
মুন্নি চৌধুরী: শেষমেশ অভিমুখ পরিবর্তন করে মায়ানমারের (Myanmar) উপরই আঘাত হেনেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোকা' (Cyclone Mocha)। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছিল, ঝড়ে কার্যত তছনছ হয়ে যাবে বাংলাদেশের (Bangladesh) উপকূলবর্তী এলাকাগুলি। কিন্তু রবিবার দুপুরে মোকার ল্যান্ডফল হতেই স্বস্তি পেল বাংলাদেশ। কক্সবাজার (Cox's Bazar) ও সিতওয়ে বন্দর সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায় ল্যান্ডফল করেছে 'মোকা'।
কক্সবাজারের এক হোটেল ব্যবসায়ী মোহম্মদ আলম জয় জানিয়েছেন, মোকার খুব একটা প্রভাব কক্সবাজারে পড়েনি। শনিবার রাত থেকে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। রবিবার সকাল থেকে সামান্য ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির দাপট খানিকটা বেড়েছে। তেমন একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এছাড়া সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের আগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এরফলে সবরকম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেন্টমার্টিনে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার এবং টেকনাফে ৮২ কিলোমিটার থাকবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিকেলের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের আবহাওয়া অধি দফতরের আধিকারিকরা।
যদিও মোকার প্রভাবে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন। পাশাপাশি সতর্ক রয়েছে পশ্চিবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিও। রীতিমত মাইকিং করে প্রচার চলছে, শুরু হয়েছে যদি বাঁধ মেরামতের কাজ। রবিবার সকালে বৃষ্টির সাথে সাথে সামান্য ঝোড়ো হাওয়া রয়েছে কক্সবাজার শহর এলাকায়। যদিও স্থানীয় প্রশাসন কড়া নজরদারি রাখছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ওই ব্যবসায়ী।
ঘূর্ণিঝড় মোকার (Mocha) সতর্কতাবার্তা (Warning) জারি এনডিআরএফ (NDRF) এর পক্ষ থেকে। ঘূর্নিঝড়ের হাত থেকে সুন্দরবনের (Sundarban) উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনকে রক্ষা করতে এই সতর্কবার্তা জারি। শনিবার সকাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের আমতলী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সুন্দরবন কোস্টাল থানার উদ্দোগে নদীর উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনকে সতর্ক করতে মাইকিং (Micing) করা হলো। এদিন সকাল থেকে কুলতলির থানার কৈখালীর, মাতলা নদীতে এমডিআরএফ এর পক্ষ থেকে মগড্রিল করা হয়, সঙ্গে নদী এলাকায় বসবাসকারী গ্রামে করা হয় মাইকিং। উপকূলীয় গ্রামগুলি পাশাপাশি নদীপথে ও লঞ্চের মাধ্যমে কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে। কুলতলি ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে শুকনো খাবার, তার্পোলিন মজুত করা হয়েছে।
পাশাপাশি ঝরখালী কোস্টাল থানার উদ্দোগে ও সুন্দরবনের নদীতে সতর্ক মূলক প্রচার করা হয় ঝরখালী এলাকায়। গোসাবায় নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাব নিয়ে সচেতন করলো এনডিআরএফ এর সদস্যরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা থানার অন্তর্গত গোসাবা ও রাঙাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে কি কি সমস্যায় পড়তে হতে পারে এবং প্রয়োজনে কি কি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন সেই সমস্ত বিষয়ে এলাকার মানুষজনকে ওয়াকিবহাল করেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যরা। সুন্দরবনের প্রতটি এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। যার ফলে খুব তাড়াতাড়িই তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় (Mocha)। মৌসম ভবনের (seasonal building) অনুমান চলতি সপ্তাহেই বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) তৈরি হতে পারে ‘মোখা’। তবে ‘মোখা’-র সামগ্রিক পরিস্থিতে নজর রাখছে মৌসম ভবন।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর, আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। তারপর বৃহস্পতিবার উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিক বরাবর পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে মোখা। এরপরই ‘মোখা’ বাঁক নিয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক বরাবর বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলের দিকে এগোতে পারে। মনে করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহের শেষেই স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ‘মোখা’। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আগামী ১৪ মে বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মায়ানমারের কিয়াউকিপু-র মধ্যবর্তী উপকূলে আছড়ে পড়বে ‘মোখা’। বৃহস্পতিবার ১১ মে থেকেই বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া শুরু হবে দ্বীপপুঞ্জে।
তবে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা প্রশাসন। তাই ‘মোখা’ মোকাবিলার ক্ষেত্রে আগাম প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এমনকি সমুদ্রেও মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোকা (Moka)। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গল উত্তর আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সোমবারই ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই নিম্নচাপ থেকেই সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড় মোকা এমনটাই জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর।
পাশাপাশি আগামী ১০ ই মে পর্যন্ত গরম বাড়বে বঙ্গে। এছাড়াও পশ্চিমের জেলাগুলিতে প্রায় ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা পেরিয়ে যাবে। তবে ঝড়-বৃষ্টির প্রায় কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মাঝখানে কিছুদিন তীব্র গরমের হাত থেকে স্বস্তি মিললেও, আবারও সেই তীব্র দাবদাহের অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন রাজ্যবাসী।
সেই মতোই সপ্তাহের প্রথম দিনে অর্থাৎ সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯° সেলসিয়াস পর্যন্ত যেতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ অনেকটা। যার ফলে মানুষের মুখে যে স্বস্তির হাসি ফুটেছিল তা কিন্তু ফের গরমে হাঁসফাঁসে পরিণত হবে। কারণ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে গরমে যে ঘাম ঘাম ব্য়াপারটা সেটা কিন্তু থাকবে।
ফের রাজ্যে দুর্যোগের পূর্বাভাস। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) 'মোকা'। এবছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় মে মাসেই হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর। আগামী ১০ মে’র আশপাশে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোকা (Cyclone Mocha) তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বঙ্গে তার কতটা প্রভাব পড়বে তা নিয়ে কী জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জেনে নিন।
গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নমুখী। যার ফলে কিছুটা স্বস্তিতে শহর কলকাতাবাসী। বুধবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশে মেঘের আনাগোনা। পূর্বাভাস মতোই বুধবার থেকে দুই বঙ্গের আবহাওয়ার বদল ঘটেছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা ও আশেপাশে এলাকা। তবে তাপপ্রবাহের মত পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিকেল থেকে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে রয়েছে। সন্ধে থেকে আরও অনেকটা বদলে যাবে আবহাওয়া। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাব তেমন ভাবে পড়বে না রাজ্যে। ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। তার জেরে বঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে। ৬ তারিখ উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা ঘূর্ণিঝড় মোকার।
বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণাবর্তের কারণে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প রাজ্যে ঢুকবে। তার প্রভাব পডতে পারে উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায়। দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলায় বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ৬ তারিখ থেকেই বদলে যাবে আবহাওয়া। কালবৈশাখীর মত পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।
৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
১৬ বছর আগের বারাণসীতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ধৃত ওয়ালিউল্লাহকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। দীর্ঘদিন ধরে শুনানি প্রক্রিয়ার পর শনিবার ওয়ালিউল্লাহকে দোষী সাব্যস্ত করল গাজিয়াবাদের জেলা আদালতের বিচারক। তবে ৬ জুন সোমবার এই মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে। ওয়ালিউল্লাহ গ্রেফতারির পর বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঝাঁসি গ্রামের মুস্তাকিম, জাকারিয়া ও শামীম নামে তিন ব্যক্তি-সহ বেশ কয়েক জনের নাম উঠে এসেছিল।
২০০৬ সালের ৭ মার্চ জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বারাণসীর সঙ্কটমোচন মন্দির। বিস্ফোরণ হয় বারাণসীর ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনেও। সেই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হন প্রায় ১০০ জন। ওই ঘটনার পর ৫ এপ্রিল প্রয়াগরাজ জেলার ফুলপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওয়ালিউল্লাহকে। পরে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশে ওই মামলা গাজিয়াবাদ জেলা আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়।