
সৌমেন সুর: রাস্তা দিয়ে বিয়ের শোভাযাত্রা দেখে রাজকুমারী চোখের পলক পড়ে না। সোজা মায়ের কাছে আবদার করে, 'মা আমার বর কই।' মা পড়লেন মহাফ্যাসাদে। কী করে মেয়েকে শান্ত করাবেন। অবশেষে মেয়েকে ধরে সোজা ঠাকুরঘরে এসে গিরিধারীলালকে দেখিয়ে বলেন,'এই যে তোমার বর মেঘে তারিখে দেখে আপ্লুত হয়ে যায়।' প্রথম পর্বের পর...
মীরা যখন আপন মনে ধ্যান করতে করতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, সেই সময় বিজয়বর্গীয় নামে একজন এসে, ক্ষুধার্ত মীরাকে দুধ এনে দেয়। মীরা দুধের বাটি এনে নিবেদন করেন গিরিধারীলালকে। এরপর চরণামৃত জ্ঞানে সবটুকু খেয়ে ফেলেন। এদিকে বিজয়বর্গীয় ভয়ে কাঁপতে থাকেন। কারণ দুধে রানা মিশিয়ে দিয়েছেন বিষ। কিন্তু কৃষ্ণভক্তির জেরে বিষ অমৃত হয়ে যায়। মীরা কৌটো খুলে সাপটাকে মালা ভেবে গলায় ধারণ করে। মীরার প্রতি এরকম অনেক রকম অত্যাচার শুরু হয়। কিন্তু প্রতিবারই কৃষ্ণ মীরাকে বাঁচিয়ে দেয়।
মীরা সেই শৈশব থেকে শ্যামকে ভালবেসেছে। গিরিধারীলালের পুজোয় দেহমন সব সমর্পণ করেছে। ওই কালো রূপে মন মজেছে। কালো রূপে মগ্ন মীরা ব্যাকুল, চর্মচক্ষুতে কৃষ্ণের দর্শনে। সিংহাসনে শ্যমকে বসিয়ে কখনও হাসছেন, কখনও কাঁদছেন। দু'জনে শুধু মন দেওয়া-নেওয়া। ভক্ত আর ভগবানের মাঝে সেতুবন্ধন হলো মীরার ভজন। এরপর অনেক ধরনের অত্যাচার করেও রানা পরিশ্রান্ত, তখন মীরাকে চিতোর ত্যাগ করার আদেশ দিলেন।
কৃষ্ণকে বুকে জড়িয়ে ধরে রাতের অন্ধকারে কাউকে কিছু না বলে মীরা দ্বারকার পথে পা বাড়ালেন। আসলে ভক্তিতেই মুক্তির সন্ধান। মীরা আজ সিদ্ধা। মীরার শরীরে কৃষ্ণপ্রেমের পূর্ণ প্রকাশ। মীরা আজ গিরিধারীলালের প্রেমিকা। কলঙ্কের ভাগী হয়ে ঘর ছেড়ে পথে নেমেছিলেন মীরা। শুধু নিজের প্রেমকে বিসর্জন দেবেন না বলে।
কৃষ্ণলীলার স্বরূপ সন্ধানে শুধু রাধা নয়, মীরার আত্মনিবেদনের নির্যাসকে আত্মস্থ করতে হয়। আর এখানেই অমরত্ব পেয়েছেন মানবী মীরাবাঈ।
সৌমেন সুর: রাস্তা দিয়ে বিয়ের শোভাযাত্রা দেখে রাজকুমারী চোখের পলক পড়ে না। সোজা মায়ের কাছে আবদার করে, 'মা আমার বর কই।' মা পড়লেন মহাফ্যাসাদে। কী করে মেয়েকে শান্ত করাবেন। অবশেষে মেয়েকে ধরে সোজা ঠাকুরঘরে এসে গিরিধারী লাল কে দেখিয়ে বলেন,' এই যে তোমার বর মেঘে তারিখে দেখে আপ্লুত হয়ে যায়।'
এরপর স্বয়নে স্বপনে কৃষ্ণ ছাড়া অন্য কিছু ভাবনা নেই মীরার। মীরাবাঈ কৃষ্ণের প্রিয়তমা মহাসাধিকা। চির জনমের মতো কৃষ্ণকে স্বামীরূপে বরণ করে নেয় মীরা। তার জগৎজুড়ে শুধু শ্রীকৃষ্ণ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যার সৃষ্টি সেই গিরিধারী লাল তার স্বামী, মীরার একমাত্র ইষ্ট হয়ে উঠল কানাহাইয়া।
১৫১৬ সালে ১৩ বছর বয়সে মীরার বিয়ে হয় মেবারের রাজা রানা শঙ্খের ছেলে ভোজরাজের সঙ্গে। কিন্তু মীরার বিবাহিত জীবন সুখের হয়নি। তিনি হৃদয়ে শ্রী কৃষ্ণের আসনে কাউকে বসাতে পারেননি। চললো মানসিক অত্যাচার। নির্দেশ এলো রাজ পরিবারের ঐতিহ্য মেনে চলতে।
কিন্তু মীরা তার সিদ্ধান্তে অটল। কৃষ্ণের ভজন, পূজন ছাড়া তার অন্যকিছু ভালো লাগে না। এর মধ্যে মীরার জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। তার স্বামী মোঘলদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হয়। এতে মীরার জীবনে যা কিছু ছিল অনিত্য সব শেষ। একমাত্র চিরনিত্য রইলেন গিরিধারীলাল। সব বাঁধা ছিন্ন করে মীরা কৃষ্ণ প্রেমে নিজেকে সঁপে দিলেন।
রাজ অন্তপুরে মীরা যখন সাধন ভজনে বাধাপ্রাপ্ত হলেন, তিনি তখন নিকটবর্তী এক দেবালয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সেখানেই সাধনায় মগ্ন হলেন। মীরার মন চঞ্চল হয়ে উঠলো। এ রাজ্যে কেউ তাকে চায় না। একমাত্র আশ্রয় তার গিরিধারীলাল। তার জন্য অন্য কোনো আশ্রয়ের প্রয়োজন নেই। আপন মনে ধ্যান করতে করতে কখন যেন একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। (চলবে)
কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) আরও একটি সোনা জয় (Won Gold) ভারতের। মীরাবাঈ চানুর পর ভারোত্তলনে শোনা জিতলেন জেরেমি লালরিন্নুঙ্গা। তাঁর হাত দিয়েই পঞ্চম পদকটিও এল ভারতে। এদিন ১৫৪ কিলো তুলতে (Weightlifting Event) গিয়ে পায়ে চোট পান জেরেমি। সেই চোটও তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ফিরে এলেন ১৬০ কিলো তুলতে। পায়ের চোট নিয়েই তুললেন মোট ৩০০ কিলো। রেকর্ড গড়ে তৃতীয় বার ১৬৫ কিলো তুলতে এসে ব্যর্থ হলেন। এরপর মাটিতে পড়ে গিয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করেন তিনি।
#Weightlifting Update 🚨@raltejeremy set the New Games Record in Snatch category with the best lift of 140kg in Men's- 67kg at @birminghamcg22
— SAI Media (@Media_SAI) July 31, 2022
Keep it up🔥🔥🔥
🆙️⏭️
Clean & Jerk 🙂#Cheer4India#IndiaTaiyaarHai pic.twitter.com/H0eRDt8j96
এদিকে, কমনওয়েলথ গেমস ২০২২ টুর্নামেন্টে ভারতের ঝুলিতে প্রথম সোনার পদক আসে শনিবার রাতে। মীরাবাই চানু মহিলাদের ৪৯ কেজি ভারোত্তলন বিভাগে ভারতের হয়ে সোনার পদক জয় করলেন। কমনওয়েলথের দ্বিতীয় দিন চার চারটি পদক এসেছে ভারতের ঝুলিতে। আর চারটি ভারোত্তোলন বিভাগ থেকে। এদিন, বিন্দিয়ারানি দেবী রুপো পেলেন ৫৫ কিলো বিভাগে। পুরুষদের ভারোত্তলনের ৫৫ কেজি বিভাগে রুপো জিতেছেন সংকেত মহাদেব সারগর। আর ৬১ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন গুরুরাজার পূজারি।
টোকিও অলিম্পিকে রুপোজয়ী মীরাবাই চানু স্ন্যাচ বিভাগে ৮৮ কেজি ওজন তোলেন। অন্যদিকে ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে তিনি ১১৩ কেজির প্রচেষ্টা করেন। অর্থাৎ মীরাবাই মোট ২০১ কেজি ওজন তুলেছেন। এটা কমনওয়েলথ গেমসেই একটি অনন্য রেকর্ড।
অবশেষে কমনওয়েলথ গেমস ২০২২ (Commonwealth Games) টুর্নামেন্টে ভারতের ঝুলিতে এল প্রথম সোনার পদক। মীরাবাই চানু (Mirabai Chanu) মহিলাদের ৪৯ কেজি ভারোত্তলন বিভাগে ভারতের হয়ে সোনার পদক জয় (Won Gold) করলেন। কমনওয়েলথের দ্বিতীয় দিন চার চারটি পদক এসেছে ভারতের ঝুলিতে। আর চারটি ভারোত্তোলন বিভাগ (Weightlifting Event) থেকে। এদিন, বিন্দিয়ারানি দেবী রুপো পেলেন ৫৫ কিলো বিভাগে। পুরুষদের ভারোত্তলনের ৫৫ কেজি বিভাগে রুপো জিতেছেন (silver medal) সংকেত মহাদেব সারগর। আর ৬১ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন গুরুরাজার পূজারি।
টোকিও অলিম্পিকে রুপোজয়ী মীরাবাই চানু স্ন্যাচ বিভাগে ৮৮ কেজি ওজন তোলেন। অন্যদিকে ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে তিনি ১১৩ কেজির প্রচেষ্টা করেন। অর্থাৎ মীরাবাই মোট ২০১ কেজি ওজন তুলেছেন। এটা কমনওয়েলথ গেমসেই একটি অনন্য রেকর্ড।
মীরাবাইয়ের এই সাফল্য অর্জনের পর টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, "অসাধারণ। ভারতকে আরও একবার গৌরবান্বিত করলেন মীরাবাই চানু। বার্মিংহামে তিনি সোনার পদক জয় করেছেন এবং পাশাপাশি কমনওয়েলথ গেমসে একটি নয়া রেকর্ড গড়েছেন। তাঁর এই জয়ে খুশি দেশবাসী। এই সাফল্য আগামীদিনে ভারতীয়দের, বিশেষ করে অ্যাথলিটদের, অনুপ্রাণিত করবে।"
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গোল্ড কোস্টে আয়োজিত কমনওয়েল গেমসেও মীরাবাই চানু সোনার পদক জয় করেছিলেন। এছাড়া ২০১৪ সালে কমনওয়েলথ গেমসে তিনি রুপোর পদক জয় করেন। এবার বার্মিংহামে ওয়েটলিফটিং প্রতিযোগিতায় সোনা।
মীরাবাঈ চানু’ এই নামেই বড় পর্দায় আসতে চলেছে টোকিও অলিম্পিক্সের রুপো জয়ী ভারোত্তলক মীরাবাঈ-এর জীবন কাহিনী। ইতিমধ্যেই ছবির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মনিপুরের একটি ফিল্ম প্রোডাকশন হাউস ‘মীরাবাঈ চানু’ নামটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফিল্ম ফোরাম মনিপুরে পাঠিয়ে দিয়েছে। এর আগে নীরজ চোপড়ার বায়োপিক তৈরির কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
এরমাঝেই মীরবাঈ চানুকে নিয়ে বায়োপিক তৈরির কাজ শুরু হয়েগেল। যদিও ছবির নাম রেজিস্টির মানে হল ফিল্ম তৈরির কাজ শুরু হওয়া। এ বার খুব শীঘ্রই মীরাবাঈ চানুকে নিয়ে নতুন বায়োপিক দেখা যাবে।শুধুমাত্র মনিপুরের স্থানীয় ভাষায় এই ফিল্ম তৈরি হবে না। আন্তর্জাতিক মঞ্চে মীরাবাঈ চানুর গল্প তুলে ধরতে চায় এই প্রোডাকশন হাউস। তাই থাকবে ইংরেজি সাবটাইটেল। ইংরেজি সহ আরও বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষায় দেখা যাবে এই ছবি.