (রবিবার) মহামিছিল এবং মহাসমাবেশ হবে। প্রথমে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শহিদ মিনারে মিছিল আসবে। তারপর শহিদ মিনার চত্বরে জনসভা করা হবে। সেখানে কারা কারা আসবেন, তা এখনও জানানো হয়নি। তবে অতীতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সভায় একাধিক নেতা যোগ দিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি পালনে তোড়জোড় শুরু প্রশাসনের। মুখ্য়মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় শুরু হতে চলেছে ১০০ দিনের ক্য়াম্প। শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করতে ক্যাম্প করবে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। যাদের এখনও পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজ করেও বকেয়া টাকা রয়েছে শ্রমিকদের। তাঁরা তাঁদের সঠিক প্রমাণ দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন এই ক্যাম্পে। তাঁদের নাম রেজিস্ট্রেশন করানো হবে এই ক্যাম্পে। তারপরেই তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য় টাকা পাবে।
আগামীকাল অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সেই রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্প। জেলার সমস্ত লোক সভা কেন্দ্রে হবে এই রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্প। এই ক্য়াম্প শেষ হওয়ার পর জেলা প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে কারা কারা ১০০ দিনের বকেয়া টাকা পাবে।
নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তনের ঘোষণা CBSE-র। জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী পরিকাঠামো গত বদল ঘটতে চলেছে বলে খবর। নবম-দশমে দু'টির বদলে তিনটি ও একাদশ-দ্বাদশে একটির বদলে দু'টি ভাষা পড়ানোর পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় বোর্ড।
নবম-দশমের দু'টি এবং একাদশ-দ্বাদশের তিনটির মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে একটি ভাষা ভারতীয় হবে বলে নির্দেশ। ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিকে এই পরিকল্পনা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ড। পাশাপাশি ক্রেডিট ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় সিবিআই। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অয়ন শীলকে। পাশাপাশি, অয়ন শীলের সংস্থার একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিভিন্ন পুরসভার কর্মীদের-ও। জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার ক্লার্ক, পিয়ন সহ একাধিক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ২০টি সেন্টারে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এই নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিল মূলত ভুয়ো পরীক্ষার্থীরাই। এমনকি প্রার্থী সংখ্যাতেও কারচুপি করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীই সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সেই সময় কারা পরিদর্শক ছিলেন, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মতো বরানগর পুরসভার কর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়। বুধবার এই মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন বরানগর পুরসভার ২ কর্মী।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে, এক প্রাক্তনসরকারি কর্মী জানান, তিনি তিনবছর আগে একটি স্কুল থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। তবে বাকি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি তিনি।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যের শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া এত বড় দুর্নীতি কি আদৌ সম্ভব? সিবিআইয়ের তদন্তে কি সামনে আসবে এই দুর্নীতির মাথাদের নাম?
জমি দুর্নীতি মামলায় বুধবার ইডির হাতে গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তার ঠিক দু'দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন চম্পাই সোরেন। শুক্রবার দুপুর ১২ টা নাগাদ রাঁচির রাজভবনে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ চম্পাইকে শপথবাক্য পাঠ করান।
৬৭ বছর বয়সে চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ বৃহস্পতিবার চম্পাইকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁর শপথ নেওয়া হয়নি। তারপরই মুখ্য়মন্ত্রীর পদ গড়া নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। এরপর রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা চম্পাই সোরেন, জেএমএম প্রধান শিবু সোরেনের অনুগত হিসাবে বিবেচিত হন। নয়া মুখ্য়মন্ত্রীর আসন পান তিনি। জেএমএম আইনসভা দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর, চম্পাই সোরেন বলেন, আমি আমার বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ করতাম। এখন ভাগ্য আমাকে একটি ভিন্ন ভূমিকা পালন করার সুযোগ দিয়েছে।
হেমন্তের জায়গায় চম্পাইকে বেছে নেন জেএনএম। বুধাবার রাতে হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হওয়ার পর চম্পাই রাজভবনে গিয়ে নতুন সরকার নিয়োগ দাবি জানিয়ে এসেছেন। রাজভবনের সামনে প্রচুর পরিমাণে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।
মালদহের বামনগোলায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। এবার সেই ঘটনায় রাজ্য় সরকারকে ছয় লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। দুই নির্যাতিতাকে তিন লক্ষ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে চোর অপবাদে মালদহের বামন গোলার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। সমাজমাধ্য়মে সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিস। প্রথমে পুলিসের বিরুদ্ধে ওঠে গাফিলতির অভিযোগ। এমনকি এই ঘটনায় বামনগোলা থানার আইসি সহ চার পুলিস আধিকারিককে তাঁদের কর্তব্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর ওই দুই নির্যাতিত মহিলার হয়ে মালদহ জেলা আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী উজ্জ্বল দত্ত ও মালদহ জেলা আদালতের আরেক আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে মামলা দায়ের করে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে।
বুধবার নিজাম প্যালেসে আসেন দেবরাজ চক্রবর্তী। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে বিধাননগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের 'প্রভাবশালী' কাউন্সিলরকে বাড়ি, অফিসে গিয়ে জেরা করেছে সিবিআই। জমা নিয়েছে কিছু নথিও। তারপর সাতদিন আগেই এই মামলার হাজিরা দিতে নিজাম প্যালেসে এলেও, বুধবার ফের হাজিরা দিতে আসেন দেবরাজ।
সকাল থেকেই জল্পনা চলছিল দেবরাজ নিজাম প্যালেসে আবারও আসবেন কিনা, তা নিয়ে। তবে, দেবরাজ আসেন, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে জানান, 'তদন্তের স্বার্থে আরও কিছু তথ্য আমায় দিতে হবে। তবে যেহেতু তা তদন্তের অংশ, তাই তিনি সেবিষয়ে কিছু বলতে চান না এখনই।'
এমনিতেই দেবরাজের বাড়িতে তদন্ত চালিয়ে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন একাধিক অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশ পত্র সহ বেশ কিছু নথি, যা সরাসরি নিয়োগ মামলায় দেবরাজের যোগের কথাই বলে। এখন দেখার এরপর আগামী দিনে নিয়োগ দুর্নীতির চূড়ান্ত চার্জশিটে দেবরাজ চক্রবর্তীর নাম খোদাই থাকে কিনা।
২২ জানুয়ারি ছিল সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত! সেদিন উদ্বোধন করা হয় নবনির্মিত রাম মন্দির ও এর পাশাপাশি গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় রামলালা। আর সাধারণের জন্য রাম মন্দিরের দ্বার খোলার পর থেকেই মন্দিরের সামনে জনজোয়ার। ফলে বিপুল সংখ্যক ভক্তদের কথা ভেবেই রাম মন্দিরের দর্শনের সময় পরিবর্তন করা হল। রামলালা দর্শন এখন থেকে ভক্তরা করতে পারবেন ভোর ছ'টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত।
কোটি কোটি মানুষের জনসমাগমে অযোধ্যা ঘিরে প্রবল উৎসাহ সাধারণ মানুষের মনে। প্রথম দিনেই তিন কোটির বেশি অনুদান জমা পড়েছে। এদিকে ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ তাঁদের পূর্ব নির্ধারিত অযোধ্যা ভ্রমণসূচি স্থগিত রেখেছে। অযোধ্যায় ঢোকার সমস্ত বাস রুটও বন্ধ করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। তা সত্ত্বেও ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে হাজারে হাজারে মানুষ প্রতিদিন আসছেন রামলালার দর্শনে। আর এরই মাঝে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই রামলালা দর্শনের সময় পরিবর্তন করা হল। এখন থেকে ভক্তরা রামলালা দর্শন করতে পারবেন ভোর ছটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত। এই সময় টানা খোলা থাকবে রাম মন্দিরের দরজা।
প্রথমে প্রতিদিন রাম মন্দিরের দর্শনের সময় নির্ধারিত হয়েছিল সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা। এরপর আবার দুপুর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল মন্দিরের দরজা। ফের ২টো থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দর্শনের অনুমতি মিলছিল। কিন্তু, কাতারে কাতারে ভক্ত সমাগমের কথা মাথায় রেখে এবার থেকে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রামলালার দর্শন করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা।
সন্দেশখালির ঘটনার ১৯ দিন পার। কিন্তু এখনও অধরা সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা' শেখ শাহজাহান। এবারে তাকে হাজিরার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ২৯ জানুয়ারি সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি।
দীর্ঘদিন হয়ে গিয়েছে। খোঁজ মিলছে না সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের। আজ বুধবার সকালে হঠাৎ করেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। এরপরই 'বেতাজ বাদশা' শাহজাহান শেখকে হাজিরার নির্দেশ দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বাড়িতে কেউ না থাকায় আজ সমনের নোটিশ বাড়ির দেওয়ালে আটকে দিয়েছে ইডি। ২৯শে জানুয়ারি, সকাল ১১টার মধ্যে সিজিওতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শেখ শাহজাহানের বাড়িও ইতিমধ্যেই সিল করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। 'নিখোঁজ' শেখ শাহজাহান ২৯ জানুয়ারি ইডির সামনে হাজিরা দেয় কিনা, সেদিকে তাকিয়েই সারা বাংলা।
ফের সংবাদ শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুরে বাম বাধায় আটকে গেল রাম কর্মসূচি। অশান্তির গুঞ্জন ছিলই। সে কথা মাথায় রেখে রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। কিন্তু রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অশান্তি আটকানো গেল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন শুরুর খানিকটা আগেই তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর ক্যাম্পাস।
রামমন্দির উদ্বোধনের লাইভ স্ট্রিমিং করার জন্য প্রোজেক্টর-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকেরা। অভিযোগ, সেই সময় অতিবাম সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাধা দেয়। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু'পক্ষের সমর্থকেরা। চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও। ABVP শিবিরের দাবি, বামেরা তাদের উপর হামলাও চালিয়েছে।
যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আহত হয়েছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। সূত্রের খবর, মারমুখী ছাত্রদের মধ্যে পড়ে আহত হন তিনি। এছাড়াও ABVP সূত্রে খবর, তাঁদের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন। অন্যদিকে DSF, SFI সহ অন্যান্য বাম সংগঠনের ৪ জন সদস্য আহত। খবর পেয়ে অধ্যাপকদের অনেকে পৌঁছে যান ৩ নম্বর গেটের সামনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেট বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার পরেও চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
নতুন বছরের শুরুতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে উঠে এসেছিল র্যাগিংয়ের অভিযোগ। অর্থপেডিক স্নাতকোত্তর বিভাগের ২ ডাক্তারি পড়ুয়া, একই বিভাগের ২ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ এনেছিলেন। যার মধ্যে ছিল অশালীন আচরণ, শারীরিক নিগ্রহ, দুর্ব্যবহার এমনকি অস্ত্রোপচার কেন্দ্রের ভিতরে মারধর, ইলেকট্রিক কেটলি, জলের বোতল দিয়ে মারধর করা ছাড়াও অস্ত্রোপচার কেন্দ্রের সরঞ্জাম দিয়ে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করার অভিযোগ। এরপরেই ঘটনাটি লিখিত আকারে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকে জানান র্যাগিংয়ের শিকার ওই ছাত্ররা। পাশাপাশি এই ঘটনায় ছাত্র সংসদ-এর তরফ থেকেও অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এরপরেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরফে বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটির কাছে।
এরপরেই শুক্রবার, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের র্যাগিং সংক্রান্ত এনকোয়ারি কমিটির পক্ষ থেকে অধ্যক্ষের অফিসে জমা দেওয়া হলো রিপোর্ট। শনিবার এই রিপোর্ট নিয়েই বৈঠক রয়েছে কলেজ কাউন্সিলের। এছাড়াও, র্যাগিংয়ের ঘটনায় যে অভিযোগ উঠেছিল সে সম্পর্কে সত্যতা জানতে পেরেছে এনকোয়ারি কমিটি, এমনটাই সূত্রের খবর।
খেটে খাওয়াদের জন্য় রক্তদান। বাইক চালিয়েও মহৎ কাজ রাইডারদের। বাঁচবে মানুষ, ফিরবে সুখ! রক্তদানে খেটে খাওয়ারাই মুখ! এবার এই স্লোগানেই অভিনব রক্তদানের আয়োজন করল অ্যাপ বাইক সংস্থা। বুধবার ওই অ্যাপ বাইক সংস্থাটি বিধাননগরের আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল রক্তদান শিবির। যেখানে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন প্রায় ৫২ জন বাইক চালক। যাঁরা প্রত্যেকেই অ্যাপ বাইক চালক।
জানা গিয়েছে, বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়া ওই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার কোঠারি মেডিকেলের চিকিৎসকরাও। আয়োজক সংস্থার পক্ষে শামিম হোসেন জানান, "আমরা শুধু কাজ নয়, মানুষের হয়ে, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। প্রচুর রাইডার আছেন, যাঁদের রাস্তায় দুর্ঘটনা হলেও রক্তের প্রয়োজন। ঠিক এই কারণ এবং আনুষঙ্গিক সবটা ভেবে এই ব্যবস্থা।''
বিভিন্ন এলাকা থেকে রক্ত দিতে এসেছিলেন তন্ময় দাস, অভিরূপ চক্রবর্তী, গৌতম মণ্ডল, শিংকু বাল্মীকির মতো বাইক চালকরা। যাঁদের আয়ের উৎসই অ্যাপ নির্ভর বাইক। তাঁদের কথায়, "সারাবছর কাজ করি, সংসার চালায়। কিন্তু একটু যদি মানুষের পাশে থাকা যায় তাতে ক্ষতি কী!'' তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই আয়োজিত করা হয়েছিল এই রক্তদানের অনুষ্ঠানটি। তবে মানুষের পাশে থাকার জন্য় এবং যথা সম্ভব সাহায্য় করার কারণেই আগ্রহ আজ বহু মানুষ।
আর মাত্র ৫টা দিন। তারপরই ঐতিহাসিক মুহূর্ত! ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই নিয়েই সাজ সাজ রব অযোধ্যায়। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। আর এরই মাঝে ওই দিনই কলকাতায় 'সংহতি মিছিলে'র ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, হাজরা থেকে এই মিছিল হবে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত। এরপরই বুধবার এই মিছিল বন্ধের দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিনই বাংলায় 'সংহতি মিছিলে'র ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২ জানুয়ারি এই মিছিলের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মিছিল পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে। শুধু তাই নয়, রামপুজোর দিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনেরও আর্জি জানালেন শুভেন্দু। তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের এজলাসে এই মামলার শুনানি হতে পারে।