
ফের ইডির তলব ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren)। গতবছরও ইডি (Enforcement Directorate) তলব করেছিল হেমন্ত সোরেনকে। তবে সেবার অন্য এক মামলায় তলব করা হয়েছিল। এবারে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে (Money Laundering Case) তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ১৪ অগাস্ট তাঁকে রাঁচির ইডির দফতরে হাজির দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত এক আইএএস অফিসারকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এরপর তার বয়ানের ভিত্তিতেই হেমন্ত সোরেনকে আর্থির তছরুপের অভিযোগে জেরা করতে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গতবছর নভেম্বর মাসে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান হেমন্তকে তলব করা হয়েছিল খনি কেলেঙ্কারি কাণ্ডে। সেসময়, তাঁকে নয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। এবারে তাঁকে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ফের তলব করল ইডি। ফলে এখন এটাই দেখার যে, তিনি ১৪ অগাস্ট ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন নাকি এড়িয়ে যাবেন।
লোকসভার ভোটের আগে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে বিরোধী দলের। এছাড়াও হেমন্ত সোরেন 'ইন্ডিয়া' জোটের সক্রিয় সদস্য, তাই তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর দলের নেতা-নেত্রীদের।
অবশেষে অন্তর্বর্তী জামিন (Interim Bail) পেলেন দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কারামন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendar Jain)। শুক্রবার সুুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির জন্য ৬ সপ্তাহের জন্য তাঁর এই অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। বৃহস্পতিবার তিহাড় জেলের শৌচালয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন গ্রেফতার হওয়া দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। এরপর আজ, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। উল্লেখ্য, গত বছর মে মাস থেকে তিহাড় জেলে বন্দি দিল্লির এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ।
শীর্ষ আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দিল্লি ছেড়ে বাইরে কোথাও যাওয়া যাবে না ও সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলা যাবে না। তবে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর শারীরিক পরিস্থির কথা ভেবে নির্দেশ দিয়েছে, তিনি তাঁর চিকিৎসার জন্য যে কোনও হাসপাতালে যেতে পারেন। ১১ জুলাই পর্যন্ত এই জামিন থাকবে। ১০ জুলাই এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে বলে জানানো হয়েছে। তখন তাঁর সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে। এরপর তা দেখেই তা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে তিহাড় জেলের শৌচালয়ে মাথা ঘুড়ে পড়ে যান তিনি। এরপরই তাঁকে দিল্লির দীন দয়াল উপাধ্যায় হসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁকে লোক নারায়ণ জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির ফলে তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। সেই হাসপাতালেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিনি।