
৭০-এর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Mousumi Chakraborty)। বাংলা সিনেমা জগতের পাশাপাশি হিন্দি সিনেমা জগতও সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর অভিনয় দক্ষতায়। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে টিকে থাকা তাঁর জন্য খুব একটা সহজ ছিল না। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে মৌসুমীকে। এমনকি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়েও কথা শুনতে হয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালকের থেকে। মা হওয়া কেরিয়ারের জন্য বাধা, একথা শুনে কী উত্তর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী?
সম্প্রতি অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়, অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে দেশ প্রেমী সিনেমা নাকচ করে দেওয়া কী পরবর্তীতে তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছে? এর উত্তরে মৌসুমী বলেন, 'একেবারেই না। আমি অমিতাভকে এ-গ্রেড অভিনেতা হওয়ার জন্য সংগ্রাম করতে দেখেছি। কিন্তু আমি অভিনেত্রী হিসেবে একেবারেই নিজের ১০০ শতাংশ দিইনি।'
এই প্রসঙ্গে পরিচালক মহেশ ভাটের করা একটি মন্তব্যের কথা বলেছেন মৌসুমী। তিনি বলেছেন, 'মহেশ ভাট একবার আমাকে বলেছিলেন, য্খনই আমার কেরিয়ার উপরের দিকে যায় আমি তখনই অন্তঃসত্বা হয়ে যায়। আমার এই সিদ্ধান্ত কেরিয়ারের জন্য নাকি বাধা। আমি তাঁকে শুধরে দিয়ে বলেছিলাম, সন্তানেরা আমার জীবনে রং।'
বৃহস্পতিবার কুন্তল (Kuntal) ঘোষকেও আদালতে তোলা হয়, আদালত (court) থেকে বেড়িয়ে বিস্ফোরক কুন্তল। তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, 'আপনারা যে ইমেজটা আমার এনেছেন সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইডি (Ed) চার্জশিটে আমার কোনও সম্পত্তির হদিশ নেই, আমার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মানিক ভট্টাচার্যের কোনও সম্পর্ক ছিল না।'
একই সঙ্গে কুন্তল বলেন, 'আমার গ্রেফতারির কারণ একটাই, আমি রাজনৈতিক বিদ্বেষের শিকার। আমি কেমন মানুষ সেটা সামাজিক মাধ্যম থেকে জানতে পারবেন। আপনাদের সামনে গীতায় হাত রেখে বলতে পারি যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক ছিল না।' এছাড়া কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কুন্তল। মৌসুমীকে তাপস মণ্ডলের এজেন্ট বলে দাবি করেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা। কুন্তল বলেন, 'মৌসুমী তাপসের এজেন্ট ছিল বলে জানতাম। প্রচুর টাকা তুলেছে, অনেক মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।' যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মৌসুমীর দাবি, 'সব মিথ্যে কথা বলছে, কুন্তল যা খুশি তাই বলছে, আমি কুন্তলকে চিনতামও না, তৃণমূলের সবাই চোর হতে পারে, কিন্তু মৌসুমী কয়াল না।'
বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বেড়িয়ে তিনি আরও জানান, 'আমার বিএড কলেজ বিক্রি করে ৭ কোটি টাকা নগদ দিয়েছি গোপাল দলপতিকে। গোপাল ৫ কোটি নগদ নিয়ে গিয়েছিল তাপসের কাছে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক মন্তব্য করেন তিনি যে, 'আমার ফ্যামিলি থেকে বিভিন্ন রকম প্রবলেম এসেছে। আমি আমার ছেলের স্কুলের ফিস পর্যন্ত দিতে পারছি না।'
আনিসের মৃত্যু (anish death) কাণ্ডে এবার সিট-এর (sit) পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে তলব করা হল। ইতিমধ্যেই সূত্র মারফৎ খবর, আমতা থানার ২ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে ভবানী ভবনে (bhawani bhawan) তলব করা হয়েছে। বুধবার বেলা বাড়তেই সিট আমতা ও বাগনান থানার কমান্ড সার্টিফিকেট প্রস্তুত রাখতে বলে। এমনকি, জিডি বুকও প্রস্তুত রাখতে বলা হয়। আজকেই এই কমান্ড সার্টিফিকেট ও জিডি বুক দেখবে সিট-এর প্রতিনিধি দল। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সিট। কারণ, ওই দিন কারা কারা কোন দায়িত্বে ছিলেন, কী কাজে ছিলেন, সব পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ জানার জন্যই এই কমান্ড সার্টিফিকেট ও জিডি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে বলেই খবর।
আনিসের মৃত্যুর রহস্য যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন আরও জটিল হচ্ছে। মূল অভিযুক্তরা পঞ্চমদিনেও অধরা। তবে শুধুমাত্র সাসপেন্ড করা হয়েছে তিনজন পুলিসকর্মীকে। আর যার জেরেই একাধিক জায়গায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পথে পড়ুয়া সহ বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব। মৃত্যুর পরেই আনিসের বাড়িতে হাজির হন মন্ত্রী পুলক রায় সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব, পাশাপাশি আইএসএফের নেতা নওশাদ সিদ্দিকী সহ একাধিক নেতৃত্ব। এরপর বুধবার হাজির হন কামদুনি কাণ্ডের প্রতিবাদী মুখ টুম্পা কয়াল ও মৌসুমি কয়াল। তাঁরাও সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দেন।
বুধবার দুপুরে আনিসের বাড়িতে এসে পৌঁছন জনমঞ্চের পক্ষ থেকে অভিনেতা বাদশা মৈত্র সহ একাধিক শিল্পীরা।