
ফের নেপালে (Nepal) ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা (Helicopter Crash)। এক বিমান দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর জানা গেল মঙ্গলবার। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার অন্তত ৬ জন যাত্রী নিয়ে কপ্টারটি ভেঙে পড়েছে। যাত্রীদের মধ্যে পাঁচজন বিদেশি, তাঁরা মেক্সিকান বলে জানা গিয়েছে। মাউন্ট এভারেস্টের (Mount Everest) কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
কাঠমান্ডুর একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার কপ্টারটি স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মানাং থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু ১৫ মিনিটের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কপ্টারটির সঙ্গে। জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারটি সার্কে থেকে সোলুখুম্বুতে আসছিল। এরপর নেপালের সোলুখুম্বু জেলার লিখুপিকে গ্রামীণ এলাকা লামজুরায় সেটি ভেঙে পড়ে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রথমে জানা গিয়েছিল, নেপালের এক কপ্টার মাঝ আকাশে উধাও হয়ে যায়। ১০ টা ১৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ সেটার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই কপ্টারটির সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়। বেলা গড়াতেই এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। সেই কপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ লামজুরার চিহন্ডায় পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। পাঁচ জন যাত্রী ও একজন ক্যাপ্টেন সহ ৬ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ও তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, প্রাথমিক অনুমান করা হয়েছে যে, পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা খেয়েই কপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায় ও ভেঙে নীচে পড়ে যায়। আর এতেই ৬ জনের মৃত্যু হয়।
দুটো পা-ই হারিয়েছেন ১৩ বছর আগে, তবুও পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ জয়ের স্বপ্ন হারিয়ে যায়নি মন থেকে। ফলে কৃত্রিম পা ও নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির উপরে ভর করেই নেপালের হরি বুধা মাগার (Hari Budha Magar) নামের এক ব্যক্তি জয় করলেন বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের (Mount Everest) চূড়া। জানা গিয়েছে, ৪৩ বছরের হরি বুধা মাগার ব্রিটিশ-গোর্খা বাহিনীর প্রাক্তন সেনা জওয়ান। তাঁর এই কীর্তির পর নেপাল (Nepal) সরকার জানিয়েছে, প্রতিবন্ধকতা নিয়েও শুক্রবার এভারেস্টের শৃঙ্গ জয় করে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন হরি বুধা মাগার। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে এভারেস্টের চূড়া জয়ের মত বিরল ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি।
সূত্রের খবর, ২০১০ সালে আফগানিস্তান যুদ্ধে এক বিস্ফোরণের সময় তিনি তাঁর দুটো পা-ই হারিয়েছেন। তবে তাতে থেমে থাকেননি তিনি। তাঁর মনের মধ্যে বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ জয় করার অদম্য ইচ্ছা ছিল। কৃত্রিম পায়ের উপর ভর করেই তাঁর স্বপ্নপূরণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় নেপালের নিয়ম। সেদেশের নিয়ম ছিল, অন্ধ কিংবা দু'টিই কৃত্রিম পায়ের পর্বতারোহীরা এভারেস্ট অভিযান করতে পারবেন না। ফলে ২০১৮ সালে মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানের পরিকল্পনা করেও পিছিয়ে আসতে হয় প্রাক্তন গোর্খা জওয়ানকে। কিন্তু সে বারও হাল ছাড়েনি তিনি। নেপাল সরকারের এই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন হরি। তাঁর পক্ষেই রায় দেয় নেপালের শীর্ষ আদালত। এরপরই তিনি তাঁর স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করে এক নজির গড়লেন।
এভারেস্টের (Everest) চূড়া ছোঁয়ার স্বপ্ন প্রায় সবারই থাকে। এবারে এই স্বপ্নের অনেকটা কাছে পৌঁছল এক ৬ বছরের খুদে। অবাক হচ্ছেন তো, তবে এটাই সত্যি। এই খুদের নাম আরিষ্কা লাদ্ধা (Arishka Laddha)। সে পুনেতে থাকে। আরিষ্কা ভারতের কনিষ্ঠতম এভারেস্ট বেস ক্যাম্প আরোহী হিসাবে রেকর্ড গড়ে তুলেছে। ১৭ হাজার ৫০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় উঠে সে এই নজির গড়েছে। ফলে এই একরত্তি পুরো ভারতের জন্য এক অনুপ্রেরণা।
জানা গিয়েছে, এভারেস্টের বেস ক্যাম্পের উচ্চতায় যাওয়ার পথে তার সঙ্গী ছিল তার মা ডিম্পল লাদ্ধা। ছোট্ট আরিষ্কা জানিয়েছেন, তার এই যাত্রা পথে তাদের অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাদের মাইনাস ৩ থেকে ১৭ ডিগ্রির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। এরপর ঠান্ডা থেকে বাঁচতে তাদের ৭-৮ লেয়ারে জামা-কাপড় পরতে হয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, তাদের ১৭ হাজার ৫০০ ফুটে চড়তে প্রায় ১৫ দিন সময় লেগেছিল।
আবিষ্কার এই অভিজ্ঞতার ব্যাপারে তাকে জি়জ্ঞাসা করা হলে সে বলে,'আমি খুব খুশি। খুব ঠান্ডা ছিল সেখানে। আমি এভারেস্ট সামিট ছুঁতে চাই।' তার মা ডিম্পল জানিয়েছেন, তার মেয়ে ছোট থেকেই সাইকেলিং, ট্রেকিং,দৌড়নো ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত। এটা তাঁরই পরিকল্পনা ছিল তাঁর মেয়েকে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার। আরিষ্কার বাবা কৌস্তভ বলেন, 'আরিষ্কা ভারতকে গর্বিত করেছে। আমি সবসময় তার পাশে আছি।'