Breaking News
Garden Reach: গার্ডেনরিচকাণ্ডে অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে পুরসভা ও আবাসিকের মধ্যে টানাপোড়েন      Garden Reach: ফের গার্ডেনরিচেই বেআইনি বহুতলের সন্ধান, শুরু বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ      Sandeshkhali: পোস্টার-বিরোধিতা অতীত, রেখাকে জড়িয়ে উচ্ছ্বাস সন্দেশখালিতে      Sandeshkhali: "শক্তি স্বরূপা" সম্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন মোদীর      Holi: বসন্ত উৎসবে মেতে উঠেছে বিভিন্ন জেলা, জানুন কোথায় কিভাবে উদযাপিত হল রঙের দিবস      Garden Reach: গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১২, এখনও আশঙ্কাজনক বহু      CBI: আরও অস্বস্তিতে মহুয়া মৈত্র! কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা      Delhi: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ      Garden Reach: জেগে উঠছে পুর প্রশাসন! পুরসভায় জমা একাধিক অভিযোগ      High Court: টেটে প্রশ্নপত্র ভুলের মামলা, পর্ষদকে দিতে হবে বিশেষজ্ঞদের মতামত, নির্দেশ বিচারপতি মান্থার     

MoneyFraud

Fraud: এটিএম থেকে টাকা তছরূপের অভিযোগ, ধৃত ২ অভিযুক্ত, উদ্ধার নগদ অর্থ

অভিনব কায়দায় এটিএম থেকে টাকা তছরূপের দায়ে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ঠাকুরপুকুর থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বেহালার শিলপাড়ার ডায়মন্ড হারবার রোডের পাশে একটি ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তোলার জন্য দুই ব্যক্তি সেখানে ঢুকেছিল। তবে বেশ কিছুক্ষণ ধরে তারা সেখানে থাকায় সিসি ক্যামেরায় বিষয়টি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

ওই এটিএমে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। তড়িঘড়ি সেখানে অন্য ব্রাঞ্চ থেকে একজন নিরাপত্তারক্ষীকে পাঠানো হয়। নিরাপত্তারক্ষী পৌঁছে বাইরে থেকে এটিএম-এর শাটার নামিয়ে দেন। সেই সঙ্গে ঠাকুরপুকুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে দুই ব্যক্তিকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। পাশাপাশি, বেশকিছু নগদ অর্থও উদ্ধার করে পুলিস।

পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা এটিএম-এর যে অংশ থেকে টাকা বের হয়, সেখানে একটি টেপ লাগিয়ে বাইরে অপেক্ষা করত। গ্রাহকরা সেখান থেকে টাকা তুলতে এলেই ওই টেপে টাকা আটকে যেত। পরে গ্রাহকরা বেরিয়ে যেতেই ওই টাকা হাতিয়ে নিত অভিযুক্তরা। পুলিসের অনুমান, এভাবেই বেশকিছু এটিএম থেকে টাকা হাতিয়েছে ধৃতরা। ধৃত দুজনই বিহারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বুধবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিসের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিস।

a month ago
Fraud: টাকা আত্মসাতের অভিযোগ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে, ঘোষপুরে বিক্ষোভ মাছের এজেন্টদের

এবার প্রকাশ্যে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহাজাহানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে এল প্রকাশ্যে। অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বাগদা মাছের এজেন্টদের থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। টাকা ফেরতের দাবিতে এবার ঘোষপুরে বিক্ষোভ মাছের এজেন্টদের। প্রকাশ্যে আসছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ। কারণ, টাকা চাইলে হুমকির অভিযোগ ফেরার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে।

জানা গিয়েছে, কলকাতা বাসন্তী হাইওয়ের হাড়োয়ার ঘোষপুরের কাছে একটি বাগদা মাছের কোম্পানিতে মাছ সরবরাহ করতেন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, উত্তর চব্বিশ পরগনা সহ বিভিন্ন জেলার বাগদা মাছের এজেন্টরা। বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি, এই মাছের কোম্পানিতে এজেন্ট হিসাবে মাছ সরবরাহ করতেন, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। গত ২০১৮ সালে আগস্ট নাগাদ ওই কোম্পানি,  মাছের এজেন্টদের প্রায় ১০ কোটি টাকা আটকে দেয়। সেই টাকা দিতে না পারায় ওই কোম্পানিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন সন্দেশখালীর তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তারপর সমস্ত এজেন্টদের নিয়ে কোম্পানির কর্মকর্তারা বসে সিদ্ধান্ত নেন , কোম্পানিতে মজুত রাখা সমস্ত বাগদা ও গলদা চিংড়ি বিক্রি করে এজেন্টদের টাকা দেওয়া হবে। এরপর  ওই কোম্পানিতে থাকা সমস্ত মাছ নিয়ে নেন সন্দেশখালির  তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। কিন্তু তিনি মাছ নেওয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, মাছ অন্য কোম্পানিতে বিক্রি করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের এজেন্টদের টাকা দিয়ে দেবেন। এরপরেই ভোল পাল্টে যায় শেখ শাহজাহানের। মাছ বিক্রির প্রায় ৯ লক্ষ টাকা পুরোটাই আত্মসাৎ করেন শাহজাহান। সেই টাকা তাঁর  কাছে চাইতে গেলেই এজেন্টদের সঙ্গে কখনও  দুর্ব্যবহার, কখনও বা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি পেতেন এজেন্টরা।

টাকা ফেরত এর দাবিতে রবিবার ঘোষপুরের ওই মাছের কোম্পানির সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন বিভিন্ন জেলার মাছের এজেন্টরা। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ দেখানোর পর বিক্ষোভ তুলেনেন তাঁরা। তবে টাকা দিতে না পারায় পাওনাদারের ভয়ে বাড়িছাড়া হয়েছেন, বিপদের মধ্যে রয়েছেন বলেই জানালেন এজেন্টরা। এবং সমগ্র ঘটনায় অভিযোগের তীর যে শেখ শাহজাহানের দিকেই তা বলাই বাহুল্য।

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির এই বেতাজ বাদশা গত ৩ সপ্তাহ ধরে পলাতক। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু শেখ  শাহজাহানের দেখা পাওয়া তো দূর, উল্টে তাঁর ডেরায় ঢুকতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির আধিকারিকরা।  হামলা হয় ইডি, সিআরপিএফ এবং সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের ওপরেও।  তারপর থেকেই টিকিটিও মিলছে না তৃণমূলের এই নেতার। ইতিমধ্যেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের পাশাপাশি এবার টাকা আত্মসাতের অভিযোগও উঠে এল প্রকাশ্যে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিভিন্ন জেলার মাছের এজেন্টরা।

2 months ago
Fraud: কিউআর স্ক্যান করে পেমেন্ট! ওটিপি ছাড়াই ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্ক থেকে উধাও লক্ষাধিক টাকা

কিউআর স্ক্যান করে টাকা পেমেন্ট করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব লক্ষাধিক টাকা। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে কিউআর হ্যাকিং-এর অভিযোগ। এবার নতুন প্রতারণার শিকার হলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার এক ব্যবসায়ী।

জানা গিয়েছে, কোনও ওটিপি, কোনও ফোন বা ম্যাসেজ, কোনও লেনদেন ছাড়াই দশ মিনিটে দুটো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল হ্যাকাররা। শশাঙ্ক সামন্ত কলকাতার ফুলবাগানের বেসরকারি হাসপাতালে নিজের চেকআপ করার জন্য অনলাইনে কিউআর কোড স্ক্যান করে টাকা পেমেন্ট করেন। তার পরেই দশ মিনিটের মধ্যেই মেছেদা স্টেট ব্যাঙ্ক ও কোলাঘাটের ইউকো ব্যাঙ্ক-এর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় এক লক্ষ ছয় হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়। তবে টাকা লেনদেনের কোনও ওটিপি ফোনে আসেনি। শুধু তাঁর দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার এসএমএস আসে ফোনে।

ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, যে অ্যাকাউন্টে টাকা ক্রেডিট হয়েছে, সেই অ্যাকাউন্ট গুলি দিল্লি, মুম্বই রাজস্থানের। এই নিয়ে ব্যবসায়ী শশাঙ্ক সামন্ত সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। দুটি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার কেও লিখিত জানিয়েছেন। এই নিয়ে ব্যাবসায়ী মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।

প্রশ্ন উঠছে, বেসরকারি হাসাতালের নিজস্ব কিউআর স্ক্যানারে টাকা পেমেন্ট করার পরে কিভাবে হ্যাকাররা সেই কিউআর হ্যাক করে টাকা গায়েব করছে। অনলাইন পেমেন্ট কতটা সুরক্ষিত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

4 months ago


Fraud: সেনা কর্মীর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার, বৃদ্ধের ব্যাংক থেকে উধাও দেড় লক্ষ টাকা

সেনা কর্মীর পরিচয় দিয়ে সল্টলেক ডিএল ব্লকের বৃদ্ধের সঙ্গে প্রতারণা। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ন থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত অভিষেক মাকওয়ানা। গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।

পুলিস সূত্রে খবর,  ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়ি ভাড়া দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেন সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা সুশীল কুমার। অভিযোগ,  বিজ্ঞাপন দেখে নিজেকে সেনা কর্মীর পরিচয় দিয়ে সুশীল বাবুর সঙ্গে ফোন মারফত যোগাযোগ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি বাড়ি ভাড়া নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, চাকরির ট্রান্সফারের কারণে তাঁর সল্টলেকেই বাড়ি ভাড়া খুঁজছেন।এরপরই কথোপকথনের মাধ্যমে বাড়ি ভাড়া দিতে সম্মতি জানান বৃদ্ধ। ওই ব্যক্তি অগ্রিম ভাড়া অনলাইন ট্রানজেকশনের মাধ্যমে দেবেন বলে জানান। সেইমতো বৃদ্ধকে কিউ আর কোড পাঠাতে বলেন। সেই মত বৃদ্ধ থাকে নিজের ব্যাংক একাউন্টের কিউআর কোড পাঠান।এরপরই বৃদ্ধের ব্যাংক একাউন্ট থেকে দেড় লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায়। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বৃদ্ধ বিধাননগর সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ফেব্রুয়ারি মাসে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।

তদন্তে নেমে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ন থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত অভিষেক মাকওয়ানাকে। তাঁকে চার দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায়।আজ, সোমবার অভিযুক্তকে বিধান নগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিস খতিয়ে দেখবে এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনও চক্র জড়িত রয়েছে কিনা।

4 months ago
Fraud: অনলাইন প্রতারণার শিকার! ঋণের প্রোলোভন দেখিয়ে আত্মসাৎ ৫০ হাজার টাকা

ফের প্রতারণার শিকার সাধারণ মানুষ। এবার বেসরকারি লোন সংস্থার নাম করে এক ব্যবসায়ীকে ৫ লক্ষ টাকা লোনের প্রলোভন দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ফাঁদে পা দিতেই নিমেষের মধ্যে উধাও ৫০ হাজার টাকা। হুগলি বলাগড় জিরাটের ঘটনায় আতঙ্ক এলাকায়।

জানা যায়, হুগলি বলাগড়ের জিরাট স্টেশন পাড়ার ব্যবসায়ী মানিক মুখোপাধ্যায়ের ফোনে সরকারি লোন সংস্থার নাম করে ফোন আসে। তাঁকে বলা হয়, মানিক বাবুর নামে নাকি ৫ লক্ষ টাকার ঋণ অ্যাপ্রুভ হয়েছে। প্রথমে সেই কথা বিশ্বাস না হয়ে ফোন কেটে দেন মানিকবাবু। কিছুক্ষণ পর ফের ফোন আসে ওই একই নম্বর থেকে। এবার তাঁকে বলা হয়, এই লোনের অফারটা শুধু তাঁরই জন্য। আরও বলা হয়, এই ঋণ পেতে গেলে তাঁকে দিতে হবে ২৯৫০ টাকা। টাকার দরকার থাকায় সেই ফাঁদে পাও দিয়ে ফেলেন মানিকবাবু।

এর পরপরই  তাঁর ফোনে একটি ফেক EMI কার্ডও পাঠানো হয়। পাশাপাশি জানানো হয়, তাঁর ঋণ অ্যাপ্রুভ হয়ে গেছে। এরপরই হয় আসল ঘটনা। লোন প্রসেসিংয়ের নামে এরপরই ছ'দফায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় প্রতারকের দল। টাকা পাঠিয়েই মানিকবাবু বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তৎক্ষণাৎ ব্যাঙ্কে ছুটে যান তিনি। সেইমতো, বলাগড় থানায় লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয় বলাগড় থানা।

5 months ago


Fraud: সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তির নামে লক্ষাধিক টাকা প্রতরণার অভিযোগ, গ্রেফতার অভিযুক্ত

সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতরণার অভিযোগ। দমদম থানার পুলিসের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা শ্যামল ঘোষ তাঁর মেয়েকে সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তির জন্য চেষ্টা করছিলেন। সেসময় অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়।  মেয়েকে কল্যাণী এইমস-এ নার্সিং-এ ভর্তির জন্য সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকাও দিয়ে দেন অভিযুক্ত প্রতারককে। এরপর আরও ৭৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও মেয়েকে ভর্তি করাতে পারেননি অভিযুক্ত। প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন বুঝতে পেরে অক্টবরের ৪ তারিখ নাগেরবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শ্যামল ঘোষ। গোটা ঘটনার তদন্ত ভার নেয় ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। বুধবার গভীর রাতে সৌপর্ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে দমদম থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়।

জানা গিয়েছে, শ্যামল ঘোষ মেয়েকে নার্সিং-এ ভর্তি করানোর জন্য অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় দমদম নিবাসী এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ওই মহিলার মেয়ে ও শ্যামলবাবুর মেয়ে একই সঙ্গে মেডিক্যালে নিট পরীক্ষায় বসেছিলেন। ওই মহিলার কথা মত তিনি দমদমের বাসিন্দা সৌপর্ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শ্যামলবাবুর অভিযোগ, সৌপর্ন তাঁকে বলেন তাঁর মেয়েকে সে সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তি করিয়ে দেবেন। তার জন্য ১২লক্ষ টাকা লাগবে। তিনি এই বিপুল পরিমাণ টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান। এরপরে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকায় সৌপর্ন রাজি হয়। তিনি চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যেই সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন।

আরও অভিযোগ, ওই টাকা নিয়ে সৌপর্ন তাঁকে বলেন চলতি বছরের অগাস্ট মাসের মধ্যে তাঁর মেয়েকে কল্যাণী এইমস-এ ভর্তি করিয়ে দেবেন। এমনকি কল্যাণী এইমস-এর দ্বিতীয় তালিকায় তাঁর মেয়ের নাম আছে এমন একটি কাগজ তাঁদের দেখান। এরপরে চাপ দিয়ে আরও ৭৫ হাজার টাকা নেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁর মেয়েকে সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তি করিয়ে দিতে পারেননি। বরং সুর পাল্টে যায় অভিযুক্তের। বেসরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তি করিয়ে দেবেন বলে জানান। এরপরই প্রতারণার জালে জড়িয়ে পড়েছেন বুঝতে পেরে নাগেরবাজার থানার দ্বারস্থ হন।

পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত সৌপর্ন এডু টেক ইন্ডিয়া নামে একটি সংস্থা খুলে এই প্রতারণার ফাঁদ পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা  প্রতারণা করতেন। এর জন্য তিনি কখনও মন্ত্রী আবার কখনও সরকারি আমলাদের ছবি ব্যবহার করতেন। যাতে তাঁর প্রতারণার ফাঁদে পড়েন অসহায় মানুষেরা।

5 months ago
Fraud: লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ ব্যাঙ্ক এজেন্টের বিরুদ্ধে, পুলিসের দ্বারস্থ মহিলা

ভুয়ো ফোন নম্বর থেকে ফোন করে এটিএম-এর ওটিপি জেনে লক্ষাধিক টাকা (Money Fraud) প্রতারণা করার অভিযোগ। অভিযোগ উঠলো খোদ এক ব্যাঙ্ক এজেন্টের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার হাসনাবাদ থানার রূপমাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব খেজুরবাড়িয়া এলাকায়। এই ঘটনার পরেই ওই এজেন্টের বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে অভিযোগের ১৬ দিন পর বসিরহাট থানার পুলিস (Police) অভিযুক্তকে আটক করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিস।  

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যাঙ্ক এজেন্টের নাম অনিমেষ সরকার এবং প্রতারিত ওই মহিলার নাম সাগরিকা দাস। এই ঘটনায় প্রতারিত গৃহবধূ অভিযোগ করেন, জুলাই মাসের ২২ তারিখে একটি ভুয়ো নম্বর থেকে তাঁর ফোনে ফোন আসে। ফোনে তাঁর এটিএম কার্ড চালু করার কথা জানানো হয়। এরপরেই তাঁর কাছে একটি ওটিপি আসে। সেই ওপিটি-টি দেওয়ার পরেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। তারপরেই ওই গৃহবধূ জানতে পরেন তিনি প্রতারণার শিকার হযেছেন। এই ঘটনার পরেই তিনি ব্যাঙ্ক এজেন্ট অনিমেষ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। 

সূত্রের খবর, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্ত শুরু করে। কিন্তু অভিযুক্ত ওই ব্যাঙ্ক এজেন্টের কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। প্রায় ১৬ দিন পর সোমবার হঠাৎ বসিরহাট দণ্ডীরাট একটি রাষ্ট্রয়াত্ত্ব ব্যাঙ্কে ওই অভিযুক্ত আসলে তাকে হাতেনাতে ধরেন ওই মহিলা। এমনকি প্রতারণা করার পুরো বিষয়টা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানান। তারপরেই খবর পেয়ে বসিরহাট থানার পুলিস ওই অভিযুক্তকে আটক করে। 

ওই অভিযোগকারী মহিলার দাবি, হিঙ্গলগঞ্জের একাধিক জায়গায় এটিএম কার্ড চালু করে দেওয়ার নাম করে অনেক জনের কাছে প্রতারণা করেছে এই এজেন্ট। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

8 months ago
Fraud: ব্যাঙ্ক প্রতারণার শিকার হলেন খোদ ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, লোভে পড়ে খোয়ালেন ১০ লক্ষ

ফের টাকা প্রতারণার (Money Fraud) ঘটনা। তবে এবার প্রতারণার শিকার হলেন খোদ ব্যাঙ্ক (Bank) ম্যানেজার। ১০ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ে (Mumbai)। এই ঘটনার পরেই পুলিসের দারস্থ হন ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। গত ২৩ মে এবং ২৬ মে মুম্বই পুলিসের কাছে দু’টি এফআইআর দায়ের করেন ওই ব্যাঙ্ককর্মী। পুলিস (Police) সূত্রে খবর, কোলাবার একটি ব্যাঙ্কে ম্যানেজারের পদে চাকরি কেন ওই ব্যক্তি । তাঁর অভিযোগ, বাড়তি উপার্জনের লোভে তিনি একটি ‘পার্টটাইম’ কাজ নিয়েছিলেন। 

তিনি আরও জনান, ইউটিউবে ভিডিও ‘লাইক’ করলেই টাকা মিলবে বলে কথা দিয়েছিলেন চার ব্যক্তি। তাঁকে বলা হয়েছিল, ভিডিও প্রতি ১৮০ টাকা এবং ১০০ টাকা করে মিলবে। ভালই চলছিল এই ‘পার্টটাইম’ কাজ। আর তার মধ্যেই ঘটে গেল এমন ঘটনা। আচমকা ওই চার ব্যক্তি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে ১০ লক্ষ টাকা মোট সাতটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করতে বলে।

ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের দাবি, ওই চার ব্যক্তির কথামতো ১০ লক্ষ টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন তিনি। তবে এই বিষয়ে তাঁর সন্দেহ হলে তিনি ওই চার ব্যক্তিকে এ নিয়ে প্রশ্নও করেন। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাননি তিনি। তারপরেই তিনি পুলিসের সহায় হন।

10 months ago


Ameesha: কোটি টাকার অর্থ প্রতারণা মামলা! আমিশার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বিপাকে পড়লেন 'কহো না প্যায়ার হ্যাঁয়' খ্যাত অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল (Ameesha Patel)।  নিজের প্রোডাকশন হাউসের ব্যানারে সিনেমা বানাতে ধার নিয়েছিলেন অর্থ। সেই টাকা ফেরত দিতে না পেরে আইনি জটে মুশকিলে পড়লেন তিনি। এক ব্যক্তি এফআইআর করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে। জল এতদূর গড়িয়েছে যে আদালত (Ranchi Court) আমিশার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

রাঁচি নিবাসী অজয় কুমার সিং, আমিশা প্যাটেল এবং তাঁর ব্যবসায়ী শরিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলাকারী বলেছেন, এক দশক আগে  আমিশা তাঁকে 'দেশি ম্যাজিক' সিনেমায় বিনিয়োগের কথা বলেন। এরপর ওই ব্যক্তি আমিশাকে আড়াই কোটি টাকা দেন। কথা ছিল, সিনেমা মুক্তি পেলেই আমিশা এবং তার ব্যবসায়ী শরিক সুদ-সহ সেই অর্থ ফিরিয়ে দেবেন।  কিন্তু আজও সেই অর্থ ফেরত পাননি ওই ব্যক্তি।

আমিশাকে বারংবার তাগাদা দিতে থাকেন ওই ব্যক্তি। আমিশাও তাঁকে এড়িয়ে যান। পরে আড়াই কোটি টাকার চেক দেন ওই ব্যক্তিকে। কিন্তু সেই চেক বাউন্স হয়ে যায়। এরপরেই আমিশার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

এর আগেও আমিশাকে কোর্টে হাজিরা দেওয়ার সমন পাঠানো হয়। তবে আমিশা বা তাঁর উকিল যাননি আদালতে। তাই আমিশার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে রাঁচি কোর্ট। আইপিসির ৪২০ এবং সিআরপিসি-র ১২০ ধারায় প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে আমিশার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর নিন্দায় সরব হয়েছে নেট দুনিয়া। মামলা কোনদিকে মোড় নেয়, সেটাই দেখার।


12 months ago
Cricket: বড় আর্থিক প্রতারণার কবলে ভারতীয় ক্রিকেটার, বন্ধুকে বিশ্বাস করে কে ঠকলেন

সম্প্রতি আর্থিক প্রতারণার (Money Fraud) শিকার উসেইন বোল্ট খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। এবার প্রতারণার কবলে ভারতীয় ক্রিকেটার উমেশ যাদব (Umesh Yadav)। ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই জোরে বোলারকে প্রতারিত করেছেন তাঁরই বন্ধু-ম্যানেজার। উমেশের নামে একটি জমি কেনার জন্য টাকা নিয়েছিলেন ওই বন্ধু। কিন্তু জমি না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেন উমেশ। পুলিস সূত্রে খবর, শৈলেশ ঠাকরে নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঠাকরে নাগপুরের বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি।

থানায় লিখিত অভিযোগে উমেশ জানান, ভারতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পাওয়ার পর ২০১৪-র জুলাইয়ে বন্ধু ঠাকরেকে ম্যানেজার হিসাবে নিয়োগ করেন তিনি। ঠাকরে সেই সময় কর্মহীন ছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উমেশের আস্থা অর্জন করেন ঠাকরে। উমেশের যাবতীয় আর্থিক কার্যকলাপ সামলাতেন ঠাকরে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আয়কর এবং অন্য আর্থিক কাজের দায়িত্ব ছিল ঠাকরের হাতেই। নাগপুরে একটি জমি খুঁজছিলেন উমেশ। সেই জমি কেনার জন্যেই তাঁর থেকে টাকা নিয়েছিলেন অভিযুক্ত।'

একটি ফাঁকা জায়গায় জমি দেখিয়ে উমেশের বন্ধু বলেছিলেন, ওই জমির দাম ৪৪ লক্ষ টাকা। উমেশ সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা ঠাকরেকে অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন। কিন্তু ঠাকরে সেই জমি নিজের নামে কিনে নিয়েছেন। উমেশ সে কথা জানতে পেরে ঠাকরেকে মালিকানা বদল করতে বললেও ঠাকরে রাজি হননি। এমনকি, টাকাও ফেরত দেননি।

one year ago