আবার বিধাননগর কমিশনারেট (Bidhannagar Police) এলাকার নারায়ণপুরের পূর্ব বেড়াবেড়িতে ভুয়ো কল সেন্টারের (Fake Call Center) হদিশ। ৫-জি টাওয়ার বসানোর নামে টাকা হাতানোর অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেফতার মোট ২১ জন। ধৃতদের মধ্যে ১১ জন তরুণী ও ১০ জন তরুণ। নারায়ণপুর থানার অভিযানে উদ্ধার ৪৬টি মোবাইল-সহ বহু নথি। বৃহস্পতিবার ধৃতদের ব্যারাকপুর কোর্টে তোলা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, সূত্র মারফত খবর পেয়ে নারায়ণপুর থানার উচ্চপদস্থ কর্তারা ওই ভুয়ো কলসেন্টারে হানা দেন।
তাঁরা গিয়ে দেখেন সেখানে যুবক-যুবতী বসে কল সেন্টার চালাচ্ছেন। এরপরই তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। তদন্তে জানা যায়, এই অফিসে বসে সাধারণ মানুষকে ফোন করে ফাইভ জি মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রসেসিং ফি বাবদ মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এভাবে তাঁরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করে চলেছে। এরপরেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিস।
জানা গিয়েছে, ধৃতরা বিহার, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, সল্টলেক, নদীয়া, হাওড়া-সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
মোবাইল টাওয়ার (Mobile tower) বসানোর নামে প্রতারণার (fraud) অভিযোগে চাঞ্চল্য শহর কলকাতায়। জানা যায়, কুড়ি লক্ষ টাকার বেশি প্রতারণার অভিযোগে একবালপুর থানায় (police station) অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে একবালপুর থানার পুলিস (police)। সাইবার সেল পোর্ট ডিভিশনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এবং গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, একটি বেআইনি কলসেন্টারের হদিশ পান তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে। ধৃতদের আলিপুর আদালতে (court) তোলা হয়েছিল মঙ্গলবার।
জানা যায়, সল্টলেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি কল সেন্টার থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের মধ্যে একজন কল সেন্টারের মালিক, বাকিরা ম্যানেজার টিম লিডার সহ মোট ৭ জন গ্রেফতার। উদ্ধার হয় প্রচুর এন্ড্রয়েড মোবাইল এবং কিপ্যাড ফোন। এছাড়াও প্রচুর সিম কার্ড, এটিএম কার্ড ও ল্যাপটপ।